শত ডানার প্রজাপতি পর্ব-০৮

0
4686

#শত ডানার প্রজাপতি

#urme prema (sajiana monir )

পার্ট : ৮

– “জন্মের পূর্বের থেকে সম্পর্ক মানে ? ”
আমি বিষ্ময়ের কন্ঠে মাকে প্রশ্ন করি । মনে হাজারো প্রশ্ন উকি দিচ্ছে । মা হয়তো আমার মনের কথা বুঝতে পেড়েছে । মা দৈর্ঘ্য নিশ্বাস নিয়ে বললেন ,

– “হুম জন্মপূর্ব থেকে সম্পর্ক । তোমার বাবা মাহিদ আহমেদ আমাদের কম্পানির খুব বিশ্বস্ত একজন কর্মী ছিলেন । অগ্নির বাবার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। সময়ের সাথে সাথে পরিবারের একজন হয়ে গিয়েছেন । প্রায় সময়ই বাসায় আসা যাওয়া হতো । বিভিন্ন অনুষ্টানে মাঝে মাঝে তোমার মা হুমায়রাও আসতো। খুব মিষ্টি মেয়ে ছিলো । হুমায়রার সাথে অল্প সময়ই খুব ভালো বন্ডিং তৈরি হয়ে যায় । মাঝে মাঝে হুমায়রার সাথে ফোনে কথা হতো । হঠাৎ একদিন জানতে পারি হুমায়রা প্রেগন্যান্ট । সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম । সময় নিজ গতিতে চলছিলো ।কিন্তু তখনই কালবৈশাখীর কালো ছায়া হয়ে সেই রাত আমাদের জীবনে আসে । সব তছনছ করে দিয়ে যায় । তখন হুমায়রার প্রেগন্যান্সির ফাইভ মান্থ চলছে । একদিন অগ্নির বাবা আর মাহিদ ভাই অফিশিয়াল কাজে সিলেটের বাহিরে যায় । ফিরার সময় এক ভয়ানক এক্সিডেন্ট হয় ।দুজনকেই আই সি ইউ তে নেওয়া হয়। সেদিন মাহিদ ভাই চাইলেই গাড়ি থেকে নেমে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পাড়তো কিন্তু তিনি তা করেনি । অগ্নির বাবাকে বাঁচানোর স চেষ্টা করে গেছে ।
হসপিটালে যখন মাহিদ ভাই শেষ নিশ্বাস গুনছিলো হুমায়রা তখন সেন্সলেস হয়ে পাশের কেবিনে ছিলো । মাহিদ ভাই কান্না করে আমার হাত ধরে বলেছিলো আমি যেন হুমায়রা আর তার সন্তানের খেয়াল রাখি । তারপর নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে । আমি পাথর হয়েছিলাম বার বার মাথায় একটা কথা গুরছিলো আমি হুমায়রা কে কি বলবো ? অন্যদিকে অগ্নির বাবার অবস্থাও ক্রিটিকাল ছিলো আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম । দুদিন পর অগ্নির বাবার মৃত্যু হয় । আমার পুরো দুনিয়া অন্ধকার হয়ে যায়। নিজের সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি । দিন দুনিয়া সব ভুলে যাই । পাগল পাগল হয়ে যাই । নিজেকে সামাল দিতে মাস কেটে যায় । অগ্নি তখন চার বছরের । আমার ছেলে অগ্নির দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামাল দিতে হয়েছে । আমাকে আমার স্বামীর স্বপ্ন পূর্ন করার ছিলো । নিজের ছেলেকে মানুষ করার ছিলো । অনেক কিছু করার বাকি ছিলো তাই হাল ছাড়িনি । নিজেকে শক্ত করে গড়ে তুলেছি । নরম আদ্রিতা থেকে শক্ত আদ্রিতা হতে । দুমাস পর যখন হুমায়রার খোঁজ নিতে যাই তখন জানতে পারি হুমায়রা তার ভাইয়ের সাথে অনেক আগেই সিলেট ছেড়ে চলে গেছে । কিন্তু কোথায় তা কারো জানা ছিলো না । আমি অনেক খুঁজি কিন্তু পাইনা । মনের মাঝে এক অপরাধবোধ কাজ করছিলো । নিজেকে সামাল দিতে যেয়ে আমি নিজের কথা রাখতে পারিনি । মাহিদ ভাইকে দেওয়া শেষ কথাটা রাখতে পারিনি । তার দু বছর পর সিলেট থেকে ঢাকায় সিফ্ট হই । বেশ সময় কেটে যায় নিজেকে এখানে মানিয়ে নিতে । এই বিজনেস দাড় করাতে । কিন্তু প্রত্যেকতা সময় হুমায়রা আর তার সন্তানকে খুঁজে গেছি ।