রাগে অনুরাগে পর্ব-০৬

0
2427

#রাগে_অনুরাগে
#লেখনীতে- Ifra Chowdhury
#পর্ব-০৬
.

সানাফ ভাইকে নাজেহাল করার কৌশল বের করলেও সেটা প্রয়োগ করার সুযোগ হয়ে উঠেনি আমার। দু’দিন ধরে সানাফ ভাই খুব ব্যস্ত। উনার বিয়ের প্রায় সব কাজ উনাকেই করতে হচ্ছে। উনার বাবা গত হয়েছেন প্রায় বছর চারেক হবে। এই চার বছর সানাফ ভাই-ই উনাদের সংসার চালাচ্ছেন। উনার ছোটো ভাই সাদ। উনি এ বছর গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। যদিও বড় ভাইয়ের বিয়ের কাজে সাদ ভাইয়াও হেল্প করছে। কিন্তু বেশিরভাগ কাজ সানাফ ভাইকেই করতে হচ্ছে। সাদ ভাইয়া আমার চার বছরের বড় আর সানাফ ভাই ছয় বছরের। বয়সের তফাৎ অনেক আমাদের মধ্যে। তবুও সানাফ ভাই সেইম এইজ রিলেশনশিপের মতো আমার সাথে সারাক্ষন খুঁনসুটি করেই যান। জীবনে বড় হবে না মানুষটা!

আজ আমার হলুদ সন্ধ্যা। আপাতত সানাফ ভাইকে নাজেহাল করার কৌশলটাকে সাইডে রেখে গায় হলুদ এনজয় করার কথা ভাবছি। উনাকে বিয়ের পরেও দেখাতে পারবো আমি কোন ঝাঁঝের মরিচ! কিন্তু একবার গায়ে হলুদের রেশ কেটে গেলে সেটা আর এ জীবনে ফিরে পাবো না। কথাগুলো ভাবা মাত্রই মিলি ও অথৈয়ের আগমন ঘটে আমার রুমে। অর্ণবও এসেছে। ওদের দেখে খুশির আমেজটা যেনো দ্বিগুণ হয়ে গেলো।

অথৈ আমার পাশে বসতে বসতে বললো,
‘কাল থেকে তো তোর আর নাগালই পাওয়া যাবে না। সানাফ ভাই যা জিনিস; তোকে একদমই চোখের আড়াল হতে দিবে না।’

আমি ওর ঊরুতে একটা হালকা থাপ্পড় দিয়ে বললাম,
‘মানুষ আবার জিনিস হয় কীভাবে, হ্যাঁ?’

‘বাব্বাহ! নিধি তুই দেখি বিয়ের আগেই বরের পক্ষে কথা বলা শুরু করেছিস। এখনই আমরা পর হয়ে গেলাম, না রে?’
টিপ্পনী কেটে মিলি কথাটা বললো।

‘আজব আমি আবার এমনটা কখন বললাম? মিলি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আর আজীবন তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ডই থাকবি। আর উনি…’

‘আর উনি কী?’
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই অর্ণব মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললো।

‘ধুর, কিচ্ছু নাহ। বাদ দে তো উনার কথা। আজ তো আমাদের দিন। এর মধ্যে সানাফ ভাইকে আনার দরকার নেই।’

আমার কথার পিঠে মিলি আফসোস করে বললো,
‘ইশ রে! কাল থেকে আমার ক্রাশ নিধির অধীনে চলে যাবে। ভেবেই আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে।’

মিলির কথা শুনে আমরা বাকি তিনজন খিলখিল করে হেসে ফেললাম। অথৈ তো বলেই ফেললো,
‘আহারে বেচারি। আচ্ছা আমরা এক কাজ করবো, বিয়ের কনে পালটে ফেলবো। নিধির জায়গায় তোকে বসিয়ে দিবো। তারপর তুই উঠতে বসতে ক্রাশ খাস উনার উপর, কেমন?’

