বাঁধনহীন সেই বাঁধন অকারন পর্ব-০৭

0
372

#বাঁধনহীন_সেই_বাঁধন_অকারন|৭|
#শার্লিন_হাসান

-শত্রুর এতো গুণগান গাইছিস যে।

-গুণগান না জাস্ট সত্যিটা বললাম। আমিও কিন্তু একপিস আলিশা বেইবি। সো ভেবে চিন্তে কথা।

-আচ্ছা বাদ দাও। আগামী কালকে রওনা হবো। দেখা হবে শীঘ্রই।

অপরপাশের ব্যক্তি কল কেটে দেয়। আলিশা তার হাতের আঙুলে থাকা রিংটার দিকে তাকায়। এটা রুদ্রর দেওয়া ভালোবাসা। আলিশা রুম থেকে বাইরে আসতে দেখে রুদ্রও তাঁদের রুমের এদিকেই আসছিলো। চোখ মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে কোন কারণে রেগে আছে। তার পেছন দিয়ে মেঘও আসে রুম থেকে। সে মেহরাবের রুমে যাবে। এরই মাঝে আলিশা এবং রুদ্রর মাঝে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে রাগ দেখিয়ে আলিশা হাতের রিংটা খুলে রুদ্রের দিকে ছুড়ে মারে। রুদ্রও তেজ দেখিয়ে রুমে চলে যায়। আলিশাও রুমের দিকে অগ্রসর হয়। মেঘ তড়িঘড়ি রিংটা কুড়িয়ে হাতে নেয়।
নিজের অনামিকা ( সঠিক বানানটা মনে নেই) আঙুলে
পড়ে নেয়। একনজর আংটিটার দিকে তাকায়। পরক্ষণে খুলে সেটা হাতে নেয়। মেহরাবের রুমের দরজার সামনে নক করে মেঘ। রাখি দরজা খুলে দেয়।

মেঘ এসেছে মেহরাবের ব্লুটুথ নিতে তারটার চার্জ শেষ।
ব্লুটুথ নিয়ে রুমের দিকে অগ্রসর হয়। রিংটা খুলে ব্যাগে রাখে মেঘ। অত:পর খাটে ধপাস করে পড়ে আর ঘুমের ঘোরে তলিয়ে যায়।

বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রাগে ফুসছে আলিশা। রুদ্রর এতো বড় সাহস ওকে সন্দেহ করছে। আলিশা বুঝতে পারছে না ওদের সম্পর্কটা এমন হয়ে যাচ্ছে কেন? কারোর বদ নজর পড়েনি তো? কার নজর পড়বে? এইজন্যই হয়ত বা বলে ভালোবাসা বেশী লোক দেখাতে নেই নজর লেগে যায়। কিন্তু আলিশা এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করে না। বাম হাত দিয়ে ডান হাত কচলাচ্ছে আলিশা। জোরে,জোরে কয়েকটা শ্বাস নিয়ে মেসেজ সেন্ট করে,

-কবে বিয়েটা হবে তাঁদের? আমি কবে মুক্তি পাবে?

অপরপাশ থেকে রিপ্লাই আসে,

-মেয়েই তো খুঁজে পাচ্ছি না। কাকে দিয়ে কী করাবো?

-তাড়াতাড়ি খুঁজো না ইয়ার? আর কতদিন?

