রহস্যে ঘেরা ভালবাসা পর্ব-০৩

0
764

#রহস্যে_ঘেরা_ভালবাসা
#পর্ব_৩
#M_Sonali

ভোরের পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ কানে আসতেই ঘুম ভেঙে যায় হায়ার। ঘুম ঘুম চোখে পিটপিট করে সামনে তাকাতেই ভেসে ওঠে খুব প্রিয় একটা মুখ। যে মুখটা গতকালকেও অপরিচিত ছিলো। আর আজ তাকে যেন কতটা কাছের কতটা আপন মনে হচ্ছে। ড্রিম লাইটের হালকা আলোয় সায়েমের মুখটা অনেক নিষ্পাপ এবং সুন্দর লাগছে। উজ্জ্বল শ্যামলা চেহারায় খোঁচা খোঁচা দাড়ি তে যেন অনেক বেশি মায়াবি লাগছে তাকে। হায়া ওর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে, আর ভাবছে, “সত্যিই এক রাতের মধ্যে কতটাইনা পরিচিত হয়ে গেল সে সায়েমের। যাকে গতকাল পর্যন্ত চিন্তোও না সেভাবে। কখনো দেখা বা কথা ও হয়নি তাদের। অথচ একটি রাতের ব্যবধানেই কতটা আপন মনে হচ্ছে কতটা কাছের মনে হচ্ছে তাকে। কথাগুলো মনে মনে ভাবতেই মুচকি হাসি ফুটে উঠল হায়ার মুখে। বেশ লজ্জা পেয়ে গেলো সে। তারপর দ্রুত বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হওয়ার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে নিল। অতঃপর রুম থেকে বেরিয়ে ধিরেধিরে নিচে যেতে লাগল।

সায়েমের মা মিসেস শায়লা বেগম ডাইনিং টেবিলের ওপর সকালের নাস্তা সাজাচ্ছিলেন। হঠাৎ হায়াকে নীচে নেমে আসতে দেখে মুচকি হেসে কাছে এগিয়ে এসে বললেন,

–“কি ব্যাপার হায়া, এত সকালে উঠে পড়েছো যে। আরেকটু ঘুমিয়ে নিতে?”

উনার কথার উত্তরে হায়া মৃদু হেসে সালাম দিয়ে বলল,

–” আসসালামু আলাইকুম। আসলে আন্টি আমি অনেক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অভ্যস্ত। তাই আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”

হায়ার কথায় বেশ খুশি হলেন শায়লা বেগম। তিনি মুচকি হেসে হায়ার কাছে এগিয়ে এসে সালামের উত্তর নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

— “মাশাআল্লাহ আমার বউমা তো দেখি অনেক লক্ষ্মী। তবে আমাকে যে আন্টি বলা চলবে না মামনি। আমাকে মীর আর সায়েমের মত তুমিও আম্মু বলে ডাকবে কেমন?”

ওনার কথায় মাথা নেরে সায় দিলো হায়া। তারপর হায়ার হাত ধরে নিয়ে সোফায় গিয়ে বসালেন তিনি। অতঃপর বললেন,

–” তুমি এখানে বস আমি সবাইকে চা দিয়ে আসছি। আসলে এ বাসার সকলের সকালে উঠেই চা খাওয়ার অভ্যাস।”

কথাটি বলে রান্নাঘরের দিকে যেতে লাগলেন শায়লা বেগম। তখনি হায়া ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,

–“আম্মু আপনি কেন যাবেন। এখন তো আমি এসে গেছি। তাই এখন থেকে সবাইকে চা খাওয়ানোর দ্বায়ীত্বটা আমায় দিন!”

হায়ার কথায় ওর কাছে এগিয়ে আসলেন শায়লা বেগম। তারপর মুচকি হেসে বললেন,

–” আচ্ছা ঠিক আছে যাও আজকে থেকে সকলের চায়ের দ্বায়ীত্বটা তোমার। তবে শোনো মীর কিন্তু চা খায়না। ওর জন্য এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে এসো আমি গিয়ে দিয়ে আসব।”

শায়লা বেগমের কথায় বেশ অবাক হল হায়া। সে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,

— “কিন্তু মীর ভাইয়া সকাল বেলা কিছু না খেয়ে খালি পেটে দুধ খাবেন কেনো আম্মু। আমি শুনেছি খালি পেটে দুধ খেলে নাকি পেটে গ্যাস হয়!”

