ভালোবাসার অধিকার পর্ব-০১

0
1922

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১

আজ ৪বছর পর দেশে ফিরছে দ্বীপ ও তার বন্ধুরা পড়াশুনা শেষ করে। গাড়িতে বসে আছে দ্বীপ আবির অভি শুভ ও ঈশান। ঈশান এখানে থাকে না। ইউএস থাকে শুধু দ্বীপের রিকুয়েষ্ট এ এসেছে। এর আগে ও অনেকবার এসেছে। ফুলবলিউমে গান বাজছে আর দ্বীপ ড্রাইভ করছে।
শুভ: আমাকে বাসায় ড্রপ করে দিবি।
আবির: আমাকে ও।
দ্বীপ: ফাস্ট এ আমার বাসায় যাবো। দেন তরা তদের বাসায় যাবি।
অভি: এটা কেমন কথা।
দ্বীপ: ঈশান আমার সাথে আমার বাসায় থাকবে। তরা ও এখন আমার সাথে আমার বাসায় যাবি। একটু আড্ডা দিয়ে বিকেলে বাসায় ফিরে যাবি।
শুভ: না। প্লিজ কাল তর বাসায় যাবো। বাট এখন আমাকে আমার বাসায় যেথে হবে।
অভি: শুভ ঠিক বলেছে।
ঈশান: কিন্তু….
আবির: কোনো কিন্তু না। তুই চুপ থাক। আর দ্বীপ আমাদের বাসায় ড্রপ করে দে। লেফটে গাড়ি গুরা।
দ্বীপ: ওকে ওকে।
তারপর দ্বীপ শুভ আবির অভিকে ওদের বাসায় ড্রপ করে নিজের বাসায় আসলো। এসে কলিংবেল বাজালো।

দিয়া ওয়াশরুম থেকে চিৎকার করে বলছে,
দিয়া: অনুর বাচ্চা আমি ওয়াশরুম থেকে একবার বের হই দেখিস তকে কি করি। পানি একবার অন আর একবার অফ করছিস কেনো। আমি সাবান মেখেছি। চোখ জলছে।
অনু: হিহিহিহি। আমার ইচ্ছে করছে তাই।
দিয়ার মা(চিৎকার করে): অনু দেখ তো কে কলিংবেল বাজাচ্ছে। আমি একটু কাজে আছি।
অনু: ওকে আন্টি।
দিয়া: পানি ছেরে দিয়ে যা।
অনু: হাহা দিয়েছি।
অনু গিয়ে দরজা খুললো। খুলে দেখে দুটা ছেলে দারিয়ে আছে।
অনু: কাকে চাই।
দ্বীপ: কাকে চাই মানে। ভেতরে ডুকবো।
অনু: কে আপনারা। পরিচয় না দিলে ভেতরে ডুকতে দেবো না।
দ্বীপ: তুমি কে?
অনু: আমি কে তা আপনাকে বলবো কেনো। আপনারা কে সেটা বলুন।
ঈশান: তুমি ওকে চিনো না।
অনু: উনি কোন মুভির হিরো যে তাকে চিনতে হবে।
দ্বীপ: কিই😡? ওই তুমি কে? আর এই বাড়িতে কি করছো।
অনু: আমার বাড়িতে আমি থাকবো না তো কে থাকবে।
ঈশান: 😮তোমার বাড়ি মানে।
অনু: মানে এটা আমার শশুর বাড়ি।
মাথায় উরনা দিয়ে গুমটা দিয়ে আর লজ্জা পাওয়ার ভান করে। ঈশান হা করে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে আছে। আর দ্বীপ হা করে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে।
দ্বীপ: শশুরবাড়ি মানে। এসব কি বলছো😡
অনু: আরে গাধা শশুরবাড়ি মানে ও বুঝেন না। আমি এই বাড়ির বউ।
দ্বীপ: (বউ? আমার বড় ভাই আছে বলে তো আমি জানি না)
ইশান: কার বউ?
অনু: এই বাড়িতে এসেছেন আর এই বাড়ির মানুষ সম্পর্কে জানেন না। এই বাড়িতে কয়টা ছেলে আছে।
ঈশান: তারমানে তুমি দ্বীপের বউ?
দ্বীপ: সাট আপ ঈশান।
অনু: সাট আপ কেনো। একদম ঠিক বুঝেছেন।
দ্বীপ: whattttt?
