ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১৩

0
624

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৩


অনু আর দ্বীপ বসে আছে নদীর কিনারে চুপচাপ। আশে পাশে অনেক কাপল আছে। তারা শুধু বসে নেই আরো অনেক কিছুই করছে🙈।
দ্বীপ: তুমি এই জায়গায় আসো।(কনফিউসড হয়ে)
অনু: হুম। কেনো?
দ্বীপ: কার সাথে।
অনু: মানে?
দ্বীপ: আমি তো এখানে সিংগেল কাউকে দেখছি না। সবাই পার্টনার নিয়ে এসেছে।
অনু: 😒আমি একাই আসি। আমার তো আর কেউ নেই। এই জায়গায় বসে থাকতে আমার অনেক ভালো লাগে।
দ্বীপ: এখানে এসব শিখার জন্য আসো।
অনু: ছিঃ এসব কি বলছো। আমি কেনো এসব শিখতে আসবো।
দ্বীপ: আসতেই পারো। চারিদিকে তাকিয়ে দেখো। আমার তো মনে হয় সিংগেলরা এসব শেখার জন্যই এখানে আসে।
অনু চারিদিকে তাকালো তারপর রাগি লুকে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে বললো,”তোমার চোখ আমি খুলে ফেলবো। সব দিকে তাকাও কেনো।(অনু উঠে দারালো) এই তুমি চলো তো এখান থেকে। আমার আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো। তোমাকে এখানে নিয়ে আসা আমার ঠিক হয়নি।”
দ্বীপ: 😂কেনো? আমি কি করলাম।
অনু: তুমি ওসব দিকে তাকালে কেনো। ওরা যা ইচ্ছে তাই করবে। তুমি তাকাবে কেনো?
দ্বীপ: ওরা পাবলিক প্লেস এ এসব করে কেনো? করলে তো মানুষের চোখ ওদিকে যাবেই।
অনু: ওরা করবে। তুমি কেনো তাকাবে। মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না। তাই না। লুচু ছেলে।
দ্বীপ: যা বাব্বা। আমি এখন কি করলাম।
অনু: তুমি এখান থেকে উঠবে কিনা বলো😡।
দ্বীপ: না। এখানে আরো বসবো।
অনু: ওহ। এসব দেখতে খুব ভালো লাগছে তাইনা😡।
দ্বীপ: 😁হুম। করতে ও ইচ্ছে করছে।
অনু: ছিঃ! তোমার মুখ আমি শেলাই করে দেবো কিন্তু।
দ্বীপ: কিস করতে পারো। আমি বারন করবো না।
অনু: তোমার মুখে কিছুই আটকায় না। লজ্জা শরম কি সব বেচে চলে এসেছো।
দ্বীপ: আরে বাবা এখানে লজ্জার কি আছে। আমি কি অন্য কোনো মেয়েকে এসব বলছি। তোমাকেই তো বলছি। লজ্জা করবে কেনো।
অনু: আমাকেই বা কেনো বলবে। আমি তোমার কে হই।
দ্বীপ এতক্ষণ বসে বসে কথা বলছিলো। অনুর এই কথায় দারিয়ে গেলো। আর অনুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনু ভয়ে ভয়ে পিছচ্ছে।
অনু: একি তুমি এগিয়ে আসছো কেনো।
দ্বীপ কিছু না বলেই এগুচ্ছে।
অনু: আ–রে বলবে তো।
পিছনে একটা গর্ত। অনুর গর্তে পা লাগার আগেই দ্বীপ অনুর হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। অনু গিয়ে পরে দ্বীপের বুকে। দ্বীপ অনুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,”এখনো বুঝতে পারছো না। তুমি আমার কে?”
অনুর হার্টবিট খুব ফাস্ট চলছে। হাত পা কাপছে। মুখে যতোই বকবক করোক। দ্বীপের কাছে আসলে শরির পুরো অবশ হয়ে যায়। কাপা কাপা গলায় বললো,
অনু: প্লিজ ছারো।
দ্বীপ: কেনো? তোমার হার্ট এতো ফাস্ট বিট করছে কেনো?
