রহস্যময়ী লেডি কিলার পর্ব-০২

0
330

#রহস্যময়ী_লেডি_কিলার
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_২

–“ওয়াশরুমের আয়নার দিকে নজর পড়তেই দেখি ভয়ানক একটা ডেমোনিক ফিগার আয়নার ভিতর থেকে আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে তাকিয়ে আছে। যেটা দেখে কিনা আমার শরীর এবার থরথর করে কাঁপতে আরম্ভ করেছে! এমন অদ্ভুত রকমের দৃশ্য দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! আমি আশেপাশের স্টুডেন্টদের দিকে নজর ঘুরাতে লাগলাম। কিন্তু কেউ আমার দিকে খেয়াল এই করছে না। সবার এটেনশন মারা যাওয়া ছেলেটার মৃত দেহের দিকে। তখনি আয়নার ভিতর থেকে সেই ডেমোনিক ফিগারটা আমায় বলে উঠলো,

–এই ছেলে, তুই খামোখা এসবের মাঝে বা-হাত দিস না। কারন তুই ভালো একটা ছেলে। তাই আমি চাই না তুই এসবের মাঝে বেশি একটা হস্তক্ষেপ কর। সো এখান থেকে চলে যা। না হয় কিন্তু তোর অবস্থাও খারাপ করে দিব।

–আয়নার ভিতরে থাকা ডেমোনিক ফিগারটার কথা শুনে সমস্ত ভয় রাগে পরিণত হয়ে গেলো। কারন আমি ঘাড়ত্যাড়া একটা লোক। আমার দিকে একবার কেউ আঙ্গুল তুললে বা হুমকি দিলেই আমার মাথার রক্ত টগবগ করতে শুরু করে। যার ফলে সামনের লোকটা কে, সেটা দেখার পরিস্থিতি থাকে না। আগে ইচ্ছা তরফে কেলিয়ে নেই। পরে গিয়ে হিসাব নিকাশ করি সামনের লোকটা কে ছিলো। তদ্রূপ এখন রাগে শরীরের রক্ত খলতে আরম্ভ করেছে। যার ফলে দেরি না করে ওয়াশরুমের আয়নার মধ্যে সজোড়ে একটা ঘুসি মেরে দিলাম। আর সাথে সাথে আয়নাটা ফেটে গেলো। আয়না ফাটতেই ডেমোনিক ফিগার গায়েব হয়ে গেছে। “অন্যদিকে সবাই এবার আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কারন ইতি মধ্যে অদ্ভুত একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছি আমি। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সবাইকে বললাম, কেউ এসব কিছুতে কর্ণপাত না করে নিজ নিজ কাজে চলে যান। কারন এখানে কিছু সময়ের মাঝে পুলিশ চলে আসবে। আমার কথায় সবাই ওয়াশরুমের আশপাশ ছেড়ে যে যার মতন চলে গিয়েছে। তবে নতুন বর্ষের সেই মেয়েটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যে কিনা আমায় দেখে মুচকি হেঁসেছিলো। তাই তাকে জিজ্ঞাস করলাম, এই মেয়ে তুমি এখনো যাওনি কেন?

–চলে যাবো। কিন্তু আপনাকে একটা কথা বলার জন্য এখনো রয়ে গেছি।

–কি কথা?

–আপনার কিন্তু অনেক সাহস। না হয়তো আয়নাটা এভাবে ভেঙ্গে ফেলতেন না।

–এই মেয়ে আয়না ভাংতে সাহসের প্রয়োজন হয় নাকি? আর আয়নাটা আমি যে কোনো একটা কারনে ভেঙ্গেছি। এখানে সাহসের কিছুই নেই।

–আরেহ আপনি বললে কি হবে নাকি। আমি জানি আপনার অনেক সাহস।

–মেয়েটার কথা শুনে প্রচন্ড লেভেলের বিরক্তি লাগছে। তাই তাকে বললাম, এই যে তুমি এখান থেকে যাও তো আমার মাথা না খেয়ে।

