Back Rose Part-09 (Season 03)

0
1259

#Back_Rose?
#The_Dark_king_of_my_kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Season_03
#Part_09( wedding special ?)

লাল টুকটুকে বৌ সেজেছে আজ মেঘ। অপরুপ সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে।
মেয়েদের বিয়ের সময় হয়তো ঠিক এতোটাই সুন্দর দেখায়৷
আজ বাসার সবাই সেজেছে। আজ যে খুশির দিন।
বাড়িটা মো মো করছে ফুলের গন্ধে সব কিছু যেন জানান দিচ্ছে আজ মেঘ আমানের বিয়ে।

ওদিকে,
–কিছুতেই কিছু হলো না৷ সত্যি রোজ তুই বড্ড ভুল করছিস। এর শাস্তি আমি তোকো একটু একটু করে দিবো।
তোর জন্য এমন কিছু অপেক্ষা করছে যা তুই স্বপ্নে কল্পনা করতে পারবি না৷
আকাশ প্রচুর রাগ নিয়ে শেরওয়ানি পরে নিলো।
এর মধ্যে আকাশের মা আসে,
–আরে আমার ছেলেকে তো আজ রাজপুত্র লাগছে কারোর নজর না লাগুক। মাস আল্লাহ ।
আকাশ কিছু বলে না শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকে।
–চল ও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে।
আকাশ রা বেরিয়ে পরে।

কাজি সাহেব
মেঘকে নিচে আনতে বলে।
মেঘকে দেখে আমান এর হার্ট বিট আটকে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় আমান সত্যি আজ মেঘকে অসাধারণ সুন্দর দেখাচ্ছে।
চোখ ফিরাতে পারছে না বৌ টার থেকে।

সম্পূর্ণ নিয়ম বিধি মেনে আমান আর মেঘের বিয়েটা সম্পন্ন হয়।
সবাই অনেক আনন্দ মজা করে।

আকাশ রোজের বিয়েতে রোজ খুশি হলেও প্রকাশ করে নি।
আর আকাশ সে তো বিয়ে করতে রাজি ই নয়।
তাও ভালো ভাবে বিয়েটা মিটে যায়।
মেঘের বাবা মা মেয়েকে বিদায় দেয়।
বুক টা তাদের সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে গেল।
এক মেয়ে তো কোথায় জানা নেই আর অন্য জনের বিয়েটা হয়ে গেল।
বাড়িতে শোকের ছায়া পড়েছে।


বাসর ঘরে মাথায় ইয়া লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছি আমি।
আমানের তো আসার নাম নেই৷
ধুর ভালো লাগে না।
হটাৎ বাইরে থেকে কেয়া, আদহাম আমানের কন্ঠ শুনতে পেলাম,
বাইরে,
–না না ভাইয়া বৌ তো সহজেই পেয়ে গেলেন কিন্তু রুমে তো সহজে ঢোকা যাবে না তার জন্য টাকা লাগবে টাকা।
–আচ্ছা বলো তোমাদের কতো টাকা লাগবে।
–বেশি না ৩০ হাজার।
–৩০ হাজার বেশি না। ?
–আরে আরো একটা কথা নো চেক শুধু ক্যাস হবে
আমান কিছু একটা চিন্তা করে মানি ব্যাগটা কেয়াকে ধরে দিলো।
–এখানে ২০ হাজার আছে বাকিটা তোলা থাকলো পরো দিবো৷ এবার তো চাবি দেও।
–আচ্ছা কেয়া দিয়ে দেও(আদহাম)
–আচ্ছা ঠিক আছে।
কেয়া চাবিটা দিয়ে আদহামকে নিয়ে চলে গেল।
আমান ভেতরে এসে দরজা টা লাগিয়ে দিলো।

বুকের ভেতর ধক ধক শব্দ বাড়তে লাগলো।
এমন হয় বুঝি৷
প্রেম করছি তো ২ মাস তাও কেমন নতুন নতুন লাগছে৷
আমান মেঘের কাছে গিয়ে একটা বাসন্তি শাড়ি ধরিয়ে দেয়,
–যাও ফ্রেস হয়ে এই ময়দা গুলো উঠিয়ে আনো।।
আমি ঘোমটা তুলো বললাম,
–কই একটু তারিফ করবেন তা না ময়দা বলছেন।
–দেখ মেঘ আমার বৌ না এমনি সুন্দর সুতরাং এসবের দরকার নাই যাও।
–হু যাচ্ছি।
মেঘ চলে যায় আমান হাসতে থাকে।
কিছু সময় পর মেঘ এক দম ক্লিন হয়ে বের হয়।
আমান এবার মেঘকে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড় করায়।
–দেখতো এখন কতো সুন্দর দেখাচ্ছে।
–তাই নাকি।
–হু।
কিছু দেবার আছে।
–কি৷
আমান মেঘকে একটা লকেট শুদ্দ চেইন পরিয়ে দেয়।
–মেঘ এটা সোনার চেইন মাঝে এই বড়ো পাথর টা তুমি কখনো হারাতে পারবা না নিজের থেকে।
জদি কখনো হারায় তাহলে বুঝবা আমি হারিয়ে গেছি।
আমানের হারাবার কথা শুনে মেঘ আমানের মুখটা ধরে বসে।
–এমন বলবেন না।
–এটা তুমি সব সময় কাছে রাখবে কথা দেও৷
–কথা দিলাম।
আমান মেঘকে জড়িয়ে নেয়।
–তোমার ঔষধ বন্ধ করে দিছি জান তোমাকে আমার হয়েই থাকতে হবে। সারা জীবন আমার কাছেই থাকবা তুমি তার জন্য তোমার অতীত এর সাথে আমার যুদ্ধ করতে হয় আমি করবো মনে,মনে।
–আমান।
–হু৷
–ছাড়ুন।
–ছাড়বার জন্য তো ধরি নি সুইটহার্ট।
–মানে৷
–মানে হলো।
(আপনাদের যেনে লাভ নাই বাকি টা ইতিহাস)

বধু বেশে বসে আছে রোজ রাত বাজে ২ টা আকাশ এখনো ঘরে আসে নি।
প্রচুর ক্লান্ত মেয়েটা তারপরও আকাশের জন্য অপেক্ষা করছে সে।
আর আকাশ ছাঁদে দাঁড়িয়ে একের পর এক স্মোক করছে।
মেঘের কষ্ট টা আজ ভুলতে পারছে না রোজকে তার মেরে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
সব ভেবে হাতের সিগারেট টা ফেলে রুমে আসে।
রুমে এসে রোজকে বৌ সেজে বসে থাকতে দেখে প্রচুর রাগ হয় তার।
এক টানে রোজকে ফেলে দেয় বিছনা থেকে।
ঘটনা চক্রে রোজ কিছুই বুঝে উঠার আগে আকাশ বলে,
–তুই আমার স্ত্রী এর অধিকার পাবি না রোজ চুপচাপ তুই আমার থেকে দুরে থাকবি জাস্ট দুরে।
একি বিছনায় কখনো না।
রোজ কিছু বলে না ফ্রেস হয়ে একটা নরম কাপড় পরে সোফায় শুয়ে পরে।
মেয়েটার চুপচাপ সব কিছু মাথা পেতে নেওয়া দেখে আকাশের কিছুটা মায়া হয়৷

চলবে,