#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:০৮
—-“এগুলো পড়ে নে না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে তোর….
“হাতে একটা ব্লাক শার্ট আর একটা ব্লাক জিন্স আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে কথাটা বলে উঠল তিহান ভাইয়া’!!আর ওনার এমন কাজে আমি অবাক’!!তার সাথে শার্ট প্যান্ট দেখে তো আরো চমকে গিয়েছি’!!অবাক হয়েই বলে উঠলাম আমিঃ
—–“আমি এগুলো পরবো…
—–“না তুই পরবি না তোর পাশে যে ভূত দাঁড়িয়ে আছে সে পরবে…
“সাথে সাথে আমি ভয় পেয়ে তিহান ভাইয়া সামনে দাঁড়িয়ে বললামঃ
——“এসব কি বলছো তুমি এখানে ভূতও আছে নাকি…
——-“ভূত না পেত্নী আছে…
“আমি শুকনো ঢোক গিলে বললামঃ
——“দেখো ভাইয়া একদম মিথ্যা বলবা না ভূত পেত্নী বলে কিছু হয় না…(কাঁপা কাঁপা গলায়)
.
.
“এদিকে তিহান নাফিয়াকে ভয় পেতে দেখে মজা পাচ্ছে’!!তিহান নাফিয়াকে আর একটু ভয় দেখানোর জন্য নাফিয়ার কানে কাছে তার মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললোঃ
—–“তুই জানিস না এটা আমাদের পুরনো বাংলো,আর এসব জায়গায় ভূত পেত্নী আছে…
—–“দেখো ভাইয়া একদম ভয় দেখাবে না…
——“ভালো মতো বললাম শুনলি না তো,তাইলে তুই থাক আমি যাই..
“সাথে সাথে আমি তিহান ভাইয়ার হাত ধরে বললামঃ
——“দেখো খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তুমি আমায় এইভাবে একা ফেলে কোথায় যাবে…
——“আরে মাথা মোটা পাশের রুমে যাচ্ছি তুই এই জামাকাপড় গুলো তাড়াতাড়ি পড়ে নে না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে…
——“প্লিজ বেশি দূর যাবে না কিন্তু আমার এই একা অন্ধকার রুমে থাকতে প্রচন্ড ভয় হয় ভাইয়া…
——“আচ্ছা যাবো না তুই চেঞ্জ করে ডাক দিস আমায় আমি চলে আসবো…
——“ঠিক আছে…
“এই বলে খাট থেকে নামতেই ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলাম আমি’!!
.
“আচমকা নাফিয়ার চেঁচানো শুনে চমকে উঠলো তিহান’!!সাথে সাথে তিহান নাফিয়াকে ধরে বলে উঠলঃ
——“কি হলো…
——“আমার পা….
——“কি হয়েছে পায়ে…
“বলেই তিহান নাফিয়ার পা দেখতেই আরো ঘাবড়ে গেল কারন নাফিয়ার পায়ে কাটা জাতীয় কিছু একটা ঢুকে গেছে’!!তিহান কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বললোঃ
——“এটা কি করে হলো….
——-“আসলে তখন দৌড়াতে গিয়ে পায়ে লেগে গিয়েছিল…
——-“আচ্ছা তুই তাড়াতাড়ি চেঞ্জ কর আমি এক্ষুনি আসছি….
“বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল তিহান!’
“আর নাফিয়া কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল তিহানের দিকে পায়ে যন্ত্রণা হচ্ছে খুব’!!
_______________________
”
“কিছুক্ষন পর….
