ভালোবাসার অধিকার পর্ব-০২

0
1056

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ২

দিয়ার পিছন পিছন ঈশান ও নিচে গেলো। দিয়া পিছনে তাকিয়ে ঈশানকে দেখে আবার রেগে গেলো। আর চিৎকার করে বললো,
দিয়া: তুমি আমার পিছন পিছন আসছো কেনো😡
ঈশান: তুমি আমার সামনে সামনে যাচ্ছ কেনো।
দিয়া: দেখো একদম আমার মাথা গরম করবে না বলে দিচ্ছি।
ঈশান: আচ্ছা তুমি এখন ও ওটা নিয়ে রেগে আছো কেনো বলতো। আমি তো জানতাম না সেদিন তুমি……..
দিয়া: চুপপপ! তুমি যদি এখন আমার সামনে থেকে না যাও। তোমার কি অবস্থা করবো তুমি ভাবতে ও পারছো না।
ঈশান: ডায়নি।(আস্তে)
দিয়া: কি বললে?
ঈশান: কিছু না। আমি যাচ্ছি।
.
অনু: তুমি এখানে কি করছো?
দ্বীপ: এটা আমার বাসা আমার ছাদ। আমি যেকোনো জায়গায় থাকতে পারি।
অনু: হুম। তা ও ঠিক। ওকে আমি চলে যাচ্ছি।
দ্বীপ: তুমি গেলে তো হবে না।
অনু: মানে?
দ্বীপ: খাবার টেবিলে কি বলেছিলে😡?
অনু: কি বলেছিলাম🐯 ভুলে গেছি। মনে হলে বলবো ঠিক আছে। আমি আসি।
অনু উঠতে গেলেই দ্বীপ অনুর হাত ধরে ঠেনে আবার বসিয়ে দেয়।
দ্বীপ: আমার মনে আছে। আমি বলছি।
অনু: কককি?
দ্বীপ: আমাকে হিরো আলম এর মতো দেখতে আর আমি খাটো ও বলেছিলে😡
অনু: না। বাইট্টা😁
দ্বীপ: তোমার সাহস অনেক তাই না😡 আমার সামনে কারো উচু গলায় কথা বলার সাহস নেই। আর তুমি…….
অনু: আমাকে অন্য কারো সাথে একদম তুলনা করবে না। আর আমার সাহস এর কি দেখেছো। আমি কাউকে ভয় পাই না।
দ্বীপ: ও তাই। আমাকে ও ভয় পাও না?
অনু: তুমি বাঘ না ভাল্লুক যে ভয় পাবো। কে তুমি? আমার হাত ছারো।
দ্বীপ: ও তাই। এবার বুঝাবো আমি কে?
দ্বীপ অনুর হাত আরো শক্ত করে ধরলো। আর টানতে টানতে নিচে নিয়ে এলো। তারপর দ্বীপের রুমে নিয়ে গেলো ওয়াশরুমের ভেতর নিয়ে অনুকে দার করালো। অনু বুঝতে পারছে না দ্বীপ কি করতে চাইছে। দ্বীপের যতো কাপড় আছে সব ওয়াশরুমে নিয়ে ফেলে দিলো।
অনু: এসব কি করছো। তুমি কি পাগল হয়ে গেলো।
দ্বীপ: ২ঘন্টা টাইম দিলাম। সব কাপড় ধুয়ে দাও।
অনু: এই রাতের বেলা। কোন গাধায় কাপড় ধুবে। আর এতো কাপড় আমি একা কিভাবে ধুবো।😟
দ্বীপ: যদি না ধৌ তো। আজ এই ওয়াশরুম থেকে বেরতে পারবে না। আমি লক করে রাখবো। ধুয়া শেষ হলে বলো। ওকে। দরজা খুলে দেবো।
দ্বীপ ওয়াশরুম লক করে দিলো। অনু দরজা ধাক্কাচ্ছে।
অনু: দ্বীপ প্লিজ দরজা খুলো। আমি এতো কাপড় কখনো ধই নি।
দ্বীপ: আমাকে এতো কিছু বলার শাস্ত্রি এটা।
আর আমার পিছনে লাগতে আসবে?
