Arranged Marriage part-09+10

0
437

#Ayesha
#ArrangedMarriage
পর্ব-9+10
আমি: এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
ফাহাদ: দেখছি তোমায়
আমি: দেখার কি আছে?আমি তো আর সুন্দরি না😒
ফাহাদ: ও হেসে দিলো, (এই প্রথম তাকে দেখছি তার কথা বলা দাড়ানোর স্টাইল ওর হাসি সবই আমার কাছে নতুন, কেউ যদি বলে ওর সব কিছুতে তুমি মার্কস দিবে তাহলে বাকি সব গুলোয় 10e 50 কিন্ত ওর হাসিটায় 10 এ 100)
আমি: হুমায়ূন স্যার বলেছেন প্রেমের কোনো আকার নেই, সুন্দরী মেয়ে র সাথে প্রেম যেমন কালো মেয়ের সাথে প্রেম একই রকম
ফাহাদ: আসলেই?😅
আমি: জ্বী 😒
ফাহাদ: খুব হুমায়ূন স্যারের বই পড়?
আমি: সময় পেলে
ফাহাদ: একটা কথা বলি?
আমি: কি
ফাহাদ: তুমি দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর, এক কথায় পরি, তোমার থুথুনির তিল টা মাশাআল্লাহ, এইজন্যই আরো বেশি ভালো লাগে।।
আমি: আমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে
ফাহাদ: (কিছুক্ষন ওর মায়া মুখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল) তুমি এমন কেন? কি সময় সিরিয়াস মুহূর্তে পানি দেও😭
আমি: 4.25বেজে গেছে
ফাহাদ: তো?
আমি: আসলে মা….
ফাহাদ: আন্টি বলছে সন্ধ্যার আগে ফিরতে আর সন্ধ্যা হতে এখন দের ঘণ্টা বাকি। চিন্তা করো না আমি নামিয়ে দিয়ে যাবো।।
আমি: আমি অটো করে যেতে পারবো
ফাহাদ: কলেজ থেকে যেতে পারো না কেন?
আমি: বাস আছে তাই বাসেই যাই
ফাহাদ: বল কি খাবে
আমি: কি
ফাহাদ: তুমি কথায় কথায় এত অবাক হও কেন? বলছি কি খাবে
আমি: খাব না কিছু
ফাহাদ: লজ্জা পাচ্ছো?
আমি: না
ফাহাদ: লাচ্ছি অর্ডার দিব?
আমি: আমি সত্যি কিছু খাব না
ফাহাদ: (সে আমার কথা পাত্তা না দিয়ে 1টা লাচ্ছির অর্ডার দিল) ভাত খাবে?
আমি: কিইই?
ফাহাদ: বাংলা বলছি ম্যাম
আমি: এখন কেন ভাত খাবো?
ফাহাদ: আমি খাইনি তাই
আমি: আপনার পেটে খিদে আপনি খান আমি খাবো না।।
ফাহাদ একটা ওয়েটার কে ডাকলো
ওয়েটার: জী স্যার
ফাহাদ: ভাত আছে?
ওয়েটার: নো স্যার দুপুরের দিকে শেষ হয়ে গেছে।
ফাহাদ: মুরগ পুলাও?
ওয়েটার: আছে স্যার
ফাহাদ: 1প্লেট নিয়ে আসো।।
ওয়েটার চলে গেলো।।
ফাহাদ: আমার সকাল বেলায় এখানে চলে আসছি তাই খেয়ে আসতে পারিনি।।
আমি: আমি বাসায় থাকতে বলতেন নিয়ে আসতাম
ফাহাদ: বাসার রান্না তো খেয়েছি next
তোমার হাতে খাব।।
আমি: (খাইলে আর বিয়ের কথা বলবেন না) যা পারি তা সব পকড়া চপ এইসব টাইপের খাবার।।
এই সালতির এক দোষ সব সময় খাবার দিতে দেরি করে, 15মিন পর খাবার আসছে।। আমার সামনে মুরগ পূলাও দিল আর তার সামনে লাচ্ছি, মানে ওয়েটার উল্টা পাল্টা করেছে।। ওয়েটার চলে গেলো।।
ফাহাদ: ম্যাম আজ খুব খিদে পেয়েছে এক্স চেঞ্জ করে নেই?
