মনের আড়ালে পর্ব-২৯

0
978

#মনের_আড়ালে
Part_29
লেখনীতে – #Nusrat_Hossain

পরোক্ষনে-ই অভিকের ঠোটে বাঁকা হাঁসি ফুটে উঠল ।সে রিশার কানে কানে কিছু একটা বলে উঠল ।রিশা অভিকের দিকে একবার করুনচোখে তাকিয়ে নিজের ফোনটা অন করল ।রিশা ফেসবুকে ঢুকে যা দেখল তাতে তার শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল ।হাত থেকে ফোনটা ঠাস করে ফ্লোরে পরে গেল ।রুমে থাকা উপস্থিত সবাই কেউ বুজতে পারছে না রিশার হ্ঠাৎ কি হল ? রিশা একসময় কাঁপতে কাঁপতে সেন্সলেস হয়ে পরে গেল ।সবাই রিশাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠে ।অভিক ঠোটে হাঁসি ঝুলিয়ে শিস বাজাতে বাজাতে দরজা খুলে বের হয়ে নিচে নেমে এল ।
সাদাত চৌধুরি , আবির , মিনহাজ , মাইশা , আফরিন নিচে অভিকের জন্য অপেক্ষা করছিল ।তাকে নিচে নামতে
দেখে সবার মুখে বাঁকা হাঁসি ফুটে উঠল ।

আবির ডেভিল হাঁসি দিয়ে বলে উঠল

ভাই তুমি যেভাবে বলেছো ঠিক সেভাবেই টোপটা ফেলেছি ।কথা ছিল ওর ভিডিও আমি ছেড়ে দিব তবে আমায় আগবাড়িয়ে বেশি কিছু করতে হয়নি ঐ রে* মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড নিজেই রাগেক্ষোভে পুরো ভিডিওটা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে ।আহ লাইক , আর কমেন্ট যা পরছে না ভাই ।কমেন্টগুলো দেখলে বমি এসে যায় ।এখন ফেসবুকে সবার শুধু একটাই কথা লিংক লিংক চাই রিশা রে* লিংক চাই ।তুমি একবার ফেসবুক টা অন করে দেখো ।

অভিক ঠোট কামড়ে হেঁসে বলল আমি জানতাম এমনটাই হবে ।

সাদাত চৌধুরি গম্ভীর গলায় অভিক কে বলল আমাদের মধ্য যে ডিলটা হয়েছিল আশা করি তুমি ভুলোনি ।এবার তোমার বিশ্বাস হল তো আমার কথা আমার ধারনা-ই সঠিক হয়েছে ।তোমার মা তোমায় ঐ রিশা মেয়েটার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্যই এত প্ল্যান করেছে ।তুমি তো বিশ্বাস করতে চাওনি !

অভিক ব্যাথাতুর গলায় বলল আমি কোনোদিন ধারনাও করতে পারিনি আম্মু এতদূর চলে যাবে ।এতক্ষণ আম্মুর উদ্দেশ্যটা দেখার জন্য-ই অপেক্ষা করছিলাম নাহলে কার সাধ্য আমায় রুমে আটকে রাখার ? দেখতে চেয়েছিলাম আম্মু কি করে কিন্তু পরে যা দেখলাম তাতে আমি খুব বিষ্মিত হয়েছি বাবা । তোমার কথাটাই সত্যি হল শেষে ।

সাদাত চৌধুরি বলে উঠলেন তোমায় কি বলেছিলাম আমি মনে আছে তো ? আমার কথা যদি সত্যি হয় তাহলে আমি তোমার মাকে ডিবোর্স দিব তুমি আমায় বাধা দিতে পারবেনা এটাই আমাদের ডিল হয়েছিল কিন্তু ।

অভিক নির্লিপ্ত গলায় বলল বাবা তোমার যা ইচ্ছে হয় কর তোমাদের ব্যাপার এসবে আমি নেই ।এখন আমায় বাড়ি ফিরতে হবে ।মেয়েটা বাড়িতে একা আছে ।

অভিক বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির সামনে আসল ।অভিকের সাথে সাথে সাদাত চৌধুরি , আবির , মিনহাজ , মাইশা আর আফরিনও আসল ।

সাফাত চৌধুরি বলে উঠলেন মেয়েটাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাও ।মাইন্ড ফ্রেশ লাগবে তোমাদের ।সেই কবে থেকে একটার পর একটা নানা ঝামেলা তোমাদের উপর এসেই যাচ্ছে কোথাও গেলে তোমাদের ভালো লাগবে ।উমম কোথায় যাবা ? সুইজারল্যান্ড চলে যাও ।
ইশমিকে একবার জিজ্ঞেস করো ও কোথায় যেতে চায় ? সব খরচ আমি দিব ।

