#মনের_আড়ালে
Part_18
লেখনীতে – #Nusrat_Hossain
ইশমি অভিকের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে মিনমিনে গলায় বলল আপনি এত নর্মাল হয়ে কিভাবে বসে আছেন ? আমার পক্ষে একরুমে থাকা সম্ভব না ।
অভিক একটু দম নিয়ে বলল
বিপদে পড়েছি তাই একরুমে থাকতে হচ্ছে আমাদের ।লুতুপুতু তো আর করছিনা আমরা ।
ইশমি অস্ফুটসুরে বলল ছিহ ।মনে মনে অভিক কে সে কয়েকটা বকা দিল ।তারপর আবার মিনমিনে গলায় জিজ্ঞেস করল
আপনি কোথায় ঘুমোবেন ?
অভিক ফট করে জবাব দিল ঘুমাবো না ।আমার না ঘুমানোর অভ্যাস আছে ।
ইশমি বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসল ।হ্ঠাৎ করে তার বাড়ির কথা মনে হল ।মা নিশ্চই এতক্ষণে চিৎকার চেচামেচী করে বাড়ি মাথায় করে রেখেছে ? ভাবতেই ইশমির কলিজা ধক করে উঠল ।সে
অভিক কে বলল
আপনার ফোনটা দেওয়া যাবে ? একজনকে ফোন করতে হত আমার ।
অভিক ইশমির দিকে একপলক তাকিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে ইশমিকে দিল ।ইশমি ফোনটা হাতে নিয়ে তিথির নাম্বারে কল করল ।রুমের জানালার ধারে গিয়ে তিথির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে সে একটা শান্তির নিশ্বাস নিল ।সে আবার বিছানায় হেলান দিয়ে বসল।তিথির সাথে কথা বলে সে জানতে পারল মা নাকি বিকেলবেলা থেকে কমোরের ব্যথায় বিছানায় শুয়ে আছে ।আর বাকি সদস্যদের তাকে নিয়ে এত মাথাব্যথা নেই ও বাড়িতে থাকলেও কি বা না থাকলেও কি ! একমাত্র তিথি আপু তাকে খুব ভালোবাসে ।এতক্ষণ চিন্তায় ছিল তিথি আপু সে ফিরছিল না দেখে ।ফোন করে সব ঘটনা খুলে বলার পর তিথি আপু চিন্তামুক্ত হল তাকে সাবধানে বাড়ি ফিরতে বলল আর হাফসা বেগম কোনো ঝামেলা করলে ঐ দিকটা তিথি আপু সামলাবে বলেছে ।
ইশমি ভাবনা ছেড়ে অভিকের দিকে তাকাল ফোন স্ক্রল করছে ।সে বলল
আপনি চাইলে বিছানার একপাশে হেলান দিতে পারেন ।আপনার পিঠ ব্যাথা করবে এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলে ।
অভিক ফোন স্ক্রল করা রেখে ইশমির দিকে একবার তাকাল ।তার সত্যি সত্যি পিঠের সাইড টা ব্যাথা করছে ।একে তো অফিসে সারাদিন বসে ছিল তারমধ্যে কাঠের চেয়ারটায় বসে থাকার ফলে তার পিঠ খুব ব্যথা করছে ।সে আর কিছু না ভেবে বিছানার একপাশে হেলান দিয়ে বসল ।
ইশমি বিছানার একপাশে আর অভিক বিছানার আরেকপাশে চুপচাপ হেলান দিয়ে বসে আছে ।দুজনের মধ্যে পিনপতন নিরবতা চলছে ।কিছুক্ষণ পর অভিক-ই আগে মুখ খুলল ।সে বলে উঠল
তোমার ভয় করছেনা আমার সাথে একা রুমে থাকতে ?
