Black Rose Part-07 (Season-02)

0
2008

#Black_Rose
#Season_02
#The_Dark_prince_of_vampire_kingdom♚
#Megh_La
#Part_07

(গল্পে প্রমের দৃশ্য ফুটে উঠছে এমন মনে হচ্ছে। গল্পটা ইগনোর করুন।
ধন্যবাদ)
–আদ্রিজা মা দরজা খোল৷
–মনি আসছি।
এক হাতে চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুল্লাম।
–কিরে ঘুম ছিলি৷
–হুম মনি ঘুম ছিলাম৷
ভেতরে এসো।
আমি খাটে বসলাম মনি পাশে।
–মা তুই অনেক অভিমান করেছিস তাই না। –কেন মনি।
–কেন আবার এই যে জোর করে তোর উপর ভাইয়া মেঘ যেটা চাপায় দিলো৷
–মনি ভালো লাগছে না এগুলা বলো না৷
বলেই মনির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরলাম।
–একটু বিলি কেটে দেও না৷
মনি বিলি কেটে দিচ্ছে।
এমন সময় আমি আবার ঘুমিয়ে পরলাম৷
–দেখ মেয়ের কাজ আবার ঘুমলো৷
আল্লাহ সব ঠিক করে দেও৷


রাতে খাবার শেষে সবাই যে যার ঘরে চলে এলো
আমিও রুমে এসে বসে আছি৷ অনেক ঘুম হইছে দিনে। তাই এখন ঘুম আসছে না৷
আমার রুমের জানালাটা অনেক বড়ো। খাদ করা আছে ওখানে বসে থাকা যায়৷
বাইরের মিষ্টি বাতাস আসে।
আমরা দোতালায় থাকি৷
এখান থেকে চাঁদ উঠলে বেশ সুন্দর দেখা যায়৷
আমি বসে বসে চাঁদ দেখছি৷
কাল কি করবো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না৷
আমার সাথে বিগত দিন গুলো তে ঠিক কি কি হচ্ছে সেটা খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝতে।
–উফ আর ভালো লাগে না৷
–কি ভালো লাগে না৷
আদ্রিয়ান ভাইয়া৷ এই রাত বিরাতে চলে আসে কেন৷
–কি হলো বল।
–কিছু না এমনি।
–ঘুম আসছে না।
–না।
–আমার কথা ভাবছিলি বুঝি৷
–কেন?
–কেন আবার কাল যে ঘুরতে যাবো৷
–ভাইয়া আমার কিছু প্রশ্ন আছে৷
–কি বল।
–আপনি আমার সাথে এমন কেন করেছেন৷
–কি করেছি৷
–আপনি বাবাইকে কি বলেছেন যার জন্য মাম্মাম আমাকে বকা দিছে আপনার সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।
–তুই যে অন্যায় গুলো করেছিস তাই আমিও একটু অন্যায় করলাম৷
–উফ শুধু বলেই জান অন্যায় অন্যায় অন্যায়।
কি অন্যায় করেছি আজ আপনি বলুন আমাকে৷
আমার কথা শুনে আদ্রিয়ান ভাইয়া রেগে গেলেন৷
আমার হাত ধরে টেনে তুলে দেয়ালে চেপে ধরলেন৷
–তুই খুব ভালো করে জানিস তুই কি করেছিস৷ ভালো মানুষের মুখোশ সবাই বিশ্বাস করতে পারে আমি না৷
–ভাইয়া লাগছে(কাঁদো শুরে)
–লাগবে তো আমার যে ২ টা বছর লেগেছে তার বেলায়৷
–কি লেগেছে বলবেন প্লিজ৷
আমার কথা শুনে উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছনায় ফেলে দিলো৷
আর হন হন করে চলে গেল৷
–সব সময় এমন করে কি করেছি টা আমি৷
দোষটা কি আমার প্লিজ কেউ বলো আমাকে৷
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যাই আমি,
।।

