#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১১
রেদ গাড়ি থামিয়ে কোট টা খুলে শার্টের হাতা ফোল্ড করে গাড়ি থেকে নেমে পরলো,,,গাড়ি থেকে নামতেই বৃষ্টির পানি রেদকে ভিজিয়ে দিলো,,,,
পরী কান্না করছিলো তখনি পরী নিজের পাশে করো উপুস্থিতি টের পেয়ে ভয় পেয়ে পাশে তাকিয়ে দেখে রেদ আরাম করে তার পাশে বসে রয়েছে,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
পরী রেদ কে দেখে বেঞ্চ থেকে উঠে দাড়িয়ে বলল-আপনি এখানে কেনো এসেছে,,,
রেদ পরী কথা শুনে পরীর দিকে তাকিয়ে বলল-বৃষ্টিতে ভিজতে আসছি,,,,
পরী-ওহ তাইলে ভিজেন,,,
বলে পরী হাটা ধরলো,,,রেদ তাদেখ পরীর সামনে গিয়ে দাড়ালো,,,
পরী-কী বেপার এভাবে সামনে দাড়ালেন কেনো???
রেদ-ar u serious তোমার সত্যি এটা মনে হলো আমি নিজের বাড়ির এতো বড় পার্টি রেখে ভিজতে এসেছি এখানে,,,,
পরী-তাহলে কোনো আসছেন,,,,,ওহ আপনার ক্লাইন্ট কে থাপ্পড় মেরেছি তার জন্য,,,ওকে কাল আপনি আমার রেজাইন লেটার পেয়ে….
পরীর কথা মাঝ পথেই থামিয়ে দিলো রেদ-ওহ জাস্ট সাট আপ পরী,,,তুমি ভাবলে কী ভাবে আমি তোমার রেজাইন এর জন্য এসেছি,,,,,আমার চিন্তা হচ্ছিলো তোমাকে নিয়ে তাই এসেছি,,,,
পরী-বাট কেনো,,,,
রেদ কিছুটা শান্ত ভাবেই বলে -আমার কাছে এই প্রশ্নের উওর নেই,,,
২জনই চুপ হয়ে যায়,,,২জনই নিরবে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলো,,,, একসময় রেদ বলল
-পরী একটা প্রশ্ন করি????
পরী-হুম করুন,,,,
রেদ-পরী এই নিলয় কে আর আরফান সাহেব তোমাক সাথে এতো খারাপ ব্যাবহার করলো তুমি আমাকে না বলে চলে আসলে কেনো,,,,
পরীর কান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো নিলয় এর নাম শুনতেই আবার চোখে পানি চলে এলো,,,,,
পরী আনমনেই বলতে লাগলো-আমার জিবনের সবচেয়ে বড় ভুল নিলয়,,যাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসলাম সেই আমার সাথে #ভালোবাসার_আভিনয় করলো,,,,নিজের স্বাথ সিদ্ধির জন্য আমার মন নিয়ে খেলল,,,
এসব বলতে বলতে পরী ঘাস এর ওপর বসে পরো আর কাঁদতে লাগলো,,,,রেদ বুঝতে পারলো সে নিজের ওজান্তেই পরীর পুরানো ঘা তাজা করে দিয়েছে,,,,রেদ পরীর পাশে বসে বলল-এই এম সরি পরী আমি তোমাকে…..