অনু: একদম না। প্লিজ দরজা খুলো।
দ্বীপ: কাপড় ধুয়া শেষ না হলে এই দরজা খুলবে না।
অনু: এটা কি ধরনের কথা। আমি তোমাকে হিরো আলম বলেছি তুমি ও আমাকে এরকম কিছু বলো। এই রাতের বেলার এতো কাপড় দিচ্ছ কেনো।
ঈশান: কি হয়েছে। আর অনু ওয়াশরুমের ভেতর থেকে কথা বলছে কেনো।
অনু: ঈশান প্লিজ আমাকে বাচাও। এই রাক্ষস টা আমাকে কতো কাপড় দিচে ধুয়ার জন্য।
দ্বীপ: আমি রাক্ষস😡 টাইম কমে গেছে। ১ঘন্টার ভিতর কাপড় ধুয়া শেষ না করলে আরো কঠিন শাস্ত্রি পাবে।
ঈশান: এসব কি করছিস।
অনু: আমি তোমার বিয়ে করা বউ নাকি। আমি কেনো তোমার কাপড় ধুতে যাবো।
দ্বীপ: তুমি তো বললে তুমি আমার বউ😁। ভুলে গেছো। আমি বেশি কথা বলা পছন্দ করি না। চুপচাপ কাজ করো। আর ঈশান তুই রুম থেকে বের হো।
ঈশান: বাইরে গেলে তর বোন বলে এখান থেকে যাও। আর এখানে আসলে তুই বলিস এখান থেকে যেথে। তো আমি থাকবো টা কোথায়।
দ্বীপ: 😁দিয়ার রুমে থাক।
ঈশান: ওই ডায়নির রুমে গেলে আমায় আস্ত গিলে ফেলবে না।
দ্বীপ: তুই আমার সামনে আমার বোনকে ডায়নি বলছিস😕
ঈশান: সত্যি কথাই বলেছি।
অনু: আমাকে ভেতরে আটকে রেখে তোমরা বাইরে ঝগড়া করছো কেনো।
দ্বীপ: চুপচাপ কাপড় ধৌ।
অনু: আমি আর তোমাকে কোনোদিন কিছু বলবো না। প্লিজ দরজা খুলে দাও।
ঈশান: দ্বীপ দে না দরজাটা খুলে।
দ্বীপ: কাপড় ধুয়া শেষ না হলে এই দরজা খুলবে না। আর তুই একদম দরদ দেখাতে আসবি না।
অনু: 😭😭😭
অনু বাধ্য হয়ে খাপড় ধোয়া শুরু করে আর দ্বীপের চৌদ্দগুষ্টিরে বকা দিতেছে।
দ্বীপের বাবা বাসায় ফিরেন তাই দ্বীপ আর ঈশান নিচে যায়।
দ্বীপের বাবা: তুমি সেই দুপুরে বাসায় এসেছো অথচ আমি এখন জেনেছি।
দ্বীপ: সরি ড্যাড। তুমি কাজে ছিলে তাই আর জানাই নি। ভেবেছি বাসায় আসলে সারপ্রাইজ দেবো।
দ্বীপের বাবা উঠে গিয়ে জরিয়ে ধরেন দ্বীপকে।
দ্বীপের বাবা: কেমন আছো?
দ্বীপ: ভালো। তুমি?
দ্বীপের বাবা: ভালো। ঈশান তুমি কেমন আছো?
ঈশান: ভালো আংকেল।
দ্বীপের বাবা: ওকে। আমি ফ্রেস হয়ে আসছি। তারপর গল্প করবো। তোমরা এখানেই বসো।
এখন বাজে সন্ধ্যা ৭টা। দিয়া দিয়ার মা ও ড্রয়িংরুমে আসলেন আর সবাই মিলে গল্প করছেন। দ্বীপের বাবা ও ফ্রেস হয়ে আসলেন। তাদের গল্প করতে করতে সারে ১০টা বেজে গেছে।
দ্বীপের মা: অনেক গল্প করেছি এবার খেতে এসো।
দিয়া: ওকে।
দ্বীপের বাবা: আচ্ছা অনু কোথায়। ওকে তো এসে একবার ও দেখলাম না।
দ্বীপের বাবার মুখে অনু নাম শুনে দ্বীপের অনুর কথা মনে হলো। ঈশান আর দ্বীপ একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে। একটুপর দুজনই একসাথে উপরে দৌর।
দ্বীপের বাবা: ওরা এভাবে দৌরালো কেনো।
দিয়া: আমি দেখছি।
দিয়া ও গেলো ওদের পিছন পিছন।
দ্বীপ ওয়াশরুমের দরজা খুলে দেখে অনু ফ্লোরে পরে আছে।
ঈশান: দ্বীপ ওর কি হলো। আর ও সব কাপড় ও ধোয়ে ফেলেছে।
দ্বীপ অনুকে কোলে ওর বিছানায় এনে শুয়ালো।
দ্বীপ: অনু এই অনু চোখ খুলো। কি হয়েছে। ঈশান পানি আন।
দিয়া: কি হয়েছে অনুর।
ঈশান: ফ্লোরে অজ্ঞান অবস্থায় পরে ছিলো।
দিয়া: মানেএএ?
