সম্পর্কের দেয়াল পর্ব-২৪

0
444

#সম্পর্কের__দেয়াল
#Writer_AnaHita_Ayat_SumaiYa
#পর্ব__২৪
লিমন হা হয়ে বসে রইল। সে কি সব সত্যি ই শুনলো নাকি মিথ্যা সেটা প্রমাণ পাওয়ার জন্য নিজের হাতে চিমটি কাটে আর ব্যথা অনুভব করলে বুঝতে পারে সব সত্যি। সে নিজের ব্যাকুল মন কে ধরে রাখতে না পেরে আবার ফোন দিলো। কয়েক সেকেন্ড পর কল রিসিভ ও হয়। কুয়িকলি বলে উঠলো,
‘তুমি কি আমার থেকে মজা নিচ্ছো?’

ওর কথা শুনে অপর পক্ষের জন প্রাণ খুলে হাসলো আর তারপর উত্তর সরূপ বললো,

‘মজা নয় সত্য। স্বপ্ন নয় বাস্তব। তুমি না ঠিক ই বলেছিলে ঐ পাভেল এখন আর আমার যোগ্য ই নয়। নিজের ভালো কে না বোঝে? তবে আমি একটু দেরি করেই বুঝেছি। আসলে এখন আর আমার ওর কোনো দরকার ই নেই। তোমার হাত ধরলে মনে হচ্ছে লস নেই বরং লাভ ই হবে! কি বলো?’

‘হাহা বুঝতে পেরেছো তাহলে। তাছাড়া পাভেল তো শুধু এক নাম নয় সঙ্গে আরো একটা খুব সুন্দর ওয়ার্ড ও রয়েছে! + দিয়ে জুড়ে দিও!’

‘কি?’

‘পঙ্গু পাভেল হাহাহা!’

দুজনার কথা শুরু টা হলো এখানে তবে শেষ টা অফিসেই হবে বলে কল কেটে দেয়।

—————————-

পাভেল রাগে দুঃখে নিজেই নিজের মধ্যে শেষ হতে থাকে। আর না পেরে তার মা কে আসতে বলে। তিনি ও ছেলের কথা শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসেন। ছেলে বউয়ের কু কীর্তি মা কে ফোনে না বলে বাড়ি তে নিয়ে এসে সরাসরি বললো। সব শুনে ‘হায় আল্লাহ’ বলে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন।

‘তুই আমাকে একটা বারের জন্য জিঙ্গেস করিস নি তোর জন্য এই মেয়ে ঠিক নাকি ঠিক না। নিজের পছন্দ মতো সব করলি শেষে দেখলি তো কি হয়েছে? তোর আগেই বুঝা উচিত ছিলো যে, যেই মেয়ে বোনের সংসার ভাঙ্গতে পারে, নিজেকে চরিত্রহীন প্রমাণ করতে পারে, মা বাবা বোন আপনজের বিশ্বাস ভাঙ্গতে পারে সে কেন তোর বিশ্বাস ভাঙ্গতে পারবে না?’

পাভেল কথার প্রতি উত্তরে কিছু বলতে যাবে তক্ষুনি লিমনের কল আসে। দাঁতে দাঁত চেপে রিসিভ করে কানের সাথে চেপে ধরলো। ও কিছু বলুক তার আগেই ওপাশ থেকে বলা শুরু করলো,

‘বলেছিলাম না মিস্টার পাভেল আমি যা চাই তা আদায় করেই‌ ছাড়ি। রিমি আমার হয়ে গিয়েছে আর তোমাকে থুহ মেরে ফেলে দিলো। বড্ড আফসোস হচ্ছে তোমার জন্য বেচারা!’

‘কি বলতে চান?’

