#Game
#পর্ব_০২
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
[ সবার কাছে দুঃখিত! অনেকেই গল্পের প্রথম পর্ব টা বুঝতে পারি নি। আমি একটু বেশিই সাসপেন্স দিয়েছিলাম। আবার দুঃখিত! তবে পরবর্তী পর্ব গুলো সহজ ভাষায় দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর গল্পটা পুরোই কাল্পনিক। ]
পরদিন সকাল বেলা..
নীল তৈরি হচ্ছে ভার্সিটিতে যাবার জন্য, এদিকে নিশি ছাদে অপেক্ষা করছে নীলের জন্য কখন সে বের হবে। অবশেষে নীল বের হলেই নিশি নীলের গায়ে এক বালতি রঙ ফেলে দিলো। নীলের পুরো শরীর রঙে ভর্তি। নীলের এমন অবস্থা দেখে সব গার্ড মুখ টিপে হাসতে লাগলো। নিশি নাচতে নাচতে বলতে লাগলো..
– রিভেঞ্জ কমপ্লিট!
নীল দাঁতে দাঁত চেপে বলে..
– রিভেঞ্জ! ওয়েট আমিও দেখাচ্ছি..
বলেই দৌড়ে আসতে নিলো নীল, নিশি নীলকে দেখে দৌড়ে চেঁচাতো লাগল..
– দা দা বাচাও আমাকে ছোট দা আমাকে মারছে।
দুইজন দৌড়াদৌড়ি করতে করতে একসময় অভ্র’র কাছে চলে আসে। অভ্র বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে বসে ছিল। নিশি দৌড়ে অভ্র’র পিছনে চলে গেল। অভ্র সামনে তাকিয়ে দেখে নীলের অবস্থা পুরোই খারাপ। পুরো শরীরে রঙ লেগে তাকে চেনা মুশকিল। নিশি বলতে শুরু করল..
– দা তুমি বলেছো রিভেঞ্জ নিতে নিয়েছি, কেউ কিছু বলবে না বলেছিলে তাহলে দা এভাবে আসছে কেন?
অভ্র নীলের দিকে তাকিয়ে বলে..
– ওহ্ আচ্ছা এটা বুঝি নীল!
নীল অসহায় মুখে বলে..
– দা তুমিও..
অভ্র হেসে বলে..
– নীল এক হাতে তালি বাজে না, তুমি মজা করেছো নিশিও করেছে হিসাব বরারব!
নিশি মুখ ভেংচি দিয়ে বলে..
– দেখলি হিসাব বারবার!
– তোকে তো আমি!
– নীল, আর না! ভার্সিটিতে যেতে লেট হয়ে যাবে। যাও চেঞ্জ করে ভার্সিটি যাও!
নিশি দাঁত বের করে হেঁসে বলে..
– যাও যাও!
নীল রেগে বেরিয়ে যায়। নিশি অভ্র’র গলা জড়িয়ে বলে..
– তুমি আমার কতো মিষ্টি দা..
– তেল মারা বন্ধ কর..
– আমি মোটেও তেল মারছি না। ছোট দা সবসময় ইচ্ছে করে আমার পিছনে লেগে থাকে। এখানে আমার দোষ নেই। নিহা দি বড় বলে তাকে কিছু বলে না কিন্তু আমাকে ছাড়ে না…
– হয়েছে, এখন তুই আর কিছু বলবি না ব্যস। তাহলেই ও আর তোকে জ্বালাবে না।
– দা’র সাথে কি আমি পারি নাকি। আমি কিছু করলে সে তার দ্বিগুণ করে আমার সাথে।
– জানি তো আমি!
– দা কে শুধু একজনই ঠিক করতে পারে, সে হলো আদুরী! একদম বরাবর। তোমার মনে আছে দা ছোট বেলায় দুজন কিভাবে লেগে থাকতো।
নিশি’র কথা শুনে অভ্র’র মুখ মলিন হয়ে যায়। সে কিছু না বলেই সেখান থেকে উঠে চলে যায়। নিশি বুঝতে পারে সে কি বলেছে। অবশেষে সেখানেই মনমরা হয়ে বসে থাকে সে…
প্রেস কনফারেন্স এর দিন…
একে একে সবাই প্রশ্ন করে অভ্র আর নিহা কে। তারা দুজনেই উওর দিতে থাকে। হুট করেই একজন সাংবাদিক বলে উঠে..
– ম্যাম আরেকটা প্রশ্ন!
– হুম বলুন!
– ম্যাম এটা আমার না সবার প্রশ্ন, সবার কৌতূহল আছে এটাতে! সে হলো মেহেরিন বর্ষা খান ওরফে আদুরী, আপনার ছোট বোন যে গত পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ! কোথায় তিনি!
