লাল গোলাপ পর্ব-০৫

0
234

লাল_গোলাপ
লেখকি মিতু
পর্বঃ ০৫

হঠাৎই রুমি যা করলো তাতে নিশান পুরো স্তব্ধ হয়ে গেল। রুমি নিশানকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে খুব সুন্দর করে একটা চুমু একে দিল। এই স্পর্শে ছিল নিশানের প্রতি রুমির অসীম ভালোবাসা অার অসীম মায়া। নিশানকে চুমু দিয়েই রুমি আর এক মূহুর্তও ওর সামনে থাকে নি। দরজা দিয়ে বাইরে চলে যায়।

নিশানের মনে হলো, যেন দরজা দিয়ে মিষ্টি ঘ্রাণের হাওয়াটা এসে ওকে ছুয়ে দিয়ে মাতাল করে আবার চলে গেল। নিশান ওর হাত দিয়ে কপালটা ছুয়ে দেখে। রুমির ঠোঁটের স্পর্শটা এখনো লেগে আছে। নিশান মুচকি হাসে। আজ জীবনে প্রথম কোন মেয়ে ওকে চুমু দিল। চুমু কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। শুধু মাত্র কপালের চুমুতে প্রচুর ভালোবাসা আর মায়া লাগানো থাকে। যা স্পর্শ মাত্রই অনুভব করা যায়। কপালের চুমুতে কখনো কামুকতা থাকে না। থাকে অজস্র ভালোবাসা। যা এখন নিশান অনুভব করতে পারছে বোধহয়।

এরপর কয়েকটা দিন খুব দ্রুত চলে যায়। রুমি ওর ভাই আর পরিবার নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিল। কিন্তু এর মাঝে একটিবারও নিশানের খোঁজ নিতে ভুলে নি। নিশান এই কয়দিনের মধ্যে রুমিকে বেশী হলে মাত্র ৩ বার ফোন দিয়েছে। তার বেশী না। কিন্তু রুমিই সবসময় নিশানকে ফোন দিত, ওর খোঁজ খবর নিত। অনেক কথা বলত রাতভর। নিশান শুধু শুনত। ও তেমন কিছু বলতো না। এর মাঝে নিশান কয়েকবার এসে রুমির ভাইকে দেখে যায়। বলতে গেলে রুমি নিশানের জন্য প্রায় পাগল ছিল। নিশানই যেন ওর সব ছিল।

আজ দীর্ঘ এক মাস পর রুমি ভার্সিটিতে আসে। রুমি খুব খুশী। ওর খুব আনন্দ লাগছে। কারণ একটাই, নিশান। আজ থেকে ও আবার সারাদিন নিশানের কাছে থাকতে পারবে। নিশানের সাথে সারাদিন কথা বলতে পারবে। নিশানের সাথে ঘুরতে পারবে। আরো কত কি। রুমি হাসিমুখ নিয়ে নিশানকে খুঁজছে।

হঠাৎই রুমি এমন কিছু দেখে যা দেখার জন্য হয়তো ও এতোদিন অপেক্ষা করেনি। রুমির উজ্জ্বল হাসি মুখখানায় যেন মূহুর্তেই ঘোর আমাবস্যা নেমে আসে। ওর মন চাচ্ছে এখনই এখান থেকে চলে যাক। কিন্তু ওকে সবটা জানতে হবে। রুমি ধীর পায়ে নিশানের কাছে এগিয়ে যায়। রুমি যত সামনে যাচ্ছে ওর পায় যেন তত আঁটকে যাচ্ছে। কারণ নিশান একটা মেয়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে হাসাহাসি করে কথা বলছে। নিশানের হাসিগুলো যেন রুমির বুকে তীরের মতো এসে লাগছে।

রুমি মলিন গোমড়া মুখে নিশানের সামনে গিয়ে বসে। রুমিকে দেখে নিশানের হাসি বন্ধ হয়ে যায়। রুমি নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা কথাও বলছে না। নিশানও চুপচাপ ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে নিরবতা অনেক কিছু বলে দেয়। নিশান চুপ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার ওর সাথে বসা মেয়েটার সাথে মজা দুষ্টামি শুরু করে।

– জানো তোমাকে আমি কতো মিস করেছি?? এই যে আমাদের সামনে বসা মেয়েটাকে দেখছ না?? তুমি ওর থেকেও অনেক সুন্দর। একটা কিউটি পাই তুমি।(নিশান)

~ ওয়াও তাই!! থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ। তুমিও অনেক হ্যান্ডসাম। একদম আমার মনের মতো হিরো। (মেয়ে)

– হ্যাঁ আর তুমি আমার হিরোইন। হাহা।

রুমির চোখগুলো অশ্রুতে টলমল করছে। যেকোন সময়ই তা বৃষ্টির মতো ঝরে পড়বে। রুমির প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে এসব দেখতে। ও আর এসব সহ্য করতে না পেরে উঠে যেতে নিলে নিশান রুমির হাত ধরে বলে,

– এই কোথায় যাও?? পরিচিত হবে না ওর সাথে??

