ভালোবাসার অধিকার পর্ব-০৫

0
682

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ৫

অনু বেলকনিতে দারিয়ে আকাশ দেখছিলো তখনি ওর ফোনটা বেজে উঠে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে ওর মা ফোন দিয়েছেন। অনু খুশি হয়ে ফোনটা রিসিভ করে।
অনু: হ্যা মা বলো।
অনুর মা: কেমন আছিস?
অনু: তোমাদের ছাড়া কিভাবে ভালো থাকবো। খুব মিস করছি।
অনুর মা: আর একটা দিন। পরশু চলে আসবো।
অনু: সত্যি।
অনুর মা: হুম। এখন কি করছিস?
অনু: কিছু না বেলকনিতে দারিয়ে আছি। তুমি?
অনুর মা: একটু বাইরে এসেছি। আচ্ছা, তকে পরে ফোন দিচ্ছি।
অনু: ওকে। বাই।
অনু ফোন কেটে আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। দ্বীপ দিয়ার রুমের এদিক দিয়াই যাচ্ছিলো বেলকনিতে কাউকে দেখে এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখে অনু আকাশের দিকে তাকিয়ে কি একটা ভাবছে।
দ্বীপ: কি ভাবছো?
হঠাৎ কারো কথা শুনে অনু ভয় পেয়ে যায়। তাকিয়ে দেখে দ্বীপ।
অনু: ওহ। তুমি?
দ্বীপ: কেনো? কাকে ভেবেছিলে।
অনু: ভুত😁
দ্বীপ: কি? আমাকে কি ভুতের মতো দেখতে?
অনু: তার থেকে ও ভয়ংকর😜
দ্বীপ: তো ভুতের কাজ শুরু করে দেই।
অনু: মানে?
দ্বীপ: ভুত যা করে তাই শুরু করে দেই।
অনু: কিই করবে?
দ্বীপ অনুর কাছে এগিয়ে গেলো। অনুর হাত ধরে সোজা করে আর একটু কাছে নিয়ে আসলো তারপর মুখটা অনুর মুখের কাছে আনলো। অনু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে বুঝতে পারছে না দ্বীপ কি করতে চাইছে। দ্বীপ যখন ওর মুখ অনুর মুখের আরো কাছে আনলো দ্বীপের নিঃশ্বাস অনুর মুখে পরলো অনু চোখ বন্ধ করে নিলো। দ্বীপ তা দেখে মুচকি হেসে ওর মুখটা অনুর কানের কাছে নিয়ে গেলো দ্বীপের ঠোট অনুর কানে স্পর্শ করতেই অনু কাপতে শুরু করলো। তারপর দ্বীপ বললো,
দ্বীপ: তোমার ঘাড় মটকানোর কথা বলেছি।😂😂
বলেই দ্বীপ সরে গিয়ে হাসতে শুরু করলো। অনু বোকার মতো দ্বীপের দিকে তাকিয়ে আছে। তা দেখে দ্বীপ বললো,
দ্বীপ: আই নো। আই এম সো কিউট। তাই বলে এভাবে তাকিয়ে তাকবে। আমার লজ্জা করে না।
দ্বীপের কথা শুনে অনু দ্বীপের দিকে রাগি চোখে তাকালো। আর বললো,
অনু: নিজেকে কি ভাবো? তুমি একদমই কিউট নও।😏
দ্বীপ: সবাই তো আমাকে হ্যান্ডসাম গুড লুকিং বলে। আমি বুঝতে পারছি তোমার বলতে লজ্জা করছে। ওকে নো প্রবলেম।
অনু: যারা বলে তাদের চোখ ভালো না। বুঝেছো। আর তুমি এখানে কি করছো।
দ্বীপ: বউ এর সাথে রোমান্স করতে এসেছি।
অনু: ওয়াট!! কে তোমার বউ।
