আয়নায় বন্দী পরী পর্ব-১৬

0
361

#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৬

–হে পরী-পালকের ভবিষ্যৎ নক্ষত্র,পরী-পালক পুরো ধ্বংসের পথে।তুমি তাড়াতাড়ি পরী-পালকে এসে পরী-পালককে বাঁচিয়ে নাও।না হয় পুরো পরী-পালক ধোঁয়ার সাথে মিশে যাবে।
.
আতাউর আকাশকে এমন বার্তা দিয়ে সে চলে যায়।
অন্যদিকে আকাশের কলিজা ধুপধুপ করে কাঁপতে আরম্ভ করে আতাউরের এমন বার্তা পেয়ে!তাই সে দড়ি ছেঁড়া গরুর মতন এদিক সেদিক দৌড়াতে থাকে।
আকাশের হায়-হতাশ দেখে আকাশের মা তাঁকে তাঁকে জিজ্ঞেস করে…

–এই পাগল ছেলে আমার,কি করছিস তুই?আর কি হয়েছে তোর?এমন পাগলের মতন ছুটাছুটি করছিস কেন?

–মা,আমার যেতে হবে।

–কোথায় যেতে হবে তোর?

–মা,অনেক জরুরী একটা কাজ এসে গেছে।

–আরে কিসের কাজ সেটা তো বলবি?

–মা,তোমাকে এখন বিস্তারিত বলার মতন সময় নেই আমার হাতে।আমি কাজ শেষ করে ফিরে এসে তোমায় বলবো।

–আল্লাহ জানে কিসের এতো জরুরী কাজ তোর!দেখ বহু কষ্টের বিনিময়ে আমি আমার হারানো মানিক’কে ফিরে পেয়েছি।আমি কিন্তু তোকে আর হারাতে পারবো না।সো কাজ শেষ করে আবার আমার কোলে ফিরে আসবি।

–আরে মা বাহিরে কোথাও যাবো না।কারন কাজ হচ্ছে আমার ফ্ল্যাটে।সো তুমি একদম টেনশন করিও না।আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার কাছে ফিরে আসছি।

–ঠিক আছে যা।

–মা,কে বলে নিজের ফ্ল্যাটে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।বিছানায় শুয়ে পরী-পালকে যাওয়ায় পায়তারা করছি।চোখ বন্দ করতেই পরী-পালকের দ্বীপে চলে আসলাম।কিন্তু দ্বীপে আসতেই দেখি দ্বীপের নকশা পুরো পরিবর্তন হয়ে গেছে!দ্বীপ আগের মতন নাই।দ্বীপের মাটি থেকে নিয়ে শুরু করে পাথর এবং বালুকণা সব কিছুই ফুটন্ত অগ্নিগিরির মতন জ্বলজ্বল করছে।তার উপরে অনেক জঘন্য একটা স্মেইল ছড়িয়ে আছে পুরো দ্বীপের মাঝে।মনে হচ্ছে যেনো দানব আকৃতির কোনো পশু মরে দ্বীপের কোন এক জায়গায় পড়ে আছে।যার থেকেই এমন দুর্গন্ধময় স্মেইলটা ছড়াচ্ছে।কিন্তু দ্বীপের আশেপাশে কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।নাহ এখানে আর বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।কারন দ্বীপের এই করুন অবস্থা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানান দিচ্ছে যে পরী-পালকে অনেক বড় মুসিবত এসে হানা দিয়েছে।সো আমার তাড়াতাড়ি পরী-পালকে যাওয়া দরকার।চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী কোনো কিছুকে পরোয়া না করে সামনের দিকে অগ্রসর হলাম।কিছুটা পথ অগ্রসর হতেই আমার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো অগ্নিগিরির একটা টানেল।যা আগে ছিলো না।অগ্নিগিরির টানেল টা’কে দেখে কলিজার পানি পুরো শুখিয়ে গেছে!একদম ঠিক কয়েক হাত সামনেই বিশাল অগ্নিগিরির টানেল’টা।যেটা অতিক্রম করে সামনে যাওয়া একদম অসম্ভব।বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম!কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে আমার সামনে অগ্নিগিরির এতো বড় টানেল,যেটার মধ্যে আগুনের ফুটন্ত লাভা টগবগ করে বলকাচ্ছে,এবং সেই বলকানোর রেষ আমি উপর থেকে দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু সেই লাভার কোনো উত্তাপ এই আমার শরীরে লাগছে না!লাভার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে আমার ইতি মধ্যেই বুঝে এসে গেছে কাহিনীটা কি।তাই নিজেকে কয়েক হাত পিছনে নিয়ে গিয়ে চোখ বন্ধ করে দৌড়ে টানেল’টা ক্রস করার পায়তারা করলাম।যেটাতে করে অগ্নিগিরির টানেলের অপরপাশে পৌঁছে গেলাম।এবার আরো পাকাপোক্ত হয়ে গেলাম,যে এটা শয়তান পূজারীদের কাজ।না হয়তো এতো বড় অগ্নিগিরির টানেল এই জন্মে লাফিয়ে অতিক্রম করা আমার সাধ্যের বাহিরে ছিলো।এটা শয়তান পূজারীদের কাজ দেখেই আমার উপরে তার কোনো প্রতিক্রিয়া হয় নি।এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে সামনে হাঁটা দিয়ে পরী-পালকে পৌঁছে গেলাম।পরী-পালকে পৌঁছাতেই দেখি পরী-পালকের দরজা গায়েব।এবং সেই দরজার জায়গায় সুরঙ্গের মতন একটা জাদুই হোল বানিয়ে রেখেছে পরী-পালকের দারোয়ান রা।আর এই হোলটা পরী-পালকের দারোয়ানরাই যে করেছে,সেটা বুঝতে পারার কারন হচ্ছে,পরী-পালকের প্রধান দারোয়ান আতাউর সেই হোলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সে আমাকে দেখতে পেয়েছে হোলটা খুলে দিলো।আমি আপন মনে ভিতরে প্রবেশ করলাম।পরী-পালকের ভিতর ঢুকতেই আবারো একটা শকট খেলাম!কারন দ্বীপের মতন করে পরী-পালকের নকশাও বদলে গেছে!
চোখ দিয়ে যতদূর দেখতে পাচ্ছি,সব কিছুই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আশেপাশে কোনো কিছুই নেই দারোয়ান আতাউরের কক্ষ ছাড়া।অবাক দৃষ্টিতে পরী-পালকের দৃশ্য দেখছি।তখনি প্রধান দারোয়ান আমার হাতে চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে গেলো।এবং বললো…

