ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-১৫+১৬

0
2678

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১৫

আরফান-সব নাটক ভাবছে নাটক করলে বেচে জাবে,,,যতো সব কেরেক্টারলেল মেয়ে কোথা কার,,,,

এবার আর রেদএর সয্য হলো না উঠে গিয়ে মি.আরপানে কলার ধরে এক ঘুসি দিয়ে পরীর পায়েরস সামনে ফেলে দেয়,,,,,

পরী দু কদম পিছিয়ে যায়,,,আর রেদ এর দিকে তাকিয়ে দেখ দুচেখে মনে হয়ে কেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
রেদ আরফার সাহেব কে তুলে আরো ২/৩ টা ঘুশি মারলো,,,তারপর আবার পরীর পায়ের সামনে ফেলে দিয়ে বলে

-পা ধরে মাফ চান নাইলে,,,

আরফান সাহেব পরী পা ধরে বলল বোন আমাকে মাফ করে দে আমার ভুল হয়ে গেছে,,,এই ভুল আর কোনো দিন ও হবে না,,,,

রেদ আরফান সাহেব কে পরীর সামনে দার করালো আর পরীকে উদেস্য করে বলল-মারো একটা হলে ও মারো,,,

পরী অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,,,তাদেখে রেদ কিছুটা জোরে বলল-এই সেইড মারো,,,,

পরী রেদ এর চিৎকার এ কেপে উঠলো তারপর আরফান সাহেব এর দিকে ঘূনা চোখে তাকায় তারপর একটা খুব জোরে থাপ্পড় মারে,,,,

রেদ সাহেব কে ধাক্কা দিয়ে চেয়ারে বসায়,,,তারপর নিজের চেয়ারে গিয়ে বেসে হাত সেনেটাইজ করে,,,

বলল-ম্যানেজার সাহেব ফাইল পিলিজ,,,,

রেদ ফাইল টায় সাইন করে আরফান সাহেবের সামনে মারে,,,,আর বলে,,,

রেদ-আজ থেকে আরফান গ্রুপ এর সাথে আহামেদ ইন্ড্রেস্টির আর কোনো যোগ সূত্র নেই,,,এখন আপনি আসতে পারেন,,,,

আরফান সাহেব-মি.রেদ পিলিজ এমন করবেন না আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,,,,পিলিজ স্যার,,,,

রেদ-আমি সাইন করে দিয়েছি,,, জান এখান থেকে না হয় আমি গার্ড ডাকবো,,,,

আরফান সাহেবের পিয়ে এতো ক্ষন ভয়ে চুপসে ছিলো,,,,এবার সে তার স্যার কে বলল-স্যার চলুন এখানে থাকা ঠিক হবে না,,,,

আহামেদ সাহেব যাওয়ার আগে বলে-you both pay for it,,,just wait for it,,,

বলে চলে গেলো,,,এতো ক্ষন অফিসের অনেকেই রেদ এর কেবিনের বাইরে থেকে ভেতরে উকি মারছিলো,,,

আরফান সাহেব কে বের হতে দেখে সবাই নিজ নিজ কাজে চলে গেলো,,,,পরীর চোখে এখনো পানি ঠিক কী কারনে এখন চোখে পানি বুঝতে পারছে না সে নিজেই,,,,

রেদ এখনো পরীর চোখে পানি দেখে ম্যানেজার সাহেব কে চলে যেতে বলল আর পরীকে বসতে বলল,,,,

পরী চুপ চাপ চেয়ারে বসে পরলো,,,,,

সাতাশা এর সব নিয়ম পালক করতে করে সিদ্দিক সহেবের পরীবার এর ৫টা বেজে গেলো,,,,৫:১৫ তে সবাই বসার ঘরে সোছায় আর চেয়ারে বসে আছে,,,,

এখন সবাই জানে তাদের এখানে কেনো ডাকা হয়েছে সবাই চুপ করে বসে আছে,,, তখন রাবেয়া বেগম অধয্য হয়ে বলে উঠলেন,,,,

রাবেয়া-ভাইজান দেখে আমার এখানে আসার সবচেয়ে বড় কারন যে তৃনা তা নয় আমার এখানে আসার সবচেয়ে বড় কারন এই মেয়ে,,,,

বলে নিজের ফোন থেকে পরীর এর ছবি বের করে সিদ্দিক সাহেবের হাতে দিলো,,,ছবিটা উনি আড়াল থেকে তুলেছিলে,,,,

সিদ্দিক সাহেব পরীর ছবি দেখে চমকে উঠলেআর বললেন- এটা কী করে সম্ভব???

