শ্যামারণ্য পর্ব-০৬

0
335

#শ্যামারণ্য
#পর্বঃ০৬
লেখনীতেঃ #ফাহমিদা_মেহেজাবীন

দু চামচ সাদা ভাত ডাল দিয়ে মেখে খেয়ে নেয় শ্যামা। এতোক্ষণ বুঝতে পারেনি,কিন্তু খাওয়া শুরু করার পর বুঝতে পারে আসলেই তার অনেক ক্ষিধে লেগেছিলো।
দুশ্চিন্তার কারণে বুঝে উঠতে পারেনি।
হাত মুছে সামশের কে বললো তার খাওয়া হয়ে গেছে।

“আসুন আমি আপনাকে আপনার কক্ষ দেখিয়ে দিচ্ছি,
আপনার থাকার কক্ষ আমি পরিপাটি করে রেখেছি।”

“না চাচা,আমাকে সবার আগে আপনার মনিবের কাছে নিয়ে চলুন,আমি তার সাথে কথা বলতে চাই আগে।”

সামশের ইতস্তত কন্ঠে জবাব দেয়,
“বেয়াদবি মাফ করবেন ম্যাডাম,কিন্তু আমি আপনাকে আগেই বলেছি,আমার মনিবকে আপনি চোখে দেখতে পারবেন না।
আর উনাকে অযথা প্রশ্ন করা উনি পছন্দ করেন না।”

“আমি উনাকে কি প্রশ্ন করবো না করবো,
উনার কেমন লাগবে না লাগবে সেটা নাহয় আমরা কথা বলার পর বুঝে নিবো?
আর আপনার মনিব নিশ্চয়ই আমাকে এখানে দাওয়াত খেয়ে একরাত থেকে গিয়ে শান্তিমতো সকালে চলে যাওয়ার জন্য ডেকে আনেননি তাইনা?
কথা তো উনারও আছে আমার সাথে। ঠিক বললাম তো?”

সামশের নামের বুড়োটি থতমত খেয়ে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন,কিছু একটা বলার জন্য ইতস্তত করতে থাকেন।

শ্যামা একটি তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বলে উঠে,”আমাকে চোখ বন্ধ করতে হবে উনার সাথে কথা বলতে হলে তাইতো?”

চমকে উঠে বুড়োটি শ্যামার কথা শুনে,হয়তো এভাবে শ্যামা তার মনের ভাব বুঝে যাবে আশা করেননি।
সে দ্রুত মাথা নাড়িয়ে সম্মতি প্রকাশ করে।

শ্যামা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বুড়ো লোকটির দিকে,
এই বয়সে লোকটির উপর কম ঝাপটা যাচ্ছেনা।
এই যে এতো রাতেও মনিবের হুকুম পালন করতে হচ্ছে তাকে। এখন বুঝতে পারছে কেনো তার চোখের নীচে কালি পড়েছে,কেনো লোকটিকে সবসময় এতো ক্লান্ত দেখায়।
মায়া হয় শ্যামার লোকটার প্রতি,সে ঠিক করে লোকটির কাজ আর কঠিন করবেনা অন্তত কোনো পাল্টা জবাব দিয়ে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে বলে,
“আমাকে তাহলে কি কি করতে হবে এখন?”

লোকটিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়,
হয়তো ভেবেছিলো শ্যামা সন্ধ্যার মতো চোখ বন্ধের কথা শুনে রেগে যাবে।
সে দ্রুত বলতে লাগলো,
“ম্যাডাম আপনাকে তেমন কিছু করতে হবেনা। আমি আপনাকে আপনার কক্ষে নিয়ে যাবো। সেখানে টেবিলে একটা কাপড় রাখা আছে,তা দিয়ে আপনি চোখ বেধে অপেক্ষা করবেন। মনিব আপনার কক্ষেই আসবেন কথা বলতে।”

শ্যামা উপর থেকে নিজেকে স্বাভাবিক দেখালেও, মনটা ভেতরে ভেতরে খচখচ করতে থাকে তার।
সে আজ পর্যন্ত কোনো পরপুরুষের সান্নিধ্যে আসেনি। কিন্তু এখন সে সম্পূর্ণ অজানা অচেনা এক পুরুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে চলেছে তার ই বাড়িতে একটি ঘরে এবং
সেই লোকটির সামনে তাকে চোখ বাধা অবস্থায় থাকতে হবে। এমন বিদঘুটে পরিস্থিতিতে কোনোদিন পড়তে হবে জীবনেও ভাবেনি সে।

