প্রিয়তমা পর্ব-১৯

0
453

#গল্পঃপ্রিয়তমা
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১৯

গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর।মাথার উপর উত্তপ্ত সূর্যের কিরণ।যতদূর চোখ যায় সোনালী ধান গাছের মাথা বাতাসের ছোঁয়া পেতেই হেলেদুলে উঠছে।একদল প্রজাপতি উড়ে চলেছে পুরো ক্ষেত জুড়ে।রাস্তার ধারে হাওড়গুলোতে হাঁসেরা সাঁতার কাটছে।গ্রামের মানুষগুল নিজেদের আহার জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে কাজে নেমেছে।
প্রীতি রান্নাঘর থেকে শাড়ীর আঁচল দিয়ে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে নিজের ঘরে যাচ্ছে।আপাতত সব রান্না শেষ।পুরো ঘর গুছিয়ে আলমারি থেকে একটা নতুন বিছানার চাদর কভার সহ নিয়ে বিছানায় বিছিয়ে নিলো।হাত দিয়ে টান টান করে সমান করে আবারও এগিয়ে গেলো আলমারির দিকে।আজ রূপকের দেওয়া সেই লালের উপর সাদা সুতার কাজ করা শাড়ীটা পড়বে।রূপক দেশে ফিরছে আজ।সব কিছু পারফেক্ট হওয়া চাই।তাই মনের ভেতর সুখ সুখ অনুভূতি হচ্ছে।মনে হচ্ছে বহুদিন পর ডানা মেলে উড়তে পারবে।মানুষটার সামনে গিয়ে কি করবে প্রীতি সেটা ভেবেই চোখ বুজে ঢোক গিললো।মনের ভেতর সুপ্ত অনুভূতিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।রূপকের কথা ভাবতেই গাল দুটো রক্তিম হয়ে ওঠে প্রীতির।আয়নায় একবার নিজেকে দেখে দৌঁড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।
কল ছেড়ে দিয়ে ভাবে আগে তো ওর এতটা লজ্জা করেনি তাহলে এখন কেনো এমন মনে হচ্ছে যে লজ্জারা একেবারে কাঁথার মতো মুড়িয়ে রেখেছে ওকে।

বাড়িতে যেন আজ উৎসব শুরু হয়েছে।সবার মনে আনন্দ।হাজেরা বেগম ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছেন।রাহাত এয়ারপোর্ট থেকে রূপককে নিয়ে বাড়ি ফিরবে।যদিও রূপক বলেছে সে একাই আসবে কিন্তু কেউ বারণ শুনেনি।রূপকের অপেক্ষায় কেউ দুপুরের খাবারও খায়নি।রূপক আসলে একসাথে খাবে।
গোসল শেষে চোখের নিচে টান করে কাজল পড়েছে প্রীতি।

একবছর পর মাতৃভূমিতে পা রাখলো রূপক।শরীর এক অজানা অনুভূতিতে শিউরে উঠলো।বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলো।দূরে বেঞ্চিতে রাহাত বসে অপেক্ষা করছিলো রূপকের জন্য।ভাইকে দেখেই রূপক ট্রলি হাতে তার দিকে এগিয়ে গেলো।রাহাত বসা থেকে দাঁড়িয়ে রূপককে জড়িয়ে ধরলো।পিঠে চাপড় মেরে বলল,কেমন আছিস?
রূপক আরেকটু জোরে চাপড় মেরে হেসে উত্তর দিলো,একদম জোস আছি এখন।
রাহাত পাংশুটে মুখে বলল,তুই প্রতিশোধ নিলি?দেখ আমি ভোলাভালা ছেলে হতে পারি।কিন্তু ভবিষ্যতে আমার বাচ্চা কাচ্চাদের শেয়ানা বানাবো যাতে তোর বাচ্চাদের আসতে একটা যেতে একটা থাপ্পড় মেরে বাবাকে মারার প্রতিশোধ নিতে পারে।
রূপক গা ঝেড়ে বলল,তোর লম্বা লেকচার বাদ দে।তাড়াতাড়ি বাসায় চল আর সহ্য হচ্ছে না।
রাহাত খোঁচা মেরে বলল,বউকে দেখার জন্য বুঝি মনটা উন্মাদ হয়ে আছে?
রূপক কিছু না বলেই ঠোঁট এলিয়ে হাসলো।

দুই ভাই বাড়ির পথে রওনা হলো।গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকতেই সেই চিরচেনা গ্রমবাংলার প্রকৃতি আবারও নজর কাড়লো রূপকের।দু-চোখ ভরে দেখতে লাগলো বিস্তৃত ধান ক্ষেত।
গাড়ি এসে থামলো বাড়ির সামনে।রাহাতের কথায় রূপকের ধ্যান ভাঙলো