নিহা একটা মুচকি হাসি দেয়। সে জানতো এই প্রশ্নের মুখোমুখি তাকে হতে হবে। সে বলে ওঠে..
– এখানে আমাদের কোম্পানির বিষয় নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে, ব্যক্তিগত বিষয়ে না। আর এটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই সরি.. আর আপনাদের সময় এখন শেষ ধন্যবাদ!
বলেই নিহা আর অভ্র উঠে পড়ে। চলে যেতে নিলে এবার সে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে..
– ম্যাম আপনি এই কথাটা এড়িয়ে যেতে পারেন না। এই প্রশ্ন টাও আপনাদের নতুন কোম্পানি’কে নিয়েই, জানা গেছে তার ওনার আদুরী! তাহলে.. আচ্ছা আদুরী কি আর কখনো ফিরবেন না, তিনি কি মারা গেছেন!
নিহা এবার দাঁড়িয়ে যায়। সে পিছনে ফিরে সবার উদ্দেশ্য মাইকের সামনে এসে বলে..
– আদুরী ফিরবে আর খুব জলদি ফিরবে। মাইন্ড ইট মেহেরিন বর্ষা খান ও, অধরা খানের মেয়ে আদুরী!
বলেই চলে যায় তারা। পুরো নিস্তব্ধ হয়ে যায় পরিবেশ। কারো মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হয় না। কারন নিহা কথা গুলো রেগেই বলেছে এটা আর কারো বুঝতে বাকি নেই।
.
রাত ১২ টা ছুঁই ছুঁই…
ঈশান বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে য্বোয়ার বাসার বাইরে আর বির বির করছে…
– এই মেয়েটা সবসময় জ্বালায় আমাকে, কি দরকার এতো রাতে ঘুড়তে যাবার! কেউ দেখলে নিশ্চিত ভাববে এই মেয়েকে নিয়ে আমি পালিয়ে যাবার প্ল্যান করছি। এখন তো পরিক্ষাও শেষ তাই সারাদিন ঘুমিয়ে শেষে রাতে এসে আমাকে জ্বালিয়ে মারবে। কিন্তু এখনো আসছে না কেন মহারানি!.
বলতে বলতে হঠাৎ কিছু পড়ার আওয়াজ পেল। তাকিয়ে দেখে দেওয়ালের ওপাশ থেকে কেউ জুতো ফেলল। ঈশানের বুঝতে বাকি নেই য্বোয়া আসছে। এটাই ওর কাজ দেওয়াল টপকে ওর বাইকে চড়ে সারারাত ঘোরাঘুরি করা। ঈশান উঠে দেওয়ালের কাছে আসল। য্বোয়া দেওয়ালের ওপাশ থেকে এখানে উঠে ঈশান কে দেখে একটা চোখ টিপ দিলো। ঈশান দাঁতে দাঁত চেপে বলল..
– মজা বন্ধ করে তাড়াতাড়ি নাম। কেউ এসে পড়লে সর্বনাশ হয়ে যায়।
য্বোয়া এপাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল..
– মেয়ে আমি তুই কেন মেয়েলি কথা বলছিস। চল এখন..
বলেই বাইকে চড়ে বসল। ইশান বাইক স্টার্ট দিতে দিতে বলল..
– সিনিয়র তোর সম্মান দে, পরিক্ষা কেমন দিলি বল।
– রাখ তোর সিনিয়র, আর পরিক্ষাটাও আপাতত রাখ।
– পিচকু মেয়ে, সবে এসএসসি দিয়েছো। এখন’ই এতো সাহস।
– এটা তো আমার জন্মগত। এখন বাইক চালানো শুরু কর।
– করছি করছি!
ঈশান বাইক চালানো শুরু করে। বাইকে চালিয়ে মেইনরোডের দিকে এসে একটা ছোট্ট চায়ের দোকানে থামে। সেখান থেকেই থেকে দুকাপ চা নিয়ে একটা য্বোয়া কে দেয় আরেকটায় নিজে চুমুক দেয়। ঈশান বলতে শুরু করে..
– কেন যে তোর সাথে বন্ধুত্ব করতে গেলাম!
– আফসোস হচ্ছে!
– না ভয় হচ্ছে, তুই যা মেয়ে। শুনলাম কার নাকি মাথা ফাটিয়েছিস।
– তো কি করবো। আমাকে শুধু জ্বালাতন করে তাই শিক্ষা দিয়ে দিলাম।
– আন্টি আংকেল কিছু বলে নি। শুনলাম বিচার নিয়ে গিয়েছিল।
– হ্যাঁ গেছে তো, আব্বু জরিমানা দিয়ে দিয়েছে। আর আম্মু আমাকে বিরিয়ানি রেঁধে খাইয়েছে।
– মার খাওয়ানি!
