প্রেমের সম্মোহন পর্ব-০৩ | বাংলা ধারাবাহিক গল্প

0
4532

#প্রেমের_সম্মোহন💞
#পর্ব_৩
#Writer_Nusrat_Jahan_Sara

অনু ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে কিচেনে যেতেই আকাশ অনুকে টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো৷

আকাশকে কিছু বলতে না দিয়ে অনু বললো,,,

“হাউ ডেয়ার ইউ!!!! কোন সাহসে আমাকে চেপে ধরেছো৷ ছাড়ো বলছি৷
অনু আকাশকে ঝারা দিয়ে সরিয়ে দিলো৷
.
দ্বিতীয় বার আমার হাত ধরা তো দূর কাছে আসলেও এর ফল ভালো হবেনা বলে দিলাম৷ আমার হাত ধরার পারমিশন নেই তোমার আর তুমি আমায় চেপে ধরেছো৷ হাত ভেঙে একেবারে ঘুরিয়ে দিবো আকাশ৷ মনে রেখো আমার হাত কী চুলে ধরার অধিকারও নেই৷ যদিও তোমাকে আমি কখনো আমার হাতও স্পর্শ করতে দেইনি৷ তোমার শুধু এক জায়গাতেই টাচ করার অধিকার আছে আর সেটা হলো আমার পা৷ ইউ নো ওয়াট আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন৷

আরুহিও তখন কিচেনে এলো৷ এদেরকে কথা বলতে দেখে কিছুটা এগিয়ে গেলো৷ আকাশ আর অনুর দুজনেরই চেহারায় রাগী ভাব ফুটে উঠেছে৷
.
কী হয়েছে অনু৷ ও তোর সাথে কী করেছে৷
.
কতো সাহস ওর জানিস আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে৷ ইচ্ছে তো করছিলো কষিয়ে কয়েকটা চড় বসিয়ে দেই৷ কিন্তু না পারবোনা আমার বোনের হাসবেন্ড ও৷ কিন্তু চিন্তা নেই একদিন আমার এই আশাটা ঠিক পুরন হয়ে যাবে৷
.
আরুহিঃচল এখন এখান থেকে এই ছেলের মুখ দেখতেও ঘৃনা করে৷

ওরা দুজন চলে গেলো৷ আকাশ রাগী চেহারা নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে৷

আাকাশঃমিস অনু তোমার অহংকার আর জেদ যদি আমি মাটির সাথে না মিশিয়ে দিচ্ছি তাহলে আমার নামও আকাশ নয়৷
🍁
আরুহি,অনু,মিতা,আকাশ সবাই একসাথে খেতে বসেছে৷ আকাশ আর অনুর অনেকবারই চোখাচোখি হয়েছে৷ যতবার চোখাচোখি হয়েছে ততবারই দুজনে রাগে চোখ সরিয়ে নিয়েছে৷ মিতা হেঁসে হেঁসে গল্প করছে আর আকাশ গম্ভীর মুখ করে খেয়ে যাচ্ছে৷

অনুঃএকি দুলাভাই মুখটাকে এমন হুতুম পেঁচার মতো বানিয়ে রেখেছেন কেনো৷
.
আরুহিঃএক্সাক্টলি তাই৷ দুলাভাই কী হয়েছে আপনার? আপু গল্প করছে কিন্তু আপনি তো কিছু বলছেন না৷ এনি প্রবলেম?নাকি কোন প্রাক্তন কে খুব মনে পড়ছে৷ (খোঁচা দিয়ে)
.
আকাশ দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,সেইরকম কিচ্ছুনা৷

অনুঃতাহলে তো ভালোই আপনিও গল্প করুন আমরাও শুনি আমাদের দুলাভাই কেমন গল্প করতে পারে৷
.
অনুকে হেঁসে হেঁসে কথা বলতে দেখে খুব রাগ লাগছে আকাশের৷একটা মেয়ে এই মুহুর্তে কীভাবে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে৷
🍁
সোফায় বসে টম এন্ড জেরি দেখছে আরুহি আর অনু৷ দুইজন হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের উপর গিয়ে পরছে৷ আরুহির চোখ মেইন ডুরে চোখ পরতেই সে চোখ সরিয়ে নিলো৷ সামান্তা আর রিংকি এসেছে৷ দুজনই এসে দুজনের পাশে বসে পরলো৷