‘ধ্যাৎ সবসময় ইয়ার্কি ভালো লাগে না অথৈ।’
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে মিলি বললো।
ওদের তিনজনের কান্ডে কিছুক্ষনের মধ্যেই হাসির রোল পরে গেলো আমার রুমে। চারজনই হাসছি। হঠাৎ আম্মু এসে ধমক দিয়ে বললেন,

‘এই তোরা চারজন কি সারারাত এ রুমে বসেই আড্ডা দেওয়ার পরিকল্পনা করে বসে আছিস নাকি? আর নিধি, তুই এখনো হলুদের কাপড়টা পড়িসনি কেন? ওদিকে নিশি তোদের এক্ষুণি যেতে বলেছে।’

আম্মুর ধমকে চারজনের ঠোঁট মিলিয়ে গেছে। অথৈ আম্মুকে শান্ত করে বললো,
‘আন্টি, আপনি নিশি আপুকে গিয়ে বলুন, আমরা নিধিকে নিয়ে এক্ষুণি আসছি। ওকে শাড়িটা পড়িয়েই নিয়ে আসবো। বাকি সাজ অলরেডি হয়ে গেছে।’

অথৈয়ের কথায় আম্মু সন্তুষ্ট হলেন। আমাকে শাড়িতে পড়তে বলে বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে। কিছুক্ষণ পর আমাকে সম্পূর্ণ সাজিয়ে হলুদের স্টেজে নিয়ে যাওয়া হলো।
স্টেজে গিয়ে আমি চমকালাম। সানাফ ভাই বসে আছে স্টেজে। অদ্ভুত! উনি কখন আসলেন? মিলিকে আমার কনুই দিয়ে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বললাম,
‘এই মিলি, উনি কখন আসলেন?’
মিলি আমার কথার পাত্তা না দিয়েই ড্যাবড্যাব চোখে সানাফ ভাইকে চোখে গিলতে লাগলো। এবার বাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অথৈয়ের হাতে হালকা চাপড় মেরে বললাম,
‘অথৈ, সানাফ ভাই কখন এসেছে রে?’
ওমা! অথৈ আমার দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হয়ে বললো,
‘নিধি, ডিস্টার্ব করিস না তো। দেখ্, তোর উনার ভাইকে আজ কত্তো সুন্দর লাগছে। মিলির মতো আমিও আজ উঠতে বসতে ক্রাশ খাবো সাদ ভাইয়ার উপর।’

‘ধুর! একটাও কাজের না। এতোদিন একজন সানাফ ভাইয়ের উপর রাত দিন ক্রাশ খেতেন। এখন আরেকজন আসছে সাদ ভাইয়ার উপর ক্রাশ খেতে। তোদের দু’টোর একটাকেও আমার শ্বশুরবাড়িতে এন্ট্রি দিবো না। দেখে নিস।’
একা একা বকবক করলাম কিছুক্ষণ। তবুও মিল আর অথৈয়ের এটেনশন পেলাম না। মেজাজ চরমভাবে বিগড়ে যাওয়ার আগে দু’টোর সামনে থেকে সরে গেলাম। না হলে হলুদ স্টেজেই রাগের মাথায় হয়তো কোনো ঝামেলা করে ফেলবো।

সানাফ ভাই বোধহয় দূর থেকে আমায় নোটিশ করছিলেন। মিলি ও অথৈ যে আমাকে পাত্তা দেয়নি, এটাও হয়তো খেয়াল করেছেন। নাহলে অসভ্য লোকটা এমন আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলাতেন না।

_________
আমি আর সানাফ ভাই পাশাপাশি বসে আছি স্টেজে। উনার আর আমার হলুদের অনুষ্ঠান যাতে একসাথে দু’পরিবার এনজয় করতে পারে, এর জন্যই নাকি এমন প্ল্যান করা হয়েছে। অথচ, আমি কনে হয়েও সেই প্ল্যান জানতে পারলাম স্টেজে এসে।
কিছুক্ষণ পর আব্বু আসলেন স্টেজে। আমাদের দু’জনের গায়ে হলুদ ছুঁইয়ে দোয়া করে দিলেন। এরপর সানাফ ভাইয়ের আম্মু আর আমার আম্মু একসাথে এসে হলুদ ছুঁইয়ে দিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বাকিরা আসলেন। এক পর্যায়ে হলুদ ছোঁয়ার প্রোগ্রামটা শেষ প্রান্তে চলে আসলো।
এরপর মেহেদীর আয়োজন। মিলি, অথৈ দু’জনেই বেশ ভালো মেহেদী পড়ায়। মিলিকে শেষবারের মতো একটা সুযোগ দিলাম সানাফ ভাইয়ের হাতে মেহেদী পড়ানোর জন্য। অথৈ আমাকে পড়ালো।
আমার হাতের মাঝখানে বড় করে উনার নামের প্রথম অক্ষর লিখে হলো। উনার হাতেও আমার নামের প্রথম অক্ষর লিখে দিয়েছে মিলি।
সানাফ ভাই আমাকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বললেন,
‘আহা মিলি, ওখানে ‘এন’ লেটারটা না দিয়ে যদি ‘এম’ দিতে, তাহলে আরো দারুন লাগতো। এখন আর্টটা কেমন জানি ফ্যাকাসে ফ্যাকাসে লাগছে।’

