Black Rose Part-11 (Season-02)

0
2360

#Black_Rose
#Season_02
#The_Dark_Prince_of_vampire_kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#part_11

–আদ্রিজা এখনো সেই আগের মতোই আছে ওরে নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরলাম আমি আর ও ঘুমিয়েই আছ?

সকালে,
মিষ্টি রোদ মুখে পরতে ঘুমটা ভেঙে গেল৷
–ধুর রোদ টাও শত্রুতা করে৷
–আমার জানুর সাথে কে শত্রুতা করছে৷
আদ্রিয়ান ভাইয়ার এমন কথা শুনে এক লাফে শোয়া থেকে উঠে বসলাম৷
এক মিনিট আমি তো কোথায় যেন ছিলাম এখানে কি করে৷
এটা কোথায়৷
–এটা কোথায়, কার বাড়ি, কার সংসার?
–এতো প্রশ্ন এক সাথে করলে উত্তর দিবো কি করে৷
যাও ফ্রেস হয়ে এসো খাবার দিচ্ছি আমি রান্না করেছি৷
–মানে
ভাইয়া আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার মুখে হাত দিলেন৷
–সরি জান তোরে অনেক কষ্ট দিছি আমি আমাকে ক্ষমা করে দে৷ ।
কাল সব সত্যি উদঘাটন হইছে।
–(ও এই ব্যাপার এতো সহজে মানতাম? আসল আদ্রিজার রুপ টা দেখবা না)
ছাড়ুন আমাকে।
–কেন৷
–i say leave me.
–cool down.
–cool down এর খাতায় আগুন আমাকে বাসায় নিয়ে চলুন৷
–মানে
–বাসায় যাবো বুঝেন নি কথা এটা কই আমাকে বাসায় নিয়ে চলুন৷
–দেখ আদ্রিজা৷
–এক দম কথা বলবে না আমাকে ছোবার তো চেষ্টা ও করবেন না চুপচাপ বাসায় নিয়ে চলুন আমাকে৷
–ওক চলো৷
–(এই টুকুতে এই অবস্থা কালে কালে দেখ হোতাহে কেয়া)
আদ্রিয়ান ভাইয়া আমাকে নিয়ে গাড়িতে বসলেন৷
আমি পেছনে উনি সামনে৷
–সবাই আমাকে ড্রাইভার ভাব্বে।
–তো আমি কি করবো৷ আপনার সাথে এক জায়গায় বসতে পারবো না৷ even বাসায় যেয়ে আপনার যাতে আমার মুখ না দেখতে হয় সে ব্যাবস্থা করবো আমি৷
–এভাবে বলো না৷.
–আপনার কষ্ট হলে আমাকে বলুন রাস্তা আমি ড্রাইভ করছি৷
আমার কথা শুনে আদ্রিয়ান ভাইয়া ভেজা বিড়ালের মতো গাড়ি চালাতে শুরু করলো৷
কাউকে ক্ষমা করবো না৷
মাম্মাম পাপা কাউকে না৷
অনেক হইছে আমি যা সহ্য করছি৷ একটু বুঝুক ওরাও৷
কতো বলেছি আমি কিছু করি নাই৷
সালা এবার ১০০ টা প্রেম করুম দাঁড়া।

প্রায় ২ ঘন্টা গাড়ি চলার পর আমরা পৌছালাম বাসায়৷
বাসায় এসে আমি ভেতরে গিয়ে দেখি মনি, মাম্মাম আর বাবাই বসে আছে৷
মাম্মাম আমাকে দেখে হেসে দিলেন৷
আমি চোখ ঘুরিয়ে মনিকে সালাম দিয়ে রুমে চলে এলাম৷
কারোর সাথে কথা নেই৷

বাইরে,
–কিরে আদ্রিয়ান এতো জলদি চলে এলি।
–বড়ো মা তোমার মেয়ে
(পূর্বে হওয়া ঘটনা বললো)
–আপু অনেক অভিমান করেছে এবার কি হবে৷ (মেঘ)
–তোমার জন্য হইছে সব৷ (আমান)
–আমান তুমি আমাকে দোষ দিচ্ছো৷
–তা কি করবো আমার মেয়েকে তুমি অনেক বকছো এখন বুঝ ঠেলা৷
–বাহ কি শান্তি৷
–এই তোমার থাম৷ (তোবা)
–বাট আপু
–চুপ দোষ তোদের সবার এখন তোরা মিটা৷
আর আদ্রিয়ান আমার মেয়ে না চাইলে ওর কাছে তুই ঘেঁষলে খবর আছে৷
তোবা চলে গেল৷

–এবার কি হবে (৩ জন এক সাথে বলে উঠলো কথাটা)



রুমে এসে লম্বা সাওয়ার নিয়ে বাইরে বেরোলাম৷
রুহিকে একটা ফোন দি৷
–হ্যালো রুহি৷
–হ্যা আদ্রিজা বল৷
–আজ বাইরে যাবো। লেট নাইট পার্টি৷ এন্ড ফুল ফান৷ +১০০ টা প্রেম।
–কি!
–কি আবার শুনলি না৷
–শুনলাম তো কিন্তু বুঝলাম না রে৷
–আচ্ছা তোর বুঝা লাগবে না বিকাল ৪ টায় বের হোস আমি আসবো ওকে৷
বলেই ফোন কেটে দিলাম৷
খেলা তো এবার শুরু৷


বিকালে,
–আমান মেয়েটা এতো রেগে আছে দুপুরে নিজের ঘরে খাবার খাইছে৷
–বড়ো মা একটা বার কথা তো দুরে থাক মুখটা তাই দেখতে পারলাম না৷ (আদ্রিয়ান)
–ভালো হইছে আরো কর আমার মেয়েকে সন্দেহ। (তোবা)
সবার কথার মাঝে হটাৎ সিঁড়ি দিয়ে কারোর নামার শব্দ পেয়ে সবাই সিড়ির দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেল৷
আদ্রিজা নামছে ফুল ব্লাক।
ব্লাক গেঞ্জি উপরে কোর্ট।
ব্লাক প্যান্ট। চুল গুলা ছাড়া। হাতে ব্লাক ঘড়ি৷
এ জেন এক ব্লাক Queen.
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে৷
আদ্রিজাকে এভাবে দেখে আদ্রের বুকে ব্যাথা শুরু হইছে।
–মনি বাইরে যাচ্ছি ফিরতে লেট হবে৷
–কিন্তু কই যাচ্ছিস (মেঘ)
–মনি বলে দেও তাদের যারা প্রশ্ন করছে৷
আমি কাউকে উত্তর দিতে বাদ্ধ নই । তোমাকে বলাই যথেষ্ট৷
বলেই বেরিয়ে এলাম৷
আমি জানি বাবাই গার্ড দিবে সাথে এটা আমি না চাইলেও৷
বাইরে এসে দেখি গার্ড রা সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি গাড়িতে উঠে বসলাম।
পেছনে ওরা গাড়ি নিয়ে আসতেছে।
–সত্যি আজ কি এমন হবার কথা ছিলো৷
সব কিছুই বলদে গেছে৷
কেন একটু বিশ্বাস করলে না কেউ৷
আমি কি একটু বিশ্বাসের যোগ্য ছিলাম না।এটাই সময় সবাইকে তার ভুলের মাসুল দিতে হবে। হুহ৷

চলবে,