হ্ঠাৎ একদিন বিজনেসের কাজে কমলাপুর রেলস্টেশন যাই । সেখান থেকে ফিরার পথে আট নয় বছরের এক ছেলে দেখতে পাই । খুব কান্না করছিলো । পাশেই মধ্যেবয়স্ক এক নারীর লাশ দেখতে পাই । ছেলেটা অসহায়ের মত বসে ছিলো । কি করবে? না করবে তার জানা নেই । তার থেকে জিগাসা করে জানতে পারি ছেলেটা মা ছাড়া এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই । আজ মা ও তাকে ছেড়ে ওপারে চলে গেছে । খুব কান্না করছিলো । ছেলেটার কান্না সয্য হচ্ছিলো না । অসহায় অনাথ শিশুটা পথে কান্না করছিলো । উদ্দেশ্যহীন হয়ে বসে । তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই আমি ছেলেটাকে নিজের পরিচয় দিবো । নিজের সন্তান বলে এই সমাজে পরিচয় দিবো । সেদিন পুলিশ স্টেশনের সব ফরমালিটি পূর্ন করে ছেলেটিকে আর সেই লাশটিকে নিজের সাথে নিয়ে আসি । লাশের দাফনকাজ শেষ করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আছি । পরিচয় দেই নিজের বড় ছেলে আবির বলে । সেদিন কিছুটা শান্তি লাগছিলো ।আমার জীবন আবির আর অগ্নিতেই সিমাবদ্ধ হয়ে যায় । কিন্তু মনে মনে ঠিকই হুমায়রা কে খুঁজে যাই ।
সেদিন তুমি যখন আবির আর হিয়ার সম্পর্কের কথা বলতে এসেছিলে তোমাকে দেখে কেন জানো হুমায়রার কথা মনে পড়ছিলো । হুমায়রার সাথে তোমার চেহারার তেমন কোন মিল নেই ।কিন্তু চোখ দুটো একদম হুমায়রার চোখের মত নিষ্পাপ আর সরল । সেদিন তোমার কথা বার্তা আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিলো । তোমার মাঝে সম্পর্ক জুড়ে রাখার প্রচন্ড চেষ্টা দেখেছি । কেন জানো মনে হচ্ছিলো তুমি খুব কাছের কেউ । তারপর যখন প্রথমবার হিয়াকে তোমাদের বাড়িতে দেখতে যাই সেদিন সেখানে হুমায়রার ছবি দেখতে পাই । জানতে পারি ডেলিভারির সময় তার মৃত্যু হয়েছে আর তুমি হুমায়রার মেয়ে হুর । সেদিন খুব কষ্ট হচ্ছিলো হুমায়রার মৃত্যুর কথা শুনে । নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছিলো । সেদিনই সিদ্ধান্ত নেই আমি তোমার পুরোপুরি খেয়াল রাখবো নিজের বাড়ি বউ করে আনবো । আমার অগ্নির বউ করে ঘরে তুলবো । নিজের মেয়ে করে রাখবো । সবকিছু ঠিক চলছিলো কিন্তু হঠাৎ আবিরে বিয়ের সাপ্তাহখানেক পর জানায় সে এক মেয়েকে পছন্দ করে আর তাকেই বিয়ে করবে । আমি তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি কিন্তু অগ্নি শুনতে নারাজ । বাধ্য হয়ে এই বিয়েতে মত দিতে হয় । কিন্তু ভাগ্য মনে হয় আমার সাথে ছিলো তাই তো বিয়ের সাপ্তাখানের আগে সুপ্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ।আমিও সুযোগটা হাত ছাড়া করিনা।তোমার মামার কাছে অগ্নির জন্য তোমার হাত চাই । আমি জানতাম তুমি তোমার বোনের ভালোবাসায় দুর্বল । তাই সেই জায়গায় আঘাত করি তোমাকে বিয়েতে বাধ্য করি।কারণ আমি জানি আমার ছেলের জন্য তোমার থেকে উত্তম কেউ নেই। আমি কাল না থাকলে তুমি ঠিক আমার ছেলে আর আমার পরিবার সামলাতে পারবে।আর তোমাকে নিজের কাছে রাখার ইচ্ছাটাও পূর্ন হলো । তোমার বাবা কে যে কথা দিয়েছিলাম তোমার আর তোমার মায়ের খেয়াল রাখবো । তোমার মায়ের খেয়াল তো রাখতে পারিনি কিন্তু তোমার কোন অযত্ন আমি হতে দিবো না।আমার মেয়ে করে রাখবো । ”

