LoVe Effect part-19+20

0
510

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 19

🍁🍁🍁

সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো সূর্যের আলো পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে রাতের আঁধার এসে গ্রাস করলো পুরো পৃথিবী আকাশে দিবারাত্রির নিয়মে আজও চাঁদ তাঁরা উঠেছে নীর বেলকনি দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে পড়নে একটা নেভি ব্লু থ্রি-পিস সাদা ওড়না নীরের বাবা কড়া আদেশ জারি করে বসলো শ্রাবনীদের বাড়ি থেকে কেউ আসলে যেনো বাড়িতে ঢুকতে না পারে মেইন গেটের সামনের দারোয়ান ও মালিকের আদেশানুসারে কাজে মত্তো বন্ধ রুমে বসে আছে নীর এই মুহুর্তে সায়নকে সামনে পেলে কি করতো নিজেও জানে না এদিকে ফোন ও নীরের বাবা নিয়ে গেছে মিহি একবার এসেছিলো দুপুরে খাবার নিয়ে রুমে যেমন খাবার তেমনই ঢাকনা পড়ে আছে নিচে কারো কথার শব্দ কানে আসতেই নীর নিচের দিকে তাকায় আবির মিহি দাঁড়িয়ে আছে মিহির কোলে ওর তিন বছরে বাচ্চা ঘুমাচ্ছে আবিরের হাতে লাগেজ নীরের হঠাৎ মনে পড়লো মিহি তখন বলেছিলো আজ ওরা সন্ধ্যায় চলে যাবে আবিরের হঠাৎ অফিস থেকে ইম্পর্ট্যান্ট ডাক পড়েছে। আবির সবার থেকে বিদায় নিয়ে নীরের বেলকনির দিকে তাকায় আবিরের সাথে সাথে মিহি ও তাকায় আবির শুকনো হেসে হাত নাড়িয়ে বাই দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে মিহি ও বাই দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে নীর শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে যায় গাড়ি ছেড়ে দিতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নীরের বুক ছিঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে নীরের বাবা নিচ থেকে নীরের বেলকনির দিকে তাকিয়ে নিজের একমাত্র মেয়ের শুকনো মুখ দেখে চোখের কার্নিশ জলে টইটুম্বুর হয়ে যায় এমন টা না নীরকে আটকে রেখে নীরের বাবা আনন্দে বা সুখে আছে কোন জন্মদাতা পিতা চাই তার আদরের রাজকন্যা কে এভাবে দেখতে কিন্তু প্রকৃতির নিয়মের বেড়াজালে সবই করতে হয় আমরা বাধ্য করতে পাড়া-প্রতিবেশীর কারো কটু কথা নীর শুনুক এটা মিজান সাহেব চান না তাই তো সিদ্ধান্ত নিলো নিজের একমাত্র মেয়েকে ইউএস পাঠিয়ে দেবে মিজান সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে ক্লান্ত পায়ে ভেতরে চলে যায়।

রিহিঃ শ্রাবণী নীরের কি খবর

শ্রাবনীঃ জানি না

এশাঃ ফোন দাও

শ্রাবনীঃ ওর ফোন অফ

সায়নঃ দেখ গিয়ে ওর হিটলার বাপ হয়তো ফোন নিয়ে গেছে ( সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে)

সায়নের কথায় সবাই সায়নের দিকে তাকায় চোখ ফুলে লাল হয়ে আছে সদ্য ঘুম থেকে উঠায় মুখ কিছুটা ফোলে আছে শ্রাবনীর মা কপাট রাগ দেখিয়ে বলে

শ্রাবনীর মাঃ আমরা আছি টেনশনে আর তুমি এতোক্ষণ ঘুমিয়ে এখন এসব বলছো

সায়নঃ তো ঘুম পেলে ঘুমাবো না তোমাদের মিটিং শুনবো আশ্চর্য

আয়াতঃ কেনো কাল সারারাত কি করেছিলি আর কোথায় ছিলি মেয়ে টা কে নিয়ে

সায়নঃ তিয়াসের বাবার সেন্টারে

অভিঃ ভালো করেছিস যা গিয়ে আরেকটু ঘুমা

সায়নঃ আমার মতে এখন দুই তিন দিন তুই নীরের সাথে কথা বলা অফ রাখ বাড়িতেও যাস না দুই তিন পর যা