–হুহ চলে যাচ্ছি। তবে শুনুন আপনার সাহস কিন্তু অনেক।
.
মেয়েটা এটা বলেই আকাশের সামনে থেকে চলে যায়। আর যেতে যেতে সেম আগের ন্যায় একটা মুচকি হাসি দেয়। যেই হাসির মাহাত্ম্য আকাশ বুঝতে পারে না। আর সে এই বিষয়টা নিয়ে বেশি একটা ভ্রূক্ষেপ ও করে না। মেয়েটার চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলেজে পুলিশ চলে আসে। আকাশ এখনো ওয়াশরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ এসে লাশের কন্ডিশন দেখেই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে শুরু করে, যে এটা হয়তো সেই রহস্যময়ী লেডি কিলারের কাজ। কারন গতবারের লোকটার ন্যায় নাকি একই রকম ছুরির ক্ষত দেখা যাচ্ছে এই স্টুডেন্টের শরীরে। তাই তাঁদের মনে হয় সেই লেডি কিলার টাই এই ছেলেকে মেরেছে। পুলিশদের সমস্ত কথপোকথন আকাশ পাশ থেকে শুনে ফেলে। তাই সে পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাস করে,

–স্যার এই স্টুডেন্টের খুন হয়েছে কি করে? আর কে করেছে তার খুন?

–আসলে খুন হয়েছে কি করে বা কে খুনি সেটা চিহ্নিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই তুমি এখান থেকে চলে যাও। আর কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারকে ডেকে পাঠাও। উনার সাথে আমাদের কিছু পার্সোনাল কথা আছে।

–প্রিন্সিপাল স্যার একটু বাহিরে গেছে। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। কিন্তু স্যার আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কথা লুকাচ্ছেন কেন?

–এই বেটা কিসের কথা লুকিয়েছিরে তোর থেকে?

–স্যার মার্জিত ভাষায় কথা বলুন। আর আমি আপনাদের কথোপকথন কিন্তু শুনে নিয়েছি। সো আপনি সেই লেডি কিলারের বিষয়ে আমার কাছে খোলাসা করুন।

–এই বেটা তুই আমাকে মার্জিত ভাষা দেখাচ্ছিস?
আর তোর কাছে কোন ছাতার মাথার জন্য কৈফিয়ত দিতে যাবো? তুই কে রে? তোকে দেখে তো কলেজের স্টুডেন্ট মনে হচ্ছে। তুই জানিস আমার কাছে কৈফিয়ত চাওয়ার জন্য কতো নামি-দামি লোক আমার পিছনে ঘুরঘুর করে। আর সেখানে তোর মতন চেংরা বয়সী একটা ছেলে এসে কিনা আমার কাছে কৈফিয়ত চাইছে। যা ভাগ এখান থেকে। আর প্রিন্সিপাল স্যারকে জলদি আমার সাথে দেখা করতে বল।

–স্যার আবারো বলছি ভদ্র ভাবে কথা বলেন। না হয় কিন্তু কন্ঠ নালি টেনে একদম ছিঁড়ে ফেলবো।
.
পুলিশ অফিসার আরো রেগে যায় আকাশের এমন কথাবার্তা শুনে। তাই সে সোজা আকাশের কাছে এসে আকাশের কলার চেপে ধরে। তারপর আকাশের গালের মধ্যে থাপ্পড় মারার জন্য যখনি হাত উত্তলন করে, তখনি হুট করে আকাশের বডিগার্ডরা কোথা থেকে এসে যেনো পুলিশ অফিসারের হাত ধরে ফেলে। তারপর আকাশের একজন বডিগার্ড সেই পুলিস অফিসারটাকে বলে,

–এই সরকারের পালিত কুকুর, তুই কোন সাহসে আকাশ ভাইকে মারার সাহস করেছিস। তুই কি জানিস আকাশ মাহমুদ কে?
.
পুলিশ অফিসারের ক্ষিপ্ততা যেনো আরো অনেক কয় গুন বেড়ে গেছে। কিন্তু সে বডিগার্ডদের জন্য কিছুই করতে পারে না। তবে সে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে শুরু করে,

–এই তোর আকাশ যে হবে হোক। আমার কাছে কারোর এই খাওয়া নাই। কোনো বড়লোকের ছেলেকে আমি গণনায় রাখি না। সে হয়তো কোনো বড়লোকের ছেলে টেলে হবে। কিন্তু তার বড়োলোকি আমার হাঁটুর নিচে থাকে।

–এই অফিসার মুখ সামলে কথা বল। অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।

–এই বেটা বড়লোকের চামচা। শবে তো মাত্র বাড়াবাড়িই করেছি। সময় মতন তোর আকাশকে ভাইকে আর তোদের সব কয়টাকে লকআপে নিয়ে গিয়ে কোষে ডান্ডা দিব। তারপর ভাই গিরি আর তোদের চামচাগিরি একদম চিরতরে বের হয়ে যাবে।

–আচ্ছা এতো বকবক যে করছিস, এটা করবি সেটা করবি। তুই কি আসলেই জানিস তোর দ্বারা এমন কিছু হবে না। কারন তুই ভাইয়ের আসল পরিচয় জানতে পারলে এখানেই পেন্ট ভরে মুত্র ত্যাগ করবি।

–এই চামচা কে রে তোর ভাই? আর কিসের এতো বাহাদুরি দেখাচ্ছে সে?

–আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া রবার্টের নাম শুনেছিস কখনো?

–হুম শুনেছি। কিন্তু কি হয়েছে সেটা বল এখন।

–তোর সামনে সেই আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া রবার্ট এই দাঁড়িয়ে আছে। আর তুই এতো সময় ধরে যেই বেয়াদবিটা করেছিস, সব কিছু কিন্তু তিনার সাথে করেছিস। ভাই যদি একবার তার আসল ফর্মে আসে, তোর এই বাহাদুরি থাকবে তো তখন?
.
পুলিশ অফিসার আকাশের গার্ডের মুখে রবার্ট নামটা শুনতেই হাঁটু ভাজ করে আকাশের পা ধরে বসে পড়ে। তারপর কাঁদো কাঁদো কন্ঠে আকাশকে বলে,

–ভাই আপনার পায়ে পড়ি, আপনি আমাকে মাফ করে দেন। বিশ্বাস করেন আপনি কে সেটা আমি জানতাম না। আমি না জেনেই আপনার সাথে এমনধারা বেয়াদবি করেছি। আপনি প্লিজ আমায় মাফ করে দেন।
.
আকাশ পুলিশ অফিসারের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে সোজা পা ঘুরিয়ে নিয়ে পুলিশ অফিসারের শরীরে সজোড়ে একটা লাথি দিয়ে মেরে দেয়। যার ফলে পুলিশ অফিসার পিছনের দিকে উল্টে পড়ে যায়। তখনি আকাশ কিছুটা গরম হয়ে গার্ডকে বলে,

–এই মুজাহিদ আমি চললাম। তুই এই পুলিশ অফিসার থেকে লেডি কিলারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নে। পরে সময় করে এই বেটাকে ধরে বেয়াদবি করার শখ মিটিয়ে দিব।
.
তারপর আকাশ সেখান থেকে চলে গিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে একাই রওয়ানা হয়। আকাশ চলে যেতেই পুলিশ অফিসার কান্না করতে আরম্ভ করে। কারন সে জানে তার মৃত্যু নিশ্চিত। রবার্টের সাথে বড় গলায় কথা বলে কেউ আজ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে নি। সেখানে সে তো রবার্টের কলার ধরে তাকে মারতে চেয়েছে। পুলিশ অফিসারের কান্নার মাত্রা যেনো ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তখনি মুজাহিদ থাকে বলে,

–বাছাধন এজন্যই বলে বুঝে শুনে মানুষের সাথে পাঙ্গা নিতে হয়। সরকারি পোশাক পরিধান করে হাতে ছয় বুলেট ওয়ালা একটা পিস্তল নিলেই বাদশা হওয়া যায় না। সো এবার ফটাফট সেই লেডি কিলারের তথ্য দে।

–ভাই প্লিজ আমার ভুল হয়ে গেছে। আপনার দু’টো পায়ে পড়ি আপনি আমাকে বাঁচান। আমার বাচ্চার কসম করে বলতেছি, আমি এই রকম ব্যবহার কোনোদিন আর কারোর সাথে করবো না।

–আচ্ছা যা তোকে ভাই কিছু করবে না। তোর জিম্মাদারী আমি নিচ্ছি। সো এবার তাড়াতাড়ি সেই লেডি কিলারের বিষয়ে কনফার্ম কর।

–ভাই সেই লেডি কিলারের বিষয়ে আমরাও তেমন ভালো করে জানি না। তবে গতকাল যেখানে খুন হয়েছে। আমরা সেখানে ছান বিন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের হাতে কিছুই মিলেনি। তবে যখনি আমরা সেই এলাকার মোড়ের একটা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করি, তখনি সেই লেডি কিলার টাকে দেখতে পাই। সেই লেডি কিলারটার অলৌকিক কোনো ক্ষমতা আছে। সে রেইনকোট থেকে হাত বের করতেই তার হাত অদ্ভুত ভাবে দৈত্যাকার একটা ছুরিতে পরিণত হয়ে যায়। যেটা দিয়ে কিনা সে সেই লোকটাকে মুহূর্তের মধ্যেই মেরে ফেলে। তারপর মেয়েটা সেই লোকটাকে ছেড়ে অন্য একজনের পিছু নেয়। পরবর্তীতে সেই মেয়েটাকে আর কোথাও দেখা যায়নি।

–কেনা এতো বড় এলাকা। কেউ কি তাকে যেতে দেখেনি?