‘নো নো আমি বলবো না আমি তো আপনাকে কিছু শোনাবো শুনুন…

রিমির কথা গুলো রেকর্ডার এ্যাপস এর সাহায্যে রেকর্ড করে পাভেল কে শুনিয়ে দেয় লিমন। আর শেষে কল কেটে দেয়। এবার মা ছেলে দুজনের মুখে খানা দেখার মতো হয়েছে।

‘আমি তো জানতাম ই ঐ মেয়ে তোর থেকে কোনো ভালো অপশন পেলেই টুকুস করে উড়াল দিয়ে চলে যাবে গেলো তো? তোকে আর দুটাকার মূল্যায়ন ও করলো না। আমি ঐ লোকটা কে আগেই সন্দেহ করেছিলাম!’

‘মা আমাকে একটু একা থাকতে দাও প্লিজ!’

রিমি যে এই ভাবে তার সাথে বেঈমানি করতে পারে ভাবতেই একরাশ ঘৃণা ধেয়ে যাচ্ছে সব। অন্য দিকে মনে আসছে একটাই কথা।

‘তুই নিজেও তো একজনের সাথে বেঈমানি করেছিস তোর সাথে কেউ বেঈমানি করবে না তা কি করে হয়? তুই ওর বোনের মন ভেঙ্গেছিস আর সে তোর! ব্যাস ইকুয়াল টু সমান সমান!’

—————————–

রিমি আগে থেকেই লিমনের কেবিনে তার জন্য অপেক্ষা করছিলো। বেচারা আজ তাড়াহুড়ো করেই অফিসে ঢুকলো। যে ব্যক্তি অপেক্ষা রত ছিলো সে এসে বসের গলা জড়িয়ে ধরে হেসে বললো,

‘এতোক্ষন অপেক্ষা করিয়ে রাখার কি মানে থাকতে পারে হুম?’

‘ওপপস সরি সো সরি!’

‘তোমার সরি তুমি খাও!’

লিমন হেসে রিমির কোমড় জড়িয়ে ধরলো। আর আদুরে গলায় বললো,

‘আর এমন হবে না গো!’

‘আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বসো আমি কফি বানিয়ে নিয়ে আসি!’

‘হু তবে এক কাপ নয় দু কাপ!’

‘ওকে’

রিমি কফি বানানোর নাম করে খুব সাবধানে তার ব্যাক পকেটে ফোনের রেকর্ডার এ্যাপস টা চালু করতে থাকে। কফি বানানো শেষ হলে। রেকর্ডার অন করে দিয়ে সে আসে। তাকে দেখে লিমন এক গাল হাসে। রিমি কে কোলে নিয়ে বসে বেশ আরামসে কফি খাচ্ছে সে। লিমন দু কাপের কফি এক লাফে ঢেলে নিজে এক চুমুক খায় তো রিমি কে খেতে দেয়। রিমি ও খায় খাওয়া শেষে রিমি আদুরে গলায় বললো,

‘কাল কি যেনো বলেছিলে তা আবার বলো তো!’

‘কি?’

‘ঐ যে কাল একটা প্রস্তাব দিয়েছিলে। আমি তো কাল নিজের বোকামির জন্য সব ধ্বংস করে দিয়েছি। আজ আবার বলো ফিল নিয়ে শুনি!’

কি বলতে চাচ্ছে অন্যজন বুঝতে পেরে এক গাল হেসে খুশি হয়ে বললো,

‘কালকের কথা বাদ। তুমি যখন বুঝতেই পেরেছো আর আমার এক রাতের পার্টনার হতে চাও না বলে জানিয়েছিলে যেহুতু তাই ঐ প্রস্তাব বাদ। তুমি আমার সারাজীবনের জন্য হয়ে যাও। আই মিন বিয়ে। তাহলে তোমার টাকা ও শোধ বোধ হয়ে যাবে আর আমি ও বেস্ট একজন বেড পার্টনার পাবো তাও প্রতিদিনের জন্য হাহা। তোমাকে দিয়ে এক দিনে তো আমার শখ ঘুঁচবে না গো সুন্দরী হাহা… ব্লা ব্লা…

‘আর তোমার বউ?’