অনুঃকেনো এসেছিস তোরা৷
.
সামান্তাঃস্যরি রে বাসায় অনেক কাজ ছিলো তাই আসতে পারিনি৷
.
অনুঃতাই বলে।দুজনেরই কাজ ছিলো৷
.
রিংকিঃনা কাল আমার মামা এসেছেন তাই আমি আসতে পারিনি৷যাইহোক সকাল সকাল তো এসে পরলাম৷

অনুঃসব বুঝলাম বাট ছোঁয়া কোথায় ওকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা৷
.
সামান্তাঃআমিও ফোন করেছিলাম বাট রিসিভ করেনি৷
.
সামান্তা ফোন বেড় করতেই ওর ওয়ালপেপারের পিক দেখে হেঁসে দিলো আরুহি৷

আরুহিঃলাইক সিরিয়াসলি তুই আদনানের পিক ওয়ালপেপারে এনে রেখেছিস৷ এসব তোর দ্বারাই সম্ভব ইয়ার৷
.
সামান্তাঃহু হইছে৷ এই একটা গুড নিউজ শুনেছিস৷
.
অনুঃকী?
.
রিংকিঃআবির, আদিল,আদনান,আহিল,শ্রাবন ওরা সবাই কনসার্টে আসছে আজ৷ আমি খুব এক্সাইটেড৷
.
আরুহিঃওয়াও রিয়েলি৷আজকেই তো কনসার্ট সন্ধ্যা সাতটায়৷ তারমানে এট লাস্ট আমরা ওদেরকে সামনাসামনি দেখতে পারবো৷ আমারতো ইচ্ছে করছে নাচতে৷
.
অনুঃতো নাচ বারন করেছে কে?
.
সত্যি!!!
.
একদম৷
.
আরুহি গিয়ে মিউজিক প্লে করলো৷ চার বান্ধবী একসাথে নাচচে৷ আর উপর থেকে সব দেখছে আকাশ৷ তার কপালে বিরক্তি আর রাগের ভাজ ফুটে উঠেছে৷ অনুকে ছ্যাকা দিয়েও অনু কীভাবে নিজেকে স্ট্রং রাখছে সেটাই ভাবছে৷
.
জো ভি জিতনে পাল জিয়ো,উনহে তেরে সাঙ্গ জিয়ো
জো ভি কাল হো আব মেরা,উসে তেরে সাঙ্গ জিয়ো৷

অনুঃজানিস এই দিল ইবাদাত গান শুনলে আমার আবিরের কথা মনে পরে যায়৷
.
সামান্তাঃহুম একদিন ফেসবুকে আবিরের কন্ঠে এই গানটা শুনেছিলাম কী জস তার কন্ঠ৷
.
অনুঃতোরা দাঁড়া আমি ড্রিংকস্ নিয়ে আসি৷ ড্রিংক ছাড়া তো পার্টি সার্টি সব ফালতু৷
.
আরুহিঃআমরা পার্টি করছি না বরং ডান্স করছি৷
.
অনুঃএটাকেই একধরনের মিনি পার্টি বলে৷
.
অনু ট্রেতে করে চার গ্লাস কুক নিয়ে এলো৷

আরুহিঃকোকাকোলা,,, আমি তো ভাবছিলাম,,,
.
অনুঃকী ওয়াইন তাইতো৷ দেখ ওসব বরং আদিলের সাথে খাস আমরা কুক খাবো তুইও খা৷
.
রিংকিঃএটা কী করলি!!!!
.
অনুঃআমি আবার কী করলাম৷
.
সামান্তাঃতুই ওকে আদিলের কথা কেনো বললি এবার দেখিস সে নাচ গান সব বাদ দিয়ে আহিলকে নিয়ে কল্পনায় বসে যাবে৷
.
আরুহিঃধুর!!!😑😑
.
অনু অনেক্ষন ধরেই দেখছে আকাশ উপর থেকে নিচে কী হচ্ছে সব দেখছে আর জ্বলছে৷ তাই আকাশকে আরও জ্বালানোর জন্য বললো,,,,,

