রহস্যময়ী লেডি কিলার পর্ব-০১

0
792

#রহস্যময়ী_লেডি_কিলার
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১

“আকাশ ভাই বিশ্বাস করেন মেয়েটা মৃত্যুর ফেরেস্তার অভিরূপ। রেইনকোট থেকে হাত বের করতেই তার হাত ধারালো একটা ছুরিতে পরিবর্তন হয়ে গেছে। তারপর সে সেই ছুরিটা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ফেলেছে সেই লোক টাকে। তার পরবর্তীতেই সে আমার পিছনে পড়েছে। আপনি প্লিজ আমাকে বাঁচান।

–আরে রাজ কি হয়েছে তোর? আর তুই কি সব বলছিস উল্টো পাল্টা। তোর মাথা ঠিক আছে তো?

–ভাই বিশ্বাস করেন আমি একটা কথাও মিথ্যা বলছি না। আপনি আমাকে যেই লোককে উঠিয়ে আনার আদেশ করেছেন, আমি তার লোকেশন বের করে গন্তব্যে পৌঁছেছি তাকে তুলে আনার জন্য। কিন্তু আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার আগেই কালো একটা রেইনকোট পরিধান করা মেয়ে সেই লোক কে পাকড়াও করেছে। আর মেয়েটার সারা শরীরে কেমন যেনো ইলেকট্রিক্যাল শট সার্কিটের আলোকরশ্মির ন্যায় আলো জ্বলছিলো। আমি সেই মেয়েটাকে দেখে আড়াল হয়ে যাই আসল কাহিনী জানার জন্য। কিন্তু হুট করেই মেয়েটা রেইনকোট থেকে হাত বের করে। বিশ্বাস করেন আকাশ ভাই, মেয়েটা রেইনকোট থেকে হাত বের করতেই তার হাত আধ্যাত্মিক ভাবে দৈত্যাকার একটা অস্ত্রে পরিণত হয়ে গেছে। যেই অস্ত্রটা কিনা একটা মানুষের শরীরের গঠনের চাইতেও দ্বিগুণ। তারপর সেটা দিয়ে সে সেই লোকটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। আমি পাশ থেকে এই ভয়ানক দৃশ্য থেকে ঘাবড়ে যাই! যার ফলে আমি যেই টিনের ফেরির পিছনে লুকিয়ে ছিলাম, সেটাতে হাত লেগে শব্দ হয়ে উঠে। যেই শব্দের আওয়াজ মেয়েটার কানে পৌঁছাতেই মেয়েটা সেই লোকটাকে রেখে আমার পিছু নেই। আর আমি দৌড়ে সেই জায়গাটা ত্যাগ করি। তবে আমি শিওর মেয়েটা আমার পিছু নিতে নিতে এখান পর্যন্ত চলে এসেছে। ভাই প্লিজ আপনি আমাকে সেই হায়েনা থেকে বাঁচান।

–এই রাজ সত্যি করে বলতো, যে তুই কোনো নেশাটেশা করেছিস নাকি? কারন এই যুগে এমন আধ্যাত্মিক কোনো কিছু ঘটে নাকি।

–ভাই বিশ্বাস করেন, আমি আমার মাতৃত্বের কসম করে বলতেছি, আমি একটা কথাও মিথ্যা বলছি না। আমি যা বলেছি সব কিছুই আমার চোখের সামনে হয়েছে। সব কিছুই আমি নিজের চোখে দেখেছি।

–আচ্ছা ঠিক আছে যা বিশ্বাস করলাম তোর কথা। কিন্তু শোন এখানে এসে সেই মেয়ে আমার সামনে তোর কোনো ক্ষতি করবে, এমন বুকেরপাটা এখনো সেই মেয়ের হয় নাই। কারন আমি কে তুই ভালো করেই জানিস। সো তুই নিশ্চিন্তে ভিতরে যা। সেখানে আরো বহু ছেলেপেলে আছে। আর আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি কে আসে তোর পিছু নিয়ে এখান পর্যন্ত।

