প্রতীক্ষা পর্ব-০৩

0
100

“#প্রতীক্ষা”

৩য় পর্ব
শেখ জারা তাহমিদ

১৩.
জুলাই মাস। ১৯৯৩ সাল। দেশ ছাড়ার প্রায় তিন মাস হলো। ক্যাডেট ইন্জিনিয়ার আশফিকের দিনগুলো প্রচন্ড ব্যস্ততায় কাটছে। ক্যাডেট বলেই ওর কাজ বেশি। এটা ওটা লেগেই থাকে। তবুও সময় করে ও ক্যামেলিয়াকে নিয়ে ভাবতে বসে। মেয়েটার টেস্ট পরীক্ষা কেমন হলো? ছাত্রী ভালো। নিশ্চয়ই পাশ করেছে। ও তো চলে এলো। এখন কী পড়তে পারছে? ইন্টার পরীক্ষাও কী শুরু হয়ে গেছে? ও যেমন এত ব্যস্ততার মাঝেও ক্যামেলিয়াকে ভাবতে বসে, ক্যামেলিয়াও কী তেমন পড়ার ফাঁকে ওর কথা ভাবে? শেষ চিঠিটা পড়েছিলো?

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পোর্টে ওদের জাহাজ থামে। কার্গো লোড-আনলোড হয়। কখনো দুদিনে হয়ে যায়। আবার কখনও দুমাসও এক পোর্টে কেটে যায়। সপ্তায় তিনদিন ওদের শহরে যাওয়ার পাস থাকে। একঘেয়ে মনে হলেও যারা জাহাজে চাকরি এটাই তাদের জীবন। সমুদ্রের বিশালতায় ওরা গুটিকয়েক মানুষ রঙিন স্বপ্ন আঁকে। নীলচে তারার সবটাই ওদের রাতজাগার গল্প জানে। গনগনে আকাশটা জানে ওদের ঘরে ফেরার অধীর অপেক্ষার কথা।

আশফিকের ভালোই লাগে। আম্মার কথা ভেবে মন কেমন করে। ক্যামেলিয়ার কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটে। তবুও ওর ভালো লাগে। ফিরে যাওয়ার অপেক্ষা করতে ওর ভালো লাগে। শহরে এন্ট্রি নিয়ে সবাই যখন প্রচুর কেনাকাটা করে আশফিক তখন ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়ায়। এটা-ওটা ছবি তোলে। ক্যামেলিয়া যদি কখনো দেখতে চায়?

ও একদমই শপিং করে না তা না। বাড়ির জন্য করে। আম্মার জন্য করে। বোনেদের জন্য করে। কিন্তু ক্যামেলিয়ার জন্য কিছু কিনতে গেলেই ওর অসহায় লাগে। মেয়েটার ঠিক কী পছন্দ! ভেবে না পেয়ে ও ক্যামেলিয়ার জন্য চকলেট কেনে। চকলেট তো সবাই খায়। ক্যামেলিয়াও খাবে নিশ্চয়ই!

বারো মাস জাহাজে কাটিয়ে ১৯৯৪ সালের জুনের শেষে আশফিক যখন বাড়ি আসলো, তখন ক্যামেলিয়া ঢাকা শহরে। সুলতানা জানালো, খালার বাসায় বেড়াতে গেছে। আশফিকের রাগ লাগলো সেটা শুনে। বিএ ভর্তি একটা মেয়ে ক্লাস বাদ দিয়ে খালার বাসায় যেয়ে এতদিন থাকার কি আছে ও বুঝে পেলো না! রাগে, ক্ষোভে চারদিনের মাথায়ই চট্টগ্রাম ফিরো এলো ও। সিংগাপুর যাওয়ার সকল বন্দোবস্ত করে আবার বাড়ি এলো বিদায় নিতে। ওর আম্মা খুব কাঁদলেন। এসেই কেনো চলে যেতে হবে ছেলেকে? আশফিক আম্মাকে বোঝালো। প্রমোশন দরকার ওর। আম্মা অতসব না বুঝলেও মেনে নিলেন। সব গুছিয়ে নিয়ে, আগস্টে চলে গেলো ও। কিছুটা কী অভিমান হয়েছিলো ওর?

হয়েছিলো বৈকি। সেই অভিমান থেকেই ছয়মাস পর সিংগাপুর থেকে ফিরে মিঠাভাঙা যায়নি ও। আব্বা-আম্মাকে লোক পাঠিয়ে চট্টগ্রাম আনিয়েছে। চার-পাঁচদিন ওর সাথে থেকেছেন ওনারা। ফেব্রুয়ারির হালকা শীতের আমেজে চট্টগ্রাম ঘুরে দেখেছেন। আনন্দ করেছেন। ছেলে এতো ব্যস্ত দেখে বাড়ি যাওয়ার কথা কেউই বলেননি।

ঠিক তিন সপ্তাহ পর, ১৯৯৫’র মার্চে আশফিক ফিরে গিয়েছিলো জাহাজে। ফোর্থ ইন্জিনিয়ার আশফিক, ষোলো মাসের জন্য চলে গিয়েছিলো সমুদ্রে। মন খারাপ বিলিয়ে দিয়েছিলো বিশাল আকাশে। ক্যামেলিয়া কি সে খবর পেয়েছিলো?