আমি: নিজেই ওর দিকে প্লেট এগিয়ে দিলাম। 2 টাই খান
ফাহাদ: আগে এইগুলো খাই তারপর ভেবে দেখছি।। (ও আমার দিকে লাচ্ছি টা এগিয়ে দিল)
আমি চারপাশে তাকাচ্ছি আর আর একটু একটু করে খাচ্ছি, তারদিকে তাকালাম দেখিয়ে সে আমার দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে
আমি: কি?
ফাহাদ: দেখে দেখে খাচ্ছি
আমি: ও
ফাহাদ: ও হাতে একটু ভাত নিয়ে আমার দিকে ইশারা করছে।
(মানে কি? ও কি আমাকে খাইয়ে দিবে নাকি?)
আমি: আমি খাবো না।
ফাহাদ: তুমি আমাকে এইভাবে অপমান করবে?
আমি: এইখানে অপমান কখন করলাম?
ফাহাদ: এইযে আমি হাতে তোমাকে খাইয়ে দিতে চাচ্ছি তুমি খাবে না বলছ।।
আমি: আমি খেয়েছি
ফাহাদ: আমি তো দেখিনি, দেখ আমি কিন্তু এত কথা বলতে পারিনা তুমি কি করবে ভেবে দেখ
আমি: দেন (হা করলাম)
সে ওর ওইদিক থেকে উঠে এসে আমার পাশে বসেছে, ও ওর হাতে খাবার নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিচ্ছে, আমি হাঁ করে মুখে নিলাম, মুখের খাবার নিয়ে বসে আছি।।
ফাহাদ: দাঁত আছে তো?
আমি খাবার চিবাতে চিবাতে বললাম থাকবে না কেন?
ফাহাদ: বাচ্চাদের মত খাবার নিয়ে বসে আছো।।
আমি: বাচ্চাই তো 18 তো হয় নি, (পানির গ্লাস হাতে নিয়ে পানি পান করছি)
ফাহাদ: ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে মেয়ের বয়সন্ধিকাল হওয়ার পরেই বিয়ের দেয়ার জন্য বলেছে, তোমার আমার ঠিক টাইমে বিয়ে হলে এতদিনে ছেলে মেয়ে বিয়ে করতাম।।
আমি ওর কথা শুনে বিশুম খেলাম আমার মুখের সবটা পানি তার মুখে আর শার্টে পড়েছে।।
বেচারা অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।।
আমার কি দোষ এমন কথা শুনলে যে কারোর এমন অবস্থা হওয়ার কথা এর থেকে খারাপ ও হতে পারত, আমি তো তাও অল্প করেছি।। সে যে আমাকে বকা দিবেনা এটা আমি এতদিন কথা বলে বুঝে গিয়েছি
ফাহাদ: কি করলে এটা?
আমি: সরি
ফাহাদ আমার ওরনা র আঁচল দিয়ে ওর মুখ টা মুছলো
আমি: বকা দিতে পারেন নাই বলে এটা করেছেন?
ফাহাদ: আমি তো এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম
আমি: আপনি আসলেই জীবনে উন্নতি করবেন
ফাহাদ: কিভাবে।।
আমি: এইযে আপনি এমন কথা বলেছেন তাতে কিছু হয় নি আর আপনার এমন কথার রিএক্টশনে যেনো আমি অপরাধ করেছি

#Ayesha
#ArrangeMarraige
পর্ব-10
সে খাওয়া শেষ করে বেসিন থেকে হাত ধুয়ে আসছে।।
ফাহাদ: কি লাচ্ছি খাও না?