-যেখানে ওকে পাঠাবো ওই গ্রামে মেয়ের অভাব পড়বে না। এমনিতে গ্রামের লোক বড়লোক ছেলে দেখলে বিয়ে না হওয়া মেয়েটাই জুলিয়ে দিবে।

মেসেজ দেখে আলিশা হাসে।

সন্ধ্যায় তারা সমুদ্রের পাড়ে হাটতে বের হয়েছে। এরই মাঝে রুদ্র আলিশা এক সাইডে দাঁড়িয়ে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। মেঘ আংটিটা নিয়ে আসে তাঁদের মাঝে। মুচকি হেসে সেটা আলিশার দিকে এগিয়ে দেয়। মেঘের হাত থেকে আংটিটা নিয়ে পুনরায় পড়ে নেয় আলিশা। হাসে মেঘ। মেঘের দিকে একনজর তাকায় রুদ্র। ছোট্ট করে ধন্যবাদ দেয় মেঘকে। তাতেও মেঘ মুচকি হাসে

-মানুষের ভালোবাসা দেখতেও ভালো লাগে ভীষণ। আর আপনাদেরটার কথা বলে তো লাভই নেই। আলিশা আপু সবসময় হাসিখুশি থাকো রুদ্রস্যারকে নিয়ে।

মেঘের কথায় হাসে রুদ্র। আলিশা নিজে থেকে রুদ্রর এক বাহু আকড়ে ধরে বা হাত দিয়ে। নিজেও হেসে বলে,

-ইনশাআল্লাহ তাকে নিয়েই যাতে হ্যাপি থাকি।

মুগ্ধ চোখে তাকায় মেঘ। আলিশার হাসি মাখানো এই কথাটা একটু বেশী পছন্দ হয়েছে মেঘের। শুধু কথাটা না আস্ত আলিশাটাই মেঘের ভালো লাগে।

পরেরদিন নাস্তা করেই তারা রেডি হয়ে রওনা দেয় হিমছড়ির উদ্দেশ্য। হিমছড়ি কক্সবাজারের দক্ষিণে অবস্থিত। হিমছড়ি পাহাড় এবং ঝর্নার কারণে বেশ জনপ্রিয়। তারা সবাই গাড়ীতে করে যাত্রা শুরু করে। যাওয়ার পথে সবুজে ঘেরা পাহাড়, সমুদ্রের নীল জল সবাই বেশ উৎসুক হয়ে দেখছে। এই পাহাড়,এই সমুদ্র এতো বেশী সুন্দর। শান্তিময় জায়গা। কক্সবাজার থেকে আঠারো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারা হিমছড়ি পৌঁছায়। সেখানে ঝর্ণার পানি,পাহাড় অন্যরকম একটা ফিলিংস। রুদ্র,মেহরাব, অর্ণব তারা পাহাড়ে উঠবে। কয়েকশ সিড়ি পাড়ি দিয়ে তারা পাহাড়ে উঠে। পাহাড় থেকে গ্রাম এবং সমুদ্র দেখছে তারা। মেঘ,আলিশা,আরেহী,রাখি তারা সমুদ্রের কাছে। সময়ের সাথে কাটানো কিছু মূহুর্ত এবং জায়গাটা ক্যামরা বন্দী করে নেয়।

হিমছড়ির ঘোরাঘুরি শেষ করে কক্সবাজার ফিরতে একটা বেজে যায়। আজকে বিকেলে যেহেতু চলে যাবে সবাই স্পিড বোডে উঠা বাকী সেই সাথে সমুদ্রে আরো কিছু মূহুর্ত কাটানো। মেইন বিচ থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত এক রাউন্ড করে ঘুরে সবাই। দুই কাপল তাঁদের কিছু পিকচার তুলে নেয়।

সমুদ্রের পানিতে পা ভেজানো। বিশাল,বিশাল ঢেউ,জলরাশি সব উপভোগ করা। অন্যরকম একটা মূহুর্ত।

দুপুরে লান্স করে পুনরায় রেডি হয়ে নেয় সবাই।
এই তো এই দুইদিন ঘুরাঘুরির মধ্যে কেটেছে সবার। সমুদ্রবিলাশ,আড্ডামাস্তি এসবের মাঝে। বিকেল চারটায় সবাই ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। আসার দিনের মতোই সবাই বসে পড়ে। মেঘ আরোহীর পাশের সীটে বসে। কানে ব্লুটুথ গুঁজে গান শুনছে।