দ্বীপ: তুমি তো বলেছিলে তুমি আমার বউ ভুলে গেছো।
অনু: ধুর এখান থেকে যাও তো। তোমার মতো ছেলেকে বিয়ে করার থেকে চিরোকুমারি থাকা ভালো।
দ্বীপ: কিইই😡
অনু: এরকম বয়রা জামাই আমি চাই না।
দ্বীপ অনুর হাত ধরে টেনে দেয়ালে নিয়ে ফেলে। তারপর অনু অনেক কাছে গিয়ে বলে,
দ্বীপ: কি বললে তুমি😡😡
অনু দ্বীপের লাল চোখ আর রাগি ফেইস দেখে ভয় পেয়ে যায়। চোখ বন্ধ করে বলে,
অনু: কককি বলেছি? মমমনে নেই।
দ্বীপের অনুর এমন তোললানি কথা আর ভয় পাওয়া ফেইস দেখে দ্বীপের রাগ চলে যায়। দ্বীপ কিছুক্ষণ অনুর দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর একটু দুরে সরে যায়। অনু এখনো চোখ বন্ধ করে দারিয়ে আছে। তা দেখে দ্বীপ একটু শব্দ করেই হেসে দেয়। দ্বীপের হাসির শব্দ শুনে অনু চোখ খুলে তাকায়। আর ভ্রু কুচকে বলে;
অনু: এটা কি ছিলো।
দ্বীপ: তুমি ভয় পেয়েছো।
অনু: আমি মোটেও ভয় পাই নি।
দ্বীপ: তুমি মোটেও ভয় পেয়েছো। ফেইচ টা দেখার মতো ছিলো। ইশশশ মিস করলাম ছবি তুলা উঠিৎ ছিলো।
অনু: ওই তুমি এখান থেকে বেরোও বলছি।
দ্বীপ: কেনো কেনো?
অনু: আমার ভালো লাগছে না তুমি যাও।
দ্বীপ: আমার বোনের রুমে আমি থাকতেই পারি।
অনু: ওকে তুমি থাকো আমি চলে যাচ্ছি।
অনু এখান থেকে চলে যায় নিচে। দ্বীপ ও অনুর পেছন পেছন বের হয়। অনু গিয়ে ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে। দ্বীপ ও গিয়ে অনুর পাশে বসে। ঈশান ওর মার সাথে ফোন এ কথা বলতে গেছে। দিয়া আগে থেকেই ড্রয়িংরুমে বসে ছিলো। এভাবে দুজনকে বসতে দেখে দিয়া অনেকটা অবাক হয়।
দিয়া: কি হয়েছে?
দ্বীপ: একনো তো কিছুই করলাম না। হবে কোথা থেকে।
দ্বীপ এর কথা শুনে অনু দিয়া দুজনেই দ্বীপের দিকে চোখ বড় বড় করে থাকায়।
দিয়া: কিইইইই?
দ্বীপ: তর মাথা। টিভি দেখ তুই এগুলো বুঝবি না।
দিয়া: 😕😕😕
অনু: 😬😬তুমি আমার পিছু পিছু এখানে আসলে কেনো?
দ্বীপ: আমার ইচ্ছা।
অনু: ইচ্ছা করছে…..
দ্বীপ: কিস করতে করে ফেলো😜😜
দিয়া চিপস খেয়ে খেয়ে টিভি দেখছিলো। দ্বীপের কথা শুনে দিয়ার গলায় চিপস আটকে যায়। আর কাশতে থাকে। ঈশান এসে পানি এগিয়ে দেয়। দিয়া পানি খেয়ে বলে,
দিয়া: থ্যাংকস। ভাইয়া এক্ষনি তো আমায় মেরে ফেলতি।
অনু: অসভ্য ছেলে। এক্ষনি এখান থেকে যাও। নয়তো আমি চলে যাবো।
দ্বীপ: কেনো?
ঈশান: তুমি এভাবে ভিরমি খেলে কি করে।
দ্বীপ: আমার কিস খাওয়ার কথা শুনে।
দিয়া+অনু: 😱😱😱😱
অনু: (এই ছেলের সিয়র মাথা পুরা গেছে। কি পাগল এর মতো কথা বলছে)
ঈশান: 🤔মানে?
