ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১২

0
604

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১২


অনু ভার্সিটিতে ডুকে দেখে তিথি দিয়া সিমি মায়রা সবাই দারিয়ে আছে। অনু যেথেই সিমি বললো,
সিমি: জলদি ক্লাসে চল ভাইয়া দেখলে বকবে।
অনু: উনি এটা ছাড়া আর কি চিনেন। চল।
তিথি: আমি আজ ফুল ক্লাস করবো না। আমাকে ১২টায় বাসায় ফিরতে হবে।
দিয়া: কেনো?
তিথি: নিথিআপু যেথে বলেছে।
মায়রা: ওকে। এখন চল ক্লাসে।
ওরা সবাই ক্লাসে চলে গেলো। আজকের সেকেন্ড ক্লাস প্রহরের।

দ্বীপ ঈশান ও বাকিরা অফিসে এসেছে সব দেখে নিতে। কাল থেকে জয়েন। মৃনাল আসে নি ও হসপিটার গেছে নদীর সাথে দেখা করতে। সবাই অফিসটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।
শুভ: ফাইনালি এতো দিনের ড্রিমটা সত্যি হলো।
অভি: রাইট। এবার বিয়ের কথা ভাবতে হবে।
আবির: বাসায় মায়রার কথা বলে ফেল।
অভি: হুম বলবো। এতো দিন যখন ওয়েট করেছি আরো কিছুদিন করি।
শুভ: ফাইনার এক্সাম শেষ না হলে কেউ বিয়ের জন্য রাজি হবে না।
অভি: রাইট।
ঈশান ওদের সামনে একটা চেয়ারে এসে বসলো। আর বললো,
ঈশান: কি নিয়ে কথা হচ্ছে।
অভি: বিয়ে নিয়ে।
ঈশান: আমি যে কবে ইউএস ফিরে যাবো। আর বিয়ে করবো।
আবির: দেশেই কোনো মেয়েকে সিলেক্ট করে ফেল। বিদেশি মেয়েদের আমার পছন্দ না।
ঈশান: এখানে চুজ করে কি হবে। মম ড্যাড তো এখানে আসবে না।
শুভ: রাইট। উনারা এখানে আসলে প্রবলেম কি সেটাই বুঝতেছি না।
ঈশান: আসবেন না যখন বলেছেন তো আসবেনই না। আমাকেই যেথে হবে। তদের বিয়েটা খেয়েই চলে যাবো।
অভি: তর বিয়েতে আমরা থাকবো না?
ঈশান: কেনো থাকবি না। তরা ইউএস চলে যাবি।
শুভ: সময় আসলে দেখা যাবে। এখনি তো এসব হয়ে যাচ্ছে না।
দ্বীপ সব কিছু চেক করে ওদের কাছে আসলো। এসে বললো,
দ্বীপ: সব কিছু ঠিক আছে। কাল টাইম মতো সবাই চলে আসিস।
আবির: হুম। আজ তো আর কোনো কাজ নেই।
শুভ: নেই।
অভি: তাহলে আজ মায়রাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাই।
ঈশান: শুভ তুই ও সিমির সাথে একটু টাইম স্পেন্ড করতে পারিস। নিউ অফিস কিছুদিন হয়তো ওর সাথে কথা বলার টাইম পাবি না। অনেক কাজ থাকবে।
দ্বীপ: রাইট। শুভ তুই সিমিকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দে।
আবির: ইশশশ আমার বউটা যে কোথায়। এখন ওর শূন্যতা অনুভব করছি।
ঈশান: 😂বিয়ে করে নে। নয়তো কারো সাথে প্রেম কর।
আবির: হঠাৎ করে কার সাথে প্রেম করবো। এর থেকে আমি বাসায় যাই। আপু এসেছে মিষ্টির সাথে আমি ঘুরবো।
দ্বীপ: সো সেড।
আবির: মজা নিবি না।
দ্বীপ: আরে মজা নিলাম কোথায়। তর কষ্টটা তো আমরা ফিল করছি।
ঈশান: আমার ও তো কেউ নেই।
দ্বীপ: তুই আমার সাথে চল ভার্সিটিতে দিয়াকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাবি।
অভি: ওকে। তাহলে আমি আসি। মায়রাকে ফোন দিয়ে বলে দেই আসার জন্য।
শুভ: ওয়েট। ওরা তো এখন সবাই ভার্সিটিতে রাইট।
আবির: হুম।
শুভ: আবির ছাড়া তো সবাই সেখানেই যাবো। তাহলে একসাথেই চলো।
ঈশান: গাড়ি তো আলাদা।
শুভ: তো কি হয়েছে? আলাদা গাড়ি করেই এক সাথে যাবো।
দ্বীপ: ওকে চল।
অভি: বাট ওদের তো ১টায় ক্লাস শেষ। এখন ১১:৫০বাজে।
শুভ: কিছু হবে না। ওদের বললে লাস্ট ক্লাস না করেই আসতে পারবে।
ঈশান: ওকে। লেটস গো।
আবির চলে গেলো ওর বাসায় বাকিরা গেলো ভার্সিটিতে।
তিথি লাস্ট ক্লাস না করেই বেরিয়ে গেছে। ওর বাসায় যেথে হবে ওর কাজিন নিথি আপু আর উনার ছেলে নুহাস এসেছে।
তিথি চলে যাওয়ার পরই মায়রার কাছে অভির কল আসে। মায়রা কল রিসিভ করে,
মায়রা: হ্যালো বলো।
অভি: তোমরা সবাই বাইরে বের হউ। আর নিচে আসো।
মায়রা: কেনো?