১৪.
আশফিক এসেছিলো। চারদিন ছিলো।এরপর সিংগাপুর চলে গেছে। কবে আসবে কেউ জানে না। এই খবর ক্যামেলিয়া পেয়েছে মিঠাভাঙা এসে।

এসেই, কেনো চলে গেলো জানে না ক্যামেলিয়া। ওর কথা কী মনে নেই এখন আর? কোনো চিঠিও রেখে যায়নি। এতো সহজে ভুলে গেলো? সত্যিই? সুলতানাকে বলতেই ও হেসে কুটিকুটি হলো। আশফিক ভাইয়ের ক্যামেলিয়া নামক ঘোর অতো সহজে কাটবে না, জানে ও।

আশফিকের সিংগাপুর থেকে চট্টগ্রাম ফেরার কথাও ক্যামেলিয়া জানলো। জহির নিজে এসে জানালো। ক্যামেলিয়া আশায় ছিলো। অপেক্ষায় ছিলো। আশফিক এবার নিশ্চয়ই আসবে। ও নিজ মনে হিসেব কষে। ৯৩’র এপ্রিলে গেলো, এখন ৯৫’র ফেব্রুয়ারি। এতগুলো দিন পর মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে। সেকি আগের মতোই আছে? না কি কিছুটা হলেও পাল্টেছে? কী গভীর চাহনি তার! সেটা কী আগের চেয়েও ধারালো হয়েছে?

ক্যামেলিয়ার সকল প্রশ্নের উত্তর মিটে গেলো মার্চের এক বিকেলে। যখন ও জানতে পারলো আশফিক চলে গেছে! আবারও সমুদ্রে! ষোলো মাসের চুক্তিতে। দুবছরের সাথে আরও ষোলো মাস যোগ করলে কতদিন হয়! ক্যামেলিয়ার হিসেব গুলিয়ে গেলো।

১৫.
জাপান। নাগোয়া পোর্ট। ১৯৯৫ সাল। নভেম্বর মাস। শনিবার। পেঁজা তুলোর মতো বরফ পরছে জাহাজের ডেকে। কফি মগ হাতে নিয়ে আশফিক খানিকক্ষণ সেটাই দেখছিলো।

মন ছুটে গেছে ওর। গতকাল সাব্বিরের চিঠি পেয়েছে। মাস চারেক আগের চিঠি। আশফিকের কাছে সরাসরি চিঠি পাঠানোর উপায় নেই। প্রথমে ঢাকার হেড অফিসে চিঠি পাঠাতে হয়। হেড অফিস সেই চিঠি পাঠায় বিভিন্ন দেশে তাদের রিজিওনাল অফিসে। পরবর্তীতে জাহাজ সেইসব দেশে গেলে, রিজিওনাল অফিস থেকে চিঠিগুলো জাহাজে পাঠানো হয়। সাব্বিরের চিঠির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আরও দুমাস আগের চিঠি আশফিক এখন পেয়েছে।

পুরো চিঠি জুড়ে ক্যামেলিয়ার কথা লিখেছে সাব্বির। ক্যামেলিয়ার বিয়ের কথা হয়েছিলো। ব্যবসায়ী এক ছেলে এসে দেখে গেছে। কথাবার্তা বেশিদূর এগোনোর আগেই থেমে গেছে ক্যামেলিয়ার অসুস্থতায়। জন্ডিসে ভুগছে মেয়েটা। খুব রোগা হয়ে গেছে। সাতনরী থেকে ওর আব্বা গিয়ে নিয়ে এসেছে মিঠাভাঙা। আপাতত এখানেই আছে। সুলতানা রোজ দেখতে যায় ওকে। সুলতানা জানিয়েছে আশফিকের নামও শুনতে নাকি রাজি না মেয়েটা!