দ্বীপ: তুই গাধা ছিলি গাধা আছিস ফিউচারে গাধাই থাকবি।
দিয়া: ভাইয়া এইটা একদম ঠিক বলছিস😂😂।
ঈশান: সাট আপ। কি হয়েছে এখন বলো।
অনু: কিছু হয় নি। ঈশান চলো তো। এই দুভাইবোন এর মাথা পুরো গেছে। আমরা ছাদে যাই চলো।
দ্বীপ: পালাচ্ছ কেনো।
অনু: তোমার মুখ এখন বন্ধ না করলে ঠোট শেলাই করে দেবো।
দ্বীপ: কেনো? ঠোটে কিস করবে। করে ফেলো। নো প্রবলেম।
ঈশান: 😁😁আমি করি।(দিয়ার দিকে তাকিয়ে)
দিয়া: কি🤨?
ঈশান: চুমু।
দিয়া: অসভ্য ছেলে।
দিয়া হাতে থাকা প্লেট ঈশানের দিকে ছুরে মারে ঈশান সরে যায় আর নিচে পরে প্লেটটা ভেঙ্গে যায়। দিয়ার মা শব্দ শুনে নিচে চলে আসেন।
অনু: সব কটা অসভ্য। আমি এখানে থাকবো না।
দিয়ার মা: কি হয়েছে?
দ্বীপ: কিছু না। তোমার মেয়ে প্লেট ভেঙ্গে দিছে।
দিয়া: তুই আমার ভাই না😡। কুত্তা।
অনুর সাথে সাথে দিয়া ও চলে যায়।
ওদের যাওয়া দেখে ঈশান দ্বীপ দুজনেই হাসতে হাসতে নিচে বসে পরে।😂😂
দ্বীপের মা বুঝতে পারছেন না ওরা এমন বিয়েভ করছে কেনো।
দ্বীপের মা: পাগলের মতো হাসছিস কেনো তরা।
ঈশান: কিছু না আন্টি। এমনি।
দ্বীপের মা: ওহ আচ্ছা।
দ্বীপের মা চলে যান। দ্বীপ আর ঈশান চলে যায় ওদের রুমে। ঈশান যায় ওয়াশরুমে দ্বীপ ল্যাপটপ টিপাচ্ছে আর কাজের মেয়েকে বলেছে এক কাপ কফি দেওয়ার জন্য।
মেয়েটা কফি রেডি করে দ্বীপের জন্য নিয়ে যাচ্ছে দিয়ার রুম ক্রস করে দ্বীপের রুমে যেথে হয়। অনু মেয়েটাকে দ্বীপের রুমে যেথে দেখে দার করায় আর বলে,
অনু: দ্বীপের জন্য কফি?
মেয়েটি: হুম।
অনু: ওকে। তুমি যাও আমি দিয়ে আসছি।
মেয়েটি: আচ্ছা।
অনু কফি নিয়ে ছাদে গেলো। নিমপাতার ছোট্ট একটা গাছ আছে। সেখান থেকে কিছু নিমপাতা নিয়ে এটার রস বের করে কফির মগে ডাললো। অনেক বেশিই রস বের করেছে। তারপর সেই কফি নিয়ে দ্বীপের রুমে গেলো। গিয়ে নক করলো,
অনু: আসতে পারি।
দ্বীপ: (কি ব্যাপার ভুল শুনছি নাতো) কে?
অনু: আমি।
দ্বীপ: ওহ। আসো।
অনু: পাখি একটু কাজে ব্যাস্ত তাই আমাকে দিয়ে পাটালো। এই নাও তোমার কফি।
দ্বীপ: (ডালমে কুচ কালা হে) দারাও।
অনু কফি দিয়ে চলে আসছিলো। দ্বীপের কথায় দারিয়ে যায়।
অনু: কি?
