#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_9
.
.
.
আবিরকে দেখে তিশা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তারপরও তিশা শেষ চেষ্টা করে….
তিশা : স্যার আমার কাজ শেষ তাই এখন আমাকে বাড়ি যেতে হবে ( গলাটা হালকা চেইন্জ করে)
আবির : হে যান আপনি…..
তিশা : হুমমমম( তার মানে কিছুই বুঝতে পারে নি উফফ বাচলাম)
তিশা পা বাড়াতেই আবির তিশার হাত টান দিয়ে নিজের বুকে এনে ফেলে…..
আবির : কোথায় যাচ্ছিলে সুইটর্হাট….. তুমি তো ধরা খেয়ে গেছো এবার তো তোমাকে আমার সাথেই থাকতে হবে চলো ঘরে চলো….
তিশা : আমি যাবো না আমার হাত ছাড়ুন বলছি….
আবির তিশার হাত ধরে সোজা ঘরে নিয়ে যায়….
তিশা : কি করছেন আমার হাত ছাড়ুন বলছি…..
আবির : ছেড়ে তো দিয়েছিলাম জান কিন্তু তুমি তো আমাকে ছাড়তে পারলে না….
তিশা : মানে….
আবির : মানেটা হলো গিয়ে তুমি আর এই বাড়ি থেকে চলে যেতে পারবে না তোমার সময় শেষ হয়ে গেছে আর এখন তুমি তোমার কথা অনুযায়ী এই বাড়িতেই থাকবে আমার সাথে….. আর তুমি কি ভেবেছিলে তোমাকে আমি চিনতে পারবো না তাহলে তুমি ভুল ভেবেছিলে কি বলো তো এই বাড়িতেই যার কাজ করে তারা আমাকে স্যার বলে ডাকে না সবাই আমাকে বড় সাহেব বলে ডাকে…… আর যারা এই বাড়ির বাইরে কাজ করে তারা আমাকে স্যার বলে ডাকে…. তোমার স্যার ডাকটা শুনেই আমার মনে একটু সন্দেহ হয়েছিল আর যখন তুমি আমাকে কফিটা দিয়েছিলে তখন তোমার ওই ডান হাতের তিলটা দেখেই বুঝতে পেরেছি যে এটা তুমিই ছিলে….. আর তোমার শরীরের ওই মাতাল করা ঘ্রান আমাকেই বলেই দিয়েছিল যে ওইটাই তুমি আর তোমার হাতের ওই কালো তিল দেখে তোমাকে চিনার প্রয়োজন পড়বে না আমার তোমার অস্তিত্বই আমাকে বলে দেয় তুমি কোথায় আছে কারন আমি #মিশে_আছি_তোমাতে ❤ তুমি আমাকে ভালো নাই বাসতে পড়ো কিন্তু আমি তোমাকে আমার সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছি আর সারাজীবন ভালোবেসে যাবো…..
তিশা : না আমি এখানে কিছুতেই থাকবো না কিছুতেই না ….
আবির : সুইটর্হাট তুমি কি নিজের কথা রাখবে না…. তাহলে কি আমি ধরে নিবো যে তুমি কথায় দিয়ে কথা রাখো না…..
তিশা ধপ করে খাটে বসে পড়ে….. আবির তিশার পাশে গিয়ে বসে তিশার বা হাতের আনামিকা আঙ্গুলে আংটি পড়িয়ে দেয়….
আবির : এই আংটিটা খুলবে না… কারন আজ থেকে তুমি আমার হয়ে গেলে তাই এটা তোমার আঙ্গুলে যেন সবসময় থাকে…..
আবির ঘর থেকে চলে যায়….. তিশা রাগে বিছানা থেকে বালিশ গুলো নিচে ফেলে দেয়……
এদিকে নিরব শুয়ে শুয়ে ভাবছে নিসাকে ফোন দিবে নাকি ফোন দিবে না….
নিরব : উফফ আল্লাহ কি যে করি আমি ফোন কি দিবো ওকে নাকি দিবো…. উফফ নিরব রহমান তুই পাগল হয়ে যাবি….. আচ্ছা টস করি যদি হেট আসে তাহলে ফোন দিবো না আর টেল আসলে ফোন দিবো….