“দরজার বাহিরের দাঁড়িয়ে আছে তিহান!’হাতে তার ব্যান্ডেজ,স্যাভলন আর একটা মলম!অনেক খুঁজে এগুলো পেয়েছে তিহান’!!এই বাড়িটা হচ্ছে তিহানদের অনেক বছর পুরনো বাড়ি’!!এই ঝড় বৃষ্টি রাতে নাফিয়াকে নিয়ে কোথায় যাবে বুঝতে না পেরে তিহান নিয়ে আসে এখানে’!কারন আর যাইহোক ওই অবস্থায় তিহান নাফিয়াকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারতো না’!!তারওপর যে প্রবল বর্ষন’!!এখনো চলছে খুব মনে হয় না এতো তাড়াতাড়ি থামবে এই বৃষ্টি!’আচমকা দরজা খোলার শব্দে পিছন ঘুরে তাকালো’ তিহান’!!সামনেই তিহানের শার্ট আর প্যান্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে নাফিয়া’!!চুলগুলো একদমই অগোছানো,চোখের কাজল গেছে লেপ্টে, ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক আছে,তবে সেটাকে নাই বললেই চলে, সব মিলিয়ে নাফিয়াকে একদমই অগোছালো মনে হচ্ছে তারওপরও এই মুহুর্তে তিহানের মাঝে নাফিয়ার জন্য এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে’!!তিহান কিছুক্ষন নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিলো’!তারপর দ্রুত রুমের ভিতরে ঢুকে বলে উঠল সেঃ
——“দেখি তোর পা…
“বলেই নিচে বসে পরলো তিহান আর নাফিয়া খাটের ওপর’!!পায়ে হাত রাখতেই কেঁপে উঠল নাফিয়া’!!ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো সে…
……
“এদিকে তিহান একবার নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে আবার ওঁর পায়ের দিকে তাকালো’!!হুট করেই তিহান নাফিয়ার পায়ে থাকা কাটাটা টান দিয়ে বের করে ফেললো’!!সাথে সাথে নাফিয়া ব্যাথায় তিহানের শার্টের হাতা খামচে ধরে ফেললো’!!কাঁটাটা বের করতেই নাফিয়ার পা থেকে বেরিয়ে আসতে লাগলো রক্ত’!!তিহান তাড়াতাড়ি স্যাভলন দিয়ে জায়গায় পরিষ্কার করে দিল’!!তারপর রক্ত পরা কমতেই মলম লাগিয়ে দিয়ে সুন্দর করে ব্যান্ডেজ করে দিলো’!!তিহান যতক্ষণ কাজ করছিল নাফিয়া ততক্ষণ শক্ত করে তিহানের হাত ধরেই চোখ বন্ধ করে ছিল….
“ব্যান্ডেজ লাগানো শেষ হতেই তিহান তাকালো নাফিয়ার দিকে’!!ব্যাচারি ভয়ে এখনো চোখ বন্ধ করে আছে’!!তিহান মুচকি হেঁসে বলে উঠলঃ
—–“হয়ে গেছে এখন চোখ খুলতে পারিস তুই….
,
“আচমকা তিহান ভাইয়ার কথা শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!পায়ের দিকে তাকাতেই দেখলাম খুব সুন্দর করেই তিহান ভাইয়া আমার পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে…
“বাহিরে মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে সাথে মেঘেরও গর্জন হচ্ছে খুব,তার সাথে এই হাল্কা মোমবাতি জ্বালানো রুমে বসে আছি আমি আর তিহান ভাইয়া!আমি কখনো ভাবতেই পারি নি যে এই রকম একটা জায়গায় আমি আর তিহান ভাইয়া থাকবো!’এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ভালো হয়েছিল গুন্ডাগুলো তাড়া করেছিল’!!হর্ঠাৎই আম্মুর কথা মনে পড়ে গেল আমার’!!হতভম্ব হয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
——“ভাইয়া আমার ফোন…
—–“তোর ফোন ওই তো…(খাটের পাশে থাকা ছোট্ট টেবিলটাকে দেখিয়ে)
“লাফ মেরে টেবিলের উপর থাকা ব্যাগটা নিয়ে নিলাম আমি তারপর ফোনটা বের করে তিহান ভাইয়াকে বলে উঠলাম আমিঃ
—–“বাসায় কখন যাবো আমরা…
“এতক্ষণ পর নাফিয়ার মুখে এমন কথা শুনে কিছুটা হতাশ হয়ে বললো সেঃ
——“কাল সকালে…
——“কি…(অবাক হয়ে)
——“এত অবাক হওয়ার মতো কিছু বলি নি, দেখতে পাচ্ছিস না বাহিরে কি পরিমান বৃষ্টি হচ্ছে’!!আর এখন রাত ১টা বাজে…
“এবারের কথা শুনে আমি আরো অবাক হলাম’!!রাত ১ টা বেজে গেছে’!!আর আমি টের ও পেলাম না’!!কিছুটা চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠলাম আমিঃ
——“তাহলে এখন কি করবো আমরা….
——“কি করবো আজকে রাতে এখানে থেকে কাল সকালে বৃষ্টি কমলেই বাড়ি ফিরবো…
——“কিন্তু আম্মুকে কি বলবো এখন….
——“ফোন করে বলবি তুই আঁটকে পড়েছিস আর আমাদের বাসায় আই মিন রাত্রিদের বাড়িতে আছিস বুঝতে পারছিস….
“আমিও বেশি কিছু না ভেবে তিহান ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম!’
“প্রথম কল বাজতেই আম্মু হতভম্ব হয়ে ফোন তুলে বললোঃ
——“হ্যালো কোথায় তুই,বাড়ি আসছিস না কেন?তুই জানিস তোর জন্য কতোটা চিন্তায় আছি আমি…
——“আরে আম্মু শান্ত হও কিছু হয় নি আমার, আমি একদম ঠিক আছি,আসলে অনেক বৃষ্টি হওয়ার কারনে আমি যেতে পারি নি বাড়ি তাই আমি রাত্রিদের বাড়ি আছি তুমি চিন্তা করো না বৃষ্টি শেষ হলেই আমি চলে আসবো!’আর শোনো বাবাকে কিছু বলো না কিন্তু….