অনুঃআরে আরে লুচ্চা জিজু৷ ওপস্ স্যরি৷ গুনধর দুলাভাই উপরে কেনো নিচে আসুন এসে আমাদের সাথেও এঞ্জয় করুন৷নাচুন, গান,মাস্তি করুন৷
.
“তার আর দরকার নেই৷
আাকাশ রুমে চলে গেলো৷

সামান্তাঃআমার তো মন চাইছে এই আকাশের মাথা ফাটিয়ে দেই৷
.
রিংকিঃআমারও
.
অনুঃমাথা পরেও ফাটানো যাবে৷
🍁
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়ই অনু,আরুহি,সামান্তা,আর রিংকি বেড়িয়ে গেলো কনসার্ট দেখার জন্য৷

সেখানে মানুষে গিজগিজ করছে এতো পরিমানে মানুষ৷ ওরা চারজন মানুষদের কোনো রকমে টেলে টুলে গিয়ে চেয়ারে বসলো৷

সাতটা বিশ মিনিটে একটা কার ঢুকলো৷ রেড কার্পেট বিছানো হয়েছে তাদের জন্য৷ ওরা একজন একজন করে বেড়িয়ে আসলো কারের ভিতর থেকে৷

সামান্তাঃওয়াও ফার্স্টই আদনান৷ কী হ্যান্ডসাম৷
.
অনুঃওয়াও শ্রাবন চৌধুরীকেও কিন্তু কম হ্যান্ডসাম লাগছেনা৷
.
রিংকিঃআহিল!!!!!এই দেখ আহিলকে কী সুন্দর লাগছে৷
.
আরুহিঃআদিল ওহ মাই গডন্যাস এরে তো আরও হ্যান্ডসাম লাগছে৷
.
অনুঃফাইনালি আবির রায়হান চোধুরী নেমেছে৷ ওরে বাপরে আরুহি এরে তো একেবারে চকলেট বয়ই লাগছে৷পুরাই ক্রাশ৷
.
আরুহিঃএসব যদি তোর আকাশ জানতে পারে তাহলে কী হবে বুঝতে পারছিস৷
.
অনুঃকচু হবে৷ফাজলামি করিস৷ আর যদি আমার সামনে আকাশের নাম উচ্চারন করিস তো আমি তোকে এখানেই মেরে আদিলের হাতে তুলে দিয়ে চলে যাবো৷ ইউ নো ওয়াট আমি আকাশকে ঘৃনা করি৷
.
আরুহিঃজানি৷ বাট ফার্স্ট লাভ কখনো ভুলা যায়না রে৷
.
অনুঃকে বলেছে ভুলা যায়না৷ আকাশ যদি ভুলতে পারে তাহলে আমি কেনো ভুলতে পারবোনা৷এই দেখ একদিন হয়েছে মাত্র জানিস ওকে এখন দেখলে কেমন জানি বিরক্তি লাগে৷ একদম ভালো লাগেনা এক কথায়৷ প্রেমিক প্রেমিকারা যেভাবে সময় কাটায় সেইভাবে আমার একদিনও সময় কাটায়নি৷ একটা গাছের নিচে বসে গল্প পর্যন্ত করিনি৷ জাস্ট ফোনেই আলাপ হতো৷ তাই বোধহয় ওকে দেখলে কষ্ট হয়না৷আলাদা একটা ফিলিংস্ হয়না ফিলিংস মনে পরেনা৷ ফিলিংস নামক জিনিসটা মনে থাকলে তবেই না কষ্ট হবে৷
.
আরুহিঃহুম এইভাবেই সব সময় স্ট্রং থাকবি বিশেষ করে আকাশের সামনে৷ ও যদি তোকে দূর্বল হতে দেখে তাহলে কিন্তু তোকে আরো বড় ভাবে আঘাত করতে পারে৷আমি জানিনা ও কেনো এসব করছে৷ আমার কী মনে হয় জানিস আকাশ যখন মিতা আপুকে এভাবে তারাহুরো করে বিয়ে করার জন্য প্রেশার দিতে পারে তাহলে অন্য কাউকে যে দিবেনা সেটার সিওরিটি কী৷
.
সামান্তাঃআই এ্যাগ্রি উইথ ইউ৷ হ্যাঁ অনু, বলা ওতো যায়না আরও জায়গা জায়গায় বিয়ে ওতো করতে পারে৷
.
সেসব পরে আলোচনা করা যাবে এখন এদের দেখ৷
.
হু৷
.
নীল কাচের সানগ্লাসের উপর দিয়ে তার ভ্রু যুগল দেখা যাচ্ছে৷ মুখে সেই মিষ্টি হাসি৷ আদিলকে দেখেই সবাই চিল্লিয়ে উঠলো৷ আবির সবাইকে হাত দেখিয়ে স্টেজে গেলো৷ সেখানে আরও অনেক মিউজিক ডিরেক্টররাও আছে৷ সবার সাথে হ্যান্ডশেক করে পিঠ থেকে গিটারের ব্যাগ নামালো৷ মেয়েরা আবিরকে দেখে একটা আরেকটার উপর পরছে৷ আজ কালো শার্টে আবিরকে ধারুন লাগছে৷