সকালে,
ঠিক ৭ঃ০১ মিনিটে এলাম বেজে ওঠে।
উঠে এলাম বন্ধ করি। কি ব্যাপার আমি তো এলাম দেয় নি৷
আদ্র আমাকে যেতে বলেছিলো সেটাও হলো না৷
–আদ্রিজা৷
–জি মনি৷
–দরজা খুলো৷
আজব কাল তো কাঁদতে কাঁদতে ঘুমলাম দরজা বন্ধ কে করলো৷
উফ আমার লাইফটাই রহস্য৷
–আসি মনি৷
আমি দরজা খুলে দিলাম৷
–এটা কি মনি৷
–এটা একটা সারি৷
যা ফ্রেস হয়ে আয় পরিয়ে দিবো।
–কেন?
–যা তুই।
ওহ মনে পরেছে আজ তো আদ্রিয়ান ভাইয়ার সাথে যাবার কথা৷
আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসি৷
মনি ডার্ক ব্লু কালারের একটা সারি পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়৷
–আরে আমার মাকে তো চেনাই যাচ্ছে না৷
–আদ্রিজা।
–মাম্মাম৷
–তুমি যাচ্ছো আদ্রিয়ানকে কষ্ট দিয় না আমি এই টুকু তোমার থেকে আসা করতে পারি৷
–মাম্মাম তুমি (কাঁদো শুরে)
–মেঘ তোকে মাইর দিবো দিন দিন মেয়েটাকে বকতে বকতে তোর লোভ হয়ে গেছে৷
–আপু এটা বকা নয় যা সত্যি বললাম৷
তোমার মেয়েকে বুঝিয়ে দিও৷
মাম্মাম কথা গুলো বলেই চলে গেল৷
এদিয়ে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো আমার৷
–আদ্রিজা বাচ্চা নাকি কাঁদিস কেন সোনা৷
সব ঠিক হয়ে যাবে কাঁদিস না পাগল৷
মনি চোখ মুছিয়ে সব ঠিক করে দিলো৷
তার পর আমি আদ্রিয়ান ভাইয়া বেরিয়ে পড়লাম৷
আমি বাইরের দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছি ।
কিছু সময় গাড়ি চলার পর থামলো একটা নদীর পারে,
এক পাশে কাস বন৷
সূর্য উঠে গেছে।
অন্য পাশে ছাউনি তৈরি করা৷
–আদ্রিজা৷
–জি।
–দেখতে পাচ্ছিস এই নদীর স্রোত। এই স্রোতের মতো করেই সব স্বপ্ন আমার ভেসে গেছে৷
ওনার কথায় মিশ্রিত মায়া আর দুঃখ আমার ভেতরটা ভেঙে দিচ্ছে।
–কি করেছি আমি৷
–হাসালি আমাকে৷


ভাইয়া সেদিনও আমাকে কিছু বলে নি।
তার এই নিরবতা আমাকে কষ্ট দেয়৷
কেন বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছি আমি৷
কথায় কথায় হার্ট করে৷
আমাকে।
এভাবে কেটেছে দিন,
আজ আমাদের বিয়ে এই দুই দিনে ভাইয়া অমাকে অনেক কষ্ট দিছে।
যা নয় তাই বলে অপমান করেছে।
কথা হচ্ছে আমি কি করে এই মানুষটার সাথে জীবন কাটাবো যে কিনা আমাকে সহ্যই করতে পারছে না৷
ভারী বেনারসী আর গয়না পরে বসে আছি৷
মনটা ভালো না আমি আর কখনো আদ্রকে আমার আসে পাশে ফিল করি নাই৷ সেই দিনের পর থেকে।
গলাটা কেমন শুকিয়ে আসছে একটু পানি দরকার৷ তাই পাশে থাকা গ্লাস থেকে একটু পানি খেয়ে নিলাম৷
কেমন মাথা ঘুরছে।
কিন্তু কেন৷
–ম.ম…মনি৷
বলে শেষ করার আগেই আদ্রিজা সেন্স হারায়৷



–বাবাই ওকে কোথাও পাচ্ছি না বাবাই প্লিজ হেল্প করো।
চলবে,