ঈশান সব বললো দ্বীপ কি কি করেছে।
দিয়া: ভাইয়া তুই এটা একদম ঠিক করিস নি। ও কখনো এতো কাপড় ধোয় নি। আর এত কিছু করার পর এতো সময় দরজা বন্ধ করা ছিলো।
দ্বীপ: ঈশান ডক্টরকে ফোন দে।
ঈশান ডক্টরকে ফোন দিলো। কিছুক্ষণ এর মধ্যে ডক্টর চলে আসলো। ডক্টরের সাথে সাথে দ্বীপের বাবা মা ও আসলেন।
দ্বীপের মা: কি হয়েছে অনুর। ডক্টর কেনো।
দিয়া: অনু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
দ্বীপের বাবা: কিভাবে?
দিয়া: পরে বলছি।
ডক্টর এসে অনুকে চেক করলেন।
ডক্টর: ভয় এর কোনো বিষয় না। বেশি স্ট্রেস সামলাতে পারেন নি তাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আমি ইনজেকশন দিয়েছি। কিছুক্ষণ এর মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে। আর খেয়াল রাখবেন উনি যেনো কোনো কাজ না করেন। গ্যাস এর প্রবলেম আছে। বেশি ভারি কাছ করলে বুকে ব্যাথা পান। শ্বাস নিতে প্রবলেম হয়। টেক কেয়ার বাই।
ডক্টর চলে গেলেন।
দ্বীপের এখন নিজের কাছে খারাপ লাখছে। শুধু শাস্ত্রি দিতে চেয়েছিলো। এতো প্রবলেম হবে জানলে এটা করতে বলতো না।
দ্বীপের মা: কি কাজ করেছে অনু🤬
দিয়া সব বলে দেয়।
দ্বীপের বাবা: দ্বীপ এটা আমি তোমার কাছ থেকে আশা করি নি। মেয়েটা একটু মজা করেছে বলে এতো বড় শাস্ত্রি দিবে। ওর বাবা মা আমাদের উপর ভরসা করে রেখে গেছেন। তাদের কি জবাব দেবো😡
দ্বীপ: আমি জানতাম না ওর এমন হবে।
দ্বীপের বাবা: তুমি জানো টা কি।
ঈশান: আংকেন তুমি শান্ত হউ। ও ভুল করে ফেলেছে না জেনে। আর করবে না।
দ্বীপের মা: মেয়েটাকে রেষ্ট নিতে দে আর সবাই খেতে আসো। আমি পরে ওকে খাইয়ে দেবো।
দ্বীপ: তোমরা যাও। আমি পরে আসছি।
সবাই চলে গেলো দ্বীপ সোফায় গিয়ে বসলো। আর অনুর দিকে তাকালো।
দ্বীপ: আমি এতোটা ইরেসপন্সিবল কি করে হতে পারলাম। আমি তো কিছু ভুলি না। এটা কি করে ভুললাম। আমার জন্য ওর আজ এই অবস্থা।
সোফা থেকে উঠে অনুর পাশে গিয়ে বসলো।
দ্বীপ: সরি। তোমার জ্ঞান ফিরলে এটা বলতে পারবো না। তাই এখনি বলছি। এটা এক্সেপ্ট করবে কিন্তু।
দ্বীপ উঠে নিচে গেলো। চুপচাপ খেয়ে নিলো। খাওয়া শেষে দিয়ার রুমে গেলো।
দিয়া: কি?
দ্বীপ: ও এখনো খায় নি। আর আমার রুমেই রয়েছে। জ্ঞান ও ফিরেনি।
দিয়া: ডক্টর তো বলেছিলো কিছুক্ষণ এর মধ্যে জ্ঞান ফিরবে। তুই এক কাজ কর। অনুকে আমার রুমে দিয়ে যা।
দ্বীপ: আমি?