–আকাশ সব শেষ।কাকাতুয়ার লোকেরা পরী-পালকের বেশিরভাগ জায়গা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে।তুমি প্লিজ কিছু একটা করো।কারন আমরা তাঁদের সাথে লড়াই করে কোনোদিন ও পারবো না।কিন্তু তুমিই মাত্র একজন ব্যাক্তি,যার সামনে কাকাতুয়ার কেউ টিকে থাকতে পারবে না।

–কেন আমার মাঝে কি আছে?
আমি তো সাধারণ একজন মানুষ।আর কাকাতুয়ার লোকেরা শয়তানেরর পূজা করে অনেক অসাধু শক্তিকে হাসিল করেছে।আমি কি করে তাঁদের সাথে পারবো?

–কেন তোমায় কি আনহা কিছুই বলেনি?

–নাহ কি বলবে সে আমায়?

–আচ্ছা সে না বললেও আমি তোমায় বলছি।আকাশ তুমি কি জানো তুমি আসলে কে?

–আমি কে মানি এটা কেমন প্রশ্ন?

–আরেহ খারাপ ভাবে নিও না।তুমি যাস্ট আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।বাকিটা তোমাকে বলার পর তুমি সব কিছুই বুঝতে পারবে।সো এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দাও,যে তুমি কে?

–আমি আকাশ।এছাড়া আমার ভিন্ন কোনো পরিচয় নেই।

–হুম তুমি আকাশ।আর ভিন্ন পরিচয় টা তোমার জানা না থাকলেও আমার জানা আছে।

–তাহলে বলেন সেই পরিচয় টা কি?

–আকাশ তুমি হলে পরী-পালকের ভবিষ্যৎ রাজা।এবং তুমি হলে সাড়ে ছয়শো বছরের সেই যুবক,যে কিনা পরী-পালককে এসে বিপদ থেকে পরী-পালককে রক্ষা করবে।তাই তো আনহা তোমার সাথে দেখা দিয়েছে।

–মানে কি এসবের!কি সব উল্টা পাল্টা বলছেন?

–আকাশ আমি কোনো উল্টা পাল্টা কথা বলছি না।আমি যা বলছি সব সত্যিই বলছি।

–কিসের সত্যি কথা এসব হ্যাঁ?
আপনি যা বলছেন,সব কিছুই তো আমার কাছে বানানো একটা গল্প মনে হচ্ছে।কারন আমি একজন মানুষ।পরী থেকে শুরু করে পরী-পালক সব কিছুই বিশ্বাস করেছি।কিন্তু এর মধ্যে যে আমার ও ভুমিকা আছে,সেটা আমার কাছে বানানো গল্প মনে হচ্ছে।এর কারনটা তো আগেই বললাম যে আমি মানুষ।আর মানুষ হয়ে কি ভাবে এসবের সাথে জড়িত আমি?