ইশমি কিছুক্ষণ ঠোটদুটো চেঁপে রাখল ।তারপরে অকপটে জবাব দিল
আপনার উপর বিশ্বাস আছে ।
অভিকের ঠোটের কোণে হাঁসি ফুটে উঠল ।সে আবার বলে উঠল
টাকাগুলো তোমার খুব প্রয়োজন ছিল কিন্তু অভিক আর বলতে পারল না একটা দীর্ঘশ্বাস বের হল তার ভেতর থেকে ।
ইশমি মুচকি হেঁসে বলল টাকাগুলো আমার রিযিকে ছিল না তাই ছিনতাই হয়ে গেছে মনে মনে নিজেকে এই বলেই শান্তনা দিয়েছি ।টাকাগুলো যদি এডভান্স না দেওয়া হত তাহলে কি আমরা চলতে , খেতে পারতাম না ? আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রত্যেকটা দিনের রিযিক যেভাবে রেখেছেন সেভাবেই চলবে আমাদের দিন।নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিযিকদাতা ।অবশেষে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন এই নিয়ে আফসোস নেই আমার ।
অভিক মন দিয়ে ইশমির প্রতিটা কথা শুনল ।এত কিছুর পরেও কি সুন্দর ঠোটে হাসি রেখে নিজেকে শান্তনা দিচ্ছে মেয়েটা।এই টাকাগুলো দিয়ে হয়ত পরিবারের জন্য ভালো খাবার , ভালো পোশাক কিনতে পারত , কিছুদিন ভালোভাবে চলতে পারত !কিন্তু সত্যিই রিযিকে নেই অভিক ভাবে ।
অভিকের ভাবনার মাঝে ইশমি থমথমে গলায় বলে উঠল কিন্তু আফসোস হচ্ছে এইজন্য আপনি আমার জন্য বিপদে পরে গেলেন ।
অভিক অকপটে বলল ঐ মুহূর্তে তোমায় ওভাবে কাঁদতে দেখে আমার বুকের বা পাশটা কেমন চিনচিন করে ব্যথা করছিল তাই তো তোমার মনের শান্তির জন্য তোমায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম ছিনতাইকারীদের খুঁজতে ।বিশ্বাস কর একটুও খারাপ লাগা কাজ করছে না ।
ইশমি চমকাল না কিন্তু অভিকের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ।তার খুব বলতে ইচ্ছে হল এতটা ভালো কেন বাসেন আমায় ? আমি তো আপনার এত ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারিনি ? ইশমির চোখের কোণে পানি এসে জমা হল ।তার বুকটা ভার হয়ে গেল হঠাৎ ।হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার ।
অভিক সামনে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ইশমির দিকে তাকাল ।সাথে সাথে ইশমি মুখ ঘুরিয়ে নিল ।তার মনে হল ইশমি কাঁদছিল ।কিন্তু কেন ?
অভিকের ইচ্ছে হল ইশমিকে কয়েকটা কথা জিজ্ঞেস করতে ।কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর তার জানার খুব দরকার নাহলে কোনোদিনও সে শান্তি পাবে না ।সে বলল
ইশমি আমি আজও জানতে পারলাম না আমায় রিজেক্ট করার কারন কি ? আমায় বিয়ে না করার কারনটা এখন অব্দি জানতে পারলাম না ।জানো আমি প্রথম প্রথম তোমার চোখে আমার জন্য কিছু একটা দেখতে পেতাম ।ক্লাস ব্রেকের সময় যখন আমি তোমায় পড়া বুঝিয়ে দিতাম , আমি তখন লক্ষ্য করতাম তুমি আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে ।তোমার ঐ দৃষ্টিতে আমি আমার জন্য অনুভূতি দেখতে পেয়েছিলাম ।