অভিক ভাবলেশহীন গলায় জবাব দিল হুম ।

সাদাত চৌধুরি বললেন কয়েকদিন অফিসে যেতে হবে না তোমার ।মেয়েটাকে সময় দাও ।ক’দিন অফিস আমি সামলাবো তোমায় ভাবতে হবেনা এসব নিয়ে ।

আবিরও বলে উঠল হ্যাঁ ভাই ক’দিন তুমি ইশমি ভাবিকে সময় দাও শুধু ।অফিস টফিস নিয়ে ভাবতে হবেনা তোমায় ।আমি আর বড় আব্বু আছিনা !

অভিক বলে উঠল আমি সামলাতে পারবো বাবা ।

সাদাত চৌধুরি মুচকি হেঁসে বললেন এত চাঁপ নিতে হবেনা তোমায় ।তুমি ইশমি মাকে কদিন সময় দাও ।অফিসের কাজ আমাদের উপর ছেড়ে দাও ।যাও এখন বাড়িতে যাও । মেয়েটা বাড়িতে একা আছে ।

অভিক হুম বলে গাড়িতে বসল আর গাড়ি স্টার্ট দিল ।

অভিক বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখতে পেল ।পুরো বাড়ি অন্ধকার ।সে ড্রইংরুমের লাইট টা জ্বালিয়ে দিল ।তারপর সিড়িবেয়ে হন্তদন্ত হয়ে উপরে চলে গেল ।রুমে ঢুকে রুমের লাইট টা জ্বালিয়ে দেখতে পেল ইশমি হাটু ভেঙে দুই হাটুতে মুখ ভর দিয়ে নিচু হয়ে বসে আছে ।অভিক ইশমির সামনে হাটুগেড়ে বসে ইশমির মাথায় হাত রাখল ।ইশমি মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে মাথা উঁচু করে তাকাল ।সাথে সাথে অভিক কে জড়িয়ে ধরে কান্নারত গলায় বলল

আ- আপনি সারাদিন ক-কই ছিলেন অভিক ।আমি খ- খুব ভয় পেয়েগিয়েছিলাম ।

অভিক ইশমিকে শক্ত করে জ্বড়িয়ে ধরে বলল একটু ঝামেলা হয়েছিল তাই একটু দেরি হয়ে গেছে ।

অভিক খেয়াল করল ইশমি তার শার্ট পরে আছে ।সে মুচকি হাঁসল ।কেঁদেকেটে কি হাল করেছে মেয়েটা ।

অভিক ইশমিকে টেনে উঠিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিল আর ফোনটা হাতে নিয়ে ফেসবুক অন করল ।ফেসবুক অন করতেই তার ঠোটে বাঁকা হাঁসি ফুটে উঠল ।
ইশমি অভিকের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল কি দেখছেন ?

অভিক ঠোট টিপে হেঁসে ফোনটা ইশমির হাতে দিল ।ইশমি ফোনটা হাতে নিয়ে রিশার একটা অন্তরঙ্গ ভিডিও দেখতে পেল ।ভিডিও টা দেখে তার বমি এসে যাচ্ছে ।সে মোবাইলটা বিছানায় ছুড়ে দিয়ে বমি হবে এমন ভাব করতে লাগল ।

অভিক কিছুটা লাফ দিয়ে বলে উঠল এই না খবরদার এটা আমার নতুন শার্ট ।খবরদার বলছি ভমিটিং করবেনা ।জলদি শার্ট খোলো বলেই ইশমির সামনে গিয়ে শার্ট খুলতে চাইল ।

ইশমি অভিকের দিকে ড্যাপড্যাপ করে তাকিয়ে বলল নিষ্ঠুর লোক একটা শার্টের জন্য আপনি আমার সাথে এমন করছেন ?

অভিক বলল এই শার্ট টা আমার এক ফ্রেন্ড আমায় গিফট করেছে কিছুদিন আগে ।

ইশমি চোখ ছোট ছোট করে জিজ্ঞেস করল ছেলে ফ্রেন্ড না মেয়ে ফ্রেন্ড ?

