#Black_Rose
#season_02
#The_Dark_Prince_of_vampire_kingdom♚
#Megh_La
#Part_08[extra]
–বাবাই ও কোথায় কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। (আদ্রিয়ান)
–আমান তুমি আমার মেয়েকে এনে দেও।
মেঘ কান্নায় ভেঙে পড়ছে৷
এক মাত্র কলিজার টুকরা সে নেই৷ কোথায় গেছে কোন খোঁজ নাই৷
–আমান ভাইয়া পুরো বাসা খোঁজা হলো কোথাও নেই আপনারা বাইরে বেরোন খুঁজতে (তোবা)
–আমান আমার মেয়কে এনে দেও আমান।
(মেঘ)
–কেঁদো না বড়ো মা। বাবাই চলো আমি জানি মেঘ কোথায়। (আদ্রিয়ান)
–কোথায়৷
–আগে চলুন।
আদ্রিয়ান, আমান, আহম্মেদ বের হলো মেঘকে খুঁজতে৷
।
কিছুক্ষণ আগে,
আদ্রিজাকে নিচে আনতে তোবা উপরে যায়৷
বিয়েটা এক দম ঘরোয়া ভাবে হচ্ছে। কোন মেহমান নাই শুধু কাজি আর বাসার লোক জন৷ মেয়ের বিয়ে তাই সবাই সাজুগুজু করেছে৷ বাসার এক মাত্র মেয়ে বলে কথা৷
তোবা ঘরে এসে মেয়েকে না পেয়ে সারা বাড়ি খুঁজে কিন্তু ফলাফল শুন্য। ।
।
।
চোখ খুলতে নিজেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পায়৷
খাওয়া দাওয়া হয় নি তার উপর এমন একটা অবস্থা শরীর টা অনেক ক্লান্ত।
আর চলছে না৷
–আদ্রিজা তুমি উঠেছো।
হটাৎ আদ্রের কন্ঠ শুনে ওনার দিকে তাকায় আমি৷
খুব বেশি সুবিধার লাগছে না আমার কাছে৷ এনাকে।
–আপনি আমাকে এখানে কেন এনেছেন বাসায় যাবো আমি৷
–তা বললে তো হয় না আমাদের বিয়ে আজকে৷
–কি বলছেন আপনি এগুলা বিয়ে মানে ছাড়ুন আমাকে৷
–আরে জান কি যে বলো না৷
(আমার দিকে এগোতে এগোতে)
–খবরদার কাছে আসবে না বলে দিলাম৷
–আমি আসবো না তো কে যাবে।
–আপনাকে আমি ভালো ভেবেছিলাম আর আপনি৷
–হা হা ২০ বছরের সাজানো প্লান আদ্রিজা ২০ বছর আজ নাম পেতে চলেছে তুমি কি যে বলো না৷
–আমি এক বার ছাড়া পাই আপনাকে দেখে নিবো৷ (চিৎকার করে)
–এই গলা নামিয়ে কথা বলো এটা তোর বাবার বাসা নয়৷
জানু তোমার বাবার থেকে আমার বাবকে মারা সোধ নিতে হবে তো৷ তাই তো এতো দিন ধরে সব প্লান করেছি৷
–মানে কি।
–শুন তবে,
আমার বাবা আকাশ তাকে তোমার বাবা মেরে ফেলেছে সেই শোধ নিতে আমি এসেছি৷ প্রথমে তোমার এক্সিডেন্ট করাই আমি তার পর আদ্রিয়ানকে বুঝায় তুমি আমার সাথে রিলেশন এ আছো৷
ও বিশ্বাস করে কারন তুমি কথা বলতে না ওর সাথে আর,
তোমার মা বাবা মানি চাচু কেউ ওকে তোমার এক্সিডেন্ট এর কথা জানায় নি কারন সে একা থাকতো তাই৷
তার পর তোমার মনে জায়গা করেছি আমি৷
এখন অবশ্য আর লাগবে না সেই জায়গা তোমার আদ্রিয়ান খুব ভালো করে বুঝে গেছে তুমি আমার সাথে পালিয়েছো৷
বলেই হো হো করে হেসে দিলো আদ্র৷
–ছি এতো নিচ আপনি আপনার মুখ দেখতে আমার ঘৃণা হচ্ছে ঘৃণা।
–আদ্রিয়ান এটা তোমার বাবার রাজ্য নয় সেটা ভুলে যেও না৷
–আমার বাবা কারোর খুন করতে পারে না আপমি মিথ্যা বলছেন৷
–পারে ১০০ বার পারে তুই জানিস আমার বাবাকে তোর বাবা মেরেছে৷
–ছাড়ুন আমাকে আপনাকে আমি পুলিশে দিবো। (আবারো চিৎকার করে)
এবার চিৎকার শুনে আদ্র আমাকে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলো৷
মূহুর্তের মধ্যে সব কিছু ঝাপসা হয়ে আসতে লাগলো৷
পুরো অন্ধকার সব৷
।
।
সেন্স লেস আদ্রিয়ানকে নিয়েই বিয়ে পরাতে শুরু করেছে আদ্র৷
কাজি অর্ধেক পরতে না পরতে আদ্রিয়ান হাজির৷
–আদ্র এক দম নড়াচড়া করবে না চুপচাপ আদ্রিজাকে আমার কাছে দিয়ে দেও৷
–তোমরা এখানে কি করে এলে৷
–ভুলে যাচ্ছো vampire king আমান খানের মেয়েকে নিয়ে খেলছো তুমি আদ্র৷
আদ্র আমানকে দেখে ভয় পেয়ে যায়৷ । আমানের ক্ষমতা সম্পর্কে সে ভালো করে অবগত৷
— king আসলে,
আমরা দু’জন দু’জনকে ভালোবাসি৷
–ভালোবাসা মাই ফুট আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠো৷
আদ্রের সমস্ত প্লানে পানি ফেলে দিলো আমান৷
আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে৷ আর সে আদ্রিজার সেন্স লেস অবস্থায় বিয়ে করে নেয় ওকে৷
আজ প্রচুর রেগে আছে আদ্রিয়ান৷ যেটার কারন হিসেবে সে আদ্রিজাকে ব্লেম করছে৷
আজো সে আসল সত্যি জানে না৷
–আদ্রিয়ান এটা ঠিক হচ্ছে না আমার মেয়েটা অসুস্থ মনে হচ্ছে। (তোবা)
–মাম্মাম ও পালিয়ে যাবার সময় সুস্থ ছিলো না৷ প্লিজ আমাকে আমার কাজ করতে দেও৷
বিয়ে পড়ানো শেষ হলো কেউ আদ্রিয়ানকে বাঁধা দিতে পারলো না।
আমান বা মেঘের আজ কিছুই বলার নাই।
তারা সবাই ধরে নিছে আদ্রিজা সত্যি পালিয়ে ছিলো৷
।
।
।
বিয়ে সম্পন্ন হলে আদ্রিয়ান আদ্রিজাকে এনে সোজা তার রুমের সাথে থাকা সুইমিং পুলে ফেলে দেয়৷
কানে নাক মুখে পানি পরায় আদ্রিজার সেন্স আসে।
সাতার জানে না সে হাত পা ছুটাছুটি শুরু করে৷
এমন করে ১ মিনিট পানি খাওয়ার পরও আদ্রিয়ানের রাগ কমে না সে আদ্রিজাকে ওভাবে দেখে যেন শান্তি পাচ্ছে।
।
চলেব,
(বানান ভুল হতে পারে তার জন্য সরি)