দ্বীপ: তুমি আমার রুমে এসেছো এখনি চলে যাবে। একটু বসে যাও।
অনু: পরে আসছি। আমার একটু কাজ আছে।
দ্বীপ: তা বললে তো হবে না। একটু বসতে হবে।
দ্বীপ উঠে অনুকে টেনে সোফায় বসিয়ে দেয়। অনু ভয়ে শেষ। এই কফি খেয়ে যে কি রিয়েক্ট করবে আর অনুকে কি করবে।
দ্বীপ কফি মুখে দিয়েই চোখ বড় বড় করে তাকালো অনুর দিকে। অনু দারিয়ে জোর পূর্বক একটা হাসি এনে বললো,
অনু: আমি আসি। একটু পর আবার আসবো।
দ্বীপ: ওয়েট।(যা ভেবেছিলাম তাই)
দ্বীপ কফির মগটা টেবিলে রেখে অনুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনু ভয়ে পিছচ্ছে।
অনু: এএভাবে এগিয়ে আআসছো কেনো।
দ্বীপ: তুমি পিছচ্ছো কেনো।
অনু যেথে যেথে ওয়াশরুমে দরজায় গিয়ে আটকে গেলো। দ্বীপ গিয়ে ওর দুহাত দরজার কিনারের দুই সাইডে রাখলো। দ্বীপের মুখ পুরো তেতো হয়ে গেছে। এতো তেতো কিছু দ্বীপ কখনোই খায় নি। দ্বীপ চোখ বন্ধ করে নিলো। বন্ধ অবস্থায়ই ও অনুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনু দ্বীপের চোখ বন্ধ দেখে হাতের ফাকে এখান থেকে বেরিয়ে গেলো। দ্বীপ যখনই অনুকে কিস করতে যাবে ঈশান দরজা খুলে বেরিয়ে এলো আর দ্বীপের ঠোট গিয়ে লাগলো ঈশানের ঠোটে। ঈশান একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো। আর অনু হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দ্বীপ ও হা হয়ে গেছে ঈশানকে দেখে।
ঈশান: ছিঃ ছিঃ। এগুলো তুই কি করছিস।(ঈশান ওর ঠোট মুছে)
দ্বীপ কিছু না বলে অনুর দিকে একবার রাগি চোখে তাকিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে গেলো আর বমি করতে থাকলো।
অনু এখনো হাসছে😂😂। ঈশান লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে আছে।
ঈশান: ধুর! এভাবে হাসছো কেনো।
অনু: না এমনি। দেখো গিয়ে ও কি করছে😂
ঈশান ওয়াশরুমে গিয়ে দেখে দ্বীপ বমি করছে। তেতো কফি খেয়ে ভেতরে যা ছিলো সব বেরিয়ে এসেছে।
ঈশান: তুই এমন করছিস কেনো কি হয়েছে।
দ্বীপ: ওকে আমি ছারবো না। আমাকে তেতো কফি খাওয়ানো। আমি ও বুঝাবো।
ঈশান: কিইইই?
দ্বীপ: তর মাথা।

অনু হাসতে হাসতে দিয়ার রুমে গেলো ওর হাসি থামছেই না। ঈশানকে দ্বীপের কিস করার কথা যখনই মনে হচ্ছে ওর হাসির বেগ বেড়েই যাচ্ছে। দিয়া অনুর দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো আর বললো,
দিয়া: পাগলের মতো একা একা এভাবে হাসছিস কেনো।
অনু মুখে হাসি রেখেই বললো;
অনু: তুই শুনলে তুই ও আমার মতো হাসবি।
দিয়া: কি?
অনু দিয়াকে কফি থেকে শুরু করে কিস করা পর্যন্ত সব বললো। দিয়া এসব শুনে দিয়া ও হাসতে লাগলো। ওদের হাসির শব্দ দ্বীপের রুম পর্যন্ত যাচ্ছে। ঈশান দ্বীপ দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে। ওরা বুঝতে পারছে হাসির কারন।
ঈশান: কি ফাটাবাশঁ এর মতো হাসি😕 আর শালা কিস করবি দেখে করবি না😕
দ্বীপ: একদম শালা বলবি না। আমার বোনকে তর কাছে বিয়ে দেবো না।
ঈশান: ওই ডায়নিকে আমি বিয়ে করলে না তুই বিয়ে দিবি ওর থেকে জেসি অনেক ভালো।
দ্বীপ: 😐তাহলে রাজি হয়ে যাস না কেনো।
ঈশান: 😕তুই চুপ থাক।
.
.
রাত সারে দশটা,
সবাই ড্রাইনিং টেবিলে বসে আছে। দিয়া আর অনু দ্বীপ আর ঈশানকে দেখে বার বার হাসছে। দ্বীপ চোখ গরম করে থাকাচ্ছে কোনো কাজ হচ্ছে না।
দ্বীপের বাবা: কি হয়েছে। তোমরা এভাবে হাসছো কেনো?
দিয়া: ভাইয়া বলবো😜
ঈশান: কি বলবে?