অনু: তুমি আগে আমায় ছারো প্লিজ।
দ্বীপ ছেড়ে দিলো। অনু জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। আরো কিছুক্ষণ থাকলে দম বন্ধ হয়ে যেতো। তা দেখে দ্বীপ হাসছে। অনু দ্বীপের দিকে রাগি লুক এ তাকালো।
দ্বীপ: একনো তো কিছুই করলাম না। তাতেই তোমার এই অবস্থা। করলে তো…..
অনু: চুপ! তুমি আর একটা ও কথা বলবে না। তোমার সাথে আসাই আমার ভুল হয়েছে।
দ্বীপ: কেনো আমি কি করলাম।
অনু: আবার বলছো কি করেছো। আমার থেকে ১০হাত ধুরে থাকবে বুঝেছো।
দ্বীপ অনুর আরো কাছে এসে বললো,”কেনো।”
অনু: 😐প্লিজ দুরে যাও।
দ্বীপ হাসছে অনুর অবস্থা দেখে।
দ্বীপ: ওকে ওকে। এমন রিয়েক্ট করার মতো তো কিছু করিনি। এসব তো নরমাল।
অনু: তারমানে তুমি আরো মেয়েকে জরিয়ে ধরেছো? অসভ্য লুচু ছেলে। আমি আগেই বুজেছিলাম তুমি এরকম। ছিঃ তুমি….
দ্বীপ: জাস্ট সাট আপ। এসব কি বলছো তুমি। আমি কেনো অন্য মেয়েদের জরিয়ে ধরতে যাবো।
অনু এবার কেদে কেদে বললো,”তাহলে কেনো বললে জরিয়ে ধরাটা নরমাল।”
দ্বীপ: আরে তুমি কাদছো কেনো।
অনু: তুমি খুব খারাপ ছেলে। তুমি অন্য মেয়েদের ও জরিয়ে ধরো। নেহার সাথে ও তোমার বিয়ে ঠিক। ওর কাছে ও যাও। তুমি একদম আর আমার কাছে আসবে না বলে দিচ্ছি😭।
দ্বীপ অনুর এমন কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে। অবাক হয়ে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে। অনু ওর মতো কথা বলেই যাচ্ছে।
অনু: তোমাকে কতো ভালো ভেবেছিলাম। কিন্তু তুমি একদম ভালো না। তোমার জন্য ওই নেহাই ঠিক আছে😭। ওর কাছেই তুমি যাও। আমার কাছে আসবে না।
দ্বীপ: ওকে। বাট এইভাবে কাদছো কেনো।
অনু: খচ্চর ছেলে। আমি কাদছি কোথায় আমার কান্না থামাবে তা না। আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আর আমি কাদছি কেনো বুঝতে পারছো না। আবার জিজ্ঞেস করছো।
দ্বীপ: ও। ইউ মিন জেলাস।
অনু: ওয়াট।
দ্বীপ: তোমার কথায় বুঝতে পেরেছি। আমি অন্য মেয়েদের জরিয়ে ধরেছি এটা তোমার ভালো লাগে নি। নেহার সাথে আমায় দেখলে জেলাস ফিল করো।
অনু: মোটেও আমি জেলাস ফিল করি না। তুমি যা ইচ্ছা তাই করো তাতে আমার কি।
অনু অন্য দিকে ঘুরে কথাটা বললো। এতো সময় কি বলেছে তা ও নিজে ও জানে না। রাগের মাথায় বলে ফেলেছে। অনু ভাবছে,”ধুর এসব কি বলেছি। ও যা ইচ্ছা তাই করোক তাতে আমার কি”
দ্বীপ: তোমারই তো সব।
অনু অবাক হয়ে বললো,”কি”
দ্বীপ: আমাকে অন্য মেয়েদের সাথে দেখলে তোমার তো খারাপ লাগবেই।
দ্বীপ অনুর কাছে এসে আস্তে করে বললো,”ইউ লাভ মি”
অনু: কিইইই? একদম না।
দ্বীপ: হ্যা।
অনু: নাআআ।
দ্বীপ: আমি বলছি তো হ্যা।
অনু: আমি বলছি তো না।
দ্বীপ: ওকে তাহলে আমি নেহার কাছে চলে যাই।
অনু: তোমার ইচ্ছা হলে যাও। আমাকে বলছো কেনো।
দ্বীপ: নেহাকে গিয়ে জরিয়ে ধরবো। কিস করবো। তারপর….
