লাল_গোলাপ
লেখিকা মিতু
পর্বঃ ০৪
সে অনবরত রুমির কোমড়ে ছুয়েই যাচ্ছে। লোকটা হঠাৎই রুমিকে ঘুরিয়ে ওর খালি পিঠে হাত বুলাচ্ছে। কোমড়ে হাত দিচ্ছে। রুমির গা যেন জ্বলে যাচ্ছে। সব চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে এই মানুষটাকে এসব করতে দেখে। রুমি স্বপ্নেও ভাবেনি নিশান ওর সাথে এমন করবে। নিশান রুমিকে আবার ওর দিকে ঘুরিয়ে রুমির খালি কাঁধ থেকে পুরো নরম হাতটা স্পর্শ করে যাচ্ছে। রুমি আর না পেরে কেঁদে দেয়। ওর চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু পড়ছে। রুমি ওর সব শক্তি এক করে নিশানকে জোরে একটা ধাক্কা দেয়। রুমির মুখের উপর থেকে নিশানের হাত সরে গেলে রুমি যেই চিৎকার করে পালাতে যাবে ওমনি আবার নিশান রুমিকে চেপে ধরে আর সাথে ওর মুখও।
রুমি নিশানের চোখের দিকে তাকিয়ে কেমন জানি ভয় পাচ্ছে। কারণ নিশানের চোখে কোন কামুকতা কিংবা নেশা নেই। নিশানের চোখ টকটকে লাল হয়ে আছে যেন আগুন জ্বলছে। রুমি নড়াচড়া করতে নিলে নিশান ওর আঙুল দিয়ে রুমিকে একদম চুপ থাকতে বলে। ইশারায় কোন কথা বলতে না করে। তারপর নিশান আস্তে করে রুমির মুখের উপর থেকে হাতটা সরিয়ে নেয়। আর সাথে সাথেই রুমি কাঁদতে কাঁদতে বলে,
– এই আপনার আসল চরিত্র!! এই আপনি?? আমি আসলে সেদিন ঠিকই বলে ছিলাম আপনাকে। আপনি আসলেই….
– থামলে কেন বলো?? কি আসলে আমি??
– আপনি একটা ধর্ষক। একটা পশু আপনি।
– তাহলে তুমি কি??
– আমি কি মানে??(অবাক হয়ে)
– আমি তোমার কোমড়, পিঠ আর হাত ছুয়েছি। আমি কি তোমার বুক কিংবা পিটের নিচ থেকে পা পর্যন্ত ছুয়েছি??
– না ছুননি। আপনি কী এখন এগুলোও ছুতে চান?? নিন শেষ করে দিন আমাকে।
– হুম করবো। তার আগে বলো, আমি যেসব অংশ ছুয়েছি তা কি ঢাকা ছিল??
নিশানের অদ্ভুত প্রশ্নে রুমি অবাক হচ্ছে বটে তাও এবার নিজের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করে। কান্না থেমে গিয়েছে রুমির। রুমি আস্তে করে বলে,
– না ঢাকা নেই।
– আমি একা স্পর্শ করেছি বলে তুমি আমাকে আবার সেই ধর্ষকের টাইটেলটা দিলে। কিন্তু বাইরে যে তোমার এই উম্মুক্ত স্পর্শকাতর স্থানগুলো শতশত ছেলে দেখছিল। তারা যে তোমাকে তাদের চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে তাতে তোমার সমস্যা হয়নি?? তাদের ধর্ষক মনে হয়নি??