অনু: এই আপনি এতো চিল্লান কেনো। আর রেগে রেগে কথা বলছেন কেনো। আপনার থেকে তো উনি অনেক ভালো। কি ভালোভাবে কথা বলছে। দেখতে ও অনেক কিউট।
ঈশান: থ্যাংকস😊।
দ্বীপ: 😡
অনু: এখন কাকে চাই বলেন তো। আমার শাশুরিমাকে রান্নায় হেল্প করতে হবে। আযতা আমার সময় নষ্ট করছেন।
ঈশান: দ্বীপ তুই বিয়ে করলি কবে।
অনু: 🙀দদদ্বীপপ?😱
ঈশান: তোমার বরকে তুমি চিনো না।😂
দ্বীপ: ঈশান তুই চুপ করবি। আর এই মেয়ে তুমি এসব কি উল্ট পাল্টা কথা বলছো। মাথায় কি প্রবলেম আছে।😡
অনুর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। হা করে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে আছে। ও তো মজা করে বলেছে। দ্বীপ এর সামনেই মজা করবে এটা বুঝতে পারে নি। চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে। দ্বীপের মা বাইরে বেরিয়ে আসেন।
দ্বীপের মা: কি হয়েছে রে অনু। এতো চিৎকার চেচামিচি কেনো।
অনু এখনো স্ট্রিট দারিয়ে আছে। কি বলবে বুঝতে পারছে না। দ্বীপের মা দরজায় দ্বীপকে দারিয়ে থাকতে দেখে তারাতারি এখানে আসেন।
দ্বীপের মা: দ্বীপ। তুই? কখন এলি আর বাইরে দারিয়ে আছিস কেনো। তুই আসবি একবার ফোন করে জানাবি না।😥
দ্বীপ: মম কেমন আছো?
দ্বীপের মা: ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে ভালো না থেকে কি পারি।
ঈশান: আন্টি আমি ও এসেছি।
দ্বীপের মা: দেখেছি তো। আয় আমার কাছে। আমার ২ছেলেই চলে এসেছে আমার কাছে। অনু তুই এভাবে একানে দারিয়ে আছিস কেনো। এখানে আয়।
ঈশান: আসো এখানে শাশুরিমার পাশে😁।
দ্বীপ: ঈশান😡
দ্বীপের মা: শাশুরিমা মানে।
অনু: কিছু না আন্টি চলো তো কিচেনে তোমার ছেলে এতো দিন পর দেশে ফিরলো। কিছু স্পেশাল রান্না করবে না।
দ্বীপের মা: হ্যা করবো তো। যা তরা ফ্রেস হয়ে আয়।
দ্বীপ: ওকে।(অনুর দিকে তাকিয়ে)
অনু দ্বীপের মার সাথে কিচেনে দৌর।
দ্বীপের মা: আস্তে পরে যাবি তো।
অনু: ঠিক আছি। আচ্ছা আজ তোমার ছেলে আসবে বললে না তো।
দ্বীপের মা: আমি তো নিজেই জানতাম না। আমাকে বলেছিলো সামনের সপ্তাহে আসবে।
অনু: ওহ।😞
দ্বীপের মা: তকে আর আমাকে হেল্প করতে হবে না। গিয়ে দেখ ঈশান বা দ্বীপের কিছু লাগবে কিনা।
.