“দূর হতে আমি তারে সাধিব
গোপনে বিরহডোরে বাঁধিব।

দূর হতে আমি তারে সাধিব
গোপনে বিরহডোরে বাঁধিব ।

বাঁধন-বিহীন সেই, যে বাঁধন অকারণ।”

রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনছে মেঘ। আকাশের পাণে তাকিয়ে আছে।
” বাঁধনহীন সেই বাঁধন অকারণ” আমি কী হতে পারি আপনার ভালো থাকার কারণ? এই অকারণে আমি কী হতে পারি আপনার প্রিয় অসুখ? আমি কী হতে পারি আপনার ভালোবাসার প্রিয় মানুষ?
এতো আবেগ কেন আমার? আপনাকে পাওয়ার এতো আকাঙ্খা কেন মনে? আপনি কে? আপনার স্মৃতি,আপনার চেহারা,আপনার আমার সাথে বলা স্বল্প বাক্য আমার মস্তিষ্ক দখল করে নিয়েছে। এই মস্তিষ্ক এখন আপনার সঙ্গ খোঁজে।”

**********

-আয়মান, আয়মান।

চেঁচিয়ে ডাকছে সাদিয়া। মায়ের ডাক শুনে নিচে আসে আয়মান। বিরক্তি নিয়ে আয়মান বলে,

-কী হয়েছে? এভাবে চিল্লাচ্ছো কেন?

-রাখির বর মেহরাবের একটা ছোটবোন আছে। দেখতে মাশাল্লাহ। একে ও তো কাজে লাগাতে পারি আমরা।

-আম্মু মেয়েটাকে শুধু,শুধু টেনে কিছু হবে? বাচ্চা একটা মেয়ে আমাদের গেমের আগামাথা কিছুই বুঝবে না সে।

-এই রুদ্রটাকেই রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই? দেখো কীভাবে বাড়ী দখল করে নিয়েছে। আবার একটা গাড়ীও।

-সে এসব পায়।

-সতীন মরেছে তো সাথে দিয়ে গেছে যন্ত্রণা।

বিড়বিড় করে বললেন সাদিয়া। আয়মান সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। ঢাকার আশেপাশে একটা গ্রাম খুঁজছে সে। কিছুটা জঙ্গলপূর্ণ গ্রাম। এই শহরে আদৌ জঙ্গল পাওয়া যাবে? যেখানে যাও সেখানেই লোকালয়। মানুষের আনাগোনা। ব্যাস!

-এই ঢাকা শহর থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে আছে একটা গ্রাম। এই জঙ্গলই। সেখানে মেবি রুদ্রর লাশ ফেলে দিলেও কেউ কিছু জানবে না। কোথায় আয়মান। চলে যাবো দেশের বাইরে। কেউ আমার একটা সুতো ও খুঁজে পাবে না। এই রুদ্র সরে যাবে উফফ! আমার পথের কাটা আমি উপড়ে ফেলবো।

আয়মানের ভাবনার মাঝে তার বাবা রাইহান চৌধুরী আসে। চিৎকার চেঁচামেচি করছে। পুনরায় আয়মান নিচে যায়। তার মা সাদিয়ার সাথে ঝগড়া করছে তার বাবা। আয়মান পুরো কাহিনীটা বুঝা ট্রাই করছে।
রুদ্রকে তাদের এই চৌধুরী অন্দরমহলে নিয়ে আসতে চায়।

কথাটা শোনে চোয়াল শক্ত করে নেয় আয়মান। তাদের ঝগড়ার মাঝে সে নিজেই চিৎকার করে বলে,

-রুদ্র কেন আমার অন্দরমহলে আসবে? ওকে না তুমি বাড়ী একটা দিয়েছো?

