শুক্লপক্ষের পরিশেষে পর্ব-০২

0
218

#শুক্লপক্ষের_পরিশেষে
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ
|২|

-“কাইন্ডলি বলবে কি, কে তোমাকে ডাকপিয়ন সাজিয়েছে?”

তিশার রাগ আসে না সহজে, সে আনমনেই ক্যাম্পাসের পশ্চিমে তর্জনী উঠিয়ে বলল,
-“ওই সাদা শার্ট পরা ভাইয়াটা।”

প্রিয় তাকাতেই ওদিকে একটা গ্রুপ দেখতে পেল। ছ’জন ছেলে-মেয়ে ঘাসের ওপর গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। প্রিয় ওদের দেখেই ধরতে পারল, ওরা সিনিয়র। ওই নীল রঙের টিশার্ট পরা ছেলেটা তাকে সেদিন র‍্যাগ দিয়েছিল। প্রিয়র ভালোভাবেই মনে আছে।

এদের মধ্যে প্রিয়র নজর কাড়ল মাত্র গিটার কাঁধে তুলে ওখান থেকে দাঁড়িয়ে পরা ছেলেটা। সে উঠে দাঁড়িয়েছে, এবং বিদায় জানিয়ে ওখান থেকে প্রস্থানের উদ্দেশ্যে এগোচ্ছে। কিছুটা এগিয়ে সরু রাস্তা বরাবর আসতেই প্রিয় চিরকুটটি মিষ্টিবদ্ধ করে প্রায় দৌড় লাগাল। ক্ষণিকে ছেলেটির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। ছেলেটি ওকে দেখে চলমান পা থামিয়ে ফেলল। কিছুক্ষণ প্রিয়র দিকে তাকিয়ে রইল। সামান্য সময়ের ব্যবধানেই প্রিয়কে অবাক করে দিয়ে ছেলেটি মুচকি হেসে বলল,

-“কী অবস্থা? কিছু বলবে?”

কথাটুকু বলাতে প্রিয় প্রথমে ধরেই নিল মুচকি হাসিটা ভদ্রতাসূচক ছিল। কিন্তু না। হাসি থামেনি। মিটিমিটি হেসে যাচ্ছে। প্রিয়র রাগ লাগল। এদিক-ওদিক তাকিয়ে চিরকুটটা সামনে তুলে বলল,
-“এটা কী?”

ছেলেটা দেখে হেসে ফেলে বলল,
-“আমি তো একটি পেপার দেখতে পারছি। হোয়াইট কালারের চকচকা পেপার। তুমি কি অন্যকিছু দেখছ?”

প্রিয় ফুঁসে উঠল,
-“ন্যাকামি করবেন না মোটেও!”

ছেলেটা ঠোঁট টিপে হাসি চেপে রেখে বলল,
-“সিনিয়রদের সাথে এভাবে কথা বলে? র‍্যাগ দিই?”

প্রিয় ভড়কে গেল। তার খেয়ালে এলো, অবশ্যই সিনিয়রদের সাথে কড়া আওয়াজে কথা বলা ঠিক হবে না। ইতস্তত করতে করতে অন্যমনস্কভাবেই তার গলার আওয়াজ নরম হলো,
-“এটা কেন দিয়েছেন?”

চোখ তুলে ছেলেটিকে দেখল। সাদা শার্ট ইনফরমাল ওয়েতে পরা, বুকের কাছের একটি বোতাম খোলা, চুলগুলো বেশ গোছানো, স্লিভস কনুই অবধি ফোল্ডেড, হাতে কালো ওয়াচ। প্রিয়র হুট করেই সেদিনের সেই টঙের ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। কী আশ্চর্য মিল!

ছেলেটা তখনই বলল,
-“বেশ ক’দিন ধরে তোমাকে নোটিস করছি। ভালোলাগা টাইপের ফিলিংস আসছে। ফ্রেন্ডসদের সাথে বিষয়টা শেয়ার করায় কেউ কেউ সরাসরি তোমাকে প্রপোজ করতে বলে, আবার কেউ প্রেমপত্রের সাজেশন দেয়। এখন যদি আমি হুট করেই রোড-সাইড রোমিও সেজে তোমাকে প্রেমপত্র দিয়ে বসি, ব্যাপারটা কেমন দেখায় না? তবে আমার কাছে সরাসরি প্রপোজের চেয়ে একটা চিরকুটের আইডিয়াই বেশি পছন্দ হলো। সেই হিসেবে লিখতে লাগলাম। লিখতে গিয়ে দেখলাম, আমি কিছুই লিখতে পারছি না। তোমাকে ঠিক কী বলা উচিত হবে, আমি বুঝতে পারছিলাম না। তারপর মনে পড়ল, আজ তোমার এক্সাম। তাই এক্সাম কেমন হলো, জিজ্ঞেস করে নিলাম। ক্লিয়ার সবটা? আরও কিছু জানার আছে?”

