#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৪
।
।
অনু ফোনটা বিছানা থেকে তুললো তারপর রুম থেকে বেরিয়ে পরলো। এখন ও দিয়ার বাসায় যাবে। নিচে নামতেই অনুর মা বললেন,”কোথায় যাচ্ছিস। এখনি তো আসলি”
অনু: একটু দিয়ার বাসায় যাবো। এখনি চলে আসবো।
অনুর মা: কেনো?
অনু: তোমাকে এসে সব বলছি।।এখন বাই।
অনু গাড়িতে উঠেই ড্রাইবার আংকেলকে বললো,”আংকেল জলদি গাড়ি চালিয়ে দিয়ার বাসায় নিয়ে চলো”
আংকেল: ওকে।
অনুর গাড়ি বাসায় কাছে আসতেই অনু দেখলো দ্বীপের গাড়ি বাইরে যাচ্ছে। গাড়িতে দ্বীপের সাথে কে এটা দেখতে পেলো না।
অনু: আংকেল স্টপ।
আংকেল: কি হয়েছে?
অনু: সামনের গাড়িটাকে ফলো করো।
আংকেল: কেনো? তুমি না বাসায় যাবে।
অনু: যাবো না। ওই গাড়িটাকে জলদি ফলো করো।
আংকেল: আচ্ছা।
আংকেল দ্বীপের গাড়ির পিছনে যাচ্ছেন। অনু গাড়ি থেকে বার বার মাথা বের করে উকি দিচ্ছে।
আংকেল: মামনি এইভাবে মাথা বের করো না।
অনু: আংকেল কিছু হবে না। তুমি গাড়ি জলদি চালাও।
কিছুক্ষণ পর অনু তাকিয়ে দেখে দ্বীপ এর গাড়ি একটা রেষ্টুরেন্ট এর সামনে এসে দারিয়েছে।
অনু: আংকেল এখানেই দার করাও। আর সামনে যেও না।
গাড়ি দার করাতেই অনু গাড়ি থেকে নামলো। আর রেষ্টুরেন্ট এর সামনে গেলো। সেখানে গিয়েই ওর মাথা গরম হয়ে গেলো নেহাকে দেখে।
অনু: 😡এই পেত্নিকে নিয়ে এসেছে।
অনু ভিতরে কিভাবে যাবে এটাই ভাবছে। দ্বীপ বা নেহা দেখলে প্রবলেম আছে। অনু ওর উড়না দিয়ে মাথা পুরো কাভার করে নিলো। তারপর ভিতরে গিয়ে দ্বীপের পিছনের একটা চেয়ারে বসলো। আর ওরা কি বলছে তা শুনার চেষ্টা করছে।
নেহা: দ্বীপ খুব খিদে পেয়েছে। কিছু ওর্ডার করো।
দ্বীপ: হুম। করছি। ওয়েটার
ওয়েটার: ইয়েস স্যার বলুন।
দ্বীপ মেনু কার্ড দেখে অর্ডার করলো। ওই ওয়েটারই দ্বীপের অর্ডার নিয়ে অনুর কাছে গেলো।
ওয়েটার: ম্যাম আপনি কি ওর্ডার করবেন?
অনু কিছু না বলে মেনুকার্ড দেখিয়ে বললো কফি দেওয়ার জন্য। ওয়েটার চলে যেথেই অনু শুনতে পেলো নেহা বলছে,”দ্বীপ এখান থেকে বেরিয়ে কিন্তু আমরা শপিং করতে যাবো।”
দ্বীপ: ওকে।
নেহা: দ্বীপ তোমাকে একটা বলবো।
দ্বীপ: হুম বলো।
নেহা: তুমি কি অন্য কাউকে পছন্দ করো।
দ্বীপ কিছু বলতে যাবে তখনি সামনের আয়নায় তাকিয়ে দেখে অনুর মতো সেইম ড্রেস পরা মেয়ে। দ্বীপ ঘুরে পিছনে তাকালো। মুখ উড়না দিয়ে ডাকা তাই বুঝা যাচ্ছে না কে। বাট দ্বীপ সিওর এটা অনুই। অনুকে জ্বালানোর জন্য বললো,”না তো। কেনো?”
