সাত পাকে বাঁধা পর্ব-০১

0
3373

সাত_পাকে_বাঁধা
#পর্ব_০১
#অধির_রায়

একের পর এক বেল্টের ঘাঁ পড়ছে নিয়তির উপর৷ মুখ ফুটিয়ে কিছু বলতেও পারছে না৷ হাত দিয়ে প্রতিবাদ করবে তার কোন সুযোগ রাখেনি৷ হাত পা বাঁধা নিয়তির। মুখ বেঁধে রেখেছে যেন নিয়তি চিৎকার করতে না পারে৷ শপাং শপাং শব্দ হচ্ছে শুধু বেল্টের৷ নিয়তির দু চোখ কপোল (গাল) বেয়ে শুধু অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে৷

নির্বণ চৌধুরী ক্লান্ত হয়ে নিয়তিকে মারা বন্ধ করে। কিন্তু কথার আঘাত শুধু করে৷ পৃথিবীতে সব থেকে বড় অস্ত্র হলো কথা৷ যার মাধ্যমে মানুষকে সব চেয়ে নিচু করে ফেলতে পারে৷

— বল তোর রেট কত? কত টাকার বিনিময়ে তুই তোর দেহ বিক্রি করেছিস?

নিয়তি নিজের স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে ঠুকরে কেঁদে উঠে৷ বাসর রাতে স্বামীর মুখে এমন কথা কেউ শুনেছে এমন কোন কাহিনি নিয়তির জানা নেই৷ তার জীবনে এটা নতুন ইতিহাস। শুরু তার জীবনে না সারা বিশ্বে এটাই নতুন ইতিহাস। নিয়তি চোখের ইশারায় নিজের মুখের বাঁধন খোলে দিতে বলে।

— সরি তুই তো কথা বলতেই পারছিস না৷ শুধু উম উম করে যাচ্ছিস। এটা কিন্তু আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে। কেন জানিস?

— উম উম,, উমমম

— দাঁড়া খোলে দিচ্ছি।

নির্বণ নিয়তির মুখের বাঁধান সামান্য হালকা করে নিয়তির গলায় বাঁধ দিয়ে সোফার হাতলের সাথে বেঁধে রাখে।

— যদি বেশি স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করিস তাহলে আজই তোর জীবনে শেষ দিন৷

— আপনি আমাকে মেরে ফেলতে পারেন। আমি কিছু মনে করবো না৷ দয়া করে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিবেন না৷

— নির্বণ নিয়তির গাল চেপে ধরে আমি তোকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি। তার প্রমাণ এখনই হয়ে যাক।

নির্বণ নিয়তির হাতে পায়ের বাঁধন খোলে দেয়৷ নিয়তিকে জোরে টান দিয়ে দাঁড় করায়৷ বেনারসির আঁচল ধরে এমন ভাবে টানা শুধু করে পিনগুলো বাদ্য হয় ছিড়ে যেতে৷ বেনারসি খোলে ফেলে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় নির্বণ।

নিয়তি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছে৷ বাসর রাত নিয়ে মেয়েদের কত স্বপ্ন থাকে। সেখানে নির্বণ নিয়তির সাথে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না নিয়তি৷

নির্বণ নিয়তিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়৷ নিয়তির ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়৷ এখন নির্বণ নিয়তির ঠোঁট বেছে নিয়েছে।

নিয়তি এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।তার পর নিয়তির সাথে কি ঘটেছে নিয়তির কিছু মনে নেই৷

নির্বণ কেন নিয়তির সাথে এমন করছে তা একটু জেনে নেওয়া যাক,,
ফ্লাসব্রেক

নিয়তি আর নির্বণের বিয়েটা হয় পারিবারিকভাবে৷ নির্বণ নিয়তিকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলে। সেজন্য নির্বণ নিয়তিকে বিয়ে করতে রাজি হয়৷

হিন্দু সমাজে বিয়ের পর বাসর জাগা একটা বড় রেওয়াজ। বাসর জাগালে স্বামী স্ত্রীর বন্ধন দৃঢ় হয়৷ বাসর জাগার মাধ্যমে বর বউ একে অপরকে চিনার অনেকটা সুযোগ পায়৷ নিজেদের মাঝে দূরত্ব কমিয়ে নেওয়ার জন্যই বাসর জাগা হয়৷

বাসর জাগাতে অনেক অনেক কিছু বলছে৷ হুট করেই নির্বণের ফোনে ফোন আসে। কিন্তু নির্বণ ফোনটা তুলে না৷ একের পর এক ফোন দিয়েই যাচ্ছে। কোন কোন সমস্যা হতে পারে এই জন্য নির্বণ ফোন তুলে৷

— আপনি কি নির্বণ চৌধুরী বলছেন? অজানা

— ইয়া। বাট আপনি কে?