অারুহিঃওই আমরা ওতো সুন্দর কোনো ছেলে তো আমাদের দিকে তাকায় না৷
.
সামান্তাঃছেলেরা না তাকালে ভালো এটলিস্ট গুনাহ তো হলো না৷
.
আরুহিঃওমা তাই৷ বোরকা ছাড়া এসেছো তাতে গুনাহ নেই ছেলেরা তাকালেই গুনাহ৷ এসব হাদিস কই পাস৷
.
রিংকিঃএই দেখ শ্রাবনকে নীল শার্টে কিন্তু খুব মানিয়েছে৷
.
আরুহিঃধুর ছোঁয়া নেই তাহলে তো শ্রাবনকে দেখতে পারতো দাঁড়া আমি ওকে আরেকবার ফোন দিচ্ছি৷ আমরা সবাই দেখবো ও মিস করবে নাকি৷ অনু একটু সাইট দে এখান থেকে ফোনে কথা বলা যাবেনা৷ যে চিল্লা চিল্লি৷
.
আরুহি ফোন নিয়ে কোথাও একটা চলে গেলো৷ কিছুটা দূরে যেতেই দেখলো খুব সুন্দর একটা পুল৷ পুলের মধ্যখানে পাকা করার মতো কী যেনো একটা আছে৷আগে এটা দেখেনি৷ আরুহি এবার ছোঁয়াকে কল দিলো৷ রিং হচ্ছে৷ কিছুক্ষন পরেই কল রিসিভ হলো৷

আরুহিঃএই কই তুই
.
কেনো বাসায়৷
.
তারাতরি কলেজের পাশে চলে আয়৷ ওখানে আজ কনসার্ট আছে৷
.
তো আমি কী করবো৷
.
কী করবি মানে৷ আরে আবিরের ফুল গ্যাং এসেছে৷
.
শ্রাবন এসেছে?
.
হ্যাঁ রে ভাভা হ্যাঁ এসেছে৷ তাইতো তোকে এতো মানুষের ভিড় থেকে এসে কল দিয়েছি৷
.
ওকেহ্ আমি এখুনি আসছি৷
.
আরুহি কল কেটে দিলো৷ পাশে তাকিয়ে দেখলো ওর চাইতে কিছুটা দূরে আদিল স্মোকিং করছে আর ধোয়া আকাশের দিকে উড়াচ্ছে৷

“ওরে শালা!!এই বেটা দেখি স্মোকিং করে৷ যাক মন্দ না৷
.
আদিল কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে আরুহির দিকে তাকালো৷
.
আরুহিঃদিল সে দিল তাক৷ এভাবে না তাকালে কী হতো এখন তো মনে হচ্ছে হার্টবিট বেড়ে মরেই যাবো৷
.
আদিল অন্যদিকে তাকাতেই আরুহি চলে গেলো৷

অনুঃকী রে ছোঁয়া কল রিসিভ করেছে৷
.
আরুহিঃহুম৷ আসছে ও৷
.
সামান্তাঃভালো
.
আরুহিঃএ গুড স্মোকার ইজ এ গুড কিসার৷
.
রিংকিঃওই কী বলছিস?
.
আরুহিঃহু আদিলকে দেখেছি স্মোক করতে৷
.
অনুঃকী?ওরা সবাই তারমানে স্মোক করে৷
.
আরুহিঃমেইবি৷
.
সামান্তাঃআর এই জন্যে গুড কিসার হয়ে গেলো৷
.
আরুহিঃধুর সবাই বলে আরকি৷
.
অনুঃআমার মনে হয়না সবাই স্মোক করে৷ একজন করেছে বলে আরেকজন যে করবে সেটাতো কোনো কথা নয়৷

