১৮শ পর্বের পর থেকেঃ-
”নিরব সে”
#সাদিয়া_সৃষ্টি
১৯শ পর্ব
–আপনার কি হয়েছে বলবেন? এই কয় দিন ধরে আপনি এমন কেন করছেন, ডাক্তার সাহেব?
–কোথায় ? কি করছি আমি? কিছুই তো করছি না। তুমি কি বলতে চাইছ?
–আপনি কি কোন কারণে আমার উপর রেগে আছেন?
এর থেকে আর বেশি বলতে পারল না। ও নিজের সীমার থেকেও অনেক বেশি বলে ফেলেছে। নিজের সামর্থ্যের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই নিজেই চুপ করে থাকল। আর পরে কিছু বলার জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকল। অন্যদিকে ওয়াফিফ জিনিয়ার কাছ থেকে ”রেগে আছেন” শোনার সাথে সাথে সেদিনের কথা মনে পড়ল। জিনিয়ার সাথে জাবিরের মুখোমুখি বসে থাকার দৃশ্য মাথায় আসতেই আগের রাগটা মাথায় চড়ে বসল। তার জিনিয়ার থেকে বেশি রাগ জাবিরের উপর হচ্ছে। কিন্তু জাবির তো আর সামনে নেই এ তাকে রাগ দেখাবে। তাই জিনিয়া সামনে থাকায় তার উপর রাগ দেখানোই ঠিক বলে মনে হল। এখন তার মাথায় আর অন্য কোন চিন্তা আসলো না, জিনিয়া তার কথা শুনে কি মনে করবে এই কথার চেয়ে তার মধ্যে এই কথা বেশি কাজ করছে যে সে কার উপর নিজের রাগ ঝাড়বে। সামনে জিনিয়া থাকায় জিনিয়ার উপর ই রাগ দেখাতে চাইল। কিন্তু ওয়াফিফ তখনকার রাগ থেকে শুরু না করে শুরু করলে একেবারে প্রথম থেকে।
–ছবিতা, ওকে আমি ছবি বলেই ডাকি। ও আমার ব্যাচের ই ছিল। বলা যায় আমার ১ম ক্রাশ ছিল। ওকে আমি প্রথম দেখেছিলাম আমাদের কলেজে। ওকে দেখার পর পরই আমার মধ্যে এক অন্য অনুভূতির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। না চাইতেও ওকে অনেকটাই পছন্দ করে ফেলেছিলাম। অবশ্য তখন কোন বাধাও ছিল না। জীবনে প্রথমবার এমন অনুভূতির সম্মুখীন হওয়ায় কি করা ঠিক আর কি করা ভুল জানতাম না। তাই ওর সম্পর্কে খোঁজ নিতে লাগলাম। আগে আমি একদম এমন ছিলাম না। কিছুটা অন্যরকম ছিলাম। পড়াশোনায় কোনোরকম। ঠিকঠাক বলা যায়। আমার বাবা মা এই নিয়ে কোনোদিন চাপ ও দেন নি। বন্ধু বান্ধবে মেতে থাকতাম। ছবি আমার জীবনে আসে ১৩ বছর আগে। প্রথম দেখায় ভালো লাগার অনুভূতি। বয়সটাও তেমনই ছিল। দেখলাম ও পড়ালেখায় খুব ভালো। তাই ওর সাথে কথা বলা যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ঠিক মতো পড়াশোনা করলাম। এইচএসসি তে ভালো ফলাফল করলাম। এমনকি ওর সাথে যেন প্রতিদিন দেখা হয় সেজন্য মেডিকেলেও পরীক্ষা দিলাম। দিন রাত পরিশ্রম করলাম। শুধু ওকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ তৈরি করার জন্য। কোন দিন অন্য কোন মেয়ে নিয়ে ভাবি নি। ওকে ছাড়া সবাইকে বোন হিসেবে নিয়েছিলাম। কলেজ বাঙ্ক করা ছেলে হয়ে গেল নিয়মিত ছাত্র। বন্ধুদের কাছে অনেক কথা শুনেছিলাম। আমার ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু মেডিকেলে চান্স পেলাম। প্রথম প্রফ খুব ভালো মতই কেটে গেল। অনেক অবহেলায়। ওর সাথে একই ক্লাসে থাকার খুশিতে সারাদিন মন ওর দিকেই থাকত। চোখ দুটোও বেহায়ার মতো ওর চেহারায় আটকে থাকত। নিজের লাভ এট ফার্স্ট সাইট কে সারাদিন ভাবতাম। এটা করতে গিয়ে ছোট খাটো পরীক্ষা গুলো চালিয়ে দিলেও টার্ম এক্সাম খারাপ হয়ে গেল। ওই রেজাল্টের পর