‘বউ কিসের? ওকে আমি মানি ও গুনি ও না। ও আছে ওর মতো আর আমি আমার মত। যদি তোমার আর আমার মাঝে বাঁধা হতে আসে লাত্থি মেরে বের করে দিবো। ঘর আমার সব আমার। আমার টাকায় সব ওর বাপের না!’

লিমন তার মনের যত লোভ লালসা আকাঙ্ক্ষা ছিলো সব এক সাথে বলে ফেলায় রিমির সুবিধা ও হলো। রিমি ও তালে তাল মিলিয়ে যায়। শেষে ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে কেবিন থেকে বের হয়।

‘আমি এক্ষুনি আসছি তুমি অপেক্ষা করো একটু প্লিজ!’

‘ওকে ওকে সুন্দরী!’

রিমি ওয়াশরুমে ঢুকে রেকর্ড ভালো ভাবে তৈরি করলো। আর ঘৃণা মিশ্রিত গিলে ফেলা কফির কথা ভেবে বমি করে ফেলে। এতো অরুচি হচ্ছে যে বলার বাহিরে। নিজেকে স্বাভাবিক করে সকলের সামনে বসের মুখোশধারী সয়তানি রূপ বের করার জন্য নিজেকে তৈরি করে। তার পাশাপাশি পাভেল তাকে দুশ্চরিত্রা উপাধি দেওয়ায় সকল রাগ শরীরে কাটা দিয়ে উঠতে থাকে। ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে অফিসের সকল স্টাপ দের ডাকে রিমি। সবাই তখন এক হয়ে জিঙ্গেস করতে থাকে,

‘কি ব্যাপার রিমি আমাদের সবাই কে কেন ডাকলেন?’

‘কোনো ভালো নাকি রিমি?’

‘আরে না না মনে তো হচ্ছে সুখবর!’

রিমি মুচকি হেসে মনে মনে রেগে বললো,
‘আপনাদের জন্য সুখের নাকি দুঃখের জানিনা তবে আমার বড় আনন্দের দিন হবে এটা!’

সকলের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে লিমন চমকায় কিছু টা। রিমি সকলের উদ্দেশ্যে বললো,
‘আপনার একটু অপেক্ষা করুণ এক্ষুনি দেখতে পাবেন!’

রিমি কে লিমন দেখে দাঁড়িয়ে গিয়ে বললো,

‘কি ব্যাপার রিমি বাহিরে এতো চেঁচামেচি কিসের? মাছের বাজার বসলো নাকি!’

‘আমাদের বিয়ের খবর টা সবাইকে দিতে হবে না?’

লিমন অবাক হয়ে যায়।

‘কি ব্যাপার কিছু বলো?’

‘হ্যাঁ কিন্তু এখন-ই?’

‘বিয়ে যখন করনোই তবে আর দেরি কেন আসো আসো। সবাই অপেক্ষা করছে তো!’

লিমন কে জোড় করে নিয়ে গেলো। সবার মাঝখানে তারা দুজন। রিমি লিমন কে একটি চেয়ারে খুব সুন্দর করে বসায়। তারপর সবাই যখন জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো তখন সে বলতে থাকে,

‘এই যে এই মানুষ টাকে দেখছেন তাকে আমি আমরা সবাই জানি আর মানি বস হিসেবে। এই মানুষ টার উপর দিয়ে আবরণ টা কি সুন্দর তাই না? আর এই সুন্দর চেহারার নিচেই রয়েছে একটা কুৎসিত কালো চেহারা! না আমি ওমনি এমনি বলছি না নিজ কানেই শুনুন আপনারা!’

লিমন এসব কি শুনছে ভেবে উঠে দাঁড়ায়,
‘রিমি এসব কি বলছো তুমি?’

‘চুপ একদম চুপ। অনেক বলেছিস সবাই শুনেছে। আজ সবাই শুনবে তুই চুপ থাকবি!’