অভি: আরে বাবা। আগে আসো। আমি ওয়েট করছি।
মায়রা: তুমি এখানে এসেছো।
অভি: হুম।
মায়রা: ওকে। ৫মি ওয়েট করো। আমরা আসছি।
অভি ফোন কাটতেই সামনে তাকিয়ে দেখে প্রহর আসছে।
শুভ: প্রহর।
প্রহর: তরা এখানে কেনো?
অভি: আমি মায়রাকে নিতে এসেছি।
শুভ: আমি তর বোনের সাথে প্রেম করতে এসেছি।
প্রহর: কি? আমার সামনে বলছিস আমার বোনের সাথে প্রেম করবি।
ঈশান: বলতেই পারে। শুভ ভিতু নাকি।
প্রহর: আমার পারমিশন নিয়ে করলে ঠিক আছে।
দ্বীপ: তুই কোন যুগে বসে আছিস। এখন ভাই এর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে কে বোনের সাথে প্রেম করে।
শুভ: আর আমি তর কাছ থেকে পারমিশন নিতে আসি নি। ওকে।
প্রহর: এখন আমি যদি যেথে না দেই।
শুভ: আটকিয়ে দেখা।
প্রহর: 😐😐
সিমি মায়রা তিথি দিয়া আর অনু চলে এলো ওদের কাছে। এখানে আসতেই দিয়া বললো,
দিয়া: কি ব্যাপার আজ সবাই এক সাথে এখানে কেনো?
অভি: মায়রাকে নিতে এসেছি।
শুভ: আমি তো প্রেম করতে আসছি।
দিয়া: ভাইয়া তুই কেনো আসছিস।
দ্বীপ: তকে দেখতে।
দিয়া: কেনো বাসায় দেখিস নি।
অভি: তরা কথা বল। আমি যাই। চলো মায়রা। বাই।
অভি মায়রার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলো।
শুভ: আমি ও যাই।
প্রহর: সিমু আমি না বললে যাবে না।
ঈশান: শুভ এই বডি কেনো বানিয়েছিস। যদি তুলে নিয়ে যেথে না পারিস।
শুভ: সিমি চলো।
সিমি কি করবে বুঝতেছে না। প্রহরের দিকে একবার তাকাচ্ছে আরেকবার শুভর দিকে। প্রহর হাসছে।
অনু: সিমি চলে যা কিছু হবে না।
দিয়া: আপনি এমন করছেন কেনো। নিজে তো প্রেম করেনই না। নিজের বোনকে ও করতে দিবেন না। আর ও তো অন্য কারো সাথে যাচ্ছে না।
প্রহর: তুমি রাজি থাকলে তো আমি প্রেম করবো।
দিয়া: আপনি সিমিকে যেথে দিন।
প্রহর: যেথে দেবো। যদি তুমি আমার সাথে এখন আসো।
প্রহর জাস্ট মজা করছিলো। বাট দিয়া সিরিয়াসলি ভেবে নিয়েছে প্রহর সিমিকে যেথে দিবে না। তাই প্রহর ও সুযোগ পেয়ে এটার ব্যাবহার করতেছে।
দিয়া: এটা ঠিক না। আমি কেনো আপনার সাথে যাবো।
প্রহর: তোমার সাথে ঘুরতে ইচ্ছে করছে তাই।
দিয়া: তো আমি কি করবো।
দ্বীপ: চলে যা। এখন বাসায় গিয়ে আর কি করবি।
দিয়া: আমি অনুর সাথে ঘুরতে যাবো।
দ্বীপ: অনু আমার সাথে যাবে।
সবাই: 😲😲
ঈশান: বাহ বাহ! সবাই ড্রাবল হয়ে গেছে।
অনু: এসব কি বলছো। কিসের ড্রাবল।
দ্বীপ: ঈশান একদম বিষয়টারে নেগেটিভলি নিবি না। দিয়া চলে যা।
দিয়া: না। তাহলে আমি ঈশানের সাথে যাবো।
ঈশান: কেনো? তুমি প্রহরের সাথেই যাও। ডায়নি নিয়ে আমি ঘুরতে পারবো না।
দিয়া: 😠😠
অনু: দিয়া তুই যার জন্য এতো কথা বলছিস। ওরা কোথায়।
সবাই তাকিয়ে দেখে শুভ আর সিমি কেউ নেই। ওদের কথা বলার মাঝখানেই শুভ সিমিকে নিয়ে চলে গেছে।
প্রহর: চলে গেছে?