–“আসলে চা ও একদমই পছন্দ করে না। কফিও খায় না। তবে দুধ টা ওর খুবই প্রিয়। তাই সকালে চায়ের বদলে এক গ্লাস দুধ খায়। তুমি সে নিয়ে ভেবো না। শুধু আমার কাছে এনে দাও আমি গিয়ে দিয়ে আসব।”

শায়লা বেগমের কথার আর কোন উত্তর দিল না হায়া। মাথা নেড়ে সায় দিয়ে রান্না ঘরের দিকে চলে গেল।

———————–

সকাল ১০.৩০ মিনিট
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বেশ ভালোভাবে দেখছি আমি। আজকে কলেজ যেতে দেরী হচ্ছে তাতে কোন সমস্যা নেই। আজকে তো আমি কলেজে পড়তে যাচ্ছি না। বরং যাচ্ছি একটা বিশেষ কারণে। তাই নিজেকে যতটা সম্ভব পরিপাটি করে সাজিয়ে নিচ্ছি। আজকে যেভাবেই হোক মীরের সাথে কথা বলতে হবে আমাকে। সে কেন কালকে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে এভাবে সকলের সামনে অপমান করল। কথাগুলো মনে মনে ভেবে আবারো আয়নায় নিজেকে একবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। কালো রঙের একটা জর্জেট থ্রি পিস পড়েছি আমি। গায়ের রঙ ফর্সা বলে কালো রংটা আমার উপর বেশ মানায়। এই কথাটা সবসময়’ই বলতো হায়া। তাই হায়ার পছন্দের কালো রঙের জর্জেট কাজ করা থ্রিপিচ টাই পরেছি আজকে। সাথে কপালে ছোট্ট করে একটা কালো টিপ দিয়েছি। চোখে গাঢ়ো কাজল আর কানে পড়েছি ছোট ছোট দুটো এ্যান্টিকের ঝুমকা। চুলগুলো ছেড়ে রেখেছি। ব্যাস আমার সাজগোজ কম্প্লিট। আর দেরি না করে ড্রাইভার কে নিয়ে গাড়ি করে কলেজের জন্যে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম।

যত বেশি কলেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বুকের মাঝে ধুকপুকানি যেনো ততো বেশি বেড়ে চলেছে। কিছুতেই যেন মনটাকে শান্ত রাখতে পারছিনা। বার বার মনে হচ্ছে কি হবে আজ আমার সাথে! সামান্য হাত ধরায় যে মানুষ আমার গালে থাপ্পর মেরেছে গ্লাস ভেঙেছে। না জানি যখন মুখোমুখি কথা বলতে চাইবো তখন কি করে বসে! তবুও আমি সাহস হাড়া হচ্ছিনা।
নিজেকে যতটা সম্ভব শান্ত রেখে মনে সাহস যুগিয়ে এগিয়ে চলেছি। তার সাথে যেভাবেই হোক কথা বলতেই হবে আজ আমায়।

কলেজের গেটে পৌঁছাতেই গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভার কে বাসায় চলে যেতে বললাম। তারপর দুরুদুরু বুকে এগিয়ে চললাম কলেজের ভিতর দিকে। গেট দিয়ে ঢুকতেই সামনেই মীরকে বসে থাকতে দেখলাম। সে চুপ করে একটি গাছের নিচে বসে মনযোগ দিয়ে কোনো একটা বই পড়ছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম তেমন কেউই নেই। মীর একদম একাই বসে আছে। হয়তো সবাই এখন ক্লাসে। মনে মনে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। যেন আমার জন্যই অপেক্ষা করে আছে সে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম। তারপর মনে সাহস যুগিয়ে একপা একপা করে এগিয়ে চললাম ওর কাছে। ওর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে হালকা গলা খাঁকারি দিলাম। কিন্তু মীর এমন ভাব করলো যেন ও আমাকে দেখতেই পায়নি এখনো। বেশ বিরক্ত হয়ে ওর সামনে ধপাস করে বসে পড়লাম। আমাকে এভাবে বসতে দেখে আড়চোখে একবার আমার দিকে তাকাল সে। তারপর আবারো বই পড়ার দিকে মনোযোগ দিলো।

