হৃদমাঝারে তুমি ছিলে পর্ব-৮+৯

0
504

#হৃদমাঝারে_তুমি_ছিলে❤️
#পর্ব ৮+৯
#কায়ানাত_আফরিন❤️

বাইরে বহমান ফুরফুরে হাওয়া।ছাদের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকলে বকুলের ঘ্রাণটা তীব্র থেকেও তীব্রতর হয়। এই হাওয়ার তালেও ধুক ধুক করে কাপছে মাইশার হৃদয়। কপালের কাছে চিক চিক করছে ঘাম। এই বিকেলে সচরাচর কাপড় ধোয়া হয় না। কেননা রোদের উষ্ণতা এসময় কম থাকে। কিন্ত মাইশাকে এই অসময়ে ধুতে হলো আয়াতের সেই চকলেট কেক মাখানো শার্ট।

সাদা শার্ট ধোয়া এত সহজসাধ্য নয়। তার ওপর চকলেটের ছোপ ছোপ দাগ ছিলো। তাই মাইশা অত্যন্ত সন্তর্পণের সাথে নিজহাতে শার্ট ধুয়েছে। ওয়াশিংমেশিনে দেয়ার মতো দুঃসাহসিক কাজ করলো না। কিন্ত মাইশা এই ভেবে ভয় পাচ্ছে যে কোনোক্রমে আম্মুজান দেখে ফেললে কি হবে। নিজের মেয়েকে একটা ছেলের শার্ট ধুতে দেখলে কোনো সাধারন পরিবারই যে তা সাধারন চোখে দেখবেনা এটাই স্বাভাবিক।

তাই এই পড়ন্ত বিকেলে গুটি গুটি পায়ে ছাদে শার্ট মেলতে এলো মাইশা। শার্টটি গরম পানি দিয়ে ভালোমতো ধুলেও আয়াতের গায়ের তীব্র বডিস্প্রে এর ঘ্রাণটা মাইশার নাকে ভেসে আসছে। বিকেলের আমেজে আকাশ কমলা রঙ ধারন করেছে। পশ্চিমা দিকটা বেশ সুন্দর। মাইশা একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে যেই না নিচে নামতে যাবে তখনই সিড়ির সামনে আম্মুকে দেখে থমকে যায়। ভয়ে বুকটা দুরুদুরু করছে। কথায় আছে না , ”চোরের মন পুলিশ পুলিশ !” এখন মাইশার ঠিক তেমনি মনে হচ্ছে। আমতা আমতা করে বললো,

–”আ-আ-আম্মু ত-তুমি?”

–”তুই আবার কবে থেকে তোতলাতে শুরু করলি?”
আম্মুর কড়া কন্ঠ শুনে কয়েক বার শুকনো ঢোক গিলে ফেললো মাইশা। হাতের মধ্যে এখনও বালতিটা আছে। শারমিন বেগম মাইশার হাতে বালতি আর পেছনে সাদা শার্ট মেলা অবস্থায় দেখে কপাল কুচকে ফেলেন। উনার জানামতে না এই শার্ট মাইশার বাবার আছে আর না ছেলে নুহাশের আছে। তাই প্রখর কন্ঠে তিনি বললেন,

–”জীবনে তো আমারে একটা গামছাও ধুয়ে দিলি না। এই অসময়ে এটা কার শার্ট ধুয়ে মেলেছিস তুই? এমন শার্ট জীবনেও তোর বাবা পড়েনা আর নুহাশেরও এমন কোনো শার্ট নেই। তাহলে?”

মাইশার বুকের ধুকধুকানিটা ক্রমশ যেন বেড়েই চললো। বাকরুদ্ধ হয়ে নিজের মাথা থেকে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে।শারমিন বেগম এখনও উত্তরের জন্য মেয়ের মুখপানে তাকিয়ে আছেন।

–”কি হলো? বলছিস না কেন? কার শার্ট এটা?”