রেদ আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই পরী রেদের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো,,,রেদ পরীকে নিজের বাহুডোর এ বেধে নিলো পরীকে,,,,
পরী কাঁদছে পরীর চোখের পানি আর বৃষ্টির পানি মিলে এক হয়ে যাচ্ছে,,,,কাঁদতে কাঁদতে পরী রেদর বুকেই সেন্স হারায়,,,,,,
রেদ-পরী এই পরী,,,,
রেদ দেখে পরী সেন্সলেস হয়ে গেছে তাই পরীকে কোলে তুলে নেয়,,,বৃষ্টিতে ভিজার কারনে পরীর শরীল বেশ ঠাণ্ডা হয়ে গেছে,,,, রেদ পরীকে তারাতারি গাড়িতে তুলে গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,,
রেদ পরীর বাড়ির রাস্তা টা ঠিক মনে নেই তাই নিজের বাড়ি নিয়ে গেলো পরীকে,,,,
বাড়ি পৌছে রেদ পরীকে কোলে নিয়ে বাড়ির ভেতরে ডুকে মিনা কে ডাকতে লাগলো,,,,
বাট কারো সারা পেলো না রেদ,,, রেদ পরীকে নিয়ে নিজের রুমে চেলে এলো,,,পরীকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে আবার নিচে নেমে এলো,,,,
দিদা আর মিনাকে ডাকতে লাগলো,,,,রুমে গিয়া দেখলো কেও নেই,,,
রেদ-দিদা আর মিনা কোথায় চলে গেলো,,,
রেদ বাইরে এসে দারওয়ান চাচা কে ডেকে জিজ্ঞাস করলো দিদা আর মিনা কোথায় গেছে,,,
দারওয়ান চাচা-জানি না বাবা মেহামান চলে যেতেই হাঠাৎ কইরা মিনারে নিয়া তারাহুরা কইরা বের হয়ে গেলো,,,আর বলল তোমার বলতে বলছে ১/২ দিন লাগবো ফিরতে,,,,
রেদ-ড্রাইভার নিয়ে গেছে তোনাকি,,,,
দারওয়ান-হুম বাবা,,,আর বলছে তেমাকে নিজের খেয়াল রাখতে,,,,
রেদ-ঠিক আছে এখন আপনি জান,,,,
রেদ বাড়ির ভেতরে চলে এলো,,,তারপর ভাবতে লাগলো হঠাৎ দিদা মিনাকে নিয়ে কোথায় চলে গেলো,,,,আর তাকে না বলেই চলে গেলো,,,কেনো,,,,
এসব ভাবতে ভাবতে নিজের রুমে চলে আসে,,,এসে দেখে পরী শীত এ গুটিসুটি মেরে শুয়ে রয়েছে,,,,
রেদ পরীকে দেখে কী করবে বুঝতে পারছে না,,,তখনি রেদ এর মনে পরে নীল শাড়িটার কথা,,,তারাতারি আলমারি খুলে শাড়ির বেগটা বের করলো,,,
এখন কীভাবে কী করবে বুঝতে পারছে না শাড়ি না পালটালে তো জ্বর উঠে যাবে,,, এসব ভাবতে ভাবতে রেদ এর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে,,,
রেদ একটা রুমাল দিয়ে নিজের চোখ বেধে পরীর শরিলে একটা চাদর দিয়ে পরীকে কোনে মতে শাড়ি টা পালটে দিলো,,,
রেদ নিজে ও ফ্রেস হয়ে আসলো,,,এখনো পরীর জ্ঞান ফিরেনি,,,,এবার রেদের কিছুটা ভয় লাগে তাই ও তার ফ্যামেলি ডাক্তার কে কল করে পরীর বেপারে সব বলে,,,,
ডাক্তার রেদ কে কিছু ওষুধ আর গরম কিছু খাওয়াতে বলে,,,,,
রেদ ফোন রেখে একবার পরীর বডি টেম্প্রেচার দেখে নিচে রান্নাঘর এ যায়,,,কিছু গরম রান্না করতে,,,
রেদ সব নেরে চেরে দেখছে বাট কী রান্না করবে বুঝতেই পারছে না,,,কারন রেদ কফি ছাড়া কিছুই বানাতে পারে না,,,,,,
চলবে,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১২
ডাক্তার রেদ কে কিছু ওষুধ আর গরম কিছু খাওয়াতে বলে,,,,,
রেদ ফোন রেখে একবার পরীর বডি টেম্প্রেচার দেখে নিচে রান্নাঘর এ যায়,,,কিছু গরম রান্না করতে,,,