আমি: বলছিলাম তো খাবো না
ফাহাদ: দাও আমাকে খাওয়া লাগবেনা তোমার
সে তার দিকে এগিয়ে নিয়ে আমার মুখ লাগানো পাইপ দিয়েই লাচ্ছি খাচ্ছে
আমি: আরে আমি তো এটা দিয়ে খেয়েছি আপনি আর একটা আনিয়ে নেন,
ফাহাদ: না সমস্যা নাই আগে থেকেই অভ্যাস করে রাখি।।
ও খাওয়া শেষ করে ওর পিছন থেকে একটা প্যাকেট বের করে আমার সামনে দিল
আমি: কি এটা?
ফাহাদ: বের কর
আমি আগ্রহ নিয়েই প্যাকেট খুললাম দেখি একটা গোলাপী রঙের ড্রেস, এটার ভিতর আর একটা প্যাকেট বের করলাম দেখি একটা ফোনের বক্স, নিশ্চই ফোন।। আমার তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে।
আমি: এটা?
ফাহাদ: তোমার
আমি: ফর্মালিটি দেখিয়ে না না আমার ফোন লাগবেনা বাবা বলেছেন আমার পরীক্ষা শেষ হলে ভালো ফোন দিবে
ফাহাদ: বাবাকে বলবা তোমার আব্বাজী কিনে দিসে তোমার দিতে হবেনা
আমি: বাবাও আব্বাজি?
ফাহাদ: এটার কাহিনী অন্যদিন বলবো
আমি: এইবার যেতে হবে
ফাহাদ: আমি ফোনে সব ঠিক করে দিয়েছি, সিম মেমোরি সব দিয়া আছে।।
আমি: কেউ দেখলে কি বলবো
ফাহাদ: বলবা তোমাদের জামাই দিয়েছে
আমি: ফাজলামি রাখেন
ফাহাদ: আকদ এর আগে পর্যন্ত একটু লুকিয়ে রাখো। পরে দেখা যাবে পরের টা।।
আমি: হুমম
ফাহাদ: চলো
সে উঠলো আমি তার পিছনে গেলাম সে আমাকে দূরে দাড় করিয়ে ম্যানেজার কাছে যেয়ে সব কিছুর খরচ দিয়ে এসেছে।।
সে গাড়ি স্টার্ট দিসে এইবার আমার বেশ ফ্রী লাগছে আমি তার কাধে হাত দিয়ে যাচ্ছি নরমালি যাচ্ছি।। শপিং ব্যাগ এ রাখা ড্রেস আর ফোন গুলো তার বাইকের সামনে।।
আমার বাসার রাস্তায় সে আমাকে নামিয়ে দিল।।
আমি বাসায় যেয়ে সোজা রুমে ঢুকে গেলাম, ক্লান্ত শরীরে পায় আধা ঘন্টা শুয়ে আছি আর বিকালের কথা ভাবছি এমন সময়
খাদিজা ফোন নিয়ে এসেছে।।
খাদিজা: ভাইয়া ফোন করেছে, ও আমার কাছে ফোন দিয়ে চলে গেছে
আমি: হ্যালো
ফাহাদ: তোমাকে তো ফোন দিয়া না দিয়া এক কথাই
আমি: আমি ভুলে গেছিলাম
ফাহাদ: ঠিক আছে, কি করছ?
আমি: শুয়ে আছি
ফাহাদ: ভাবছো?
আমি: কি?
ফাহাদ: দিনের কথা গুলো
আমি: (অস্বীকার করে দিলাম) না
ফাহাদ: লায়ার
আমি: পড়তে বসবো রাখছি
ফাহাদ: রাতে ফোন দিও।।
আমি লাইন কেটে দিলাম।।
রাতে পড়া শেষ করে টেবিলে খাবার রাখা ছিল খেতে গেসি, বাড়ির সবাই আমাকে কেমন একা করে দিয়েছে, বাবা চান আমি সারাদিন বইয়ের ভিতর ডুবে থাকি, পড়তে পড়তে পাগল হয়ে মরে গেলেও কবরের ভিতর বই দিয়ে এসে বলবে, আয়েশা পড়া রেখে আরাম করে ঘুমাচ্ছো? যাও খেয়ে পড়তে বসো, সবাই আমাকে এলিয়েন বানিয়ে দিচ্ছে।।
বুবু আমার পিছনে দাঁড়িয়ে বলছে
বুবু: কই গেছিলি? (রেগে রেগে বলল)
আমি: বন্ধুদের সাথে
বুবু: তারপর?