দ্বীপ: তুই এসব কি উল্ট পাল্টা কথা বলছিলি😡
ঈশান: আমি কি বললাম। মেয়েটা যা বললো শুধু তাই বলেছি।
দ্বীপ: জাস্ট সাট আপ। মেয়েটা উল্ট পাল্টা কথা বলছিলো আর তুই ও…
ঈশান: ওকে। সরি। আমি আসছি।
বলেই ঈশান ওয়াশরুমে ডুকে গেলো।
দ্বীপ: আমি আগে ফ্রেস হবো।
ঈশান: ৫মি ওয়েট কর।
দ্বীপ: ওকে জলদি।
ঈশান ফ্রেস হয়ে আসলো। দ্বীপ ওয়াশরুমে ডুকলো। এমন সময় অনু জল নিয়ে রুমে ডুকলো।
ঈশান: আরে ভাবিজি যে।
অনু: প্লিজ এটা বলবেন না। আমি জাষ্ট মজা করছিলাম। আমি জানতাম না উনি দ্বীপ।
ঈশান: 😂তাই। ওকে। আর তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেনো। এটা শুনতে ভালো লাগে না। আমায় তুমি করেই বলো।
অনু: ওকে। এই নাও জল খাও। আর কিছু লাগবে। আর উনি কোথায়।
ঈশান: উনি😁 ওয়াশরুমে। আর কিছু লাগবে না। চলো নিচে।
অনু: ওকে আসো।
অনু আর ঈশান নিচে গেলো। টিভি চালিয়ে ওরা গল্প করছে আর টিভি দেখছে। দিয়া রুম থেকে বেরিয়ে উপর থেকে দেখলো অনু কারো সাথে বসে গল্প করছে। ভালো করে তার ফেইস দেখা যাচ্ছে না। তাই দিয়া নিচে আসলো। অনু আর ঈশানের সামনে এসে,,
দিয়া: তুমিইইইই?
ঈশান: দেখতে পারছো না আমি। এভাবে চিৎকার করছো কেনো😐।
দিয়া: 🤬 ভাইয়া ও এসেছে।
ঈশান: 😏হুম।
দিয়া: তোমাকে যেনো আমার আশে পাশে ও না দেখি।
ঈশান: আমার তো আর কোনো কাজ নেই তোমার আশে পাশে কেনো যাবো।
অনু: তুই ওর সাথে এভাবে কথা বলছিস কেনো।
দিয়া অনুর কথা না শুনেই হনহন করে উপরে চলে গেলো দ্বীপের রুমে।
অনু: এটা কি হলো।
ঈশান: কিছু না বাদ দাও।
.
দ্বীপ জাস্ট ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে। দিয়া গিয়ে দ্বীপকে জরিয়ে ধরলো।
দিয়া: ভাইয়া কেমন আছিস? আসবি একবারো জানালি না কেনো।
দ্বীপ: সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। জানিয়ে এলে তর মুখে এই হাসিটা যে দেখতে পেতাম না।
দিয়া: তুই ও না। আর কখনো যাবি না তো।
দ্বীপ: এই বছর যাবো না। পরের বছর বিজন্যাস এর কাজে যেথে হবে।
দিয়া: তরা কেউ আমায় ভালোবাসিস না। বাপি তুই সবাই কিছুদিন পর পর আমাকে রেখে চলে যাস। আর তুই তো চার বছর পর এলি!
দ্বীপ: কে বললো ভালোবাসি না। আমরা কাজের জন্য যাই।
দিয়া: ওকে বুঝেছি। কখন এলি।
দ্বীপ: কিছুক্ষণ আগে। এসেই ফ্রেস হতে ওয়াশরুমে ডুকলাম।
দিয়া: ওহ। তাহলে তারাতারি নিচে আয়। মা খাবার রেডি করছে।
দ্বীপ: ওকে। তুই যা আমি আসছি।
.
দিয়া নিচে এসে দেখলো অনু এখনো ঈশানের সাথে গল্প করছে। দিয়া আর ওদিকে গেলো না। কিচেনে গেলো।
দিয়া: মা রান্না শেষ হয়েছে। ভাইয়া আসছে।
দ্বীপের মা: হুম। গিয়ে টেবিল সাজা।
দিয়া: ওকে।
দিয়া টেবিল সাজাচ্ছে। অনু ও এলো। অনুর পিছন পিছন ঈশান ও এলো।
দিয়া: তোমাকে না বলেছি। আমার থেকে দুরে থাকতে।😡
ঈশান: তুমি হয়তো দেখতে পারছো না আমি অনুর কাছে আছি তোমার কাছে না। আর আমি খেতে এসেছি তোমার সাথে কথা বলতে না।
দিয়া: তুমি জাস্ট আমার সামনেই আসবে না।
ঈশান: আসবো। তোমার প্রবলেম হলে চোখ বন্ধ করে রাখো।
অনু: তরা এভাবে সাপে নেউলে লাগছিস কেনো।
দ্বীপের মা: ওরা এমনই। এক সাথে থাকলেই শুধু ঝগড়া করে। আগে এমন ছিলো না। ৫বছর ধরে এমন করছে।
অনু: কি হয়েছে তোমাদের মাঝে।
দিয়া: তুই থাকবি। অনেক খিদে পেয়েছে। খেতে দাও।
দ্বীপ সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে।
ঈশান: ওই তো দ্বীপ ও এসে গেছে। অনেক খিদে পেয়েছে। আন্টি খেতে দাও।
দিয়া: 😡
দ্বীপের মা: হুম। বস। দিচ্ছি।
দ্বীপ গিয়ে ঈশানের পাশের চেয়ারে বসলো। ঈশানের সামনে দিয়া আর দ্বীপের সামনে অনু।
দিয়া খাচ্ছে আর ঈশানের দিকে রাগি চোখে তাকাচ্ছে। অনু আড় চোখে দ্বীপকে দেখছে। দ্বীপ সরাসরিই তাকাচ্ছে।
দ্বীপ: মম ও কে।
দ্বীপের কথা শুনে অনু দ্বীপের দিকে তাকালো।
দ্বীপের মা: ও তো দিয়ার বেষ্টফ্রেন্ড ওর মা বাবা ব্যাবসার কাজে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে গেছেন ও বাসায় একা তাই এই কিছুদিন আমাদের সাথে থাকবে।
দ্বীপ: ওহ। নাম কি?