সায়নের কথায় শ্রাবণীর মুখটা বেলুনের মতো চুপসে যায় দুই তিন দিন কীভাবে পারবে যেখানে ওর সাথে দিনে একশ বার ঝগড়া না করলে শ্রাবনীর ঘুমই আসে না সেখানে পুরো ৭২ ঘন্টা কথাটা মনে আসতেই শ্রাবণীর শ্বাস কিছুটা ঘন হয়ে আসে শ্রাবনী কান্না মিশ্রিত সুরে বলে

শ্রাবনীঃ আঙ্কেল খুব রাগি তুই এমন টা কেনো করলি ছোড়দা

সায়নঃ দুই তিন দিন যেতে দে সব ঠিক হয়ে যাবে

সায়ন বেরিয়ে যায় শ্রাবণীর মা রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়

মাঝখান দিয়ে কাটলো পাঁচদিন এই পাঁচ দিনে শ্রাবনী আর নীরের সাথে যোগাযোগ করার ট্রাই করেনি নীরের বাবা ও নিজের কথা থেকে একচুন সরেনি সবকিছুর মধ্যে অবাক করা বিষয় একটায় পাড়া-প্রতিবেশীরা কেউই নীরের চরিত্র নিয়ে বা অন্য কোনো কথা বলেনি সবাই স্বাভাবিক আচরণ করেছে এতে মিজান সাহেবের কিছুটা খটকা লাগে তবুও এতো একটা পাত্তা দেয় না উনি তো এখন মহা ব্যস্ত সামনের সপ্তাহের শনিবার নীরের ইউএস এর ফ্লাইট আজ সোমবার নীরের পাসপোর্ট ভিসা এসব নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে নীরের মা অনেক বারণ করার সত্যেও নীরের বাবা নীরের মা’র কোনো কথা শুনেনি অগত্যা একমাত্র মেয়ে কে দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার শোকে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে নীর তো নিজেও জানে না ও কিভাবে বাস করছে একরুমে থাকতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তবে এখন আর রুম বন্ধী হয়ে নয় বাড়ি বন্ধী হয়ে আছে দুইদিনের দিনই নীরের বাবা নীরের রুমের তালা খুলে দেয় তবে বাড়ি থেকে বের হবার নির্দেশ দেয় না।

রেডি হয়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই শ্রাবনীর বাবা শ্রাবনীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়

শ্রাবনীর বাবাঃ কোথায় যাচ্ছো মামনি

শ্রাবনীঃ বেস্টুর কাছে আমার আর ভালো লাগছে না আমি যাচ্ছি পাপা

আয়াতঃ আমি আসবো

শ্রাবনীঃ নাহ একাই যাবো

শ্রাবনী নীরের বাড়ির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে প্রায় বেশ কিছুক্ষণ নীরদের বাড়ির সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে গেটের সামনে এসে ভেতরে ঢুকতে নিলে দারোয়ান বাঁধ সেদে দাঁড়ায় শ্রাবনী ভ্রু কুঁচকে দারোয়ানের দিকে তাকায় দারোয়ান মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে মুখে অসহায়ত্বের চাপ স্পষ্ট শ্রাবনী বলে উঠে

শ্রাবনীঃ করিম ভাই পথ আটকালে কেনো আমাকে ভেতরে যেতে দাও

দারোয়ানঃ মাফ কইরো মা মালিকে কইছে তোমগোর বাসার কাউরে বাড়িত ঢুকতে না দেয় যাতে কথা না মানলে আমার চাকরী যাইবো গা

শ্রাবনীঃ আ আঙ্কেল এ কথা বলেছে

দারোয়ানঃ হ আর মালিকে নীর আপামণি রে কই যেনো পাঠাই দিবো কিসব পাসপোর্ট আর কি যেনো ওইগুলা করতাছে

দারোয়ানের কথা শুনে শ্রাবণীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শ্রাবনী অশ্রুসিক্ত দৃষ্টিতে দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে অনুরোধ করে বলে

শ্রাবনীঃ করিম ভাই দয়া করো আমাকে জাস্ট একটা বার ভেতরে ঢুকতে দাও প্লিজ

দারোয়ানঃ আমি পারুম না আমারে মাফ করো অনুরোধ কইরো না আপা তোমগোর দুইজনের অনুরোধ মুই ফেলতে পারুম না আর এহন তোমারে ঢুকবার দিলে পরে মালিক জানলে আমার চাকরী শেষ ঘরে আমার বউ বাচ্চা আছে চাকরী চলে গেলে ওদের কি খাওয়ামু

