#ব্যক্তিগত_সুখ
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ১১
ইমান কল টা কেটে সোজা বাথরুমে ঢুকে গেলো
….লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে বাহিরে বেড়িয়ে এসে দেখলো,
আজমির সাহেব বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
ও কৌতুহল বশত আজমির সাহেবের কাছে এগিয়ে গেলো। তিনি বললেন,
– “নিজের মনকে শক্ত কর বাবা,
খুব তাড়াতাড়ি আমরা আবারও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছি ও বাড়িতে।” ইমান যেন একটু চমকে গেলো।
আজমির সাহেব ছেলেকে বললেন,
– “আমার কথা হ’য়েছে ফাইজান সাহেবের সাথে। তিনি মামণির সাথে কথা বলবেন। মনে হয়’ না, সে এবার খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবে আমাদেরকে
…..।”
– “আমি জোর করে ওর ভালোবাসা পেতে চাই না। এটা অন্যায় করা হবে ওর সাথে। দেখ বাবা, তোমরা হয়তো ওকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বিয়ে দিয়ে দেবে আমার সাথে। তারপর হয়তো ও আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারলো না৷
আমি মানুষিক অশান্তির মধ্যে দেখতে পারবোনা তাকে।”
ছেলের কথা শুনে মুচকি হেসে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন আজমির সাহেব। ইমান বাবার বলা কথা গুলো মনে করে মিটিমিটি হাসছে।
সকাল সকাল মিম ঘুম থেকে উঠে দেখলো ফাইজান সাহেব কোনো একটা বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইছে……সে বাবার হাবভাব বোঝার জন্য তাকে নিয়ে হাঁটতে বেড়িয়ে গেলো। ফাইজান সাহেব এ কথায় সে কথায় মেয়েকে বললেন,
– “মা?”
– “হুমম……….”
– “বলছিলাম, যে একটা ভালো, ভালো ছেলের খোঁজ পেযেছি।”
– হ্যাঁ, তো? নয়নের বিয়ে দেবে?”
– “না না তা কেন? তোমাকে আগে একটা ভালো ছেলের কাছে পাত্রস্থ করি, পরের টা না হয় পরে……..
ও তোমাকে অনেক যত্নে রাখবে। কখনো ও বাড়ি তে অযত্ন হবে না তোমার।
একটা কথা বলে দিচ্ছি মা, যাই হয়ে যাক না কেন আমি সব সময় আছি তোমার সাথে।” মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “ওসব তোমার মুখের কথা বাবা,বিয়ের পরে উল্টো পাল্টা কিছু হলে সেই তুমি’ই আমাকে মানিয়ে চলতে বলবে।
আমার মানিয়ে চলতে কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু, নিজের আত্মসম্মান খুঁয়ে আমি সংসার করতে পারব না। আশাকরি বোঝাতে পেরেছি তোমাকে।” মেয়ের কথা শুনে মন খারাপ করে ফেললেন তিনি তারা দু’ জন বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকে’ই……….বাড়ির পরিবেশ কেমন যেন থমথমে হয়ে আছে?
মিম হালিমাকে দেখে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
– “প্রস্তুতি নিতে শুরু করুণ, মিসেস চৌধুরী। শুনলাম আগামী কাল ফাইজান সাহেবের পছন্দের পাএ আমাকে এ বাড়িতে দেখতে আসছে?
বাই দ্যা রাস্তা, আপনি কি কিছু’ই জানেন না? না কি আপনার স্বামী খরচের খাতায় ফেলে রেখেছে আপনাকে? না মানে, আপনার তো খুশি হওয়া উচিত
আফটার অল আপনাদের ঘাড় থেকে এতো বড় এক টা বোঝা নামতে চলেছে।
আমি তো অন্ন ধ্বংস করে চলেছি আপনাদের। আশা করি এবার হয়তো আপনাদের সংসারে বরকত হবে?
