প্রীতিলতা পর্ব-০৪

0
357

#প্রীতিলতা❤️

#লেখিকা:- Nowshin Nishi Chowdhury

#৪র্থ_পর্ব🍂

আকাশের নিকষ অন্ধকার কাটিয়ে ঊষার আবির্ভাব ঘটেছে কিছুক্ষণ আগে। মুহূর্তের মধ্যে তার উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত করে ফেলল পুরো পৃথিবীটাকে।

আজ সকালটা আমার অন্যরকম ভাবে শুরু হল যেন। ফজরের নামাজ পড়ার পর হঠাৎ মনে পড়ল যে বাবা-মা সকাল ন’টার ট্রেনে ঢাকায় চলে যাবেন। তাই আর এক মুহূর্ত দেরি না করে রান্নাঘরের দিকে ছুটলাম।

গিয়ে দেখলাম রহিমা খালা এখন রান্নাঘরে আসেননি। অন্য দিনগুলোতে দেখেছি খালা আগে এসে সব কিছু কেটেকুটে গুছিয়ে রাখে আর মা দাঁড়িয়ে শুধু রান্না করে।

আমি কেটেকুটে সব কিছু গুছিয়ে রান্না করব। সালোয়ার কামিজের ওড়নাটা কোমরে ভালো করে বেঁধে নিয়ে নেমে পড়লাম কাজে। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ আর মাংস বের করলাম।

সেগুলোকে পানিতে ভেজাতে দিয়ে চপিং বোর্ডে পেঁয়াজ, আদা রসুন এর খোসা গুলো সব ছাড়ানো হয়ে গ্্ পানি দিয়ে ধুচ্ছিলাম এমন সময় পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো,

— নতুন বউ । তুমি এহন পাক ঘরে কি করতাছো?

পেছনে রহিমা খালার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললাম,

— খালা আজ আমি রান্না করবো। মা বাবা তো আজ ঢাকায় চলে যাবে অন্যদিন তো মা ই রান্না করে খাওয়ায় আমাদের। আজ না হয় আমি তাদেরকে একটু রান্না করে খাওয়ালাম।

— হায় আল্লাহ..!এই পাগলি মাইয়া বলে কি হুনছো নি..! তা তুমি আমারে ডাকবা না। আমি এসে তোমার হাতে হাতে কইরা দিলে তাড়াতাড়ি হইয়া যাইবো। দেখি সরো। আমি ঝাল পিয়াজ আদা রসুন কুচায় দিতাছি।

কথাগুলো বলে আমার হাত থেকে ডালাটা নিয়ে বটি পেতে কাটতে বসলেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না । চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে দিলাম।

রহিমা খালা হঠাৎ পেঁয়াজ রসুন কাটতে কাটতে বললেন

—তা নতুন বউ তোমার শরীর এখন ভালা আছে? কাল রাতে কেমনে অসুস্থ হইয়া পরলা।অমন কইরা কেউ রাত্তির বেলায় বৃষ্টিতে ভেজে? কতখানি জ্বর উঠছিল তুমি তো জানো না। তুমি তো বেহুশের লাগান বিছনায় পইড়া ছিল।

আমি হাতে কাজ করতে করতে পেছনে ঘুরে উত্তর দিলাম,

— এখন ভালো আছি খালা। শরীরে একটুও জ্বর নাই।

খালা সহাস্যে বললেন,

— ভালো না হইয়া যাবা কই। আমার ছোট বাজান তোমারে যেমনে যত্ন করছে সুস্থ না হইয়া যাইবা কি? কিন্তু তোমার বোকামির দন্ড হিসাবে বড় সাহেবের কাছ থেকে অনেক কথা হুনছে আমার ছোট বাজান। তুমি এটা মোটেও ঠিক করোনি বউ। এমন কাজ আর কোনদিন করবা না।

আমি হাতে মাছ ধুচ্ছিলাম আর খালার কথা শুনছিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো কাল রাতে সাফওয়ান বলতে বলতে থেমে গিয়েছিলেন ,

তুমি জানো তোমার জন্য বাবা আমাকে….

ইশ্ মানুষটাকে আমার জন্য না জানি কত কথা শুনতে হয়েছে?

— না চাচী আর এমন কাজ কোনদিন করবো না।

— এইতো ভালো ম্যাইয়ার লাগান কথা। কাটাকুটি হইয়া গেছে আদা রসুন কি বেটে ফেলাবো।

— জ্বী। আচ্ছা চাচী তোমার ছোট বাবার প্রিয় খাবার কি?

