Black Rose Part_05

0
2322

#Black_Rose
#The_Dark_Prince_of_vampire_kingdom♚
#Megh_La
#Part_05

(কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পে নিজের মনের মতো ভষার ব্যাবহার না পেলে। প্রেমের দৃশ্য ফুটে ওঠে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করবেন। ধন্যবাদ)
রাস্তা নিস্তব্ধ ছিলাম সবাই হাসি মজা করছিলো শুধু আমি কোন কথা বলি নাই।
মনটা অনেক খারাপ কালকের কথা ভাবলে আমার কান্না পাচ্ছে।
কিছু সময় পর আমার বাসায় পৌছে যায়।
মা বাবা জামাই দের পেয়ে অনেক খুশি।
–কিরে মেঘ কেমন আছিস মা?
মা আমার কাছে এসে বললো।
–যেমন রাখতে চেয়েছো৷ ?
বলেই চলে এলাম রুমে৷ কষ্ট হচ্ছে খুব কষ্ট রাগ ও হচ্ছে।
আমার সাথে এতে গুলো অবিচার করে প্রশ্ন করছে কেমন আছি।
এসে বিছনায় শুয়ে পরি৷ ঘুমবো এখন আমি৷
নিচে,
–মা ওর কথায় মনে কিছু করবেন না। (আমান)
–না বাবা মনে কি করবো। আসলে এক প্রকার জোর করেই ওর উপর বিয়েটা চাপিয়ে দিছিলাম। মেয়েটা বড্ড অভিমানি।
তবে আমি জানি তুমি ওকে ভালোবাসা দিয়ে ঠিক ভুলিয়ে দিবা৷
–জী মা আমি সব চেষ্টা করবো।
–আচ্ছা এখন তোমরা ঘরে যাও রেস্ট নেও৷(মেঘের বাবা)
আমান সহ সবাই ঘরে চলে আসে।
আমান ঘরে এসে দেখে মেঘ ঘুম।
নিস্পাপ তার মুখটা। মায়াবি মায়ায় ভর পুর৷
যেন মায়া পুরি থেকে এক সুন্দর মায়াবিকে তুলে এনেছে আমান৷
কি আছে এই মেয়ের মধ্যে যা আমাকে এতো ভালোবাসতে জোর করে।
একটু কম ভালোবাসা যায় না।
কেন যায় না৷
এসব ভাবতে ভাবতে আমানের ফোন বেজে ওঠে।
ফোনটা নিয়ে মেঘের রুমের বেলকনিতে চলে আসে আমান,
–হুম বলো।
-………..
–আমান খানের সাথে পাল্টা গেম খেলার শাস্তি কি সেটা জানা আছে তো।
-…….
–তাহলে ওকে ওই ভাবে শাস্তি দেও৷
আর হ্যা আমি আমার স্ত্রী এর বাসায় এখানে আর ফোন দিবা না৷ কাজ শেষ করে এটা মেইল দিও৷