দিয়া: কেনো পারবি না। ওকে। আমি ঈশানকে বলছি।
দ্বীপ: না না পারবো। দারা আমি এনে দিচ্ছি।
দ্বীপ ওর রুমে আসলো। ঈশান আবির শুভ অভির সাথে গ্রুপ ভিডিও কল এ কথা বলছে। দ্বীপ ওদিকে না তাকিয়ে অনুকে কোলে তুলে নিলো।
ঈশান: 😮অনুকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস।
আবির: মানে?
ঈশান: তদের না দ্বীপকে বলছি।
শুভ: দ্বীপ কোথায়।
ঈশান: আমার সামনে।
দ্বীপ: ওকে দিয়ার রুমে নিয়ে যেথে বলেছে।
অভি: ক্যামেরাটা ওর দিকে দে।
ঈশান ক্যামেরা দ্বীপের দিকে দিলো।
অভি+আবির+শুভ: 😱😱
দ্বীপ ওদের দিকে নজর না দিয়ে অনুকে নিয়ে চলে গেলো।
অভি: দ্বীপের কোলে একটা মেয়ে?
শুভ: ঈশান ও কে।
ঈশান: ওই তো অনু। তরা জানিস না আজ এখানে এসে কি কি হয়েছে।
আবির: কি হয়েছে?
ঈশান বাসায় ডুকা থেকে শুরু করে অনুর জ্ঞান হারানো পর্যন্ত সব বললো।
অভি আবির শুভ সবাই হাসতে হাসতে শেষ😂😂
আবির: সিরিয়াসলি বউ।😂
শুভ: হিরো আলম😂
অভি: বাহ! দ্বীপকে জব্দ করার মতো ও কেউ আছে দেখছি।
ঈশান: অনু আজ দ্বীপকে হেব্বি রাগিয়ে দিছিল। আমার অনেক ভয় করছিলো। দ্বীপ অনুকে শাস্ত্রিটা ও অনেক বড় দিছে😞
শুভ: হু। এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো। দ্বীপের রাগটা একটু বেশিই।
অভি: বাট বউ এর বিষয়টা জোস ছিলো
ঈশান: 😂😂😂😂
আবির: ওকে গাইজ কাল তো বিকেলে ওই বাসায় যাচ্ছি। কাল দেখা হচ্ছে। এখন ঘুমাই। খুব ঘুম পেয়েছে।
অভি: ওকে। গুভ নাইট।
ঈশান+আবির: গুড নাইট।
.
দ্বীপ অনুকে দিয়ার বিছানায় শুয়ে দেয়। সাথে সাথে অনু চোখ খুলে।
দ্বীপ: দিয়া ও তাকিয়েছে।
দিয়া: সত্যি।
দিয়া অনুর কাছে আসলো। অনু উঠে বসলো।
দিয়া: অনু তর কি হয়েছিলো।
অনু একবার দ্বীপের দিকে তাকালো। দ্বীপ ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলো। এর মধ্যে ঈশান রুমে ডুকে। অনুর জ্ঞান ফিরেছে দেখে অনুর কাছে যায়।
ঈশান: কি হয়েছিলো তোমার।
অনু: কিছু না। সব কাপড় ধোয়ার পর হঠাৎ মাথা ঘুরাচ্ছিলো। সবাইকে অনেক ডাকলাম কেউ শুনতে পায় নি। মাথা ঘুরিয়ে নিচে পরে যাই তারপর কি হয়েছিলো মনে নেই।
দ্বীপ এসব শুনে রুম থেকে চলে যায়।
ঈশান: দ্বীপের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। ও এতো কিছু হবে ভাবতে পারে নি। ও কিন্তু মনের দিক থেকে খারাপ না।
দিয়া: হুম। একদম ঠিক। সবাই তো তোমার মত না। আর তুমি আমার রুমে এসেছো কেনো।
ঈশান: 😕 অনুকে দেখতে এসেছি। নয়তো আমার কোনো শক নেই তোমার রুমে আসার।
দিয়া: তো বেরিয়ে যাও এই রুম থেকে।
অনু: তুই ওর সাথে এভাবে কথা বলছিস কেনো।
দিয়া: ওর সাথে এর থেকে ভালোভাবে আমি কথা বলতে পারবো না। আর আমি আসছি তর জন্য খাবার নিয়ে।
ঈশান চলে যায় দিয়া ও যায় নিচে অনুর জন্য খাবার আনতে।
দ্বীপ বেলকনিতে দারিয়ে আছে। ঈশান গিয়ে দ্বীপের পাশে দারালো।
ঈশান: এটা নিয়ে ভাবিস না। তুই তো জেনে কিছু করিস নি। আর সরি ও বলবি না জানি।
দ্বীপ: আমি ওসব নিয়ে ভাবছি না।
ঈশান: আমি তকে চিনি।
দ্বীপ: চল। ঘুমাবো।
ঈশান: ওকে।
.