ও মোর খোদা। এ মাইয়া বলে কি? বিয়া হইছে ১০-১২ দিন হইয়া গেল এখনো তোমার বরের প্রিয় খাবার তুমি জানো না?

ইতস্তত করে বললাম,

আসলে চাচির রান্নাঘরে তো মা তেমন ঢুকতে দেয় না। তারপর তোমার ছোট বাবাকে আমি খুব ভয় পাই। তাই আর কি…

আচ্ছা আচ্ছা আমি বলে দিচ্ছি। আমার ছোট বাজান পোলাও, গরুর মাংস ভুনা, সরষে ইলিশ খুব পছন্দ করে। আর গাজরের হালুয়া তার মেলা প্রিয়। বড় বাজানের ও এসব খাবার অনেক প্রিয়। এগুলো হইল দুই ভাইয়ের আর কিছু লাগে না। হে হে হে।

আচ্ছা খালা আপনি গাজর গুলো কুচিয়ে দিতে পারবেন গ্রেটার মেশিনে। আজকে গাজরের হালুয়া বানাবো আর সাথে এগুলো থাকবে।

— আইচ্ছা। যা বলবা এই বান্দা তা কইরা দেবে।

— আচ্ছা তাহলে আমরা কাজে লেগে পড়ি।

— হ।

কথা বলা শেষ করে প্রয়োজনীয় কাজ করা শুরু করলাম কারন হাতে বেশি সময় নেই। আটটার মধ্যে খাওয়ার রেডি করতে হবে।

খালা গাজর কুচাতে কুছাতে বললেন,

— বুঝলা নতুন বউ। বড় বউটা কোনদিন এরকম রান্নাঘরে আইসা, মুখ ফুইটা বলল না খালা আজ আমি রাধুম। এত ছুটির দিন যায়। একটা দিন রান্নাঘরের ধারের কাছে সে আহেনা।

খালা সে হলো ডাক্তার। সারাদিন কত রকম কাজে ব্যস্ত থাকে তারপরে কি আর শরীরে এনার্জি থাকে কাজ করার।

তারপর ও মানুষ নিজের স্বামীর জন্য তো পছন্দমত কিছু একটু রান্না করে। বড় বউ তো তাও করে না।

হাহ্ বড় বাজান হয়তো জানেনা তার বউয়ের হাতের রান্না কেমন?

________🌺🌺_______

ঘড়িতে সকাল ৬.:৩০ বাজে,

গরুর মাংস রান্না প্রায় শেষ। এখন রহিমা খালা ইলিশ মাছগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখছিলেন ,আর আমি সরিষা বেটে নিচ্ছিলাম। সরিষা ইলিশের জন্য।

রান্নাঘরে হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে আসলেন মা।

— ইশ্ কত দেরি হয়ে গেছে। রহিমা তুমি আমাকে ডাকো নি কেন? দেখতো আমি কখন এতো রান্নাবান্না ক….

দুই চুলার উপরে রান্না বসানো দেখে শায়লা বেগম তাজ্জব বনে গেলেন।

একি..! অসুস্থ শরীর নিয়ে রান্নাঘরে কেন এসেছ?

মায়ের কথা শুনে পেছনে ঘুরে মায়ের দিকে তাকালাম। খালা আমার দিকে তাকিয়ে মাছ ভাজার চুলাটা অফ করে মায়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল,

আবার নতুন বউয়ের জ্বর সেরে গেছে। আপনারা ঢাকায় যাবেন বলে আজ নতুন বউ নিজের হাতে রান্না বান্না করতেছে। আমি এসে দেখি নতুন বউ রান্নাবাড়া শুরু করে দিছে।আমি আপনারে আর কি ডাকুম?

মাংস রান্না শেষ। সরষে বাটা দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না হবে এখন তারপর পোলাও আর গাজরের হালুয়া। একদম শেষের গরম গরম রান্না করে টেবিলে দেওয়া হবে। সব নতুন বউ নিজের হাতে রান্না করতেছে। তাই আপনাকে আর ডাকা হয়নি।

মা নিরব অদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে। এই চোখ জোড়া আর সাফওয়ানের চোখ জোড়া যেন একই রং তুলিতে আঁকা হয়েছে। তার মত মায়ের চোখের ভাষা বুঝতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে আমার। বুঝতে পারলাম না তিনি কি রাগ করেছেন নাকি খুশি হয়েছেন। আমি সৌজন্যমূলক হাসি হেসে কাজে লেগে পড়লাম।

আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে মাংসের কড়াইয়ের ঢাকনা তুলে দেখলেন তিনি। পাশের ডেক্সের থেকে ভাজা গরম মসলার গুঁড়ার পাত্র থেকে নিয়ে মসলা নিয়ে মাংসের উপরে ছিটিয়ে দিয়ে গ্যাসের চুলা অফ করে দিলেন। মাংসের কড়াই টা অন্যত্র সরিয়ে রাখলেন।