–আচ্ছা তোমাকে একদম শুরু থেকে শেষ সব কিছুই খুলে বলছি।দেখো আকাশ আমাদের পূর্ব পুরুষ রা পরী-পালককে রক্ষা করার জন্য একটা বেড়িবাঁধ তৈরী করে দিয়ে গেছে।যেটার মেয়াদ সাড়ে ছয়শো বছর।যার কারনে কেউ আমাদের উপরে হামলা করতে পারে না।যদি বেড়িবাঁধটা না করা হতো,তাহলে এতো সময়ে পরী-পালক অন্যদের কবলে চলে যেতো।কারন পরী-পালকের বাহিরে কাকাতুয়ার মতন হাজারো চাক্ষুষ গোত্র বসবাস করে।যারা কিনা শয়তান থেকেও খারাপ।তারা সব সময়ে অন্যের ক্ষতি এবং অন্যের উপরে নিজের হুকমত খাটাতে চায়।যার কারনেই আমাদের পূর্ব পুরুষ’রা বেড়িবাঁধ করে দিয়ে গেছে।যাতে করে পরী-পালক সুরক্ষিত থাকে।কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ছয়শো বছর কেটে গেছে।যার কারনে বেড়িবাঁধ আর নেই।তাই কাকাতুয়ার লোকেরা আমাদের পরী-পালকে হামলা করেছে।

–তো আপনারা নতুন করে বেড়িবাঁধ দেওয়ার প্রতিক্রিয়া করেন নি কেন?

–আমরা নতুন করে বেড়িবাঁধ দেওয়ার প্রতিক্রিয়া এজন্যই করেনি,কারন আমরা সেটা চাইলেও করতে পারবো না।

–কেন পারবেন না?তাহলে আপনাদের পূর্ব পুরুষ’রা কি ভাবে করেছে?

–কেন পারবো না এর কারন হচ্ছে রক্ত।এই বেড়িবাঁধ দেওয়ার জন্য অনেকখানি রক্তের প্রয়োজন।তবে সেই রক্ত পরী-পালকের লোকজন ছাড়া ভিন্ন কোনো গোত্রের থেকে একজনের রক্ত হতে হবে।কিন্তু ভিন্ন গোত্রের লোকেরা যেহেতু অসাধু মতলব মাথায় নিয়ে ঘুরে সব সময়,তাই আমাদের পূর্ব পুরুষ’রা রক্তের জন্য মানুষকে নির্বাচন করেছেন।তার জন্যই তো আনহা জমিনে নেমে তোমার সাথে দেখা করেছে।এবং তোমায় ভালোবেসেছে।

–কিহহহহ!
আনহা শুধু এই কারনে আমাকে ভালোবেসেছে!কত্তবড় মতলবি মেয়ে সে!

–আকাশ তুমি এই অবস্থায় আনহাকে ভুল বুঝলে অনেক বড় ভুল করবে।কারন মেয়েটা সত্যিই তোমায় ভালোবাসে।আর সে বহুকাল আগে জামিনে নেমে তোমায় দেখে তোমার প্রেমে পড়েছে।সেই কথাও কিন্তু সে আমায় বলেছে।

–এই আপনি ওর হয়ে ওকালতি করতে আসবেন না।সে যদি মতলবি নাই হয়,তাহলে আমায় কেন নির্বাচন করলো রক্তের জন্য?তার কি একটুও খারাপ লাগবে না আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরানোর সময়?

–দেখো আকাশ ভালোবাসার সাথে কোনো কিছুকেই কম্পেয়ার করা যায় না।তবে সে কিন্তু ভবিষ্যৎ পরী-পালকের রানী।তার কিন্তু পরী-পালককে রক্ষা করার একটা দায়দায়িত্ব আছে।তাই সে এমনটা করেছে।যাতে করে সে তার ভালোবাসার মানুষের রক্ত দিয়েই পরী-পালককে বাঁচাতে পারে।আর কষ্ট তো অবশ্যই হবে।

–বাহ কি অদ্ভুত রকমের ভালোবাসা রে।আমার হাসি পাচ্ছে আনহার কুমতলব সম্পর্কে জেনে আপনার কাছ থেকে।