শাওন সাহেব নিজের বাবার কথা শুনে বললেন-কী হয়েছে বাবা,,,

সিদ্দিক সাহেব ছবিটা তার বড় ছেলের হাতে দিলেন তিনিও ছিবিটা দেখে চমকে গেলেন,,এক এক করে শাকিল বাবু তার স্ত্রীরা ও ছবি দেখে চমকে গেলেন,,,,

রুবি আর নিলয় বসে বসে সবার কথা শুনছে ছবিদেখে যে সবাই বেস অবাক হয়েছে তা বেশ বুঝতে পারছে,,,,

রাবেয়া বেগম-এই কারনেই আমার আসা ও হুবাহু তৃনার মতো দেখতে,,,

সিদ্দিক সাহেব-তবে ও আমার মেয়ে তৃনা না,,,কে ও,,,,

রাবেয়া বেগম-হুম জানি তৃনা কে ও চিনে না,,,

শাওন সাহেব-আন্টি এই মেয়েটা ওর চেহারা সাথে আমাদের তৃনুর এতো মিল কেনো,,,,

রাবেয়া বেগম-আমি ওকে ভালো করে চিনি না কিন্তু ওর নাম পরী খবর নিয়ে দেখেছি মেয়েটা অনাথ আর মাস মাশ আগেই আমার নাতির অফিসে জব এ ডুকেছে,,,,,

পরীর নাম শুনে নিলয় আর রুবি চমকে উঠে,,, তারপর নিলয় উঠে নিজের শাশুড়ি মায়ের কাছে গিয়ে বলল-মা আমি ছবিটা দেখতে পারি,,,,

সবাই ভ্রু কুচকে নিলয় এর দিকে তাকালো নিলয় ফোনটা নিয়ে ছবি দেখ সোফা বসে পরলো,,,,রুবির বুঝতে বাকিনেই এই পরী আর অন্য কেও না,,,

নিলয় এর মুখ দেখ সবাই বুঝলো নিলয় পরীকে চিনে,,,,রুবি কথা আটকে আসছে গালায় তাও বলল-ও কী সেই পরী,,,

রুবির কথা শুনে সবাই রুবির দিকে তাকালো,,,,রুবির বাবা রুবিকে জিজ্ঞেস করলো-রুবি তুই এই মেয়েকে চিনিস,,,,

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১৬

নিলয় এর মুখ দেখ সবাই বুঝলো নিলয় পরীকে চিনে,,,,রুবি কথা আটকে আসছে গালায় তাও বলল-ও কী সেই পরী,,,

রুবির কথা শুনে সবাই রুবির দিকে তাকালো,,,,রুবির বাবা রুবিকে জিজ্ঞেস করলো-রুবি তুই এই মেয়েকে চিনিস,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
রুবির মা সোজা রুবির সামনে গিয়ে মেয়েকে বসা থেকে তুলেই এল চর,,,,রুবিকে চর মারতে দেখে সবাই ভরকে যার রুবির মা এর ওপর,,,,

রুবির বাবা-রুমা তোমার সাহস কী করে হয় নিজের প্রেগন্যান্ট মেয়েকে এভাবে মারার,,,

রুবির মা-সব আমার আর মায়ে দোষ যদি সেদিন আমারা ওই কাজটা না করতাম তাইলে হয়তো আজ সব ঠিক থাকতো,,,,

সিদ্দিক সাহেব নিজের মৃত স্ত্রী এর কথা এই কথার মাঝে আসার কারন কী কিছুই বুঝতে পারলো না,,,,

সবাই ও বেশ বুঝতে পারছে কিছুএকটা এমন আছে যা রুবির মা রুমা আর তার মৃত শাশুড়ি সবার থেকে লুকিয়েছে,,,,

রুমা বেগম নিজের শশুর এর পা দুখান ধরে বলে উঠলো-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দেন,,আমি আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু গোপন করেছি,,,,,আমি বুঝতে পরেছি এই মেয়ে আর কেও না আমাদের তৃনাই মেয়ে বাবা হ্যা ও তৃনাই মেয়ে,,,,