উনার এমন কটাক্ষ শুনে আমি মোটেও বিরক্ত হয়নি। বরং আমার মাথায় তখন অন্য ভাবনা চলছিলো। আজ সময় এসেছে উনাকে নাস্তানাবুদ করার। কথাটা ভেবেই বিশ্বজয়ী এক হাসি দিলাম আনমনে।

________
রাত বাড়ছে। কেউ ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার কেউ গানের তালে নাচছে। চাঁদনী রাত। স্টেজে আমরা দু’জন ব্যাতীত আর কেউ নেই। আপু, দুলাভাই খানিকটা দূরে চেয়ার নিয়ে বসে আছে। মিলি, অথৈ, অর্ণব ওরা তিনজন গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। এই সুযোগ- সানাফ ভাইকে কথাটা বলার। অন্যদিকে ফিরে খ্যাঁক করে গলা পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর উনার উদ্দেশ্যে বললাম,
‘আপনি না হয় মিলিকেই বিয়ে করে নিন। আমি তো আপনার জীবন ফ্যাকাসে করে দিচ্ছি।’

সানাফ এতোক্ষণ মাথা নিচু করে ফোন স্ক্রল করছিলেন। আচমকা আমার কন্ঠ পেয়ে মাথা তুলে তাকালেন। বললেন,
‘এখন ভালো মুডে আছি। উলটা পালটা কথা বলে মুড নষ্ট করিস না।’

‘আজব! আমি কখন উলটা পালটা কথা বললাম? আপনিই তো কিছুক্ষণ আগে বললেন যে ‘এন’ লেটারটা নাকি আপনার হাতের ডিজাইন ফ্যাকাসে করে দিয়েছে।’

উনি আর কথা বললেন না। আবারও ফোনে মনোযোগ দিলেন। আমি কাচুমাচু হয়ে বললাম,
‘আচ্ছা বেশ,আপনাকে আজ রাগাবো না। তবে আমার একটা শর্ত আছে। সেটা মানতে হবে।’

‘কী শর্ত?’
ফোনের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেই বললেন৷

‘আগে বলুন, মানবেন?’

‘ঠিক আছে, মানবো। শুনি তোর শর্ত।’

‘আমাকে ফুচকা খাওয়াতে হবে এখন।’

‘পাগল হয়ে গেছিস তুই? এতো রাতে কোনো ফুচকাওয়ালা থাকে?’
অবাক কন্ঠে বললেন উনি।

আমি বিরক্তিকর সুরে বললাম,
‘উফ সানাফ ভাই! আপনি কি অজপাড়াগাঁয়ে থাকেন? আপনি শহরে থাকেন। আর কোথায় অতো রাতে? মাত্র একটা বাজে। শহরে দুইটা পর্যন্তও ফুচকাওয়ালা থাকেন। সময় নষ্ট না করে আমাকে নিয়ে চলুন। না হলে আমি অর্ণবের সাথে চলে যাবো।’

সানাফ ভাই আমাকে ধমক দিতে গিয়েও আশেপাশে তাকিয়ে থেমে গেলেন। তারপর ফিসফিস করে বললেন,
‘কিন্তু এখানে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হবো কীভাবে?’

আমি মুচকি হেসে বললাম,
‘সবাই এখন সবার ধান্দায় ব্যস্ত। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ফলো মি।’