নিরব একটা কয়েন হাত নিয়ে উপরে ছুড়ে মারে আর দু হাত দিয়ে ধরে ফেলে…. নিরব চোখ বন্ধ করে বলে….
নিরব : আল্লাহ তুমি যেটা চাইবে তাই হবে…
নিরব চোখ খুলে তাকিয়ে দেয় টেল এসেছে….
নিরব : তারমানে ফোন করতে হবে ঠিক আছে তাহলে ফোন করি…. কিন্তু ফোন করে কি বলব আচ্ছা আগে তো ফোন করি……
নিরব নিসাকে ফোন করে কিন্তু নিসা ফোনটা রিসিভ করে না…
নিরব : এটা কি হলো ফোনটা ধরলো না ধ্যাত….
নিরব আবার ফোন করতেই নিসা ফোন রিসিভ করে…
নিসা : হ্যালো!! কে বলছেন???
নিরব একটা কাসি দিয়ে বলে…
নিরব : আমি….
নিসা : আমি… আমি কে???
নিরব : আরে ওই যে যার সাথে তোমার আজকে রেস্টুরেটে দেখা হয়েছিল…
নিসা : আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন???
নিরব : একটু চেষ্টা করলে ঠিক পাওয়া যায় নাম্বার বুঝলে…..
নিসা : শুনুন আপনি আর আমাকে ফোন দিবেন না ওকে….
নিরব : আরে আরে ফোন কেটো না যা কেটে দিলো…. কি মেয়েরে মাইরি সবাই যেখানে আমার জন্য পাগল আর এই মেয়ে তো দেখছি আমার সাথে কথাই বলতে চায় না নিরব তকে অনেক কাঠ কয়লা পুড়াতে হবে রে নিসা পেতে হলে…..
নিরব আবার ফোন করে কিন্তু নিসা ফোন রিসিভ করে না….
নিরব : যাহ ফোনটা ধরলো না….. ধুর আবার কি ফোন করবো না আর একবার ফোন করলে আমাকে ছ্যাছড়া ভাববে তার যে ফোন না করাটাই ভালো….
এদিকে তিশা শুয়ে আছে মন খারাপ করে না খেয়ে… এমন সময় আবির ঘরে আসে হাতে খাবার নিয়ে আবির খাবারটা টেবিলের উপরে রেখে তিশাকে ডাক দেয়…
আবির : তিশা খাবারটা খেয়ে নাওওও
তিশা কোনো কথা বলছে না….
আবির :তিশা আমি তোমাকে কিছু বলছি উঠে খাবারটা খেয়ে নাও
তিশা : আমি খাবো না…
আবির : কেন খাবে না??
তিশা : আমার ইচ্ছে তাই আমি খাবো না আর আমি না খেলে আপনার কি???
আবির তিশাকে কোলে তুলে নেয় হঠাৎ করে যার জন্য তিশা মুঠেও প্রস্তুআত ছিলো না…
আবির : আমারেই তো সব যদি তুমি না খাও জান…
তিশা : কোল থেকে নামান আমাকে বলছি…
আবির তিশার কোনো কথা না শুনে তিশাকে সোফাতে নিয়ে বাসায়….
আবির : চুপচাপ খাও….
তিশা : বলছি তো আমি খাবো না….
তিশা উঠে চলে যেতে যাবে সাথে সাথে আবির তিশার হাত ধরে সোফাতে ফেলে দিয়ে আবির তিশার দুহাত ধরে তিশার দিকে নিচুে হয়ে থাকে….
তিশা : কি করছেন এসব আমার হাত ছাড়ুন????
আবির : সুইটর্হাট তুমি যদি ডিনার না করো তাহলে আমি যে কি করবো তুমি কল্পনাও করতে পারছো না আগের দিন রাতে যেটা করার কথা ছিল সেটা কিন্তু আমি এখন করতে পারি…..
তিশা : কি অসভ্যতামা করা হচ্ছে….. আমাকে ছাড়ুন আর আমি বলেছি তো আমি খাবো না…..
আবির : ঠিক আছে তাহলে আমি গত কালকে যেটা করি নি সেটা করি…
আবির তিশার গোলাপি ঠোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে…… তিশা চোখ বন্ধ করে বলে ওঠে…
তিশা : প্লিজ এমন করবেন না আমি খাবো….
আবির : গুড…..