সেই থেকে পাগল পাগল লাগছে আশফিকের। যত রাগ অভিমান ছিলো সব মিটে গেছে। মনে হাজার প্রশ্ন। মেয়েটা এখন কেমন আছে? জন্ডিস সেরেছে তো? ও কী ভাবছে আশফিক ওকে ভুলে গেছে? মেয়েটা কী জানে ওর ভাবনা কত ভুল! এই যে আশফিক সব ছেড়ে সাগরে পরে আছে, সব ক্যামেলিয়াকে লিগ্যালি নিজের করে নেয়ার জন্য। সেবার গ্রামে গিয়ে ও যখন দেখলো ক্যামেলিয়া নেই ওর তখন কেমন লেগেছিলো সেটা কী ক্যামেলিয়া জানে? ওকে না দেখে আশফিকের মনে হয়েছে, ওর যদি ক্যামেলিয়ার উপর অধিকার থাকতো! নেই বলেই ও ঢাকায় যেতে পারেনি। ক্যামেলিয়া ঢাকায় যাবে সেটায়ও হ্যাঁ-না বলতে পারেনি। শুধু সেই অধিকারের নিশ্চয়তা পেতেই ও এতো কিছু করছে। শেষবার বাড়িও যায়নি এই কারণে। বাড়ি গিয়ে ক্যামেলিয়াকে দেখলে ও ফিরতে পারতো না। ক্যামেলিয়া স্বীকার না করুক, কিন্তু ও জানে মেয়েটা ওকে চায়। ঠিক আশফিকের মতোই ক্যামেলিয়াও আশফিককে চায়।

মনে মনে আওড়ালো আশফিক, “আর ক’টা মাস ক্যামেলিয়া। অভিমান করো, রাগ করো৷ তবুও অপেক্ষা করো।” ক্যামেলিয়া কি শুনেছিলো সে কথা?

১৬.
অতি আকাঙ্ক্ষিত মানুষকে হুট করে দেখে জমে গেলো ক্যামেলিয়া। এই ভোরবেলায় পুরো গ্রাম যেখানে ঘুমিয়ে, সেখানে আশফিক দাঁড়িয়ে আছে মোড়ের রাস্তায়। ক্যামেলিয়ার চোখ ভিজে আসতে চাইছে। কতগুলো দিন পর মানুষটাকে দেখেছে ও। কেমন আছে সে? আগের চেয়ে কী লম্বা লাগছে একটু? চোখে চশমা নিয়েছে কবে?

১৯৯৬ সাল। আগস্ট মাস। আরও দুমাস আগে সাইন-অফ করার কথা থাকলেও দেরি হয়েছে আশফিকের। জাহাজ ভিয়েতনামে ছিলো। ওখান থেকে ভিসা হচ্ছিলো না। পরের ভয়েজ ইন্দোনেশিয়ায়। সেখান থেকে ভিসা হয়েছে। দুদিন আগে বাংলাদেশে ফিরেছে ও। ঢাকা থেকে অফিসিয়াল কাজকর্ম সেরে বাড়ি পৌঁছেছে গতকাল সন্ধ্যেয়। তখনই পারলে সাতনরী এসে পরে। সম্ভব হয়নি বলে এই সাতসকালে এসেছে। ক্যামেলিয়া কে দেখার পর সেই প্রথমবার দেখার অনুভূতি হলো আশফিকের। শান্ত, স্নিগ্ধ, গড়পড়তা সাধারাণ মেয়েটাকে অসাধারণ ঠেকলো।

আশফিক ওর জাদুকরী হাসিটা হাসলো ক্যামেলিয়ার দিকে তাকিয়ে। এতেই ক্যামেলিয়ার মনে হলো ও মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এইযে ছেলেটা এতোদিন আসেনি, খোঁজ নেয়নি, চিঠি পাঠায়নি, কিচ্ছু যেনো ম্যাটার করলো না আর। আশফিক আরও দুকদম ওর দিকে এগিয়ে এলো। জড়োসড়ো হয়ে গেলো ক্যামেলিয়া। পানি তেষ্টা পেয়ে গেলো। জন্ডিস হবার পর থেকেই ওর যেনো তেষ্টা বেড়ে গেছে। সবটাই লক্ষ্য করলো আশফিক। ঠোঁট চেপে হাসি আটকালো। বললো, “সামনের মাসেই আমাকে সিংগাপুর যেতে হবে। তার আগেই বিয়ে করে ফেলি, ক্যামেলিয়া?”

দ্বিতীয়বারের মতো আশফিকের মুখে ওর নাম শুনে ক্যামেলিয়া প্রথমবারের মতোই কেঁপে উঠলো। ওর কথারা খেই হারালো। আশফিক ওকে আরও চমকে দিয়ে বলে উঠলো, “তোমার আব্বা রাজি হলেই তুমি আমাকে বিয়ে করবা, সেটা আমি জানি। উনি যখন তোমার মত জানতে চাইবে, না করো না প্লিজ।” বলবে না বলবে না করেও বলে ফেলে ক্যামেলিয়া, “কি মনে হয় আপনার, এতদিনেও আমার বিয়ে হয়ে যায় নাই কেন?” আশফিক জবাব না দিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসলো। বিয়ে ঠেকাতে ক্যামেলিয়া যে মন দিয়ে পড়ছে সে খবর ও জানে। এই চমৎকার মেয়েটা ওর হয়ে যাক! ক্যামেলিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে ও বলে, “আমি আজকেই আব্বাকে বলবো তোমার কথা। গেট রেডি টু বি মাই ব্রাইড।”