মায়ের কথা শুনে আমার চোখ থেকে টপটপ করে পানি ঝোড়ছে । আমি সঙ্গে সঙে মাকে ধরে শব্দ করে কান্না করে দেই । কোন ভাবেই কান্না থামছিলো না । কান্না কান্না করতে করতে মাকে বলি ,

– “স্যরি মা আমি সেদিন আপনাকে ভুল বুঝেছি । আপনি আমার জন্য সবকিছু করছিলেন আর আমি কিনা আপনাকেই ভুল বুঝেছিলাম !
আমাকে ক্ষমা করে দিন মা …”

আর কিছু বলতে পারছিলাম না । ভিতরের সব ভেঙে শুধু কান্না আসছিলো । মাকে তখনো আমাকে জড়িয়ে ধরে আছি । মা আমার মাথায় চুমু দিয়ে বললেন,

– “অনেক কান্না হয়েছে আর না ! আমি চাই আমার মেয়েটা সব সময়ে হাসি খুশি থাকুক । পরীদের একদম কান্না করতে নেই । ”

আমি মায়ের কথা শুনে মাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরি । মা আমার চোখ মুছে দিয়ে আমার থুতনি ছুঁয়ে বললেন,

– “সব সময় হাসবি বুঝেছিস । চেহারায় যেন সবসময় হাসি থাকে।আমি জানি আমার ছেলেটার একটু জিদ বেশি কিন্তু জানি তুই ঠিক মানিয়ে নিবি । আমার ছেলে ঠিক তোকে মেনে নিবে। এখন না হয় আমার উপর একটু রেগে । কিন্তু কিছুদিন পর নিজের থেকেই আমাকে ধন্যবাদ দিবে । যে আমি তোকে তার জীবনসঙী করেছি মিলিয়ে নিস । ”

আমি মলিন হেসে মায়ের বুকে মাথা রাখি।আমি জন্মের পর মাকে দেখিনি কিন্তু আজ শাশুড়ি রুপে মা পেয়েছি । কেন জানো মনে হয় উনার গাঁয়ে থেকে আমার মায়ের সুবাস আসে । শুধু কি মায়ের পরিচীত বলেই তাই ? নাকি তা মায়ের মমতার জন্য ?
মা মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন,