রুমি পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ভাষা হারিয়ে ফেলেছে ও। সত্যিতো বলেছে নিশান। এসব অংশতো ঢাকা ছিল না। নিশান আবার বলে,
– এখন তুমি বলতে পারো তাহলে আপনারা কেন তাকাচ্ছেন?? কারণ মৌমাছি যেমন ফুল দেখলে তার মধু নিতে যায় ঠিক তেমনি তুমি যদি এভাবে চলো তোমাকে তারা দেখবেই। তুমি জানো কতো ছেলে তোমাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করেছে মনে মনে?? নিজের শরীরের অংশ দেখিয়ে হয়তো তুমি সবার প্রিয় হতে পারবে। কিন্তু যেন রাখো তুমি তাদের কাছে শুধু কামুকতার পাত্র মাত্র। আর কখনো যদি এরকম ভাবে শাড়ী পরে আসো তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না। আমি জানি তুমি এখন ভাবছ আমি অন্য মেয়েদের কেন বলছি না?? কারণ তারা আমার পরিচিত না। তাদেরকে কিছু বলার অধিকার আমার নেই। যদিও বা বলি তারা আমার কথা কখনো শুনবে না। কিন্তু তোমার উপর আমি অধিকার খাটাতে পারবো। কারণ আমরা পরিচিত। তোমার ভালোর জন্যই বলেছি। তোমার এই জায়গা গুলোতে আমি কখনো স্পর্শ করতাম না। করেছি শুধু এই কারণে যাতে এর পরের বার কোন ড্রেস পরলে এসব জায়গার কথা মনে থাকে। শাড়ী তুমি পরতে পারবে। তবে এমন ভাবে পরবে যাতে পিঠ এবং পেট কোনটাই না দেখা যায়। ঠিক আছে??
রুমি মাথা নিচু করে আচ্ছা বলে। নিশান রুমির গাল দুটো দু’হাত দিয়ে ধরে ওর মুখের দিক করে বলে,
– তোমাকে আজ অসম্ভব সুন্দরী লাগছে। যা বলার বাইরে। কিন্তু আর কখনো এভাবে আসবে না। স্যালোয়ার কামিজ পরবে। নিজের শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলো ঢেকে রাখবে। ছোট মানুষ তাই এভাবে বললাম। নেক্সট টাইম কিন্তু আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না। নীল আমার পছন্দের কালার। তাই রাগটা বেশী হইনি। নাহলে আজ তোমার খবর ছিল। এখন সোজা বাসায় চলে যাবে। আর এক মূহুর্তও এখানে থাকবে না। যাও।
নিশান রুমির চোখ মুছে দেয় ওর রুমাল দিয়ে। রুমি অবাক নয়নে নিশানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর মন চাচ্ছে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরি। তার মাঝে হারিয়ে যেতে চায় রুমি।
– যাও মুছে দিয়েছি। সোজা বাসায়। আমার সামনে পড়লে কিন্তু খবর আছে।
বলেই নিশান রুমিকে রেখে চলে যায়। রুমি এখনো সকে আছে। কিন্তু নিজেকে সামনে দ্রুত সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বাসায় চলে যায়।
নিশান আবার ফারহানদের কাছে গিয়ে বসে। ফারহান নিশানকে দেখে বলে,
– কিরে হঠাৎ কই গিয়েছিলি?? রুমিকেও যে দেখছি না??
– ওকে বাসায় পাঠায় দিছি।
– মানে!!! ক্যান??
– এমনি ইচ্ছা হইছে। চল আমিও যাবো। তোরা কি থাকবি??
ফারহান বলে,
– না দোস্ত। মিলার সাথে দেখা করতে হবে। আমিও যাবো।
মিহান, রুপম আর ওমি কিছু বলতে নিলে নিশান কড়া গলায় বলে,
– যা ইচ্ছা তা কর। কিন্তু একটা মেয়েরও জানি কোন ক্ষতি না হয়। সাবধান। নাহলে আমি কেমন তা কিন্তু জানিস ভালো করেই।
মিহান বলে,
– না দোস্ত একজনকে এবার সত্যিই পছন্দ হয়েছে। ওর কাছ থেকেও পজিটিভ ভাইব পাচ্ছি। রাজি হলে বিয়ে করে ফেলবো।
রুপম আর ওমি বলে,
– দোস্ত আমরাও সেইম।
– আচ্ছা। যা বলেছি তা যেন মনে থাকে। বিয়ে আগে নো…হুম মনে থাকে যেন। আয় ফারহান।
নিশান আর ফারহান গাড়ির কাছে গেলে ফারহান বলে,
– নিশান, দোস্ত দাঁড়া।
– হ্যাঁ বল।
– একটা কথা জিজ্ঞেস করি??