দিয়া অনুর জন্য খাবার এনে নিজের হাতে খাইয়ে দিলো।
দিয়া: আমি প্লেট রেখে আসছি। এসে জেনো দেখি তুই ঘুমিয়ে গেছিস।
অনু: ওকে।

সকালে,
দ্বীপ ঘুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে যায়। ঈশান এখনো ঘুমিয়ে আছে।
দিয়া ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে অনুকে কখন থেকে ডাকছে কিন্তু ওর উঠার নাম নেই।
দিয়া: প্লিজ উঠ না মেরি মা। দেরি করে গেলে আমাদের শাস্ত্রি দেবে।
অনু: হহহুম।
দিয়া: উঠ। ভার্সিটিতে যেথে হবে।
অনু: তর জন্য ভালো করে ঘুমাতে ও পারি না।
দিয়া: ভার্সিটি থেকে এসে যতো পারিস ঘুমাস। এখন উঠে রেডি হো। তুই তো জানিস লেইট করলে আমাদের কিভাবে শাস্ত্রি দেয়।
অনু: উনি আমাদের পিছনে এতো লাগেন কেনো বল তো।
দিয়া: মায়ের জন্য। মা ওই খবিসটাকে বলেছে আমাদের দেখার জন্য।
অনু: তাই বলে এভাবে দেখবে।
দিয়া: 😕তুই এখন উঠে রেডি হবি কিনা বল।
অনু: তুই নিচে যা। আমি ১০মি এ আসছি।
দিয়া: ওকে।
অনু রেডি হয়ে নিচে চলে গেলো। ব্রেকফাস্ট করে নিলো। দ্বীপ ড্রয়িংরুমে বসেছিলো। অনু একবার দ্বীপের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে দিয়ার হাত ধরে হনহন করে বেরিয়ে যায়। দ্বীপ অনুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। ঈশান এসে দ্বীপের পাশে বসলো।
ঈশান: কি ভাবছিস।
দ্বীপ: কিছু না। কখন উঠলি।
ঈশান: এইমাত্র।
দ্বীপ: ফ্রেস হস নি?
ঈশান: 😁যাচ্ছি।
ঈশান চলে গেলো ফ্রেস হতে। দ্বীপ ফোন বের করে আবিরকে কল করলো,
আবির ঘুমের মধ্যেই ফোন রিসিভ করলো।
আবির: কে?
দ্বীপ: 😡তুই এখনো ঘুমিয়ে আছিস।
আবির: ওহ তুই।এখনি উঠছি।
দ্বীপ: আজ একজনের সাথে দেখা করার কথা ভুলে গেছিস।
আবির: না। উঠছি অভি আর শুভকে ফোন করে জানিয়ে দে।
দ্বীপ: তুই টাইম মতো চলে আসিস।
আবির: ওকে। বাই।
দ্বীপ অভি আর শুভকে ও টাইম মতো আসতে বললো। ওরা সবাই মিলে একটা বিজন্যাস শুরু করবে। নিজেদের পরিশ্রমে। তার জন্যই কারো সাথে দেখা করবে।দ্বীপ ঈশান ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে যায়।

ভার্সিটিতে,
তিথি সিমি গেইটে দারিয়ে দিয়া আর অনুর জন্য ওয়েট করছে। কিছুক্ষণ পর ওরা এলো।
সিমি: অলটাইম লেইট করিস😡।
দিয়া: অনুর জন্য হয়।
তিথি: এখন চল। এমনিতেই লেইট।
অনু: চল।
ক্লাসে ডুকে,,,,,,,,,,

চলবে??🙄🙄