আমি ভাবলাম আমায় তুমি ভালোবাসো আর দেরি করলাম না মা বাবাকে অনেক চেষ্টা করে বুজিয়ে তাদের রাজি করালাম তারপর তাদেরকে নিয়ে তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলাম ।কিন্তু তুমি আর তোমার পরিবার রিজেক্ট করে দিলে ।মা , বাবার অপমান সহ্য হলো না আর একদিকে তোমাকেও ভুলতে পারলাম না ।আমার লাইফটা একটা নরকে পরিণত হয়ে গেল ।ব্যস একবার বলো কারনটা আমায় , আমি সত্যি বলছি আমার মন থেকে তোমার জন্য সব অনুভূতি সরিয়ে নিব ।তোমার থেকে সব সময় দূরে দূরে থাকব ।
ইশমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারছে না ।তার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল গড়িয়ে পরছে ।কি ক্ষতি হয় একবার সাহস করে তার হাতটা ধরলে ? কি ক্ষতি হয় একবার সাহস করে নিজের মনের কথাটা তাকে বলে দিলে ? অনেক আগের সেই সুপ্ত অনুভূতিটা খুব করে জেগে জেগে উঠছে যে ! কি ক্ষতি হয় তার #মনের_আড়ালে থাকা সব অনুভূতির কথা তার কাছে জাহির করলে ? মনে মনে এই কথাগুলো সে বারবার নিজেকে প্রশ্ন করল তারপর অভিকের দিকে মুখ ঘুরাল ।অভিক এখনো উত্তরের আশায় তার দিকে চেয়ে আছে ।সে কাঁপা কাঁপা হাতে অভিকের হাতটা ধরল ।নিজের হাতের মুঠোয় অভিকের হাতটা নিয়ে নিজের কপালে ঠেকাল আর কান্নাজড়িত গলায় গুঙিয়ে বলতে শুরু করল
আ্ আমি সাহস পাই না ।আমার একটুও সাহস নেই জানেন ? আজকে আমার মনের সব কথা আপনাকে জাহির করতে ইচ্ছে করছে । যখন আমার ছয়মাস তখন বাবা মা আমায় এতিমখানা থেকে এডপ্ট করে আনে কারন তাদের সন্তান হয় না ।অভিক এই কথাটা শুনে যেন আরো চমকে গেল ।সে থমথমে দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ইশমির মুখ থেকে সব কথা শোনার জন্য ।
ইশমি ডান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানিটা মুছে আবার বলতে লাগল একবছর তারা আমায় নিজ সন্তানের মতই আদর যত্নেই লালন পালন করে কিন্তু আমার খারাপ সময় একবছর পর থেকেই শুরু হয় যখন মা নিজের সন্তান জন্ম দেয় ।তারপর মায়ের কাছে আমি চক্ষুশূল হয়ে যাই ।উনি আমায় এক মুহূর্তের জন্যও সহ্য করতে পারেন না ।পাঁচ বছর থেকে আমি বুজতে পারি উনারা আমার নিজ মা , বাবা না ।বাবা না বললেও মায়ের ব্যবহারে আমি বুজতে পেরেছিলাম ।পাঁচ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন মায়ের হাত থেকে নিয়ম করে মার খাওয়া , তার আদেশমত সব কাজ করা , তার আদেশমত চলা তারপর দিনশেষে ঘরের এক কোণে বসে আল্লাহর কাছে কেঁদেকেটে নিজের মৃত্যু প্রার্থনা করা এইভাবেই তো চলত আমার জীবনটা ।তারপর আপনি আমার জীবনে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে এলেন । আর আমিও সেই বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম মনে খুব আনন্দ হত আপনাকে দেখলে ।