মানহা পর্ব-০৩

0
229

#মানহা
#মেঘাদ্রিতা_মেঘা
#৩য়_পর্ব
একদিকে আম্মু আব্বু আর পাত্র পক্ষ।
অন্য দিকে কল্প আর মানহা।
আমি এখন কোন দিকে যাবো?
তখনই আমার নিরবতা ভেদ করে কেউ একজন বলে উঠলো,
মানুষ এতটা সেলফিশ হয় কি করে শুনি?
যখন তোমার কেউ ছিলোনা,তখন ছিলাম আমি,এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়ে গেলাম আমি, না?
মানুষ অন্তত বিয়ের দাওয়াত টা তো দেয়।
ভাগ্যিস অথৈ আমাকে বলেছিলো আজ তোমার বিয়ে।
নইলে তো আমি জানতেই পারতাম না।

_আসো বাবা আসো।
আসলে হুটহাট সব হয়ে গেছে তো,তাই কাউকে জানাতে পারিনি।
তুমি এসে খুব ভালো করেছো।(আম্মু)

_আদ্রিশ,
_জ্বী বলো,
_সত্যিই আমি অনেক বড় স্বার্থপর। যখন আমি নিঃস্বঙ্গ একাকী দিন কাটাচ্ছিলাম,ডিপ্রেশন আমায় যখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছিলো,
তখন আম্মু আব্বুর পরে এক মাত্র তুমিই আমার পাশে ছিলে।

যখন আমার মনে হচ্ছিলো এই পৃথিবীতে আমার আসলে কোন মূল্যই নেই।আমি থাকলেও কারো কিছু যায় আসেনা,আর না থাকলেও কারো কিছু যাবে আসবেনা।ঠিক সেই মুহূর্তে তুমি বুঝিয়েছো আমার বেঁচে থাকা কতটা জরুরি।
সেই ভয়ংকর সময় টাতে তুমি আমার সাথে ছিলে।
আমাকে সাপোর্ট দিয়েছো।
রাতের পর রাত আমি জেগে থাকতাম,আমার ঘুম হতোনা।
ঘুমাতে পারতাম না আমি,কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভেজাতাম।
তখন তুমিও আমাকে ফোন দিয়ে আমার সাথে জেগে থাকতে।
যাতে আমি কোন এ ক্সি ডেন্ট না ঘটিয়ে ফেলি।আমাকে কত কিছুই না বোঝাতে তুমি।
নিজের উপর থেকে যখন পুরোপুরি কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি,তখন তুমিই আমাকে সাহস যুগিয়েছো।
আমাকে আমার মূল্য বুঝিয়েছো।

আমার মন ভালো করার জন্য কতই না,গল্প শুনিয়েছো তুমি।
একেক সময় যেন জোকার ই হয়ে যেতে তুমি আমার জন্য।
যাতে করে আমি একটু হাসি।
আদ্রিশ আমি না বাকি টা জীবন হাসতে চাই।

আদ্রিশ,
তুমি কি সারাজীবনের জন্য আমার মেয়ে আর আমার মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিবে?

আমি চাই বাকি টা জীবন তুমি আমাকে এইভাবে আগলে রাখো।
রাখবে?

_মেঘা!আজ তোমার বিয়ে,কি বলছো তুমি এসব?
_আমি যদি আজ এসব না বলি,তাহলে হয়তো আর কোন দিনও বলা হবেনা।
এবার বলো,তুমি কি চাও?

_মেঘা,আমি তোমাকে পছন্দ করি।অনেক পছন্দ করি।
কিন্তু কখনো বলার সাহস পাইনি,কারণ যদি তুমি ভাবো আমি তোমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছি।
তোমাকে বন্ধুর মত সাপোর্ট দিয়ে প্রেমিক হতে চাচ্ছি।
তোমাকে সাপোর্ট দিতে দিতে তোমায় আগলে রাখতে রাখতে কখন যে তোমাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি,তা আমি নিজেও জানিনা।
কিন্তু কখনো বলিনি,
যদি তুমি আমার সাথে আর কথা না বলো।
যদি যোগাযোগ বন্ধ করে দাও।
সেই ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।
বিশ্বাস করো অথৈ যখন আমাকে জানালো,ভাইয়া আপুর আজ বিয়ে।
আমার মনে হচ্ছিলো কে যেন আমার বুকে ছু-ড়ি দিয়ে আঘাত করলো।
তাই আমি ছুটে এসেছি তোমাকে একটা বার দেখার জন্য।
যদি আর কখনো দেখতে না পারি।

