শুধু তোমারই জন্য পর্ব-০৭

0
391

শুধু তোমারই জন্য-৭

নীলি তুমি একা এসেছ? –আবির জিজ্ঞেস করলো।
-তো কাকে নিয়ে আসব! আশ্চর্য তো!
-এতদূর একা চলে এলে?
-বেশি দূর না তো।
-ফোন করে পাওনি বলে?
-হু, টেনশন হচ্ছিল।
-তোমার ক্লাশ নেই? আবির খেয়াল করলো, নীলি মেঝেতে বসে আছে, তাই বলল, তুমি মেঝেতে বসে আছ কেন?
-ক্লাশ নেই, রুটিন হবে, সামনের সপ্তাহে এক্সাম।
-রুটিন আনতে গেলে না?
-গ্রুপে পেয়ে যাবো।
-নীলি তুমি কি খেয়াল করেছ, বিয়ের পরে তুমি অমনোযোগী হয়ে গেছ?
-অমনোযোগী কই হলাম!
-তোমার মায়ের চিন্তা তাহলে অমূলক নয়, বলো?
আর তোমার আসা ঠিক হয়নি, আমার বাসায় তুমি বউ সেজে আসবে! হুট করে চলে এলে কেন?

নীলির ভীষন রাগ হলো, এত দূরে এত কষ্ট করে এসে এই কথা শুনতে হলো, ঠোঁট ফুলিয়ে ফেললো। আবিরের মাও অপ্রস্তুত হয়েছে, অবশ্যই ওর আসাটা ঠিক হয়নি।
নীলি উঠে দাঁড়ালো, আবির ঠিক আছে, ও এখন চলে যাবে। একটা বাজছে, পৌছাতে পৌছাতে তিনটা।
সমস্যা নেই।
-উঠলে কেন?
-আমি যাই এখন!
-কোথায় যাবে?
-ধানমণ্ডি!
-এসেই তো পড়েছো, এখন বসো যেতে হবে না।
নীলির ব্যাগটা মেঝেতে পড়ে ছিলো,ও তুলে নিলো।
রাগে কষ্টে চোখে পানি চলে আসছে, কোন ভাবেই আসা ঠিক হয়নি। কাউকে বলেও বোঝানো যাবে না কত অস্থির লাগছিলো। আবির নীলির দিকে তাকিয়ে দেখলো নীলির চোখ ছলছল করছে।
আবিরের খুব মজা লাগছে, এত সহজে রাগিয়ে দেওয়া যায়! অথচ নীলিকে দেখে খুব ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে, শরীর অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে। হালকা লাগছে।
-এসেই তো পড়েছো নীলি, এখন দুপুরবেলায় চলে যাবে, পরে যাও!
নীলির ইচ্ছে করছে এক দৌড়ে বের হয়ে যেতে। আবির উঠে দাঁড়ালো, খুব ভালো হবে নীলিকে এখন জাপটে ধরলে, কিন্তু দরজাটা খোলা তাই এখন এসব কিছুই করা যাবে না! এই প্রথম আবিরের মনে হলো, নীলির সাথে ছোট্ট একটা সংসার হলে খারাপ হয় না।কথায় কথায় ওকে রাগিয়ে দেওয়া যাবে। খুব রেগে গেলে আদরে ভাসিয়ে রাগ ভাঙানো যাবে। আবির কিছুই বললো না আর।
আর একটু রেগে থাক।
-তুমি বসো নীলি, আমি আসছি!
আবির নীলিকে রুমে রেখে বের হলো।মা ডাইনিং এ চিন্তিত মুখে বসে আছেন।আবিরকে দেখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
আবির একটু হাসলো।
মা বললেন, ওর বাসা থেকে ডিভোর্সের কাগজ রেডি করছে, আর ও এখানে চলে এলো!
-নীলি কিছুই জানে না মা, ও জানে পরীক্ষার পরে প্রোগ্রাম হবে! ওকে এখনো কিছু বলেনি।
-তোর সাথে নীলির একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের বাইরে আলাদা কিছু বুঝতে পারছিস?
আবির হাসলো। এখন ও যদি পরিবারের কথা মেনে নেয়, তখন তোর খারাপ লাগবে না? এতোটা জড়িয়ে গেলি, এটুকু সময়ে, সব মিলিয়ে তো মাসখানেকও হয়নি!
-আমি ইচ্ছে করে জড়াইনি মা, জড়ানোর ছিলোই! এটাই হবার ছিলো হয়তো।
-নীলির বয়স কম, খুব স্বাভাবিক তোর কাছাকাছি এলে তোকে পছন্দ করে ফেলা। কিন্তু আরো একটা বিষয় স্বাভাবিক। মায়ের কাছে গেলে মা যা বোঝাবেন, সেটা মেনে নেওয়া। একটা বড় বিপর্যয় হয়ে যাবে আবির।
তুই সামলে নিলেও মেয়েটা সামলাতে পারবে না।
কেমন পরিবার মেয়েকে জিজ্ঞেস না করেই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে!