শ্রাবনীঃ প্লিজ করিম ভাই আঙ্কেল জানবে না একটা বার জাস্ট একটা বার যাওয়ার দাও

দারোয়ানঃ না না চইলা যাও মালিক বাড়িত আছে এহন যাও বইন

শ্রাবনীঃ এমন করো না প্লিজ দাও না একটা বার যেতে

শ্রাবনীর শত আকুতি মিনতিতেও কোনো কাজ হয় না দারোয়ান নিজের কথা অনল শ্রাবণী উপয়ান্তর না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে নীরকে চিল্লিয়ে ডাকতে শুরু করে

শ্রাবনীঃ বেস্টু কোথায় তুই দেখ না আমাকে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না বেস্টু এই বেস্টু কোথায় তুই আমাকে বল না ভেতরে যেতে দিয়ে

হঠাৎ চিরচেনা কন্ঠ কানে আসতেই নীর শোয়া থেকে ধড়পড় করে উঠে বসে ভালো করে শুনতেই বুঝতে পারলো এটা শ্রাবনী খুশিতে নীরের চোখে পানি এসে যায় নীর দৌড়ে বেলকনিতে যায় গেটের বাইরে শ্রাবনীকে কাঁদতে দেখে নীর ভেতর থেকে চেচিয়ে বলে

নীরঃ করিম ভাই ওকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছো কেনো ভেতরে ঢুকতে দাও

নীরের গলা শুনে শ্রাবণী কাঁদতে কাঁদতে চেঁচিয়ে পুনরায় বলে

শ্রাবনীঃ দেখ না বেস্টু আমাকে বলছে আমি নাকি ঢুকতে পারবো না আঙ্কেল না করে দিয়েছে আমাদের কাউকে ভেতরে যেতে দিতে তুই বল না আমাকে যেতে দিতে আমি তোর কাছে যাবো

নীরঃ করিম ভাই আমি বলছি ওকে ভেতরে আসতে দাও

দারোয়ানঃ মাফ কইরো বইন তোমরা মুই নিরুপায় মালিক জানলে আমার চাকরী শেষ

নীরঃ হাত জোড় করছি প্লিজ ওকে ঢুকতে দাও

শ্রাবনীঃ বেস্টু 😭

নীর অশ্রুসিক্ত নয়নে শ্রাবনীর দিকে তাকায় শ্রাবণী কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলেছে নীর ঠোঁট চেপে কান্না আটকে বলে

নীরঃ চলে যা তুই শ্রাবনী ওরা তোকে আসতে দেবে না চলে যা

শ্রাবনীঃ আমি আবার আসবো আর তখন ভেতরে যাবোই যাবো মনে রাখিস

শ্রাবনী কাঁদতে কাঁদতে আবার চলে যায় শ্রাবণী যেতেই নীর মুখ চেপে বসে কেঁদে দেয় এখন নীরের মনে হচ্ছে শুভ’র সাথে বিয়ে টা হয়ে গেলেই ভালো হতো কি হতো বউয়ের অধিকার না পেলে আপণ মানুষ গুলো তো কাছে থাকতো

সায়নরা ড্রয়িংরুমে বসে ছিলো শ্রাবনী ড্রয়িংরুমে এসে বিনাবাক্যে নিচে মেঝেতে শুয়ে কেঁদে দেয় হঠাৎ শ্রাবনীর কান্না শুনে সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে শ্রাবণী মেঝেতে গড়িয়ে কাঁদছে একমুহূর্তের জন্য সবাই হতভম্ব হয়ে যায় সবাই দৌড়ে শ্রাবনীর কাছে যায় আয়াত শ্রাবনীকে তুলে বলে

আয়াতঃ ছোটকি কি হয়েছে এভাবে কাঁদছিস কেনো কেউ কিছু বলেছে

সায়নঃ বনু কে কি বলেছে বল মে*রে ফেলবো পুরো

শ্রাবনীঃ এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ

অভিঃ বুড়ি কাঁদছিস কেনো কি হয়েছে নীরের বাবা কিছু বলেছে কথা বল না বললে বুঝবো কিভাবে