_মেঘা!
আমি আজ এবং এই মুহূর্ত থেকে মানহা আর তোমার মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিলাম,
আর কথা দিলাম,এ দেহে যত দিন প্রাণ আছে ততদিন আমি তোমাদের আগলে রাখবো।
আজ থেকে মানহা শুধু তোমার একার মেয়ে নয়,মানহা আমারও মেয়ে।

_এই সব রঙ তামাশা দেখার জন্য এসেছি নাকি আমরা আংকেল?
আপনার মেয়ে আসলেই খারাপ,এই জন্যই সব পাত্র পক্ষ ওকে রিজেক্ট করে।
(পাত্র)

_এই যে মিঃ একদম চুপ!
মেঘাকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বললে,আমি ভুলে যাবো আপনি এ বাড়ীর গেস্ট। (আদ্রিশ)

_ভাইয়া চলো এখান থেকে,এসব নাটক দেখে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই আমাদের।
এই মেয়ে আমাদের কি রিজেক্ট করবে,আমরাই চলে যাচ্ছি।
চলো ভাইয়া।

এই কথা বলে পাত্রের ছোট ভাই পাত্র সহ তাদের বাড়ীর সবাইকে নিয়ে চলে যায়।

আমি ধীর পায়ে কল্পর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলি,

_জানো,তুমি যখন আমাকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলে।
অন্য মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার করছিলে।
তখন এই মানুষ টা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে।হ্যাঁ তোমার বন্ধু আমাকে বাঁচিয়েছে।
আদ্রিশ তো সবই জানতো তোমার আমার কথা।
আম্মু সারাদিন আমার সাথে সাথে থাকলেও রাতে আমি যখন ঘুমাতে যেতাম আমার রুমে।
আমি তখন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি পেতাম না।
মনে হতো নিজেকে শেষ করে দেই।
কিন্তু তখন আদ্রিশ আমাকে ফোন করে শুধু বোঝাতো।
আদ্রিশ না থাকলে আমি হয়তো কখনোই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে পারতাম না।

যেই মানুষ টা আমার দুঃসময়ে পাশে থেকেছে,আমি চাই সেই মানুষ টা আমার সুসময়েও পাশে থাকুক।
একবার তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো।
এবার আমি তোমাকে ছেড়ে গেলাম।
সমান সমান।
ভালো থেকো কেমন?
আর দয়াকরে মানহাকে আমার বুক থেকে কেড়ে নিওনা।
আদ্রিশ আর আমি ওকে বাবা মায়ের আদরে বড় করবো প্লিজ মানহাকে দিয়ে দাও আমায়।
এত দিন যেহেতু ওকে ছাড়া তুমি থাকতে পেরেছো।
এখনও পারবে।
প্লিজ ওকে নিয়ে যেওনা।

_আদ্রিশ,মনে আছে তোর,সেদিনও চ্যালেঞ্জে তুই জিতে গিয়েছিলি।
মেঘা আমার ফুল আর প্রোপোজ এক্সেপ্ট করেনি সেদিন।
আমি হেরে গিয়েছিলাম।
আর আজও তুই ই জিতলি,
আর সেই আমিই হারলাম।
মেঘা আমাকে না তোকে বেছে নিলো।
যাইহোক,সুখে রাখিস ওকে।
আর থ্যাংক ইউ!
ওর দুঃসময়ে ওর পাশে ছিলি বলে।

আর তোরা তো আজ দুজন দুজনে পেয়ে গেলি।
আমি কি নিয়ে বাঁচবো বল?
মানহা ছাড়া যে আমার এই দুনিয়ায় কেউ নেই।
আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।
তবে হ্যাঁ,
যদি আমি ওকে না রাখতে পারি।
ও যদি মেঘার জন্য কান্না করে,তাহলে আমি অবশ্যই ওকে দিয়ে যাবো।
ভালো থাকিস তোরা।

মেঘা ভালো থেকো।
আর পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমি সেদিন পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
আসছি।

কল্প মানহাকে কোলে করে নিয়ে চলে যায়।
আমি মানহা মানহা বলে কাঁদতে কাঁদতে ওর পিছু যেতে থাকি,আর তখনই আদ্রিশ আমার হাত টেনে ধরে বলে,
যেতে দাও ওকে।
মানহাকে ও রাখতে পারবেনা।
জাস্ট কিছু ঘন্টা মাত্র তারপরই দেখবে ও নিজেই মানহাকে এসে তোমার কাছে দিয়ে গেছে।
মানহা থাকবেনা তোমায় ছাড়া ওর কাছে।

আমি কাঁদতে কাঁদতে আদ্রিশকে জড়িয়ে ধরি।
_হয়েছে,কান্নাকাটি পরে হবে.
তোমার মন চেইঞ্জ হয়ে গেলে তোমাকে আমি আর পাবোনা।
এই সুযোগ আমি হারাতে চাইনা।
কাজী সাহেব তাড়াতাড়ি বিয়ে পড়ান।
কত ক্ষণ আপনাকে বসে থাকতে হলো।প্লিজ কিছু মনে করবেন না।
এবার শুভ কাজ জলদি শুরু করুন।