যেদিন আপনাকে দেখতাম , আপনার কথাগুলো শুনতাম ঐ দিনটা আমার খুব আনন্দে কাঁটত , আপনাকেই ভাবতাম সারাক্ষণ , মায়ের সব অত্যাচার-ও ঐ দিন কেন যেন আমার গায়ে লাগত না ।যেদিন আপনি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলেন আমার বাসায় আমার চেয়ে বেশি হয়ত আর কেউ খুশি হয়নি ।কিন্তু ভাগ্য আবার নারাজ হল আমার উপর।মা আমায় আদেশ করে বসল তুই বিয়ে করতে পারবিনা ইশমি নাহলে খুব খারাপ হবে এর পরিনতি ।আর আমিও মায়ের কথায়…. ইশমি আর বলতে পারলো না ।ঠোট টা ভিজিয়ে আবার বলতে লাগল ছোটবেলা থেকে কোনো ভালো মন্দ সিদ্বান্ত নিতে আমি সাহস পাইনা ।ভয় হয় খুব ।আমি আর নিজের আসল সত্তাটা খুঁজে পাইনা অভিক ।আমি সেই পাঁচ বছরেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি মায়ের আদেশমত চলতে চলতে ।
ইশমি থামল চোখের পানিটা মুছে বলল
আপনিও আমায় ভুল বুজলেন অভিক একবারো জানতে ইচ্ছে করল না আপনার কোনোকিছু্ । ইশমি আরো কিছু বলতে নিলেই অভিক তাকে জড়িয়ে ধরল শক্ত করে ।ইশমি কাঁপা কাঁপা হাতে অভিকের পিঠে হাত রাখল ।দুজনেই কাঁদছে শব্দহীনভাবে ।
ইশমি কান্নাজড়িত গলায় বলতে লাগল
অভিক আমায় ভালো না বাসুন কিন্তু আমার থেকে দূরে সরে যাবেন না প্লিজ ।এই পৃথিবীতে আপনি ছাড়া আর কেউ নেই যে আমায় বিপদে আপদে এভাবে আগলে রাখবে , আমায় ভালোবাসবে ।আমার এই জীবনে আপনার থেকেই এতোটা ভালোবাসা পেয়েছি হারাতে ইচ্ছে করেনা আপনাকে ।আপনি আমার থেকে দূরে সরে যাবেন না প্লিজ আমার কেউ নেই ।ইশমি হেঁচকি তুলে কাঁদছে ।
অভিক ভাঙা গলায় অস্ফুটসুরে বলল চুপ চুপ কখনো দূরে সরে যাবো না তোমার থেকে প্রমিস ।আমি আমার প্রশ্নের সব উত্তর পেয়ে গেছি ।এই দুনিয়ায় এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো শক্তি নেই তোমার থেকে আমায় আলাদা করার ।ভালোবাসি তো ! কিভাবে দূরে যাবো ? খুব খুব খুব ভালোবাসি তোমায় ।
ইশমি অভিক কে ছেড়ে আগের জায়গায় গিয়ে বসল আর অভিকও বালিশে হেলান দিয়ে বসে রইল ।নিস্তব্ধহীন বাকিরাতটা এভাবেই পার হয়ে গেল ।অভিক ইশমির হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়েই সারাটা রাত পার করেছে ।কারো চোখে ঘুম ছিল না একফোঁটাও । ভোরের আলো ফুটতে শুরু করে দিয়েছে ।
ওরা দরজা খুলে ঘরের বাইরের এল ।ওরা বাইরে পা রাখতে না রাখতেই দুটো চৌদ্দ বা পনেরো বছরের ছেলে ওদেরকে দেখে দৌঁড় দিল ।অভিক আর ইশমি হতভম্ব ।অভিকও এক মুহূর্তে দেরি না করে দৌঁড়ে ওদেরকে ধরে ফেলল ।ছেলেদুটো ধস্তাধস্তি শুরু করে দিয়েছে অভিকের সাথে ।অভিকের পিছু পিছু ইশমিও এল ।ইশমি ছেলেদুটোকে চিনতে পেরে গেল তাদের গায়ের শার্ট টা দেখেই ।সে অভিক কে ত্বড়িতগতিতে বলল এই দুটোই কালকে আমার ব্যাগ ছিনতাই করেছে ।ইতিমধ্যে বাড়ির কর্তা আর কর্তী এসেও হাজির তাদের সামনে ।লোকটা বলে উঠল একি আপনি ওদের এভাবে ধরে রেখেছেন কেন ?