তারপর আমার দিকে তাকিয়ে নরম কন্ঠে বললেন,

— আরো দুটো আইটেম রান্না করতে হবে। মুরগির রোস্ট আর ফুলকপি গাজর দিয়ে একটা সবজি। বাসায় গেস্ট আসবে। তুমি সরিষা ইলিশটা রান্না করে ফেলো। তারপরে আইটেম দুটো রান্না করবো আমি।

আর রহিমা তুমি পেঁয়াজ আদা রসুন এগুলো বেটে ফেলো আর করে কিছু পেঁয়াজ কুচি করে রাখো বেরেস্তা তৈরির জন্য। দ্রুত হাত চালাও রহিমা।

— জে আপা।

বলে রহিমা নিজের কাজে লেগে পড়লো।

আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে ইতস্ত করে বললাম,

— মা।ওই দুটো আইটেম আমি রান্না করতে পারব। ইলিশ রান্না করতে তো বেশি সময় লাগবে না। এক্ষুনি হয়ে যাবে। আমি রোস্ট রান্না, আর

মা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,

— সবাই মিলে একসাথে করলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তুমি দ্রুত সরিষা ইলিশটা বসিয়ে দাও চুলায়। রোস্টের চিকেন কাটাই আছে। তুমি মসলা ম্যারিনেট করবে তাতে।

— আচ্ছা মা।

আমি রান্নার কাজে লেগে পড়লাম। মা ফুলকপি আর গাজর কাটতে কাটতে বললেন,

— বিয়ের আগে কি রান্না শিখেছো নাকি আগে থেকেই করতে?

— হাতে কলমে শিখিনি মা। আম্মু রান্না করতো আর আমি পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। এইটুকুই দেখে দেখে শিখেছি।

— ওহ

মুখে ছোট করে ওহ্ বললেও শায়লা বেগম এর মুখে ফুটে উঠলো তৃপ্তির হাসি। ছেলের জন্য বৌমা নির্বাচন করতে তিনি ভুল করেননি। এবার ছেলেটার মানে মানে শুধরে গেলেই হয় তার।

_________🌺🌺_________

ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটার একটু বেশি বাজে।

সব রান্না প্রায় শেষের দিকে। শাশুড়ি মা গিয়েছিলেন গোসল করতে ‌ গোসল করে রেডি হয়ে রান্নাঘরে এসে জোরে সরে একটা হুকুম চালিয়ে বললেন,

— পোলাও আর হালুয়া তো প্রায় শেষের দিকে এবার যাও তুমি গোসল করে শাড়ি পড়ে আসো। আর সাফওয়ান কেউ বল দ্রুত রেডি হয়ে যেন নিচে নামে।

এত সকালে গোসল করতে হবে শুনে মুখটা কাচুমাচু করে বললাম,

— এত সকালে গোসল করব।

শাশুড়ি মা পাল্টা উত্তর বললেন,

— সারারাত জ্বরে ভুগেছো এখন যদি গোসল না করো শরীর আরো খারাপ হয়ে যাবে। বাথরুমে গিজার আছে । উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করে আসে শরীর ভালো লাগবে।

কথাগুলো কাট কাট গলায় বললেও কথা গুলোর মধ্যে যে কতটা মায়া আর ভালোবাসা ছিল তা আমি বুঝতে পেরেছিলাম।

খুব বুঝতে পারলাম যে মা আর ছেলে একই ধাঁচের। উপর উপর কঠোরতা দেখালেও ভিতরে ভিতরে কোমলতা বিদ্যমান। বাহ গত ১২ দিনে যে ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি এক রাতের ব্যবধানে তা অনেক খানি বুঝে ফেললাম।

তাই আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত চলে আসলাম।

উপরে উঠেই বাবা মায়ের পাশের রুমটা হচ্ছে পুতুলের। দরজা খুলে উঁকি মেরে দেখলাম ম্যাডাম বিছানায় ঘাপটি মেরে শুয়ে আছে। পা টিপে টিপে ওর কাছে গিয়ে দেখলাম না এ জেগেই আছে। কাঁথার উপর দিয়ে ওকে চেপে ধরলাম,

— কিরে দুষ্ট বুড়ি আমার সাথে মশকরা করা হচ্ছে।

পুতুল খিল খিল করে হেসে বলল,

— তুমি সব সময় আমাকে কিভাবে ধরে ফেলো প্রীতিলতা?