— আমাকে আপনি চিনতে পারবেন না৷ আমি আপনার কাছে কিছু ভিডিও পাটাচ্ছি যা আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবে৷

— আপনি কে? আর কিসের ভিডিও?

— ধরে নেন আমি আপনার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনার ফোনে ভিডিও গুলো সেন হয়ে গেছে।

— হ্যালো কিসের ভিডিও?

নির্বণ আর কিছু বলতে পারল না৷ তার আগেই ওই পাশ থেকে লাইন কেটে দেওয়া হয়৷ নির্বণ অনেক ট্রাই করে কিন্তু ফোন নট রিসিভার দেখায়৷

নির্বণ চিন্তায় পড়ে যায়! কি এমন ভিডিও দিল আমাকে? আমার কি ভালোর জন্য ভিডিও দিয়েছে নাকি মিথ্যা কোন কাজে ফাঁসানোর জন্য৷ যত তারাতাড়ি পারি আমাকে দেখতে হবে(মনে মনে)

নির্বণ বাসর জাগা থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে উঠে যায়।অনেকে দেখলে একটা দুইটা অজুহাত দিয়ে চলে যায়।

[ভিডিওতে যা ছিল রহস্য থেকে যাক।]

বর্তমানে..

নির্বণ নিয়তির মুখ পানে চেয়ে আছে৷ নিয়তিকে দেখতে একদম নিষ্পাপ লাগছে৷ নির্বণ নিজেই চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। নিয়তি এমন কাজ করতে পারে। ভিডিও এর কথা মস্তিষ্ক থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না৷ যতবারই মনে পড়ে তত বারই নির্বণ ভয়ংকর রুপ ধারণ করে৷

নিয়তি নির্বণকে তুলে বেলকনিতে নিয়ে যায়।নিয়তিকে বেলকনিতে রেখে নিজে রুমে চলে আসে৷ নির্বণ নিজের মনকে শান্ত করে ঘুমানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই চোখে ঘুম আসে না৷ দিনের প্রথম প্রহর শুরু হতে মাত্র কয়েক মিনিট বাকি৷ সেজন্য নির্বণ না ঘুমিয়ে স্নান করে নেও। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে৷




নির্বণ নিয়তির চোখে জল দিয়ে তাকে জাগিয়ে তুলে।

— নবাবের বেটি দিনের প্রথম প্রহর শুরু হয়ে গেছে আরও কুড়ি মিনিট আগে৷ এখনো নাক ডেকে ঘুমানো হচ্ছে।

নিয়তি চারিদিকে চোখ বুলিয়ে

— আমি এখানে কি করে আসলাম? আমি রুমে ছিলাম তো?

— তোকে আমি এখানে নিয়ে এসেছি?

— কেন? আর আমি ফ্লোরে এভাবে পড়ে আছি কেন?

— আমার রুমে কোন অসুস্থ রোগীর জায়গা নেই৷ সে জন্য তোকে এখানে রাখা হয়েছে৷ তুই রাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলি।সেটা তোর জন্য ভালোই হয়েছে৷ জ্ঞান না হারালে তোর অবস্থা এখন যেমম আছে জ্ঞান থাকলে তা আর থাকত না।

— আপনি এত পাষাণ জানা ছিল না৷ একটা মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে৷ তাকে আপনি কিভাবে এখানে ফেলে যান? মানবতা বলতে কিছুই নেই আপনার মাঝে।

— ডাফার মেয়ে তর্ক করা হচ্ছে। ১০ মিনিট সময় দিলাম ফ্রেশ হয়ে আসবি৷ আর রাতের ঘটনা ঘরের বাহিরে গেলে তোকে মেরে গঙ্গা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে আসব?