– “মা রে জানি বিয়েটা তোর ইচ্ছে অনুযায়ী হয়নি । কিন্তু বিয়ে তো একবারই হয় । আমি জানি আমার ছেলে একটু রাগী কিন্তু মন থেকে খুব নরম । তোদের সম্পর্কটা মন থেকে মেনে নে দেখবি সব ঠি ক হয়ে যাবে।আদর্শ স্ত্রীর মত নিজের দায়িত্ব পালন কর । নিজের স্বামী কে নিজের সাথে বাধার চেষ্টা কর নিজের সম্পর্কটাকে নতুন নাম দে।নিজেদের মাঝে তৃতীয় কাউকে প্রবেশের কোন সুযোগ দিবিনা। অগ্নির উপর এখন শুধু তোর অধিকার । নিজের অধিকার নিজে আদায় করতে শিখ । নিজের সম্পর্কটা কে মজবুদ কর ”

আমি মায়ের কথায় শুধু মাথা নাড়ালাম । আদো কি তা সম্ভব ?

__________________________

ঘড়িতে দশটা বাজতে চলছে । পূর্নিমা রাত । আকাশে বৃহৎ আকারের চাঁদ ।চাঁদের চাঁদনী তে বাহিরের সবকিছু ঝলঝল করছে।আমি উদাসীন মনে বাহিরে তাকিয়ে । আজ এই পূর্নিমার আলোটাও খুব একটা টানছে না। নিজের ভাবনা জগতে বিলিন আমি । মায়ের শেষের প্রত্যেকটা কথা আমাকে খুব ভাবাচ্ছে । সত্যিই তো ? বিয়ের পবিত্র বন্ধনে অগ্নির সাথে আমি আবদ্ধ । সে মানুক আর না মানুক সত্যি তো এটাই যে আমি তার স্ত্রী আর উনি আমার স্বামী । উনার উপর কেবল মাত্র আমার অধিকার । সুপ্তি উনার অতীত ছিলো।যদি সুপ্তি অগ্নিকে মন থেকে ভালোবাসতো তাহলে বিয়ের এক সাপ্তাহ আগে এ ভাবে পালাতো না।জীবনে কোনো কিছুই সহজ ভাবে পাওয়া যায়না ।আর এটা তো সম্পর্কই ? জীবনে সবকিছু তো আর সহজলভ্য হয় না? আমাদের সম্পর্কটাও হয়তো এমনই । আজ থেকে মন থেকে আমাদের এই সম্পর্কটাকে নতুন করে গড়ার চেষ্টা করবো । মন থেকে স্ত্রীর দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো । আজ থেকেই আমার অগ্নির মনে ঢুকার গভীর তপস্যা শুরু । যে ভাবেই হোক অগ্নির মনে নিজের জায়গা করবো । নিজের অধিকার আদায় করে নিবো ।
আর রইলো আমার অতীত ? অতীতটা ছিলো এক ধোঁয়াশা । এক অজানা আওয়াজ কে ভালোবেসে ছিলাম । যার কাছে আমি ছিলাম মূল্যহীন । তাই তো সেদিন দেখা করার কথা বলে শুধুই অপেক্ষা আর হতাশা দিয়েছে । হয়তো আমি উনার কাছে শুধুই টাইম পাস বা বিনোদনের কোন মাধ্যম ছিলাম। তাই নিজের মূল্যহীন অতীত আর আকড়ে ধোরবো না । নিজের বর্তমানকে শুধরাবো ।নিজের জীবনকে একটা সুযোগ দিবো ।

– “ওয়াও ‘,শত ডানার প্রজাপতি ‘ ? ইন্টারেস্টিং নেম ! ”

হঠাৎই আমার ধ্যান ভাঙে অগ্নির আওয়াজে । পিছনে তাকিয়ে দেখি অগ্নির হাতে আমার ডাইরি । মুখে ভুবন ভোলানো তার বিখ্যাত হাসি । উনি আমার দিকে তাকিয়ে আবার বললেন,

– “আচ্ছা সুন্দরী ? এই নামের কারণ কি ? ”