বলে হাও মাও করে কাদতে লাগলো,,রাবেয়া বেগম এতোক্ষন লাগলে ও এখন শান্তি লাগছে,,,,

রুমার কথা শুনে সবাই আকাশ থেকে পরলো,,,,নিলয় রুবিকে রুমে শুয়ে দিয়ে ফরে আসে,,,,

সিদ্দিক সাহেব-তুমি এসব কী বলছো ছোটো বউ,,,,আর এই মেয়েই যে তৃনার মেয়ে তুমি এতো সিউর কী করে,,, আর তৃনার মেয়ে আছে তুমি জানলে কী করে,,,,

রুবির মা-বাবা তৃনা যখন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো,,,আপনারা সবাই তো ভেঙে পরেছিলেন,,,ভাইদের আদরের বোন ভাবিদের আদরের ননদ,,,আপনার আর মায়ের কলিজার টুকরা, শ,পালিয়ে যাওয়ার ঠিক ১ বছর ৩ বাস ৯ দিন পরে ফিরেছিলো,,,,,

এই কথা শুনে সবার চোখে পানি চলে এলো,,,তাদের প্রিয় তৃনা ফিরে এসে ছিলো তাহলে চলে গেলো কেনো,,,,

সিদ্দিক সাহেব-এই কথা তুমি আমাকে আগে বলোনি কেনো,,,,

রুবির মা-বাবা মা যে আমাকে আমার আনাগতো সন্তান এর কসম দিয়েছিলো কিন্তু কপাল দেখেন সে আর পৃথীবির আালোই দেখতে পায়নি,,,,

শাকিন সাহবে-তাইলে আজ কেনো নিজের মুখ খুললে ,,,,,

রুবির মা-জানাটা হয়তো দরকারি হয়ে উঠেছে,,,,সেদিন রাতে ১১ টার দিকে সদর দরজায় কে যেনো করাঘাত করতে লাগে,,,

আমার ঘুম ভেংগে যায়,,,নিচে এসে দেখি মা দরজা খুলছে,,,দরজা খুল মা চমকে উঠেন সামনে গিয়ে আমিও চমকে উঠি এ কাকে দেখছি,,,,

তৃনা এই হালে দেখে মা আর দুজনের বুক কেপে উঠে,,,তৃনা কোলে একটা বাচ্চা নিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,একটা পুরান শাড়ি গায়ে,,,মুখ একদম মিলিন গেছে,,,মুখে আর হাতপায়ে মার এর দাগ,,,,

আমি আর মা তৃনাকে ভিতরে নিয়ে বসতে দিলাম,,,,তখনি বাচ্চা টা কেদে উঠলো,,,তৃনা অনেক কষ্ট করে বলল-রুনা ভাবি আমার মেয়েটাকে একটু দুধ গরম করে দেব,,,,,

আমি আর কোনো কথা না বলে রান্না ঘর থেকে দুধ গরম করে এসে দেখে মা অন্যদিকে মুখ করে কাদছে,,,আর বাচ্চাটা শান্ত ভাবে তৃনার বুকে শুয়ে আছে,,,,

আমি সেখানে উপস্থিত হতেই তৃনা তার মেয়েটিকে আমার কলে দিয়ে বলল-রুনা ভাবি ও আমার মেয়ে,,,যাকে ভালোবেসে পালিয়েছিল,,,,সে আমার সাথে #ভালোবাসার_আভিনয় করেছিলো শুধু আমার দেহ টা পাবার জন্য দেহ খিধে মিটতেই আমাকে বেচে দিলো,,,,

সেখান থেকে পালিয়ে পালিয়ে মেয়েটাকে জন্ম দিয়েছি,,,,কিন্তু আমি বেশে দিন পালিয় বেরাতে পারবো না,,,তাই মেয়েটাকে দিয়ে গেলাম গো,,,,

আমার মেয়েটাকে কাজের মেয়ে বানিয়ে রাখলে ও এই বাড়িতেই রেখো,,,,,

আমাকে আর কিছু বলতে দিলো না,,,,তার আগেই মা বলল-পরিচয় হীন মেয়েকে আমাদের কাঝে ঝুলিয়ে দিয়ে বাচতে চাস,,,,যা দূর হ এখান থেকে,,,

আমি তখন বাচ্চা ট কোলে নিয়েই মার পাশে বসে বললাম-মা আমরাই তো তৃনার আপনজন আমরা দূর দূর করলে মেয়েটা কোথায় যাবে বলেন,,,,,

মা শাড়ির আচল দিয়ে নিজের মুখ ডেকে কাঁদতে লাগলেন,,,,আমি পিছন ফিরে দেখি তৃনা নেই সদর দরজা খোলা,,,,আমি আর মা বাইরে গিয়ে অনেক খুজি তাও পাইনি তৃনা কে,,,