ওর সাথে দেখা করার বা কথা বলার সাহস পেলাম না। প্রফ এক্সাম ও তেমন ঠিক হল না। দেড় বছর এভাবেই গেল। এর পরের সেকেন্ড আর থার্ড প্রফ এক্সামের জন্য অনেক পড়াশোনা করলাম। যেহেতু ও ক্লাসের প্রথম ছাত্রী ছিল তাই নিজের লেভেল মিলালাম। তারপর সাহস নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে গেলাম। কথাটা খুব ছোট ছিল। পড়াশোনা নিয়েই। কিন্তু আমার ওর সাথে প্রথম কথা ছিল এটা, সামনাসামনি। পরের দেড় বছরে আমরা বেশ কাছাকাছি এসেছিলাম। বন্ধুত্ব হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ২ জনের কাজে কর্মে প্রকাশ পেয়েছে বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু। আমি সিউর, ও আমাকে শুধু বন্ধু হিসেবে ভাবত না। যতক্ষণ মেডিকেলে থাকতাম, একসাথেই থাকতাম, পাশাপাশি বসতাম, ঘোরাঘুরিও চলত। আর যখন মেডিকেলের বাইরে বা বাসায় থাকতাম, ফোনে কথা হত, ম্যাসেজে। আমাদের বেশির ভাগ কথা পড়া সম্পর্কে হলেও ওর মাঝে যে দুটো কথা হত, সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতাম। গ্যালারিতে আলাদা একটা ফোল্ডার ছিল এর। কিন্তু বলা হয় নি মনের কথা। একটাই বাঁধা ছিল। বললে ও অদি বন্ধুত্ব ভেঙে দেয়। ও যদি সত্যিই আমাকে নিয়ে অমন অনুভব না করে যেমন টা আমি ভাবি। তাহলে কি মেনে নিতে পারতাম আমি? হয়তো পারতাম না। তাই আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার কথা ভাবি। অপেক্ষা করতে গিয়ে অনেকটা সময় কেটে যায়। এক সময় ভেবেছিলাম, একেবারে নিজে জব পেয়ে ওকে বলব আমার মনের কথা। একসাথে এসিস্ট্যান্ট ডক্টর হিসেবে একই হাসপাতালে ট্রেইনিং নিয়েছিলাম। শেষে আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে ও আমাকে ঠিক ততটাই পছন্দ করে। কিন্তু হঠাৎ করে এক দিন থেকে তার সাথে আমার সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওকে ফোনে কল করে পাইনি। ওকে ম্যাসেজ করে পাই নি। এমন কি ওর সাথে হাস্পাতালেও দেখা হয় নি। কয়েকদিন চলে গেলে অন্যদের সাথে কথা বলি আর জানতে পারি ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর ওর এই বিয়ে না কি অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তখন মনে প্রশ্ন আসে, তাহলে এতো দিন কি ছিল? ওই যে বৃষ্টিতে একসাথে ভেজা কিংবা ফাঁকা রাস্তায় হাত ধরে হাঁটা, ওর দৃষ্টি, আড়চোখ সব কি মিথ্যা ছিল? না কি ও কোন দিন আমাকে বন্ধু ছাড়া কিছুই ভাবে নি। ওর কোথায় যে আমি অধিকার বোধ খুঁজে পেয়েছিলাম সেটাও কি শুধু বন্ধুত্বের ই ছিল। কোন প্রশ্নের উত্তর পাই নি। ছবির বিয়ে হয়ে গেলে তার দুই দিনের মধ্যে ও বিদেশে চলে যায়, তাই আর যোগাযোগ করা হয় নি। কিন্তু আবার হঠাৎ করে কিছুদিন আগে এলো ওর ছেলে অসুস্থ তাই। আমিও ওকে সাহায্য করলাম। কেন করলাম জানি না। ও চেয়েছিল একটা ভালো ডাক্তারের খোঁজে , সেই খোঁজ দ্রুত পেতে সাহায্য করলাম ওকে। যেহেতু আমার সাথে অন্যান্য ডাক্তারের যোগাযোগ বেশি রয়েছে। ও নতুন ঠিকানা পেল আর নিজের স্বামীর সাথে চলে গেল। ওকে সামনে পেয়েও কখনো মনে জমে থাকা প্রশ্নের উত্তর খুজি নি। ওর কাছে উত্তর চাই নি। ও আমকে একা করে চলে গেল। আমিও