অনু: চুপপপ! তুমি যা ইচ্ছা তাই করো আমাকে এসব বলছো কেনো😠?
দ্বীপ: ওকে। বলবো না। বাট তুমি এতো রেগে যাচ্ছ কেনো।
অনু দাতে দাত চেপে বললো,”আমি রেগে যাচ্ছি না”
দ্বীপ: তাহলে তোমার মুখ লাল টমেটো হয়ে গেলো কেনো। ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে।
অনু: নেহাকে গিয়ে খাও। আমাকে একদম এসব বলবে না😡।
দ্বীপ: আমি নেহার সাথে এসব করলে তুমি সহ্য করতে পারবে।
অনু: কেনো পারবো না😡।
দ্বীপ: নেহা কিন্তু আমার বাসায়ই থাকে। ওর সাথে অনেক কিছুই করতে পারবো।
অনু এবার দ্বীপের কলার চেপে ধরে বললো,”তুমি যা ইচ্ছা তাই করো আমাকে এসব বলছো কেনো😠”
দ্বীপ: 😮কলার ছারো।
অনু তাকিয়ে দেখে দ্বীপের অনেক কাছে চলে গেছে। অনু দ্বীপের কলার ছেড়ে দিলো। বাট দ্বীপ অনুর কমড় জরিয়ে ধরে আরো কাছে নিয়ে আসলো।
দ্বীপ: তোমাকে দেখেই মনে হচ্ছে। তুমি জেলাস। তাহলে স্বিকার করছো না কেনো?
অনু: তুমি ভুল ভাবছো।
দ্বীপ: ও তাই।
অনু: হুম।
দ্বীপ: সিওর।
অনু: হুম।
দ্বীপ অনুকে ছেড়ে দিলো।
দ্বীপ: চলো।
অনু: কোথায়?
দ্বীপ: তোমাকে তোমার বাসায় পৌছে দেবো। তুমি যখন আমায় ভালোই বাসো না। তাহলে তোমার সাথে কেনো আমি ঘুরবো। আমি এখন নেহার কাছে যাবো।
অনু: 😡যাও যাও। কেউ তোমাকে আটকিয়ে রেখেছে। ওই মেয়েটা ও লুচু তুমি ও লুচু। দুজনকে খুব ভালো মানাবে।
দ্বীপ: একদম নেহার বিষয়ে উল্টো পাল্টা কথা বলবে না। ও আমার ফিয়ন্সে।
অনু: কুত্তা বিলাই ইদুর। তুমি না বললে ওকে তুমি বোনের নজরে দেখো। ছিঃ ছিঃ তুমি এইরকম আমি ভাবতেই পারছি না😭
অনু কাদতে কাদতে আর দ্বীপকে বকা দিতে দিতে চলে যাচ্ছে দ্বীপ হাসবে না রাগ করবে বুঝতে পারছে না। এখান থেকে অনুর বাসা বেশি দুরে নয়। অনু একটা রিক্সায় উঠে গেলো। উঠার আগে একবার পিছনে তাকালো। দ্বীপ ওখানেই দারিয়ে হাসছে।
অনু: 😡আমি চলে এলাম একবারো আটকালো না। ওখানেই দারিয়ে হাসছে। আর একবার আমার সামনে আসলে খুন করবো শয়তানের নানাকে।

আবির মিষ্টিকে রাস্তার কিনারে পায় একটা বেলুন উয়ালার কাছে দারিয়ে আছে আর বেলুনটির দিকে তাকাচ্ছে। আবির মিষ্টির কাছে গিয়ে বললো,”মামনি তুমি আমাকে না বলে এখানে কেনো আসলে। জানো তোমায় কতো খুজেছি”
মিষ্টি: আমি বেলুন এর পিছনে এসেছি। আমার কাছে তো টাকা নেই তাই এই আংকেল আমায় বেলুন দিচ্ছেন না।
আবির: আমাকে বললে না কেনো। আমি কিনে দিতাম।
মিষ্টি: তুমি তো মামনির সাথে কথা বলতে ছিলে।
আবির হেসে দিলো মিষ্টির কথা শুনে। এতো ছোট বাচ্চা কিন্তু কতো কিছু বুঝে। আবির দুটা বেলুন কিনলো। একটা মিষ্টিকে দিলো। অন্যটা নুহাস এর জন্য নিলো। আবির মিষ্টিকে কোলে নিয়ে তিথির কাছে আসলো।
তিথি: কোথায় গিয়েছিলো?
