রেইনকোট আরোহী পর্ব-১৩

0
136

“রেইনকোট আরোহী”
পর্ব- ১৩
(নূর নাফিসা)
.
.
গভীর রাত। পথে হেলেদুলে হাটছে ইলিয়াস৷ ওইতো বাড়ি৷ নিজ বাড়ি চিনতে কি ভুল হয় কারো? ইশ, পা টা আর চলতে চাইছে না। দারোয়ান ব্যাটা এসে এইটুকু পথ তাকে নিয়ে গেলেই কি হতো না! মাসে মাসে মোটা বান্ডেলটা কি অহেতুক দেওয়া হয় নাকি তাকে! হাটছে তো হাটছেই, কিন্তু বাড়ির গেইট ছুতে পারছে না। হঠাৎ কেন জানি মনে হলো কেউ তার একা পথের হাটার সঙ্গী হয়েছে! ঘাড় ঘুরিয়ে ডানে তাকালো, কিছুই দেখা হলো না। আবারও হাটতে লেগেছে সে। আবারও মনে হলো বামে কেউ আছে তাই ঘাড় ঘুরিয়ে বামেই তাকালো। হায়! বামেও কেউ নেই। নিজের বোকামির উপর হাসতে গিয়েও যেন হাসা হলো না। একটু থেমে, একটু শব্দযোগে যেন হেটেই চলেছে কেউ সাথে সাথে। ওফ্ফ! তার তো পিছু তাকানো হয়নি। সঙ্গীদের কেউ আসছে নাকি তাকে ডাকতে! কিছু ফেলে এসেছে নাকি সেখানে? তাকে মোড়ে নামিয়ে দিয়ে মোটরসাইকেলটাও তো নিয়ে গেলো বন্ধু। নয়তো এতোক্ষণে ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে থাকতো। খুব দূর নয়। নিজ বাড়ির বাউন্ডারির অতি নিকটেই অবস্থান করেছে ইলিয়াস। পিছু ফিরে তাকিয়ে এবার অন্ধকারের আবছা আলোতে ঝাপসা চোখে কিছু পা দেখতে পেলো৷ ঠিক কয়টা, গুণতে পারছে না। মনে হচ্ছে চারটা, আবার মনে হচ্ছে, পাঁচটা, আবার মনে হচ্ছে একটা। ধুর এক পা আবার হয় নাকি কারো! কে এখানে? সামনে আর এগোচ্ছে না কেন? বন্ধুদের কাউকে তো মনে হচ্ছে না। তবে ছুটে আসতো। কিন্তু এই পা গুলো তো এগিয়ে আসছে না আর। কেউ ফলো করছে তাকে? কার এতো দুঃসাহস, যে তার পিছু নিয়েছে?
রাগান্বিত ইলিয়াস দুইকদম পিছু এগিয়েও থেমে গেলো। একা যাওয়াটা ঠিক হবে না। মানুষের চেহারা দেখা যাচ্ছে না, তবে এ যে মানুষ সেটা বেশ বুঝা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এক পোশাকে আবদ্ধ পুরো শরীর। চোখদুটো ঝাপসা হয়ে থাকায় এতোটা দূরের দৃশ্য একদমই স্পষ্ট হচ্ছে না চোখের সামনে। এই অবস্থায় এগিয়ে যাওয়া তো একদমই অনুচিত। হ্যাঁ, আবার এগিয়ে আসছে দেখা যায় তারা! উহুম, সে তো একা। তার সেদিকে না যাওয়াই উত্তম। একটা ভয় অনুভব করলো ইলিয়াস। সে পিছু ফিরতে ফিরতেই এবার দ্রুত গতিতে হাটতে লাগলো বাড়ির উদ্দেশ্যে। হ্যাঁ, তার পিছুই নিয়েছে কেউ। তারা আরেকটু এগোতেই ল্যাম্পপোস্টের ফকফকে আলোয় বুঝতে পারলো মানুষ বা মানুষগুলো রেইনকোট পরনে! বাপরে, কেউ তাকে হত্যা করতে আসেনি তো! ভাগ্যিস, দ্রুত এসে পৌঁছতে পেরেছে গেইট পর্যন্ত! গেইটের ভেতর তাকিয়ে ঝাপসা চোখে দারোয়ানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে বললো,
“গেইট খোল! হা করে কি দেখছিস? একটু এগিয়ে যেতে পারলি না?”