দিয়া: ভালো হয়েছে। তাহলে আমি ও বাসায় যাই।
প্রহর: আমি বাসায় ড্রপ করে দেই।
দিয়া: ঈশান তুমি এখন বাসায় যাবে না।
ঈশান: না।
ঈশান বাসায় যেথে চেয়েছিলো। এখন আর যাবে না। গিয়ে একা বোর হবে। তাই ভাবছে ও হসপিটাল চলে যাবে। বাচ্ছাটাকে ও দেখে আসবে আর নদী আর মৃনালের সাথে ও আড্ডা দেওয়া যাবে।
প্রহর: এখন তো আমার সাথে আসতেই পারো।
অনু: দিয়া চলে যা।
দিয়া: সোজা বাসায় নিয়ে যাবেন। অন্য কোথাও না।
প্রহর: ওকে।
ঈশান: তাহলে আমি আসি।
দ্বীপ: কোথায় যাবি।
ঈশান: হসপিটাল।
দ্বীপ: ওয়েট। আমি তর জন্য গাড়ি আনাচ্ছি।
দ্বীপ ফোন দিয়ে একটা গাড়ি আনালো। ঈশান চলে গেলো। প্রহর দিয়াকে নিয়ে চলে গেলো। অনু দ্বীপের সাথে যাচ্ছে।
অনু: কোথায় যাবে।
দ্বীপ: কাল রাতে যেখানে গিয়েছিলাম সেখানে যাবো।
অনু: কেনো?
দ্বীপ: এতো দিন পর দেশে ফিরেছি। এই শহরটা ভালো করে ঘুরা হয় নি। কাল সবার সাথে অনেক ঘুরেছি বাট সব জায়গায় যাই নি। আজ যাবো।
অনু: তাহলে ফাস্ট এ ওই জায়গায় কেনো?
দ্বীপ: কাল রাতের অন্ধকারে জায়গাটা ভালো করে দেখি নি। এখন দেখবো।
অনু: হুহ।

তিথি নুহাসকে নিয়ে একটা শিশুপার্ক এ এসেছে। নুহাস খুব কান্না করছিলো তাই তিথি ঘুরাতে নিয়ে আসে। নুহাসকে নিচে নামাতেই ও অন্যবাচ্চাদের কাছে চলে যায়। তিথি ফোন টিপতে টিপতে হাটছিলো। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগে। পরে যেথে নিলেই লোকটি ধরে ফেলে। তিথি চোখ বন্ধ করে আছে। কিছুক্ষণ পর চোখ খোলে দেখে আবির হা করে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর তিথির একহাত আবিরের শার্ট এর কলারে অন্য হাত আবিরের পিছনের শার্ট খুব শক্ত করে দরে রেখেছে। আর আবির তিথির কমোড় আর মাথা ধরে আছে।
তিথি হাত ছেড়ে দেয়। আবিরের ও হুশ আসে। ও তিথিকে ভালো করে দার করায়।
আবির: দেখে চলতে পারো না।
তিথি: আপনি দেখে চলতে পারেন না।
আবির: এখানে দোষটা আমার না তোমার। ফোন এর ভিতরে চোখ থাকলে তো ধাক্কা খাবেই।
আবির: আপনি যখন দেখেছেন আমি ফোন টিপাচ্ছিলাম তাহলে আপনি একটু সরে হাটতে পারেন নি। মেয়ে দেখলেই শুধু ধাক্কা খেতে ইচ্ছে করে তাই না।
আবির: তোমার মতো হট মেয়ে থাকলে ধাক্কা খেতে তো ইচ্ছে করবেই😜। সাথে আরো অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে।
তিথি: 😲কিই? লুচু।
আবির: কানে শুনতে পাও নি😉 আর লুচুর কি করলাম। চান্স দিলে করতে পারবো।
তিথি আবিরের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। আবির মুচকি হেসে তিথি আরেকটু কাছে গেলো। তিথির কমোড় ধরে টেনে আবিরের কাছে নিয়ে আসলো। তিথির শরির পুরো অবশ হয়ে গেছে। লরতে পারছে না। নিজেকে আবিরের থেকে ছাড়ানোর শক্তিটা ও নেই। আবিরের জায়গায় অন্য কেউ হলে এতক্ষণে নাকে একটা ঘুসি দিয়ে দিতো। আস্তে আস্তে বললো,