– হুম কর??
– রুমির সাথে সেদিনের পর থেকে তুই কেমন বদলে গিয়েছিস। কিছু হয়েছে দোস্ত?? আমাকে বলতে পারিস।
– আরে না কিছুই হয়নি। হলে তোকে বলবো না তা কি করে হয়??
– তাহলে রুমিকে পাঠিয়ে দিলি যে??
– ওর ড্রেস আমার পছন্দ হয়নি তাই।
– ও আচ্ছা। চল তাহলে।
– শোন…
– হ্যাঁ বল…
– আমার বোনটা যেন কোন কষ্ট না পায়। তোকে ও পছন্দ করে দেখেই আমি তোকে এতো পছন্দ করি। বোনটার কোন ক্ষতি হতে দিবিনা।
– দোস্ত এক্সামটা শেষ হলেই ওকে বিয়ে করবো। তুই একটুও চিন্তা করিস না। ওর কোন ক্ষতি আমি হতে দিব না।
– আচ্ছা। যা তাহলে।
রাত ১১.২৩ মিনিট,
রুমি খেয়ে দেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। মাথার উপর ফ্যানটা ভো ভো করে তার আপন গতিতে ঘুরছে। রুমি ওর কোমড়, হাত বারবার ছুয়ে ছুয়ে দেখছে। বারবার নিশানের কথা গুলো মনে পড়ছে। রুমি মুচকি হাসছে আর মনে মনে বলছে,
– আমি আজও তাকে ভুল ভাবলাম। কীসব বললাম তাকে। একটা মানুষ এত্তো ভালো কীভাবে হয়?? সত্যিই আমার এভাবে শাড়ী পরা উচিৎ হয়নি। আমি বুঝতেই পারি নি। নাহ আমার উচিৎ ওনার কাছে মাফ চাওয়া। কিন্তু ওনার নাম্বার?? গতকাল রাতে যে নাম্বার থেকে কল এসেছিল আমার মন বলছে ওটা উনিই ছিলেন। দিব একটা কল?? যদি উনি না হয়?? আচ্ছা দিয়েই দেখি না।
রুমি সেই আননোন নাম্বারে কল দেয়। প্রথম বার কেউ ধরেনি। রুমি আবার কল দেয়। এবার ফোন রিসিভ হয়। রিসিভ হলেই ওপাশ থেকে,
– কি হঠাৎ ভূতের কথা মনে পড়লো??
– আপনি নিশান ভাইয়া তাই না??
– কি মনে হয়??
– আপনি নিশান ভাইয়াই সিউর।
– তাহলে গতকাল চিনলে না কেন??
– বুঝতে পারি নি। সরি।
– হুম। তা হঠাৎ কি মনে করে কল দিলে??
– আসলে ভাইয়া…
– এতো ভাইয়া ভাইয়া করো কেন?? আমি তোমার ভাইয়া লাগি??(রাগী ভাবে)
– না না। তাহলে কি বলব??