রেদ সব নেরে চেরে দেখছে বাট কী রান্না করবে বুঝতেই পারছে না,,,কারন রেদ কফি ছাড়া কিছুই বানাতে পারে না,,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
রেদ-উফ,,,এখন কী করি,,,,
রেদ খুজতে খুজতে ফিরিজ এ দুধ খুজে পেলো,,,রেদ এর মনে পরলো ছোটো বেলায় ও অসুস্থ হলে তার দিদা তাকে গরম দুধে জাফরান দিয়ে আর মিসরি দিয়ে তাকে খেতে দিতো,,,,
রেদ ও দুধ গরম করে জাফরান আর মিসরি খুজে দুধের সাথে মিসিয়ে রুমে গিয়ে দেখে পরী উঠে বসে রয়েছে মাথা নিচু করে,,,বসে রয়েছে,,,
রেদ পরীর পাশে টেবিলে গিয়ে গ্লাস টা রাখলো আর বলল-এখন কেমন লাগছে,,,
পরী মাথা নিচু রেখেই বলল-আমার শাড়ি কে পালটেছে,,,
রেদ ফট করে বলে ফেলে আমি,,,,কেনো
পরী বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে রেদের সামনে গিয়ে রেদকে থাপ্পড় দিয়ে বসে,,,,আর বলে,,,,
পরী-হাউ ডেয়ার ইউ আপনার সাহস কী করে হয় আমাকে টাচ করার,,,,,আজ আপনি আমাকে নিজের চোখে ছোটো করে দিলেন,,,,
বলে পরী ফ্লোর এ বসে কাঁদতে লাগলো,,,, রেদ পরীর কাজে বেশ রেগে গেলো কারন আজ প্রর্যন্ত থাপ্পড় কী তা জানতোই না,,,,কারন কোনো দিন থাপ্পড় খায়নি তো,,,,,
রেদ পরীকে ফ্লোর থেকে টান দিয়ে উঠেয়ে বলল-হাউ ডেয়ের ইউ,,, তোমার সাহস কী করে হয় আমার গায়ে হাত তুলার,,,,
পরী-আপনি আমাকো ছোয়ার সাহস করেছেন কেনো???বলেন,,,
রেদ-শুধু এই জন্য তুমি আমার গায়ে হাত তুলবে,,,,
পরী-মেয়েদের কাছে তার সম্মান টাই বড়,,,,আর আপনি আমার সেই জায়গায় আঘাত করেছেন,,,,
পরীর চোখ দিয়ে অঝরে পানি পরছে,,,,বাট রেদের ইগোতে লেগেছে পরীর থাপ্পড় দেওয়ার কারনে,,,,
রেদ-ইউ নো আমার ভুল হয়ে গেছে যে আমি চোখ বেধে তোমার শাড়িটা পালটে দিয়েছি বাট এখন আমার মনে হচ্ছে ভুল করেছি,,,,চোখ না বাধলেই ভালো হতো,,,থাপ্পড় টা স্বাথক হতো,,,
রেদ এর কথা শুনে পরী রেদ এর দিকে শূন্যদৃষ্টি তে চেয়ে রইলো,,,তাদেখে রেদ পরীকে ছেড়ে দিয়ে বলল-টেবিলে দুধটা খেয়ে নিও আর বাইরে অনেক বৃষ্টি আজ বাড়ি যেতে হবে না,,,,
বলে রেদ রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,পরী এই ভাবেই দাড়িয়ে রইলো কেমন যেনো এখন খরাপ লাগছে নিজের এমন কাজের জন্য,,,,,,,
পরী বিছানার পাশ বসে দেখে এক গ্লাস দুধ রাখা পাশে ওষুধ এর পাতা,,,,পরীর এখন চিন্তা হচ্ছে,,,রেদ কে যেই ভাবে রাগিয়ে দিলো,,,,
রেদ নিচে এসে বার সেক্সেন বসে ডিং করছে আর পরী ওকে থাপ্পড় মেরেছে সেই ঘটনা টা বার বার মনে পরছে,,,,রাগে গা কাপছে রেদের,,,রেদ ঠিক মনে আছে ছোটো থেকে কেও ওকে থাপ্পড় তো দুরের কথা একটা ফুলের টুকা ও দেয় নি,,,,
আর সেই জায়গায় পরী তার উপর হাত তুললো,,,,রেদ নিজের হাতের গ্লাস টা মাটিতে ছুড়ে মারলো,,,সারা বাড়ি খালি থাকায় শব্দটা বেশ জোর এ হয়,,,,রেদ নিজেকে নিজে বলল
-আমার এমন লাগছে কেনো,,, পরী থাপ্পড় দেওয়া এতো রাগ লাগছে কেনো,,,ও তো ভুল কিছু করেনি ওতো জানতোই না আমি চোখ বেধে ওর শাড়ি পালটে দিয়েছি,,,,,