সামশের তাকে পথ দেখিয়ে দোতলার একটি কক্ষে
নিয়ে যায়। সিড়ি দিয়ে উঠে ডান দিকে দুটি দড়জা পেরোলেই তার কক্ষ। সামশের তাকে ভেতরে অপেক্ষা করতে বলে হারিয়ে যায় বাম পাশের করিডরে অন্ধকারে। সেই পাশের করিডরে কোনো আলো নেই। তাই ভালো করে ঠাহর করতে পারলো না শ্যামা সেদিকের কাঠামো।
যতদূর চোখ যায় শুধু কালিঘোলা ঘন কালো অন্ধকার সেদিকে,যেনো কাছে গেলেই গ্রাস করে ফেলবে
যেকোনো কিছুকে। সামশের সেই কালিঘোলা অন্ধকারে মিলিয়ে যাওয়ার পর শ্যামা বুক ভরে বড়ো করে একবার নিঃশ্বাস নেই,তারপর দরজা খুলে প্রবেশ করে কক্ষে।

কক্ষটি বেশ প্রশস্ত,যেমনটা কোনো জমিদার বাড়ির হওয়া উচিত ঠিক তেমনটাই। কক্ষের ঠিক মধ্যিখানে রয়েছে একটি বড়সড় কালো কাঠের খাট,
সাথে হাতের কারুকাজ করা তোশক আর বালিশ। খাটের ঠিক পাশেই রয়েছে একটি বেডসাইড টেবিল,তাতে রাখা রয়েছে পিতলের
জগ আর একটি গ্লাস। তার কয়েকহাত দূরে রয়েছে
একটি প্রশস্ত জানালা। যেখান থেকে পিছনের জঙ্গলটা
আর বাম পাশের পুকুরটা বেশ ভালোভাবে দেখা যায়।
তার বিপরীত পাশের দেওয়ালে রয়েছে মস্ত বড় এক
কালো কাঠের আলমারির,আর আলমারির সাথে লাগানো রয়েছে বড়সড় আয়না লাগানো একটি ড্রেসিং টেবিল।
সেই ড্রেসিং টেবিলের উপরেই সেই অনাকাঙ্ক্ষিত কালো কাপড়টি রাখা দেখতে পায় সে। এটি দিয়েই তার আর সেই ব্যক্তিটির মধ্যে এক সাময়িক দেওয়াল তৈরি হবে।

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার দিকে চোখ যায় শ্যামার।
তার গায়ের রঙ একেবারেই কুচকুচে কালো তা নয়,
আরেকটু হালকা হলে অনায়াসেই সে শ্যামলার কাতারে পড়ে যেতো,তার অন্তত তাই মনে হয়।
শুনেছে শ্যামলা মেয়েরা নাকি অনেক মায়াবতী হয়,অনেক পুরুষ অনায়াসেই সেই মায়ায় মুগ্ধ হয়।
আচ্ছা ওই আরেকটুর ব্যবধান সৃষ্টিকর্তা যদি পূরণ করে দিতেন তাহলে আজ কি তার জীবনটা অন্যরকম হতো?সেও কি কোনো পুরুষের চোখে মায়াবতী হয়ে যেতো?

নিজের ভাবনাগুলো শুনে নিজেই হেসে ফেলে শ্যামা।
হাসলে তার ডান গালে একটা টোল পড়ে,চোখগুলো অর্ধচন্দ্রাকার ধারণ করে,দীর্ঘ পালকের কাজল কালো প্রাণবন্ত চোখগুলো তখন যে অপার মায়া বহন করে সে কখনো খেয়াল করে দেখেনি হয়তো। খেয়াল করেছে তো সেই পুরুষটি,
সে যদি জানতে পারতো সে ইতিমধ্যেই কারো হৃদয়ে নতুন অনুভূতির প্রলয় তুলেছে,তাহলে এমন ভাবনা কখনো রাখতোনা নিজের প্রতি।

শ্যামার দীঘল কালো চুল যা সে খোপা করে রেখেছিলো
তা ছেড়ে দিলো সে,মুহুর্তেই কোমর পর্যন্ত ছেয়ে যায় চুলগুলো। সে নেহাৎ চোখ বাধতে সুবিধা হবে বলেই
করেছে তা,কিন্তু তার সেই অজ্ঞাত পুরুষটি তো তা জানেনা। সে ভেবে নিয়েছে শ্যামা তাকে ইম্পরেস করার জন্য করছে এসব। গর্বে বুক ফুলে যায় তার।
সে ভাবে নিজেকেও আয়নায় দেখে নিবে একবার,কিন্তু পরে ভাবে তার তো শ্যামাকে দেখা দেওয়া মানা।
তাই হতাশ হয়ে সেই চিন্তাটা বাদ দিতে হয় তার।