আমি: ঘুরেছি
বুবু: তারপর
আমি: খেয়েছি
বুবু: আর?
আমি: ধুর যা কি শুরু করছ?
বুবু: বন্ধুরা কি আজ কাল জামা ফোন ও গিফট করে?
তারমানে বুবু সব দেখে ফেলেছে, সর্বনাশ।। আমি তারাতারি খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে বুবুকে আমার রুমে নিয়ে দরজা আটকে দিলাম।।
আমি: উফফ বুবু তুমি এত বোকা কেন? দেয়ালের ও কান আছে।।
বুবু: এইবার সব সাফ সাফ বল, না হয় তোর খবর আছে।।
আমি: বলছি বলছি তার আগে একটা কথা বল
বুবু: কি?
আমি: আমার এই বিয়ের কথা বাসায় কে বলেছিল
বুবু: রনি
আমি: রনি ভাই এই কাজ টা আমার সাথে করতে পারলো?
বুবু: কি ?
আমি: এইযে এত অল্প বয়সে বিয়ে সাদি
বুবু: আসল কথায় আয়, এইসব কে দিয়েছে সত্যি সত্যি বল আইশী, দেখ তোর আর 1মাস পরে আকদ আর তুই এখন এইসব কি শুরু করলি? তুই তো এমন ছিলি না, কোন ছেলের সাথে প্রেম করছিস, কার সাথে ঘুরলি সারাদিন? বাড়ির মান সম্মান কি রাখবি না তুই?
আমি: (এইবার বিরক্ত হয়ে বললাম) বুবু প্লিজ চুপ কর আমাকে বলতে দাও
বুবু: আর কি বলবি তুই? অন্য ছেলেকে পছন্দ করিস? এই বিয়ে করতে পারবি না? আমরা ফাহাদকে কি জবাব দিব, ছেলেটা কত ভালো তার ফ্যামিলি ব্রেকগ্রুন্ড সব দিক থেকেই পারফেক্ট….
আমি: (এইবার আর সহ্য না করেই বললাম) ফাহাদ এসেছিল?
বুবু: (কিছুক্ষন চুপ থেকে) তুই নিজের দোষ ঢাকবার জন্য ওকে দোষ দিয়েছিস এখন
আমি বুবু র কথা পাত্তা না দিয়ে আমি ফোন টা হাতে নিয়ে আম্মুর ফোন থেকে নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম, ফোন স্পিকারে দিলাম
ফাহাদ: বাহ বাহ আমার মেডাম জী তাহলে আমার কথা মনে রেখেছ, খুব মনে পড়ছিল? আমিও আসার পর থেকে ভুলতে পারছি না বার বার তোমার কাছে যেতে ইচ্ছা করছে তোমাকে আর একবার আগের মত জড়িয়ে ধরতে, তোমার পাশে বসে থাকতে।।
মান সম্মান আর রাখলো না, বুবু লজ্জায় মুখ পিছন দিকে ফিরিয়ে নিল
আমি: ভাই অফ যান
ফাহাদ: ভাই কি বাবু বল
এইবার আমার মাঠি র নিচে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে, আমি কথা ঘুরিয়ে নিলাম।।
আমি: আচ্ছা কখন বাসায় গেলেন?