আবির: রাস্তায় বেলুনের জন্য।
বাবু এটা তোমার জন্য।
নুহাস: থ্যাংক ইউ আংকেল।
তিথি: আমি আসি। আপু ফোন দিয়েছিলো। যেথে বলেছে।
আবির: ওকে। বাই।
তিথি: বাই।

প্রহর খুব জোরে ড্রাইভ করে হসপিটাল গেলো। ঈশান নদী আর মৃনাল একটা কেবিনে বসে গল্প করছিলো। প্রহর রিসেপশনিস্ট এর কাছ থেকে কেবিন নাম্বার জেনে সেখানে যায়। গিয়েই ঈশান এর শার্ট এর কলার ধরে দার করায়,
প্রহর: তুই আমাকে আগে বললি না কেনো তুই দিয়াকে ভালোবাসিস।
ঈশান: এসব কি বলছিস তুই।
মৃনাল: প্রহর কি হয়েছে তর।
প্রহর: এখন বুঝতে পারছিস না। তাইনা কি বলছি। দিয়া তকে ভালোবাসে এটা আমায় আগে বললি না কেনো। তুই জানতি না দিয়াকে আমি ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি। ভালোবাসাটা ২দিন এর ছিলো না।
ঈশান: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস। দিয়া কেনো আমায় ভালোবাসতে যাবে।
মৃনাল: প্রহর যা বলার বসে বল। এইভাবে কেউ কথা বলে। ঈশানের কলার ছাড়।
প্রহর ঈশানের কলার ছেড়ে দিলো আর দেওয়ালে একটা পান্চ মারলো।
নদী: কি করছো এসব। কি হয়েছে এবার বলো তো।
প্রহর: দিয়া আজ আমায় বলেছে ও ঈশানকে ভালোবাসে।
ঈশান: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস। ও বললো আর তুই ও বিশ্বাস করে নিলি। তুই জানিস না ও আমার উপর অনেক রেগে আছে।
প্রহর: হুম। জানতাম ও তকে পছন্দ করে না। বাট ও আজ নিজে বলেছে ও তকে ভালোবাসে।
ঈশান: আমি ওর সাথে কথা বলবো। দিয়া তকে ভালোবাসে না হয়তো তর থেকে বাচার জন্য বলেছে। আমাকে ও ভালোবাসতেই পারে না।
প্রহর: আমি তো ওকে কখনো ডিস্টার্ব করি নি। চুপচাপ ভালোবেসে গেছি। সব বিপদ থেকে প্রটেক্ট করেছি ছায়া হয়ে ওর সাথে থেকেছি।
ও আমার কাছ থেকে পালাতে চায়। ফাইন। ওকে আর এসব নিয়ে কিছু বলবো না। তুই বলে দিস। আর ভালোবাসার দাবি নিয়ে ওর কাছে যাবো না।
প্রহর রেগে চলে গেলো এখান থেকে ঈশান দুম করে চেয়ারে বসে পরলো।
নদী: ঈশান কি হয়েছে?
ঈশান: দিয়া এটা কি করলো। প্রহর ওকে এতো ভালোবাসে এটা ও বুঝলো না।
নদী: দিয়া প্রহরকে ভালোবাসে না তাই ওর কাছে যা ঠিক মনে হয়েছে তাই করে ফেলেছে। তুমি ওকে বুঝিয়ে বলো। ও বুঝবে।
মৃনাল: তুই বাসায় গিয়ে দিয়ার সাথে কথা বল।
ঈশান: ওকে আমি আসি। বাই।
নদী+মৃনাল: বাই।

অনু রুমে এসে ফোনটা বিছানায় ছুরে মারলো। রাগে মাথাটা ভন ভন করছে।
অনু: কি সাহস বলে কিনা নেহার সাথে ঘুরতে যাবে। ফিয়ন্সে। ছাগল কোথাকার কাল রাতেই বললো নেহাকে বোনের নজরে দেখে এখন কিনা বলে ফিয়ন্সে। ধুর আমার এতো রাগ উঠছে কেনো। আমি কেনো এসব সহ্য করতে পারছি না।
অনু আর কিছু বলার আগেই ওর ফোনে একটা মেসেজ আসে। অনু ফোন হাতে নিয়ে দেখে দ্বীপ মেসেজ দিয়েছে। লিখেছে,”কজ ইউ লাভ মি”
অনু অবাক হয়ে গেছে এটা দেখে। দ্বীপ জানলো কিভাবে ও কি ভাবছে।
অনু: একদম আমি তোমায় ভালোবাসি না। তোমার মতো লুচু ছেলেকে আমি ভালোবাসতেই পারি না। তুমি আরো মেয়েকে জরিয়ে ধরেছো😭

ঈশান বাসায় ডুকেই দিয়ার রুমে যায় গিয়ে দেখে দিয়া জানালার কাছে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। ঈশান গিয়ে দিয়ার কান থেকে টাস করে হেডফোন টা খুলে নিলো।
দিয়া: কি হয়েছে?