দারোয়ান কথা না বলে চুপচাপ গেইট খুলে দিলো। গেইট লাগাতে গেলেই সে আবার বললো,
“বেরিয়ে দ্যাখতো কে আমার পিছু নিয়েছে? সবকটার চান্দি উড়িয়ে দেয়ালে বেঁধে দে। সকালে দেখে নিবো।”
দারোয়ান কথামতো গেইটের বাইরে এলো তবে ঠিক চান্দি উড়াতে নয়। দেখতে এসেছে কে বা কারা? না, কেউই নেই। শুধু ওই দূরে খানিক আলো ছুটে যেতে দেখা গেলো। কোনো গাড়ির আলো। রাস্তা যেহেতু, গাড়ি তো আসাযাওয়া করতেই পারে। এছাড়া আর কিছুই দেখতে পায়নি। এই গাড়ি তার পিছু নিয়েছে নাকি? সেদিকে ধ্যান না দিয়ে সে চুপচাপ ভেতরে চলে এলো। ইলিয়াস বললো,
“ফিরে এলি যে?”
“কেউ নেই।”
“ভালো করে দ্যাখ।”
“দেখেছি। নেই কেউ।”
“আমি দেখলাম, আছে। তুই বলিস নেই! মালটাল খেয়ে চোখ ঘোলা করে রাখিস নি তো?”
এর কোনো জবাব দিলো না দারোয়ান। এর জবাব আর কি হতে পারে? প্রশ্ন জুড়েই তো হাস্যকর ব্যাপার! ইলিয়াসও অপেক্ষায় নেই তার জবাবের। সে প্রশ্ন করেই চলে গেছে ঘরের দিকে।
গতকালের আবহাওয়াটা ঝলমলে রোদে ঝরঝরে ছিলো। যদিও রাতের কিছুটা সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছিলো। তবে আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে ঝপাঝপ বৃষ্টি। অথচ আজ ক্যান্টনমেন্টে প্রোগ্রাম। ক্যান্টনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণার্থে দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এডভোকেট আব্দুল মান্নান সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধান অতিথি হিসেবে। এমনটাই তো দেখতে পাওয়া গেছে ব্যানারে। আবরার সময়টার দিকেও একটু নজর দিয়েছে। আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। প্রধান অতিথির আগমন থাকে শেষ মুহুর্তে। অর্থাৎ এডভোকেট সাহেব সেখানে থাকবেন যোহরের দিকে!
যোহরের পরপর দেহে রেইনকোট চাপিয়ে তিনজন লোক প্রবেশ করলো এডভোকেট আব্দুল মান্নানের বাড়ির গেইট দিয়ে। সকালে ঝপাঝপ বৃষ্টি থাকলেও এসময় তার বেগ কমে ঝরছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তাদের কোনো গাড়িতে চড়ে আসতে দেখা যায়নি। হেটেই এসেছে এ বাড়ি পথে। কোনো সম্ভ্রান্ত লোক এলে তো গাড়ি নিয়েই আসতো। যাকে তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতেও তো দেওয়া হয় না। তাই দারোয়ান আপত্তি জানাতেই তাদের মধ্যে একজন আইডি কার্ড দেখাতেই দারোয়ান একপাশে চেপে দাঁড়িয়ে হইলো। এ তো র‍্যাব কর্মকর্তা! কিন্তু তাতে কোনোরকম সন্দেহ জারি করেনি দারোয়ান। কারণ এমন অনেক বড় বড় লোকেরই আগমন ঘটে এই বাড়িতে। দারোয়ান শুধু নিচু গলায় এইটুকু সুর তুললো যে, এডভোকেট স্যার বাড়ি নেই। রেইনকোট পরহিতা ব্যক্তিরা সেদিকে তোয়াক্কা করলো না। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো। তারা র‍্যাব কর্মকর্তা হয়েও গাড়ি নিয়ে কেন এলো না, তা নিয়ে একবার ভেবে দারোয়ান গেইটের বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে এপাশ ওপাশ তাকালো। বাড়ির বাউন্ডারির শেষ সীমানায় একটা গাড়ি দাঁড় করানো দেখতে পাওয়া গেছে। তবে এইটুকু তারা হেটেই এসেছেন নিশ্চিত। দারোয়ান আবার ভেতরে চলে এলো। তিনজন রেইনকোট পরহিতা ব্যক্তি দরজার সামনে এসে কলিং বেল চাপতেই কাজের লোক এসে দরজা খুলে দিলো। বাড়িতে আবদুল মান্নানের স্ত্রী আছে কি না জিজ্ঞেস করতেই তিনি এসে দাঁড়ালেন। আবরার নিজের মাস্কটা খুলে ফেলতেই তিনি দারুণ অবাক হয়ে আতিথেয়তা দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কিন্তু আবরার বাঁধা দিয়ে বললো, সে পরিদর্শনে এসেছেন। এতেই যেন চেহারায় একটু চিন্তিত ভাব নেমে এলো! হঠাৎ পরিদর্শনে কেন! আবরারের কথায় বুঝতেও পারলেন, এডভোকেট যে বাসায় নেই সেটাও সে জানে। তবুও পরিদর্শনে এসেছে। কিন্তু এডভোকেট না থাকলেও তার ছোট ভাই ছিলেন উপস্থিত। তাকে সাথে নিয়েই পুরো বাড়িটা তারা পরিদর্শন করতে নেমে পড়লেন। কিন্তু প্রবেশ করলেন না এডভোকেটের বেডরুমে, প্রবেশ করলেন না এডভোকেটের মেয়ের রুমে, প্রবেশ করলেন না এডভোকেটের ভাতিজার রুমে। অথচ প্রবেশ করতে ভুললেন না, এডভোকেটের ছোট ভাইয়ের রুমে! আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই আব্দুল মোতালেব কিছুটা বিস্ময়কর ও আপত্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লেন৷ তিনি মুখ ফুটে বলেই ফেললেন,
“কি অবস্থা? স্যার, আমি কি বড় ভাইকে কল করে আসতে বলবো আপনার সাথে দেখা করার জন্য?”