ওনাকে এমন ভাবলেশহীন হতে দেখে এবার মনে মনে ভীষণ রাগ হল আমার। কিন্তু ওনার চোখের দিকে তাকাতেই সব রাগ আর সাহস যেন এক নিমেষে ফুস করে উড়ে গেল। উনার চোখদুটো আসলেই ভীষণ সুন্দর। কিন্তু সেই সাথে ভিষন হিংস্রও বটে। যখন উনি রাগি লুকে থাকেন, তখন ওনার চোখের দিকে তাকালে শরীর যেন ভয়ে হীম হয়ে যায়। এবার ভয়ে ভয়ে আবারো গলা খাঁকারি দিলাম। কিন্তু না এবারও কোন কাজ হলো না। উনি একবারের জন্যও ফিরে তাকালো না আমার দিকে। বরং ভাবলেশহীন ভাবে বই পড়ায় ব্যস্ত সে। বেশ বিরক্ত হলাম। এবার জোরে করে গলা খাঁকারি দিয়ে বলে উঠলাম,

–” আমি যে আস্ত একটা মানুষ আপনার সামনে বসে আছি, সেটা কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? নাকি চোখের মাঝে পর্দা গুঁজে রেখেছেন?”

এতোটুকু বলে থেমে গেলাম আমি। কিন্তু না, তবুও ওনার মাঝে কোন প্রকার হেলদোল দেখা গেলো না। সে একইভাবে এখনো বই পড়ে যাচ্ছে। এবার এতটা রাগ হচ্ছে আমার যে, ইচ্ছে করছে উনার চুল ধরে ছিড়ে ফেলি। কিন্তু উনাকে দেখে যে আমি বড্ড ভয় পাই। সেটা তো সম্ভব নয়। তাই আর একটু জোরে করে কানের কাছে গিয়ে চিৎকার করে বললাম,

–“এই যে মিস্টার আমি আপনাকে কিছু বলছি! আপনি কি কানে কালা, নাকি চোখে অন্ধ! যে দেখতে পাচ্ছেন না শুনতে পাচ্ছেন না? আপনার সাথে আমার কথা আছে দয়া করে আমার কথাগুলো শুনুন।”

এবার উনি শান্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। ওনার চোখের দিকে তাকাতেই আমি যেন পৃথিবীর সব কিছু ভুলে গেলাম। এর আগে এমন শান্ত দৃষ্টিতে তাকাতে কখনো দেখিনি তাকে। কিন্তু আমি যখনই কিছু বলতে যাবো, উনি হঠাৎ করে কাউকে একটা ডাকলেন। আমি থেমে গিয়ে ওনার ডাক অনুসরণ করে পিছনে তাকাতেই দেখি একজন মধ্য বয়স্ক কলা বিক্রেতা দাঁড়িয়ে আছে। কলা বিক্রেতা কে ডাকলে লোকটি কাছে এগিয়ে এলো। এবার উনি হাতে থাকা বই টা পাশে রেখে ওনাকে কলার দাম জিগ্যেস করলো। লোকটা ওনার কথায় নিজের ঝুড়িতে থাকা কলার ওপরে রাখা হালকা ভেজা গামছা টা সরাতেই বেশ অবাক হয়ে গেলাম আমি। এক পাশে রয়েছে ফানা ভরা ভালো কলা। আর অন্যপাশে রয়েছে কলার খোসা খুলে রাখা কলা। যার ওপর মাছি ভনভন করছে। লোকটা এবার কলা গুলো দেখিয়ে ইশারা করে বললো,

–” সাহেব এই ফানা ভরা কলাগুলো 30 টাকা হালি। আর এই যে খোশা ছাড়িয়ে রাখা কলাগুলো, এগুলো 5 টাকা হালি দিয়ে কিনতে পারবেন। এগুলোই ভালো হবে খেতে, দামেও কম আছে। এগুলো নিবেন?”

লোকটার কথায় ভীষণ অবাক হয়ে গেলাম আমি। মীর কিছু বলার আগেই আমি রাগি গলায় বলে উঠলাম,

–“এই যে চাচা আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন? কী বলছেন এসব? এগুলো কি খাওয়া যাবে নাকি! কলা কখনো কেউ এভাবে খোসা ছাড়িয়ে বিক্রি করে? এটা তো খাওয়াই যাবে না। কিভাবে মাছি ভনভন করছে। এগুলো ৫ টাকা কেন ফ্রি দিলেও তো এটা খাওয়া সম্ভব না।”

আমার কথার উত্তরে লোকটা কিছু বলার আগেই মীর তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,

–” চাচা আপনি এখন আসতে পারেন। আমার কলা লাগবেনা। এমনি আপনাকে ডেকেছিলাম। দুঃখিত।”

লোকটা মীরের কথায় কোন উত্তর না দিয়ে মাথা নেড়ে সেখান থেকে উঠে চলে গেল। এবার আমি বেশ অবাক হয়ে মীরের দিকে তাকিয়ে বললাম,