রুমি দাঁত কামড়ে রেখেছে যাতে চোখের পানিগুলো ওদের সামনে না পড়ে যায়। রুমি মাথা নাড়িয়ে না বলে। নিশান রাগী কণ্ঠে বলে,

– তুমি না করলেই হবে নাকি?? চুপচাপ এখানে বসো।

নিশান একপ্রকার রুমিকে জোর করেই বসায়। তারপর বলে,

– সায়মা, এই হলো রুমি। যার কথা তুমি জানো। আর রুমি এই হলো আমার বিদেশি কাজিন। যে আজ সকালে এসেছে। আমার ফুফাতো বোন, সায়মা।

নিশানের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে রুমি শুধু সকই খেয়ে যাচ্ছে। রুমি এবার আশ্চর্য হয়ে বলে,

– কিহহহ উনি আপনার ফুফাতো বোন???

– হ্যাঁএএ।

– তাহলে আপনারা এভাবে কথা বলছিলেন কেন??

এবার সায়মা হাসতে হাসতে বলে,

– কারণ নিশান তোমাকে দেখে আমার সাথে মজা করছিল তাই আমিও ওকে সঙ্গ দিলাম। হিহি।

রুমি ভ্রুকুচকে নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে। নিশান রুমির দিকে হাতে ভর দিয়ে তাকিয়ে হাসছে। রুমির সেই রাগ হচ্ছে। সেই মানে সেই। ও কিছু বলতেও পারছে না। রুমি আর এক মূহুর্তও ওদের সামনে না বসে আঁটকে রাখা চোখের জলটা ছেড়ে দিয়ে উঠে চলে যায়।

– বোন তুই বাসায় যা। পরে কথা হবে। (নিশান)

– আচ্ছা আচ্ছা। তাড়াতাড়ি যা। (সায়মা)

নিশান দ্রুত রুমির পিছু নিয়ে ছুটে যায়। রুমি ক্যাম্পাসের নির্জন একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। নিশানও গিয়ে রুমির পাশে দাঁড়ায়। রুমি অন্যদিকে ফিরে খুব কান্না করছে নিঃশব্দে। নিশান বলে,

– একি কান্না করছো কেন??? কি হয়েছে??

রুমি মাথা নিচু করে আছে। আর কান্না করছে।

– আহহা বলবে তো কান্না করছো কেন??

রুমি কান্নামাখা কণ্ঠে বলে,

– আপনি তখন আমার সাথে ওমন করলেন কেন??

– আমি আবার কি করেছি???(অবাক হয়ে)

– আপনি আপুর সাথে ওসব বলিছেলেন কেন?? তার সাথে এতো কীসের হাসাহাসি?? এতো ঘনিষ্ঠ হয়ে কথা বলতে হবে কেন তার সাথে??

নিশান রুমির একেবারে সামনে এসে বলে,

– আমি ওর সাথে যা ইচ্ছা যেভাবে খুশী কথা বলি তাতে তুমি কাঁদছ কেন?? তোমার কি তাতে??

রুমি অশ্রুসিক্ত নয়নে নিশানের দিকে নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে আছে। নিশান আবার বলে,

– বলো কেন কাঁদছ তুমি??

রুমি আর নিজের অনুভূতি অার কষ্টটাকে আঁটকে রাখতে পারে না। রুমি নিশানকে জড়িয়ে ধরে এক নিশ্বাসে বলে দেয়,

– কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি। হ্যাঁ অনেক অনেক বেশী ভালোবাসি। ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে। তাই সহ্য করতে পারি না আপনাকে অন্যকারো সাথে। আমার সহ্য হয়না। আর আমি জানি আপনিও আমাকে ভালোবাসেন। তাইতো আমাকে জ্বালানোর জন্য এমন করলেন। প্লিজ বলেন না আমাকে ভালোবাসেন আপনি। প্লিজ…