একা রইলাম। ডক্টর হিসেবে চাকরি পেয়েও অনেকটা সময় এসব ছেড়ে বেকার হয়ে বসে ছিলাম ঘরে। কিন্তু পরে যখন ঘর থেকে বের হয়ে বাইরের পরিবেশ দেখলাম, শুনলাম অন্যদের কথা বলা তখন আর না পেরে কাজে যোগ দিলাম। তারপর আমার হাসপাতালের কাজ আর আমার পরিবার সাথে ছবির স্মৃতি। টানা ৩ বছর ধরে জোর করার পর আমাকে সিরিয়ালের মতো ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে দিয়ে দিল। ওরা কেউ জানে না ছবির কথা। এজন্য মনে অনেক রাগ পুষে রেখেছিলাম। কিন্তু এরপর তুমিও আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছ? যাও, যাও চলে যাও। আমার কাউকে লাগবে না। আমি একাই ছিলাম, একাই থাকব। কয়েক দিন ধরে নিজেই আমাকে ইগনোর করলে, এখন তো আমি জানি কেন তুমি ইগনোর করেছ? আমাকে ছেড়ে চলে যাবে তো? যাও।
ওয়াফিফের কথা শুরু থেকেই মন দিয়ে শুনছিল জিনিয়া। ওয়াফিফ যে আগেও কাউকে ভালবাসত এটা শোনার পর থেকেই ওর নিজের খারাপ লাগছে। তাও শুনেছে। যখন কোন ”ছবি” নামের মেয়ের প্রতি ওয়াফিফ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছিল তখন জিনিয়া সেটা শুনতে শুনতে নিজের এক হাত দিয়ে অপর হাত খামচে ধরছিল। আর বার বার এমন করায় দাগও বসে গিয়েছে। লাগ হয়ে গিয়েছে জায়গাটা। যেন এখনই রক্ত বের হয়ে আসবে। তবুও সে চুপচাপ বসে ছিল। শুনছিল ওয়াফিফের কথা। নিজের মধ্যে ‘জেলাসি’ নামক অনুভূতি উদয় স্পষ্ট টের পেয়েছে সে। কিন্তু শেষে যখন নিজের কথা শুনল তখন সে চমকে উঠল। ওয়াফিফ এমন করে কেন বলছে যে সে জাবিরের সাথে চলে যাবে। তাই প্রশ্ন করে বসল,
–আপনি কি বলতে চাচ্ছেন? আমি আপনাকে ছেড়ে চলে যাব কেন?
–থাক, লুকাতে হবে না, আমি জানি, তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছ।
–কেন এমন ভাবছেন আমি?
–তুমি আমাকে না বলে জাবিরের সাথে দেখা করতে গিয়েছ এটা কি যথেষ্ট না তোমার প্রশ্নের উত্তর হিসেবে?
–কিন্তু আমি তো…
–থাক, আমাকে কিছু বলা লাগবে না, আমি জানি আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। জাবির নিজেই তো কিছুদিন আগে আমাকে বলল ও তোমাকে আমার থেকে নিয়ে যাবে। আর তুমিও না কি ওকে না করতে পারবে না। তাই না, ওর কলের মানে আমি এখন বুঝতে পারি। খুব ভালোভাবে। তুমি থাক তোমার জাবিরকে নিয়ে। আমি বাঁধা দিব না। যাতে আমাদের মধ্যে কেউ কোন প্রকার মায়ায় না জড়ায় সেজন্যই আমি দূরে দূরে থাকছি। জতদিন না জাবির এসে নিয়ে যায় তত দিন আমি তোমাকে এখানে থাকতে না করব না। বাকিটা তোমার ইচ্ছা।
বলেই জিনিয়াকে পাশ কাটিয়ে ঘরের দরজা খুলে ঘর থেকে চলে গেল ওয়াফিফ। জিনিয়া অনেকটা সময় নিল নিজেকে ঠিক করতে। জিনিয়া নিজে ঠিক করতে আসলো আর কি থেকে কি হয়ে গেল। জিনিয়া যখন ওয়াফিফের সাথে কথা বলতে এসেছিল তখন ও ভাবেও নি ওয়াফিফ এমনটা চিন্তা করছে। ও ভেবেছিল হয়তো এতদিনের ব্যস্ততায় ও কথা বলতে পারছে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ সে প্রশ্নটাও এভাবে করতে চায় নি। কিন্তু মুখ ফসকে বলে ফেলেছিল। আর তার উত্তর এমনটা পেয়ে সে অনেকটাই হকচকিয়ে ই গিয়েছে। তাই অনেকটা সময় লাগল তার সবটা বুঝতে। আর বুঝতে পেরে ঘর থেকে