– শুধু আপনি বলবা।
– আচ্ছা। আমাকে মাফ করে দিয়েন আজকের জন্য। আজও না বুঝে আপনাকে উল্টা পাল্টা বললাম।
– সমস্যা নেই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
– ভাইয়…না না সরি। আপনি আর লজ্জা দিবেন না আমায় প্লিজ।
– হুম৷ আচ্ছা রাখি। এখন ঘুমাও। এতো রাত জাগো কেন!! যাও চুপচাপ ঘুমাও।
– জি যাচ্ছি।
রুমি ফোন কেটে দেয় রাগে। আর বলে,
– বজ্জাত, পাজি, শয়তান একটা। একটু ভালো ভাবে কথা বলে না। এত্তো ভাব?? ছেলে মানুষের এত্তো ভাব থাকে আগে দেখেনি। যা আর তোকে ফোনই দিব না।
ম্যাসেজ আসে…রুমি ম্যাসেজ খুলে দেখে নিশান ম্যাসেজ পাঠিয়েছে,
– আমাকে বকাবকি না করে ঘুমাও। সকালে দেখা হলে বকা দিও। গুড নাইট।
রুমি আশ্চর্য হয়ে যায়। ও ভেবেই পাচ্ছে না লোকটা এমন কেন?? বেশ অদ্ভুত একটা লোক। একে বুঝা খুব দায়। কিন্তু এই অদ্ভুত লোকটাকেই কেন জানি রুমির খুব ভালো লাগতে শুরু করে। তার কেয়ারিং, তার আচরণ, তার চিন্তা ভাবনাগুলো রুমির মনে দাগ কাটছে। বিশেষ করে আজতো একদম মনটাই কেড়ে নিল রুমির। রুমি শুয়ে শুয়ে শুধু নিশানের কথা ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। আর একসময় রুমি ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়।
এভাবে নিশানের প্রতি রুমির ভালো লাগা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু নিশানকে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় ও রুমিকে পাত্তাই দেয় না। কিন্তু রুমি জানে নিশানের কাছে ও কি। রুমি যা ইচ্ছা করে নিশান তাই পূরণ করে। এইতো সেদিন, রুমি আর নিশান চ্যাটিং করছিল। হঠাৎ রুমি বলল, আমার খুব ফুচকা খেতে ইচ্ছা করছে। বাস নিশান অনলাইনে নেই। রাত ১২ টার সময় রুমির বাসার নিচে নিশান ফুচকা নিয়ে উপস্থিত। রুমির যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এরকম নিশানের অনেক কিছুই রুমিকে ওর প্রতি দুর্বল করে তুলে। এভাবেই চলছিল রুমি আর নিশানের জীবন। রুমি দিনে দিনে অস্থির হয়ে যাচ্ছিল যে নিশান ওকে বলুক, সে ওকে ভালোবাসে। কিন্তু নিশান ভালোবাসা শব্দটাই উচ্চারণ করে না।
একদিন,
– আপনি কী এখন আর কাউকে ভালোবাসেন??
– জানি না। কেন??
– না এমনি। বলুন না??
– হুম বাসিতো একজনকে।
– মানে?? কাকে??(আশ্চর্য হয়ে)
– আছে একজন।
– কে???
– বলা যাবে না।
– প্লিজ বলুন তো।
– না বলা যাবে না।
– বলবেন না??
– না।
– ওকে। আমি আসি ভালো থাকবেন।
– হুম ভালোই আছি আমি। বাট তোমাকে দেখে ভালো মনে হচ্ছে না। (মজা করে)
রুমি নিশানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে বলছে,
– শয়তান বেটা একটা। সারাদিন থাকে আমার সাথে আর ভালোবাসে অন্য কাউকে। বল না ভালোবাসিস আমাকে। এত্তো কীসের ভাব??