আবির তিশার কাছ থেকে সরে আসে তিশা তাড়াতাড়ি করে উঠে খাবার খেতে থাকে……
আবির : আরে আস্তে আস্তে খাও না হলে গলাতে আটকে যাবে তো…..
তিশা ডিনার করে গিয়ে শুয়ে পড়ে….. আবির অফিসের কিছু কাজ করে সোফাতেই শুয়ে পড়ে…..
সকালে তিশা ঘুম থেকে উঠে থেকে উঠে দেখে আবির ঘুমাচ্ছে…. আবিরকে একদম একটা ছোট ন্বিস্পাপ বাচ্চার মতো ঘুমাচ্ছে তিশা আবিরকে দেখে মনে মনে….
তিশা : এই লোকটা কি করে এসব করতে পারে কি করে যে কিনা ঘুমালে এত সুন্দর আর ন্বিস্পাপ লাগে…. তিশা এসব তুই কি ভাবছিস ও তর শএু ওর জন্যই আজকে তর বাবা মা তকে ত্যাগ করেছে…..
আবির চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে তিশা ওর দিকে তাকিয়ে আছে….
আবির : কি দেখছো এভাবে ( দু ভ্রু নাচিয়ে)
তিশা কিছু না বলেই ওয়াসরুমে চলে যায়….. আবির বসে বসে চিন্তা করছে কি করে তিশাকে ওর প্রেমে ফেলানো যায়… তিশা ওয়াসরুম থেকে ভিজা চুল মুজতে মুজতে বের হয় আবির তো তিশার এমন রুপ থেকে যায় যায় অবস্থা তিশার ভিজা চুলের ঝপটার কারনে আবিরের মুখে এসে পানি পড়ে…… আবির তো তিশার দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে হঠাৎ করেই আবিরের ফোনটা বেজে ওঠে আবির নিজের ঘোর থেকে বেরিয়ে এসে ফোনটা রিসিভ করে….
আবির : ঠিক আছে আমি সময় মতো চলে আসবো মিটিংয়ে……
আবির টাওয়াল নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায় আবির শাওয়ার নিয়ে ভিজা চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বের হয় তিশা তো আবিরকে দেখে এক চিৎকার মারে…..
তিশা : একি আপনার এই অবস্থা কেন??( অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে)
আবির নিজেকে একবার দেখে বলে…..
আবির : কেন কি হয়েছে???
তিশা : আরে আপনি শুধু টাওয়াল পড়ে আছেন কেন????
আবির : ও এই ব্যাপার…. টাওয়াল পড়ে আছি তো কি হয়েছে??
তিশা : কি হয়েছে মানে?? আপনি জানেন না এই ঘরে যে একটা মেয়ে আছে….
আবির : তো কি হয়েছে তুমি তো আমার বিয়ে করা বউ তাহলে তুমিই তো আমার সব কিছু দেখবে তাই না…..
তিশা : শুনুন আজে বাজে কথা বলবেন না আপনি তাড়াতাড়ি চেইন্জ করুন….
আবির : করবো না….
তিশা : মানে আপনি কি সারাদিন এভাবে থাকবেন???
আবির : হে থাকবো….
তিশা : ঠিক আছে তাহলে আপনি এভাবে থাকুন আমি বরং এই ঘর থেকে চলে যাই…
আবির : এই একদম না এই ঘর থেকে বের হবে না তুমি যদি এই ঘর থেকে চলে যাও তাহলে আমি এই অবস্থায় কিন্তু এই ঘর থেকে বের হয়ে যাবো…. তখন তোমাকেই সবাই বলবে যে তুমি তোমার বরকে দুইদিনেই এমন অবস্থা করে ফেলেছো না জানি আর কয়েকদিন পর কি করবে???
তিশা : কি???
আবির : হে… তাই তুমি চোখ খুলে দেখো আমাকে….
তিশা : আমি পারবো না…
আবির : তাহলে কিন্তু আমি এভাবে বের হয়ে যাবো….
তিশা : এই না না এমন করবেন না প্লিজ….
আবির : ঠিক আছে তাহলে তুমি চোখ খুলো…… কি হলো খুলো???
তিশা একটা চোখ আস্তে আস্তে খুলে যা দেখে তাতে তিশা ভীষন আবাক হয়….
#চলবে