–আকাশ আমি আবারো বলছি তুমি খিল্লি উড়িও না।এবং মেয়েটাকে ভুল বুঝিও না।দেখো আমাদের পূর্ব পুরুষ রাই এমন নিয়ম করে গেছে।আর মানুষরা জীবনে অনেক আশা রাখে।কিন্তু সবার আশা পূরণ হয় না।তাই আমাদের পূর্ব পুরুষরা একজন মানুষকে নির্বাচন করে তাঁকে এখানে এনে তার রক্ত নিয়ে বেড়িবাঁধ তৈরী করে।যার ফলে সেই মানুষটার মনের একটা আশা পূর্ণ করে দেয় পরী-পালকের রাজা।
কিন্তু তোমার বেলায় তো ভিন্ন কিছু হবে।কারন তুমি আর আনহা একটা সম্পর্কের মধ্যে আছো।যেই সম্পর্কের মাধ্যমে তুমি ভবিষ্যতে পরী-পালকের রাজা হবা।এবং আনহা হবে তোমার রানী।যার দরুন তোমার কোনো চাহিদাই তো অপূর্ণ থাকবে না।সো তোমার ও তো কর্তব্য পরী-পালককে রক্ষা করা।

–দেখেন আমার মাথা আগেই খারাপ হয়ে গেছে আপনার কথা শুনে!সো আমি পরী-পালককে বাঁচাবো না কি করবো সেসব আমি জানি না!কারন আমার তেমন কোনো ইচ্ছে নাই।আল্লাহ আমাকে ভরপুর দিয়েছে দুনিয়ার মধ্যে।হ্যাঁ আমার অভাব ছিলো কিছু সময় আগে।কিন্তু আল্লাহ ভালো একটা চাকরি জোগাড় করে দিয়েছে আমায়।যা দিয়ে আমি ভালো ভাবেই চলাফেরা করতে পারি।তার উপরে আমায় গর্ভে ধারণ করা মাকেও আমি খুঁজে পেয়ে গেছি।সো এর বাহিরে আমার স্পেশাল কোনো ইচ্ছে নেই।আপনি একটু আনহাকে ডাকেন।আমি তার সাথে কিছু সময় বোঝাপড়া করবো।

–আকাশ নিজেকে শান্ত করো।আর আমার কথা ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করো।দেখো মেয়েটা সত্যিই তোমাকে ভালোবাসে।তাই তোমার থেকে এই টুকু চাহিদা সে করেছে।আর তাছাড়া তোমার কারনে আরো বেশি ক্রোধিত ছিলো কাকাতুয়ার লোকেরা পরী-পালকের উপরে।কারন তোমার কারনেই আনহা কাকাতুয়ার রাজার মেয়েকে আঘাত করে হাতের জাদুই লাঠি দিয়ে।আনহা তোমার ভাগ কখনোই অন্য কাউকে দিতে চায় না।না হতো সে কখনোই এমনটা করতো না।কারন কাকাতুয়ার লোকেদের সাথে কখনোই পরী-পালকের কেউ পেরে উঠবে না,সেটা সবাই ভালো করে জানে।কিন্তু আনহা তোমার কারনেই কাকাতুয়ার রাজার মেয়ে রূপন্তীকে মারার সাহস করেছে।সো তুমি তাঁকে ভুল বুঝিও না।

–দেখেন আমার মাথা আর খারাপ করিয়েন না।এমনিতেই অনেকখানি বিগড়ে আছে মাথা।আপনি দয়া করে আনহাকে একটু ডেকে আনেন।ওর থেকে আমার কিছু কথা জানার আছে।

–আনহা তো নেই।

–কোথায় সে?

–আনহাকে কাকাতুয়ার লোকেরা ধরে আয়নার মধ্যে বন্দী করে তাঁদের সাথে নিয়ে গেছে।এবং তার সাথে সাথে মায়াকাল আয়নার মধ্যে আনহার পরিবার’কেও কাকাতুয়ার লোকেরা জাদুর মাধ্যমে বন্দী বানিয়ে দিয়ে গেছে।

–দারোয়ানের কথা শুনে রাগের মাত্রা যেনো নিজের আয়ত্তের বাহিরে চলে গেছে!শরীরের সমস্ত রক্ত টগবগ করে খলতে আরম্ভ করেছে!কারন একে তো মেয়েটাকে আমি নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি। দ্বিতীয়ত মেয়েটাকে এতো ভালোবাসার পরেও সে আমাকে তার ব্যবহারের পাত্র বানিয়েছে।সো তার সাথে আমার বোঝাপড়া করাটা অনেক জরুরী।আমার জানার আছে তাঁকে এতো ভালোবাসার পরেও সে কেন আমার সাথে এমনটা করেছে।কিন্তু বর্তমানে আমার বোঝাপড়ায় পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাকাতুয়ার লোকেরা।তারা আনহাকে আয়নায় বন্দী করে নিজের সাথে নিয়ে গেছে।যেটা শুনে ইচ্ছে করছে কাকাতুয়ার লোকদেরকে আধমরা করে মেরে মাটির নিচে পুঁতে দিতে।খবিশের দল তোরা খালি একটু অপেক্ষা কর।আমি আসছি তোদের কাছে।তারপর তোদেরকে মেরে তোদের বংশ আমি নির্বংশ করে দিব….

চলবে….

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।