–” কলা যখন কিনবেন’ই না, তাহলে ওনাকে ডেকেছিলেন কেন? আর তাছাড়া ওনার থেকে কলা না কেনাই ভালো। এটা কোন সিস্টেম হলো কলা বিক্রি করার? এর আগে তো কখনো দেখিনি এভাবে কাউকে কলা বিক্রি করতে। আমার তো দেখেই ঘৃনায় গা ঘিনঘিন করছে। বমি পাচ্ছে বার বার।”

আমার কথার উত্তরে রহস্যময় একটি হাসি দিল মীর। ওর ওই হাসির কারণ কি, তা ঠিক বুঝতে পারলাম না আমি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে যখনই কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য মুখ খুলব, তখনই মীর অন্যদিকে তাকিয়ে বলে উঠল,

–“ঠিক এই কারনেই আমি আপনার সাথে কথা বলছি না। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এখন আসতে পারেন।”

কথাটা বলেই আবারও বইটা হাতে নিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত হতে লাগল মীর। আমি ওনার কথায় বেশ অবাক হয়ে উনাকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলাম,

–” আপনার কথার মানে আমি ঠিক বুঝলাম না। কোন কারনে আপনি আমার সাথে কথা বলতে চাইছেন না? ঠিক কি বুঝাতে চাইছেন আমাকে? একটু বুঝিয়ে বলুন প্লিজ! আমার আপনার সাথে কথা বলাটা ভীষন জরুরী মীর।”

আমার কথার উত্তরে উনি আমার দিকে না তাকিয়েই বইটা হাতে ধরে রেখে অন্য দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন,

–” দেখুন আব্রু, আপনি একজন মুসলিম ঘরের মুসলিম সন্তান। কিন্তু আপনার মাঝে মুসলিম ঘরের সন্তান হিসেবে যেসব কায়দা-কানুন থাকা দরকার তার কোনো কিছুই নেই। আমি আপনার জন্য একজন পর-পুরুষ। অথচ আপনি আমার সামনে এমনভাবে সেজেগুজে এসেছেন যেমনটা ঐ খোঁসা ছাড়ানো কলা ছিলো। কলা যেমন খোসা ছাড়িয়ে রাখলে তার কোন মূল্য নেই। বরং সেটা খাওয়ার বদলে সবাই ঘৃনা করবে। তেমনি একটি মুসলিম মেয়ে যখন পর্দা ছাড়া চলাফেরা করে। তারও কোনো মূল্য নেই মুসলিম হিসেবে। তাই একজন মূল্যহীন মেয়ের সাথে কথা বলার মত ইচ্ছা আমার নেই। আপনার যেমন ঐ খোসা ছাড়ানো কলাগুলো দেখে অনুভুতি হয়েছিলো। আপনাকে দেখে আমারও এখন ঠিক একই অনুভুতি। তাই দয়া করে আপনি আসতে পারেন। আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই। আর হ্যা কালকের ব্যবহারের জন্য আমি মোটেও অনুসচনা করি নাই। কারন আমার আপনার সাথে করা কালকের আচরণ টা আপনার প্রাপ্য ছিলো।”

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে উঠে দ্রুত হেঁটে কোথায় যেন চলে গেল মীর। আমি সেখানেই চুপ করে বসে থেকে ওনার কথা গুলো নিয়ে ভাবতে লাগলাম। “তার মানে কি আমাকে উনি ঘৃণা করেন? আর সেটার একমাত্র কারন আমার বেপর্দায় চলাফেরা! কিন্তু উনি আমাকে ঘৃণা করেন এ কথাটা আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না। যাকে ভালোবাসি সে আমাকে ঘৃণা করেন এটা কিভাবে মানবো আমি?তখনি একটা কথা মনে পরে গেলো। ছোট বেলা আম্মুর মুখে শুনেছি যিনি ভালবাসেন তিনিই একমাত্র আমাদের ভালো উপদেশ দেন। তার মানে ওনার মনেও হয়তো আমার জন্যে কোথাও একটা ভালবাসা লুকিয়ে আছে। তাই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম উনি যেমনটা চান আমি ঠিক তেমনটাই করব। দরকার হলে পুরোপুরি পর্দা নিয়ে চলবো। তবুও ওনাকে আমার চাই। ওনার প্রতি আমার আগের ভালোবাসাটা যেন এখন দিগুন ভাবে বেড়ে গেল।”

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,