——“ঠিক আছে…
“এতক্ষণ পর যেন আম্মু জানে প্রাণ ফিরে পেল’!!এতক্ষণ উনি খুব চিন্তায় ছিল এখন নিশ্চিত আছে সে’!!ভাগ্য ভালো নাফিয়ার বাবা বাড়ি নেই না হলে…. এসব ভাবতে ভাবতে নাফিয়ার আম্মু চলে যায় তার রুমে’!!রুহান অনেক আগেই ঘুমিয়ে পরেছে তাই নাফিয়ার আম্মুও ওর পাশ দিয়ে শুয়ে পরলো’!!এতক্ষণ মেয়ের চিন্তায় ঘুমাতে পারেন নি উনি,এখন নিশ্চিতে ঘুমাবেন তিনি…..
||
—–“এখন বল এতরাতে তুই বাহিরে কি করছিলি….
“কিছুক্ষণ নীরবতা কাটিয়ে কথাটা বলে উঠল তিহান নাফিয়াকে’!!কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠল নাফিয়াঃ
——“আসলে ভাইয়া হয়েছে কি….
——“তুই কি সোজাসাপ্টা কথা বলতে পারিস না নাকি….
——“না মানে বলছি তো তুমি তো মাঝখানে কথা বলছো..
——-“হুম বল তাড়াতাড়ি….
——“আসলে আমি, মিতু আর রাত্রি তিনজন মিলে মেলায় ঘুরতে এসেছিলাম….
—–“কি, কই রাত্রি তো কিছু বলে নি আমায়…
——-“তা তো আমি জানি না…
——-“তারপর…
——-“তারপর আর কি মেলা থেকে বের হতেই দেরি গেছে আর দেরি হওয়ার কারনে কোনো রিকশাই পাচ্ছিলাম না তাই তো হাঁটতে ছিলাম তখনই ওই ছেলেগুলো….
“ভাবতেই ভয়ে শরীর কাঁপছে আমার’!!তুমি যদি ঠিক টাইমে না আসতে তাহলে হয়তো কালকেই আমার লা….
“আর কিছু বলতে পারলো না নাফিয়া তার আগেই তিহান নাফিয়ার মুখ চেপে ধরে’!!
“তিহান ভাইয়ার কাজে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!হর্ঠাৎই ভাইয়া বলে উঠলঃ
——“হইছে আর বলতে হবে না,খেয়েছিস কিছু….
“ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম আমি’!!যার অর্থ অল্প খেয়েছি….!!
——“খিদে লেগেছে….(মুখ থেকে হাত সরিয়ে)
——“একটু আকটু…
——“তুই বস আমি তোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছি….
——“না খাবার লাগবে এতরাতে কোথায় খাবার আনতে যাবে তুমি, আর আমি এখানে একা একা থাকতে পারবো না’!!
——“কিন্তু….
——“কোনো কিন্তু নয়,আর এমনিতেও মেলা বসে আমরা তিনজন অনেককিছু খেয়েছিলাম তাই তেমন খিদে নেই অল্প’!!
——-“ঠিক আছে তাহলে ঘুমিয়ে পর!’
——-“ঘুমিয়ে পরবো আর তুমি…
——-“আমি আছি তুই ঘুমা!’
——-“ঠিক আছে….
“বলেই বিছানায় শুয়ে পরলাম আমি’!!বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে খুব,জানালা ভেদ করে বাতাস আসছে আর বাতাসে নাফিয়ার সামনের চুলগুলো হাল্কা উড়ছে,তিহান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নাফিয়ার দিকে’!!আজকে একটু অন্যরকম লাগছে নাফিয়াকে…
”
“নাফিয়া শীতে কাঁপছে যেটা দেখে তিহান একটা কাঁথা নিয়ে এসে পরিয়ে দিল তাকে’!!তিহান মুচকি হেঁসে বলে উঠলঃ
——-“পাগলী একটা….
“কিছুক্ষণ পর…..
“হর্ঠাৎই তিহান সরে আসতে নিলো নাফিয়ার কাছ থেকে’!!আচমকা হাতে টান অনুভব করাতে দাঁড়িয়ে পরলো সে’!!পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখলো তিহান’!!নাফিয়া তার হাত ধরে ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করছে’!!তিহান কিছুটা অবাক হয়েই আস্তে ঝুঁকে পরলো নাফিয়ার দিকে’!!নাফিয়া কি বলছে তা শোনার জন্য’!!নাফিয়া বলছেঃ
—–“প্লিজ তিহান ভাইয়া আমায় ছেড়ে যেও না,আমার এই অন্ধকার রুমে থাকতে ভিষণ ভয় হয়!’আচ্ছা তুমি এমন কেন বলো তো আমার ভালোবাসা কেন বুঝো না তুমি,আমি কি দেখতে খুব বাজে আমায় ভালোবাসা যায় না তিহান ভাইয়া!এইরকম হাজারো বকবক করছে নাফিয়া’!!