আমি এক পা এক পা করে উনার দিকে এগিয়ে যাই । মুচকি হেসে উত্তর দেই,

– “উমম ! ডাইরির নাম শত ডানার প্রজাপতি দেওয়া কারন হলো এখানে অনেক অপূর্ণ ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা কথা লিখা আছে যা কখনো নিজের ডানা জাপটাতে পারেনি । না কখনো পাড়বে ! তাই সব একত্রে এই ডাইরি তে সিন্দুকবন্ধি করে রেখেছি । আর এর নাম নিয়েছি শত ডানার প্রজাপতি । ”

কথা শেষ করে উনার দিকে তাকাতেই দেখি উনি আমার কথা গুলো বেশ মন দিয়ে শুনছে । গভীর ভাবে তাকে আছে । আচ্ছা উনি এভাবে কি দেখছে ? আমি উনার সামনে তুরি বাজাতেই উনার ধ্যান ভাঙে । উনি বাঁকা হেসে বললেন,

– “তাহলে তো ডাইরি টা পড়ে দেখতেই হয় ! ”

– “এই না না প্লিজ আপনি ডাইরিটা পড়বেন না । ”

উনি শয়তানী হাসি দিয়ে বললেন,

– “এত ভয় পাচ্ছো কেন সুন্দরি ? এখানে কি এমন সিক্রেট লুকিয়ে আছে আমি একটু দেখি । ”

আমি ডাইরিটা টান দিতে নিলে উনি অন্যপাশে সড়িয়ে নেয় । আমি ঠোঁট উল্টিয়ে বলি,

– “কারো অনুমতি ছাড়া তার পারসোনাল ডাইরি পড়া ব্যড ম্যানার অগ্নি ভাইয়া ! ”

– “ও হো তাই বুঝি? তুমি না বললে তো জানতামই না। তা ছাড়া আমি তো আর লুকিয়ে পড়ছি না তোমার সামনেই তো পড়ছি । তাই না ? ”

আমি ভ্রু কুঁচকিয়ে বলি,

– “আমি তো আপনাকে অনুমতি দেইনি ভাইয়া । তাড়াতাড়ি আমার ডাইরি ফিরত দিন । নয়তো আপনার কপালে ডাইনি ,নাগিন বউ জুটবে ! ”

উনি কিটকিটে হেসে বললেন,

– “ইউ রাইট সুন্দরী ,আমার কপালে এমন বউই জুটেছে এই যে তুমি । নট ব্যট হুর ! নিজের প্রশংসা নিজেই করছো ? ”

বলেই উনি আবার কিটকিটে হাসতে লাগে । আমি আনমনে বললাম ,

– “আমি আপনার বউ তাই না ? আচ্ছা ,আচ্ছা এই অভিশাপ ক্যান্সেল হু ।
আপনি যদি আমার ডাইরী না দিন তাহলে তাহলে তাহলে আপনার দাঁত পরে যাবে । ”

রাক্ষসরাজ শয়তানি হাসি দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললেন,

– ” ও আচ্ছা? কালকের কামড় কি ভুলে গেছো ? আমার দাঁত পরার দোয়া কারছো ?আমার দাঁত কতটা মজবুদ তার একটা ডেমো তো দেখাতেই হয় ! কি বলো সুন্দরী ???

উনার এই ভয়ানক হাসি দেখে আমার খুব ভয় করছে । আশে পাশে জানালা আর খাটের নিচ ছাড়া অন্য কোন রাস্তা দেখছি না । আচ্ছা কি করবো জানালা দিয়েই পালাবো ? নাকি খাটের নিচে ডুকবো ? আমি এত তাড়াতাড়ি রাক্ষসরাজের কামড়ে মরতে চাইনা । হে আল্লাহ্‌ আমাকে এই বারের মত বাঁচিয়ে দেও । আই প্রমিজ কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিশ টাকা দান করবো । না না কম হয়ে যায় ! পুরো পচিঁশ টাকা দান করবো । শুধু বাঁচিয়ে দেও ।

চলবে …❤️