_দাঁড়াও দাঁড়াও
আমি একটু আসছি,
_আবার কি হলো?
_৫ মিনিট দাঁড়াও।
_আবার মন চেইঞ্জ করে ফেলোনা যেন।
তাড়াতাড়ি এসো।
_পাগল একটা।

আমি রুমে গিয়ে আমার পরনের শাড়ীটা চেইঞ্জ করে আদ্রিশের দেয়া শাড়ীটা পরলাম।যেটা আমি একদিনও পরিনি এখনো।
আদ্রিশ আমাকে আমার জন্মদিনে শাড়ীটা দিয়েছিলো।
যেভাবে দিয়েছে আমি ওইভাবেই রেখে দিয়েছিলাম।

গহনা গুলোও খুলে রাখলাম।
এসব তাদের ফেরত দিতে হবে।

তারপর চলে আসলাম আদ্রিশের কাছে।
আদ্রিশ এবার আরো খুশি।
ওর দেয়া শাড়ীটা আমি পরেছি,সেই জন্য।
আম্মু আব্বুও হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের বিয়ে দিলেন।
আজ সবাই খুশি।
হয়ে গেলো বিয়ে আমাদের।

কিন্তু তখনও আমার বুকের ভেতর মানহার জন্য কেমন করছিলো।

আমি যখন শাড়ী চেইঞ্জ করতে গিয়েছিলাম।তখন আদ্রিশ ওর মায়ের সাথে কথা বলে নেয় বিয়ের ব্যাপারে।
ওর মা বলেন,বিয়ে করে বউ নিয়ে যেন বাসায় চলে যায় আদ্রিশ।
তাছাড়া ওর মা আমার কথা জানেন,আমাকে চেনেন।
জানেন আমরা ভালো বন্ধু।

আম্মু আব্বু অথৈ আমাকে বিদায় জানান।
আর আদ্রিশকে বলেন,আমাকে যেন কোন দিন ও কষ্ট না দেয়।
আদ্রিশও আব্বু আম্মুকে আস্বস্ত করে,ও আমাকে কোন কষ্ট দিবেনা।

আদ্রিশ আমাকে নিয়ে ওদের বাসায় পৌঁছায়।
বাসায় গিয়ে আমি তো অবাক।
সবাই আমাকে বরণ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

আদ্রিশের মা তো মহা খুশি।
উনি যেন আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছেন।
আদ্রিশের মা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
আদর করে বললেন,আমার মা এসেছে।

রাত হয়ে গেছে তাই সবাই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে আদ্রিশের কাজিনরা মিলে বাসর ঘর সাজিয়ে ফেলে।

আদ্রিশ হঠাৎ করেই আমাকে ডেকে বলে,
চলো।
_কোথায়?
_আরে চলোই না।

আদ্রিশ আমাকে নিয়ে বাইকে করে দূরে একটা ব্রিজে নিয়ে যায়।

_এখানে নিয়ে আসলে যে?
_তুমি না বলতে সব সময়,তোমার অনেক ইচ্ছে ছিলো কোন এক রাতে কল্পকে নিয়ে এই ব্রিজে এসে নির্মল বাতাস উপভোগ করবে।
_হুম ছিলোতো।
_কল্পকে তো আনতে পারলাম না,তাই তোমাকেই নিয়ে আসলাম।

আমি দু হাত মেলে দু চোখ বন্ধ করে এই স্নিগ্ধ শীতল বাতাসের ঘ্রাণ নিচ্ছি।

আদ্রিশ আমার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।

_থ্যাংক ইউ আদ্রিশ!
আমার ইচ্ছের কথা মনে রাখার জন্য।
আর ইচ্ছেটা পূরণ করার জন্য।
_এখন থেকে তোমার সব ইচ্ছে পূরণ করার দায়িত্ব আমার।

এই কথা বলে আদ্রিশ আমার কপালে একটা চু*মু খায়।
তারপর আমরা বাসায় চলে আসি।

সকাল বেলা ই আম্মুর ফোন আসে মানহাকে কল্প দিয়ে গেছে।
মানহা সারা রাত কান্না করেছে।
মা মা বলে চিৎকার করেছে।
তাই আর রাখতে পারেনি কল্প ওকে।মানহার কান্না ওর সহ্য হচ্ছিলোনা।
কল্প বলে গেছে ওর মায়ের কাছেই ও থাকুক।

আমি আদ্রিশকে জানাই কল্প মানহাকে দিয়ে গেছে।আর বলে গেছে মানহা এখন থেকে আমার কাছেই থাকবে।

আদ্রিশ খুশি হয়।
আর বলে,
বলেছিলাম না জাস্ট কিছু ঘন্টা।
তারপরই মানহা তোমার বুকে।

আমরা মানহাকে কিছু ক্ষণ পরেই নিয়ে আসবো কেমন?