” মেয়ের কথায় চোখে জল চলে এলো হালিমার। ফাইজান সাহেব ঘরে এসে মন খারাপ করে বসে আছে। তবুও তিনি……..ইমানকে ফোন করে আগামী কাল আসতে বললেন। ইমান তারপর এই ব্যাপার টা নিয়ে কথা বললো বাড়িতে সবার সাথে।
এমা তারপর ঝটপট তুর্ণকে সঙ্গে গিয়ে টাউনে চলে গেলো তার হবু পুএবধূর জন্য সোনার গহনা কিনতে। তুর্ণ মা কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “কাল গিয়ে ওদের বিয়ে টা ফাইনাল করে আসবো।
একদম পাক্কা নিজের ভাবি করে রেখে আসবো মিম আপুকে।” মেয়ের কথা শুনেই হাসলেন তিনি। খেয়াল করে দেখলেন,
– “পাশের জুয়েলারি শপে ইমান নেকলেস পছন্দ করছে।” তিনি মিটিমিটি হেসে তুর্ণকে ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
তুর্ণ গিয়ে চমকে দিলো নিজের ভাইকে। ইমান তুর্ণকে দেখে বেশ সারপ্রাইজড হয়ে গেলো। তবে সে মায়ের কথা গোপন করে গেলো ইমানের কাছে। ইমান তুর্ণ কে সঙ্গে নিয়ে মিমের জন্য একটা নেকলেস আর কিছু গিফট কিনে ফেললো, তুর্ণ ভাইকে বললো,
– “আপুর জন্য একটা শাড়ি কিনে নাও………….। শাড়িতে আপুকে অনেক সুন্দর লাগে।” ইমান বোনের কথায় একটা আশি কাউন্টের জামদানী শাড়ি কিনে ফেললো। তুর্ণকে জিজ্ঞেস করলো,
– “আর কিছু লাগবে?”
– “বলছিলাম, একটা আংটি কিনে নিতে পারতে। সব ফাইনাল হলে তুমি আংটি পরিয়ে আসতে পারতে আপুকে?” ইমান তৎক্ষনাৎ বোনের কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “এই না হলো আমার বোন? বোন টা দেখছি একটু বেশিই পেকে গেছে?”
– ‘হুহ্, তুমি আমার পাকা-পাকি নিয়ে চিন্তা করছ? ওদিকে যে কাল কি হবে?” তুর্ণের কথা শুনে গলা টা কেমন শুকিয়ে এলো ইমানের……..। একটু দুঃশ্চিন্তা তারও হচ্ছে।
পরেরদিন, সন্ধ্যা সাতটায়।
তারা চৌধুরী বাড়ি পৌঁছে গেলো তাদের বেশ আদর আপ্যায়ন হচ্ছে বাড়ির বড়রা মিলে সকল আলোচনা করছিল। এরমধ্যেই, মিম তৈরি হ’য়ে নিচে চলে এলো নিজে থেকে। ওকে আসতে দেখে সকলে বেশ অবাক ইমান অবাক হলো তাকে গতবারের উপহার দেওয়া সফট বেবি পিংক কালারে’র জামদানী শাড়ি টা পরতে দেখে। কেন যেন ইমান? মিমে’র ওপর থেকে চোখ সরাতে পারছিলনা। এতো টাই সুন্দর দেখতে লাগছে মেয়ে টা কে। মিম এসে ফাইজান সাহেবের পাশে বসলো।
এবার সবাই নজর দিলো তার দিকে, তখন আজমির সাহেব মুচকি হেসে বললেন,
– “দেখুন, বেয়াই। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। প্রথম দেখায় ছেলের বউ হিসেবে আমরা পছন্দ করে নিয়ে ছিলাম আম্মুকে।” ফাইজান সাহেব তার কথায় মুচকি হাসলেন, মিম তখন বলে উঠলো,
– “আমি একটু আলাদা ভাবে কথা বলতে চাই ওনার সাথে।” মেয়ের কথা শুনে নড়েচড়ে বসলেন ফাইজান সাহেব….নয়ন কথা বলার জন্য ছাঁদে নিয়ে এলো দু’ জনকে।
তারপর, সে চলে গেলো। ইমান বলে উঠলো,
– ” দেখ, আমি শুধু একটা মেয়েকেই বিয়ে করতে চাই। আর সেটা, তুমি।
আমি অনেক জিনিসে ভালো। তোমাকে খুশি করে দেবো।” মিম রেগে গিয়ে বললো,
– “মানে? উদ্দেশ্য টা কি আপনার? নির্লজ্জ…!” সে হঠাৎ এগিয়ে এসে মিমের কপালে চুমু খেলো। কয়েক
সেকেন্ডের জন্য মিম যেন ফ্রিজ হ’য়ে দাঁড়িয়ে গেলো।হঠাৎ করেই সে বলে উঠলো,
– “আজ থেকে প্রায়,
দুই কি আড়াই বছর আগে কোনো এক আলালের ঘরের দুলাল আমার সাথে “নোংরামি” করার চেষ্টা করে ছিল।”ইমান মুচকি হেসে বললো,
– “তবুও আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।”
– “আপনার রুচি অনেক খারাপ মিস্টার খান।” ইমান মিটিমিটি হেসে বলে উঠলো,
– “মোটেও না,
আমি নিচে গিয়ে সকলের সামনে আমাদের বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলবো।” মিম হাসতে হাসতে বলে উঠলো
– “এটা যদি আপনার শেষ সিদ্ধান্ত হ’য়।
তবে একটা কথা জেনে রাখুন আমি আপনার জীবন টা নরকে পরিণত করে দেবো।”
– “ওয়েলকাম টু মাই হার্ট, সুইটহার্ট। আমি রাজি।”
– “পরে আবার আফসোস করবেন না তো?”
– “করবো না।” মিম তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। এরপর, সে নিচে এসে অবলীলায় বিয়ের জন্য সবাইকে হ্যাঁ করে দিলো।
সকলে যেন মিমের মুখ থেকে হ্যাঁ শুনে চমকে গেলো। এমা দেরি না করে……
তার হবু পুএবধূর হাতে মণি-মাণিক্য খচিত এক জোড়া স্বর্ণের বালা পরিয়ে দিলো। ইমান তার আনা নেকলেস টা দেখিয়ে এমাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো,
– “মা এটা আমি ওকে পরিয়ে দেবো?” তিনি হাসতে হাসতে বললেন,
– “অবশ্যই দিবে বাবা। তুমি আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছো?” পাশ থেকে তুর্ণ জিজ্ঞেস করলো,
– “ভাইয়া তুমি কি আংটিটার কথা ভুলে গেছো?” সে মুচকি হেসে বললো,
– “না না,ভুলবো কেন? এনগেজমেন্টটা আমি আজই করে ফেলবো।” এমা ছেলের কথা শুনে, হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “বাব বাহ………..! এতো কিছু কিনেছ তুমি? এক বারে তৈরি হয়ে এসেছ?” ইমান হাসি মুখে মিমের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিতে দিতে বললো,
– “হুমম, তোমাদের উৎসাহ পেলে আকদ টাও আজি সে’রে ফেলবো।” দীপ্ত মিটিমিটি হাসতে হাসতে ইমান কে বললো,
– “ভাই তুমি দেখছি ধীরে ধীরে এগোনোর বদলে বুলেট ট্রেনের গতিতে এগোচ্ছ?”
– “এগোবো না বলছেন? আপনার যে বোন…….তার মুড সুইং হলে বিয়ে টা যদি ক্যান্সেল করে দেয় তো?” আজমির সাহেব ছেলেকে একটু কড়া গলায় বললেন
– “তোমার মনে হ’য় না, বাবা। তুমি একটু বেশি বলে ফেলছ?” ইমান সাথে সাথে চুপ, পরক্ষণে’ই সে মিষ্টি হেসে বললো,
– “আমি অনেক এক্সাইটেড হয়ে পরেছি বাবা। তুমি নিশ্চয়ই এর গভীরতা উপলব্ধি করতে পারছ?” মিম তখন নিজে’র ঘরে চলে গেলো। দীপ্ত, ইসাতকে জিজ্ঞেস করলো,
– “বোনের মুখে হাসি নেই কেন?”
– “কারণ তোরা সবাই একটু বেশিই বারাবাড়ি করে ফেলেছ তোদের কারণে আমার বোনটা কষ্ট পাচ্ছে।” ফাইজান সাহেব বুঝে গেলেন, তার মেয়ে টা বিয়ে নিয়ে খুব অসন্তুষ্ট।
তার তো রাজি হওয়ার কথা না? তাহলে সে কেন রাজি হয়ে গেলো এই বিয়েতে?
আর, এই একই প্রশ্ন হালিমার, মেয়ে টা কে নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত হ’য়ে আছে…………..। অস্ফুটে সে বলে উঠলো
– “আচ্ছা আমার মেয়েটা সংসার জীবনে সুখী হবে তো?”
কেন যেন মন থেকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না এতকিছু। তার খুব ভয় হচ্ছে। তিনি কি ভেবে ফাই
-জান সাহেবের কাছে চলে এলেন। এসে’ই বললেন
– “তুমি এই বিয়ে টা ক্যান্সেল করে দাও আমার খুব ভয় করছে।”
তিনি চমকে গিয়ে স্ত্রী হালিমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
– “তুমি এই কথা বলছ?”
– “আমার মনে হয় আমাদের মেয়ের জন্য এটাই ঠিক হবে।” তিনি মেয়ের মায়ের কথা শুনে চমকে তাকিয়ে রইলেন। অথচ মিম খুব স্বাভাবিক বিহেভিয়ার করছে সে চুপচাপ বিয়ের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করল এবং ওর গায়ে হলুদ টাও বেশ ধুমধাম করে পালন করা হয়েছে…….।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো, মিম ভোর চার টায় বউ সাজবে বলে না খেয়েই পার্লারে চলে গেছে। প্রায় বিশ মিনিট পর,
মিমের ব্রাইডাল মেকওভার শুরু হলো। ওর বেইজ মেকআপ শেষ হতে না হতেই……..ইমান ভিডিও কল করে নয়নে র কাছে জিজ্ঞেস করলো,
– “কি ব্যাপার বোনু? কি চলছে?”
– “বেইজ মেকওভার কম্পিলিট ভাইয়া এখন আপুর আই মেকওভারের প্রস্তুতি চলছে।” সে মিটিমিটি হেসে জিজ্ঞেস করলো,
– “কোই দেখি?” নয়ন তখন ব্যাক ক্যামেরায় মিমকে দেখাতে লাগলো ইমানকে। ইমান বউকে দেখা মাঐ বলে উঠলো,
– “মাশাল্লাহ্, বলছিলাম যে জান্নাত আপু কাট ক্রীজ গ্লিটার আই লুক করে দিয়েন আমার ম্যাডামকে। সে ভীষণ সুন্দরী। কাট ক্রিজ গ্লিটার আই লুক খুব সুট করবে আমার ম্যাডামের সাথে।”
– “বলছিলাম ভাইয়া লিপস টা একটু মোটা করে দেব
?”
– “নাউজুবিল্লাহ্, অস্তাগফিরুল্লাহ্। আমার বউ কে ন্যাচারাললি খুব সুন্দর দেখতে লাগছে……….।” মিম রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
– “আপনার কাছে কেউ জানতে চেয়েছে?”
– “কেউ জানতে চাক বা না চাক তুমি’ই হলে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী আমার চোখে।”
– “নয়ন তুই ফোন টা রাখবি?” ইমান তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
– “কল কাটলে তোমার কপালে দুঃখ আছে।” নয়ন যেন অসহায় হয়ে পরলো। ইমান জান্নাত কে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “আপু একটু খেয়াল রাখবেন,
ওর মুখের তিল গুলো যেন ঢাকা না পরে যায় মেক- আপের ভারী আস্তরণের নিচে।”
– “আপন চিন্তা করবেন না ভাইয়া৷ এই প্রথম কোনো ব্রাইড গ্রুমকে দেখলাম, যে কি না নিজের ব্রাইড কে নিয়ে খুবই কনর্সান হয়ে আছে।”
– “হুমম,
আমার ম্যাডাম হলেন আমার ফাস্ট প্রায়োরিটি। বাই দ্যা ওয়ে, লেন্স পরাতে হবে না তাকে। তিনি লেন্সের সাথে কম্ফোর্টেবেল নন তার কষ্ট হবে।”
ইমানে’র কথা শেষ হতে না হতেই মিম নয়নের ফোন টা তুলে মেঝেতে ছুড়ে মা*রলো। বেচারি নয়ন মুখ কাচুমাচু করে পার্টি মেকওভার নিচ্ছে…….. ওদিকে ইমানে’র মুখ টা দেখে ওর বন্ধুদের খুব মায়া হলো। ইমান হাসতে হাসতে বলল উঠলো,
– “আমার মিষ্টি বউয়ের রাগ সবসময় নাকের ডগায় থাকে।” জোহান জিজ্ঞেস করে বসলো,
– “আর ইউ সিরিয়াস?” পাশ থেকে অলিভার হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “ভাই আসলে ইচ্ছে করে ভাবিকে রাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কেন?”
– “কারণ, কারণ এর পেছনে অনেক কারণ আছে। আজকাল আমার মনে হয় তোদের ভাবিও আমাকে ভালোবাসে। বড্ড বেশিই ভালোবাসে কিন্তু সেটা হ’য় তো প্রকাশ করতে চায়না নিজের মুখে।
ও আসলে, আমার প্রতি নিজের দূর্বলতা গুলো প্রকাশ করতে চায়না আমার কাছে।
কিন্তু, আমি যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ওর কাছ থেকে কিছু করতে পারিনা। পারিনা, তাই হয়তোবা নিজেকে সব সময় জাহির করে চলেছি ওর কাছে। একটা কথা বলবো?
তোদের ভাবি হয়তো আমাকে পেয়ে খুশি নাও হতে পারে। তবে আমি খুব খুশি যে সে আজ চিরজীবনের জন্য শুধু আমার হয়ে আমার সাথে সারা জীবনের জন্য বাঁধা পরে যাবে।
দেখবি, আজ ও আমায় ভালো না বাসলেও একদিন সে আমায় ঠিক ভালো বাসবে।”
চলবে,,,
#ব্যক্তিগত_সুখ
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ১২
– “সেটাই, আমার ভাই এতো হ্যান্সসাম হান্ডু। তাহলে আমাদের মিষ্টি ভাবি টা তাকে………ভালো না বেসে কোথায় যাবে?” ফারদিনের কথা শুনে অলিভার কি ভেবে ইমানকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
– “কিন্তু ভাই,
আমাদের যে ভয় টা অন্য জায়গায় হচ্ছে? না মানে, আমাদের ভাবি যদি কখনো তোর ওই গভীর রাতে একটা মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মলেস্ট করার কথা টা কখনো জেনে যায় তখন, তখন কি হবে?
তিনি নিশ্চয়ই,চুপ করে বসে থাকার মতো মেয়েনন?”
– “হুমম, কোনো একটা অজানা কারণে মেয়ে টা আমার ওপরে চোটে আছে। আমাকে ভীষণ অপছন্দ করে মেয়ে টা। জানিনা, এর পেছনে আবার কি রহস্য লুকিয়ে আছে?”
– “এমন নয়তো……সেদিন রাতে ভাবি স্পটের আশে
-পাশে ছিল?
হয়তো বা সেটা, সেটা’ই আমাদের সকলের নজর এড়িয়ে গেছে?” জোহানের কথা শুনে অলিভার বলে উঠলো,
– “তই থামবি প্লিজ? তোর মাথা ঠিক আছে?”
– “দেখ, আমি মজা করে’ই কথাটা বলছিলাম। এতো সিরিয়াস হওয়ার মতোন কিছু হ’য়নি “হামারি ইয়ার কি শাদি হ্যাঁ।” ইমান দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলে উঠলো
– “তোরা ভালো করেই জানিস, ওই সব কিছু আমার ইচ্ছেকৃত ছিলো না।
নেহাৎ, তোদের কথায় ড্রিংকস করে আমার মাথা টা ওই রাতে খারাপ হ’য়ে গেছে।”
– “দেখ ভাই, শত্রুর শেষ রাখতে নেই। অর্ণবকে দেশে ফিরে আসতে বল। আমাদের যে-কোনো মূল্যে খুঁজে বের করতে হবে ওই মেয়ে টা কে।
– দেখ ভাই, ওই রাতে আমরা কেউ সেই মেয়েটি’র মুখ দেখতে পারিনি। শুধুমাত্র,অর্ণব একাই দেখেছিল মেয়ে টা কে………..
ওকে হয়তো পালাতেও সাহায্য করেছিল। কি জানি? এখন হয়তো সে নিজেই সেই মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে?”
– “তুই কি থামবি অলিভার? আমার মনে হয় না দেড় দুই বছর পর ফিরে এসে ওই মেয়ে টা হি*ন্দি মেগা সিরিয়ালের ভিলেনে’র মতো আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চাইবে।
ও প্রতিশোধ নিতে চাক বা না চাক। অন্য কারো মুখ থেকে সবটা শোনার আগে আমি নিজের এই অপ্রিয় সত্যি টা তুলে ধরবো তোদের ভাবির কাছে।
তারপর, আমার সাথে থাকবে কি থাকবেনা সেটা তোদের ভাবির সিদ্ধান্ত। কিন্তু, আমি এতো মানুষিক অশান্তি নিয়ে সংসার করতে পারবো না তোদের ভাবির সাথে ওই মেয়ে টা কে আমি প্রচণ্ড রকমের ভালোবাসি৷
ওকে ছেড়ে দেওয়া একেবারে অসম্ভব আমার পক্ষে। আর কিছু কথা তেতো হলেও সত্য…!
আমি মদ্যপ অবস্থায় স্পর্শ করেছিলাম ওই মেয়ে টা কে। সে যেখানেই স্পর্শ করে থাকি না কেন? আমাকে যদি কখনো এই এই চরম সত্যিটা’র মুখোমুখি হতে হয়, তবে আমি আমার অপরাধ স্বীকার করে নেবো অকপটে। অন্তত তোদের ভাবির কাছে সৎ থাকতে পারবো।
– ” তা ঠিক কিন্তু।”
– “আমার এখনো,
এতো টা সৎ হয়ে ওঠা হ’য়নি ফারদিন। প্রয়োজনে ওর পায়ে শিকলে বেঁধে রাখবো।
তাকে চার দেওয়ালের মাঝে চির দিনের মতো আমি ঘরবন্দী করে রাখবো নিজের কাছে ওর কেমন যেন পালাই পালাই একটা স্বভাব?
আমার কাছ থেকে মেয়ে টা পালিয়ে বেড়াতে চাইছে।
কিন্তু আমি সেটা হতে দিচ্ছি না ও কখনো ছেড়ে চলে যেতে পারেনা আমাকে।” অলিভার এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
– “তাহলে এখন তুই কি করবি?”
– “নয়নের ফোন টা ভেঙে ফেলেছে। এবার আমি লাবণি ভাবির ফোনে করে জ্বালাতন করবো তোদের ভাবিকে।” জোহান হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলো
– “তুই কি কখনো ভালো হবি না?”
– “আরে ধুরর, আগে আমার বউ টা বাড়িতে আসুক। ভালো হতে বহুত দেরি আছে।”
– “তুই অনেক ভালোবাসিস ভাবিকে?”
– “কেন রে? আমার চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে না?
ভাবছি আমার বউয়ের নাম দা খেদাই করে লিখে রাখবো কপালে।
কি বলিস তোরা? জোশশশশশ, লাগবে না আমায় দেখতে?” হঠাৎ ইমানকে রেগে যেতে দেখে জোহান বলে উঠলো,
– “অলিভার তোকে এই আনন্দ অনুষ্ঠানে ঝামেলা তৈরি করতে কে বলেছে?”
– “ইয়ে মানে, আমি তো জাস্ট ভাইয়ের ভালোর জন্য কথা গুলো বলেছিলাম। না হলে, কোন মেয়ে নিজের স্বামীর এমন ঘৃণিত কাজ মন থেকে মেনে নিবে কিংবা খুশি হবে?” ইমান অলিভারের কথা শুনে মন খারাপ করে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।
জোহান অলিভার কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
– “এই এলেন সাধু পুরুষ আমাদের। তোকে মেয়ে দেওয়া তো দূরের কথা সুইপার হিসেবেও রাখবে না লোকে বাড়িতে।”
অতঃপর সকলে মিলে প্রিয় বন্ধুর মান ভাঙাতে চলে গেলো। সেখানে গিয়ে জোহান বললো,
– “নয়ন ফোন করেছিল৷ শুনলাম, ভাবি না কি গায়ে হলুদের পর থেকেই না খেয়ে আছে।”
– “উফফ,এই মেয়ে টা কে নিয়ে আর পারিনা। কথায় কথায় রাগ দেখাবে, জেদ দেখাবে।” ফারদিন তাকে বাহিরে বেড়িয়ে যেতে দেখে জিজ্ঞেস করলো করলো,
– “এখন আবার কোথায় যাচ্ছিস তুই?”
– “তোদের ভাবির কাছে যাচ্ছি।”
– “একটু পরেই বরযাত্রী বের হবে।”
– “আরে আমি সময় মতো পৌঁছে গেলে তো হলো?”
– “আমাদের কথা শোনো বন্ধু।”
– “কি শুনবো? মেয়ে টা কি ততক্ষণ অব্ধি না খেয়ে থাকবে?”
– “আর কেউ বুঝি কখনো না খেয়ে থাকেনি? তোর এতো আদুরে বউ কি একবারও তোর খবর নিয়েছে?
ইস্পার কথায় তেতে উঠলো ইমান, সেসব কথা শুনে এমা এসে বললেন,
– “ইস্পা কে বললো নেয়নি? সকাল থেকে মেয়ে টা বোধ হ’য় আমাকে একশোবার ফোন করেছে। আমি ও বাড়িতে যাচ্ছি না শুনে খুব’ই রাগারাগি করলো মেয়ে টা………… তোমার খালুও চান আমি যেন যাই ও বাড়িতে। কাজেই দয়া করে না জেনে কোন কথা বলো না। তুমি শুনতে পাওনি বলে ব্যাপার টা যে ঘটেনি তা কিন্তু না। মেয়ে টা আমাদেরকে নিয়েও অনেক দুঃশ্চিন্তা করছে।”
– “হুমম, সে সব আমি বেশ ভালো করেই জানি মা। তোমার বোনঝির তো জন্মগত স্বভাব। তিল কে তাল বানিয়েই বাড়িয়ে চাড়িয়ে সব সময় দু’ই লাইন বেশি কথা বলবে।” ইমানে’র কথা শুনে, চোখে জল চলে এলো ইস্পার। এমা বললেন,
– “যাগগে, যা বলছিলাম। তুমি এতো হুড়োহুড়ি করো না ফোন করে নাস্তা করে নিতে মাকে। সারাদিন কত ধকল যাবে মেয়ে টার না খেয়ে থাকলে কি করে হবে?” তখন হঠাৎ ইমানের ফোন টা বেজে উঠলো। জোহান হাসতে হাসতে সেটা বন্ধুর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
– “নে ধর,আমাদের প্রিয় ভাবি ফোন করেছে।” ইমান সঙ্গে সঙ্গে কল টা রিসিভ করে জিজ্ঞেস করলো,
– “কি ব্যাপার ম্যাডাম? না খেয়ে আছেন কেন গত কাল থেকে?”
– “খিদে নেই আমার, তা আপনি রোজা রাখলেন কি ভেবে?”
– “বলছি একটা চুমু খাও না আমার শরীর মন পেট সব ভরে যাবে।”
মিমের ফোন টা ছিলো লাউডস্পিকারে ইমানের কথা শুনে পার্লারে সবাই মিটিমিটি হাসছে। মিম রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
– “এই আপনার মুখে কি কোনো লাগাম নেই?”
– “শোনো দু’প্যাকেট কাচ্চি পাঠিয়ে দিচ্ছি সাব্বিরের হাতে। চুপচাপ লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে নেবে আর নয়তো বাসর রাতের বদলে বাসর দিন করে ফেলবো সুন্দরী, ঠিক আছে?।”
মিম তার কথায় অতিষ্ঠ হয়ে কল টা কেটে ফোন টা সুইচ অফ করে বসে রইলো। পাশ থেকে অন্য আরেকজন ব্রাইড হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপু, আপনাদের কি লাভ ম্যারেজ হচ্ছে?” নয়ন মিটিমিটি হেসে বললো,
– “দু’টোই ভাইয়া সারাক্ষণ আপুকে চোখে হারাচ্ছে।” দেখতে দেখতে,
মিমের এক্সক্লুসিভ ব্রাইডাল মেকওভার শেষ হলো। ততক্ষণে, সাব্বির তার প্রিয় ভাবির জন্য দু’প্যাকেট কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে হাজির হয়েছে।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিম অল্প কিছু খেয়ে নিলো সাব্বির আবার তখন কিছু ছবি তুলে পাঠালো বড় ভাইকে। ইমান যেন এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। ওদিকে, মিম বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালো,
তখন দুপুর এক টা বাজে। দেড় টায় ইমান, মিরপুর থেকে বরযাত্রী নিয়ে রওনা হলো। পথে একটু সমস্যা হওয়ার জন্য তাদের পৌঁছাতে পৌঁছাতে একটু সময় লেগে গেছে।
বাড়িতে পৌঁছে বরের বরণ শেষে হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে গেলো ইমান বিশ হাজার টাকা দিয়েছে গেটে। ওকে নিয়ে গিয়ে বিয়ের আসরে বসিয়ে দেওয়া হলো।
ওদিকে মিমের ফটোশুটে চলছে ইমান সেখানে গিয়ে হানা দিলো, বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
– “ইয়ার এই মেয়ে গুলো এমন কেন? তোদের ভাবির হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে আমি না থাকলেও চলবে?”
– “আসলে ভাই মেয়েরা এমন’ই।
আমার বিয়েতে তোর ভাবি একাই হাজার রকমের পোজ দিয়ে ছবি তুলেছে। মোট কথা তার আমি না থাকলেও চলতো।
আর আমাদের নতুন ভাবি দেখছি আমার বউকে ও ছাড়িয়ে গেছে?” জোহানের কথা শুনে হাসতে হাসতে এগিয়ে গেলো ইমান। সোজা গিয়ে বউকে জড়িয়ে ধরে হালকা একটু হেলে পরেছে।
ক্যামেরা ম্যান, ওভাবেই ওদের দু’জনের ছবি তুলে নিলো আবার ভিডিও করছে। মিম চমকে ইমানে’র দিকে তাকিয়ে রইলো। ইমান মিটিমিটি হেসে বললো
– “আমাকে ছেড়ে একা একা ছবি তোলার অপরাধে তোমার জন্য শাস্তি স্বরূপ দশ কিসস আর একশো টা চুমু বরাদ্দ করা হ’য়েছে।”
– “আমার বয়েই গেছে। দেখুন, আমি কোনো চুমুটুমু খেতে পারবোনা আপনাকে।”
– “কেন?”
– “আপনার মুখ থেকে তেলাপোকা পঁচার বিকট গন্ধ আসছে।” ইমান তার কথা শুনে মিটিমিটি হাসতে হাসতে বলে উঠলো,
– “ওরে মিথ্যেবাদী ভালো ভাবে’ই মাউ ওয়াশ করে এসেছি আমি বাপের বাড়ি থেকে।
যদিও বা তোমার সমস্যা হয়, বাড়িতে ফিরে ফ্রেশ হয়ে নেবো তখন নিশ্চয়ই আমায় কিসস করবে?”
– “দেখুন, ও সব জঘন্য জিনিস আমার জন্য না।”
– “বিয়ের পরে তোমাকে এগুলোই করতে হবে।”
– “এই আপনার মুখে লাগাম নেই?”
– “আরে ধুরর, নিজের বউয়ের সাথে দু’টো প্রেমের কথা বলছি মুখে লাগাম টেনে কি হবে?”
– “আশেপাশে, আপনার আমার আত্মীয় স্বজন দাঁড়িয়ে।”
– “হ্যাঁ, তো? তারা বুঝি আসবে আমাদের বাসর ঘরে আড়ি পাততে……?”
– “আপনি আপাততঃ মুখের ভাষা ঠিক করুণ।”
– “এর থেকে ভালো ভাষা আপাতত আসছে না আমার মুখে।”
– “আমি চলে যাচ্ছি আপনি একাই ফটোশুট করুণ”
– “তা তো হচ্ছে না।
আগে কাপেল ফটোশুট হবে।” অতঃপর, কাপেল ফটোশুট করা হলো। তারপর, ইমানে’র সিঙ্গেল ফটো শুট শুরু হ’য়েছে….।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজি সাহেব চলে এলো। ইসাত আর দীপ্ত ধরে নিয়ে গিয়ে বিয়ের আসরে বসিয়ে দিল তাদের আদুরে বোনকে। ইমান গিয়ে পর্দার ওপাশে বসলো।
সোনালি পর্দা ভেদ করে মিমের লজ্জা মাখা মুখ টা বার বার ইমানে’র নজর কারছে। দু’জনেই সামনে থেকে পর্দা সরিয়ে দেওয়া হলো…….
ফাইজান সাহেব মৃদু হেসে জমাইয়ের কাছে জিজ্ঞেস করলেন,
– “বাবা, তুমি কি কিছু বলবে?”
ইমান মুচকি হেসে, মিমে কাছে এগিয়ে গিয়ে ওর মুখ টা তুলে কপালে চুমু খেয়ে বললো।
– “জানেন বাবা?
আমার খুব হিংসে হ’য় আপনি যখন এভাবে আদর করেন আপনার কন্যাকে।” তিনি তার কথা শুনে মিটিমিটি হেসে বললেন,
– “ওহ তাই? কিন্তু আমার যে কিছু করার নেই। আমি সারাজীবন এভাবেই আদর করে যাবো আমার কন্যা কে।”
– “বলছিলাম, এখন না করলে হয় না?”
– “এখন আরো বেশি বেশি করবো। আর কিছুক্ষণ পরেই মেয়ে টা আমার পরের বাড়ি চলে যাবে।” কথা টা বলতে গিয়ে কেমন যেন ফাইজান সাহেবের গলা জড়িয়ে এলো?
যদিও তিনি সামলে নিয়েছেন নিজেকে। ইমান তার হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
– “আমি ওকে অনেক যত্নে রাখবো বাবা। প্রয়োজনে আপনি কখনো আমার কথায় এবং কাজে অসন্তুষ্ট হলে নিজের কাছে যাবেন তাকে।
আমি দ্বিমত করবো না, কথা দিচ্ছি শাস্তি টা মেনে নেবো মন থেকে। কিন্তু,
আপনি দয়া করে তার নিজের বাড়ি টা কে পরের বাড়ি বলবেন না বাবা, প্লিজ। এটা শুনতে আমার খুব খারাপ লাগছে, এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে আমি আপনার কন্যার সব থেকে কাছের আপন জন আর আমি সারাজীবন খুব যত্ন করবো তাকে। ও হ্যাঁ, আপনাকে হিংসে ও করবো।
কিছু কিছু ক্ষেত্রবিশেষে আমার মনে হয় হিংসে করা জায়েজ আছে।”
চলবে,,,