ছেলেটার এমন অকপটে স্বীকারোক্তিতে প্রিয় বিচলিত হলো, সূচালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল কিয়ৎক্ষণ। না, দেখে-শুনে খারাপ মনে হচ্ছে না। কিছুটা ঠোঁটকাটা, কিছুটা এক্সেপশনাল! প্রিয়র চট করেই এই ব্যতিক্রমী ছেলেটাকে ভালো লেগে গেল। এমনিতেই সে সাদা রঙের ওপর মরে পড়ে আছে, তার ওপর ছেলেটার বাহ্যিকতা, মানসিকতা, বাচনভঙ্গি—সবই চমৎকার! প্রিয় মিষ্টি করে হেসে ফেলল।

ছেলেটা তা দেখে তার দু-হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে টান টান করে দাঁড়াল। ঠোঁটে ছোট্ট করে হাসি ঝুলিয়ে বলল,
-“আই ক্যান সি দ্যা হোল ইউনিভার্স ইন ইওর আই’স, হোয়েন ইউ স্মাইল লাইক দ্যাট!”

প্রিয় থমকে গেল। তার গাল দুটো লালচে আভা ছড়িয়ে গেল। লাজ না ঢেকে বরঞ্চ কেমন হা হয়ে ছেলেটির দিকে তাকাল। ছেলেটি প্রিয়র অভিব্যক্তিতে হো হো করে হেসে উঠল। তারপর বলল,
-“ইট’স শ্রেয়ান।”

নাহ! নামটাও খারাপ না। এটাতেও সমস্যা নেই। প্রিয় মাথা নেড়ে জিজ্ঞেস করল,
-“আমার নাম জানেন?”

ওপাশ থেকে জবাব এলো,
-“এখনও জানা হয়নি।”

প্রিয় অবাক হলো। কী আশ্চর্য! পছন্দ করে, অথচ নাম জানে না? একটু বেশিই এক্সেপশনাল নয় কি? যাক! জানে না, এখন তো আর কর্লার ধরে টেনে বলা যাবে না, ‘কেন জানিস না? এক্ষুনি নাম বলব, আর আগামী আটচল্লিশ ঘন্টা আমার নাম জপবি। বুঝসিস? বুঝিস নাই? আয়, থাপড়া দিই।’

উলটা-পালটা কত কিছুই প্রিয় ভেবে নিল। অতঃপর শ্বাস ফেলে বলল,
-“প্রিয়।”

শ্রেয়ান ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,
-“কী প্রিয়? আমি তোমার প্রিয়?”

প্রিয় হেসে উঠে বলল,
-“আমার নাম প্রিয়; ভালো নাম প্রিয়শ্রী মর্তুজা।”

-“চলো হাঁটি।”

দুজনের আরও অনেকক্ষণ কথা হলো। ফোন নাম্বার দেওয়া-নেওয়া হলো। এই ফাঁকে সদ্য ফেইল কনফার্ম এক্সামের দুঃখে দু’ঘন্টা মুখ গোমড়া করে রাখার কঠিন হতে কঠিনতম সিদ্ধান্তটাও প্রিয় ভুলে বসেছে।

______
তাদের সম্পর্কের সূত্রপাতটা হয় সেদিনই, কিংবা তার পরদিন। একদিন-দুদিন কথা বলতে বলতে, প্রিয় নিজেও বুঝল—ছেলেটা তার জন্য বড্ড সঠিক কেউ। এতটা অন্য কেউ তাকে বোঝে না। তার ধারণা, এভাবে পুরো দুনিয়ায় দ্বিতীয় কেউ তাকে বুঝবে না। তাই তো, আস্তে আস্তে শ্রেয়ানে তলিয়ে যেতে লাগে।
ওভাবে তাদের প্রপোজালটা হয়নি। তবে একে-অপরের প্রতি যত্ন, অধিকার—সবই প্রকাশ পায়। সম্পর্কের তিন মাসের মাথায় একদিন প্রিয় রেগে যায়। রাগের কারণ খুবই সূক্ষ্ম! আজ শ্রেয়ানের টাইমলাইন ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেল, একটা আউটসাইডার মেয়ে শ্রেয়ানের ডিপিতে বেশ রসিয়ে কমেন্ট করেছে,
-“লুকিং হ্যান্ডসাম!”