– যাহ মারবে কেন? আমি কি ভুল করেছি নাকি। আব্বু অনেক বাহবা দিয়েছে জানিস।
– হ্যাঁ এটা শুধুই তোর ফ্যামিলি তে সম্ভব।
– …
– এভাবে তাকাস কেন?
– কিছু না এমনি! তোর এক্সাম জানি কবে?
– সবে তো তোর টা শেষ হলো। আমার হাতে এখনো অনেক সময় আছে। আচ্ছা আজকের ব্রেকিং নিউজ শুনেছিস!
– না নিউজ দেখি নি আর দেখিও না।
– জানতাম এটাই বলবি। সারাদিন শুধু ঘুমিয়ে থাকিস আর রাত হলে পেঁচার মতো ঘুরে বেড়াস।
– আচ্ছা পেঁচা দেখতে কি আমার মতোন সুন্দরী!
– দেবো এখন একটা।
– হি হি হি!
– হাসা বন্ধ কর আর আমার কথা শোন।
– হুম কি হয়েছে! তোর ক্রাশের বিয়ে নাকি!
– না ক্রাশের বিয়ে না তবে ক্রাশ একটা কান্ড করেছে।
– তোর ক্রাশ আছে! আমি তো এভাবেই মজা করে বলেছিলাম তা কে সে?
– নিহা খান!
– এই টা আবার কে?
– তুই উনাকে চিনিস না! কিভাবে? পুরো শহর চিনে তাকে আর তুই চিনিস না।
– না।
– এতো সহজে বলে ফেললি নাহ!
– এখন না চিনে থাকলে কি বলবো বল। কিন্তু হয়েছে টা কি? কি করেছেন তিনি!
– আবারও প্রেস কনফারেন্স এ মিটিং এ রেগে গেছেন।
– কেন কেন কেন?
– একবার বল আমি তোর মতো কালা না! শোন.. উনার বোন কে নিয়ে কথা উঠেছিল তাই!
– আচ্ছা উনার বোন ও আছে!
– বইন তুই অফ যা। ওয়েট.. ( মোবাইল ফোন থেকে সবার ছবি বের করে ) এই দেখ।
– এখানে তো অনেকজন! কোনটা তোর ক্রাশ আর এরাই বা কারা?
– তোর আসলেই এদেশে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। কোনো খবর রাখিস না আর এদের চিনিস না। পাবলিক জানলে তোর কি যে করবে?
– বেশি বক বক না করে ওদের পরিচয় দে।
– আচ্ছা শোন!
– ওয়েট ওয়েট একটা কথা!
– আবার কি?
– সবাই একরকমে পোশাক কেন পড়েছে!
– এটা একটা অনুষ্ঠানে তুলেছিল আর ওরা সবাই একরকম ড্রেস আপ করে।
– দেখে মনে হচ্ছে একটা মাফিয়া গ্যাং।
– বাহ তোর ধারনা তো হাই লেভেলের!
– সত্যি মাফিয়াদের সাথে জড়িত ওরা।
– সেটা সবাই বলে তবে কোনো প্রমান নেই। তারা সবাই খান নামে খুব ফেমাস। এই যে পিক টা দেখছিস, এই হলো শুভ্র আর অধরা খানের বড় ছেলে শাহরিয়ার অভ্র খান, এবার ২৫ এ পা দিলো তবে এই বয়সেই অনেক ভালো খ্যাতি অর্জন করেছে বিজনেস এ। খান কোম্পানির ওনার। আর এই হলো আমার ক্রাশ নিহারিকা নিহা খান এই হলো ওর ছোট বোন, এবার ২২ বছর হলো। “ল” নিয়ে পড়ালেখা করছে। আদ্রিয়ান খান নীল হলেন এনি। নিহা’র যময ভাই তাই বয়স ও সেম। কিন্তু নিহা বড়। নীল এবার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছে। এই যে মাঝখানে বসে আছে এটা হলো ছোট বোন নিশিতা নিশি খান, খুব সুইট না দেখতে। এবার ২০ এ পা দিলো। ডাক্তারি নিয়ে পড়বে বলে ইচ্ছা।
– বাহ ক্রাশ হলো নিহা আর সুইট বলছো নিশি কে।
– কারন সেটা না। নিহা’র মাঝে একটা এটিটিউড আছে আর নিশি মাঝে সুইটনেস বুঝলি।
– আর এরা কারা?
– এরা হলো ইহান, কাব্য আর রোদ্দুর!