কিরে আর কতক্ষণ বসে থাকবি?আজ কি গাড়িতেই থাকার প্ল্যান করছিস?তোর বউকে পাঠিয়ে দেবো?
রূপক গাড়ি থেকে নেমে আড়মোড়া ভেঙে বলল,উমম!মন্দ হয়না।
রাহাত একবার টের চোখে তাকিয়ে হাঁটা ধরলো বাড়ির ভেতর।
গাড়ির আওয়াজ পেয়ে প্রীতি বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলো।ধুকপুক আওয়াজ করে হৃদকম্প বেড়েই বলেছে।বুকের বাম পাশে দুহাত চেপে তা বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রীতি।গাড়ি থেকে রূপককে বের হতে দেখেই উপর থেকে নির্নিমেষ চেয়ে রইলো।

রূপক শার্টে ঝুলিয়ে রাখা চশমা পড়ে নিয়ে একবার নিজের বারান্দার দিকে তাকালো।সাথে সাথেই প্রীতি সিটকে সরে গেলো।তা দেখে ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসলো রূপক।
বাড়ির সবাই নিচেই ছিলো প্রীতি ছাড়া।রাহাত বেল বাজাতেই হাজেরা বেগম ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলেন।রাহাতের পেছনে দাঁড়ানো রূপককে দেখে জড়িয়ে ধরলেন।চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আকড়ে ধরলেন ছেলেকে।রূপক মাকে সামলাতে বলল,আমি ফিরে এসেছি আর তুমি কাঁদছো?যাওয়ার সময় না কেঁদে এখন কাঁদছো কেনো?
হাজেরা বেজম চোখ মুছে নাক টেনে বললো,ও তুই বুঝবিনা।
রাহাত মেকি রাগ দেখিয়ে বলল,আমি বুঝি এই বাড়ির কেউ নই?আমাকে কেউ জড়িয়ে ধরেনা।হাজেরা বেগম মূদু হেসে রাহাতকেও একহাতে জড়িয়ে নিলেন।
রূপক মাকে ছেড়ে বাবাকে সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।তিনি মুচকি হেসে বললেন,যাও ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।সবাই মিলে একসাথে খাবো।
প্রীতি উপর থেকে সবই দেখছিলো কিন্তু নিচে নামলোনা।রূপককে উপরে তাকাতে দেখে প্রীতি এক দৌঁড়ে পালিয়ে গেলো।লজ্জারা আজ তাকে ঘিরে রেখেছে।রূপক রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে আগে প্রীতিকে খুঁজলো কিন্তু কোথাও তার দেখা পেলোনা।তাই গোসল করতে চলে গেলো।প্রীতি এতক্ষণ দরজার আড়াল থেকে রূপককে পাহারা দিচ্ছিলো।রূপককে ওয়াশরুমে যেতে দেখে তার জামাকাপড় বের করে রাখলো গোসল করে পড়ার জন্য।আর কালবিলম্ব না করে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।

ফারিহার সাথে সব খাবার টেবিলের উপর এনে রাখলো প্রীতি।ফারিহা প্রীতির দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।হাসার কারণ হলো,ফারিহা কখনো প্রীতিকে এরকম লজ্জা পেতে দেখেনি।কিন্তু কিছু বললোনা।কিছু বললেই বেচারি আরও লজ্জায় গুটিয়ে যাবে।রূপকসহ সবাই নেমে এসে টেবিলে বসলো।চেয়ার টেনে বসতে গিয়ে রূপক একঝলক প্রীতির দিকে তাকালো।নতজানু হয়ে নিজেকে কেমন গুটিয়ে রেখেছে।চোখ তুলে তাকাচ্ছেনা উপরের দিকে।

খাবার শেষ করে রূপক রূমে বসে প্রীতির অপেক্ষায় ছিলো কিন্তু তার দেখা পেলোনা।প্রীতি রুবির রুমে গিয়ে বসে রইলো।কি মনে করে চোখের নিচের কাজল টুকু মুছে ফেললো।রূপক যখন দেখবে তার আসার খবর শুনেই চোখে কাজল পড়েছে তখন ওকে আরো লজ্জায় পড়তে হবে।
রুবি বসে থেকে প্রীতির কর্মকাণ্ড দেখে চলেছে।
তুমি নিজের ঘরে না গিয়ে এখানে বসে আছো কেনো?
প্রীতি আড়চোখে একবার তাকালো রুবির দিকে।
——————————————