অনু: 😡😡
নেহা: তাহলে আমাকে বিয়ে করতে প্রবলেম কোথায়। আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
দ্বীপ: নেহা আমি এটা নিয়ে তোমার সাথে বাসায় গিয়ে কথা বলি।
নেহা দ্বীপের হাত ধরলো অনু আড় চোখে এটা দেখছে। আর রাগে জ্বলছে। দ্বীপের ইচ্ছে করছে নেহাকে একটা চর মারতে বাট ও নিজেকে কন্ট্রোল করছে শুধু অনুকে জ্বালানোর জন্য।
নেহা: মা বাবা আন্টি সবাই চান এই বিয়েটা হোক প্লিজ তুমি রাজি হয়ে যাও।
দ্বীপ: আমি বলছি তো এটা নিয়ে তোমার সাথে বাসায় কথা বলবো।
নেহা: বাসায় কেনো। এখানে বললে প্রবলেম কোথায়। তুমি শুধু একবার হ্যা বলে দাও।
অনু রাগে আর একানে থাকতে পারলো না। খুব খারাপ লাগছে দ্বীপকে অন্য কারো সাথে দেখে। অনু এখান থেকে উঠে চলে যাচ্ছে পিছন থেকে ওয়েটার বলছে,”ম্যাম আপনার কফি”
অনু এসব না শুনেই চলে যাচ্ছে। দ্বীপ অনুকে যেথে দেখে নেহার হাত থেকে ওর হাত ছুটিয়ে নিলো। কফির আর ওদের খাবারের বিল দিয়ে নেহাকে বললো,”তুমি খেয়ে বাসায় চলে যেও। আমি একটু পর বাসায় আসছি”
নেহা: দ্বীপ তুমি আমাকে একা রেখে কোথায় যাচ্ছ।
দ্বীপ নেহার কথা কানে না তুলেই চলে গেলো। গিয়ে দেখে অনু গাড়িতে উঠে চলে যাচ্ছে। দ্বীপ ও গাড়িতে উঠলো আর অনুর গাড়িকে ফলো করছে। গাড়ি ভেতরে ডুকতেই অনু গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ডুকে দৌড়িয়ে রুমে চলে গেলো। অনুর মা কিচেনে ছিলেন। অনুকে দেখেন নি। দ্বীপ ও অনুর বাসার সামনে আসলো। দারোয়ানকে বলে গেইট এর ভেতরে ডুকলো। বাসার সামনে গিয়ে বেল বাজালো। অনুর মা এসে দরজা খুলে দিলেন,
অনুর মা: কে?
দ্বীপ: আন্টি আমি দ্বীপ দিয়ার ভাই।
অনুর মা: ওহ। তুমি। আসো ভেতরে।
দ্বীপ: আন্টি অনু?
অনুর মা: ও তো তোমাদের বাসায়ই গিয়েছে।
দ্বীপ: না আন্টি ও চলে এসেছে। আই থিংক রুমে আছে।
অনুর মা: আমি তো দেখি নি।
দ্বীপ: একনি এসেছে। ওর রুমটা?
অনুর মা: ওহ। উপরের কর্নারের রুমটা ওর।
দ্বীপ: ওকে। আন্টি আমি যাবো।
অনুর মা: যাও।
দ্বীপ গেলো অনুর রুমের সামনে। বাইরে থেকেই অনুর কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছে। দ্বীপের মনে হচ্ছে ভেতরে কেউ চুরি চালিয়ে দিয়েছে। অনুর কান্নার শব্দ ওর সহ্য হচ্ছে না।
দ্বীপ দরজা খুলে ভেতরে ডুকে দেখে। অনু বালিশে মুখ ঘুজে কাদছে।
দ্বীপ: আমাকে অন্য কারো সাথে যখন সহ্যই করতে না পারো। তাহলে স্বিকার করো না কেনো। ভালোবাসো।
অনু মুখ তুলে দ্বীপের দিকে তাকালো। তারপর বিছানা থেকে উঠেই দ্বীপকে জরিয়ে ধরে কেদে দিলো। দ্বীপ ও জরিয়ে ধরলো।
দ্বীপ: প্লিজ কান্না বন্ধ করো।
অনু:😭😭
দ্বীপ: কি হলো বলছি তো কান্না বন্ধ করো।
অনু:😭😭
দ্বীপ: আমার কথা কি শুনতে পারছো না।
দ্বীপ অনুকে নিজের থেকে ছারিয়ে নিলো। তারপর অনুর দুগালে হাত রেখে বললো,”কি হয়েছে। বলছি না কান্না বন্ধ করো”
অনু চোখের জল মুচে নিলো। দ্বীপের হাত সরিয়ে বললো,”তুমি এখানে কেনো।”
দ্বীপ: রেষ্টুরেন্ট এ তোমাকে দেখেছি আমি।
অনু: ওহ। ভালো।
দ্বীপ: তুমি ওইভাবে চলে এলে কেনো?