আমি আর মা ভেতরে এসে বসে সোফায় বসে পরি,,আমি বাচ্চা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখ মুখে নয় একদম হুরপরী,,,,আমি গরম দুধ শান্ত ভাবেই খাইয়ে দিলাম একদম লক্ষি মেয়ের মতো খেয়ে নিলো,,,,

তখন রাত ২:৩৬বাজে,,,হাঠাৎ করে মা আমার কোল থেকে পরীকে নিয়ে নিলো,,আমি ভাবলাম হয়তো নাতনিকে আদর করবেন,,,,

কিন্তু উনি আমাকে বললেন-সাবাই আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলবে তোমার মামা শশুর হঠাৎ অসুস্থ হওয়া তাকে দেখতে গেছি,,,আর শোনো তৃনা এ বাড়িতে এসেছে যদি বলো তাইলে তোমার পেটে যা ৩মাসের বাচ্চাটা আছে তার মরা মুখ দেখবে,,,,

বলে উনি পরীকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে পরলেন,,,,আমি ওনার কথা শুনে থমকে গেছিলা,,,,পর দিন সন্ধ্যায় যখন উনি বাড়ি ফিরেন তার সাথে পরী ছিলো না উনার কাছে শত জানতে চেয়েও জানতে পারি নি উনি পরীর সাথে কী করেছিলো,,,,,

অতিত এর এসব কথা বলে রুমা বেগম কাঁদতে লাগলেন,,,,রুমা বেগম এর কথা শুনে তৃনার দুইভাই ও কাদছেন,,,যে বোন কে তারা এতো আদর করতো তার এতো কষ্ট যেনো সয্য করতে পারছে না,,,

তৃনা ভাবি ও কাদছে মেয়েকে খুব আদর করতো আর তার এই কথা শুনে খুবকষ্ট লাগছে,,রাবেয়া বেগর এর চোখে ও পানি চলে আসে,,,মেয়েটা কত কষ্টই না পেয়েছে,,,,

সিদ্দিক সাহেব এখন ও বেশ শক্ত করে রেখেছেন নিজেকে,,, নিজের মেয়ের সাথে নিজের স্ত্রী এর এই ব্যাবহার এর কথা শুনে চোখ দিয়ে একফোটা জল অবাধ্য হয়ে চোখ দিয়ে নেমে গেলো,,,

আজ যদি সিদ্দিক সাহেবের স্ত্রী তার সামনে হতো তাহলে উনি যে কী করতো তা নিজেই জানে না,,,কিন্তু সে আজ মৃত,,,,,

সিদ্দিক সাহেব-ছোট বউ পরী তৃনার মেয়েকে কী করে চিনতে পারলে,,,,

রুনা বেগম-বাবা তৃনার মেয়ের বা চোখের ওপর একটা তিল আছে আর ওর পায়ে একটা জন্মচিহ্ন আছে,,,,আর ছবিতে…..

রুনা বেগম কথা শেষ করার আগেই দূরে দারিয়ে থাকা নিলয় বলল-পরীর চোখের ওপর তিল আছে,,,কিন্তু পায়ে জন্মচিহ্ন আছে নাকী তা বলতে পারবো না,,,,

নিলয় এর কথা শুনে সবাই তারদিকে তাকালো,,,,রুবির বাবা বললেন-নিলয় তুমি পরী কে চিনো,,,,

নিলয় মাথারা কিছুটা নিচু করে বলল-হ্যা বাবা

তাশুনে রুনা বেগম রেগে বললেন-চিনবে না কেনো,,, আপনার মেয়ে আর আপনার জামাই একটা মেয়ের জিবন নিয়ে খেলতে একটু ও কলিজা কাপেনি,,,,,

সিদ্দিক সাহবে বসা থেকে উঠে বলল-কী বলতে চাইছো তুমি,,,,,

রুমা বেগম-রুবির বিয়ের কথা মনে আছে একটা মেয়ে নিলয় এর কবুল বলার আগে তারহাতে একটা চিঠি দিয়ে গেছিলো,,,নিলয় যা বলেছিলো আপনারা বিশ্বাস করলেও আমি করতে পারনি,,,,

আমি মেয়েটিকে সব জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটি আমাকে সব বলে ছিলো জানেন কী বলেছিলো মেয়েটি আমায়,,,,

রুবির বাবা-কী বলেছে মেয়েটা,,,

চলবে,,,,