শ্যামা কালো কাপড়টি দিয়ে নিজের চোখ বন্ধ করতেই আবার এক দমকা হাওয়া তাকে ছুয়ে দিয়ে যায়।
তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে জানান দেয় ঘরে অন্য কারো আগমন ঘটেছে,সে ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত রয়েছে ঘরটিতে।
কিন্তু কখন?সে তো দড়জা খোলার আওয়াজ পায়নি,
এতো ভারী এবং পুরোনো দরজা কোনো শব্দ ছাড়া খোলা সম্ভব নয়। তাহলে কি তার মনের ভুল?

“খোলা চুলে তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগে শ্যামাবতী।
আমি আরেকটি শর্ত যোগ করতে চাই। তোমার চুল
সবসময় খোলা রাখতে হবে এই বাড়িতে,বাড়ির বাইরে
গেলে অবশ্যই বেধে যাবে। আমি চাইনা অন্য কেউ
তোমার মায়ায় মোহিত হোক,যেমনটা আমি হয়েছি। তোমার মায়ায় মুগ্ধ হওয়ার অধিকার শুধুই আমার।” একটি সুমিষ্ট পুরুষকন্ঠ বলে উঠে।

হঠাৎ তার পিছন থেকে সেই অপরিচিত কিন্তু অনেক
পরিচিত পুরুষকন্ঠটি ভেসে আসতেই সর্বাঙ্গ কেপে উঠে শ্যামার। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেয়। এই লোকটি সাধারণ কেউ নয়।
তাকে সাধারণ মানুষের গন্ডিতে ফেলে প্রশ্ন করার মানেই নেই। তার উপর সে নিশ্চিত যে প্রশ্ন করলেও তার উত্তর সে পাবেনা।
সে এখানে এসেছে এর শেষ দেখতে,দেখতে যে লোকটি কোন উদ্দেশ্য বহন করছে তার প্রতি।

শব্দের উৎসের দিকে ঘুরে তাকায় শ্যামা। সাথে সাথেই
কারো ঠান্ডা নিঃশ্বাস লাগে তার কপালে। দু কদম পিছিয়ে যায় সে ‘লোকটি তার এতো কাছে এসে দাঁড়িয়েছে?’ এটা বুঝতেই লজ্জায় গাল দুটি গরম হয়ে যায় শ্যামার।
বুকের বা পাশটায় কম্পন সৃষ্টি হয়। আমতা আমতা
করে বলে উঠে,

“আমার মিথ্যে প্রসংশা করে লাভ নেই। আপনি যদি ভাবেন এসব শুনে আমি মোমের মতো গলে যাবো,আপনার সকল প্রস্তাব মেনে নিবো,তাহলে ভুল ভাবছেন আপনি।”

মুহুর্তেই গম্ভীর হয়ে যায় সেই পুরুষকন্ঠটি,একটু রাগমিশ্রিত স্বরে বলে উঠে,
“আমি মিথ্যা বলিনা শ্যামা। মিথ্যা আমি সবচেয়ে বেশি
ঘৃ’ণা করি। যদি মিথ্যা বলেই তোমাকে পেতে হতো তাহলে এতোগুলো সত্যি কথা বলতাম না তোমাকে,যা শুনে তুমি রেগে চলে গিয়েছিলে।”

স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে শ্যামা। সেকি তাকে রাগিয়ে দিয়েছে কোনোভাবে?
“সরি আপনার খারাপ লেগে থাকলে। তবে আপনি যেভাবে প্রশংসা করলেন আমায় সেটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমার জন্ম থেকে আমাকে এটাই বলা হয়েছে যে
আমি অ’সুন্দর,কারো কারো ভাষায় কু’ৎসিত। কোনো পুরুষ মানুষ আমাকে তার কোনো প্রতি’বন্ধক’তা বা স্বার্থ না থাকলে গ্রহণ করতেও রাজি নয়। তাহলে আমার কি আপনার কথাগুলো মিথ্যে প্রসংশা ভাবা খুব বেশি অন্যায় হয়েছে?”