পুরো বিকেল কেটে গেলো রূপক প্রীতির দেখা পেলোনা।আবার রাতের খাবারের সময় এক ঝলক দেখেছে।কিন্তু এখনো রুমে আসছেনা।খাবার খেয়ে প্রীতি রুবির রুমের সামনে গিয়ে দেখলো রুবি আগেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
এরকম সংএর মতো রুমে এসে বসে থাকা রুবির ভালোলাগছেনা তাই আগে আগে খেয়ে এসেই দরজা লক করে দিলো।
শেষমেশ প্রীতি ছাদের দিকে পা বাড়ালো।আকাশে রূপোর থালার মতো একটা পূর্ণ চাঁদ উঠেছে।পুরো ছাদ চাঁদের আলোয় আলোকিত হওয়ায় প্রীতির ভয় লাগলোনা।দোলনায় বসে রইলো।

রূপকের এবার রাগ লাগছে ভীষণ।বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত রুমে আসছেনা।তার কি একটু দেখতে ইচ্ছে করছেনা রূপককে?দীর্ঘ একবছর দূরে থেকে এসে ভালোবাসার মানুষের সান্নিধ্য পেতে চাইছে রূপক সে কথা কি প্রীতি বুঝেনা?এক বস্তা রাগ নিয়েই রুম থেকে বের হলো রূপক।পুরো বাড়ি খুঁজে ছাদের দিকে পা বাড়ালো।
মহাশয়া দোলনায় বসে দোল খাচ্ছেে।রূপক সন্তর্পণে পা ফেলে দোলনার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।
এতক্ষণ দোলনা মৃদু দুলছিলো।জোরেশোরে দোলনা দুলতেই প্রীতি সম্বিত ফিরলো।ও তো ছাদে একা তাহলে দোল দিচ্ছে কে?ভূত পেতনি নয়তো?ভয়ে ঢোক গিললো প্রীতি।দোলনা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।চোখমুখ খিঁচে দৌঁড় লাগাতেই রূপক পেছন থেকে হাত চেপে ধরলো।প্রীতির এবার যায় যায় অবস্থা।দোয়া দুরুদ পড়তে গিয়েও বারবার গুলিয়ে ফেলছে।রূপক ঠোঁট টিপে হেসে সামনে এসে দাঁড়ালো।প্রীতি চোখ বুঁজেই রইলো।সামনে তাকালে দেখতে পেতো এ কোনো ভূত নয় তার প্রিয় মানুষ।

মুহুর্তেই রূপক অভিব্যক্তি পাল্টে রাশভারি গলায় বলল,চোখ খোলো।
মানুষের গলার স্বর কর্ণকুহরে তরঙ্গিত হতেই প্রীতি পিটপিটিয়ে চোখ মেলে তাকালো।সামনে রূপককে দেখেই লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে দাঁড়ালো।
রূপক গম্ভীর কন্ঠে বলল,রুমে যাচ্ছো না কেনো?
প্রীতি কি বলবে বুঝতে পারছেনা তাই মাথানিচু করে পায়ের আঙ্গুল দিয়ে ছাদের ফ্লোর খুঁটতে লাগলো।
রূপক একবার প্রীতিকে আগাগোড়া পরোখ করে শব্দ করে হাসলো।প্রীতি হকচকিয়ে তাকালো রূপকের দিকে।প্রীতিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নিজে প্রীতির পেছনে দাঁড়ালো রূপক।রূপকের বুকে প্রীতির পিঠ ঠেকে আছে।প্রীতির ঘাড়ে থুতনি ঠেকিয়ে দুহাতে প্রীতির পেট জড়িয়ে ধরলো রূপক।মুহুর্তেই জমে গেলে প্রীতি।কোনো প্রতিক্রিয়া করতেই জেনো ভুলে গেলো।রূপকের মনে হচ্ছে ও একটা রোবটকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।প্রীতির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,এত লজ্জা?কোথা থেকে উদয় হয়েছে?আগেতো লজ্জা ছিলোনা তোমার।আমাকে দেশে আসার তাড়া দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছো এটা কি ঠিক করছো?আমি কিন্তু এটা মানবোনা।পুরো একবছরের আদর,ভালেবাসা সব জমিয়ে রেখেছি।এবার সুধে আসলে সব উসুল করবো।

প্রীতির শরীর মৃদু কেঁপে উঠলো।রূপকের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।রূপক আরেকটু শক্ত করে ধরে ভ্রু কুচকে বলল,এরকম নড়চড় করছো কেনো?এনিওয়ে কাজল মুছেছো কেনো?আমার জন্যইতো পড়েছো তাহলে আমি ভালো করে দেখার আগেই কেনো মুছে ফেলেছো।তুমি কি জানো আমার প্রিয়তমা?শাড়ীতে তোমাকে সবচেয়ে সুন্দরী নারী মনে হচ্ছে।ইচ্ছে করছে বুকের খাঁচায় তালাবদ্ধ করে রাখি।