আয়াতঃ আমি যেতে চেয়েছিলাম নিলি না কি হয়েছে এটা তো বলবি

শ্রাবনীঃ বেস্টু

শ্রাবনীর বাবাঃ কি হয়েছে বলো

শ্রাবনীঃ ছোড়দা আঙ্কেল আমাদের কাউকে যেনো ওই বাড়িতে ঢুকতে না দেয় দারোয়ান ভাইকে বলে রেখেছে আমি ঢুকতে চাইলে আমাকে ঢুকতে দেয়নি ওরা আমাকে বেস্টুর সাথে দেখা করতে দেয়নি

সায়নঃ কি উনার এতো সাহস উনি তোকে কাঁদিয়েছে

শ্রাবনীর বাবাঃ চুপ করো যা করেছে বেশ করেছে উনার জায়গায় আমি থাকলে ও এটাই করতাম

শ্রাবনীঃ আমি কিছু জানি না আমি বেস্টুর সাথে দেখা করবো এট এনি কস্ট আঙ্কেল বেস্টুকে কোথায় যেনো পাঠিয়ে দেবে পাসপোর্ট ভিসা করছে

রিহিঃ এখন কি হবে

শ্রাবনীর বাবাঃ কি আবার হবে যে এসবের জন্য দায় সেই এসব ঠিক করবে

সায়নঃ মানে

শ্রাবনীর মাঃ এখানে মানের কি আছে নীরের মতো একটা মিষ্টি মেয়ের জীবন নষ্ট করেছিস এখন তোকেই নীরের দায়িত্ব নিতে হবে

সায়নঃ আমি বুঝতে পারছি না কি বলতে চাইছো তোমরা

এশাঃ দুই বছরে বাচ্চা না তুমি সায়ন

শ্রাবনীর বাবাঃ তোমাকে নীরকে বিয়ে করতে এন্ড এটাই আমার লাস্ট ডিসিশন

বিয়ের কথা শুনে সায়নের মাথা আকাশ ভেঙে পড়ে সায়ন তো এতদূর অবধি ভেবে রাখেনি এখন কি করবে সায়ন স্পষ্ট কন্ঠে বলে

সায়নঃ এ বিয়ে আমি করতে পারবো না

শ্রাবনীর মাঃ আমরা তোর মতামত চাইনি আমাদের মতামত জানিয়েছি

সায়নঃ আশ্চর্য বলির পাঠা আমাকে কেনো করছো

আয়াতঃ নীর কি মেয়ে হিসেবে খারাপ

সায়নঃ নাহ

অভিঃ ওর কি কোনো বেড রেকর্ড আছে

সায়নঃ আমার জানা মতে না

রিহিঃ নীর কি দেখতে খারাপ

সায়নঃ নাহ

শ্রাবনীর বাবাঃ তাহলে তোর বিয়ে করতে আপত্তি কোথায় বল একটা ওয়ে দেখা

সায়নঃ বাবা আমি বিয়ে করছি না ব্যস এতে নীর যদি হিমালয় চলে যায় তাহলেও না ওর সাথে আমার বনে না সারাদিন একটা না একটা নিয়ে আমার সাথে লেগেই থাকে এমন মেয়ে নিয়ে সংসার করা যায় না

আয়াতঃ এক থাপ্পড়ে তোমার দাঁত কপাটি ফেলে দেবো নীর সারাদিন তোর পেছন লেগে থাকে নাকি তুই আমরা কি বুঝি না নাকি চোখে দেখি না কোনটা আর তোর ভাগ্য ভালো তোর মতো ঘাড়ত্যাড়া নীরের মতো ইনোসেন্ট একটা মেয়ে পাচ্ছিস

সায়নঃ ইনোসেন্ট ( অবাক হয়ে)

এশাঃ তুমি কাউকে ভালোবাসো

এশার কথায় সায়ন থমকে যায় মুখের কথা অটোমেটিকেলি বন্ধ হয়ে যায় চোখের সামনে শাড়ী পরিহিতা এক স্নিগ্ধ রমণীর মুখশ্রী ভেসে উঠে সায়ন সবার থেকে কিছু টা দূরে সরে যায় সবাই সায়নের দিকে তাকায় সায়ন কিছু না বলে উপরে চলে যায় সবাই ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সায়নের বাবা কাট কাট গলায় বলে

শ্রাবনীর বাবাঃ কাল সবাই রেডি থেকো নীরদের বাড়ি যাবো অভি আয়াত তোমাদের ভাইকে বুঝায় কাউকে ভালোবেসে থাকলে তার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে বলো ওকে নীরকেই বিয়ে করতে হবে দ্যাটসস ফাইনাল