শ্রেয়ান সেই কমেন্টে কোনো রিয়্যাক্ট করেনি কিংবা রিপ্লাইও দেয়নি। তবুও প্রিয়র রাগ করছে। একটা মেয়ে কি এতই নির্লজ্জ? অন্যের পুরুষের দিকে নজর দিচ্ছে? ছি! সেই থেকে প্রিয়র রাগ। প্রিয় নিজেও বুঝতে পারছে না যে কতটা লেইম বিষয়ে সে রেগে আছে।
শ্রেয়ানকে যখন জানায়,
-“ওই মেয়েটা তোমার ছবিতে ওটা বলেছে, তুমি কেন চুপ ছিলে? এসব মেয়েরা তোমার লিস্টে কী করে? মেয়েদের মুখে হ্যান্ডু শুনতে খুব ভালো লাগে, না? তা আমাকেই বলতে, ২৪/৭ তোমাকে হ্যান্ডসাম বলতে বলতে মুখের ফ্যানা তুলে ফেলতাম!”

প্রিয়র জেলাসি, পজিসিভনেস দেখে শ্রেয়ান হেসে উঠল। পাগল প্রেমিকা তার। সে কমেন্ট চেক দেয় না, তাই ওসব দেখেনি। আর কত মেয়েই তো বলে! সবাইকে কি আর ধরে ধরে আনফ্রেন্ড করা যায়? এক ফাঁকে শ্রেয়ান ভেবেও নিল, সব মেয়েদেরই আনফ্রেন্ড করে দেবে। যেই বিষয়টা তার প্রিয়শ্রীকে বিরক্ত করে, সেই বিষয়টার কোনো অস্তিত্বই সে রাখবে না। শখের বড্ড আদুরে প্রেমিকা তার।
তবুও প্রিয়কে জ্বালাতেই না-কি কী যেন ভেবে বলে বসল,
-“আর ইউ জ্যেলাস, কিউটিপাই?”

একে তো হেসেছে, তার ওপর মজা নিচ্ছে? প্রিয়র গায়ে সইল না। ত্বরিতে কল কেটে একটা ম্যাসেজ সেন্ড করল,
-“আগামী বাহাত্তর ঘন্টা আমাদের ব্রেকাপ আওয়ার চলবে। এই বাহাত্তর ঘন্টা যেই মেয়েকে ইচ্ছা করে, সেই মেয়েকে সামনে বসিয়ে নিজেকে হ্যান্ডু বলাও। পারলে কোলে বসিয়ে শুনো। আমাকে জ্বালাবে না। গুড বাই!”

প্রিয় ফোন সুইচ অফ করে দেয়। ভীষণ রকমের রাগ নিয়ে রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। মাঝরাতে যখন ঘুম ভাঙে, তখন ফ্লোরে বেশ কিছু পাথরে পেচানো কাগজ দেখতে পেল। সে একটা তুলে নিল। তাতে লেখা,
-“আর রেগে থেকো না, লক্ষ্মীটি!”

আশ্চর্য ভঙ্গিমায় আরেকটা তুলল। সেখানে লেখা,
-“আরে বাবা, আমি মজা করেছিলাম তো। মজাও বোঝে না পাগলিটা!”

প্রিয়র আশ্চর্যের মাত্রা তুঙ্গে। সে আরেকটা কাগজ তুলল,
-“কাম ফাস্ট, সোনা। প্রচুর মশা এদিকে!”

আরও প্রায় ২০-২৫টার মতো এরকম কাগজ পেল। প্রিয় আর ওগুলো না দেখে ত্বরিতে জানালার ধারে গেল। রোডের পাশের দোতলা বাড়িটাই প্রিয়দের। প্রিয়র রুমটা দোতলায়। শ্রেয়ানের জন্য প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে প্রিয়র রুমের এই জানালাটা রাস্তামুখো।

প্রিয় দেখতে পেল, রাস্তার অপজিটের ফুটপাথে হাত পা ছড়িয়ে শ্রেয়ান বসে আছে। দৃষ্টি এদিকেই। প্রিয়কে দেখতে পেয়েই সে উঠে দাঁড়াল। কিছু বলতে গিয়েও আশপাশটা দেখে চুপ হয়ে গেল। পকেট থেকে মিনি সাইজের নোটপ্যাড আর পেনটা বের করে কিছু একটা লিখে একই ভঙ্গিমায় আবার জানালা ভেদ করে পাঠাল।

প্রিয় সেটা তুলে খুলল। সেখানে লেখা,
-“ফোন অন করো, প্রিয়শ্রী!”

প্রিয় ফোন অন করতেই শ্রেয়ানের কল এলো। সে ফোনটা হাতে তুলে জানালার ধারে গিয়ে দাঁড়াল। কল রিসিভ করে শ্রেয়ানকে ঝাড়তে লাগল,
-“এটা কোন ধরনের পাগলামো, শ্রেয়ান?”