প্রীতি দুহাতে শাড়ী খামছে ধরে শরীরের ভর ছেড়ে দিলো রূপকের গায়ে।রূপক প্রীতিকে সামনে ঘুরিয়ে চেয়ে রইলো কম্পনরত প্রীতির দিকে।হুট করে অধরে অধর ছুঁইয়ে দিলো।প্রীতি রূপকের বুকের দিকে শার্ট খামছে ধরলো।রূপক ছেড়ে দিতেই ছুটে পালাতে চাইলো প্রীতি।আজ রূপকের ভয়ঙ্কর রকম ভালোবাসায় মরেই যাবে মনে হচ্ছে।
রূপক ঝট করে কোলে তুলে নিলো প্রীতিকে।দুহাতে রূপকের গলা জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো।রূপক মুচকি হেসে প্রীতিকে রুমে নিয়ে নামিয়ে দিলো।খাটে বসিয়ে ব্যাগ থেকে একটা বাক্স নিয়ে আসলো।প্রীতির হাত থেকে চুড়ি খুলতেই প্রীতি চোখ বড় বড় করে তাকালো।শ্বাসরুদ্ধকর অনুভূতি হচ্ছে।কি হতে চলেছে ভেবে প্রীতির গলা শুকিয়ে গেলো।রূপক একবার প্রীতির দিকে তাকিয়ে তার অভিব্যক্তি বোঝার চেষ্টা করলো।প্রীতি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,আ-মি প্র-স্তু-ত না।
রূপক প্রীতির কথার মানে বুঝতে পেরে হুহা করে ঘর কাঁপিয়ে হাসলো।বক্স থেকে চুড়ি বের করে প্রীতির হাতে পড়িয়ে দিয়ে ভ্রু নাচালো।প্রীতি অস্বস্তিতে পড়ে গেলো নিজের কাজে।রূপক প্রীতির নাক টিপে দিয়ে বলল,তুমি সত্যি একটু ও বড় হওনি।শুধু লম্বা হলেই তাকে বড় বলা যায়না।
প্রীতিও ফিক করে হেসে দিলো।পরোক্ষণে মুগ্ধ হয়ে হাতের চুড়ি জোড়ার দিকে তাকালো।রূপকের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নাত্মক চোখে চেয়ে বলল,এগুলো স্বর্ণের?
রূপক চোখের ইশারায় হ্যাঁ বোঝালো।
প্রীতি বলল,কি দরকার ছিলো এগুলোর?আমারতো অনেক আছে।আমিতো সেগুলো ও ঠিক করে ব্যবহার করিনা।
রূপক বলল,কিন্তু এগুলো সবসময় ব্যবহার করবে।বিয়ের পর থেকে আমার তরফ থেকে তোমাকে কিছুই দেওয়া হয়নি।যা আছে তোমার কাছে সেসব তোমার শশুর শাশুড়ীর পক্ষ থেকে দেওয়া।
এখন চট করে ঘুমিয়ে পড়ো।প্রীতি বালিশ নিয়ে খাটের শেষ মাথায় শুয়েছে।এটা দেখে রূপকও একেবারে প্রীতির গা ঘেষে শুয়ে ওকে ঝাপটে ধরলো।প্রীতি মিনমিন করে বলল,আমি পড়ে যাচ্ছিতো।
রূপক মিটিমিটি হেসে প্রীতিকে শূন্যে তুলে নিজের অপর পাশে নিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ে।

——————————————————★
রুবি অনবরত রকিকে ফোন করে চলেছে।ইদানীং রকিকে ফোন করলে পাওয়া যায়না।নিজের প্রয়োজন হলে কল করে।পরোক্ষণে ফোন সুইচ অফ করে রাখে।রূপকের আজ দেশে ফেরার খবর জানাতে গতকাল থেকে অনেকবার কল করেছে।কিন্তু বারবার ফোন সুইচ অফ বলছে।
হঠাৎ বারান্দায় কিছু টপকে পড়ার আওয়াজ হতেই রুবি ফোনের ফ্ল্যাস অন করে বারান্দায় এগিয়ে যায়।কিছু বুঝে ওঠার আগেই কেউ কাপড় দিয়ে ওর মুখ বেঁধে ফেলে।হাত থেকে ফোন পড়ে লাইট অফ ওয়ে যায়।
#চলবে………

(ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।হ্যাপি রিডিং।)