‘রিমি…

রিমি রেকর্ড চালু করে দেয়। সবাই হতবাক হয়ে তা শুনতে থাকে আর বেচারা লিমন হাবাগোবাদের মতোন হয়ে আছে। এই মুহুর্তে আসলে তার কি করা উচিত সে নিজেই তার মস্তিষ্কে ধারণ করে নিয়ে আসতে পারছে না। রেকর্ডার যখন বন্ধ হয় তখন সবাই ছিঃ ছিঃ করতে থাকে। রিমি রেগে গিয়ে বললো,

‘আমি স্বামীর অসুস্থতার জন্য টাকা ঋণ নিয়েছিলাম কিন্তু তখনো বুঝিনি তোর উদ্দেশ্য কি! আর কাল আমার আপত্তিকর ছবি তুলে আমার স্বামী কে পাঠিয়ে আমার সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেছিস। আমার ভালো থাকা কেড়ে যে নিয়েছে তাকে আমি ভালো থাকতে দেই কি করে..?’

বলেই রিমি তার পায়ের জুতো খুলে সবাই কে অবাক করে দিয়ে লিমন কে একের পর এক জুতার বাড়ি মারতে থাকে। লিমন বাঁচতেও পারছে না। রিমি রিমনের গালে জুতার আঘাত করতে করতে বললো,

‘জানোয়ার তোর এতো সুন্দর চেহারা সকলের সামনে নিয়ে আসাই উচিত ছিলো। সকল কে দেখানো উচিত ছিলো আসলে তুই কেমন! সবাই জানুক। পাঁচ মাসের প্রেগন্যান্ট বউ বাচ্চা রেখে এসব নোংরামি করার কথা ভাবিস কি করে তোকে আজকে আমি!’

লিমন রেগে গিয়ে রিমি কে বাঘের মতো থাবা দিয়ে ধরতেই অফিসের কিছু স্টাপ যারা বসের উপর আগেই থেকেই যে কোনো কারণে রেগে ছিলো তারা ও উল্টো লিমন কে মারতে থাকে। রিমি কে ছাড়িয়ে নেয়। মাত্র অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা অফিসের জুড়ে যেনো এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলো। সবার হাতে মার খেয়ে অপমানিত হয়ে লিমন বললো,

‘তোকে এর জন্য অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে। যা তোর জীবন ধ্বংস করে দেবে! জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ্!’ রেগে সে সেখান থেকে প্রস্থান করলো।

রিমি মনের খায়েশ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রওয়ানা দেয়। সকাল থেকে সব এক্টিং টা ছিলো শুধু এই লিমন কে সকলের সামনে জুতো পেটা করা এবং তার মুখোশ উন্মোচন করার জন্য। যা সে পেরেছে। সাকসেসফুল হওয়ায় খুব খুশি লাগছে। তবে এই খুশি দু মিনিটের মধ্যেই ফানুস হয়ে আকাশে উবে গেলো যখন রিমি বাড়ি তে ঢুকতে নেয় আর তার শাশুড়ি বলে,

‘তুই আর এই বাড়িতে ঢুকতে পারবি না!’

‘এসব কি বলছেন মা? আর আপনি কখন আসলেন?’

সকালের সব কিছু বললো পাভেল আর পাভেলের মা। রিমি পরে আসল সত্যি টা কি বলতে চাইলেও তারা শুনলেন না।

‘তোর জন্য আজ থেকে এই বাড়ির দরজা চিরতরে বন্ধ!’

বলে উনারা রিমির মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়। রিমি কি করবে আর ভেবে পায় না। সারা রাত বাড়ির বাহিরেই কাঁদতে কাঁদতে পার করে। পাভেল তাকে এতো অবিশ্বাস করে দেখে ভাবতেই খুব অবাক হয়ে যায় সে। আর সারারাত ভেবে ডিসাইড করে সত্যি ই পাভেল তার আর উপযুক্ত নয়। আর সকাল হতেই সে গিরগিটির মতো রঙ বদল করে ফেলে।