ফাহাদ: 9টা বেজেছে
আমি: আচ্ছা ঘুমাবো রাখি
ফাহাদ: এখনি? মানে তোমার কোনো ফিলিংস নাই আমি এইগুলা বলছি যে
আমি: (রাখ তোর ফিলিংস মান সম্মান খেয়ে এখন ফিলিংস বুঝাস বেটা) না বাই।।
আমার এখন বুবুর চোখে চোখ রাখতেই লজ্জা লাগছে,
বুবু: হইসে লজ্জা পাওয়া লাগবেনা
আমি: বিশ্বাস হইসে?
বুবু: এইবার সব খুলে বল কি কি হয়েছে
আমি বাসা থেকে বের হওয়া থেকে বাসা আসা পর্যন্ত সব বললাম।।
বুবু আমার সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে ওর রুমে চলে গেল।। আমি আমার রুমে একাই থাকি কারণ খাদিজা আমার সাথে থাকলেই আমরা কথা কাটা কাটি লেগে যাই, তাই বুবু ওকে ওর কাছেই রাখে আমার ত ভালই আরার করে ঘুমাতে পারি।
আমি ওর দিয়া ফোন নিয়ে ফোনের সব দেখছি, বাহ এমবি ও আছে দেখা যাচ্ছে, আমি আমার পছন্দ মত কত গুলো গান আর গেইম নামিয়ে নিলাম, খাদিজাকে কোনো ভাবেই বলা যাবেনা।
সকালে অটোর জন্য দাড়িয়ে আছি একটা অটো ও নাই, কলেজের রাস্তায় তেরিবাজার মোড়ে আমার প্রাইভেট বাস ও আসছে না। এক বাস চলে গেছে না হয় কলেজ অফ।।
একটা খালি অটো আসছে।।
আমি ওইটায় উঠে পাশে ফিরে তাকাতেই দেখি পাশে একটা ছেলে, আড় চোখে সে আমাকে মাছ বাজার পর্যন্ত দেখে দেখেই গেল।।
আমি: কিছু বলবেন?
ছেলে: আপনাকে আমার খুব চিনা লাগছে।।
আমি: নেত্রকোনায় থাকি, হয়ত রাস্তা ঘাটে দেখে থাকতে পারেন।।
ছেলে হবে হয়ত।।
আমি আর কিছু বললাম না।।
2মিনিট পরে ছেলে হটাৎ বলে উঠলো
ছেলে: ওয়েট ওয়েট, আপনি কি সরকারি তে পড়েন?
আমি: জী
ছেলে: সেদিন মাঠে খেলা দেখছেন?
আমি: জী গেসিলাম
ছেলে: আপনি হয়ত আমাকে চিনতে পারছেন না আমার সাথে ওইদিন আপনি ধাক্কা খেয়ে কেদে দিয়েছিলেন।।
আমি: আপনি সেই ছেলে?
ছেলে: জী, আসলে ওইদিন খেলা ছিল যার জন্য আমি তাড়াহুড়া করছিলাম, একজন প্লেয়ার কম ছিল যার কারণে আমাকে খেলতে হয়েছে।।
আমি: ওহ।।
ছেলে: ঐদিনের জন্য আবার সরি
আমি: না ঠিক আছে তবে আপনার গায়ে অনেক জোর আমি প্রায়ই ব্যাথা অনুভব করি হাতে।।
ছেলে: আপনি চাইলে ডক্টর দেখিয়ে দিতে পারি।।
আমি: না সমস্যা নাই আমি এসে গিয়েছি বাই।।
ছেলে: অন্যদিন দেখা হলে এক কাপ কফি খাবার সুযোগ দিয়েন।।
আমি ভাড়া দিতে দিতে তাকে বললাম দেখা যাক।।
আমি প্রাইভেট কোচিং শেষ করে বাসায় চলে আসছি দুপুর বেলা আমি ফ্রী থাকি তাই গোসল করে ছাদে বসে আছি।। তার কথা ভাবছি কি করছে সকাল থেকে ফোন দিয়েছে কি না চেক ও করিনি, মামুনির সাথে কথা হচ্ছে না, আমি রুমে যেয়েই ফোন দিব।।
চলবে॥॥