আশফিকের কথায় ক্যামেলিয়া নড়তে ভুলে গেলো। সমস্ত লজ্জারা যেনো ঘিরে ধরেছিলো ওকে।

১৭.
আশফিকদের বাড়ির অবস্থা থমথমে।

ওর আম্মা অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলেন ছেলে বিয়ে করুক। আশফিক নিজে থেকে বিয়ের কথা বলতেই উনি তাতে সায় দিলেন। ছেলের পছন্দ আছে শুনে খুশি হলেন। কিন্তু মেয়েটা ক্যামেলিয়া শুনেই তার মুখ কালো হয়ে গেলো। সমস্ত খুশি উবে গেলো। ওমন রোগা-শুকনো মেয়েকে তার ছেলের কেনো পছন্দ হলো? মেয়েটার গুণ বলতে সে পড়ালেখায় ভালো। সারাবছর থেকেছে নানাবাড়ি তে। কাজকর্মেও যে দক্ষ হবে না সেটা বোঝা কঠিন কিছু নয়। তাদের এতো বড় গেরস্ত বাড়িতে কোনোভাবেই মেয়েটা মানানসই না। ওর আব্বা-চাচারা এখনও এক সংসার! ওর আব্বার কত দায়িত্ব! আর বয়স! মেয়ের বয়সটাও তো কম নয়! একুশ-বাইশ হবেই!

একথা গুলোই তিনি আশফিককে বলেছেন। আশফিক অবাক চোখে তাকে দেখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। ভুঁইয়াসাহেব বাড়ি ছিলেন না তখন। বাড়ি ফিরে সব শুনে তিনিও তার গিন্নির সাথে একমত হলেন। ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। ও এসেই প্রশ্ন ছুড়লো, “আব্বা, আম্মার কথার সাথে কী আপনি একমত?” ছেলেকে ভালো করে দেখে নিয়ে গম্ভীর স্বরে তিনি বললেন, “তর মায় ভুল কিসু কয় নাই। এনো বিয়া খাডে না। বিয়া সমানে সমানে হওন লাগে।” আশফিক বোঝানোর চেষ্টা করলো, “না খাটার তো কিছু দেখি না, আব্বা। ক্যামেলিয়ার আব্বা ডাক্তার। চাচারা ও ভালো চাকরি করতেসে। নানাবাড়ির দিকও ভালো। আপনার নিজের কম নাই। সেই তুলনায় ওনাদেরও যথেষ্ট আছে। আপনি বিশ হলে, ওনারাও উনিশ! আমি তো অসমান কিছু দেখি না! আর ক্যামেলিয়া পড়তেসে, কাজকর্ম কম জানতেই পারে। গেরস্তবাড়ির নিয়ম ওর জন্য নতুন হবে, আমি মানতেসি। কিন্তু আম্মা যদি ওকে শিখায় ও কী শিখবে না? দাদীও তো আম্মাকে সব শিখায়-পড়ায় নিসিলো! তাও যদি ক্যামেলিয়া কাজ না পারে, কাজ কী থেমে থাকবে? কাজের লোক দুইজন আছে, দরকার পরলে আরও একজন রাখবো। সেইটুক সামর্থ আমার আছে৷ আর এসব কথা আসতেছেই কেন! ক্যামেলিয়া বাড়িতে আসলে কি হুট করে কাজ বেড়ে যাবে?”

রেগে যাওয়া ভুঁইয়াসাহেবের স্বাভাবিক আচরণ। তবুও ঠান্ডা মাথায় ছেলের সাথে কথা বলবেন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু আশফিকের কথা শুনতেই তিনি রাগে ফেটে পরলেন। ক্রোধান্বিত গলায় বললেন, “লায়েক হয়া গেছো? বড় পাশ দিয়া ভাবতাসো তুমিই সব বুজো। কোনডা খাডে আমি বুঝি না? তোমার কথায় সব হইব না। আমার বাড়িত কেডায় আইবো আমি ঠিক করমু।” উনি যতটা রেগে গেলো আশফিক ততটাই শান্ত ভঙ্গিতে বললো, “আব্বা, আমি বলি নাই আমি বেশি বুঝি। আপনি ঠান্ডা মাথায় আমার কথাগুলা ভাবেন। বাইরে থেকে আসছেন, রেস্ট করেন। আমরা পরে বসতেছি।”

আশফিক বেরিয়ে গেলো। সেই থেকে বাড়ির সবাই থমথমে মুখ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চলবে।