অভিক দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল মেয়ে ফ্রেন্ড পুষ্মিতা গিফট করেছে ।

ইশমি ব্যাঙ্গ গলায় বলল এহ যে-না শার্ট তারজন্য আমায় শাষায় । এই শার্ট কে তো আমি কুচিকুচি করে কাটবো ।

অভিক ঠোটে হাসি রেখেই ইশমিকে টান দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিল তারপর সে-ও ইশমির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরল আর বলল আমার মাথাটা একটু মালিশ করে দাও তো ।

ইশমি অভিকের মাথায় মালিশ করে দিতে দিতে বলল রিশার ঝামেলাটা কি মিটেছে ?

অভিক কিছুক্ষণ চুপ থেকে বাড়িতে যা হয়েছে সব বলল ইশমিকে ।

ইশমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে অভিক কে জিজ্ঞেস করল তাই আপনি ওর ভিডিও ছেড়ে দিয়েছেন ?

অভিক ফিঁক করে হেঁসে দিয়ে বলল আমি শুধু আগুনে ঘি ডেলেছি ।আমায় তেমন কিছু করতে হয়নি ওর সে* পার্টনার-ই ভিডিও টা ছেড়ে দিয়েছে ।আর ওর তো একটা দুইটা দিয়ে হয়না ওর অনেকগুলো সে* পার্টনার আর এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ-ই ওর বাবার বিজনেস পার্টনার ।বিজনেস এর সুবাধে আমি কয়েকটাকে চিনি ।সো সব-ই আমার কানে আসে ।এমনকি ওর কয়েকটা ভিডিও আমার ল্যাপটপে আছে ।তাই আমার সাথে লাগতে আসার পরিনাম ওকে এভাবেই মাশুল টা দিতে হল ।ওর মত খাটাইশটা মেয়েলোক আমি আমার লাইফে দুটো দেখিনি ।ঐ মেয়ের যা রফাদফা করার করে দিয়েছি । এখন ওর কথা বলে আমি আমার নিজের মুখটা নষ্ট করতে চাইনা অভিক রাগী গলায় বলল ।

পরোক্ষনে অভিক চেহারা মলিন করে বলল আমি আজকে খুব অবাক হয়েছি ।আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি আম্মু এতদূর পর্যন্ত চলে যাবে ।বাবা আমায় বারবার বলেছিল কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি ।বাবা এবার সত্যি সত্যি আম্মুকে ডিবোর্স দিবে ।

ইশমি চেহারা পানসে করে বলল সব আমার জন্য হচ্ছে এসব ।আচ্ছা আমি যদি আপনার মায়ের সাথে কথা বলি তো ?

অভিক ইশমির পেটে মুখ গুঁজে বলল না তার কোনো দরকার নেই ।আম্মু একদিন নিজে থেকেই তোমার কাছে আসবে আর তোমায় পূত্রবধু হিসেবে এক্সেপ্টও করবে ।সেদিন বেশি দেরি নেই আমি ঐ দিনটার অপেক্ষায় আছি ।

অভিক কিছুক্ষণ ইশমির পেটে মুখ গুঁজে থেকে উঠে বসল আর বলল
তোমার খিদে পায়নি ? আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে ।আমি বরং খাবার অর্ডার করছি আমাদের দুজনের জন্য সামনেই একটা রেস্টুরেন্ট আছে ।

ইশমি বলে উঠল না না তার প্রয়োজন নেই ।আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি এক্ষুণি খাবার রেডি করে আনছি ।

অভিক ইশমিকে লক্ষ্য করে বলে উঠল এই শার্ট টা খুলো ।

ইশমি মুখ পানসে করে বলল ইশশশ আপনি এই শার্ট নিয়ে পরে আছেন কেন ?

অভিক ইশমির পানসে চেহারা দেখে ফিঁক করে হেঁসে দিয়ে বলল আমার প্রিয় ফ্রেন্ড পুষ্মিতা গিফট করেছে আমায় ।তুমি এই শার্ট দ্বিতীয়বার পরবেনা ।

ইশমি জেদি গলায় বলল একশোবার পরব এই শার্ট আমি।আপনি কি করবেন করুন বলেই হনহন করে বের হয়ে গেল রুম থেকে ।

অভিক ফিক করে হেসে দিল ।মেয়েটাকে রাগাতে তার খুব ভালো লাগে ।অভিক বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসল ।

বিশ মিনিট পর ইশমি খাবার নিয়ে আসলে অভিক আর ইশমি একসাথে খাবার খেল ।

ইশমি প্লেটগুলো কিচেনে রেখে উপরে আসলে অভিক বলে উঠল এখন আমরা মুভি দেখব।
অভিক ইশমিকে নিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসল তারপর টাইটানিক মুভিটা চালু করে দিল ।

মধ্যরাত ইশমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ।
অভিক ইশমির দিকে ভ্রুযুগল করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল কাঁদছো কেন?

