প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো পর্ব-২৩

0
6618

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_২৩
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
,
–খাওয়া দাওয়া কেন ছেড়ে দিছো? (কড়াগলায় কথাটা বললো নীল)
–উত্তর দিতে বাদ্ধ নই।
–মানুষের সহ্যের একটা সিমা থাকে রাইমা।
–……..(নিশ্চুপ)
–খাবার খেয়ে নেও।
–খাবো না।
–আমাকে জোর করতে বাদ্ধ করো না।
অন্য দিকে মুখ ফিরে উত্তর দিচ্ছিলো নীলের কথার রাইমা৷
নীলের এ কথা শুনে মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দিলো,
–যা ইচ্ছে করেন।
–ওকে যা ইচ্ছে তাই করছি ভেবেছিলাম তুমি ছোট তাই তোমায় ছোড়ে দিছিলাম।
কিন্তু আমি কেন আমার এতো সুন্দর বৌ কে ছেড়ে দিবো আমারও অধিকার আছে। আফটার আল আমি তো তোমার স্বামী রাইট।
কথাগুলো বলে শার্ট এর বোতাম খুলতে খুলতে এগোচ্ছে নীল।
–দ দেখুন কি করতে চাইছেন? (ঘাবড়ে গিয়ে)
–কি আবার বাসর।
–আমি খাচ্ছি খাবার দিন।
–কেন তোমার খওয়ার দরকার নেই আমি খাই।
–না….. (চিল্লিয়ে)
–পুরোটা শেষ করবে।
–এতো কিছু কিভাবে।
–যেভাবে আজ ২ দিন না খেয়ে আছো সেভাবে।
–২ দিনার খাবার এক সাথে খাওয়া সম্ভব।
–হুম। সম্ভব। খাও।
রাইমা খেতে বসে।
খুদা পেয়েছিলো তাই অনেকটাই খেয়ে নেয়।



হসপিটালে,
–প্রেয়ন বাবা আমার মেয়ের কি অবস্থা?
–জানি না মা দোয়া করো।
–(দোয়া তো করি যাতে মারা যায় আপদ বিদায় হয় মনে মনে)
তুই চিন্তা করিস না ও ঠিক হয়ে যাবে।
–মা তুমি পাশে থাকলে শক্তি পাই।
–হুম বাবা সব সময় পাশে থাকবো।
কথার মাঝে ডক্টর বেরিয়ে এলেন,
–ডক্টর।
–রিলাক্স মি.খান সি ইজ আল রাইট।
–সত্যি।
–এক দম।
–দেখা করতে পারবো।
–হুম পারবেন। কিন্তু কেবিনে সিফট করানোর পরে,
–ওকে।
মা।
–আমি বলেছিলাম না বাবা কিছু হবে না।



–স্যার আমরা খুজে পেয়েছি সেই সুটার কে।
–কই তার বাসা (নীল)
–স্যার আপনি চলে আসুন অপজিটে।
–ওকে।
নীল গাড়ি ঘোরায়।
–আমি নিজের ভাবি যে কিনা মা সমান তার অপরাধী হয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না।
আমি বের করেই ছাড়বো এর পেছনে কে আছে।

নীল প্রায় অনেকটা সময় ড্রাইভ করে গন্তব্যে পৌঁছে যায়৷
–স্যার আসুন ওকে ধরছি৷
–ওকে।
নীল ভেতরে গিয়ে দেখে একটা লোকের হাত আর পা বাঁধা।
–কিরে তোর নাম কি?
–আসাদ।
–আমার বাসায় ডুকে আমারি ভাবিকে গুলি করার সাহস তোকে কে দিছে?
–আমার কোন দোষ নেই কিন্তু ক্ষমা করবেন যে বলেছে তার কথা বলতে পারবো না আমি।
–তুই বলবি না তোর বাপ এসে বলবে।
তোর সাথে ভালো ব্যাবহার হচ্ছে না।
ওকে মার ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ও শিকার করে সব কিছু৷



প্রেয়ন পৃথুর কেবিনে গিয়ে পৃথুলার পাশে বসলো,
পৃথুলার চোখ দুটো এখনো বন্ধ।
এতো মায়া যে মেয়েটা কই রাখে তা জানা নেই প্রেয়নের।
প্রেয়ন পৃথুলার মাথায় হাত রাখলো।
–পৃথু।
টিপ টিপ করে চোখ দুটো খুললো পৃথুলা।
চোখ খুলে অবাক পানে তাকিয়ে আছে প্রেয়নের দিকে।
এক দু ফোটা পানি পৃথুলার চোখ দিয়ে পরতে প্রেয়ন উত্তেজিত হয়ে পড়ে,
–কি হইছে কোন সমস্যা কষ্ট হচ্ছে।
–না। (মাথা নাড়িয়ে)
–তাহলে কাঁদছিস কেন?
–আমার মনে হয়েছিলো এটাই হয়তো শেষ তেমার কোলে মাথা রাখা।
প্রেয়ন নিচু হয়ে পৃথুলাকে বুকে জড়িয়ে নেয়।
–কে বলেছে পাগলি।
এই দেখ তোকে আবার আল্লাহ আমার কাছে ফিরিয়ে দিছে।।
আমি আছি কখনো মন খারাপ করবি না।
তুই আমার দুনিয়া।
প্রেয়ন উঠে পৃথুলার কপালে চুমু দিয়ে তার হাত ধরে বসে রইলো।



৫দিন পর,
পৃথুলাকে আজ রিলিজ দেওয়া হবে।
সুস্থ নয় পুরোপুরি কিন্তু সে এখন বাসায় যাবে।
একটা দিন প্রেয়ন বাসায় একটা ঘন্টার জন্য যায় নি।
অফিস করে পর্যন্ত এখানে এসেছে।
এতো ভালোবাসা কয় জনের কপালে থাকে।
প্রেয়ন পৃথুলাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে তার পাশে বসলো।
ড্রাইভার গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
কিছু সময় পর তারা বাসায় পৌঁছে যায়।
–আমার মেয়ে এসেছে (আয়লা)
মিথ্যা খুশির ভান ধরে।
–হুম এসেছে তো। বরন করবে না। (প্রেয়ন)
–অবশ্যই।
–হুম সাথে আমাদেরও,
সবাই পেছনে তাকিয়ে অবাক।
আয়লা যেন ৪২০ ভোল্টের সক্ট খেলো।
চলবে,