অভিক তেজীগলায় বলল ওরাই কালকে আমাদের টাকা ছিনতাই করেছে ।অভিক একটাকে থাপ্পড় মেরে জিজ্ঞেস করল
টাকাগুলো কোথায় বল নাহলে এক্ষুণি পুলিশকে ফোন করে আসতে বলব ।
ছেলেটা ভয়ে ভয়ে পকেট থেকে মানিব্যাগ টা বের করে টাকার বান্ডিল টা অভিকের হাতে দিল ।
অভিক টাকাগুলো হাতে পেয়ে ছেলেগুলোকে ছেড়ে দিল ।
লোকটি নিঁচু হয়ে থমথমে গলায় বলল ওরা আমার বইনের ছেলে ছোটবেলা থেকেই আমার বাড়িতেই থাকে আমি ওদের হইয়া আপনাদের কাছে মাফ চাইতাসি ।
অভিক কিছু বলার আগেই ইশমি বলল
এভাবে মাফ চাইবেন না আমাদের কাছে ।বরং আমরা আপনাদের কাছে ঋনী ।
এখন আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে ।
লোকটি বলে উঠল সেকি আপনারা সকালের নাস্তাটা করে যান ।
অভিক মুচকি হেঁসে বলল এমনিতেই আমাদের জন্য অনেক করেছেন আর আমাদের অফিসেও যেতে হবে তাই তাড়াতাড়ি করে বাড়ি ফিরতে হবে আমাদের ।
লোকটি বলল সাবধানে যাবেন তাহলে ।
ওরা বিনিময়ে মুচকি হেঁসে চলে এল ।
অভিক ইশমির পাড়ার সামনে এসে গাড়িটা থামিয়ে দিল ইশমির জোড়াজুড়িতে ।ও চায় না অভিক আর ওদের পাড়ায় যাক ঐ ঘটনাটার জন্য ।
অভিক বিরক্ত হয়ে বলে উঠল গাড়ি ভেতরে নিয়ে গেলে সমস্যা কি ? আমি কি ওদের ভয় পাই ? ঐদিন ইচ্ছে করেই ওদের পাল্টা আঘাত করিনি কিন্তু এরপর আসলে ওদের হাত পা ভেঙে গুড়িয়ে দিব আমি ।
ইশমি অভিকের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল থাক আপনাকে আর হিরোগিরি দেখাতে হবেনা ।এমনিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে আমার , বাসায় ফিরতে হবে ।ইশমি বলতে না বলতেই অভিক ইশমির কমোরে জড়িয়ে ধরে তার কাছে নিয়ে এল খুব ।ইশমির গালে খুব শক্ত করে একটা চুমু খেয়ে ইশমির কানে ফিসফিস করে বলল চল বিয়ে করে ফেলি এক্ষুণি ।ইশমির হাসিমুখে অন্ধকার নেমে এল ।অভিক ইশমির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল
বুজতে পেরেছি ।সমস্যা নেই তোমার সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি করব ।তারপর-ই বিয়ে করবো আমরা ।ইশমি মুচকি হাঁসল ।অভিক ঠোটে হাসি ঝুলিয়ে বলল অফিসে দেখা হচ্ছে তাহলে আমাদের ।
ইশমি হ্যান্ডব্যাগ আর বইগুলো হাতে নিয়ে নেমে পরল ।তারপর আবার কি মনে করে যেন আবার পেছনে ফিরে এল ।অভিক তখনো গাড়ি স্টার্ট দেয়নি ।ইশমি অভিকের গাড়ির জানালার দিকে ঝুকে বলল দরজাটা খুলেন তো ।
অভিক ঝুকে দরজাটা খুলতে না খুলতেই ইশমির অভিকের গালে টুপ করে চুমু খেয়ে একছুটে চলে গেল ।
অভিক অভিভূত হয়ে গালে হাত দিয়ে রাখল ।
চলবে,
@Nusrat Hossain