তারপর আমি আর আদ্রিশ আমাদের বাসায় যাই।
মানহা আমাকে দেখে দৌড়ে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে।

আমরা সারাদিন আমাদের বাসায় থেকে মানহাকে নিয়ে আদ্রিশের বাসায় চলে যাই।
আদ্রিশের মাও মানহাকে মেনে নেন।
তিনি বলেন,ভালোই হয়েছে।আমার এখন আর একা একা থাকতে হবেনা।
আদ্রিশের বাবা নেই।
ওর মা আর ও ই দুজন এ বাড়ীতে থাকতো।
এখন থেকে আমরা নতুন দুই সদস্য যোগ হলাম।

ভালোই চলছে আমাদের চার জনের সংসার।
আদ্রিশ তো মানহাকে ছাড়া এখন কিছুই বুঝেনা।
মানহাও তার পাপাকে অনেক ভালবাসে।

আদ্রিশ প্রায় সময় ই বাইরে থেকে আমার জন্য গোলাপ ফুল নিয়ে আসে।
আর আমার আর মানহার জন্য আইসক্রিম।

মানহারও আমার মত আইসক্রিম খুব পছন্দ।
আদ্রিশ আমাকে এতটাই ভালবাসে যে,বাইরে গেলেও আমাকে কল আর মেসেজ দিতে থাকবে।
আর বলবে,
বিশ্বাস করো,তোমাকে ছাড়া একটা মুহূর্তও বাইরে থাকতে ইচ্ছে করেনা।
ইচ্ছে করে বিজনেস,কাজ বাজ সব ছেড়ে বাসায় বসে থাকি।

আমি ওকে বলি,শোনো বেশি ভালবাসা ভালো না কিন্তু।
আর তাছাড়া বেশি সুখ আমার কপালে সয়না।
কম কম ভালবাসবে কেমন?

_ইশ!বললেই হলো।
আরো অনেক বেশি ভালবাসবো।

এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমাদের দিন।
মানহাও ধীরেধীরে বড় হচ্ছে।
দেখতে দেখতে ২ টা বছর কেটে যায়।
আজ আমাদের ২য় বিবাহ বার্ষিকী।
১ম বিবাহ বার্ষিকীতে আদ্রিশ আমাকে রাত ১২ টা এক মিনিটে উইশ করে আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছিলো।
আমি ঘুমিয়েছিলাম,সারা ঘর সেই সুযোগে ও সাজিয়ে ফেলেছিলো।
ঠিক ১২ টা এক মিনিটে আমাকে ডেকে তুলে বলেছিলো,ভালবাসার এক বছর জান টাহ।
ভালবাসি।
তারপর আমরা কেক কেটেছিলাম।

কিন্তু এবার ও তো তারিখ টাই ভুলে গেছে।
রাত গিয়ে সকাল হলো,সকাল থেকে দুপুর,দুপুর থেকে বিকেল।
ওর আমাকে উইশ করার কোন খবরই নেই।
আমিও অভিমানে ওকে আর উইশ করিনি।

সন্ধ্যায় হঠাৎ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বল্লো,শোনো!
আমি তো মনে মনে খুশি হলাম,এখন বুঝি উইশ করবে।
কিন্তু সে আমাকে উইশ না করে,
কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বল্লো, ভালবাসি বউপাখি।
আমি একটু বাইরে যাচ্ছি বুঝছো?
মানহার খেয়াল রেখো।
সাবধানে থেকো,আসছি।

আমিও বললাম আচ্ছা সাবধানে যেও।

আদ্রিশ বাইরে যাবার ২০ কি ২৫ মিনিট পর ওর নাম্বার থেকে একটা ফোন এলো,
আমি ফোন টা রিসিভ করে হ্যালো বলতেই অপর পাশ থেকে অপরিচিত এক কন্ঠ ভেসে আসলো,

_হ্যালো!যার ফোন থেকে আমি কল দিয়েছি আপনি কি তার ওয়াইফ বলছেন?আপনার নাম্বার টা তার ফোনে “বউপাখি” নামে সেভ করা।সেই জন্য বলছি।
_জ্বী আমি তার ওয়াইফ বলছি।
_আপনি এই মুহূর্তে হসপিটালে চলে আসুন।
আপনার বর বাইক এক্সি ডেন্ট করেছে।
তার অবস্থা খুবই খারাপ।

চলবে,