-অনেক পরিবার আছে এমন মা। নীলিকে বড়ই মনে করছে না। তুমি যেমন আমাদের বন্ধুর মতো, তেমন সবাই হতে পারে না!
-আবির একটা সহজ উপায় আছে, নীলি যদি কনসিভ করে ফেলে, তাহলে ওর পরিবারের কোন উপায় থাকবে না কিন্তু!
আবির হা হা করে জোরে হেসে ফেললো। নীলি রুম থেকে শুনতে পেলো, এতক্ষণ তো কম্বল মুড়ি দিয়ে ছিলো, এত জোরে হাসির কি হলো!
–তুমি এমন ভাবে কথা বলছো মা, একদম ইমম্যাচিউরড শোনাচ্ছে। আর নীলির সাথে তো আমার বিয়ে হয়েই গেছে।তারা যতো সহজ ভাবছে, বিষয়টা এতো সহজ না। আমি সই না করলে, না ছাড়লে কিছু করতে পারবে না। অভিযোগও করতে পারবে না। তবে আমি তো জোর করে কিছু করবো না। নীলি নিজের ইচ্ছেতে যদি যেতেই চায় কখনো, আমি আটকাবো না।
-যদি প্রভাবিত হয়ে কিছু করে?
তারপর ধর নিজের ক্ষতি করে ফেললো কিছু! তখন?
-নীলি কিছুই করবে না মা, ও কোথাও যাবে না।
-এখন কি করছে?
-ঝাড়ি দিয়েছি, একা একা এতদূরে চলে এলো, গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
-ঝাড়ি দিতে গেলি কেন! প্রথমবার এসেছে, হয়ত তোকে ফোনে পায়নি বলে চিন্তা হচ্ছিলো।
-এমনিই দিয়েছি! রেগে গাল টুকটুকে লাল, দেখে এসো! আমি একটু গা মুছবো, জ্বর ছাড়ছে।
নীলিকে দেখে আবিরের জ্বর ছাড়ছে, সম্পর্কটা কোথায় পৌছে গেছে, খুব বুঝতে পারছেন আবিরের মা। পৃথিবীর কোন কিছুই সহজ ভাবে হয়না।
নয়তো কোথায় আনন্দ করবেন এটা নিয়ে, তা না, চিন্তায় অস্থির লাগছে!
নীলি কিছুক্ষণ বসে রইলো, এখানে আসাটা কি বোকামী হয়েছে! বিছানার পাশের টেবিলে আর্ট পেপারটা দেখে কৌতুহলঃবশত হাতে নিলো। একটা মমি হয়ে যাওয়া ফুল, কি ফুল, শাপলা না? আচ্ছা ওইদিন ফুলটা কোথায় যেন রাখলো, গাড়িতে নিয়ে উঠেছিল? হু, তারপর, ফেলে দিয়েছে কোথাও! আবির টাওয়েল নিয়ে আসছে, নীলি জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করতে পারলো না।
রাগ লাগছে আবিরকে দেখে।
– নীলি ওয়াশরুমে আসো তো! গা মুছবো।
কি আশ্চর্য, কিভাবে অর্ডার করছে দেখো! আমি যাবো না! নীলি শক্ত হয়ে বসে রইলো!
-বসে থাকলে চলবে? আসো, নার্সিং করতে এতদূরে চলে এসেছো না? আসো, একটু হেল্প করো!
উফ অসহ্য! অসহ্য! এ কদিন এমন ছিল না, আজ কি নিজের বাসায় পেয়ে যা ইচ্ছে বলছে! আবির দরজা ভিজিয়ে দিয়ে এসে নীলিকে গভীরভাবে চুমু খেলো!
নীলি বাঁধা দিতে পারলো না। আবিরকে বাঁধা দেওয়া যায় না।
-কি আশ্চর্য, এত মিষ্টি কেন নীলি! তুমি কি চিনি খেয়েছো!
নীলি বললো, আমি খাইনি, আন্টি চিনি খাইয়েছেন!
আবির আবার হো হো করে হেসে ফেলল। নীলি জিজ্ঞেস করলো, এটা কি ফুল?