অনু: নাম জেনে কাম কি🤨?
দ্বীপ: 😕কোনো কাজ নেই।
ঈশান: ওর নাম অনু।
দ্বীপ: এই কারনেই এতো পিচ্ছি।
অনু: কিইই? আমি পিচ্ছি। নিজেকে দেখো। পিচ্ছি মোল্লা লাগছে।
দ্বীপ: ওয়াট পিচ্ছি মোল্লা?
অনু: এটা ও চিনো না। বাইট্টা লাগছে।
দ্বীপ: কিইই😡? আমার হাইট পুরা ৬ফুট। আর তুমি বলছো আমি খাটো।
অনু: আমার কাছে তো বাইট্টাই মনে হচ্ছে। আর চেহারা দেখলে হিরো আলম।🤣
দিয়া+ঈশান: 😳😂
দ্বীপ: whatttt
অনু: ও মাই গড। তুমি কানে ও কম শুনো। ও আন্টি তোমার এক মাত্র ছেলে কানে কম শুনে।
দ্বীপ: 😠
দ্বীপের মা: অনু চুপচাপ খা তো। ওকে রাগাচ্ছিস কেনো।
অনু: আমি কি করলাম। যা সত্যি তাই তো বললাম। এখন দেখছি সত্যি কথার ও দাম কেউ দেয় না।
দ্বীপ: তুমি বুঝতে পারছো না তোমার জন্য কি ওয়েট করছে😠
অনু: ও সিট। ভালো কথা মনে করেছো। আমার জন্য তো তিথি আর সিমি ওয়েট করছে। দিয়া তারাতারি খা। আমাদের বেরতে হবে।
দ্বীপ: কিইই😡
অনু: এখন তোমার কথা শুনার টাইম নেই। এসে শুনবো। ওকে বাই।
অর্ধেক খেয়েই দিয়ার হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে গেলো। দ্বীপ রেগে বম হয়ে আছে। আর ঈশান হা করে তাকিয়ে আছে অনুর যাওয়ার দিকে।
দ্বীপের মা: দ্বীপ ওর কথায় কিছু মনে করিস না। ও এরখমই। একটু বেশি কথা বলে। বাট মনটা অনেক ভালো।
ঈশান: (ওর কপালে যে কি আছে কে জানে। দ্বীপ যেভাবে রেগে আছে।)
দ্বীপ না খেয়েই রেগে চলে গেলো রুমে। ঈশান খেয়েই গেলো। অনু আর দিয়া রেডি হয়ে একটা পার্কে গেলো। আজ ওদের ঘুরার কথা ছিলো। সেখানে গিয়ে দেখে তিথি আর সিমি দারিয়ে আছে।
অনু আর দিয়া ওদের কাছে গেলো।
অনু: সরি।
সিমি: কখন থেকে তদের জন্য ওয়েট করছি😡
তিথি: ফোন ধরছিলি না কেনো।
দিয়া: সাইলেন্ট করা ছিলো। আর আজ ভাইয়া বাসায় ফিরছে। আমি তো আসতে চাইছিলাম না। অনু জোর করে আনলো।
সিমি: কি দ্বীপ ভাইয়া এসেছেন।
অনু: ভাইয়া😮
তিথি: তুই এতো অবাক হচ্ছিস কেনো। দিয়ার ভাই মানে তো আমাদের ও ভাই।
দিয়া: ওর হয়তো অন্য কিছু😁
অনু: 😡অন্যকিছু মানে।
সিমি: মানে তুই আমাদের ভাবি।
অনু: কিইইই😡ওই বাইট্টা মোল্লায বউ হবো আমি কবি নেহি।
তিথি: 😮এটা কি বলছিস। ভাইয়া যথেষ্ট লম্বা।
দিয়া: ওর কথা বাদ দে তো। আজই ভাইয়া এসেছে। আর আজই ভাইয়ার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিচে। ভাইয়াকে রাগিয়ে ও দিয়ে এসেছে।
অনু: আমি যা বলেছি ঠিক বলেছি। সত্যি কথা কেউই হজম করতে পারে না।😒
দিয়া- তুই ভাইয়াকে হিরো আলম বলেছিস। এটা সত্যি।
তিথি+সিমি: 😱কিইইইই?