তিথি: কি করছেন।
আবির: কোথায় কি করলাম। একনো তো কিছুই করিনি।
তিথি: 😲মানে।
আবির কিছু বলতে যাবে এর মধ্যে মিষ্টি এসে বলে, “মামু ওই আন্টিটা কে”। আবির সাথে সাথে তিথিকে ছেড়ে দেয়।
আবির: তোমার কি মনে হয় মামনি।
মিষ্টি: আমার মনে হয় মামি।
তিথি: 😱😱
আবির: মামি হিসেবে তোমার ওকে পছন্দ হয়েছে।
মিষ্টি: হুম। খুউউব। কত্তো কিউট।
তিথি: একটা বাচ্চাকে এসব কি বলছেন আপনি।
আবির: কেনো। ভুল কি বললাম।
তিথি: এটা ভুল না। মামি হিসেবে পছন্দ হয়েছে কিনা এটা বলছেন কেনো। আমি তো ওর কিছু না।
আবির: কিছু না তো কি হয়েছে। হয়ে যাবে।
তিথি: হয়ে যাবে মানে। আপনি আমাকে কি ভাবছেন। যখন যা ইচ্ছা তখন তাই বলবেন। আপনার না গার্লফ্রেন্ড আছে। তাহলে আমাকে এসব বলছেন কেনো।
আবির: আমি কখন বললাম আমার গার্লফ্রেন্ড আছে।
তিথি: কাল সিমির বাসায় বলেন নি। আপনি কি আমাকে বাজারের মেয়ে ভাবছেন। গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্তেও এসব করছেন কেনো?
আবির: তিথি। জাস্ট সাট আপ। আর একটা ও কথা বলবে না তুমি। আমি কাল জাস্ট তোমাকে রাগানোর জন্য তুলির কথা বলেছি। আমি দেখতে চেয়েছি তুমি কেমন রিয়েক্ট করো।
তিথি: মানে?
আবির: তুলি আমাকে পছন্দ করে। বাট আমার ওকে একদমই সহ্য হয় না। আমি এমন একটা মেয়েকে আমার লাইফে চেয়েছি যাকে একবার দেখাতেই ভালো লেগে যায়। একবার দেখেই তার সাথে বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখি। যাকে একবার দেখলেই বার বার দেখতে ইচ্ছে করে। প্রথম দিন তোমার সাথে ঝগড়া হয়েছে। খুব রাগ উঠেছিলো সেদিন তোমার উপর। কারন আমার সাথে কখনো কেউ উচু গলায় কথা বলে নি। তাই পরের দিন যখন তোমায় রাস্তায় দেখি ইচ্ছে করেই গাড়িটা তোমার দিকে নেই আর কাদা তোমার গায়ে লাগিয়ে দেই। গাড়ি থেকে নেমে ও তোমার হেল্প করার বদলে কথা শুনিয়ে চলে যাই। প্রথম দিনের রাগটাই তোমার উপর ঝেরেছি।
বাট শুভর বাসায় যাওয়ার পর অনেক খারাপ লাগে। যখন প্রহরের বাসায় তোমাকে প্রথম দেখি তখনি আমার চোখ মন তোমার দিকেই থেমে যায়। পরে তোমায় সরি বলতে চেয়েছিলাম। বাট চান্স পাই নি। আর তখন তুলির কথা ও ইচ্ছে করেই বলেছি। তুমি রেগে যাও কিনা তা দেখতে চেয়েছি। কেনো চেয়েছি তা আমি জানি না। বাট আমি দেখেছি তুমি রেগে গিয়েছিলে।
তিথি: আমার একদমই রাগ উঠে নি। সেদিন আপনার জন্য আমার আবার বাসায় গিয়ে ড্রেস চেন্জ করতে হয়েছে।
আবির: হুম। আমার সাথে মেচ করে ড্রেস পরেছিলে।
তিথি: একদম না। সামনে যে ড্রেস পেয়েছি সেটাই পরেছি। আর আমি জানতাম না আপনি সিমির বাসায় আসবেন।
নুহাস এসে তিথির উড়না ধরে টানে। তিথি হাটু গেড়ে বসে।
তিথি: কি হয়েছে?