মাইশা বুঝে ফেললো এখন বেশিক্ষণ চুপ থাকলে আম্মুজান সন্দেহ করবে। এই ঠান্ডা আমেজেও তরতর করে ঘামার অবস্থা হয়েছে মাইশা। নিজের ঠোঁটজোড়া হালকা জিভ দিয়ে ভিজিয়ে আচমকা বলে ফেললো,

–”আমার শার্ট এটা।”

শারমিন বেগমের চোখ যেন এবার কোটর থেকে বেরিয়ে পড়বে। যেন এরকম কোনো উত্তর শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। অন্যসময় নিজের বোকামি উত্তর শুনে মাইশা হয়তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেত কিন্ত এখন সে পরিস্থিতি নেই। মনের গহীনে ভয়টা যেন শিরায়-উপশিরায় অবাধে বিচরণ করছে। শারমিন বেগম কটাক্ষ কন্ঠে বললেন,

–”আমারে কি তোর তারছিড়া মনে হয়? আমার পেট থেকে তুই বের হয়েছিস , আমি তোর পেট থেকে বের হইনি যে তুই যেটা বলবি আমি ওটা বুঝবো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা ছেলেদের শার্ট।”

মাইশার গলা যেন শুকিয়ে এবার কাঠ হয়ে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক এই পরিস্থিতিটা সামলাতে হবে নাহলে এই মহিলা ওরে বাথরুমের ব্রাশ দিয়ে মারতেও দুবার ভাববে না। তাই ছোট ছোট চোখ করে শারমিন বেগমকে বললো,

–”এখন কি আর ছেলে-মেয়েদের শার্ট বলতে কিছু আছে? সবাই সেম রকমের শার্ট পড়ে। আর এটা আমি আজই কিনেছি তাই ধুয়ে মেলে দিলাম।”

মাইশার উত্তর শুনে শারমিন বেগম প্রসন্ন হলেন। হয়তো একটু হলেও মাইশার কথাটা বিশ্বাস করার চেষ্টা আছেন। একটা দেখে অগোচোরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো মাইশা । শারমিন বেগম পুনরায় পেছনে ভেজা শার্টটির দিকে চোখ বুলিয়ে নিলেন। হঠাৎ কিছু একটা আন্দাজ করে চোখ কুচকে ফেললেন তিনি। অবাকের ভঙ্গিমায় বললেন,

–”ওমা ! এত বড় শার্ট কিনেছিস কেন? এর মধ্যে তোর মতো দুজন অনায়াসে ঢুকে যেতে পারবো।এটা কি তোর লাগবো শরীরে?”

মুখটা আবারও মলিন করে ফেললো মাইশা। এবার শারমিন বেগমের প্রতি প্রচুর পরিমাণে বিরক্ত হচ্ছে। হয়তো মা জাতটাই এমন। প্রতেকটি বিষয় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার চেষ্টা করেন তারা। মাইশা কাচুমাচু হয়ে বললো,

–” ল-ল-লাগবে। তাছাড়া এই শার্টটা পড়ে তো আর বাইরে যাচ্ছি না। জাস্ট রাতে পড়ে ঘুমাবো।”

–”দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত দামী শার্ট। আর তুই এটা রাতে পড়ে ঘুমানোর জন্য কিনেছিস? তোর বাবার টাকা গাছে হয়না যে ছিড়বি আর ব্যয় করবি। আবার এমন ফাউল খরচ করতে দেখলে গালের নিচে দিবো একটা…………..”

শারমিন বেগম হাত উঠাতে গেলেই সাথে সাথে মাইশা গালে হাত দিয়ে দেয়। চোখ ছোট ভঙ্গিমায় আম্মুজানের দিকে তাকিয়ে আছে। শারমিন বেগম তুখর গলায় বললেন,

–”মনে থাকে যেন !”