আবরার জবাব দিলো,
“আমি দেখা করতে আসিনি। দেখা করার হলে আমিই উনাকে ডাকতে পারতাম আমার অফিসে। কষ্ট করে আর আমাকে আসতে হতো না।”
“স্যার, কষ্ট করে যখন এসেছেন। আমাদেরকে আপ্যায়ন করার সুযোগটাও দিন।”
“সে নাহয় অন্য একদিন।”
“কিন্তু এভাবে তল্লাসির ব্যাপারটা…”
“কেন? আপনার বিশেষ আপত্তি ঠেকছে দেখছি!”
“আপত্তি হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়, স্যার? কারো বাড়িতে এভাবে…”
“জুলুম তো করছি না। ভয় পাচ্ছেন কেন?”
“না, স্যার। ভয়ের আর কি!”
“আমি কিন্তু নিচতলা থেকে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের কাছে বলেই এসেছি পুরো বাড়িটা পরিদর্শন করবো।”
“না, তা ঠিক আছে। কিন্তু তল্লাসির ব্যাপারে তো বলা হয়নি কিছু। আর কোনো কারণও প্রকাশ হয়নি আমাদের সামনে।”
“কারণ তো অবশ্যই আছে। কারণ ব্যাতিত কাজের সময় আমাদের নেই। আপনি কাইন্ডলি একটু থাকুন আমার সাথে।”
খুব বেশি নাড়াচাড়া হলো না আব্দুল মোতালেবের বেড রুমে। তবে টেবিলের কোণ থেকে চাবিসহ একটা খোলা তালা হাতে নিয়েছে আবরার। সে জানে, পেছনে একটা রুম ফেলে এসেছে। আর সেটা এডভোকেটের ছেলে ইলিয়াসের। কিন্তু ইলিয়াস বাড়িতে আছি কি না সে জানে না। মূলত সন্দেহের দৃষ্টিতেই তালাটা নিয়ে নিয়েছে কাজে লাগতে পারে বলে। আবরার মোতালেবের রুম থেকে বেরিয়ে আবার ফেলে আসা পথে পা বাড়ালো। বিনা জিজ্ঞাসা ও বিনা সংকোচেই দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো ইলিয়াসের রুমে! ঘরে এলোমেলো হয়ে বিছানায় পড়ে আছে ইলিয়াস। বড় লোকের অকেজো বেটাদের যেমনটা অভ্যাস আরকি। বেলা না গড়ালে রাতের ঘুমই ভাঙে না। অবশ্য রাতের নয়। তাদের ঘুম শুরুই হয় ভোর থেকে। সুতরাং ভোরের ঘুমই ভাঙেনি ইলিয়াসের। মোতালেব হয়তো ডাকতে যাচ্ছিলো। এমনি আবরার বাঁধা দিয়ে বললো,
“ঘুমাচ্ছে, ঘুমাক। ডিসটার্ব করার কি প্রয়োজন। চলুন, আমরা অন্যদিকে যাই।”
আবরার পিছু মোর নিয়ে বেরিয়ে গেলো আবার। কোনো তল্লাশি চালালো না। শুধু নিরবে দরজাটা লাগিয়ে তাতে বন্ধ তালা ঝুলিয়ে দিলো! মোতালেব বিস্ময়ের চূড়ায়! কিন্তু কিছুই বলার সুযোগ হলো না। আবরার মোতালেবকে সাথে চলতে ইশারা করে হাটতে লাগলো বাড়ির গোডাউনের দিকে। সামনে আবরার, মাঝখানে মোতালেব, তার পেছনেই সাথের দুজন র‍্যাব কর্মী। অর্থাৎ তিনজন র‍্যাবের মাঝখানে হাটছে মোতালেব! ভাইকে বোধহয় ভীষণ প্রয়োজন ছিলো এসময়, তাই ফোন করার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু তিনজনের মাঝখানে অবস্থান করে সাহসটা পাচ্ছে না। আবরার তো নিষেধই করলো তখন, ভাইকে ডাকতে!
