সৎ মা পর্ব-৩০ এবং শেষ পর্ব

0
406

#সৎ_মা
#পর্বঃ৩০ এবং শেষ
#রুপন্তি_রাহমান (ছদ্মনাম)

শেষবার যখন চোখ খুলেছিলাম তখম সম্ভবত পোস্ট অপারেশন রুমে ছিলাম। ঘুমের জন্য চোখ খুলতে পারছিলাম না। আবছা চোখে কেউ একজনকে দেখেছিলাম। কে ছিলো ঠিক ঠাহর করতে পারিনি। তবে তার কোলে বাবু ছিলো। বাবু খুব কাঁদছিলো। আমার খুব ইচ্ছে করছিলো আমার কলিজা পাখিকে একটা বুকের সাথে মিশিয়ে নেই। কিন্তু সেই শক্তি আমার ছিলো না। ধীরে ধীরে আবার তলিয়ে গেলাম ঘুমের দেশে। এরপর যখন চোখ মেলে তাকাই আশেপাশে নজর বুলিয়ে বুঝতে পারি আমি কেবিনে আছি। হাত মুঠ করতে চাইলাম। কিন্তু আমি ব্যর্থ হলাম। বুঝলাম আমার শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি নেই। সকাল না বিকাল বুঝতে পারলাম না। মা বাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। মাথা একটু হেলাতে দেখলাম আরজা আমার বাম জড়িয়ে একটা টুলে বস ঘুমোচ্ছে। এলোমেলো চুল, শুকনো মুখ, সেই জামা গাঁয়ে। অনেক কষ্টে দূর্বল গলায় মাকে ডাকলাম। মা আমার ডাক শুনে চমকে গেলেন। তৎক্ষনাৎ বাবুকে নিয়ে আমার কাছে আসলেন। মুহূর্তেই মায়ের চোখ অশ্রুসিক্ত হতে লাগলো। বাবু কে আমার একপাশে রেখে মা দৌড়ে বাইরে গেলেন। আমি আমার দুই সন্তানকে দেখতে লাগলাম। এতোদিন পেটে হাত দিয়ে তাকে অনুভব করতাম আর আজ সে আমার কাছে। আমার প্রসব ব্যথা তুচ্ছ মনে হতে লাগলো। সেকেন্ডের মাথায় মা ফিরে এলেন। সাথে বাবা আর ইরফান। অথচ আমি খুঁজছি আরজার বাবাকে।

বাবা আমার মাথায় হাত রেখে বাচ্চাদের মতো কেঁদে দিলেন।

“তুই জানিস তোর জন্য প্রত্যেকটা মানুষের কি অবস্থা হয়েছিলো। আল্লাহর কাছে শুধু দোয়া করেছি, আল্লাহ তুমি আমাকে নিয়ে নাও।আমার মেয়েকে রেখে যাও।”

“তুই টানা ৪২ ঘন্টা পরে চোখ খুলেছিস। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিলো সব শেষ। এই বুঝি তোকে সারাজীবনের মতো হারিয়ে ফেললাম। ঠিক ঠাক মতো খাওয়া দাওয়া করলে খুব ক্ষতি হয়ে যেতো?”

ইরফানের কাঁপা কাঁপা কন্ঠ শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম আমি। প্রায় দুই দিন হতে চললো?

“কি করতাম বল, খাবার মুখের সামনে আনলেই তো নাড়িভুড়ি উল্টে আসতো। আর যখন বমি হতো তখন তো মনে হতো এই বুঝি প্রাণ পাখি উড়াল দিবে।”

“তোকে খাবার আর ঔষধ দিলে তুই বুঝি আমাদের অগোচরে সেগুলো ময়লার ঝুড়িতে ফেলতি?”

মায়ের কথায় শুকনো হাসলাম। এখন যতই বলি আমি খেয়েছি এরা বিশ্বাস করবে না। অসুস্থতা কি আর বলে কয়ে আসে? দরজায় চোখ পড়তেই বুকটা ধক করে উঠে আমার। উশকো খুসকো চুল, অনিদ্রার ফলে চোখ দু’টো লাল আর চোখের নিচে কালো দাগ, শুঁকনো চোখ মুখ, সেই দিনের গাঁয়ে জড়ানো শার্ট। উদ্ভ্রান্তের মতো লাগছে মানুষটাকে। অনুভব করলাম আঁখি পল্লব ভেজা আমার। নিষ্পলক তাকিয়ে আছি উনার দিকে। উনার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নেই আমার কাছে আসার তাড়া। কিন্তু আমি যে উনার স্পর্শ চাইছি। নিরবে চলে গেলেন উনি। চাপা আর্তনাদে আমার ভেতর দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। ছোট্ট দু’টো হাত আমার চোখের পানি মুছে দিলো।