চলবে,,,,,,

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 20

🍁🍁🍁

বিকট আওয়াজে গেট খোলার শব্দে নীরের বাবা মিজান সাহেব চমকে সদর দরজার দিকে তাকায় বাইরে থেকে দারোয়ানের আওয়াজ ভেসে আসছে মিজান সাহেব ততটা পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মনোনিবেশ করেন পুনরায় সায়নের বাবা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন ভাবলেশহীন দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনীর মা রুক্ষ কন্ঠে বলে

শ্রাবনীর মাঃ সব জায়গায় এমন গুন্ডামী করিস কেনে তুই

আয়াতঃ ছাড়ো তো ওর কথা ঘাড়ত্যাড়া কে বলে লাভ নেই

শ্রাবনীর বাবাঃ তোমার ছোট ছেলেকে বলে দাও ভেতরে গিয়ে কোনোরকম সিনক্রিয়েট না করলেই ভালো হয়

দারোয়ানঃ এই ডা কি করলেন আমনে মালিক আমার চাকরী নিয়া নিবো এখনো যান বলছি হায় হায় রে গেট টা ভাইঙা দিলো রে

সায়নঃ এখন আপনি চুপ না করলে আপনার মুখ ভেঙে দেবো

সায়নের শান্তভঙ্গীর ধমকানো তে দারোয়ান দমে যায় সায়ন রা সবাই নীরদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে

ড্রয়িংরুমে বসে নীরের পাসপোর্ট ভিসার সব ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা দেখছিলো নীরের বাবা রান্নাঘরে নীরের মা রান্না করছে হঠাৎ মিলিত পদধ্বনিতে কাজে বিঘ্ন ঘটায় মিজান সাহেব বিরক্তি নিয়ে পাশ ফিরে তাকায় সঙ্গে সঙ্গে মুখ টা গম্ভীর হয়ে যায় ভরাট কন্ঠে বলে

মিজান সাহেবঃ আপনারা আপনারা এখানে কি করেছেন

সায়ন স্মিত হেসে নীরের বাবাকে পায়ে ধরে সালাম করে সায়নের আকস্মিক কাজে সবাই হতভম্ব হয়ে যায় সায়ন আবার একগাল হেসে নম্রস্বরে বলে

সায়নঃ আমার বউ কে কোথায় পাঠানোর ফন্দি আঁটছেন শ্বশুর মশাই

সায়নের কথায় সবাই ৮৮০ ভোল্টেজের শখ খায় ততক্ষণে নীরের মা রান্নাঘর থেকে এসে পড়েছে নীরের বাবা কপালে সুক্ষ্ম ভাঁজ ফেলে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন নীরের মা কে উদ্দেশ্য করে বলে

সায়নঃ আসসালামু আলাইকুম শ্বাশুমা

সায়নের মুখে শ্বাশুমা ডাক টা শুনে নীরের মা’র মুখ ততক্ষণে হা হয়ে যায় নীরের বাবা কপাট রাগ দেখিয়ে বলে

মিজান সাহেবঃ ইয়ার্কি করছো আমাদের সাথে আর তোমরা সবাই এখানে কি করছো

শ্রাবনীর বাবা ইতস্তত করে বলে

শ্রাবনীর বাবাঃ ভাইজান আমরা বসে ঠান্ডা মাথায় কথা বলি

শ্রাবনীঃ আমি বেস্টুর কাছে যাবো ( কাঁদো কাঁদো হয়ে)

মিজান সাহেবঃ ওর সাথে তোমার কি কিছু নেই ওর সাথে কথা বলতে পারবে না তোমরা ড্রয়িংরুমেই বসো

শ্রাবনী কাঁদো কাঁদো হয়ে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন ফিচেল কন্ঠে বলে

সায়নঃ ননদ তাঁর ভাবীর কাছে যাবে তাতে আপনি বাঁধা দিতে পারেন না শ্বশুর মশাই

মিজান সাহেবঃ কি তখন থেকে শ্বশুর মশাই শ্বশুর মশাই করছো আমার কোন মেয়ে তুমি বিয়ে করেছো

সায়নঃ এই দেখো আপনার তো একটায় মেয়ে নাকি আরো আছে আচ্ছা তাঁরা বড় নাকি ছোট না মানে শালি নাকি আপু এটাই জানার ইচ্ছে

অভিঃ সায়ন ( ধমকে)

নীরের মাঃ ভাবী আপনারা বসুন না দাঁড়িয়ে কতক্ষণ থাকবেন উনার মাথার ঠিক নেই এখন তাই এভাবে কথা বলছে কিছু মনে করবেন না