–ঠিক আছে ভাই।

–তারপর রাজ ভিতরে চলে গেলো। আর আমি আমার বাংলোর বাহিরে পায়চারী করতে লাগলাম। এভাবে বেশ অনেকটা সময় কেটে গেলো। কিন্তু কেউ এই আসলো না। নাহ রাজ হয়তো কোনোকিছু দেখে ভয় টয় পেয়েছে। তাই আমার কাছে এসে উল্টা পাল্টা বলেছে। কিন্তু একটা দিক বিবেচনা করলে রাজের বিষয়টাকে ফেলনা না ভেবে সিরিয়াস নেওয়া উচিৎ। কারন এই রাজ এমন একটা ছেলে, যে কিনা কোনো কিছুকেই পরোয়া করে না। যতো বড় বাপের বেটা হবে হোক। আমি যাস্ট একবার মুখ দিয়ে যদি বলি অমুক ব্যক্তিকে মৃত্যুর ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আয়। তাহলে সে এক বারের জন্যেও ভাববে না সেই লোক কে, বা কি তার পরিচয়। সোজা গিয়ে সেই মানুষ টাকে জমের দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে আসবে। আর সেই ছিলে কিনা বিনা কারনে এভাবে ভয় পাবে, নাহ এটা আমার পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছে না। হয়তো সত্যিই তার সাথে কিছু একটা ঘটেছে। তাই এই বিষয় টাকে পুরোপুরি ফেলনা ভাবা যাবে না। কিন্তু এখন তো কেউ আসে নি তাকে ফলো করতে করতে। তাই বাংলোর ভিতরে চলে যাই। চিন্তা ভাবনা মতন বাংলোর ভিতরে চলে আসলাম। বাংলোর ভিতরে এসে সবাইকে বললাম, এই আজ রাতে সবাই একটু সচেতন থাকিস। কারন রাজের সাথে কিছু অদ্ভুত বিষয় ঘটেছে। আমার কথার প্রতিত্তোরে আমার আরেকজন কাছের ছোট ভাই মাহবুব বলে উঠলো,

–ভাই আপনি একদম টেনশন করবেন না। কারন আজ রাতে এমনিতেও কেউ বাসায় যাবে না। তার উপরে গার্ডরা পুরো বাংলো কড়া নজরদারিতে রেখেছে। সো আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। আগামীকাল আবার আপনার ক্লাস আছে।

–হুম ঠিক আছে। তারপর নিজের রুমে চলে এলাম। নিজের রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়েছি।
তারপর ঘুমানোর প্রয়াস করলাম। কিন্তু কেন যেনো ঘুম আসছে না। অনেকক্ষণ যাবৎ চোখ বন্ধ করে রেখেছি। তাই বিছানা ছেড়ে উঠে ছাদে চলে এলাম। আর আসার আগে একজন শেফকে কফি বানিয়ে ছাদে নিয়ে আসার কথা বলেছি। চুপচাপ ছাদে এসে দাঁড়িয়ে আছি। রাতের বাজে বারোটা। ছাদ থেকেই বাংলোর চতুর্পাশের রাস্তায় নজর ঘুরাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় কেউ নাই। সব কিছু পুরোপুরি নিরব হয়ে আছে। আর আমিও একাকিত্বকে সঙ্গী করে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি। আরে ধুর চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে কি হবে, আপনাদেরকে নিজের পরিচয় দিলেই তো একাকিত্ব দূর হয়ে যায়। তো আসুন পরিচয়টা দিয়ে দেই আপনাদেরকে। (আমি আকাশ মাহমুদ আছি বরাবরের মতন আপনাদের সাথে। পরিবার বলতে মা,বাবা বোন সবাই আছে। তবে তারা সবাই গ্রামে থাকে। আর আমি একাই শহরে বিশাল একটা বাংলো নিয়ে থাকি। যার মধ্যে সব সময় গুটি কয়েক ছেলেপেলে থাকে। যারা কিনা আমার খুব কাছের ছোট ভাই। আর ঘরের চতুর্পাশে গার্ড দ্বারা ভরপুর। যারা কিনা সব সময় আমার সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আর আমার পেশা বলতে আপাতত অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। তার পাশাপাশি শহরটাকে পুরো হাতের মুঠোয় করে রেখেছি। বাকি সমস্ত কিছু গল্পের সাথে থাকলেই জানতে পারবেন। সো চলেন গল্পে ফিরে যাই।)
আপনাদেরকে নিজের পরিচয় দেওয়া শেষ করতেই শেফ এসে বললো,

–স্যার আপনার কফি।

–ধন্যবাদ এতো রাতে কফি করে খাওয়ানোর জন্য। আর দুঃখীত ও তোমার কাছে। কারন এখন তোমার ঘুমের সময়। আমি কফির কথা বলে বেহুদা তোমার অনেকটা সময় নষ্ট করেছি।