আমান ভেতরে এসে ফ্রেস হয়ে মেঘের পাশে শুয়ে পরে,
অনেকটা জার্নি হইছে। কিন্তু ক্লান্তি নাই৷ কারন vampires দের ক্লান্ত হতে নাই।
আমান সেই vampire. #the_khing_of_vampire_kingdom♔
আমান ভাবছে সেদিন ওই ঘটনা না হলে আমান মানুষের মাঝে আসতো না আর মেঘের সাথে দেখা হতো না। এভাবে থেকে যাওয়া টাও হতো না৷
(এই ঘটনাটা আমরা পরে শুনবো ?)
হটাৎ মেঘ ঘুমের মাঝে আমানকে জরিয়ে ধরে।
আমান ফিরে তাকায়৷ মেঘ ঘুম৷
মুচলি হেসে মেঘকে আরো জরিয়ে নেয়।
#The_king_of_vampires. আমান খান হিংস্রতা তার রগে রগে। সে কিনা সেদিন একটা মেয়েকে দেখে থমকে গেছিলো৷
একটা পিচ্চি মেয়ে।
আতিত,
–i will kill you. just! just ২মিনিটের ব্যাপর আমি তোকে খুঁজে বার করে আমার সমানে হিংস্র মৃত্যু দিবো নিজের হাতে। দেখিস তুই। আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করারা শাস্তি।
গার্ড।
–জী স্যার।
–i want him in 2 minutes. I say 2 minutes.
–ওকে স্যার।
গার্ড রা চলে যায়৷
ঠিক ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ড এর মাথায় ওরা ছেলেটাকে নিয়ে আমানের সামনে দাঁড় করায়।
এটা ছিলো একটা পিকনিক স্পট। মেঘ তার কলেজ থেকে পিকনিকে এসে হারিয়ে গেছে।
–ধুর বাবা এ কেমন মুছিবদ। এখন কি করি মোবাইলে নেট ও নাই।
ওই কি দেখা যায়। ওনাদের কাছে সাহায্য চাই।
আমান তার সরু দাঁত গুলো বেরোতে যাবে এমন সময়।
–ও হ্যালো মিস্টার রা৷ আসলামুওলাইকুম।
–ম্যাম আপনি কে এখান থেকে চলে জান৷
(গার্ড)
–হ্যা রে ভাই যাবার জন্য তো এসেছি দেখুন আমি হারিয়ে গেছি এই পথে আপনারা ছাড়া কেউ নাই প্লিজ হেল্প করেন।
এদিকে আমান মেঘকে দেখে ছেলেটাকে ছেড়ে দেয়। আর পলক হিন ভাবে মেঘকে খুঁটে খুঁটে দেখছে।
হাত নাড়িয়ে কথা বলছে মেয়েটি।
কখনো হাসছে কখনো রাগছে।
আমানের পুরো দুনিয়া থমকে গেছে।
লাল টুকটুকে একটা জামা পরা গাউন সিস্টেম এর৷ ঠোঁটে ডার্ক লাল লিপস্টিক।
হাতে সাদা স্টোনের চুড়ি। কানে হালকা টপ৷
আসাধারন সে রুপ। সময়টা এখানে থমকে যেত। ওকে দেখেই সারা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেত।
–এই-যে ভাই দেখুন এরা বলছে আপনি না বললে এরা হেল্প করবে না৷ দেখুন আমি অসহায়৷
–নাহ অসহায় না। নিজেকে অসহায় বলবেন না।
মেঘ ভ্রু কুচকে তাকালো।
–কি বলছেন।
–কিছু না চলুন আপনাকে আপনার সাথিদের কাছে পৌঁছে দিবে এই গাড়িটা।
–সত্যি।
–জী সত্যি।
–ধন্যবাদ।
আমান মেঘকে পাঠিয়ে দেয়৷ সেদিন আমানের মুখটা মেঘ দেখেছিলো না কারন মাক্স পরা ছিলো ওর৷
প্রথম আমান কোন বিশ্বাস ঘাতককে ছেড়ে দিলো। ইতিহাস গড়েছে মেয়েটা৷ ওর জন্য তো ছাড়লো।
সেদিনের পর থেকে মেঘের সব কিছুর খেয়াল আমান রাখে। সব সময় মেঘের সাথে থাকে।
মেঘ ফিল করতে পারে। ওকে৷ কিন্তু দেখতে পারে না।
এভাবে কাটে দিন। তার পর আমান জানতে পারে আহম্মেদ এর gf এর বোন মেঘ।
কিন্তু যখন বিয়ের দিন আমান এটা জানতে পারে মেঘ আদহামকে ভালেবাসে তখন এক প্রকার জোর করে বিয়ে করে মেঘকে।

বর্তমান,
ঘুম ভাঙতে আমার মনে হচ্ছে কেউ আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে৷
চোখ খুলতে দেখি আমান।
ঘুম মনে হয়।
ঘুমন্ত মুখটা ওর খুব বাচ্চা বাচ্চা।
বেশ কিউট লাগে। জীবনে কখনো কল্পনা করি নাই আমানকে এভাবে এতোটা কাছ থেকে দেখবো৷
মানুষ যা না ভাবে তাও হয়।
.
আহম্মেদ তোবার ঘরে,
–আচ্ছা তোবা সত্যি বলো তো মেঘ ভাইয়াকে পছন্দ কেন করে না ভাইয়া তো কোন অংশে খারাপ না৷
–আসলে তোমার থেকে কি লুকাবো মেঘ আদহামকে ভালোবাসতো।
ছেলেটা বেকার তাই যোর করে ওকে ভাইয়ার সাথে বিয়ে দি৷
–এটা ঠিক করো নাই। বেচারি খুব কষ্ট পাইছে। ওকে সময় দিতে ও এমনি বুঝতো৷
–আসলে আমি থাবো না আর।
–যাক যা হবার হইছে। ওকে বেঝাও।
–হুম বুঝাই তো কিন্তু
–ঠিক হয়ে যাবে আমার মনে হয় ভাইয়াও ওকে ভালোবাসে৷
–কি বলছো।
–হুম জানো ভাইয়ার ফোনে বা ওনার পার্সোনাল কোন জিনিসে আমি কখনো কোন মেয়ের ছবি দেখি নাই।
সেদিন বিয়ের ৫ দিন আগে প্রথম ভাইয়ার লেপটে মেঘের ছবি দেখেছিলাম।
–কি বলছো আমাকে বলো নি কেন
–আমি ভেবেছিলাম এমনি বাট ভাইয়ার মেঘের প্রতি কেয়ারিং দেখে বুঝা যাচ্ছে ভাইয়া মেঘকে অনেক ভালোবাসে।
–তাহলে ভাইয়া পারবে বলো মেঘকে আদহামকে ভুলাতে।
–হুম।
চলবে,