-তোমাকে ও তো একটা দিয়েছি ভুলে গেছো? আমার ওই দুই সন্তানের ও সমান অধিকার আছে অন্দরমহলের উপর।

-না কোন অধিকার নেই। রুদ্র আসবে না এই অন্দরমহলে।

-রুদ্র আসবে এটাই আমার শেষ কথা।

-তা রুদ্র তোমার কথা শুনবে তো রাইহান?

সাদিয়ার কথায় চুপ করে রাইহান চৌধুরী। না শুনলেও রুদ্রকে শুনতে হবে কথা। সে চায় তার সন্তান চারজনই সমান সবকিছু পাক। কোন কিছু থেকে যাতে রুদ্র এবং রাখি বঞ্চিত না হয়। হয়ত বা রুদ্রকে সময় দিতে পারেননি রাইহান চৌধুরী। তবে তার যেটা প্রাপ্য সেটা ঠিকই দিয়েছেন। প্রোপার্টির ক্ষেত্রে বেঈমানী করেননি তিনি। শুধু বেঈমানী করেছেন রুদ্রর মায়ের সাথে। নিজের আগের স্ত্রী জাফিয়ার সাথে। সেসব তো একটা অতীত এবং ভুল। সন্তান দু’টো তো তারই।

-কী হলো রাইহান?

সাদিয়ার কথায় চকিত নজরে তাকায় রাইহান। বেশ কঠোর গলায় বলে,

-আমার ছেলে রুদ্র। তোমার ছেলের মতো বেয়াদব না।আমার রুদ্র অবশ্যই আমার কথা শোনবে তুমি দেখো।

-রুদ্র আসবে না এই অন্দরমহলে সেটা তুমি ও দেখে রেখো।

-রুদ্র আসবে।

-না রুদ্র আসবে না।

সাদিয়া রাইহান চৌধুরীর তর্কের মাঝে আয়মান চেঁচিয়ে বলে,

-ওকে ফাইন আসবে রুদ্র। আমাদের সাথেই এই অন্দরমহলেই থাকবে।

নিজের ছেলের কথায় রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সাদিয়া। আয়মান কীভাবে রাজী হয়ে গেলো সেটাই বুঝতে পারছে না সাদিয়া। রাইহান চৌধুরী নিজের ঘরে চলে গেলেন। সাদিয়া সোফায় স্থির হয়ে বসলেন তখন আয়মান এসে বললো,

-কুল আম্মু। রুদ্র নামক প্রাণীই তো থাকবে না আর। আবার অন্দরমহলে আসবে থাকবে সংসার পাতবে। অনেক দেরী।

-ভেবে দেখিনি। পথ থেকে কাটা উপড়ে দাও।

হাসে আয়মান। গুটিগুটি পায়ে নিজের রুমে গিয়ে বসে। ফোন হাতে নিয়ে কল লাগায়।

******
কলেজে এসেছে মেঘ। তৃতীয় পিরিয়ডে তাদের বায়োলজি ক্লাস। মেঘের এই স্যারের ক্লাস বোরিং লাগে। সে কী বলে নিজের ঠোঁটেই কথা আটকে থাকে।
বাইরে আর আসে না। সে সাথে লেকচার,নিজের সুনাম তো আছেই। সেকন্ড ইয়ারে এখন রুদ্রর ক্লাস।
মেঘ সাত পাঁচ না ভেবে সেকন্ড ইয়ারে মায়ার কাছে চলে যায়। গিয়েই মায়ার পাশের সীটটায় বসে পড়ে।
এই মায়াও তাকে হৃদের মতো করে কম পচায় না।

-কীরে বাঙ্গির ছিলকা এনে আসলি যে?