– বাহ!! তোমাকে তো রাগলে আরও বেশী সুন্দর লাগে।
– আপনি আর আমার সাথে কথা বলবেন না আমাকে আর ফোনও দিবেন না। বাই।
রুমি এবার সত্যি সত্যি রাগ করে চলে আসে। ওর খুব রাগ হয় নিশানের উপর। রুমি বাসায় চলে যায়। এরপর দুদিন রুমি আর ভার্সিটিতে আসে নি।
এদিকে নিশান রুমিকে খুঁজছে। আজ ৩য় দিন। রুমির বান্ধবীদের থেকে জানতে পারে আজও রুমি আসে নি। নিশানের খুব রাগ হচ্ছে। ও পকেট থেকে ফোন বের করে রুমিকে কল দিতে যাবে ওমনি ফারহানের কল আসে। নিশান ফোন ধরতেই খুব অস্থির হয়ে ফারহান বলে,
– দোস্ত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আস। খুব জরুরি।
নিশানের হাত-পা কেমন জানি কাঁপনি ধরে। হাজার খারাপ চিন্তা মাথায় এসে ভর করে। নিশান কাঁপা কণ্ঠে বলে,
– কি হয়েছে দোস্ত??
– দোস্ত রুমি..
– কি হয়েছে রুমির??? রুমি ঠিক আছে?? ফারহান??
– দোস্ত রুমির ভাই এক্সিডেন্ট করেছে তাড়াতাড়ি এই হাসপাতালে চলে আয়। রক্ত লাগবে (AB-)। যা শুধু তোরই আছে।
নিশান এক মূহুর্ত সময় নষ্ট না করে গাড়ি নিয়ে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে যায়। রুমির কিছু হয়নি শুনেও নিশানের খারাপ লাগছে ওর ভাইয়ের জন্য।
নিশান হাসপাতালে গিয়ে দেখে রুমি আর ওর মা অঝোরে কান্না করছে। ওর বাবাও নিঃশব্দে কাঁদছে। ফারহান নিশানকে দেখে বলে,
– ভাই এসেছিস তাড়াতাড়ি আয়।
রুমি নিশানের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে আর অঝোরে কান্না কান্না করছে। এরপর নিশান দুই ব্যাগ রক্ত দেয় একসাথে। আপাতত তাতেই রুমির ভাইয়ের চলবে। নিশান রক্ত দিয়ে শুয়ে আছে। ওকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। রুমির বাবা-মা কিছুক্ষণ পর এসে বলে,
– বাবা তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ তুমি রক্ত না দিলে আমার ছেলেটাকে কোন ভাবেই বাঁচাতে পারতাম না। (বাবা)
– আরে ধন্যবাদ কীসের আঙ্কেল। আমি সবসময়ই রক্ত দি।
– সত্যি বাবা তুমি আমার ছেলেটাকে বাঁচিয়েছো। তুমি না থাকলে…(মা কান্নায় ভেঙে পড়ে)
– আন্টি কাঁদবেন না প্লিজ। মায়ের চোখে জল মানায় না।
– বাবা তুমি খুব ভালো ছেলে। এখন রেস্ট নেও একটু পড়ে কথা হবে। (দুজনই)
– জি আঙ্কেল আন্টি।
রুমির বাবা-মা গেলে রুমি আসে। রুমিকে দেখে নিশান মুখটা অন্যদিকে করে ফেলে। রুমি আস্তে আস্তে নিশানের কাছে এসে বসে। রুমি নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে। ও আস্তে করে নিশানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। নিশান হাত সরিয়ে দেয়। রুমি আবার হাত বুলিয়ে দেয় আর বলে,
– রাগ করে আছেন বুঝি??
নিশান চুপ করে আছে। রুমি আবার বলে,
– আচ্ছা সরি। আপনি সত্যিই খুব ভালো। আগে আমাকে আজ আমার ভাইকে সাহায্য করলেন। আপনি রক্ত না দিলে হয়তো ও আর বাঁচতো না। সত্যি আপনি খুব খুব ভালো।
– হয়েছে বলা?? এখন যাওতো। কিছু খেয়ে আসো। কান্না করেতো চোখ ফুলিয়ে ফেলেছ।
অন্যদিকে তাকিয়ে নিশান বলল। হঠাৎই রুমি যা করলো তাতে নিশান পুরো স্তব্ধ হয়ে গেল। রুমি নিশানকে…..
চলবে….