“আম্মু তোমার কি খুব কষ্ট হচ্ছে? আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি তোমার ব্যথা চলে যাবে।”

মেয়ের কথা শুনে ক্রন্দনরত মুখে হাসি ফুটে উঠলো আমার।

“সারা হাসপাতাল মাথায় তুলেছে। তার মাকে কোথায় নিয়ে গেছে এখনো আসছে না কেন? তার আম্মুর কি হয়েছে। তার ভাই লাগবে না তার মা লাগবে।এসব বলে বলে। দুইদিনে বোধ হয় জোর করে দুই পিস পাউরুটি খেয়েছে। জেদ ধরে বসে ছিলো তুই না এলে খাবে না।”

ইরফানের কথা শুনে আরজার দিকে তাকালাম।

“তাই নাকি মা? তুমি তাহলে সবাইকে জ্বালিয়েছো?”

“ওরা তোমাকে নিয়ে গেলো আর ফিরে এলো না কেন? তাই এমন করেছি।”

মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, “খাওয়ার কি আছে মা?”

বাবুকে বুকে জড়িয়ে বললেন,

“কিছুই নেই। ইকরা আর হাবিবা রান্না করে নিয়ে আসবে।”

ইরফানকে বললাম,

“যা দোকান থেকে কিছু একটা নিয়ে আয়। আরজা খাবে।”

বাবা আর ইরফান একসাথে বেরিয়ে গেলো।

____________________________________________

আরো দুই দিন ছিলাম হাসপাতাল। কিন্তু আরজার বাবা কে এক নজর দেখিনি। লোকটা আমার সামনেই এলো না। কেবিনের বাইরে উনার মৃদু কন্ঠস্বর পেলেও দেখিনি। আমার কপালে কি আছে আল্লাহ জানে। ডিসচার্জের দিন বাবা আমাকে ও বাড়িতে নেওয়ার কথা বললে মা রাজি হয়ে যায়। তবে আরজাকে নিজের সাথে রাখবে বলে। হয়তো শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে। যখন হাসপাতাল থেকে বেরুবো ইরফান কে ডেকে বললাম,

“তোর দুলাভাই কই?”

“ভাইয়া তো ফিনানশিয়াল ঝামেলা শেষ করছে।”

“ডাক না উনাকে।”

ইরফান ফিরে এসে বললো,

“ওখানে নাকি দেরি হবে তোমাকে চলে যেতে বলেছে।”

অনেকটা অভিমানে চলে আসি।

রাত আটটা! ইকরা আর হাবিবা আমার সাথে বসে আছে। আমি বাবুকে ফিডিং করাচ্ছি। মোবাইল বেজে উঠলো আমার। আরজার বাবা কল করেছে। বাব্বাহ্ এতোক্ষণে বউয়ের জন্য ভেতর জ্বলে উঠলো? রিসিভ করে কানে ধরতেই উনি ভণিতা ছাড়াই বললেন,

“আপনার মেয়েকে সামলানো যাচ্ছে না। সে তার মায়ের কাছে যাবে বলে চিৎকার করছে।”

আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল কে’টে দিলেন। কান থেকে ফোন নামিয়ে হাবিবাকে বললাম ইরফান কে ডেকে আনতে।মিনিটের মাথায় ইরফান এলো রুমে।

“শুন আরজা নাকি খুব কান্না করছে। আরজা, আরজার বাবা, আর দাদিকে নিয়ে আসবি।আর আসতে না চাইলে ওখানে বসে আমাকে কল করবি। বাকিটা আমি বুঝে নিবো।”

ইরফান “আচ্ছা” বলে চলে গেলো। ইকরা বাবুকে আমার কোল থেকে নিয়ে বলে,

“বাব্বাহ্ মেয়ে তো দেখি মা ছাড়া কিছুই বুঝে না।”

ইকরার কথায় হাসলাম আমি। মোবাইল হাতে নিয়ে আরজার বাবাকে মেসেজ করলাম,

“ইরফান গাড়ি নিয়ে ও বাড়িতে গিয়েছে। চুপচাপ আপনি আর সবকিছু গোছগাছ করে এখানে চলে আসবেন। আমি যতদিন এখানে থাকবো আপনারাও থাকবেন। এখানে আসা নিয়ে কোনো নাটক করলে আমি ছেলে নিয়ে এই রাতের বেলা রওনা ওখানে যাওয়ার জন্য। শ্বশুর বাড়ি থাকতে বেশি লজ্জা লাগলে দরকার পড়লে ভাড়া দিয়ে থাকবেন। তারপরও আসতে হবে।”