বের হল ওয়াফিফের খোঁজে। বাইরে বেরিয়ে দেখল আসফির সাথেই আছে ওয়াফিফ। সে গিয়ে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুক্ষন আগের ওয়াফিফের রাগে রকথা চিন্তা করে পিছিয়ে গেল। কথা বলার শক্তি পেল না। সব কথা যেন গলা পর্যন্ত এসেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে। সে নিজেও অবাক কিন্তু করার কিছুই নেই। তাই সে ওয়াফিফের ঘরে ফেরার অপেক্ষা করল। ওয়াফিফ কে সারাদিনে কয়েকবার বোঝানোর জন্য গিয়েছিল কিন্তু ওয়াফিফ প্রতিবার ভেবেছে যে জিনিয়া তার আর জাবিরের সম্পর্কের কথা বলবে আর এটা নিয়ে ভাবতেই ওয়াফিফের বুকে চিনচিনে ব্যথা ওঠে। তাই জিনিয়ার মুখ থেকে জাবিরের নাম শুনতে চায় না সে। এ জন্যই জিনিয়াকে প্রতিবার ফিরিয়ে দিয়েছে। রাতেও ওয়াফিফ জিনিয়াকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে সোজা বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর ভান করে। জিনিয়া বুঝলেও আর কিছু বলে নি। সে এর মধ্যে অনেকবার নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতো কথা বলার অভ্যাস তার নেই। তাই সব কিছু নিয়তির উপর ছেড়ে গিয়ে সে গেস্ট রুমে চলে গেল ঘুমাতে। এখানে থাকলে তার নানান চিন্তা হবে। আর সেই চিন্তা করার সক্তিও তার মধ্যে নেই। তাই এখান থেকে চলে জাওয়াই ঠিক মনে করল।
জিনিয়া ঘর থেকে চলে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও যখন ঘরে ফিরল না তখন ওয়াফিফ চোখ খুলল। সে বিছানা থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করল, দরজা দিয়ে উঁকি দিল। কিন্তু জিনিয়ার আসার কোন নাম নেই। সব ঘরের লাইট বন্ধ হয়ে গেলে সে নিজে আবার বিছানায় শুয়ে পড়ল। বুঝতে পারল যে জিনিয়া গেস্ট রুমে গিয়েছে। সেটা ভাবতেই তার রাগ আরও বাড়ল আর এই চিন্তা আরও হল যে সে সত্যিই জাবিরের সাথে চলে যাবে।
অন্যদিকে জিনিয়া অন্য ঘরে গিয়েও ঠিক মতো ঘুমাতে পারল না। ওয়াফিফের চিন্তাই বেশি হচ্ছে। তাছাড়া মানুষটা রোজ পাশে থাকত কিন্তু আজ নেই ভেবেই খারাপ লাগছে তার/ কিছু সময়ের মধ্যে সেও ঘুমিয়ে পড়ল। তবে ওয়াফিফ অনেক রাত পর্যন্ত চোখ খুলে দরজার দিকে তাকিয়ে আবার বন্ধ করে ফেলেছে।
।
।
সকালে দেরি করেই ঘুম ভাঙল ওয়াফিফের। সে আশেপাশের খেয়াল না করে নিজের মতো রেডি হয়ে হাসপাতালে চলে গেল। সারাদিন হাসপাতালে বার বার ফোন এর দিকে নজর পড়ছিল তার। কারো কলের অপেক্ষায় আছে সে। কিন্তু মন থেকে এই কথাটা মানতে চাইছে না সে।
রাতে বাড়ি ফিরে সে অবাক হল। রোজ দরজা জিনিয়া খুলে দিত। কিন্তু আজ দিল না। সে নিজের ঘরে গেল ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করল কিন্তু তাও জিনিয়াকে দেখতে পেল না। অনেকক্ষণ বাবার সাথে বসে টিভি ও দেখল কিন্তু তাও জিনিয়া নেই। সে নিজের ঘরে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকল এই আশায় যে জিনিয়া ওই ঘরে এক বার হলেও আসবে। কিন্তু মন বলছে অন্য কথা। জিনিয়া চলে গিয়েছে। তাই সে উঠে সরাসরি ফারহান রহমানের রুমে গেল। সেখানে গিয়ে আফিয়া রহমান কে ডাক দিল।
–মা, জিনিয়া কোথায়?
–জিনিয়া তো নিজের বাবার বাড়ি গিয়েছে।
চলবে।