উনি বাধ্য ছেলের মতো আমাকে ফলো করলেন। প্রথমে ধীর পায়ে হেঁটে সবার দৃষ্টির আড়াল হলাম আমরা। তারপর এক দৌঁড়ে মেইন রোডে চলে আসলাম। এরপর কিছুক্ষণ ফাঁকা রাস্তায় দৌঁড়ে অনেকটা পথ এগিয়ে গেলাম। তারপর থেমে দাঁড়ালাম। দু’জনেই হাঁপাচ্ছি। খুব হাঁপাচ্ছি। তবে এমন লুকিয়ে বের হয়ে এসে খুব মজাও পেয়েছি। উনি আমার দিকে তাকিয়ে এক গাল হাসলেন। এই হাসিতে এক অদ্ভুত মায়া আছে, যা আমাকে উনার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করছে। সচরাচর হাসেন না মানুষটা। যখন হাসেন, তখন সবাইকে তার হাসির মায়ায় অদ্ভুতভাবে আটকে ফেলে, বিশেষত আমাকে। কিছুক্ষণ ওভাবে তাকিয়ে থাকার পর হুশ ফিরলো গাড়ির হর্নের আওয়াজে। পিছনে তাকিয়ে দেখলাম আমরা মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের জন্য পিছনে দু’তিনটে গাড়ি জ্যামে পড়েছে। তাড়াতাড়ি রাস্তার পাশে সরে গেলাম। এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। চাঁদনি রাতে দু’জনে মধ্যরাতে পাশাপাশি হাঁটছি। কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে আমার। সানাফ ভাই হয়তো আমার অনুভূতি অনুভব করতে পেরেছেন। তাই বললেন,
‘নিধি, আমরা হানিমুনে কোথায় যাবো?’

উনার আকস্মিক এমন কথায় আমি লজ্জা পেলাম। চুপ করে রইলাম। উনি আবার প্রশ্ন করলেন,
‘আচ্ছা, আমাদের কয়টা বাচ্চা হবে? তুই আমায় কয়টা বাচ্চা দিবি, হ্যাঁ?’

এবার আমি লাজুক কন্ঠে বললাম,
‘আপনি কিন্তু অনেক অশ্লীল হয়ে যাচ্ছেন।’

উনি হেসে বললেন,
‘আমার বউয়ের কাছে আমি লেভেল ছাড়া যা ইচ্ছে হবো। তাতে তোর কী?’

আমি বুঝতে পারলাম উনি এখন ইচ্ছে করে আমায় লজ্জায় ফেলবেন। তাই কথা এড়ানোর জন্য বললাম,
‘আজ একটাও ফুচকাওয়ালাকে দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় গেলো সব?’

‘আমি তো তোকে বলেছি এতো রাতে ফুচকা পাবি না।’

উনি কথাটা শেষ করা মাত্রই আমি চেঁচিয়ে বললাম,
‘এই মামা দাঁড়ান, দাঁড়ান।’

আমাদের থেকেই বেশ খানিকটা দূরে একটা ফুচকার ভ্যানগাড়ি চলে যাচ্ছিলো। আমার ডাক শুনেই দাঁড়ালো। আমি দৌঁড়ে ফুচকাওয়ালার কাছে চলে গেলাম। সানাফ ভাই পিছন পিছন আসছেন। ফুচকাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম,
‘মামা, ফুচকা আছে?’

উনি উৎফুল্ল হয়ে বললেন,
‘দশ-বারোটা আছে।’

ফুচকা আছে শুনেই আমার চোখেমুখে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠলো। একবার আড়চোখে সানাফ ভাইকে পরখ করে নিলাম। উনি ফোনে কারো সাথে কথা বলছেন। আমি মামাকে ফিসফিস করে বললাম,
‘চারটায় অনেক ঝাল দিবেন। আর ছয়টায় মিডিয়াম ঝাল। তাড়াতাড়ি দিন।’

ফুচকা রেডি হওয়ার সাথে সাথেই সানাফ ভাইয়ের দিকে এগিয়ে দিলাম প্লেটটা।
উনি মাথা নাড়িয়ে বললেন খাবেন না। আমি জোর করার পরে খাওয়ার জন্য রাজি হলেন। মনে মনে বললাম,
‘একবার খেয়েই দেখুন। তারপর টের পাবেন।’

আমি তাড়াতাড়ি আমার ফুচকাগুলো শেষ করে সানাফ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। উনি ফোনে কথা বলছেন আর দিব্যি ফুচকাগুলো চিবাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ফোন রেখে দিয়ে বললেন,
‘নিধি রে, থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ! অনেকদিন পর এমন ঝাল ফুচকা খেয়ে মনটা ভরে গেলো।’

কথাগুলো শুনে আমি হা হয়ে চেয়ে রইলাম উনার দিকে। আমি তো উনাকে মাত্রারিক্ত ঝাল খাওয়ালাম নাস্তানাবুদ করার জন্য। আর উনি কিনা আমায় থ্যাংকস জানালেন?
মনে মনে নিজেকেই কিছুক্ষণ ইচ্ছেমতো গালি দিলাম এমন ফালতু আইডিয়ার জন্য। সানাফ ভাই শুধু শুধু আমায় বোকা বলে না। আমি সত্যিই বোকা!

.
(চলবে…)