অনু: তরা এসব আজে বাজে টপিক নিয়ে কথা বলা বন্ধ করবি। চল ফুচকা খাবো।
সিমি: ওকে চল।
ওরা ফুচকা খেতে গেলো।
দিয়া: তরা কালকে আমাদের বাসায় আসিস।
তিথি: কেনো?
দিয়া: এমনি। ভাইয়া এসেছে। ভাইয়াকে ও দেখে আসবি। আর আড্ডা দেওয়া ও হবে।
সিমি: ওকে।
ওরা আরো কিছুক্ষণ ঘুরে সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরে যায়।
ঈশান: দ্বীপ তর মাথা এখনো ঠান্ডা হয় নি।
দ্বীপ: এই মেয়েটিকে একটা শাস্ত্রি না দেওয়া পর্যন্ত আমার মাথা ঠান্ডা হবে ও না। ওর কতো সাহস। আমাকে হিরো আলম এর সাথে তুলনা করে।
ঈশান: 😁তুই হিরো আলমকে চিনিস কি করে।
দ্বীপ: একবার দেখেছিলাম। আমাকে তো ও চিনে না ওর কি অবস্থা করি দেখিস।
ঈশান: মেয়েটা অনেক ভালো। জাস্ট মজা করে বলেছে।।এতো রাগ করছিস কেনো। বাদ দে না।
দ্বীপ: তুই একদম ওর হয়ে সাফাই গাইতে আসবি না। আজ বাসায় অসোক। ওর মজা বুঝাবো।
ঈশান: (আজকে অনুর কি হবে😣ইশশ)
দ্বীপ: কি ভাবছিস। এই দেখ শুভ ফোন দিয়েছে।
ঈশান: দে।
.
অনু আর দিয়া বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নিলো। অনু ছাদে চলে গেলো। অনুর পিছন পিছন দিয়া ও গেলো। দোলনায় ২জন বসলো।
দিয়া: মন খারাপ।
অনু: না।
দিয়া: আমি জানি। ফোন দিয়ে দেখ। আংকেল আন্টিকে।
অনু: না থাক। ওরা ফ্রি হলেই ফোন দিবে।
দ্বীপ অনুকে উপরে উঠতে দেখেছে তাই দ্বীপ ও উপরে গেলো। দ্বীপের পিছন পিছন ঈশান ও গেলো।
দ্বীপ: দিয়া এই সন্ধ্যা বেলায় তুই এখানে কি করছিস।
দিয়া: কিছু না। অনুর সাথে একটু গল্প করছিলাম।
দ্বীপ: নিচে যা।
দিয়া: কেনো?
দ্বীপ: আমি বলছি তাই।
দিয়া: অনু চল।
অনু: তুই যা। আমি একটু পর আসছি।
দিয়: তারাতারি আসিস।
অনু: হুম।
অনু ভেবেছে দিয়ার সাথে সাথে দ্বীপ ও চলে গেছে। বাট দ্বীপ যায় নি। দ্বীপ ঈশানকে ও পাটিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ দ্বীপ গিয়ে অনুর পাশে বসলো। অনু চমকে উঠলো। তাকিয়ে দেখে দ্বীপ😯।
অনু: তুমিইইইইই?

চলবে?🙄