–আরে স্যার কি বলেন। আপনার জন্য করতে পারলে নিজের ও খুশি লাগে। সেটা মধ্যরাত হোক বা দিন। কারন আমি যেই মানুষের কিনা কোনো অস্তিত্ব ছিলো না, সেই ছেলে আপনার ঘরে এসে ঠাই পেয়েছি। তার উপরে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুই সুন্দর ভাবে হচ্ছে। তো কি চাই আমার। আপনার জন্য আমার পরিবার সুখে শান্তিতে চলতে পারছে। আর সেই আমি কিনা আপনাকে রাতের বেলায় কফি খাওয়াতে পারবো না। স্যার প্লিজ এভাবে বলবেন না। আপনার জন্য প্রাণ চলে গেলেও কম হবে।

–আরেহ হয়েছে থামো। আর তারিফ করতে হবে না আমার। যাও এবার গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

–ঠিক আছে স্যার।

–শেফ চলে গেলো। আর আমি কফির মগ হাতে নিয়ে আগের ন্যায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে দৃষ্টিকোণ করলাম। আর কফি খেতে আরম্ভ করলাম। কিন্তু হুট করেই রাস্তার মধ্যে বিদ্যুৎ এর ন্যায় কোনো একটা মানুষের আবছায়াকে তড়িৎগতিতে দৌড়ে চলে যেতে দেখলাম। আমি হতবাক হয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি! সেই আবছায়াটা একবার নয়, বেশ অনেক করবার দৌড়ে একই রাস্তা দিয়ে ছুটাছুটি করছে। আমি পুরোপুরি শকট হয়ে গেছি! আমি শকট হয়ে চোখ পাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি। এদিকে কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। হুট করেই এমন সময় কেউ একজন পিছন থেকে এসে আমার নাড়া দিয়ে বললো,

–ভাই আপনি কোন খেয়ালে বিভোর হয়ে আছেন?
আমি বেশ কয়বার আপনাকে ডেকেছি। কিন্তু আপনি আমার কথার কোনো জওয়াব এই দিচ্ছেন না। তার উপরে আপনার হাতের কফি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। তাই আপনাকে স্পর্শ করেছি। ভাই কি হয়েছে? আপনি এক দৃষ্টিতে রাস্তার দিকে তাকিয়ে কি দেখছিলেন?

–মাহবুব, কিছু একটা তো অবশ্যই দেখছিলাম রাস্তায় তাকিয়ে। তবে সেটা এখন তোকে এক্সপ্লেইন করা যাবে না। কারন আমি যা দেখেছি সেটা কি আমার চোখের ভ্রম, নাকি সত্যিই ছিলো তা আমি শিওর করে বলতে পারছি না। তবে এটুকু আমি শিওর করে বলতে পারি, যে খারাপ কিছু একটা হয়তো ঘটতে চলেছে। তাই তোরা সবাই সতর্ক থাক। আর শহরে বা বাহিরে যতো ছেলেপেলে আছে আমাদের, সবাইকেই সাবধানে থাকতে বল।

–ঠিক আছে ভাই আমি বলে দিচ্ছি। কিন্তু আমার মতে আপনার এখন ঘুমাতে যাওয়া উচিৎ। কারন রাত জাগলে আপনার মাথা পেইন দিবে। যার জন্য সারাটাদিন আপনার পানসে যাবে। সো আপনি রুমে চলে যান। আর কফির মগটা আমায় দিন। আমি কফি গুলোকে গরম করে আপনার রুমে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আপনি সেটা খেয়ে ঘুমিয়ে যেয়েন।

–নাহ আর গরম করে পাঠাতে হবে না। কারন এটা খেলে হয়তো ঘুম আসবে না৷ তাই আমি ঘুমাতে চলে যাচ্ছি। তুই কফির মগটা মিয়ে কিচেনে রেখে আয়।