নুহাস: আন্টি উনি কে?
তিথি: আংকেল।
নুহাস: আংকেলটা অনেক কিউট।
আবির: তাই কত্তো কিউট।
নুহাস দু হাত দুদিকে দিয়ে দেখায়।”অনেক”
তিথি আবির দুজনই হেসে দেয়।
আবির: তোমার নাম কি?
নুহাস: নুহাস।
আবির: নাইস নেইম।
আবির পাশে তাকিয়ে দেখে মিষ্টি নেই।
আবির: মিষ্টি কোথায় গেলো।
তিথি: এখানেই তো ছিলো।
আবির: আমি দেখছি।
আবির চারপাশে দেখছে কিন্তু মিষ্টিকে খুজে পাচ্ছে না।

প্রহর অর্ধেক রাস্তায় গাড়ি দার করালো। তা দেখে দিয়া বললো,
দিয়া: গাড়ি দার করালেন কেনো?
প্রহর: এখন তোমাকে বাসায় পৌছে দিতে ইচ্ছে করছে না।
দিয়া: আপনি কিন্তু বলেছেন বাসায় নিয়ে যাবেন।
প্রহর: নিয়ে তো যাবোই। চিন্তা করো না আমার কাছে রাখবো না। ৫মি এর জন্য তো একটু থাকতে পারো।
দিয়া: কোথায়?
প্রহর: পাশে একটা নদী আছে। জায়গা খুব সুন্দর সেখানে নিয়ে যাই।
দিয়া: ওকে।
প্রহর গাড়িটা নদীর সাইডে দার করালো। তারা গাড়ি থেকে নেমে পাশের একটা ব্রেঞ্চ এ বসলো।
প্রহর: এবার তোমার মনের সব কথা ক্লিয়ার করে আমায় বলো।
দিয়া: কি বলবো।
প্রহর: তুমি কাকে ভালোবাসো।
দিয়া: তা আপনি জেনে কি করবেন?
প্রহর: দিয়া আমি তোমায় আজ থেকে না। সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি। আমাদের বিয়ে ও ঠিক। বাট তুমি আমায় পছন্দ করো না। এখন বলছো যে তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো। কাকে ভালোবাসো তা জানার অধিকার আমার আছে।
দিয়া: আমি আপনাকে পছন্দ করি না। এটা কখন বললাম। আমি বলেছি আমি আপনাকে ভালোবাসি না। আমার থেকে ও অনেক ভালো মেয়ে আছে ভার্সিটিতে যারা আপনার জন্য পাগল। তাদের কাউকে বিয়ে করে নেন।
প্রহর: জাস্ট সাপ আপ। একদম আজে বাজে কথা বলবে না😡 যা বলছি তার উওর দাও।
দিয়া: (উপপপ এখন কার নাম বলি। ইয়েস পেয়েছি) ঈঈঈশান।
প্রহর: whattttt
প্রহর মুখ লাল হয়ে গেছে রাগে। ও ভাবতে ও পারে নি দিয়া ঈশানকে ভালোবাসবে আর ঈশান তো ওকে কিছু বলে নি। দিয়া ভয় পেয়ে আছে প্রহরের ফেইস দেখে দিয়া চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে। ও বুঝতে পারছে না ঈশান এর নাম বলে ভুল করেছে না ঠিক করেছে। প্রহর আর কিছু না বলে দিয়ার হাত ধরে টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে যায়। দিয়া ও চুপচাপ যায় কিছু বলে নি। প্রহর গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দেয় আর দিয়ার বাসার সামনে গাড়ি দার করায়। গাড়ি এতো স্পিডে চালায় ২মি এ পৌছে যায়। দিয়া তো ভয়ে শেষ। ভয়ে কিছু বলতে ও পারে নি। গাড়ি থামতেই তারাতারি গাড়ি থেকে নেমে বাসার ভিতরে চলে যায়। পিছনে ঘুরে ও তাকায় নি।


চলবে?🙄🙄