–নাহ কেউ এই নাকি তাকে দেখেনি। সবার কথা অনুযায়ী সে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

–আচ্ছা সেই মেয়ের ভিডিও ফুটেজ টা চাই আমার।

–ঠিক আছে ভাই। আমি থানা থেকে ফুটেজটা এনে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার হাতে দিচ্ছি। কিন্তু ভাই রবার্ট স্যার আমাকে মারবে না তো?

–নাহ আকাশ ভাই তোর কিছুই করবে না। তোর জিম্মাদারী আমি নিয়েছি বললাম তো। তবে হ্যাঁ একটা কথা, তুই আর তোর লোকজন কখনো কিন্তু আকাশ ভাইয়ের বিষয়ে মুখ খুলতে পারবি না। এক কথায় বলতে গেলে তোরা জেনেও কোনো কিছু জানিস না।

–না ভাই আমরা কোনোদিন ও মুখ খুলবো না। উনার আসল পরিচয়টা আমাদের মনের ভিতরে থাকবে।

–হুম এবার সিসিটিভি ফুটেজ টা আনার ব্যবস্থা কর। আর এই স্টুডেন্টের লাশটা ল্যাবে পাঠাবি না কি করবি কর।
.
তারপর অফিসার একজনকে জলদি সেই ফুটেজ টা আনতে থানায় পাঠায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই থানার লোক ফুটেজ টা নিয়ে এসে আকাশের গার্ডের হাতে দেয়। তারপর গার্ড সিসিটিভি ফুটেজটা নিয়ে এসে আকাশের হাতে দেয়। আকাশ ফুটেজ টা না দেখে পরে দেখবে বলে সেটাকে সাবধানে রেখে দেয়। তারপর খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এক ঘুমে মাগরিব আজান হয়ে গেছে। আকাশ ঘুম থেকে উঠতেই রাজ এসে তাকে খবর দেয়,

–ভাই কলেজে নাকি কোনো এক পুলিশ অফিসার আপনার সাথে ঝামেলা করেছে। সেই পুলিশ অফিসারকে সেই লেডি কিলার টপকে দিয়েছে। আর সাথে পুলিশ অফিসারের মৃত দেহের উপরে একটা চিরকুট রেখে গেছে। যার মধ্যে লিখা আছে, কারোর বাপের ক্ষমা নাই তাকে খুঁজে বের করে পাকড়াও করবে। আর বিশেষ করে আপনার কথাও বলেছে। যে আপনারো নাকি মানে রবার্টের ও নাকি এতো বড় বুকেরপাঠা নাই, যে সে তাকে খুঁজে বের করবে। ভাই সেই মেয়ে প্রকাশ্যে আপনাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মেরেছে।
.
রাজের মুখে এমন কথা শুনে আকাশের ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। কারন এই জীবনের প্রথম কেউ আকাশকে এভাবে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছে। আকাশ ভয়ানক এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজকে বলে,

–ওকেহ চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্টেড।
.
আকাশের কথা এবং তার চেহারার ভয়ানক আকৃতি দেখে রাজের বুঝতে বাকি নাই, যে বাঘ-সিংহের তুমুল এক লড়াই শুরু হতে চলেছে। তবে তার বিশ্বাস আকাশ এই এই লড়াইয়ে বিজয় হবে। কারন আকাশ যে মাঝেমধ্যে তার মানুষের রূপ পাল্টে ভয়ানক ভ্যাম্পায়ারের রূপ ধারণ করে, সেটা কেউ জানুক আর না জানুক, রাজ কিন্তু সেটা ভালো করেই জানে। আই মিন আকাশের হিংস্রতা একবার জেগে উঠলে সে একাধিক মানুষের প্রাণ নিতেও একবার ভাববে না। তাই রাজ মুচকি একটা হাসি দিয়ে আকাশের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে।

চলবে….

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।