উনারা আসবেন বলে ইকরা আর হাবিবা গেলো।রান্না করতে। ছেলেকে ফিডিং করাতে করাতে কখন যে চোখ লেগে গেলো বুঝতেই পারলাম না। হাবিবা এসে ডাকল। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দশটা ছুঁই ছুঁই।

“আপু দুলাভাই আর আন্টি মাত্র এসেছেন।”

ঘুম ঘুম কন্ঠে বললাম,

“আগে আমার মেয়েকে আমার পাঠাও।সাথে খাবার নিয়ে এসো।”

____________________________________________

আরজাকে খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর পর ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছি। ওর কান্না কিছুতেই থামছে না। এর মাঝে ইকরা এসে বললো,

“আপু রাতে কি আমি তোর সাথে থাকবো না ভাইয়া?”

“তোর ভাইয়াকে পাঠিয়ে দে।”

মহাশয় রুমে এসে কোনো টু শব্দ করলেন না। উনার দিকে তাকিয়ে আছি।

“কথা বলবেন না আমার সাথে?”

উনি এদিক ওদিক তাকিয়ে বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লেন। মেজাজ চড়া হলো আমার। মানলাম তুই আমার সাথে রাগ করে আছিস তাই বলে নিচে শুবি?

কড়া গলায় বললাম,

“আরজার আব্বু বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু। কথা বলছেন না। এখন আবার নিচে শুয়েছেন। এখন কিন্তু আমিও নিচে শুবো।”

ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালো আরজার আব্বু। খাট থেকে নামার জন্য উদ্যত হতেই উনি দৌড়ে এসে আমার বাহু চেপে ধরলেন,

“এই তোর আমাকে মানুষ মনে হয় না।এভাবে একটু একটু করে না মে’রে একেবারেই মে’রে ফেল। সেদিন মায়ের ফোন পেয়ে পাগলের মতো ছুটে এসেছি।তোমার ব্যথাতুর মুখ দেখে পাগল হওয়ার উপক্রম। তুমি শেষ মুহূর্তে বললে কি, আমি যদি বেঁচে না ফিরি আপনি কি আবার বিয়ে করবেন? মাথা কাজ করা বন্ধ দিলো আমার। বার বার মনে হতে লাগলো যদি আর ফিরে না আসো। আমি তোমায় ছাড়া কিভাবে থাকবো? আমার মনের অবস্থা তুমি কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করো নাই ইনসিয়া। বুঝে না বুঝে তুমি শুধু আ’ঘা’ত দাও। এটা বোঝার চেষ্টা করো না তোমার কিছু হলে আমি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাই। ডাক্তার যখন বললেন, তোমার অবস্থা ক্রিটিকাল। সিজার করতে হবে। ডোনার যেন রেডি রাখি।আমি যেন নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেছি। আল্লাহর কাছে শুধু দোয়া করেছি তোমার যেন কিছু না হয়। ছেলেকে কোলে নেওয়ার পর বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি। সাথে আমার ছোট্ট মেয়েটা। তুমি কোনদিন আমার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করোনি ইনসিয়া। তুমি ঠিক আমার কতটা জুড়ে আছো বুঝবেও না।”

শক্ত করে নিজের বাহুডোরে বেঁধে নিলেন আমায়। আমি অভিমানের স্বরে বললাম,

“প্রসব ব্যথার জন্য মানুষ কত কথাই বলে। তাই বলে আপনি আমার কাছে যাবেন না? আমার সাথে কথা বলবেন না?”

“ঘুমন্ত স্ত্রীর কপালে সোলাইমান সাদিক ঠিক কতবার চুম্বন করেছে তার কোনো ইয়ত্তা আছে নাকি। সাক্ষী ছিলো শুধু আমাদের ছেলে। যতবার চুমু দিতাম তোমার ছেলে ঠিক ততবারই ঠোঁট চোখা করে তাকিয়ে থাকতো।”

দিন পনেরো পরে শরীর একটু ঠিক হলো।মা বাবা কাছে ফিরে যাওয়ার কথা বলতেই বাবা থম মে’রে গেলেন।

“বেয়াইন নাতি নাতনি ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো? আমার ঘর যে আবার শূন্য হয়ে যাবে?”

“খারাপ তো লাগবেই ভাই সাহেব।আমাদেরও তো ফিরে যেতে হবে। কুটুমের বাড়িতে এতোদিন থাকা বেমানান।”

চলে আসার দিন সবার চোখে পানি ছিলো।

“বেয়াইন আমার নাতিনাতনি কে কয়দিন পর পর আসতে দিবেন তো। ওরা চলে যাচ্ছে ভেতরটা বড্ড পুড়ছে। এতোদিন আরজা নানুভাই নানুভাই করে আমার চারপাশে ঘুরঘুর করেছে। এখন আর কে ডাকবে?”