.
“এদিকে তিহান নাফিয়ার মুখে এসব শুনে হাল্কা হাসলো’!!তারপর নাফিয়ার কাছ থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে সুন্দরমতো করে আবার নাফিয়ার গায়ে কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে আস্তে ছোট্ট একটা চুমু এঁকে দিলো ওর কপালে! তারপর বললোঃ
—–“বলবো একদিন,তোকে ভালোবাসা যায় কি যায় না….
“তারপর তিহান গিয়ে বসে পড়ে নিচে’!!মুঠো ফোনটা হাতে নিয়ে কয়েকটা পিক তুলে নেয় নাফিয়ার’!!তারপর নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকেই ঘুমিয়ে পরলো সে’!!
“দুটো মানুষই ঘুমিয়ে আছে একই রুমে’!!কেউ ভালোবাসার ছন্দে আর কেউ ভালোলাগার গন্ধে’!!!আর এই ভালোলাগা আর ভালোবাসার সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেল, এই মেঘের বর্ষন, সাথে রুমে থাকা আলোকিত মোমবাতি!’
__________________________________________
______________________
!!
“ভোরের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!হর্ঠাৎই পাশ ফিরে কিছুটা দূরে নিচে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে তিহান ভাইয়াকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে অবাক হলাম আমি’!!
—–“এর মানে কি সারারাত তিহান ভাইয়া নিচে ঘুমিয়ে ছিল নাকি….
“আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলাম আমি’!!সূর্যের আলো এসে পরছে পুরো রুমে’!!রুমটা খুব সুন্দর’!!রুম জুড়ে রয়েছে অনেক ফার্নিচার সাথে ফুলদানি!’আস্তে আস্তে পা ফেললাম আমি নিচে’!!সাথে সাথে ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলাম আমি”!”
—–“উফ,মনেই ছিল না পায়ে ব্যাথা পেয়েছি…..
“আস্তে আস্তে পা ফেলে এগিয়ে গেলাম আমি তিহান ভাইয়ার দিকে’!!পায়ে লাগছে খুব তারপরও ব্যাথাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছি আমি’!!আচমকা কি হলো আমি পা ছিলিপ কেটে ঠাস করে পড়ে গেলাম তিহান ভাইয়ার গায়ের উপর’!!ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে আমি কিছুই বুঝতে পারি নি….
——“হায় রে এখন কি করি?
।।
“এদিকে তিহান আচমকা তার ওপর কেউ এসে পড়াতে ফট করে ঘুম ভেঙে গেল তার’!!সামনেই নাফিয়াকে দেখে বলে উঠল সেঃ
——“তুই…
—–“সরি ভাইয়া আসলে পায়ে ব্যাথা তো হাঁটতে গিয়ে পড়ে যাই আর কি…
——“হাঁটতে যখন পারিস না তাহলে বিছানা থেকে নেমেছিস কেন?
——“না মানে তুমি তো ঘুম থেকে উঠছিলে না তাই আর কি তোমায় ডাকতে এসেছিলাম আর ডাকতে এসেই পড়ে গেছি আর কি?ভেবেছিলাম তো হাঁটতে পারবো কিন্তু পারি নি পড়ে গেছি সরি ভাইয়া প্লিজ বোকো না আমি ইচ্ছে করে পড়ি নি তোমার গায়ের ওপর….
——“এখন তুই কি সরবি আমার উপর থেকে নাকি এভাবেই…
——“ওহ সরি…
“বলেই তিহান ভাইয়ার উপর থেকে সরে নিচে বসে পরলাম আমি’!!হাল্কা করে মিষ্টি হেঁসে বলে উঠলাম আমিঃ
——“তোমাকে এওতো এওতো থ্যাংকু ভাইয়া আমাকে বাঁচানোর জন্য…
——“হুম হইছে আর বলতে হবে এখন চল তাড়াতাড়ি তোকে বাড়ি দিয়ে আমাকেও বাড়ি ফিরতে হবে….
——“ঠিক আছে চল…..
“আবারো উঠে দাঁড়াতেই মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলো নাফিয়ারঃ
—–“আহ্!’
“নাফিয়ার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে বললো তিহানঃ
—–“কি হলো….
—–“লাগলো তো আবার’…
—–“যেটা পারিস না সেটা করিস কেন?
—–“আরে না হাঁটলে যাবো কিভাবে?
—-সেটাও ঠিক..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!]
#TanjiL_Mim♥️