নিশান স্তব্ধ হয়ে যায়। বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে ও। কি বলবে ও!! নিশান আস্তে করে রুমিকে ওর কাছ থেকে ছাড়ায়। রুমি নিশানকে ছাড়তে চায় না। তাও নিশান জোর করে রুমিকে ছাড়ায়। রুমি নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে। নিশান রুমিকে ছাড়িয়ে একটু দূরত্ব বানিয়ে দাঁড়ায়।

~ একি আপনি আমার থেকে দূরে সরে গেলেন কেন??(রুমি)

– রুমি তোমার ভুল হচ্ছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আমি কাউকে আর ভালোবাসতে পারি না।

নিশানের কথা শুনে রুমি পাথর হয়ে যায়। রুমির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। চারদিক কেমন অন্ধকারে ঢেকে আসছে। সব কিছু ঝাপসা হয়ে আসছে চোখের নোনা জলে। রুমি নিশানের কাছে গিয়ে ওকে ধরে অস্থির হয়ে বলে,

– এ আপনি কি বলছেন!! আপনি আমাকে ভালোবাসেন। আপনি মিথ্যা বলছেন তাই না?? ও বুঝেছি আপনি মজা করছেন??

রুমি চোখ মুছে নিশানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

– প্লিজ মজা কইরেন না। বলুন আমাকে ভালোবাসেন আপনি। বলুন না।

নিশান আবার রুমিকে ওর থেকে ছাড়িয়ে বলে,

– না রুমি আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আমি সত্যিই বলছি। আমি কোন মজা করছি না।

রুমির যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। রুমি নিশানের দিকে নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে আছে। নিশানও রুমির দিকে তাকিয়ে আছে। রুমি আর না পেরে নিশানের কলার ধরে অঝোরে কান্না করতে করতে বলে,

– কেন?? কেন?? এমন বলছেন আপনি?? কেন?? সারাদিন আমার সাথে থাকেন। আমার খেয়াল রাখেন। আমার ভালো মন্দ সব বলে দেন। আর আপনি বলছেন আমাকে আপনি ভালোবাসেন না?? আল্লাহর দোহাই লাগে প্লিজ বলেন ভালোবাসেন। একবার বলেন ভালোবাসেন…আমি সব ভুলে যাব। আমাকে এভাবে ফিরিয়ে দিবেন নাআআ…আমি শেষ হয়ে যাব।

– রুমি বুঝার চেষ্টা করো। আমি কি একবারও বলেছি আমি তোমাকে ভালোবাসি?? আমি কাউকে আর ভালোবাসতে পারবো না। আমার ভালোবাসাটা মরে গিয়েছে। আমাকে মাফ করো। আমি তোমাকে ওভাবে নেইই নি….

– দোহাই লাগে এমন বলবেন না। আমি আপনাকে সত্যিইইই ভালোবাসি। আমি কখনো আপনাকে ছেড়ে যাব না। আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না।(খুব কান্না করতে করতে)

– না রুমি। আমি পারবো না। আমাকে মাফ করো।

নিশান রুমিকে রেখে চলে যায়। রুমি সেখানে বসেই অঝোরে কাঁদতে থাকে। শুধু চিৎকার করে কান্না করতে পারে না।

নিশান গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসে। কারো সাথে কোন কথা বলে না। সোজা ওর রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। বিছানায় গা’টা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়ে। চোখটা বন্ধ করে নিশান।

নিশান মায়াকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। কিন্তু মায়া যখন নিশানের সাথে চিট করে নিশান খুব ভেঙে পড়ে। সেদিনের পর থেকে নিশান আর কোন দিন কাউকে ভালোবাসবে না বলে ঠিক করে। কিন্তু নিশান জানে না ও কেন জানি রুমিকে সবসময় সবকিছু থেকে প্রটেক্ট করতো। রুমিকে ভালো লাগে নিশানের। কিন্তু রুমিকে ভালোবাসে না নিশান। ও আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে না। কিন্তু নিশানের খুব খারাপ লাগছে এখন। এরকম কিছু হবে নিশান কোনদিন ভাবে নি। নিশান খুব শক্ত একটা মানুষ। কিন্তু নিশানের চোখ দুটো ওর অজান্তেই ভিজে আসে। নিশান নিজেকে বলে,

