#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো
#পর্ব_১৩
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধছিলাম।
হটাৎ আমার খোঁপায় প্রেয়ন তাজা বেলি ফুলের মালা লাগিয়ে দিলেন।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
–কি ভেবেছিলি ভুলে গেছি।
–(মৃদু হাসলাম)
–মানুষ নিজের বরের কাছে কতো কিছু চায় তুই আমার কাছে এই টুকু চাইলি দিবো না বল।
–অনেক বড়ো কিছু চাইলে পাবো।
–কেন পাবি না বল।
–মাত্র ১ মাসের জন্য বিয়ে করার কারন কি?এটাকি সারা জীবনের জন্য হতে পারতো না।
আমি প্রশ্ন যুক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি৷
কিন্তু ওনার কোন রিপ্লাই নাই।
বুঝলাম এ কথার উত্তর উনি দিবেন না।
তাই ফুল গুলো খুলে স যত্নে একটা বাক্সের মধ্যে রেখে দিলাম।
–খুললি কেন?
–এটা যদি কখনো উত্তর পাই সেদিন পরবো এবং কথা দিচ্ছি খুব সুন্দর করে সেজে আসবো আপনার সামনে।
বলেই চলে আসলাম।
জীবনটা জটিল।
অনেক জটিল কিছুই বুঝতে পারি না আসলে আমার সাথে কি হচ্ছে।
সব কিছু ভাবলে কিছুর সাথে কিছু মিলেই না।
আমি বুঝি না কেন এগুলা হয়।
আমি বড়োই হতাশ।
রাতটা নির্ঘুম কাটলো।
।
সকালে,
–রাইমা রাইমা৷
আসে পাশে কারোর কন্ঠ শুনতে পেয়ে চোখ মেলে তাকায় রাইমা।
–আপুই একটু ঘুমোই(মৃদুস্বরে)
–তোমার ঘুমোই আমি বার করছি উঠো তোমার ব্যাজ যাবার সময় হইছে আরো ১০ মিনিট আগে তুমি এখনো ঘুমোচ্ছো।
(চিল্লিয়ে)
রাইমা ধড়ফড়িয়ে উঠে।
তার রুমে নীলকে দেখতে পেয়ে ভয়ে এক কোনে চলে যায়।
–আপনি এখনে কি করছেন কি সমস্যা কি আপনার।
–তোমায় নিতে এসে ১০ মিনিট নিচে দাঁড়িয়ে থেকে পাইপ বেয়ে উপরে এসেছি উঠো বলছি।
–আমি যাবো না আজ আপনি বের হোন।
–চিল্লাবা না আমি এই পর্যন্ত আসছি তার মানে তুমি যাবে।
–আমি যাবো না।
–তুমি যাবে।
–ওকে আমি বসে আছি দেখি কি করবেন।
রাইমা মুড দেখিয়ে বসে রইলো।
–আজ কিছু বলবো না কাল বাসা থেকে বার হও তার পর দেখো কি হয়।
কথাটা বলেই নীল চলে গেল।
–নাহ অনেক হলো এবার আমাকে আপুর সাথে কথা বলতেই হবে।
কিন্তু ১০ টার ব্যাচ থেকে এসে বলবো এখন ঘুম পায়।
রাইমা ঘুমিয়ে গেল।
।
।
–প্রেয়ন জি।
–হুম।
–উঠুন জি৷
–হু।
–আমার মিষ্টি বর উঠে নামাজ পড়ে নিন প্লিজ।
–হু।
–প্রেয়ন এবার কিন্তু আমি আপনার মুখে পানি ডালবো। (চিল্লিয়ে)
আমার চিল্লানো শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে উনি।
–এতো জোরে চিৎকারের কি আছে । (ঘুম ঘুম শুরে)
–তখন থেকেই তো ভালো ভাবে বলছি। কানে যায় না হুম।
–তুই দজ্জাল বৌ হুহ।
–উঠবেন নাকি।
–হ্যাঁ উঠছি তুই বকছিস কেন?
–আমি বকছি।
–তা নয় তো কি।
এটাকে বকা বলে বাবা মায়ের এক মাত্র আদুরে হলে যা হয় আরকি।
উনি উঠে নামাজ পড়ে নিলেন।
আমি বসে আছি। হটাৎ উনি ওনার ঠান্ডা হাত নিয়ে আমার কোমড় চেপে ধরলেন।। সাথে সাথে বিছনায় পরলাম।
–আরে ঠান্ডা কি আজব।
–তুই আমাকে বকলি কেন এখন তুই আমার থেকে শীত নিবি৷
–ধুর প্রচুর ঠান্ডা ছাড়ুন৷
— নাহ।
বলেই শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন।
–কতো বড়ো খারাপ রে।
–হয় খারাপ এখন ঘুম আহা কি আনন্দ।
–আপনি।
–চপু থাক।
চুপই থাকলাম ওনার থেকে ছাড়া পাবার কোন ওয়ে দেখছি না তাই শেষ মেস ঘুমিয়ে পরলাম।
।
।
।
সকাল ১০ টা,
কোচিং করে বাইরে বের হলো রাইমা আর আফিয়া।
–কিরে আজ সকালে পড়তে আসিস নি আর তোর নীলের কি হলো।
–আরে সকালে হইছে কি,
সকলের সব ঘটনা খুলে বললাম।
–ওহ আচ্ছা কিন্তু উনি তোকে ধমক দিলো তোর ভয় হচ্ছে না।
–না হচ্ছে না আমি আজি আপুকে বলবো।
–সত্যি
–হুম আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছি আর হচ্ছে না।।
অনেক সহ্য করেছি।
–কি সহ্য করেছো রাইমা।
–আপনি আবার চলে এসেছেন।
–হুম আবার আসলাম চলো আজ একটু ঘুরে বাসায় যাবো।
–না।
–হ্যাঁ।
–আমি কোথাও যাবো
কথাটা রাইমাকে না বলতে দিয়েই ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় নীল।
–হায় হায় এ দেখি বেয়াদবির সিমা লঙ্ঘন করেছে না আজ আমি আপুকে বলবো।
আফিয়া পৃথুলাকে ফোন দিলো ।
–আসসালামু আলাইকুম আফিয়া কি মনে করে।
–আপু সমস্যা প্রচুর শোন,
আফিয়া সব খুলে বলে।
–কি বলছো কি।
–হ্যাঁ আপু ছেলেটা রাইমাকে নিয়ে গেছে তুমি কিছু করো।
–ধন্যবাদ আফিয়া আমি এখনি দেখছি।
ফোন কেটে দিলো।
প্রেয়ন।
–কি হইছে?
–রাইমা।
(সব খুলে বললো)
–নীল চৌধুরী!
–হ্যা।
–পৃথু নীল তুমি বসো ওর বিরুদ্ধে কোন থানা কেস নিবে না আমি বললেও না। ওকে অন্য উপায়ে দেখতে হবে সব হিসাব এক ময়দানে হবে।
–মানে।
–আমার বোনের গায়ে স্পর্শ করে ওর হাত সুরক্ষিত থাকবে না পৃথু তুমি বসো চিন্তা করো না।
প্রেয়ন বেরিয়ে গেল।
–হে আল্লাহ এটা কোন মুসিবত।
চলবে,
(বানান ভুল হতে পারে তার জন্য অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী)