ব্ল্যাকমেইলার_চাচাতো_বোন_যখন_বউ পর্ব-০৯

0
1995

গল্পঃ #ব্ল্যাকমেইলার_চাচাতো_বোন_যখন_বউ

লেখক:মেহেদি ইমরান

পর্ব:০৯

আমি:আচ্ছা তুই নাকি চাকরি পেয়েছিস(কথা ঘোরানোর জন্য বললাম)

নিধি:হুম। আর তুই কিন্ত কথা ঘোরানোর চেস্টা করতাছিস

আমি: অভিনন্দন চাচাতো বউ ??…….কোন কথা.

নিধি:এইযে লং কিসের কথা ।

আমি:না আমি পারবো না তুই যদি আবার কামর দিস।

নিধি: না দিবো না প্রমিস..

আমি: তাহলে চোখ বন্ধ কর..

নিধি: করলাম..

আমি নিধির চোখ বন্ধ করা মুখটা দেখতাছি আহা কি অপরুপ লাগতাছে বলে বোঝানো যাবে না।নিধি চোখ খুলে দেখে আমি তার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছি নিধি মুচকি হেসে আমার ঠোটে চুমু দিয়ে ধরছে আমিও ধরছি..

আমি: নিধি তোর এই রোমান্টিক অত্যাচার আমাকে পাগল করে তোলে..

নিধি:তুইও তোন কম করস না

আমি:তুই তো চাকরি পেয়ে গেছিস এখন তো চাকরির পিছনে সময় দিবি আমাকে তো সময় দিবি না

নিধি:আরে কি বলিস কোথায় চাকরি আর কোথায় তুই

আমি:আমিও বলি কোথায় চাকরি আর কোথায় বেকার আমি

নিধি:এখন কিন্ত মাইর দিবো ইমরান তুই জানিস না আমি তোকে কত ভালোবাসি

আমি:আচ্ছা কান্না করতে হবে না আমি জানি আমার পাগলি আমাকে কতোখানি ভালোবাসে

নিধি:হুম মনে থাকে যেন

আমি: হুম মনে থাকবে

আমরা কথা বলতে বলতে খাবারের জন্য ডাক পড়লো।তাই নিচে গেলাম খেতে খাবার সময়

নিধি: বড় আব্বু আমি একটা কথা বলতে চায়

আব্বু:হুম বল তোর বলতে আবার পারমিশন লাগে

নিধি:আমি আর ইমরান একসাথে থাকি এখন থেকে।

আব্বু:না আমি বলছি না ইমরান আগে প্রতিষ্ঠিত হোক তারপর থেকে একসাথে থাকবি।

নিধি: এখন তো আমি চাকরি পাইছি এতে হবে না

আব্বু:না হবে না ইমরানকেও পেতে হবে।

নিধি: আচ্ছা

আমি আর‌ কি করবো আব্বু আর নিধির কথা শুনতেছি ।খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম।কিছুক্ষন পর নিধি এসে বলতাছে …

নিধি: যে আশায় চাকরি নিলাম সেটাই পূরন হলো না

আমি শুনেও চুপ করে রইছি কি আর বলতাম ওকে

নিধি: ইমরান কেলকে তো শুক্রবার

আমি: হুম তো

নিধি:আমি তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো.. মনে কর আমার পক্ষ থেকে ট্টিট..

আমি:অন্য একদিন যাবো

নিধি: না আমি পরে ফ্রি নাও থাকতে পারি

আমি:বাহ চাকরি জয়েন করার আগেই বিজি থাকতে শুরু করে দিলি।

নিধি:আচ্ছা যা যাবো তবে কালকেও যাবো

আচ্ছা যাবো।তারপর আমরা প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে গেলাম।তবে আমরা দুজনে যে একসাথে ঘুমায় সেটা আম্মু কিছুটা বুঝতে পারে তবে কিছু বলে না।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গেলাম নাস্তা খেতে তারপর দুস্টুমি করতে করতে নামাজের সময় হয়ে গেছে।পান্জাবী পড়ে রেডি হওয়ার পর নিধি টুপি পড়িয়ে কপালে চুমু দিয়ে

নিধি: আমার জন্য দোয়া করিস কিন্ত

আমি: তুই তো আমার প্রতি মোনাজাতে থাকিস ।কারন টা তোর জানা আছে

নিধি:হুম জানি তো আমার পাগল

তারপর মসজিদে এসে নামাজ পড়ে বাড়িতে চলে গেলাম।তারপর খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।বিকেলে ঘুরতে যেতে হবে তাই বিশ্রাম নিলাম।কিছুক্ষন পর নিধি এসে আমার উপর শুয়ে পড়লো তাই আমি বললাম নিধি যাবি না ঘুরতে

নিধি:হুম যাবো তো

আমি: তাহলে রেডি হো শুয়ে আছিস কেন।

নিধি: কি করবো তোর উপর শুয়ে থাকতে মন চাইছে তাই শুলাম।

আমি: আচ্ছা যা রেডি হো ঘুরতে যাবো

নিধি: যাবো একটা শর্তে

আমি:কি

নিধি: তুই‌ যদি নিজে হাতে আমাকে সাজিয়ে দিস

আমি:মেকাপ দিয়ে দিতে তো পারি না

নিধি:মেকাপ না শাড়ি পরিয়ে দিবি

আমি:কিহ আমিতো শাড়ি পড়াতে পারি না

নিধি: আমি বলে দিবো তুই পড়িয়ে দিবি।

আমি:নিজেকে সামলাতে পারবো নাতো

নিধি:সামলাতে‌ লাগবে না আমি তো তোর বউ

আচ্ছা দেখি পারি কিনা।তারপর নিধি যেয়ে একটা শাড়ি নিয়ে আসলো।এসে দরজা লক করে দিলো।আর শাড়িটা আমার হাতে দিলো

নিধি: ধর পড়িয়ে দে

আমি:তারপর আর কি পড়িয়ে দিলাম কাহিনী টা নাহয় আরেকদিন বলবো??

নিধি: ইমরান তুই হলুদ পান্জাবী টা পড়

আমি: কিন্ত আমি তো পান্জাবী টা পাচ্ছি না

আচ্ছা দাড়া আমি এনে দিচ্ছি এই‌ বলেই কিছুক্ষন পর আমার হাতে হলুদ পান্জাবীটা দিলো

আমি:পানজাবি টা কোথায় পেলি তুই আমি কতো খুজছি

নিধি:তোর না জানলেও‌‌ চলবে । দে আমি‌ তোকে পান্জাবী পড়িয়ে দিবো

আমি:পারবো না আমার লজ্জা লাগে

নিধি:আমার শাড়ি পড়াতে তোর লজ্জা লাগে না

আমি:না তো

নিধি:তাহলে এখনো লাগবে না এই‌ বলে ওর‌ আগের পান্জাবীটা খুলে ফেললাম

পান্জাবী টা হাতে নিয়ে এক ধেনে আমার বুকের দিকে চেয়ে রইলো‌ নিধি কি হলো কি দেখস এইভাবে। নিশ্চুপ শুধু তাকিয়ে রইছে এই নিধি নিধি।নিধি আস্তে আস্তে আমার লোমওয়ালা বুকে চুমু খেলো তারপর হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।

নিধি: ইমরান তোর বুকের তিলটা কেন জানি আমাকে তোর দিকে টানে মন চায় একটা কামর দিতে

আমি:এই না না এমন করিস না

তারপর আমাকে পান্জাবী পড়িয়ে দিলো।নিধি নীল শাড়ি আর আমি হলুদ পান্জাবী পড়ছি।ঘুরতে বের হলাম।একটা রিক্সা নিলাম দুজনে উঠে বসলাম।চলে গেলাম পার্কে সেখানে গিয়ে আমি আর নিধি দুজনে বসে রইলাম যখন আমি কিছু বলতে যাবো তখন একটা ছেলে‌ এসে বলতাছে

ছেলেটি:ভাইয়া এনার সাথে কিছু কথা আছে

আমি: কেন

ছেলেটি:একটু দরকার পনি যদি একটু দূরে যেতেন

নিধি: না যা বলার ওর সামনেই বলো

ছেলেটি: আমি তোমাকে‌ ভালোবাসি

আমি দেখলাম নিধি হাত মুস্টিবদ্ধ করতাছে তাই‌ দেরি না করে ইশারায় বললাম ছেলেটিকে কিছু না বলার।ভাই তুমি কাকে কি বলতাছো জানো ও‌ আমার কি হয়..

ছেলেটি:হুম আপনি ওর ভাই হোন

এই‌ কথা শুনার পর মাথায় রক্ত উঠে গেলো চেয়ে দেখি নিধি আমার চেয়ে বেশি রেগে আছে তাই‌ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বললাম জানো ওর সাথে আমার বিবাহ ঠিক হয়েছে।

ছেলেটি:নাতো আমি তো জানি না

আমি:তোমার জানা উচিৎ ছিলো।আমি না থাকলে‌ তুমি আজ সুস্থ্য ভাবে বাড়ি ‌যেতে পারতে না

ছেলেটি:ভাইয়া আসলে‌ আমি জানি না জানলে কখনোই ‌প্রপোজ. করতাম না..

আচ্ছা যাও পরবর্তীতে যাতে না দেখি ছেলেটি চলে গেছে চেয়ে দেখি নিধি এখনো রেগে আছে তাই‌‌ আমি নিধির কোলে মাথা রাখলাম আর সে মাথা বিলি কেটে দিতে লাগলো এভাবে সারাদিন ঘুরাঘুরি করে চলে আসলাম বাড়িতে ।নিধি চাকরিতে জয়েন করছে এখন আমাকে বেশি সময় দেয় না ।এখন আর আমাকে রাতে জরিয়ে ধরে ঘুমায় না।আস্তে আস্তে সে দূরে সরে যাচ্ছে।তাকে কোথাও ঘুরতে যেতে বললে সে বলে বিজি থাকে আর তার অবসর সময় বললে বলে তার এখন রেস্টের প্রয়োজন তবে আমি টের পাচ্ছি সে আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আস্তে‌ আস্তে।

একদিন সকাল‌ে নিধি চল আজকে ঘুরতে যাই

নিধি:তুই‌ কি মনে করিস আমি নেচে খেলে‌ দিন পার করি যে তোর সাথে ঘুরতে যেতে হবে।

নিধি: ইমরান শোন আগে আমি ছোট ছিলাম তাই এমন করতাম।এখন যথেস্ট বুঝি তাই আগের কথা নিয়ে আমাকে বিরক্ত করবি না

আমি: কিহ আমি বিরক্ত করি তোকে।আমার কেয়ার ভালোবাসা তোর ‌কাছে বিরক্ত লাগে

নিধি: হুম বিরক্ত লাগে তোর ফ্যামিলির প্রতি কোনো দায়িত্ব নাই আর শুধু ভালোবাসা দিয়ে পরিবার চলে না

এই বলেই নিধি হনহন করে চলে গেলো। একবার পিছনে ফিরে তাকালো না তাকালে ‌দেখতে পেতো একজন তাকিয়ে আছে তার চাতক পাখির মতো ‌চলে‌ যাবার।নিধি শিক্ষিতা করতে চলে গেছে আমি বাড়িতে বসে আছি।সকালকার কথা মানতেছি আমি যেন এটা মেনে নিতে পারছি না।আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না যে নিধি কথযাগুলো বললো।
তখনি মোবাইলে একটা টুং করে মেসেজ আসলো।মেসেজ টা পড়ে যেন আমার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে এ যে অতি খুশির কারনে কারন আমার চাকরি টা হয়ে গেছে তখনি ফোনটা বেজে উঠলো

আমি: আসসালামু ওয়ালাইকুম

অপাশ থেকে: ওয়ালাইকুম আসসালাম আপনি কি ইমরান বলছেন

আমি:জ্বি আমি ইমরান

অপাশ থেকে:আপনি আমাদের কোম্পানিতে সিলেক্ট হয়েছেন কালকে কিছু দরকারি কাগজ নিয়ে আসবেন তা মেসেজে জানানো হয়েছে

এই বলেই ফোনটা কেটে দিলো আচ্ছা আমি যদি এই কথা যেয়ে নিধিকে বলি তাহলে সে অনেক খুশি হবে।আর দেরি করলে চলবে না তাই রেডি হয়ে চলে গেলাম নিধির স্কুলের উদ্যেশে আর কি কি করবো তা ভাবতাছি।তবে এমন কিছু দেখবো আশা করি নাই।স্কুলে যাওয়ার আগে একটা বাজার দিয়ে যেতে হয় সেখানে দেখলাম নিধি একটা ছেলের সাথে যাইতাছে এটা দেখে আমার মাথা ঠিক নাই কারন ছেলেটা কে আমি কখনো আর দেখি নাই আর নিধির আত্মীয়ও না।

চলবে……