ইশমি নাক টানতে টানতে জবাব দিল লাস্টের সিনটা খুব কষ্টের ছিল ।আমরা আর কোনোদিন সেড এন্ডিং মুভি দেখব না ।আমার খুব খারাপ লাগে ।কান্না পায় ।

অভিক ইশমির অবস্থা দেখে হোঁ হোঁ করে হেঁসে উঠল ।সে আলতো হাতে ইশমির চোখটা মুছিয়ে দিয়ে বলল ওকেহ আর দেখব না সেড এন্ডিং মুভি ।সে টিভিটা অফ করে ইশমিকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়ল ।

অভিক আপনি কি ঘুমিয়ে পড়েছেন ?

অভিক ঘুমু ঘুমু কন্ঠে জবাব দিল না এখনো ঘুমাইনি ।

আমার সাথে একটু গল্প করুন না আমার ঘুম আসছে না ।
_________

অভিকের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে ইশমি অভিকের কানে চিল্লিয়ে ডেকে উঠল অভিকককককককক ।

অভিক ইশমির চিল্লানি শুনে লাফ দিয়ে উঠল ।আর রাগী গলায় বলল চিৎকার করছো কেন ?

ইশমি মিনমিনে গলায় বলল আমার ঘুম আসছে না ।গল্প করুন আমার সাথে ।

অভিক হামি দিতে দিতে বিছানায় শুয়ে বলল আমার ঘুম পাচ্ছে আমায় ডিস্টার্ব করোনা ।

ইশমি নাছোড়বান্দার মত অভিক কে আলতো ধাক্কা দিতে দিতে বলল প্লিজ প্লিজ ।

অভিক বিরক্ত হয়ে উঠে বিছানা থেকে উঠে ইশমির দিকে একবার ছোট ছোট চোখ করে তাকাল তারপর টিভিটা অন করে দা নান মুভিটা চালু করে দিয়ে বলল দা নান মুভিটা দেখো ঘুম আপনা আপনি এসে যাবে তোমার ।অভিক বলে আর একমুহূর্ত অপেক্ষা করল না বিছানায় শুয়ে পরল ।

ইশমি টিভির দিকে তাকিয়ে একটা ঢোক গিলল ।তার হাত পা কাঁপছে ।কি ভয়ংকর ! সে ভীতদৃষ্টিতে চারদিকে চোখ বুলিয়ে তাড়াতাড়ি রিমোট টা নিয়ে টিভিটা অফ করে দিল ।টিভিটা অফ করে দিয়ে অভিক কে বিরবির করে বকতে লাগল শয়তান লোক আমায় খালি ভয় দেখায় ।ইশমি অভিকের বুকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরল ।কিন্তু ঘুম আসছে না তার ।সে পাশ ফিরে শুলো ।কিন্তু তার চোখ গেলো বারান্দার দিকে ।মনে হচ্ছে অন্ধকারে নান টা রক্তমুখে দাঁড়িয়ে আছে ।সে খুব দ্রুত অভিকের দিকে মুখ ঘুরিয়ে অভিক কে ফিসফিস করে ডাকতে লাগল

এই যে শুনেন একটু উঠুন না প্লিজ ।বারান্দার দরজাটা লাগিয়ে দিন আমি আর আপনাকে জ্বালাবো না প্রমিস ।অভিক…..।

অভিক চোখ খুলছে না দেখে ইশমি অভিকের গালে আলতো করে চাপড় দিতে দিতে বলল অভিক চোখটা একটু খুলেন না প্লিজ ।বারান্দার দরজাটা লাগিয়ে দিন আপনাকে আর ডিস্টার্ব করবো না তো । কালকে আপনাকে আপনার ফেভারিট ডিশ রান্না করে খাওয়াবো ।দরজাটা লাগিয়ে দিন প্লিজ ।

দেখা গেল অভিক তারপর-ও জাগল না ।ইশমি নাক টানতে টানতে দাঁত কিড়িমিড়িয়ে বলে উঠল শয়তান লোক সকালে ঘুম থেকে উঠবেন না আপনি ? আপনাকে আমি চিবিয়ে খাবো ।

ইচ্ছা কইরা এমন করে ।আমারও সময় আসবে হুমমম ইশমি ফোঁসফোঁস করতে করতে চাদরটা একটান দিয়ে নিজের শরীরসহ মুখ লুকিয়ে ফেলল চাদরের নিচে ।

চলবে,
@Nusrat Hossain