নীরের মা’র কথায় শ্রাবণীরা সবাই ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে সায়ন আয়াত দাঁড়িয়ে থাকে শ্রাবনী কাউকে কিছু না বলে দৌড়ে নীরের রুমের দিকে চলে যায় মিজান সাহেব কিছু বলতে চেয়ে ও পারলেন না।

বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে নীর হাত একটা কলম এটাই পর্যবেক্ষণ করছে আর নাক টানছে উহু কাঁদছে না এতোক্ষণ কাঁদার ফলে এখন নাক টানছে হঠাৎ দরজা খুলে কেউ ঝাপটে ধরায় নীর ভড়কে যায় শ্রাবণী নীরকে শোয়াবস্থায় জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়

শ্রাবনীঃ বেস্টু

নীরঃ শ্রাবণী ( চমকে)

নীর তৎক্ষনাৎ শোয়া থেকে উঠে বসে শ্রাবনী কে দেখে বেশকিছু টা চমকে যায় নীর দরজার দিকে উঁকি দিয়ে আতঙ্কিত কন্ঠে বলে

নীরঃ বেস্টু তুই এখানে কি করছিস কেউ দেখলে ব্যাপার টা খারাপ হয়ে যাবে বাড়িতে ঢুকলি কিভাবে কেউ দেখেনি তো কিরে কথা বল

শ্রাবনীঃ আমাকে কিছু বলার সুযোগ দে বেস্টুভাবী

শ্রাবনীর কথায় নীর চমকে শ্রাবনীর দিকে চোখ বড়বড় করে তাকায় শ্রাবনীর ডাক টা মনে মনে আবার আওড়ায় বেস্টুভাবী নীর কিছুটা অবাকমিশ্রিত কন্ঠে বলে

নীরঃ বেস্টু ভাবী মানে

শ্রাবনীঃ নিচে গেলেই বুঝবি চল নিচে যায়

নীরঃ মানে নিচে গেলে বাবা তোকে দেখলে অনেক কথা শুনাবে মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর

শ্রাবনীঃ কিচ্ছু হবে না আমি একা আসিনি পাপাই রা সবাই এসেছে

নীরঃ কিহ কিন্তু কেনো

শ্রাবনীঃ উফফস তুই বড্ড কথা বলিস বেস্টু নিচে আয় তাহলেই দেখতে পাবি

শ্রাবনী নীরকে নিয়ে নিচে চলে যায়

শ্রাবনীর বাবা ইতস্তত করে বলে

শ্রাবনীর বাবাঃ ভাইজান আমার ছেলের হয়ে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি জানি মাফ করার না তবুও পারলে মাফ করে দেবেন

মিজান সাহেবঃ এটা বলতে এসেছেন তাহলে বলি শুনুন যান আমি সায়নকে মাফ করে দিলাম

শ্রাবনীর বাবাঃ ইয়ে মানে আরেক টা কথা বলার ছিলো

মিজান সাহেবঃ যা বলার তাড়াতাড়ি বলুন আমাকে আবার একটু বাইরে যেতে হবে

শ্রাবনীর বাবাঃ আসলে আমরা চাইছিলাম

মিজান সাহেবঃ কি ( বিরক্তি নিয়ে)

ওদের কথার মাঝে সায়নের চোখ যায় সিঁড়ির দিকে সায়ন ঠোঁট কামড়ে হেসে রসাত্মক স্বরে বলে

সায়নঃ শুভ সকাল বউ

সায়নের মুখে বউ ডাক শুনে নীরের হার্ট অ্যাটাক হতে হতেও হয় না নীর চোখ বড় বড় করে সায়নের দিকে তাকায় সায়নের দৃষ্টি তখনো নীরের দিকে। নীরের মনে হচ্ছে ওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে

লে হালুয়া লে হালুয়া

লে হালুয়া হালুয়া হালুয়া

নীর বিস্ময়পূর্ণ কন্ঠে বলে

নীরঃ বউ

নীরের বিস্ময়পূর্ণ ফেস দেখে সায়ন ঠোঁট চেপে হাসে শ্রাবনীর বাবা নীরের বাবাকে বলে

শ্রাবনীর বাবাঃ ভাইজান আমি মানে আমরা সবাই চাইছি নীর কে আমাদের বাড়ি ছোট বউ মানে সায়নের বউ করে নিয়ে যেতে