আবির বললো, এটা নীলিবুড়ি তুলে এনেছিল, তারপর ভুলে ফেলে গেছে, আমি যত্ন করে রেখে দিলাম।
নীলির সব রাগ জল হয়ে গেলো। এত খুশি লাগছে এখন , মরে যেতে ইচ্ছে করছে।
২১
ফ্রেশ হয়ে আবিরের পুরোপুরি ঝরঝরে লাগছে। নীলি মাথায় পানি দিয়ে দিয়েছে। টাওয়েল ভিজিয়ে গা মুছে দিয়েছে। আবির নীলিকে অনাবৃত শরীরে কাছে টেনেছে, আবিরের শরীরের উত্তাপে নিরাবরণ নীলি কেঁপে উঠেছে।
এসব খুনসুটিতে মনটাও ফুড়ফুড়ে হয়ে গেছে।
নীলির রাগ কমেছে, আবিরের রুমের চারপাশ কৌতুহলী চোখে দেখছে। আবির জিজ্ঞেস করলো, তোমার পরীক্ষা শেষ হতে কতদিন লাগবে?
নীলি জানালো দু সপ্তাহ!
আবিরের মনটা একটু ভারী হয়ে গেলো, সত্যি যদি নীলি চলে যায়, তখন কি হবে!
আবির বলল, নীলি তারপরে বেড়াতে যাবে কোথাও?
নীলি ঘাড় নাড়লো, সে যাবে।
-উমম, কক্সবাজার তো আমার সাথে যাবে না, বন্ধুদের সাথে যাবে?
-আপনি ভীষণ ইয়ে, মানে কি যে বলি!
-বলে ফেলো কিছু একটা!
-আচ্ছা তোমার বন্ধুদের একদিন ডাকো, সবাইকে ট্রিট দিবে না, বিয়ে করে ফেললে!
-বলিনি তো কাউকে!
-ইনভাইট করো, তারপর বলো! ধানমন্ডির দিকেই বসি কোথাও?
– ঠিক আছে!
-নীলি একটা বিষয় জানো, তুমি অনেকক্ষণ আমার আশেপাশে থেকে যখন চলে যাচ্ছো, তখনই আমার ফাঁকা ফাঁকা লাগছে!
নীলি অন্যদিকে তাকলো। আবির তো বলে ফেললো!
রিসোর্ট থেকে ফেরার পরে, নীলিরও খুব বেশি ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
-নীলি তোমার পরীক্ষার পরে কদিন ছুটি পাবে আমাকে জানিও তো! সেভাবে কক্সবাজারের রিসোর্ট বুক করবো!
নীলির ভীষণ ইচ্ছে করছে, আবিরের সাথে এখনি চলে যায়, রিসোর্টের দুটো দিনের মতো সারাক্ষণ আবিরের আশেপাশেই থাকে। কিন্তু আবির এত ব্যস্ত।
“ভাইয়া, ভাইয়া” ডাকতে ডাকতে মিতুল ঢুকলো!
মিতুলকে দেখে নীলি উঠে দাঁড়ালো, মিতুল নীলিকে জড়িয়ে ধরলো। তোমার সাথে তো কথাই হয়নি আমার, আমি কিন্তু তোমার ননদ, কিন্তু তুমি আমার থেকে ছোট।
তাই আমাকে কি ডাকবে বলোতো! নীলি অযথাই লজ্জা পেলো, সে আবিরের থেকে ছোট এটা আবিরের কাছে থাকার সময় মনে হয় না। আবির অনেক গল্প করে!
মিতুল আবিরের চাইতে ছোট! কিন্তু নীলির মিতুলকে অনেক বড় মনে হচ্ছে।
মিতুল শ্যামলা কিন্তু স্মার্ট। সুন্দর জামা পরে আছে একটা, আবিরের মতোই!
-ভাবী তুমি তো অনেক পিচ্চি, আসো তোমাকে একটু বড় সাজাই!
আবিরের কাছ থেকে যেতে ইচ্ছে করছিলো না, তাও যেতে হলো নীলিকে।
মিতুল একটা শাড়ি পড়িয়ে দিলো নীলিকে, নীলির জন্যই মা কিনেছিলো, আকাশি নীল ধরণের।
একটু সাজিয়েও দিলো।
তারপর মাকে দেখিয়ে আনলো রান্নাঘর থেকে।
আবিরের মা মনে মনে চিন্তা করলেন, একটা বিয়ের জন্য কত পাত্রী দেখা হয়, কিন্তু আল্লাহ যাকে ঘরে পাঠাবেন, সেটা তো ঠিক করে রাখা থাকে।
আবিরের রুমের সামনে গিয়ে মিতুল বললো, আমার ধারণা ভাইয়ার জন্য চমক অপেক্ষা করছে। তুমি যাও, আমি ঢুকবো না।
নীলিকে ঢুকিয়ে মিতুল দরজা টেনে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। আবির ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিল মেইল চেক করতে। নীলিকে পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চোখ তুলে নীলিকে দেখে আবির ভাষাহীন হয়ে গেলো। সত্যি সত্যি পুতুল বৌ সেজে এসেছে! এ কদিনে একবারও এত সাজেনি নীলি।
মিতুল খুব একটা সাজায়ওনি, শাড়ির সাথে হালকা অনুসঙ্গে নীলিকে পরীর মতো লাগছিলো, না আবির তো পরী দেখেনি! পরী নীলির চাইতে সুন্দর হতেই পারেনা!