অনু: আমার ইচ্ছা। তা তোমাকে বলতে যাবো কেনো। তুমি নেহার কাছে যাও। ওকে একা রেখে এলে কেনো?
দ্বীপ: আমি তোমাকে দেখেই নেহার সাথে তখন এমন বিহেভ করেছিলাম।
অনু: ভালো।
দ্বীপ: আমি জানি তুমি আমাকে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারো না। তাহলে বলো না কেনো?
অনু: তুমি ভুল জানো।
দ্বীপ: ওহ তাই। তাহলে তুমি এভাবে কাদছিলে কেনো?
অনু: এমনি।
দ্বীপ: তুমি স্বিকার করবে না তো।
অনু: ??
দ্বীপ: ফাইন। আমি আসছি।
দ্বীপ অনুর রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। অনুর ইচ্ছে করছে দ্বীপকে আটকিয়ে বলতে,”আই লাভ ইউ দ্বীপ” বাট যখনই নেহার কথা মনে হচ্ছে খুব রাগ হচ্ছে। অনু এবার ওয়াশরুমে ডুকে শাওয়ার ছেড়ে কান্না শুরু করে দিলো। দ্বীপ নিচে যেথেই অনুর মা বললেন,”কিছু হয়েছে?”
দ্বীপ: না আন্টি। আমি আসি।
অনুর মা: একনি তো আসলে একনি চলে যাবে। একটু বসো।
দ্বীপ: অন্যদিন আসবো। আজ যাই।
অনুর মা: ওকে। আসো কিন্তু।
দ্বীপ: হুম।
দ্বীপ চলে গেলো। অনুর মা উপরে গেলেন। গিয়ে দেখেন অনু রুমে নেই। ওয়াশরুম থেকে শব্দ আসছে। অনুর মা ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কিয়ে বললেন,”অনু দরজা খুল। কি হয়েছে আমাকে বল। তুই কি কাদছিস?”
অনু ওর মার কথা শুনে দরজা খুলে দেয়। ড্রেস নেয় নি তাই চেন্জ করতে পারে নি।
অনুর মা: তর চোখ মুখ ফুলা কেনো? তুই কাদছিলি?
অনু: না মা। আমার ড্রেসটা দাও। আমি চেন্জ করবো।
অনুর মা ড্রেস এনে দিলেন। অনু দরজা বন্ধ করে চেন্জ করে নিলো। দরজা খুলে দেখে ওর মা এখানেই দারিয়ে আছে।
অনুর মা: আমাকে বলবি না। কি হয়েছে?
অনু: সত্যি কিছু হয় নি।
অনুর মা: তুই আমার মেয়ে। তর মনের কথা আমি বুঝতে পারি। তাই মিথ্যে কথা না বলে কি হয়েছে বল। দ্বীপ তকে কিছু বলেছে।
অনু গিয়ে ওর মাকে জরিয়ে ধরে বললো,”ওর সাথে অন্য কোনো মেয়েকে কেনো সহ্য করতে পারি না আমি?”
অনুর মা: ওকে ভালোবেসে ফেলেছিস।
অনু: কিন্তু ওকে তো অন্য একটা মেয়ে ও ভালোবাসে।
অনুর মা: কে?