শ্রাবনীর বাবার কথা শুনে নীর টপ করে আকাশ থেকে পড়ে নীর শ্রাবনীর দিকে তাকায় শ্রাবণী খুশিতে নীরকে জড়িয়ে ধরে কিন্তু মুহুর্তেই শ্রাবনীর খুশি উদাও হয়ে যায় নীরের বাবার কথা শুনে

মিজান সাহেবঃ কিন্তু আমি চাইছি না আমি নীর কে ইউএস পাঠিয়ে দেবো এখানে আর রাখবো না আমি চাই না আমার মেয়ের গায়ে কোনো দাগ লাগুক

শ্রাবনীর বাবাঃ ভাইজান এমন ভাবে বলবেন না একটামাত্র মেয়ে আপনার ওকে এতো দূরে পাঠিয়ে দিলে আপনারা থাকবেন কিভাবে আর একটা বার নীরের ফেসের দিকে তাকিয়ে দেখুন কয়েকদিনে মেয়ের মুখ টা কেমন শুকিয়ে গেছে ওর ও তো কষ্ট হবে আপনাদের ছাড়া থাকতে আর ভুল তো আমার ছেলে করেছে সেই ভুলের শাস্তি নিষ্পাপ মেয়ে টা কে কেনো দিচ্ছেন নীরের মতো মেয়েকে বউ পাওয়া আমাদের সৌভাগ্য এশা আর রিহি আমাদের মনমতন বউ এখন আমি চাই আমার ছোট ছেলের বউ ও এমন ভালোই হোক আর নীর আমাদের চেনাজানা মেয়ে ও কেমন সেটা আমরা জানি আপনি আর অমত করবেন না দয়া করে

উত্তরে মিজান সাহেব মৌন সবার দৃষ্টি মিজান সাহেবের দিকে শুধুমাত্র সায়ন ভাবলেশহীন দাঁড়িয়ে আছে যেনো এখানের কিছুতেই কিছু যায় আসে না মিজান সাহেব একবার নিজের মেয়ের দিকে তাকিয়ে সায়নের দিকে তাকায় ছেলেটা খারাপ না স্বভাব চরিত্র সব দিক দিয়ে পারফেক্ট। মিজান সাহেব মৌনতা ভেঙে সায়নের বাবার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়

মিজান সাহেবঃ এটা তো আপবনার কথা কিন্তু সায়ন ও কি আমার মেয়ে নীরকে ভালোবাসে বিয়ে করতে চাই ও আমার মেয়ে কে

মিজান সাহেবের কথায় সবাই সায়নের দিকে তাকায় সায়ন আগের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে আয়াত সায়নের কানে ফিসফিসিয়ে বলে

আয়াতঃ এন্সার দে গোলমাল পাকাবি না

বেশকিছুক্ষণ নীরবতা যায় সায়ন এখনো মৌন নীরের বাবা হেসে বলে

মিজান সাহেবঃ আপনার ছেলের এ বিয়ে তে মত নেই ধরে বেঁধে বিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু সংসার করানো যায় না আপনার ছেলে আমার মেয়ে কে ভালোওবাসে না বিয়েতে রাজি ও না তাই আমি মত দিতে পারলাম না মাফ করবেন একবার ভুল করেছি দ্বিতীয় বার না নীরের মা ওদের নাস্তা দাও আমি বাইরে যাচ্ছি নীরের পাসপোর্ট ভিসার একটু সমস্যা আছে এগুলো ঠিক করতে হবে

নীরের মা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয় নীরের বাবা সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়

সায়নঃ আপনি আন্টি কে বিয়ে করার সময় ফাস্ট থেকেই ভালোবাসতেন আঙ্কেল

সায়নের কথায় মিজান সাহেব দাঁড়িয়ে যায় সবাই সায়নের দিকে তাকায় মিজান সাহেব সায়নের দিকে ফিরে বলে