“মন খারাপ করেন কেন? যখন মন চাইবে দেখতে চলে যাবেন।”

বাসায় আসার পর আরজার বাবা দরজা খুললেন। তারমানে উনি অফিস না গিয়ে বাসায় এসে পুরো বাসা সাজিয়েছেন। উনি হাতে ক্যামেরা নিয়ে বললেন,

“ওয়েলকাম এট হোম আরজা এন্ড ইনান’স মাদার। স্মাইল প্লিজ।”

পরে টাইমার সেট করে পাঁচ জনের একটা ছবি তোলা হয়।পরবর্তীতে সেই ছবিটা বড় বাঁধানো হয়।

____________________________________________

তিনদিন যাবৎ ডাইরিটা পড়ছে সিলভিয়া।আজ ডাইরিটা পড়ে শেষ করেছে সে। ডাইরির উপরে লিখা “আত্মকথন”। ডাইরিটা তার নানুর। সিলভিয়ার নানু সবসময় ডাইরিটা সাথে রাখে আর সেদিনের সেই ছবিটাও। পড়া শেষ করে লেখা অনুযায়ী কল্পনার জগৎ সাজাতে লাগলো সিলভিয়া। খানিক বাদে সিলভিয়ার মা আরজা এলো হাতে চিরুনী নিয়ে।

” দুইদিন পর মেয়ে এইচএসসি দিবে এখনো তার যত্ন আমাকে নিতে হয়।”

মায়ের এমন ভালোবাসাময় শাসনে মিষ্টি হাসলো সে।

“তুমি মনে হয় নিজের যত্ন নিতে। নানুই তো সব করতো।”

“তোমার নানুর সাথে আমার তুলনা হয়? আমার দেখা শ্রেষ্ঠ নারী সে। সে আমাকে পেটে না ধরেও মায়ের থেকে বেশি কিছু।”

“আচ্ছা আম্মু আমি নানুর ডাইরিটা দিয়ে আসি।

____________________________________________

রকিং চেয়ারে বসে “হাজার বছর ধরে” উপন্যাস পড়ছে ইনসিয়া বেগম। চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা। মাথার এক তৃতীয়াংশ চুল পাকা। সিলভিয়া ডাইরিটা তার নানুর হাতে দিয়ে ‘নানু’ বলে জড়িয়ে ধরলো। সিলভিয়ার এমন আহ্লাদি পনা দেখে হাসলো ইনসিয়া বেগম।

“আচ্ছা নানু নানাভাই তোমাকে খুব ভালোবাসতো তাই না?”

“ভালোবাসবে না তার জগৎটাই তো ছিলাম আমরা।
আমাকে একা করে চলে গেলো। আমি নিঃসঙ্গ হয়ে গেলাম।”

“আমরা আছি তো নানু।”

“কেউ তো আর আমার আরজার বাবা না। আমার জীবনে ওই মানুষ একজনই। তোমরা যতই আমার আশেপাশে থাকো না কেন দিনশেষে আমি সঙ্গীহীন। আমার পথচলার সঙ্গী হারিয়ে গেছে। যাইহোক তোমার আম্মুকে ডাকো।”

মিনিট পাঁচেকের মাথায় আরজা এলো।

“আমায় ডাকছিলে?”

“হুম। ইনান ফোন দিয়েছিলো। অনেকদিন তো হলো তোর এখানে যে এলাম। কয়দিন পর ইদ। ইদের পর না হয় আবার আসবো।”

“তুমি শুধু নিজের ছেলের কথা ভাবো।একটা ইদ মেয়ের সাথে করলে কি হয়? তুমি তোমার ছেলেকে বেশি ভালোবাসো। আমাকে না।”

বইটা বন্ধ করে আরজার দিকে তাকিয়ে হাসলো ইনসিয়া বেগম।

“তোর দাদি আর বাবা চলে যাওয়ার পর তো তোরাই আমার সব।”

মেঝেতে বসে মায়ের কোলে মাথা রাখলো আরজা।

“সবাই বলে সৎ মা নাকি খারাপ হয়। আমি সবাইকে বলবো দেখে যাও আমার মাকে। যে সৎ মা হয়েও এখনো আমাকে আগলে রেখেছে। এখনো মাঝে মাঝে আমার মা আমাকে বাচ্চাদের মতো মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। যার তুলনা কারো সাথে হয় না। মা হতে গেলে পেটে ধরতে হয় না৷ ভেতরে মাতৃত্ব বোধ থাকতে হয়।”

___________________সমাপ্ত___________________

বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।