কিছুক্ষণের মধ্যেই ছোঁয়া চলে এলো৷ আরুহি ওকে বলে দিয়েছিলো ওরা ঠিক কোন পাশে বসেছে তাই ছোঁয়ার ওদের কাছে আসতে প্রবলেম হয়নি৷

মিউজিক ডিরেক্টরের সাথে কথা বলে আবির এখন মাইক্রোফোন হাতে নিলো৷

ঠিক এমন এভাবে,
তুই থেকে যা স্বভাবে৷
.
আমি বুঝেছি ক্ষতি নেই,
আর তুই ছাড়া গতি নেই৷
.
ছোঁয়ে দে আঙুল, ফুটে যাবে ফুল
ভিজে যাবে গা,
.
কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি
চোখের বাইরে না৷ (২)
.
তরি মতো কোন একটা কেউ
কথা দিয়ে যায়, ছাঁয়া হয়ে যায়৷

তরি মতো কোন একটি ঢেউ,
ভাসিয়ে আমায় দূরে নিয়ে যায়৷

ছোঁয়ে দে আঙুল,ফুটে যাবে ফুল
ভিজে যাবে গা!!!”!

কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি
চোখের বাইরে না৷

আবির ওতোটুকু গেয়েই থেমে গেলো৷ চারিদিকে করতালির আওয়াজে ছেঁয়ে গেছে৷

অনুঃইশ একেবারে মাইন্ড ব্লয়িং৷
.
ছোঁয়াঃহুম৷
.
কনসার্ট শেষ হলো রাত নয়টার দিকে৷ অনু,আরুহি,সামান্তা,ছোঁয়া,রিংকি সবাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে৷ অনুকে গাড়িতে তুলে তারপর তারা যাবে৷ অনু সবাইকে ওর বাড়িতে আসার জন্য বলছে বাট কেউই যাবেনা৷ তাদের বাড়ি থেকে ফোনের উপরে ফোন আসছে৷

অারুহিঃঅনু সতর্ক হয়ে থাকিস বোন৷ মনে রাখিস তোর ঘরে কিন্তু তুই নিজেই কুমির পালছিস৷
.
সামান্তাঃহ্যাঁ অনু ও যখন তখন তোর উপরে ঝাপিয়ে পরতে পারে৷ ওকে দেখে মনে হয়না ওর উদ্দেশ্য ভালো৷
.
রিংকিঃভালো করে দেখে দরজা জানালা বন্ধ করে তারপর ঘুমাস৷
.
ছোঁয়াঃআর ওর সামনে যাস না বেশি৷ নিজেকে যত পারিস রুমে বন্দী করে রাখার চেষ্টা করিস৷ আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে৷ মিতা আপুও আকাশের আসল রুপ খুব তারাতারিই জানতে পারবে দেখিস৷ খুব ভয় রে এখন তোকে নিয়ে৷
.
আরুহিঃহ্যা রে অনু তোকে নিয়ে এখন খুব চিন্তা৷ এতো বড় বাসায় মাত্র তিনজন মানুষ৷ মিতা আপুও এতোটা চালাক নয়৷ তারমধ্যে তুই আকাশকে যেভাবে অপমান করিস ও কিন্তু তোর উপরে প্রচুর ক্ষেপে আছে৷ যখন তখন কোন অনর্থক ঘটে যেতে পারে৷ তাই সাবধানে থাকিস বোন৷
.
অনু সবাইকে জড়িয়ে ধরে একটা সিএনজিতে উঠে চলে গেলো৷ ওদের মতো বান্ধবী কয়জনেরই আছে৷ গাড়ি চলছে অনুর বাড়ির উদ্দেশ্যে কিন্তু ওরা চারজন এখনও একদৃষ্টিতে অনুর গাড়ির দিকেই তাকিয়ে আছে৷

#চলবে…….

[ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]