ডিভোর্স
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ২৩
সাঈদঃ সত্যি জানতে পারলাম তাহলে শোনো যে আমাকে কিন্ডন্যাপ করিয়েছিলো সে আর কেউ নয় তোমারি ছোট্ট বোন মায়া..
।
স্নেহাঃ তুমি কী বলছো এসব পাগল হয়ে গেছো নাকি…
।
সাঈদঃ হ্যা এখন তো পাগল বলবাই কেনো না সত্যি কথা কেউ বিশ্বাস করতে চায় না আসলে প্রথমে আমিও বিশ্বাস করতে পারি নি কিন্তু আমি এই চোখ দিয়ে স্পষ্ট মায়াকে দেখেছি….
।
।
স্নেহাঃ মায়া কেনো করতে যাবে এমন কী লাভ এতে ওর…
।
সাঈদঃ সেটা আমি কিভাবে বলবো সেটা তো সেই বলতে পারবে ভালো…
।
স্নেহাঃ বিশ্বাস করতে পারছি না কথাটা কিন্তু ওনি তো আমার কাছে মিথ্যা কথা বলতে পারেন না কেনো করলো মায়া এমন কী ক্ষতি করেছি আমরা ওর… ( মনে মনে )
।
।
সাঈদঃ এই জন্য আমি তোমাকে সত্যি কথাটা বলতে চাই নি কারণ আমি জানতাম তুমি সত্যি শোনার পর অনেক কষ্ট পাবা কিন্তু বিশ্বাস করো মায়া দু দিন যে পরিমাণ আমাকে কষ্ট দিচ্ছে সেটা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না…
।
প্রথমে ভেবেছিলাম এসব নীলের কাজ কিন্তু পরে জানতে পারলাম তোমার বোন নীলকেও মেরে ফেলেছে….
।
।
স্নেহাঃ কী বলছো এসব তুমি ও নীলকে মারতে যাবে কেনো কী সম্পর্ক ওর ওর সাথে…
।
।
সাঈদঃ আমিও জানতে চাই কিন্তু তার আগে আমাকে পুরোপুরি সুস্থ হতে হবে…
।
।
সাঈদঃ দেখো এই কথা গুলো যেনো কেউ না জানতে পারে…
।
স্নেহাঃ আচ্ছা…
।
সাঈদঃ আমার শখের গাড়ি টা নিয়ে গেছে ওই শয়তান টা…
আমি ছাড়বো না ওকে প্রত্যকটার হিসেব নিবো এক এক করে ( মনে মনে )
।
।
স্নেহাঃ তুমি বসো আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসতেছি…
।
সাঈদঃ থাক এমনিতেও আমার খিদে লাগে নি…
।
যখনি ওই রাতের কথা মনে পড়ে তখনি সব খিদে নিমেষেই হারিয়ে যায় দু দুটো দিন না খাইয়ে রেখে তার উপর দুটো দিন এক জায়গায় বাধা ছিলাম…
।
।
স্নেহাঃ কেনো বার বার এসব কথা মনে করে কষ্ট পাচ্ছো…
।
সাঈদঃ কী করবো বলো চোখ বন্ধ করলেই ওই ভয়ানক দৃশ্য গুলো জল জল করে দেখতে পাচ্ছি …
।
।
স্নেহাঃ মায়া কাজ টা কিন্তু একদম ঠিক করে নি ওর মনে মনে ভিতর টা এমন ছিলো জানলে কখনোই আমাদের বাসায় আসতে দিতাম না…
।
।
সাঈদঃ কেনো করেছে মায়া এসব সেটা এবার ও নিজের মুখেই বলবে…
।
।
স্নেহাঃ আচ্ছা মায়া কী এসব একায় করেছে নাকি ওর সঙ্গে কেউ আরো জরিত রয়েছে…
।
সাঈদঃ নিশ্চয়ই ওর সঙ্গে আরো কেউ জরিত রয়েছে কেনো না মায়ার পক্ষে এসব একলায় কখনোই সম্ভব না কিন্তু কে ওর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মোহাম্মদ সেটাই তো বুঝতে পারছি না….
।
।
।
।
অন্য দিকে..
।
স্নেহার বাবাঃ অনেক দিন হলো নীলাদ্রির বাড়িতে যাওয়া হয় নি তো ভাবতেছি কাল তিন জনে মিলে গিয়ে দুটো রাত থেকে আসবো…
।
স্নেহার মাঃ ঠিকি বলেছো ১ বছর মতো হয়ে গেলো বোনটাকে এখনো দেখি নি…
।
স্নেহার বাবাঃ তোমারা কাপড় চুপড় রেডি করো আমি ততক্ষণে একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসি…
।
।
স্নেহার মাঃ আচ্ছা মায়া তোর খালাকে একটু ফোন দেয় না আমরা যে যাচ্ছি সেটা বলতে হবে তো…
।
মায়াঃ দিচ্ছি একটু দাড়াও…
।
এই নাও মা…
।
স্নেহার মাঃ হ্যালো কেমন আছিস…
।
স্নেহার খালাঃ হ্যা ভালো এত দিন বুঝি আমাদের কথা মনে পড়লো…
।
স্নেহার মাঃ কী যে বলিস না আচ্ছা আমরা কালকে যাচ্ছি তোর ওখানে দু দিন থাকবো…
।
স্নেহার খালাঃ হ্যা হ্যা আয় এখানে তো স্নে…মুখ ফসকে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো কোনো মতে সামলে নিয়ে হ্যা হ্যা আয়…
।
।
।
স্নেহার খালাঃ স্নেহা..
।
স্নেহাঃ খালা ডাকতেছে আমি শুনে আসি তুমি বসো তায়…
।
সাঈদঃ হুম যাও
।
।
স্নেহাঃ বাইরে এসে…
।
স্নেহার খালাঃ সর্বনাশ হয়ে গেছে রে…
।
স্নেহাঃ কী হয়ছে খালা…
।
স্নেহার খালাঃ কাল তোর মা বাবা আর মায়া আসতেছে এখানে..
।
স্নেহাঃ কীহ মায়া এই মেয়েটা কী কোথাও শান্তিতে থাকতে দিবে না…
।
।
চলবে