নিয়তি কিছু বলতে নিবেই তার আগে নিয়তির চোখ যায় নির্বণের অগ্নি আঁখিতে৷ নির্বণ অগ্নি দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে নিয়তির দিকে৷ নিয়তি ভয় পেয়ে চলে যায়।

নিয়তি ঝর্ণা ছেড়ে দিয়ে চোখের জল ফেলে যাচ্ছে। কিছুতেই চোখের জল বাঁধা মানছে না৷ না চাইতেও চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে৷ নিয়তি কোন মতে স্নান করে রুমে নিজেকে দেখে নিজেই কেঁদে উঠে।

তার সমস্ত গায়ে বেল্টের আঘাত।সমস্ত গা লাল রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে। নিয়তি এই অবস্থায় কিভাবে সকলের সামনে যাবে। এই অবস্থায় সকলের সামনে গেলে নিয়তিকে হাজার টা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে৷

নিয়তি নিজেকে পোশাক দ্বারা এমন ভাবে ডাকে যেন কেউ বুঝতে না পারে সে রাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছে। এমন স্বভাবের মেয়ে দেখলে পরিবারের সবাই নিয়তিকে বিশ্বাস করবে যে নিয়তির মাঝে সব সংস্কার বিদ্যমান।

নির্বণ নিয়তির এমন পোশাক দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায়।বর্তমান যুগে এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। নির্বণ নিজের পেটে কথা চেপে রাখতে পারল না৷

— এভাবে কেউ শাড়ি পড়ে।বর্তমান যুগে ঠাম্মা দীদারাও এমনভাবে শাড়ি পড়ে না৷

নিয়তি কোন কথা বলছে না শুধু শুনে যাচ্ছে আর চোখের জল ফেলে যাচ্ছে। যা দেখে নির্বণের আরও রাগ উঠে যায়৷

— কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে আমি যা বলি তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবি। কথা বলা মানুষের মৌলিক অধিকার। তুই যদি চুপ করে থাকিস তাহলে বাড়ির সবার সামনে তোর ভিডিও ভাইরাল করে দিব৷

নিয়তি এখনও চুপ করে ভাবছে কি এমন ভিডিও আছে নির্বণের কাছে৷ যার জন্য সে আমার উপর এত ক্ষেপে আছে৷ ভার্সিটি ফাংশনের ভিডিও গুলো না তো?আমি তো এমন কোন কাজ করি নাই।তাহলে কিসের ভিডিওর কথা বলছে।

— এভাবে শাড়ি পরার কারণ কি?

— নিয়তি মাথা নিচু করে আমি কিছুতেই সবার সামনে আপনার মাথা নিচু করতে পারব না।

— নির্বণ আবাক হয়ে আমার মাথা তুই নিচু করার কে?

— আমি যদি এই ভাবে শাড়ি না পড়ি তাহলে অনেকে চোখ ফাঁকি দিতে পারব না।

— এভার বুঝতে পারলাম। চোখ ফাঁকি দিয়ে তুই তোর প্রাত্তনের সাথে দেখা করতে যাবি।সরি প্রাত্তন কেন বলছি? তোর অবধ প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যাবি৷

— দেখেন আমি নারী তাই বলে কি সব অপমান সহ্য করব না? একদিন পরিস্থিতি আমার অনুকূল থাকলে সেদিন আমি আপনার কথার ঠিক জবাব দিয়ে দিব৷

— বোবার মুখে বুলি ফুটেছে। যখন অন্যের কাছে দেহ বিক্রি করিছিস তখন মনে ছিল না তুই নারী। তখন পরিস্থিতি তোকে এই বুদ্ধি দেয়নি যে পরবর্তীতে যাকে তুই বিয়ে করবি তাকে তুই কি উপহার দিবি৷ নিজের সতিত্বের ঠিক নাই৷ এখানে আসছে সতিত্ব দেখাতে৷

— আপনি যা ভাবছেন সব ভুল। আমি এমন কোন কাজ করিনি৷ যদি আপনি আমাকে ডিভোর্স দিতে চান তাহলে দিতে পারেন। তাও মিথ্যা অপবাদ দিবেন না৷ আর এভাবে শাড়ি পড়েছি কারণ আঘাতের দাগগুলো ডাকার জন্য।

— তোকে এখন ডিভোর্স দিয়ে এই রায় চৌধুরী বাড়ির মান সম্মান আমি নিলামে করব এটা ভাবতে পারলি। তোকে এত সহজে মুক্তি দিব না৷ তোর করা পাপের শাস্তি আমি তোকে দিব।