এই বলে সিড়ি ভেঙ্গে নিচে নেমে গেলেন তিনি। মাইশা এবার একটা প্রসন্নের শ্বাস ত্যাগ করলো। এতক্ষণ শারমিন বেগমের উপস্থিতিতে বুকে যেন কেউ পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলো। মনে মনে ওই আরহাম আয়াতকে কয়েকটা গালি দিয়ে দিলো ও। এই শার্টটা এতক্ষণ নিজের বলে দাবি করাতে নিজেরই বেশ লজ্জা লাগছে । ইসসস ! এই শার্টটির মতো যদি মানুষটিকেও নিজের বলে দাবি করতে পারতো?

————————————————

বাবা আর নুহাশ ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো মাইশা। দক্ষিণ পাশের জানালাটি খোলা থাকায় বাতাসের ধাক্কায় পর্দাটি বারবার উড়ে চলছে। পর্দাটি বারবার সরে গেলেই দেখা যায় পাশের বাড়ির নিরা নামের মেয়েটিকে বই পড়ার ভঙ্গিতে। সামনে মেডিকেল পরীক্ষা দিবে বলে এখন থেকেই তোরজোর শুরু করেছে। মাইশা সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে জানালার থাই লাগিয়ে দিলো। মেয়েটার উচ্চস্বরে বায়োলজির প্রতিটা পড়া শুনতে শুনতে কান যেন ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে। এদিকে মোবাইলেও একটু পরপর অর্পি কল করে যাচ্ছে। মাইশা জানে যে অর্পি কল করছে আগামীকাল ওর সাথে বসুন্ধরায় যাওয়ার জন্য। কিন্ত এই প্রিয় বান্ধবীটিকে না বলার ক্ষমতা মাইশার হয়তো নেই বলে ফোন তুলছে না। তবুও শেষমেষ অনেকটা বিরক্ত হয়েই কলটা ধরে বললো,

–”হ্যালো !”

–”মাইশু ! কখন থেকে তোকে কল করছি ফোন ধরছিস না কেন?”

–”কারন আমি জানি তুই কিজন্য কল দিয়েছিস।”

–”আমি জানতাম মাইশু তুই আমার মনের সব কথা বুঝোস। লাভ ইউ।”

–”তোর লাভ ইউ তোর জিলাপির সাথে রাখ। আমি কাল বসুন্ধরায় যাবো না।”

–”কিন্ত কেনো?”

–”সারাটাদিন কেনা-কাটা করতে থাকিস তুই আর তোর জন্য পায়ে ফোসকা পড়ে আমার। আন্টিরে বল তোর বিয়ে ঠিক করতে । তারপর হানিমুন না করে জামাইয়ের সাথে মার্কেটে পিরিত করিস।”

থমথমে গলায় বলে ফেললো মাইশা। ওপাসে অর্পি মুখ ভার করে রেখেছে। তারপর ভারী কন্ঠে বললো,

–”তুই আমার সাথে এটা করতে পারলি?”

–”তো পারবো না কেন? এক কাজ কর। ওই আনান কুত্তাটারে নিয়া যা। কাল যেন ও সারাদিন আমার চোখের সামনে না আসে। ওর জন্য আমি আজ আয়াত ভাইয়ের শার্ট ধুতে গিয়ে আম্মুর কাছে ঝাঁড়ি খেয়েছি। পরে কথা হবে…..”

–”কিন্ত………….”

অর্পির কথা শেষ হতে না হতেই ফোন কেটে দিলো মাইশা। মাথাটা এখন প্রচন্ড ভার হয়ে আছে। ব্যাথা কমানোর জন্য একটা নাপা খাওয়ার খুব প্রয়োজন। আগামীকাল ভার্সিটির সামনে ক্যাফেতে আয়াতের সাথে দেখা করতে হবে। তাই ওষুধ খেয়ে জলদি ঘুমিয়ে পড়লো মাইশা।