সকাল ১০ টা বাজতেই রিমির ফোনে কল আসে। একজন মহিলা ডাক্তার রিমি কে জানায় সে আর কোনো দিন ই মা হতে পারবে না। পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যায়। হাসপাতালে ছুটে যায় সে। অনেক্ষণ ধরে চেষ্টা করলো এই তথ্য ভুল প্রমাণিত করতে কিন্তু পারলো না। তবে এবার তার মনে হচ্ছে গতকালের করা কাজ টা ভুল।‌ সে লিমনের মতো টাকার গাছ পেয়ে ও নিজেই খুইয়েছে। কেননা আজ কাল টাকা থাকলে সব আছে। সব কিছু হারিয়ে রিমি একে বারে দিশেহারা হয়ে যায়। কি করবে আর ভেবে পায় না।

————————–

অন্যদিকে লিমন গতকাল বাড়ি পৌঁছে রাগের চোটে ভাঙচুর শুরু করে দেয়। অফিসের সকল স্টাপ দের সামনে একটা মেয়ে তাকে এতো বাজে ভাবে অপমান করবে ভাবতেও পারে না। তার রাগে যেনো পুরো বাড়ি শুদ্ধ থরথর করে কাঁপছে। লিমা ভয়ে ভীত হয়ে এক রুমে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। আর বুঝতে চেষ্টা করে লিমনের এতো রাগের কারণ কি। কেননা তার এই রাগ খুব ভয়ংকর রূপ নিয়ে নিয়েছে।

‘তোকে তো আমি কিছুতেই ছাড়বো না। আমার ভালো রুপ টাই দেখেছিস এবার দেখবি বাজে আর ভয়ংকর রূপ টা। আমাকে অপমান করে খুব আয়েশ করছিস কিন্তু আমি তোর এমন অবস্থা করবো যে তুই প্রত্যেক টা মুহুর্তে মৃত্যু কামনা করবি!’

লিমন এই কথা গুলো নিজের মধ্যে কীভাবে
নিজেই বলে প্রচন্ড জোড়ে পুরো ঘর কাঁপিয়ে সয়তানের মতো হাসলো। আর তার পর কার সাথে যেনো কথা বলে রিমির কল ট্রেস করার কথা জানিয়ে দিলো। কাল সকালে যা হবে তাতে তার থেকে বেশি খুশি আর কেউ হবে না বলে রাত্রি যাপন করে।

আর সকাল হতেই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে নিজের অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগে। লিমন ভেবেছিলো রিমি বাড়ির ভেতরে থাকবে ফলে তার কাজ কঠিন হয়ে যাবে কিন্তু না তার কাজ খুব সহজ হয়ে গেলো। কল ট্রেস করতে গিয়ে রিমি কে পাওয়া যায় রাস্তায়।

লিমন মুখ্যম সুযোগ পেয়ে নিজের প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে শুরু করে। বাইকে করে ক্রমশ তার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এগিয়ে আসতে থাকে।

এদিকে রিমি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। নিজের ভুলের জন্য বড্ড আফসোস করতে থাকলো। কাল সে রাগের মাথায় এটা না করলেও পারতো ভাবতে থাকে। তবে সে এটা ভাবে নি তার এই রাগের মাথায় করা কাজের জন্য তার জন্য প্রাপ্য কি অপেক্ষা করছে। আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে রিমি গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে থাকে। হঠাৎ তার সামনে এসে দাঁড়ায় একটা বাইক সমেদ দুজন মানুষ। আর সেখানে থাকা একজনের জ্বল জ্বল করা লাল চোখ দুটি কে দেখে মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় সে। আর ঐ মানুষ টা দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

‘এই রূপ সৌন্দর্য নিয়ে খুব গর্ব তোর তাই না?’

রিমি কিছু বলতে যাবে এর আগেই সেই মানুষটি তার মুখের দিকে ছুঁড়ে মারে বিষাক্ত কিছু। আর তার সাথে সাথেই জ্বলে পুড়ে ঝলসে যায়,

রিমির সেই সৌন্দর্য! সেই অহংকার! সেই চেহারা!

চলবে______________.!