–ঠিক আছে ভাই।

–তারপর মাহবুবের হাতে কফির মগটা দিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বিছানায় দ্বিতীয় বারের মতন গা এলাতেই ঘুম চলে এসেছে।
“পরেরদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে কলেজে চলে আসলাম। কয়েজন গার্ড সাথে ছিলো। আর তাঁদেরকে সহ ড্রাইভার গাড়ি ড্রাইভ করে কলেজে এসে নামিয়ে দিয়েছে আমাকে। আমার সাথে সাথে গার্ডরাও গাড়ি থেকে নেমেছে। তবে তারা আমার সাথে কলেজের ভিতরে প্রবেশ করেনি। কারন বেশি অহংকার আর পার্ট দেখানো ভালো না। তাই তাঁদেরকে আমি বাইরে রেখেই কলেজের ভিতরে প্রবেশ করি৷ তবে আমি পার্ট না দেখালেও কলেজের সবাই আমাকে এক নামে চিনে। যে আমি আকাশ মাহমুদ। আর এই চেনার কারন হচ্ছে কলেজে একবার একটাকে বেরেহেম ভাবে মেরেছিলাম। তারপর থেকেই পুরো কলেজ আমায় চিনে গেছে। তবে আমি সত্যিকারত্বে কে, বা কি আমার পরিচয়, তা কেউ এই জানে না। সবাই ভাবে হয়তো কোনো বড়লোকের ছেলে। তাই আমার এতো পাওয়ার। আর তাই হয়তো আমার এতো লাক্সারিয়াস জীবনযাপন। তাছাড়া কলেজের বাহিরে গেলেই আমার পাশে গার্ড ঘুরঘুর করে। যেটা দেখে আমাকে বড়লোকের দুলালি ছাড়া অন্য কোনো ভাবে বিবেচনা করতে পারে না তারা। কিন্তু সত্যিকারত্বে আমি কি, সেটা খালি আমি আর আমার ক্লোজ ছোট ভাই গুলা জানে। যাক গে ক্লাসে যাই এবার। চিন্তা ভাবনা মতন ক্লাসের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম, তখনি চোখে পড়লো নিচে ক্লাসের কয়েকটা ছেলে মিলে নতুন বর্ষের কয়েকটা মেয়েকে র‌্যাগ দিচ্ছে। আমি সামনে অগ্রসর হওয়া থামিয়ে দিয়ে তাঁদের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই সব কয়টা ছেলে র‌্যাগিং করা বাদ দিয়ে রেখে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। কারন তারা জানে তাঁদের অবস্থা এখন খারাপ হয়ে যাবে। তাই সব কয়টা দৌড়ে পালিয়েছে। ছেলোগুলা চলে যেতেই আমি মেয়ে গুলোকে হাতের ইশারায় তাঁদের ক্লাসরুম দেখিয়ে দিয়ে বললাম নিজেদের ক্লাসে যেতে। তখনি নতুন বর্ষের একটা মেয়ে আমার দিকে মুচকি হাসি দিয়ে সবার সাথে ক্লাস রুমের দিকে চলে গেলো। আমি সেই দিকে বেশি একটা ভ্রূক্ষেপ না করে নিজের মতন হেঁটে ক্লাসে চলে এলাম। শান্তশিষ্ট ভাবে ক্লাস করে বের হয়েছি। তখনি কলেজের মধ্যে হৈচৈ লেগে গেছে, যে আমাদের কলেজের একটা ছেলেকে কে যেনো কুপিয়ে কয়েক টুকরো করে কলেজের ওয়াশরুমের মধ্যে ফেলে রেখেছে।
কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী ওয়াশরুমের মধ্যে গিয়ে ভীড় লাগিয়েছে। আমিও তাড়াতাড়ি কলেজের ওয়াশরুমে ছেলেটার লাশ দেখার জন্য চলে গেলাম। ওয়াশরুমের আশেপাশে মানুষে গিজগিজ করছে। তবে আমি সেখানে যেতেই সবাই আমাকে সাইড দিয়ে রাস্তা করে দিলো। আর আমি ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম। ওয়াশরুমে প্রবেশ করে দেখি ছেলেটাকে বেরেহেম ভাবে কুপিয়ে কেউ একজন তার শরীর টাকে অনেক কয় ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। তার পাশাপাশি ছেলেটার চেহারাও থুবড়ে দিয়েছে ভারী কিছু একটা দিয়ে মেরে। যেটা দেখে কিনা পুরোপুরি “থ হয়ে গেলাম”! কারন আজ পর্যন্ত এমন ভয়ানক মৃত্যু কারোর হতে দেখিনি। তার উপরে আমিও এতো মানুষ টপকেছি, কিন্তু কোনোদিন ও কাউকে এভাবে মারার সাহস করিনি। শকট হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি! তখনি ওয়াশরুমের আয়নার দিকে আমার নজর গেলো। ওয়াশরুমের আয়নার দিকে নজর পড়তেই দেখি ভয়ানক একটা ডেমোনিক ফিগার আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে তাকিয়ে আছে। যেটা দেখে কিনা আমার শরীর এবার থরথর করে কাঁপতে আরম্ভ করেছে…

চলবে?

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।