—————————————————————–

রোদের তেজস্ক্রীয়তায় চারিপাশ উত্যপ্ত। বাতাসের আনাগোনা থাকলেও এ যেন উষ্ণ বাতাসের ছড়াছড়ি। ভার্সিটির সামনে সচরাচর জ্যাম কম থাকলেও আজ জ্যামের চাপে মানুষ যেন সবজায়গায় উপচে পড়েছে। অর্পি আর আনান গিয়েছে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এ। পৃথা আর সামাদের নিব্বা-নিব্বি জুটি যে কই ঘুরে বেড়াচ্ছে তা মাইশার অজানা। ক্যাফেতে এসির হাওয়ায় মাইশা স্ট্রবেরী শেক এ স্ট্র নাড়িয়ে চলছে আনমনে। অপেক্ষা করছে গতকালকের সাদা শার্ট পরিহিতা সেই মোহনীয় ছেলেটার জন্য। অল্প ব্যবধানেই অপেক্ষার অবসান ঘটে মাইশার। আয়াত প্রবেশ করছে। আয়াত ঢুকতেই মাইশা স্বাভাবিক হয়ে বসে। মাইশার পরনে বেগুনী রঙের কুর্তি আর গ্রে জিন্স। গলায় জিন্সের সাথে ম্যাচ করে একটা স্কার্ফ পেচিয়ে নিয়েছে। বাম হাতে চিকন ব্ল্যাক বেল্টের একটা ঘড়ি। উজ্জল শ্যামবর্ণের এই মেয়েটাকে দেখতে অপ্সরী না থাকলেও সুন্দর লাগছে।

আয়াত মাইশাকে দেখে মুচকি হেসে সেদিকে এগিয়ে গেলো। নীল শার্টটি ঘামের জন্য শরীরের সাথে একটু লেপ্টে আছে। আজকের তাপমাত্রা হঠাৎ করে এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সবারই একই অবস্থা। আয়াত মাইশার বিপরীত পাশে সিটে হেলান দিয়ে বসে পড়লো। শার্টের কলার ধরে গায়ের আটঁসাট অবস্থাকে একটু ঢিল করে নিলো। রোদের তাপে গাল-মুখ লাল হয়ে আছে। কপালের কাছে জমে আছে মৃদু ঘাম।

মাইশা কিছুক্ষণ মোহনীয় চোখে সেদিকে তাকিয়ে ছিলো। তৎক্ষণাৎ ওর ধ্যান ভাঙ্গে আয়াতের কন্ঠে,

–”কেমন আছো মিস !”

–”আলহামদুলিল্লাহ ! আপনি?”

–”দেখে কি মনে হয়? বাইরে যেই গরম ! তান্দুরী চিকেন হয়ে ক্যাফেতে ঢুকেছি।”

ঠোঁটে বিদ্রুপ হাসি ফুটে উঠলো মাইশা। রোদের উত্তাপে মুখমন্ডল লাল হয়ে যাওয়াতে দেখতে তান্দুরী চিকেনই মনে হচ্ছে।মাইশা স্ট্ররবেরী শেক একটু খেয়ে বলে ওঠলো,

–”তো কোথা থেকে এলেন?”

–”বাংলা মটর থেকে। রেডিও স্টেশনে গিয়েছিলাম।”

–”আপনার শো সন্ধ্যায় থাকে না?”

–”আমি তো আর শো করতে যাই নি। কিছু কাজ ছিলো। ”

মাইশা মলিন গলায় বললো,
–”ওহ্ ! ”

মাইশা এবার একটা ব্যাগ এগিয়ে দিলো আয়াতের কাছে। তারপর বললো,
–”আপনার শাস্তি সম্পন্ন করেছি। দেখে নিন।”

আয়াত হেসে দিলো মাইশার কথা শুনে। হাসলে ছেলেটার চোখগুলো কেমন যেন ছোট ছোট হয়ে যায়। দেখতে সুন্দর লাগে। আয়াত ঠোঁটজোড়া হালকা নাড়িয়ে বললো,

–”থ্যাংকিউ। তো কোনো ঝামেলা হয়নি?”