-ওই টাকলার ক্লাস ভালো লাগে না। রুদ্রকে দেখতে আসছি।

-বেহায়া দেখছি ভাই তোর মতো একটাও দেখি নাই। হায়ার থেকেও বড় বেহায়া তুই।

-চুপ কর তো! ভালোবাসার মানে তুই কী বুঝবি? হ্যাঁ আমি বেহায়া কারণ আমি ভালোবাসি সেজন্য এতো বেহায়া হই। নাহলে কত ছেলেকে রিজেক্ট করলাম। কই বেহায়া হলে তো তাঁদের সাথেও ঘেঁষাঘেঁষি করতাম। শোন ভাই এটা রিয়েল লাভ সেজন্য আমি বারবার বেহায়া হই।

-কথা কবি না। দেখ তোর পেছনে যারা ঘুরে তাদের তুই পাত্তা দেছ না দেখ তুই যার পেছনে ঘুরছিস সেও তোকে পাত্তা দিচ্ছে না হিসাব ইকুয়েল,ইকুয়েল।

-এটাই সৃষ্টির নিয়ম।

-ভাই তার গফ আছে।

– আমি জানতে চেয়েছি?

-যদি বউ থাকতো তাহলেও তুই এমন পাগলামি করতি?

-ম্যারিড জানলে কখনোই তার প্রতি ফিলিংস আসতে দিতাম না। আর এটা সৃষ্টি কর্তা ও জানে যা সামনে ভালো কিছু আছে।

-মাথা মোটা চুপ থাক। সামনে তার বিয়া আর তুই ভালো কিছু আশা করছ।

মায়ার কথায় মেঘ আর কথা বাড়ালো না। উঠে একাবারে লাস্টের সীটে গিয়ে বসলো। যাতে তাকে মেয়েদের এতো মাথার ভিড়ে দেখা না যায়। কিছুটা আড়ালে। যথা সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হয় রুদ্র। সে ক্যামিস্ট্রির কিছু অধ্যায় এক্সামের জন্য কালেক্ট করে দিচ্ছে। মেঘ গালে হাত দিয়ে রুদ্রকে দেখছে।
রুদ্রর বার কয়েক চোখ গেছে মেঘের দিকে। একটু পর সে নিজেও এসে মেঘের সামনে দাঁড়ায়।

-মারশিয়া জাহান মেঘ স্ট্যান্ড আপ।

দাড়ায় মেঘ।

-কিছু জিজ্ঞেস করবেন স্যার?

-এখন তোমার ডিপার্টমেন্টে বায়োলজি ক্লাস চলছে। এখানে কেন?

-ধুর ওই টাকলায় কী জানি বলে আমি বুঝি না। ওনার নিজের মুখে করা নিজের জন্য প্রশংসা শোনতে,শোনতে বোর হয়ে গেছি এখন আপনার ক্লাসে আসলাম।
মেঘের কথায় সিনিয়ররা সবাই হেঁসে দেয়। রুদ্র গম্ভীর মুখে বলে,
-সাইলেন্ট।

সাথে,সাথে ক্লাসরুম নিরব।
অত:পর মেঘেকে উদ্দেশ্য করে রুদ্র বলে,

-স্যারকে টাকলা বলে সম্মোধন করায় আপনাকে কান ধরে বাকী ক্লাস গুলোতেও দাঁড়িয়ে থাকবে। আপনার ডিপার্টমেন্টে পরের ক্লাসটা আমার। ভাববেন না এখন বেল বাজবে আর আপনি মুক্ত। বেয়াদবি করেছেন আপনি। শিক্ষক কিসের সমান জানেন?

-অবশ্যই জানি শিক্ষক ফাদারের সমান বাট আপনি স্যার আমার ব্রাদা….”

থামিয়ে দেয় রুদ্র। মেঘ খুব গর্বের সাথে কথাগুলো বলছিলো এতেই বেশ চটে যায় রুদ্র। এই মেয়েটা এতো চঞ্চল আর ঠোঁটকাটা স্বভাবের। দেখেই বুঝা যায়!

-শিক্ষক বাবার সমতুল্য। ভাইয়ের মতো না যে আপনি মশকরা,ইয়ার্কি করবেন।

#চলবে

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)