নির্বণ নিয়তিকে আরও কিছু অপমান করত। কিন্তু তার আগের তাদের রুমে কিছু লোক চলে আসে। নির্বণকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নিয়তিকে তারা নিচে নিয়ে যায়।

নির্বণ সোফায় বসে ভাবতে থাকে আমি কি কোন অন্যায় করছি৷ নিয়তি আমার মান সম্মানের কথা ভাবছে৷ আর আমি তার মান সম্মান সবার সামনে জলানজলি দিতে যাচ্ছি৷ না সে তো এখন এই বাড়ির বউ। আমি কোনদিন বউ হিসেবে মেনে নিব না। তার পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে।



নিয়তিকে সবাই মিলে নিচে নিয়ে আসে৷ সকলে নিয়তির মায়াভরা মুখটা দেখে খুবই মুগ্ধ। অনেকে বলে দিচ্ছে নিয়তি অনেক রূপবতী।

— নির্বণ কই? সে কোথায় লুকিয়ে বসে আছে (পিসি মনি)

— পিসি মনি দাদাকে আমি ডেকে আনছি।( নির্বণের বোন বেলা)

— বেলা তারাতাড়ি ডেকে আন৷ বলবি মিসি মনি খুব রেগে আছে৷ নতুন বউকে ফেলে অন্য কোথায় লুকিয়ে থাকা পিসি মনি কিছুতেই সহ্য করবে না।

— ওঁকে পিসি মনি।

বেলা নির্বণকে ডাকতে যায়। এই দিকে নির্বণের কিছু কাজিন নিয়তিকে অনেক কিছু বলে ক্ষেপাচ্ছে। যেমম ফুলসজ্জা কেমন হল।নির্বণ ফুলসজ্জায় কি দিল। নিয়তি মুখ ফুটিয়ে কিছু বলতে পারছে না৷ তারা ভেবে নিচ্ছে ফুলসজ্জা তারা জমিয়ে করেছে🙈।

বেলা নির্বণকে সাথে করে নিয়ে এনে নিয়তির সাথে বসিয়ে দেয়৷ নির্বণ বাড়ির পরিস্তিতি বুঝতে পেয়ে ভালো স্বামী হবার অভিনয় করে৷

নির্বণ পাশে বসে নিয়তির হাতে নিজের হাতটা রাখে৷ নিয়তির সমস্ত দেহে ৪০০ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে যায়।নিয়তি চোখ বন্ধ করে নির্বণের ভালোবাসা উপভোগ করে৷ যতই হোক না কেন লোভ দেখানো ভালোবাসা। তাও তো সে সবার সামনে নিয়তিকে বউ হিসেবে মেনে নিয়েছে৷

🍁
–নিয়তি তুমি এই ভাবে মুখ ঢেকে রাখছো কেন? মুখের সামন থেকে আঁচল সরিয়ে ফেল। (নির্বণের মা)

— নির্বণের মা নিয়তির আঁচল সরাতে নিলেই নির্বণ বলে উঠে মা নিয়তি আসলে একটু লাজুক। চিন্তা কর না আমাদের সাথে থাকতে থাকতে নিজেকে মানিয়ে নিবে৷ নিয়তিকে একটু সময় দাও।

— একি নির্বণ বিয়ে করতে না করতে বউয়ের খেয়াল রাখা শুরু করে দিলি৷ (পিসি মনি)

— আসলে পিসি মনি,,

— আমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি সব বুঝি। তবে এটা দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি যে নিয়তি আমাদের মনের মতো হয়েছে৷

— মা পিসি তোমরা অনুমতি দিলে নিয়তিকে এখন রুমে নিয়ে যেতে পারি৷

— অবশ্যই নিয়ে যেতে পার৷ না করছে কে? কিন্তু একটা শর্তে নিয়ে যেতে পার।(মা)

— কি শর্তে?

— নিয়তিকে কোলে করে সিঁড়ি বেয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ (মা)

— আরে বউদি এটা কেন বলছে? তুমি বল এটা আমার আদেশ নিয়তিকে তুমি কোলে করে নিয়ে যাও। (পিসি মনি)
🖤
নির্বণ সকলের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়তিকে কোলে করে নিজের রুমে নিয়ে আসে৷ নিয়তি চোখ বন্ধ করে নির্বণের ভালোবাসা উপভোগ করে।

চলবে….