–”হয়নি মানে? কত বড় ঝামেলায় পড়েছি জানেন? আমার আম্মু দেখে ফেলেছে।”

–”কি বলেছো তুমি?”
আয়াত অবাক কন্ঠে বললো।

–”আমার শার্ট বলেছি।”

চোখ ছোট ছোট করে বলে ফেললো মাইশা। আয়াত উদ্ভ্রান্তের মতো ওর দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। পরবর্তীতে হাসি দমাতে না পেরে হো হো করে হেসে ফেললো সে। মাইশা ভ্রু কুচকিয়ে ফেললো আয়াতের এহেন কান্ডে।

–”সিরিয়াসলি ! আমার শার্টটিকে তুমি নিজের বলেছো?সাইজ দেখেছো শার্টের। এটা আমারই অনেক বড় হয়। গতকাল গরম ছিলো বিধায় ঢিলেঢালা শার্ট পড়ে এসেছিলাম। আর তুমি বলেছো এটা তোমার? আমি আর তুমি অনায়াসেই এই শার্টটায় ঢুকে যেতে পারবো।”

অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো মাইশা আয়াতের শেষ কথা শুনে। নিজেকে হঠাৎ আয়াতের সাথে কল্পনা করতেই মুখে অদ্ভুদ রঙ ধারন করেছে । তবে আয়াত স্বাভাবিক। বরংচ মাইশার অপ্রস্তুত দৃশ্যপট দেখে অগোচরেই মুচকি হাসলো সে। মাইশা মিহি কন্ঠে বললো,

–”তো আমি কি করতাম? আম্মু যদি সত্যটা জানতো তবে আমায় এত মারতো এতো মারতো যে ; আপনি আর আমি মিলে গুণে শেষ করতে পারবো না।”

আয়াত আবারও সশব্দে হেসে ওঠে। আয়াতের এই সুন্দর হাসিটার মায়ায় মাইশা পড়তে চাচ্ছেনা বিধায় বিরক্তির ভঙ্গি নিয়ে আয়াতের মুখপানে তাকালো।আয়াত এবার হাসি থামিয়ে টেবিলে একটু ঝুঁকে মাইশার মুখের কাছে নিজের মুখ নিয়ে নেয়। মাইশা তখন যেন মিহিয়ে গেলো। হঠাৎ আয়াতের কাছে আসাটাতে কোনো প্রতিক্রিয়া করতে পারলো না মাইশা। আয়াত এবার বললো,

–”যেহেতু আর মার খাওনি তাই আর গুণতে হবে না। তাই নেক্সট টাইম যা করবে বুঝেশুনে করবে। মনে করোনা যে তুমি আমায় কি কি উপাধি দিয়েছিলে তা ভুলে গিয়েছি। এখন থেকে তোমায় এত জ্বালাবো এত জ্বালাবো যে কল্পনায়ও এই ”আরহাম আয়াতের” অস্তিত্ব খুঁজবে। তাছাড়া এখন থেকে আমাদের তো প্রতিদিনই দেখা হচ্ছে ! গুড বাই।”

এই বলে আয়াত চলে গেলো নিঃশব্দে। মাইশা এখনও একই জায়গায় বসে থাকলো। আয়াতের কথাগুলো বুঝে ওঠতে সময় নিতে হলো ওর। এই ছেলে কি আর জানে যে আয়াতের বিরক্ত করার আগেই মাইশা একে নিয়ে কল্পনা করা শুরু করেছে? কল্পনাতেও খুঁজে বেড়াচ্ছে এই ছেলেটার অস্তিত্ব। আয়াত আসলেই বেশ অদ্ভুদ চরিত্রের মানুষ। পুরো শরীরটাই যেন সৌন্দর্য , মোহনীয়তা আর রহস্যে ঘেরা।

.
.
.
~চলবে…………..ইনশাল্লাহ