অনু নেহার কথা সব ওর মাকে বললো। আর দ্বীপ যা বলেছে তা ও বললো। আজ রেষ্টুরেন্ট এ যা হয়েছে তা ও বললো। সব শুনে উনি বললেন,”দ্বীপ তো ওই মেয়েটাকে ভালোবাসে না। তাহলে তর প্রবলেমটা কোথায়। আর দ্বীপ তো বলেছে ওকে বোনের নজরে দেখে।”
অনু: নেহা তো দেখে না। আজ ওর কথায়ই বুঝতে পেরেছি। আর কখনো দেখবে ও না।
অনুর মা: তুই এতো কিছু ভাবছিস কেনো? দ্বীপ তকে ভালোবাসে তুই দ্বীপকে ভালোবাসিস। তুই শুধু তদের কথা ভাব। অন্য কথা কেনো ভাববি তুই। তকে আমি এইভাবে দেখতে পারবো না। সব মা ই প্রথমে তার মেয়ের কথা ভাববে। আমি বলছি তুই দ্বীপের সাথে এখনি কথা বল।
অনু: সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ওর বাসায় তো এখন যেথে পারবো না।
অনুর মা: বাসায় যাওয়ার জন্য বলি নি। ফোন দে।
অনু: ওকে। থ্যাংক ইউ মা।
অনুর মা মুচকি হেসে চলে গেলেন নিচে। অনু দ্বীপকে ফোন দিলো। বাট দ্বীপ ফোন রিসিভ করছে না।
।
দ্বীপ বাসায় এসে দেখে নেহা ড্রয়িংরুমে বসে আছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে। দ্বীপ নেহাকে এভোয়েড করে উপরে চলে যাচ্ছিলো। তখনি নেহা দ্বীপকে ডাক দেয়। দ্বীপ দারিয়ে যায়।
নেহা: আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়েছিলে।
দ্বীপ: তা জেনে তুমি কি করবে। নেহা আমি সকালে ও বলেছি এখনো বলছি তোমাকে আমি বোনের মতো দেখি তাই এসব আজে বাজে চিন্তা মাথা থেকে বাদ দাও। রেষ্টুরেন্ট এ তোমায় কিছু বলি নি। কারন সেখানে অনু ছিলো ওকে জ্বালানোর জন্য তোমার সব কথা শুনে গেছি।
নেহা: মানে?
দ্বীপ: কিছু না।
দ্বীপ উপরে চলে গেলো ওর আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না।
নেহা: ইউ মিন টু সে……নো এটা হতে পারে না।
।
দ্বীপ উপরে গিয়ে দেখে ঈশান বসে আছে। দ্বীপ গিয়ে সোফায় বসলো।
ঈশান: কি হয়েছে?
দ্বীপ: নাথিং।
ঈশান: সিওর।
দ্বীপের ফোন বাজছে। দ্বীপ তাকিয়ে দেখে অনু ফোন দিতেছে। ওর ফোন ধরছে ইচ্ছে করছে না। এমনি মাথা গরম করে দিয়েছে। এখন আরো কি থেকে কি বলবে মাথাটা আরো বেশি গরম হবে। দ্বীপ ফোন সাইলেন্ট করে রেখে দিলো।
এদিকে অনু ফোন দিয়েই যাচ্ছে। বাট দ্বীপ ফোন ধরছে না। অনুর কাছে ঈশানের নাম্বার নেই। তাই দিয়ার কাছে কল দিলো। দিয়া ও ফোন ধরছে না।
অনু: এই দুভাই বোন এর কি হলো। ফোন ধরছে না কেনো। ইশশশ এখন কি করি। আমার তো ভালো লাগছে না।
।
ঈশান দ্বীপকে কিছু বলতে চাইছে বাট পারছে না এটা দ্বীপ খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।
দ্বীপ: কিছু বলার থাকলে বলে ফেল।
ঈশান: তুই কি করে বুঝলি তকে কিছু বলতে চাই।
দ্বীপ: তর হাভ ভাব দেখে।
ঈশান: আমি ইউএস ফিরে যেথে চাই।
দ্বীপ: whattttt এটা কি বলছিস। তর দু মাস পর ফিরার কথা।
ঈশান: আমার মনে হয় এতো দিন থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না।
দ্বীপ: কি হয়েছে?
ঈশান: কিছু হয় নি।
দিয়া এই রুমে আসছিলো। ঈশান এর কথা শুনে দারিয়ে গেলো। আর ভেতরে ডুকলো না। দরজার পাশেই দারিয়ে রইলো।
দ্বীপ: তর এখন যাওয়া হবে না। তাই যাওয়ার কথা মাথা থেকে বাদ দে।
ঈশান: দ্বীপ প্লিজ। ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা কর।
দ্বীপ: বললে না বুঝার চেষ্টা করবো।
ঈশান: আমি কিছু বলতে পারবো না। আমি শুধু চলে যেথে চাই।
দিয়া রুমের ভেতর ডুকে বললো,”তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।”
দ্বীপ: বল।
দিয়া: ওকে আলাদা বলতে চাই।
ঈশান: যা বলার এখানে বলো।
দিয়া: ঈশান কথাটা আমি জাস্ট তোমাকে বলতে চাই।
দ্বীপ: চলে যা।
ঈশান দিয়ার পিছন পিছন ছাদে গেলো।
দিয়া: আমার জন্য কেনো তুমি চলে যাবে?