শ্রেয়ান মুখ ছোটো করে বলল,
-“তুমি রাগ দেখালে আমার ভালো লাগে, কিন্তু রেগে কথা বলা বন্ধ করলে অশান্তি অশান্তি লাগে। আমি ঘুমোতে পারছিলাম না। ট্রাস্ট মি, দম বন্ধ হয়ে আসছিল। কী এক বাজে ফিলিংস! তারপর ভাবলাম, বাসা খুব একটা দূরে তো না। বাইক টান দিয়ে চলে এলাম। কিন্তু তুমি উঠছিলেই না! ঘুমিয়ে পড়েছিলে, সোনা?”

প্রিয় কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
-“কতক্ষণ ধরে এসেছ?”

কথাটা বলে প্রিয় দেয়াল ঘড়ির দিকে দেখল। এখন বাজে সাড়ে তিনটা। শ্রেয়ান বলল,
-“দেড়টায় এসেছি। নিচে আসতে পারবে?”

বারোটার দিকে বাড়ির সব দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। আর চাবি থাকে প্রিয়র বাবার কাছে। কোনোভাবেই বের হওয়া সম্ভব নয়। বের হতে না পারায় প্রিয়র নিজেরই খারাপ লাগছে। সে কোনোভাবে বলল,
-“সম্ভব নয়।”

শ্রেয়ান মিষ্টি হেসে বলল,
-“সমস্যা নেই। তুমি কি এখনও রেগে আছ? আচ্ছা বলো, কীভাবে রাগ ভাঙানো যায়! কান ধরব? ওঠবস করব? মানসম্মানের ব্যাপার, প্রিয়! কেউ দেখে ফেললে কাল ফেবুতে ব্রেকিং নিউজ হয়ে যাবে। সবার ওয়ালে ওয়ালে তোমার শ্রেয়ানের কানে ধরা ছবি থাকবে। কত মেয়ে কী যে বলবে! আরও বিশ্রী ব্যাপার হয়ে যাবে। অন্য কিছু করা যায়?”

প্রিয় কেঁদেই দিলো এবার। শ্রেয়ান অস্থির হয়ে উঠল,
-“আরে বাবা, কাঁদছ কেন? ওদের সবাইকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছি। আর কখনই কোনো মেয়ে ঘটিত অভিযোগ তোমায় করতে দেবো না, ট্রাস্ট মি!”

প্রিয় আহ্লাদে কান্না করছে, তা কি শ্রেয়ান বুঝতে পারছে না? অবুঝ শ্রেয়ান! কাঁদতে কাঁদতে প্রিয় বলল,
-“আর রাগ নেই। তুমি বাড়ি যাও। কী কষ্ট হচ্ছে তোমার! অ-নে-ক রাত হয়েছে, বাড়ি গিয়ে ঘুমাও!”

শ্রেয়ান বরাবরের মতোই তার চমৎকার হাসিটা দিলো। প্রিয় বুঝল, এবার নিশ্চয়ই কোনো আবদার করবে! ৩ মাসে তারা একে-অপরকে এতটাই চিনে গেছে যে আসলেই শ্রেয়ান এখন প্রিয়র ভাবনামাফিক আবদার করে বসল,
-“আরেকটু থাকি, সোনা? একটা চেয়ার টেনে জানালার সামনে বসবে? আমি এখানে বসে থাকি। বসে বসে কথা বলি।”

প্রিয় না করতে যাওয়ার আগেই শ্রেয়ান আবার বলে উঠল,
-“আজ চাঁদের আলোয় তোমাকে দেখার বড়ো লোভ জেগেছে, প্রিয়শ্রী! আকাশকে জানাতে ইচ্ছে করছে, ওর চাঁদের চেয়েও আমার বুকের চাঁদটা বেশি সুন্দর।”

প্রিয় কেঁপে ওঠে তখন।

_______
ম্যাসেজের বদৌলতে ডিসপ্লে লাইট অন হওয়ায় প্রিয় ভাবনা থেকে বেরোল। সে এখনও প্রাক্তনের ইনবক্সে, আর ওপাশ থেকে ম্যাসেজ এসেছে,
-“এখনও অনলাইন? বাপ্রেহ! নতুন করে কেমন মানুষের হাতে হাত রাখলেন যে রাতে ঘুমোতেই দেয় না? মানলাম, আপনি মেয়েটাই ওমন। একটু বেশিই বোল্ড! তাই বলে সারারাত?”

রাগে-ঘেন্নায়-লজ্জায় প্রিয়র মুখ লাল হয়ে এলো। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য চোখ বুজে ফেলল। ফোনটা পাশে সরিয়ে রাখল। কী আশ্চর্য জীবন তার! কী থেকে কী হয়ে গেল…

চলবে?