দ্বীপ ঈশানের পাশেই বসেছে এবার দ্বীপ ঈশানকে দিলো এক জুরে চিমটি।
ঈশান: আআআ
দ্বীপের মা: কি হয়েছে?
ঈশান: না আন্টি কিছু না।
ঈশান দ্বীপের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
ঈশান: চিমটি দিলি কেনো?
দ্বীপ: তুই গাধার মতো কথা বলছিলি কেনো। ওরা কেনো হাসছে বুঝতে পারছিস না।
ঈশান: ওহ। এবার বুঝেছি।
দ্বীপ: গাধা।
অনু: কি হলো?
ঈশান: কিছু না। খুব খিদে পেয়েছে। চুপচাপ খাও।
অনু: 😏😏
দিয়া: কেনো? তোমার কথায়।
দ্বীপের বাবা: দিয়ামা চুপচাপ খেয়ে নাও। খাবার টেবিলে এতো কথা বলতে নেই।
দিয়া: ওকে।
ওরা ডিনার করে যে যার রুমে চলে যায়। দ্বীপ আর ঈশান ল্যাপটপে মৃনালের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে ওদের কাজের ব্যাপারে। অনু আর দিয়া রুমে বসে গল্প করছে। এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। দিন আগে থেকেই খারাপ ছিলো।
অনু: চল ছাদে।
দিয়া: আমার শীত করছে।
অনু: ধুর চল তো।
অনু দিয়ার হাত ধরে ঠেনে ছাদে নিয়ে যায়। ঈশানের ফোনে একটা কল আসে। ঈশান ফোনে কথা বলতে বলতে বাইরে বের হয়। কথা বলা শেষ করে রুমে ডুকবে দেখে দিয়ার রুম খোলা। ঈশান উকি দিয়ে দেখে রুমে কেউ নেই। ঈশান দরজা টেলে ভেতরে ডুকে পুরো রুম চেক করেও দুজকে পায় না। দ্বীপের কাছে যায় গিয়ে বলে,
ঈশান: দ্বীপ অনু দিয়া রুমে নেই।
দ্বীপ: আছে হয়তো কোথাও।
ঈশান: বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ছাদে যায় নি তো।
দ্বীপ: হতে পারে।
ঈশান: বিজলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
দ্বীপ: গিয়ে ওদের নিয়ে আয়।
ঈশান: একা।
দ্বীপ: তুই যা। আমি কাজটা শেষ করে আসছি।
ঈশান: ওকে।

ঈশান ছাদের দিকে যায়। গিয়ে দেখে অনু আর দিয়া বৃষ্টির মাঝেই ডান্স করছে। ওদের ডান্স দেখে ঈশান হাসি শুরু করে দেয়। কারো হাসির শব্দ শুনে ওরা দরজার দিকে তাকায়,
দিয়া: একি তুমি।
ঈশান: লাফালাফি করছো কেনো এভাবে।
অনু: আরে গাধা এটা ডান্স।
ঈশান: ফানি ডান্স😂😂
দিয়া: কিইই😡
ঈশান: শুনতে পাও নি।
অনু: দিয়া😐
দিয়া: বুঝে গেছি।
ঈশানের ওদের কথা সুবিধার লাগছে না। যেই পালাতে যাবে অমনি দিয়া গিয়ে হাতটা ধরে ফেলে বলে। “কোথায় পালাচ্ছো”।
ঈশান: 😬নিচে যাচ্ছি।
দিয়া: তোমার আর যাওয়া হবে না। ডান্স করো।
ঈশান: ওয়াটট।
অনু: ওয়াট না। ডান্স করো। নয়তো চারছি না।
ঈশান: পুরুষ নির্যাতন।
দিয়া: যাই মনে করো।
ঈশান: এটা ঠিক না।
অনু: আমাদের ডান্সকে অপমান করার আগে মনে ছিলো না।
ঈশান: সরি। আর তোমরা ও চলে এসো জ্বর এসে যাবে।
অনু: যাই আসুক তোমার ডান্স না দেখে যাচ্ছি না।
ঈশানকে ওরা টেনেটুনে ডান্স করাচ্ছে। ঈশানের অবস্থা খারাপ। দ্বীপ কাজ শেষ করে ছাদে যায় গিয়ে দেখে,,

চলবে?🙄