ঈশান: কি হয়েছে এটা তুমি বলছো। তুমি প্রহরকে এসব কি বলেছো।
দিয়া: কি বলেছি?
ঈশান: দিয়া একদম আমার মাথা গরম করাবে না বলে দিচ্ছি। প্রহর তোমাকে ভালোবাসে আর তুমি…
দিয়া: তুমি বাসো না।
ঈশান: ওয়াট!!
দিয়া: বলেছি তুমি আমায় ভালোবাসো না।
ঈশান: না। তোমাকে আমি আমার বেষ্টফ্রেন্ড এর বোনের নজরেই দেখি। আর কিছু না। আর যেখানে জানি আমার অন্য বেষ্টফ্রেন্ড তোমাকে ভালোবাসে সেখানে আমার ভালোবাসার প্রশ্নই উঠে না।
দিয়া: প্রহর তোমার ফ্রেন্ড আমার না।
ঈশান: দিয়া এটা মজা করার টাইম না। প্রহর তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসে। ও আজ খুব হার্ট হয়েছে। তোমার জন্য যদি আমি আমার ফ্রেন্ডকে হারাই তাহলে কিন্তু খুব খরাপ হবে।
দিয়া: আমি উনাকে ভালোবাসি না।
ঈশান: কেনো?
দিয়া: যদি বলি তোমার জন্য।
ঈশান: ওহ! তাই। আমার সাথে তো অলটাইম তুমি ঝগড়াই করো। তা ভালোবাসাটা আসলো কোথা থেকে।
দিয়া: বাদ দাও এসব।
দিয়া আবার কানে হ্যাডফোন লাগিয়ে দিলো। ঈশানের ইচ্ছা করছে দিয়াকে একটা চর মারতে। হাত শক্ত করে মুট করে এখান থেকে চলে গেলো রুমে। ফ্রেস হয়ে বিছানায় এসে বসলো।
দ্বীপ আরো কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এলো। এসে দেখে ঈশান ল্যাপটপ টিপাচ্ছে।
দ্বীপ: কখন এলি।
ঈশান: অনেকক্ষণ হলো।
দ্বীপ: ওহ।
দ্বীপ ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেস হতে। ফ্রেস হয়ে বিছানায় এসে বসলো অন্য একটা ল্যাপটপ নিয়ে।
নেহা বাসায় ছিলো না এতক্ষণ। বাইরে গেছিলো। বাসায় এসেই দ্বীপের রুমে ডুকে। দ্বীপের পাশে বসে।
নেহা: দ্বীপ তুমি কিন্তু বলেছিলে আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবে। বাট গেলে না।
দ্বীপ: একটু বিজি ছিলাম তো তাই।
নেহা: এখন চলো।
দ্বীপ: এখনি তো বাসায় ফিরলাম।
নেহা: কাল থেকে অফিসে চলে যাবে আর তো টাইম পাবে না।
ঈশান: (ইচ্ছে করছে এটাকে দুটা থাপ্পড় দিতে এমনিতেই মাথা গরম তার উপর এসে বকবক করেই যাচ্ছে) দ্বীপ চলে যা।
নেহা: প্লিজ চলো।
দ্বীপ: ওকে চলো।
দ্বীপ নেহাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো ঈশান ল্যাপটপটা অফ করে পাশে রাখলো। আর বিছানায় শুয়ে পরলো।


চলবে?🙄🙄