ঈশান: আমি তোমার জন্য যাচ্ছি না।
দিয়া: আমি জানি কেনো যাচ্ছ। আমি স্যারকে বলে দেবো এগুলো সব মিথ্যে।
ঈশান: গুড।
দিয়া: তুমি যেও না।
ঈশান: কেনো?
দিয়া: এটা আমার রিকুয়েষ্ট। এবার তুমি দেখবে আমার রিকুয়েষ্টটা রাখবে কিনা।
দিয়া নিচে চলে যাচ্ছে। ঈশান তাকিয়ে আছে দিয়ার যাওয়ার দিকে ও বুঝতে পারছে না। দিয়ার মনে কি চলছে। ঈশান দোলনায় বসে পরলো।
দিয়া রুমে গিয়ে দেখে অনু ফোন দিচ্ছে। দিয়া ফোন রিসিভ করলো।
দিয়া: কি হয়েছে বল।
অনু: এতক্ষণ কোথায় ছিলি। ফোন দরছিলি না কেনো?
দিয়া: ফোন রুমে ছিলো আমি রুমে ছিলাম না। কি হয়েছে বল।
অনু: তুই দ্বীপকে প্লিজ বল। আমার ফোনটা রিসিভ করতে।
দিয়া: ওয়েট। বলছি।
দিয়া অনুর কল না কেটেই দ্বীপের রুমে গেলো।
দ্বীপ: ভাইয়া অনু বলেছে ওর ফোনটা রিসিভ করার জন্য।
দ্বীপ: আমি এখন কথা বলতে পারবো না।
দিয়া: কি হয়েছে তর।
দ্বীপ: কিছু হয় নি। তুই এখন রুম থেকে যা।
দিয়া ফোন কানে তুলতেই অনু বললো,”দ্বীপকে আর কিছু বলিস না। যা বলার আমি কাল ডিরেক্ট বলবো।”
দিয়া: কি হয়েছে তদের মধ্যে।
অনু: কাল বলছি তকে।
দিয়া: ওকে।
।
আরো কিছুক্ষণ পর দ্বীপ নিচে যায় রুমে ভালো লাগছিলো না। ঈশান ও রুমে নেই। নিচে এসে দেখে ড্রয়িংরুমে কেউ নেই। দ্বীপ গিয়ে সোফায় বসলো। দ্বীপ বসতেই নেহা আসলো। দ্বীপ কিছু বললো না। মুখ হাত দিয়ে ডেকে বসে আছে। হঠাৎ করে নেহা বললো,”অনুকে ভালোবাসো”
দ্বীপ মুখ থেকে হাত সরালো। আর বললো,”হু”
নেহা: বলে দিয়েছো?
দ্বীপ: ডিরেক্ট বলি নি। বাট ও জানে।
নেহা: ও কি বললো।
দ্বীপ: আই নো সি লাভস মি। বাট স্বিকার করে নি।
নেহা: ওহ।
দ্বীপের বাবা এসে দ্বীপের পাশে বসলেন।
দ্বীপের বাবা: কি হয়েছে?
দ্বীপ: কিছু না।
দ্বীপের বাবা: ঈশান কোথায়।
দ্বীপ: জানি না। দিয়ার সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলো। এখনো আসে নি।
দ্বীপের বাবা: দিয়া তো রুমে একা দেখে এলাম।
দ্বীপ: আমি দেখছি ঈশান কোথায়।
দ্বীপ দিয়ার রুমে গিয়ে জানতে পারলো দিয়া ঈশানকে ছাদে রেখে এসেছিলো। দ্বীপ ও ছাদে গেলো। ঈশান ওখানেই বসে আছে। দ্বীপ গিয়ে ঈশানের পাশে বসলো।
দ্বীপ: দিয়ার সাথে তর কিছু হয়েছে।
ঈশান: না কি হবে।
দ্বীপ: সিওর।
ঈশান: হুম।
দ্বীপ: ওকে নিচে চল।
।
।
চলবে?🙄