প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো পর্ব-০৬

0
9308

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_০৬
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

হটাৎ রাতে মনে হচ্ছে কেউ তার চোখের পানি আমার ঘাড়ে বিসর্জন দিচ্ছে।
পেছনে ফিরে তাকাতে গিয়ে বুঝতে পারছি উনি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে।
তবে কি উনি কাঁদছেন।
কিন্তু কেন?
–আপনি কাঁদছেন।
–না (ভাঙা গলায়)
–আমার তো মনে হচ্ছে ছাড়ুন ফিরতে দিন।
–না৷
–কি হইছে?
–উঠ ভাত না খেয়ে কেন শুয়েছিস। (ভাঙা গলায়)
— আমি খেয়েছি।
–না খাস নি উঠ।
–আমি।
–পৃথু আমি খাবার এনেছি।
–ছাড়েন তবে।
–হুম।
উনি ওনার হাতের বাঁধন আলগা করলো।
আমি উঠে বসলাম।
উনি খাবার এনে আমাকে খাইয়ে দিলেন নিজ হাতে।
ওনার চোখ বলে দিচ্ছে উনি কেঁদেছেন।
কিন্তু কেন?
আমাকে খাইয়ে দিয়ে অন্য পেলেট এর ভাত হতে ধরিয়ে দিলেন ।
–এটা?
–তুই তো খেলি আমাকে খাইয়ে দিবি না৷
–ও।
(নাকি খেয়ে এসেছেন ঝাড়ি তো তেমনি দিলেন রাগ হচ্ছে আমার এখন
মনে, মনে)
কি যে হয় এনার আমি বুঝতে পারি না।
নিজে কষ্ট দিবে নিজে। কাঁদবে সমস্যা কি!
আমি খাইয়ে দিচ্ছি৷
উনি বাচ্চা ছেলেদের মতো খাচ্ছে ।
হটাৎ খাবার নিতে গিয়ে আমার আঙুল কামড়ে ধরলেন।
–আউ৷ কি করছেন?
–কি করবো খাচ্ছি।
–খাচ্ছেন তো ভালো আমার হাত৷
–হ্যাঁ হাত তো কি হইছে।
মনে মনে রাগ হলো

তার পর খাওয়ানো শেষ করে। হাত ধুয়ে এলাম।
–পৃথু।
–হ্যাঁ।
–মাথাটা টিপে দিবি।
–আসছি।
হালকা ক্রিম লাগিয়ে উঠে এলাম।
উনি আমাকে বসিয়ে আমার কোলে শুয়ে আমার হাত দুটো তার মাথায় দিলো।
এখন চাকরি এটা আমার ওনার মাথা টিপো।
মাথা টিপে দিচ্ছি।
তখন তাকে খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করলাম।
লোকটা মাত্রাতিরিক্ত ফর্সা।
মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি গুলো মন ছুঁয়ে যায়।
৬ ফুট লম্বা এক জন মানুষ। তাকে দেখলে যে কোন মেয়ে ক্রাস খাবে।
ভালো লাগতো তার চেহারা কিন্তু ব্যবহার এখনের মতোই কখনো ভালো লাগতো না।
–এভাবে না দেখলে একটু ঘুম হতো।
ওনার কথায় ধ্যান আসলো,
–নিজেকে বিশ্বসুন্দর মনে হয় নাকি। (হুহ)
–না সুন্দর তো আছি।
–হুহ৷
–আয় পাশে।
ওনার পাশে আমাকে শুইয়ে দিলো।
আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেল।
মুহূর্ত টা এখানে থমকে যাক।
আমি ওর সাথে এভাবেই থাকি।



সকালে,
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম আগে।
আচ্ছা ওনাকে কি ডাকবো? নামাজের জন্য ? যদি রাগ হয়?
না হবে না নমাজ ই তো রাগ শুনলে শুনবো।
–এই যে।
–হু।
–উঠুন।
–এতো ভোরে কেন(ঘুমের ঘোরে)
–নামাজ পড়বেন না। (ভয়ে ভয়ে)
–নামাজ।
–হ্যাঁ উঠুন না।
–আচ্ছা ।
ভদ্রলোকের মতো উঠে তিনি ফ্রেশ হয়ে নামাজ আদায় করে নিলেন।
–বাহ এক কথায় মেনে নিলেন৷ (মনে মনে)
–এবার ঘুমোই৷
–জি অবশ্যই।
উনি শুয়ে পরলেন।
কিছু সময় পর,
–ঘুম হচ্ছে না তো।
–কেন?
–তুই নয় শুলে হবে না৷
–মানে!
–এদিকে আয়।
–আচ্ছা,
আমি ওনার কাছে যেতে উনি আমাকে টেনে ফেললো।
–এবার ঘুম হবে।
–আল্লাহ এ কেমন মানুষ (মনে মনে)
,


–পৃথুলা।
–জি মা কি করছিস৷
–পরোটা বানচ্ছি।
–কেন রে মা সব কই।
–মা আমি ওদের বললাম আমি করবো ।
তাই।
–আচ্ছা তুই কর তোর শ্বশুর বাবা আর প্রেয়ন এখন বার হবে।
–আচ্ছা।
আমি সুন্দর করে নাসতা তৈরি করে নিলাম।
–মা জলদি খাবার দেও
প্রয়ন নিচে নামতে নামতে।
–এই যে সব হয়ে গেছে বাবা।
প্রয়ন নিচে এসে বসলো। সাথে বাবাও বসলেন।
–কি রান্না করেছো।
–এই যে এগুলা।
–পরটা এগুলা তো সকালে কেউ করে না মা৷
–আজ রান্না করেছে বৌ মা আমার মিষ্টি বৌ মা।
–ও আচ্ছা
–পৃথুলা খেতে বস।
–মা তুমিও বসো আমি দিয়ে বসছি।
মা বসলেন আমি সবাই কে দিয়ে খেতে বসলাম
এক সাথে খেয়ে নিলাম সবাই।
–রাইমার সাথে একটু কথ বলবো ফোনটা
–নেও একটু জলদি করো বেরোতে হবে(প্রোয়ন)
আমি ফোনটা নিয়ে কথা বলে সব খবর নিয়ে ওনাকে দিয়ে দিলাম ।
বাবা আর উনি এক সাথে বেরিয়ে গেলেন।
–পৃথুলা তোর ঘুম হয় নি রাতে।
–(কি করে হবে তেমার ছেলের ডং দেখে রাত কেটেছে) মনে,মনে
–কিরে বল!
–একটু ক্লান্ত জানি না কেন।
–ওহ আচ্ছা তুই গিয়ে ঘুমো এখন কোন কাজ নেই।
–এখন,
–হুম যা তোর মুখ চোখ ভালো লাগছে না আমার।
–আচ্ছা।
আমি এসে শুতেই ঘুমিয়ে গেলাম।










ঘুম ভাঙলো,
চলবে,