Black Rose Part-02 (Season-02)

0
1927

#Black_Rose
#Season_02
#The_Dark_Prince_of_vampire_kingdom♚
#Megh_La
#Part_09

অনেক সময় পানিতে থাকার পর আদ্রিজা এক সময় হাত পা ছুটাছুটি বন্ধ করে দেয়৷
তলিয়ে যেতে থাকে।
তখন আদ্রিয়ানের হুস ফিরে পানিতে ঝাপ দিয়ে আদ্রিজার হাত ধরে উপরে তোলে৷
আদ্রিজা আবার সেন্স হারিয়েছে।
আদ্রিজাকে রুমে নিয়ে গিয়ে কাপড় পাল্টে দেয়৷
আদ্রিয়ানের অধিকার যেটা সে ফলাতে চায় নি আদ্রিজার অনুমতি ছাড়া কিন্তু আদ্রিজা তার কাজে আজ আদ্রিয়ানকে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত করে তুলেছে৷
কাপড় পাল্টে বিছনায় শুইয়ে দেয় আদ্রিজাকে৷
মলিন হয়ে আছে মুখটা ময়াবতি আজ খুব ক্লান্ত। মুখের অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে৷
হয়তো কিছু খায় নি দিন ভর৷
–কেন এমন করলি বলনা কষ্ট হয় তো আমার সত্যি তুই আমাকে রেখে যেতে পারলি৷
আমি যে এতো ভালোবাসি এই ভালোবাসার দাম দিলি না আদ্রিজা৷
সত্যি আমি পারি নি তোকে ভালোবাসতে৷
আদ্রিয়ান আদ্রিজার হাত ধরে ওর পাশেই ঘুমিয়ে পরে৷


প্লান A ধরা খেয়েছে৷ কিন্তু B না৷
king এখনো এটা বিশ্বাস করেছে আদ্রিজার সাথে আমার রিলেশন ছিলো।
বদলা আমি নিয়ে ছাড়বো।
বাবাকে দেওয়া প্রতিটা কষ্টের মূল্য চোকাতে হবে।


সকালে,
প্রথম রোদ জানালার কাচ ভেদ করে চোখে পরতে আমার ঘুম ভেঙে যায়৷
ঘুম ভাঙতে নিজের উপর কিছু একটার ভর অনুভব করছি৷
চোখ মেলার শক্তি টা পাচ্ছি না শরীরে অসম্ভব ক্লান্তি ভর করেছে৷ ।
এক রক্তি নরার অবস্থা নাই আমার৷
তাও একটু চেষ্টা করলাম৷
চোখ খুলে দেখি আদ্রিয়ান ভাইয়া আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছে যেন ছেড়ে দিলে আমি চলে যাবো৷
হালকা নড়ে উঠলাম আমি৷
আমাকে নড়তে দেখে ভাইয়া উঠে গেল।
–কি হইছে।
–কিছু না (অনেক আস্তে)
–হু কি বা হবে কাল তোরা বিয়ে করতি আমি সেটা হতে দেয় নি অনেক রেগে আছিস তাই তো৷
–কি বলছেন এগুলা উনি আমাকে,
–চুপ কর আর কিছু বলিস না জাস্ট কিছু না৷
বলেই উঠে বাথরুম চলে গেল৷
নিজেকে সামলে উঠে পরি আধ শোয়া হয়ে বিছনায় শুয়ে পরি।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি আমার রুম নয় আদ্রিয়ান ভাইয়ার রুম৷
কল কি হইছিলো আমার সাথে সেন্স হারাবার পর কিছুই মনে নাই।
আমি তো বেনারসি পরা ছিলাম এগুলা কে পরালো৷
ভাইয়া আমাকে ভুল বুঝতেছে৷ আমি কি করবো এখন৷
আমরা যেহেতু এক রুমে সেহেতু বিয়েটা হয়ে গেছেন আচ্ছা বাবাই আর মাম্মাম ও কি আমাকে বিশ্বাস করবে না৷
হে আল্লাহ আমার কোন পরিক্ষা নিচ্ছো।

কিছু সময় পর নিজে উঠার চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না৷
কোন ভাবেই হচ্ছে না৷
উফ অনেক দূর্বল আমি৷
ক্লান্ত হয়ে পেছনে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলাম৷
এমন সময় বাইরে এলো আদ্রিয়ান ভাইয়া৷
গোসল করে এসেছে৷
ট্রাউজার পরা ঘাড়ে টাওয়াল মাথা মুছতে মুছতে বের হচ্ছে৷
কাউকে গোসল করে বার হলে এতো সুন্দর দেখায় জানতাম না এনাকে না দেখলে।
–হা করে তাকিয়ে আছিস কেন৷
ভাইয়ার কথা শুনে চোখ নামিয়ে নিলাম৷
–আদ্রিয়ান৷ (তোবা)
–মাম্মাম আসছি।
আদ্রিয়ান ভাইয়া গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
–আদ্রিজা কাল সারা দিন তুই খাস নি কিছু তোর মনি এক দম ভুলে গেছে সরি মা আমি সত্যি রাতে এক দম ভুলে গেছিলাম।
খাবার নিয়ে এসেছে মনি
— আর খুদা পেটে থাকতে হবে না।
মনি নিজেই কথা গুলো বলে আমার পাশে বসে আমার মুখে খাবার তুলে দিলো৷
আমি খেয়ে নিচ্ছি৷
–বলি হয় তোকে আদ্রিয়ান তুই তো একটু মনে করবি৷
–মাম্মাম যে আমাকে রেখে চলে যেতে পারে অন্য কারোর হাত ধরে তার জন্য আমার মন আসে না৷
ভাইয়ার কথা শুনে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল৷
–আদ্রিয়ান তুমি বেশি বলছো৷
–ভালো তো মেয়েকে খাওয়াও আরো বড়ো করো দেখ এবার নিউজ হয় নাকি৷
আদ্রিয়ান খানের স্ত্রী পালিয়েছে অন্য এক ছেলের সাথে।
বলেই তাচ্ছিল্য হসি দিলো।
–আদ্রিয়ান অনেক শুনছি এখন এখান থেকে যাও৷
আমার চোখ দিয়ে অনাবরত পানি পরছে।
ওনার কথা শুনে৷
মনির বকা শুনে উনি বার হয়ে গেল ঘর থেকে।
–মনি তুমিও কি মানো আমি
–আদ্রিজা খেয়ে নে মা এসব নিয়ে ভাবিস না৷
–মাম্মাম কই৷
–সবাই আছে তুই খেয়ে নে৷ একটু রেগে আছে রাগ পরলে সবার সাথে দেখা করিস মা এখন রুমে থাক৷ নাইলে সবার কটু কথা শুনতে হবে৷
মনির কথা শুনে মনিকে জরিয়ে ধরলাম আমি
আার কাঁদতে থাকি।
যে দোষ আমি করি নাই তারি শাস্তি ভোগ করছি।ভাগ্য কতো নিষ্ঠুর হবে আমার সাথে৷
আমার দম আটকে আসছে এবার আর পারছি না৷
চলবে,