– ওরা কি করে…
– ওরা সব ডান্সার। ওদের একটা গ্রুপ আছে নাচের। এছাড়া অভ্র’র বিজনেস এ শেয়ার আছে। তবে এখন নিশি’র সাথে পড়ালেখা করে। এরা হলো ওদের বেস্ট ফ্রেন্ড। বলতে গেলে অধরা খানের তিন বান্ধবী ছিল এরা তার ছেলেই তবে ওরা অভ্র’দের সাথে থাকে।
– আর অভ্র’র মা বাবা!
– মা মারা গেছেন আজ ৬ বছর। তবে আমি শুনেছি মেরে ফেলা হয়েছে অনেক নির্মমভাবে। আর বাবা.. মা মারা যাবার পর তার বাবা কে আর দেখা যায় নি।
– তার মানে এই ৪ ভাই বোন একসাথে থাকে।
– না আরো একজন আছে!
– কোথায় সে?
– সে আজ নিখোঁজ ৫ বছর হলো। তাকে নিয়েই কথা হয়েছিল আর নিহা রেগে গেছে।
– ওর ছবি নেই কেন?
– ওর ছবি কোথায় নেই। ভাই বোনরা মিলে ওকে একেবারে মুছে দিয়েছে বলতে পারিস তবে ওর ছোট বোন নাকি মাফিয়া গ্যাং এর লিডার!
– বাহ সব জানিস দেখছি!
– আমি না সবাই জানে কিন্তু প্রমান ছাড়া সব কথা! ওর বোনের নাম কি জানিস?
– কি?
– মেহেরিন বর্ষা খান! তবে ডাক নাম আদুরী, ভাই বোনরা এই নামে ডাকে। এমনকি সবাই এই নামেই চিনে তাকে।
– ওহ্ আচ্ছা অনেক শুনলাম।
– মনে হয় তুই প্রথম ব্যক্তি যে কিনা দেশের সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবর রাখে না।
– না প্রথম না বল একমাত্র ব্যক্তি!
য্বোয়া’র দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। য্বোয়া বলে উঠে..
– সেন্টি খেয়ে কাজ নেই কাজের কথা শোন।
– কি?
– এই গলি থেকে মোড় নিলে তিন রাস্তার মোড়ে সেই গলি টা আছে সেখানে আমাকে দিয়ে আসবি
– দিয়ে আসবো মানে, ওই গলিটা ভালো না আর তোকে রেখে আসবো আমি ওখানে। পাগল হলি নাকি।
– এতো বেশি কথা কেন বলিস বল তো। রেখে আসতে বলেছি রেখে আসবি।
– আসবি কিভাবে?
– সেটা নিয়ে তোর ভাবা লাগবে না। আমি ঠিক এসে পড়বো। এখন আমাকে নিয়ে চল লেট হচ্ছি আমরা।
– অনেক রাত হয়ে গেছে এখন যাওয়া কি ঠিক হবে।
– যাবি নাকি আমি একা যাবো!
– আচ্ছা বাবা যাচ্ছি রেগে যাচ্ছিস কেন। কিন্তু আগে একটা কথা দে!
– ওয়াট?
– বাসায় এসে একটা কল দিয়ে বলবি যে তুই বাসায় চলে এসেছিস। তুই প্রতিদিন এভাবে চলে যাওয়ার পর খুব টেনশন হয় আমার।
– আচ্ছা তুই ঠিক ৪ ঘন্টা পর আমাকে একটা কল দিবি আমি কল কেটে দিলে বুঝবি আমি বাসায় চলে এসেছি।
– …
– এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
– কি বুদ্ধি বাহ বইন বাহ!
– ধন্যবাদ!
– এমন চটকানি দেবো না তোকে!
– আমি লেট হচ্ছি!
– যাচ্ছি…
.
In Bangkok….
ক্যালেন্ডারে তারিখ দেখে যাচ্ছে একজন। আজ ৫ বছর ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছটফট করছে সে। হঠাৎ আরেকজন প্রবেশ করে তার ঘরে। তার উপস্থিতি পেয়ে জিজ্ঞেস করে..
– কি হয়েছে?
– গুড নিউজ আছে!
– আজ ৫ বছর পর গুড নিউজ নিয়ে এসেছো তুমি! তা কি গুড নিউজ!
– আদুরীর খবর পাওয়া গেছে! এখনো দেশেই আছে সে.. ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার নিখোঁজ হওয়ার কারনও জানা গেছে।
এমন একটা খবর শোনার জন্যই আজ এতো বছর ধরে অপেক্ষা করছিল সে। খবর টা শোনার পর’ই বাঁকা হাসি দিয়ে কফি’র মগে চুমুক দিলো। অতঃপর জিজ্ঞেস করল…
#চলবে….