— ম্যাজিক।

—- তা এখনো উঠছো না কেন ঘুম থেকে?

— উঠতে ভালো লাগছে না।

— আম্মু আব্বু চলে যাবে বলে মন খারাপ?

ও আমার দিকে কিছুক্ষণ নিরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। তারপর বলল

— না প্রীতিলতা তুমি আছো না আমার মন খারাপ করবে কেন?

আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

— একদম মন খারাপ করে না সোনা। মাত্র তো কয়টা দিন। তুমি আর আমি ক্যালেন্ডারে দাগ দিতে দিতে আম্মু আব্বু চলে আসবে।

এখন যাও ফটাফট ফ্রেশ হয়ে নাও সবাইকে নিচে যেতে হবে। গেস্ট আসবে বাসায়। যাও যাও তাড়াতাড়ি যাও।

ওকে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি চলে আসলাম নিজের ঘরে।

এসে দেখি এই মহাশয় ও বিছানার সাথে চিপকে আছে। বালিশের তলায় দুই হাত দিয়ে উবো হয়ে বালিশে মুখ বুজে শুয়ে আছে।

ইশ্ ঘুমানোর কি ছিরি……

ডাকতে গিয়েও হঠাৎ কাল রাতের কথা মনে পড়লো সারা রাত বেচারা জেগে ছিল আমার জন্য। থাক এখন ঘুমাক।

আলমারি থেকে জামা কাপড় নিয়ে ঢুকে গেলাম ওয়াশরুম রুমে।

_________🌺🌺_________

খট করে সিটকিনি খোলার শব্দে আয়নার দিকে তাকালাম। আঁচলটা গায়ে জড়ানো থাকলেও কুচিগুলো আমার হাতে। আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তোয়ালে হাতে মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছে সাফওয়ান। পরনে ব্ল্যাক টাউজার আর উপরে ব্লু টি-শার্ট পরা।

আগে জানতাম গোসল করলে মেয়েদের স্নিগ্ধ সতেজ লাগে। ছেলেদের যে এত আকর্ষণীয় লাগে জানা ছিল না তো।হাহ্ এটা আমার বর ভাবতেও গর্বে বুক ভরে গেল আমার।

আমাকে কুচি হাতে এরকম অদ্ভুতভাবে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুখে কি যেন বিড়বিড় করে বলে বারান্দায় চলে গেল। আর আমিও আহাম্মকের মত চেয়ে আছি তার পানে।

কাল থেকে সকাল সন্ধ্যা আয়তাল কুরসি পড়ে উনার গায়ে ফুঁক দেবো। কারোর বদ নজর যেন আমার বরের গায়ে না লাগে।

সকাল সকাল খাবার টেবিলে এত রকম পদের প্রিয় খাবার দেখে সকলের মনে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। এদিক থেকে আমার খুব ভালো লেগেছে ভাইবোনগুলো সবারই প্রায় খাবারের পছন্দের তালিকা একই রকম। তাই একজনের জন্য একটু বেশি করে রান্না করলে দুজনের মন জয় করে নেওয়া যাবে।

বাবা তো উত্তেজনায় বলেই ফেললেন?

— করেছ কি শাইলা? এত রান্না তুমি কখন করলে?

শাশুড়ি মা আমার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে বাবাকে বললেন,

— এইসব রান্না তোমার ছোট বৌমা করেছে।

মায়ের কন্ঠে কেমন যেন আমাকে নিয়ে গর্বের আভাস ফুটে উঠলো। মুহূর্তের সবার দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে আটকে পড়লাম।

বাবার সহাসে বললেন,

— তাহলে কিন্তু ভাত আজ আরও এক প্লেট বেশি খাবো। গাজরের হালুয়া কিন্তু আরও এক বাটি চাই আমার।

আমি হেসে বাবাকে বললাম,

— নিশ্চিন্তে খেতে পারেন বাবা। এটা সুগার ফ্রি দিয়ে রান্না করা হয়েছে।

পুতুল ও চেঁচিয়ে বলে উঠলো,

— আমিও খাব।

বড় ভাইয়া ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল,

— ওই। তোর আগে আমি খাব চুপ কর তুই। ছোট মানুষ ছোট মানুষের মতো থাক।

সবাই প্রশংসা করলেও টেবিলের ডান পাশে যে বসে আছেন তিনি ছিলেন একদম নীরব।

হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ শোনা গেল। বাবা মা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলল মনে হয় উনারা চলে এসেছেন।

বাবা মা দুজনেই উঠে গেলেন দরজার দিকে। তাদেরকে ভেতরে নিয়ে আসলেন।

পেছনে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি…..!

চলবে……❣️