একটি দীর্ঘশ্বাস ভেসে আসে সামনের মানুষটির পক্ষ থেকে,হয়তো নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
নিজের রাগ সংযত করার চেষ্টা করছেন।
“দুঃখিত,আমার এভাবে রেগে যাওয়া উচিত হয়নি।
আসলে মিথ্যা,ধোঁ’কা,ছল-চাতুরী এসব আমি প্রচন্ড ঘৃ’ণা করি। আমি সবসময় সত্যকেই বেছে নেওয়ার পণ করেছি। তাইতো আমার শর্তগুলো যতই অদ্ভুত হোক,আমি আগে ভাগেই আমার সত্যটা তোমাকে জানিয়ে দিয়েছি। আমি কোনো মিথ্যা সম্পর্ক চাইনা শ্যামা। তাই এর পরেরবার
থেকে কখনো এটা ভেবে ভুল করবেনা যে আমি
তোমাকে কোনো মিথ্যা বলেছি।”

শ্যামা লোকটির কথা যত শুনছে ততোই মুগ্ধ হচ্ছে।
আসলেই তো,লোকটি যদি তাকে মিথ্যা বলে তার করে
নিতো তাহলে কি তার কাছে ব্যাপারটা আরও সহজ
হতোনা?তিনি যদি নিতান্তই রাত কাটানোর জন্য মেয়ে
খুঁজে থাকেন তাহলে তিনি কি চাইলেই আমাকে আটকে রাখতে পারতো না?আমাকে বিয়ে করার মতো ঝামেলায় কেনো জড়াতেন নিজেকে।
তবু একটা প্রশ্ন থেকেই যায়,’তাহলে তাকে এভাবে কেনো পেতে চাইছেন তিনি?কি উদ্দেশ্য উনার?’ শেষমেষ প্রশ্নটা করেই ফেলে সে,

“আমাকে বেছে নেওয়ার কি বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে?আমি চলে গেলেও অন্য কেউ আসবে,তাদের মধ্যে কেউ হয়তো এই শর্তগুলো মেনেও নিবে। তাহলে আমাকেই কেনো আবার ডেকে আনলেন?”

“এটা তোমার ভুল ধারণা, কেউ সহজেই এই শর্তগুলো মেনে নিবেনা। হয়তো অর্থলোভে কেউ কেউ মেনে নিবে,কিন্তু পরে যে তারা শর্ত ভঙ্গ করবেনা তার নিশ্চয়তা আছে?বিষয়টা একটু ভাবলে নিজেই উপলব্ধি করতে পারবে তুমি। তবে তোমার মতো আত্মসম্মানী মেয়েকে অনায়াসে বিশ্বাস করা যায়। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। আমার বিশ্বাস,যে তুমি আর যা ই করো,কখনো আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করবেনা।”

ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে শ্যামা,”সেটা আপনি কিভাবে বলতে পারেন?এটি আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ। আপনি অপরিচিত কাউকে এভাবে বিশ্বাস করতে পারেন না?”

“তোমাকে আমাকে আগেও বলেছি,মাঝে মাঝে ক্ষণিকের পরিচয় যথেষ্ট হয় কাউকে চেনার জন্য”

“আচ্ছা ঠিক আছে মেনে নিলাম আপনার ফিলোসোফি,এটাও মেনে নিলাম আপনার আমাকে
পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমার এসবের কিছুই পছন্দ হয়নি। শুরু থেকেই হয়নি। আপনি আমাকে বিশ্বাস করলেও আমি আপনাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা।
আমি তাহলে আপনার শর্তগুলো কিভাবে মেনে নিই?
কিভাবে নিজেকে আপনার হাতে তুলে দি? ”

“আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দাও। তোমার উত্তরের মধ্যেই তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবে।”

অবাক হয়ে যায় শ্যামা,”কেমন প্রশ্ন?”

“শ্যামা তুমি কি খেয়াল করেছো?তুমি এই মুহুর্তে একটা অজানা অচেনা কুখ্যাত বাড়ির মধ্যে রয়েছো,যার ত্রী সীমানা কোনো মানুষ মাড়ায় না। তুমি সেই বাড়ির ই একটি বদ্ধ ঘরে,চোখে কালো কাপড় বেধে একজন অচেনা পুরুষের সাথে কথা বলছো। তুমি তাকে চেনোনা,জানোনা,বিশ্বাস ও করোনা।”

“আপনি কি এবার আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন?”

এবার মৃদু হাসির কম্পন শুনতে পায়,হাসতে হাসতেই জবাব দেয় সে,”নাহ,আপাতত তোমাকে ভয় দেখানোর ইচ্ছা নেই আমার। আমার প্রশ্নটা শুধু বোঝাতে চাই। এই যে তুমি এখন এইভাবে এই জায়গায় আমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো,তোমার কি ভয় হচ্ছে?তোমার কি আমাকে খারাপ লাগছে? সত্যি করে বলবে কিন্তু”

(চলবে)

(কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)