একদম শেষ রুমটা গোডাউন। এদিক দিয়েও নামার জন্য সিড়ি আছে। অর্থাৎ ঘরে মালামাল যা আসে, তার সবটাই এই পথে উঠে আসে। সেদিন বাড়িতে প্রোগ্রামে আসার পর যখন এডভোকেটের সাথে পরিদর্শন করছিলো, এদিকে ঘরের চালডাল সামগ্রীর গোডাউন বলে আর নিয়ে আসেনি। এতো হাবিজাবির মধ্যে আনবে কেন তাদের। অথচ এই হাবিজাবিই আবরারের সন্দেহের কারণ। না, সন্দেহ এমনি এমনি আসেনি। এমন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে চালডাল সামগ্রীর গোডাউন থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের রূপই যদি হয় অসৎ, সন্দেহ তো পায়ের জুতোতেও বসাতে হয়! সেদিন রেলস্টেশন থেকে গাড়িতে করে মালামাল নিয়ে আসার সময়ই ইলিয়াসকে চোখে গেঁথে নিয়েছে আবরার! আর আবদুল মান্নানের এতোশত ধনসম্পদ বৃদ্ধির গতিধারা তো দৃষ্টির অগ্রভাগেই লেগে আছে সেই কবে থেকেই। মানুষের উন্নতি কি এমনি এমনি হয়ে থাকে? অবশ্যই তার পেছনে গুরুতর কারণ থাকে। পন্থা শুধু সাধুতা এবং অসাধুতার।
গোডাউনের দরজায় তালা দেওয়া। আবরার মূলত মোতালেবের রুম থেকে তালাটা নিয়েছিলো এই গোডাউনের দরজায় ঝুলানোর কাজে লাগতে পারে ভেবে। যাক, সেও অকাজে আসেনি। কিন্তু গোডাউন এমনিতেই লক করা অবস্থায় আছে। আবরার বললো,
“মোতালেব সাহেব, এটার লক খুলুন।”
“স্যার, এটা আমাদের বাসার গোডাউন। চালডাল, মশলাসহ কিছু প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় আসবাব আছে এতে।”
“ঠিক আছে, কিন্তু আমি একটু দেখতে চাই আপনাদের গোডাউন।”
“চাবি তো সাথে নেই। আমি নিচ থেকে নিয়ে আসি।”
মোতালেব যেন কিছুটা স্বস্তির সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়লো নিচে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আবরার তাকে স্বস্তি এবং সুযোগ, কোনোটাই দিলো না! সে মোতালেবকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
“আচ্ছা, থাকুক। আপনাকে এটুকু কষ্টও করতে হবে না। নিচে গিয়ে যদি চাবি না-ই পান, তবে আর কিভাবে হবে! রাফিন, তালা ভাঙুন।”
“জ্বি, স্যার।”
কর্মীকে নির্দেশ দিয়ে আবরার একবার মোতালেবের দিকে তাকিয়ে দেখলো চেহারায় তীব্র ক্ষিপ্ততা উপস্থিত! যেন খুব বাড়াবাড়ি মনে করছেন আবরারের কর্মকাণ্ড। তাতে আবরারের কোনোরকম পাত্তা নেই। সে অতি স্বাভাবিক কণ্ঠেই বললো,
“ভাঙলে, একটা তালাই তো ভাঙবে। তাতে আর এমন ক্ষতি কি। কি বলেন মোতালেব সাহেব?”
কোনো জবাব দিলেন না আব্দুল মোতালেব। ধাতব বস্তুর আঘাতে তিন ঘাতেই র‍্যাব তালা ভেঙে ফেললো। তারা প্রত্যেকেই ভেতরে প্রবেশ করলো। হ্যাঁ, সারি সারি চালডালের বস্তা আছে। ঘরের প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও আছে। আবার তারা যেটার সন্ধানে এসেছে, সেটাও আছে। ওইতো, শেষ দেয়াল ঘেঁষেই একটা নীল রঙের পর্দা টানানো। তাদের মধ্যে একজন গিয়ে পর্দা টেনে নামিয়ে দিতেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো দেয়াল ঘেঁষে রাখা সারি সারি কার্টুন!
“এগুলো কি মোতালেব সাহেব?”

চলবে।