-নীলিবুড়ি, তুমি তো এবার সত্যিই বড় হয়ে গেলে!
আয়না দেখেছো?
নীলির খুব লজ্জা লাগছে! সে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখতে পারছে না আবিরকে। আবির নীলিকে নিয়ে বারান্দায় এলো! বারান্দায় আগা মাথা গ্রীল লাগানো, অনেক দূরে চোখ চলে যায়।
আবির বললো, এই বারান্দা থেকে বৃষ্টি দেখতে ভালো লাগে!
-আপনি বৃষ্টি দেখার সময় পান!
-আসলেই পাই না, তবে তোমার সাথে নিশ্চয়ই দেখবো!
নীলি পরীক্ষার পরে বাড়িতে কবে যেতে চাও?
-বাড়িতে যাবো না। প্রোগ্রামের সময় যেতে হবে তো! আমি একবারে শপিং শেষ করে তারপরে যাবো!
-তোমাকে প্রোগ্রামের বিষয়ে কিছু বলেছে?
-না!–আসলেই এখনো কেন বলছে না কে জানে, সময় তো খুব কম পাবে! মায়ের সাথে কথা বলতে হবে, নীলির কিছু বান্ধবী আর বন্ধুও তো যাবে।
-আচ্ছা প্রোগ্রাম কি ওখানে আপনার নানাবাড়িতে করতে চান?
আবির বলল , আমি গিয়ে তোমাকে নিয়ে চলে আসবো ঢাকায়, এখানে প্রোগ্রাম করবো!
-আন্টি মিতুল আপুরা যাবেনা!
-না মনে হয়!
-ওহ আচ্ছা! আমি ভেবেছি ওখানেও বিয়ের প্রোগ্রাম হবে। আমাদের আত্মীয় স্বজন তো সব ওইদিকে!
-হুম, তোমাকে যে ওষুধগুলো দিয়েছে খাচ্ছো তো?
নীলি ডাক্তারের কথা মনে হতেই লজ্জা পেয়ে গেলো, উফ, কতভাবে লজ্জা পেতে হচ্ছে!
-নীলি আজ থাকবে আমার কাছে?
-এখানে?
-না, সেদিন যেখানে ছিলাম, ওখানে?
নীলি ঘাড় নাড়লো! আবিরের সাথে থাকবে, দুবার ভাবার দরকার নেই ।
-আচ্ছা চলো, লাঞ্চের পরে বের হই! একটু ঘোরাঘুরি করি।
-আজ বের হবো না, আপনার শরীর ভালো না। বাসায় থাকুন, এখান থেকে একবারে ওখানে চলে যাবো।
আবিরের এইটুকু খেয়াল রাখাই খুব ভালো লাগলো নীলিকে নিয়ে ঘরে চলে এলো আবির। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আবির খেয়া করলো, নীলির চুলগুলো বাঁধা।
আবির নীলিকে দাঁড় করিয়ে চুলটা খুলে দিলো। নিজেই চিরুনী দিয়ে আঁচড়ে একপাশে নিয়ে এলো। টিপটা খুলে রেখে দিলো, কানের দুলটাও খুলে রেখে দিলো,
নীলি আবার অনেক কিছু ভাবতে শুরু করেছিলো, ভেতরে একটা শিরশিরে অনুভূতি তৈরি হলো।
আবিরের রক্তপ্রবাহ সচল হয়ে উঠছে, নিজের হৃদপিণ্ডের শব্দ সে নিজেই শুনতে পাচ্ছে। সে আলতো করে নীলির চুল সরিয়ে তার ঘাড়ে, চিবুকে চুমু খেলো। নীলি আবিরের স্পর্শ পেয়ে শ্বাস বন্ধ করে রাখলো। আবির নীলির হাত খুঁজে বের করে আঙুলে আঙুল জড়িয়ে কানের কাছে মুখ রেখে বললো, নীলি এবারে ঠিক আছে, দেখো!
তুমি এমনিতেই অনেক মিষ্টি, এগুলো বাড়তি তোমার জন্য!
নীলি আয়না দেখলো চোখ তুলে। ওর মনে হলো অলংকার ছাড়া শাড়িতে মেয়েদের কতোটা আকর্ষণীয় লাগতে পারে, এটা কি আবিরের মত সব পুরুষ জানে?

চলবে

শানজানা আলম