হঠাৎ নিচের বিকট শব্দ শুনে পরী নিচে এসে দেখে রেদ বসে ড্রিংক করছে,,,পরী ধীর পায়ে রেদ এর দিকে এগিয়ে যায়,,,, বাট বেড লাক,,কিছুটা যেতেই রেদ এর ভাঙা গ্লাস এ পা লেগে পরী পা কেটে যায়,,,,
পরী মৃদুচিৎকার করে চোখ খিচে দাড়িয়ে পরে,,,,রেদ পরীর মৃদুচিৎকার শুনে পিছনে লাকিয়ে দেখে পরী চোখ মুখ খিচে দাড়িয়ে আছে,,,,
রেদ ভ্রু কুচকে পরীকে প্রশ্ন করলো-এখানো কেনো এসেছো,,,,
পরী-আসলে,,,স্যার হঠাৎ শব্দ হলো,,
রেদ-তানিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না রুমে যাও,, গো,,,,
রেদ কথাটা বেশ জোরে বলল তাতে পরী আর দাড়ালে না,,,খুড়াতে খুড়াতে রুমের দিকে যেত লাগলো,,,,রেদ পরীকে খুড়িয়ে হাটতে দেখে পরীর পায়ের দিকে চেয়ে দেখলো,,,,
ফ্লোল এ রক্ত পায়ের ছাপ,,,এবার রেদ বুঝলো পরী কেনো চিৎকার করেছিলো,,,,,রেদেরর এবার গিল্ট ফিল হলো একটু বেশ জোরে বলে ফেলেছে কথা গুলো,,,,
পরী অনেক কষ্টে রুম এর দরজা পর্যন্ত এসেছে আর পা এগোতে পারছে না,,,,মাথাটা ও খুরছে এমনেই ওইক ছিলো তার ওপর পা কেটে গেলো,,,,
পরী রুমের দরজা ধরে দারিয়ে আছে,,,হঠাৎ আচমকা রেদ পরীকে কোলে তুলে নিলো,,,,,
পরী-আরে কী করছেন নামান আমায় ,,,
রেদ কোনো কথা না বলে পরীকে রুমে নিয়ে বেড এ বসিয়ে ফাস্টএইড বক্স বের করে পরীর পা যেই ওষুধ লাগাবে,,,
পরী-না না আমি কাটা জায়গায় ওষুধ লাগাবো না,,,প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,,,
রেদ-চুপ একদম চুপ,,,মুখ আংগুল দিয়ে বসে থাকো,,,
পরী চুপ হয়ে যায় রেদ পরীর পায়ে ওষুধ লাগাতেই পরী চোখ মুখ খিচে রেদ এর টিশার্ট এর সমেদ রেদ কে খামনে ধরে,,,,রেদ একবার ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে নেয় তারপর চোখ খুলে পরীর পা ওষুধ লাগিয়ে বেন্ডেজ করে দেয়,,,,
রেদ-হয়ে গেছে এখন আমাকে ছাড়তে পারো ব্যাথা আমার ও লাগে,,,,
রেদের কথা শুনে পরী ফট করে রেদকে ছেড়ে দেয়,,,,রেদ এই মূহুর্ত টা কিছুক্ষন আগের ঘটনা ভুলিয়ে দিয়েছে,,,রেদ দেখলো পরী কিছুটা অসস্তি ফিল করছে তাই রেদ বলল,,,,,
রেদ-এনি প্রব্লেম পরী,,,
পরী রেদ এর এতো শান্ত ভাবে কথা বলা দেখে কিছুটা অবাক হয় তাও বল-না কিছুনা,,,,
রেদ বিছানার পাশের টেবিলে দেখলো পরী এখনো দুধটা খায়নি,,,,
রেদ-দুধ টা খাওনি কেনো,,,
পরী-না আসলে,,,,,
রেদ-আসলে কী হুম,,,,
পরী-আমি দুধ খাইনা,,,,দুধ খেলে আমার প্রব্লেম হয়,,,,
রেদ-ওহ আচ্ছা,,,, সরি বাট আমি কফি ছাড়য় আর কিছু বানাতে পারিনা আর ডাক্তার বলছে তোমাকে গরম কিছু খাইয়ে ওষুধ খাওয়াতে,,,,
পরী-না ইটস ওকে,,,,
তারপর দুজনেই চুপ রেদ পরীর পাশেই বসে আছে,,,,হঠাৎ পরী বলল-এই এম সরি,,, তখন আমি একটু বেশি ওভার রিয়েক্ট করে ফেলেছিলা,,
রেদ-ইটস ওকে,,,এন্ড এই এম এলসো সরি আমিও খুব খারাপ ব্যাবহার করেছি তোমার সাথে,,,,,
আবার সারঘরে বিরাজ করলো নিঃশব্দতা,,,,দুজনেই চুপ করে রয়েছে,,,রেদ এর এবার মাথা ঘুরছে,,,হয়তো বেশি ড্রিংক করে ফে্লেছে,,,,
চলবে