– আমি রুমিকে ভালোবাসি না। আমি কাউকেই আর ভালোবাসি না। আমি আর ভালোবাসতে জানি না।

সেদিনের পর থেকে নিশান কেমন জানি হয়ে পড়ে। ৩/৪ দিন পর নিশান ভার্সিটিতে গেলেও রুমিকে আর দেখতে পায়নি। কেমন শূন্য শূন্য লাগে নিশানের।যেন জীবন থেকে আনন্দ হারিয়ে গিয়েছে। রুমিকে হাজার বার ফোন দিতে যেও কেন জানি ফোন আর দেয়নি নিশান। ফারহান নিশানকে হাজার বুঝিয়েও পারে নি। তাই ফারহানও হার মানে। নিশান নিজের সাথে লড়াই করছে রুমিকে ছাড়া থাকতে। কিন্তু সব জায়গায় সবসময়ই বারবার রুমির কথা মনে পড়ছে। নিশান কেমন জানি পাগল পাগল হয়ে যাচ্ছে। রুমির কোন খোঁজ খবর নেই। ফারহানও রুমির কথা কিছু বলে না। নিশান দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে। রুমিকে ছাড়া নিশান থাকতে পারছে না। ও নিজেকে রুমে বন্দি করে বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছে,

– আমি এমন করছি কেন?? রুমিকে ছাড়া আমি থাকতে পারছিনা কেন?? আমিতো ওকে ভালোবাসি না। তাহলে কেন ওকে ছাড়া আমার বুকের বাম পাশটা ব্যাথা করছে। কেন ওকে ছাড়া আমার কিচ্ছু হচ্ছে না?? কেন?? আমি পারছি না ওকে ছাড়া থাকতে। তাহলে কী আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি?? রুমিকে আমি ভালোবাসি?? হ্যাঁ আমি ওকে ভালোবাসি। রুমিইইই আমি তোমাকে ভালোবাসিইইই….

নিশান আর না পেরে রুমিকে দ্রুত কল দেয়। কিন্তু রুমির নাম্বার বন্ধ। নিশানের খুব রাগ হয়। নিশান ফারহানকে ফোন দেয়। ফারহান ফোন ধরলে,

– দোস্ত আমি রুমিকে ভালোবাসি। হ্যাঁ আমি ওকে ভালোবাসি। আমি ওকে ভালোবাসে ফেলেছি দোস্ত। আমি এখনই ওর কাছে যাচ্ছি। ও আমাকে ফিরিয়ে দিবে না।

– আর যেয়ে লাভ নেই দোস্ত। তুই খুব দেরী করে ফেলেছিস। আর কোন লাভ নেই যেয়ে।

– দেরী করে ফেলেছি মানে??? কি বলছিস ভাই?? (আশ্চর্য হয়ে)

– কারণ রুমিকে ছেলে পক্ষ দেখে গিয়েছে। সব ফাইনাল। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো বিয়ে হবে। এইতো গতকালই ওকে দেখে পছন্দ করে সব ফাইনাল করে গিয়েছে। আর লাভ নেই দোস্ত। সব শেষ। যখন রুমি তোকে চেয়েছে তুই ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিস। আজ রুমির বাবা-মা ওর এই অবস্থা দেখে ওকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আমি নিজে তোকে কতো বুঝিয়েছি। কিন্তু তুই মায়ার জন্য ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিস। সব তোর দোষ। তুই ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিস। আর ওকে ভালোবেসে লাভ নেই। তুই অনেক দেরী করে ফেলেছিসরে।

নিশানের কান থেকে ফোনটা পড়ে যায়। নিশান নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ওর রুমি অন্যকারো হয়ে যাচ্ছে। রুমিকে আর ও পাবে না। কখনো না।

– এ আমি কি করলাম!!! প্রথমবার কেউ আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসলো আর আমি তাকে আগের জনের জন্য ফিরিয়ে দিলাম?? রুমি আমাকে সত্যি ভালোবাসতো। ওর ভালোবাসায় এত্তো শক্তি যে আমিও হেরে গিয়েছে। আমিতো সব হারিয়ে ফেললাম। রুমি?? তুমি হারিয়ে গেল?? রুমিইইইই???(কান্না করতে করতে)

নিশানের কান্না আর আর্তনাদ হয়তো এই চার দেয়ালের বাইরে যাচ্ছে না। কিন্তু যদিও কেউ শুনতো তাও কেউ বুঝতো না। কারণ কাউকে হারানোর ব্যাথা কতটা কষ্টের তা একমাত্র যে হারিয়েছে সে জানে। নিশান পাগলের মতো শুধু কাঁদছে। যেমনটা সেদিন রুমি কেঁদেছিল। সব শেষ।

চলবে…..