মিজান সাহেবঃ নাহ

সায়নঃ তাহলে তখন কি আন্টির বাবা জিজ্ঞেস করেছিলো আপনি উনার মেয়েকে ভালোবাসেন কি না বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন এখানে ভালোবাসা সম্মান শ্রদ্ধা সব মিশ্রিত একটা মধুর সম্পর্ক যার উপর ভিত্তি করে কোটি কোটি মানব-মানবী আজ জীবন-যাপন করছে পৃথিবীর সবাই ভালোবেসে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় না বিয়ের পর নিজের স্ত্রী র প্রতি দায়িত্ব ভালোবাসা কর্তব্য সব আপনা-আপনি আসে আর ভালোবাসা শব্দ টা আজকাল খুব ফিঁকে একবার আশপাশ টায় চোখ বুলিয়ে দেখুন হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈরি ভালোবাসা আজ অন্যের সংসার করছে যাকে ছাড়া একটা সময় বাঁচবে না বলতো সেই ব্যক্তি এখন খুব সুন্দর ভাবে বেঁচে আছে এসব প্রেম ভালোবাসার মধ্যে কিছু নেই ভালোবাসা মানেই এখন হাজারো মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।

এতোটুকু বলে সায়ন থামে নীরের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলে

সায়নঃ আপনার মেয়েকে আপনি আমার হাতে তুলে দেবেন সেই আশায় আমি বসে থাকবো এটা ভাবা ভুল আপনার মেয়ে আমার রেজিস্ট্রি করা বউ সেদিন রাতেই আমাদের বিয়ে হয়েছে ভুলবশত হলেও বিয়ে টা তো অমান্য করা যায় না আপনার মেয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনী আর নিজের স্ত্রীকে নিজের করে নেওয়ার মতো পুরুষত্ব সায়ন চৌধুরীর মধ্যে আছে আমি কাপুরুষ না আপনার মেয়েকে বিয়ে না দিলেও ও আমাদের বাড়ির বউ আর বিয়ে দিলে দ্বিতীয় বার বউ হবে এটাই বাট আমার বউকে কোথাও পাঠাতে পারবেন না

নীর সায়নের বিয়ে করা বউ কথাটায় যতটা না অবাক উপস্থিত সবাই তার থেকে কয়েকগুণ অবাক নীর ও পারছে সায়নের মাথা দু ভাগ করে দিতে নীরের তো মনেই পড়ছে না নীরের সাথে সায়নের কবে বিয়ে হলো আর ওইদিন কখনো হলো

নীরঃ কবে বিয়ে হলো কখন বিয়ে হলো স্বপ্নে কিন্তু কিভাবে আমিই তো জানি না আচ্ছা আমার কি শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে ( মনে মনে)

মিজান সাহেবঃ তোমাদের বিয়ে হয়েছে ( অবাক হয়ে)

সায়নঃ মিথ্যে বলছি বলে মনে হয়

মিজান সাহেবঃ নীর তো আমাদের বলেনি

সায়নঃ আমিই না করেছিলাম ভেবেছিলাম সময় হলে বলবো কিন্তু এখন সব হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তাই বলেই দিলাম নাও ডিসিশনস ইউর

শ্রাবনীর বাবাঃ তাহলে তো হয়েই গেলো আমরা বিয়াই হয়ে গেছি এখন আবার ধুমধাম করে ওদের বিয়ে দিয়ে সমাজ শহর জানিয়ে আমার ছোট পুত্র বধু করে ঘরে তুলবো ( খুশি হয়ে)

নীরের মাঃ তুমি আর অমত করো না বিয়ে আল্লহর পবিত্র বন্ধন এটা ভাঙার ক্ষমতা তোমার আমার কারোর নেই জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে

নীরের মা’র কথায় সবাই একমত পোষণ করে অগত্যা নীরের বাবা ও রাজি হয়ে যায় উনার আর এখন কি করার যা হবার তো হয়েই গেছে নীরের বাবার সম্মতি পেয়ে সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় শ্রাবণী নীরকে জড়িয়ে ধরে টুপ করে গালে একটা চুমু খেয়ে নেয় সায়ন নীরের দিকে তাকিয়ে দেখে নীর এখনো বিস্ময় ভরাট দৃষ্টি নিয়ে সায়নের দিকে তাকিয়ে আছে সায়ন ঠোঁট চেপে বাঁকা হাসে সায়নের হাসি দেখে নীরের শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায়। নীরের মা-বাবা শ্রাবনীর মা-বাবা কে নিয়ে ঘরে যায় শ্রাবণী দৌড়ে গিয়ে আয়াত কে জড়িয়ে ধরে সবাই খুশিতে সায়ন আর নীরের দিকে তাকায় নীর তো এখনো এক ঘোরে রয়েছে কি হচ্ছে সব মাথার একশো ডিগ্রি উপর দিয়ে যাচ্ছে সায়ন ধীর পায়ে নীরের কাছে এসে দাঁড়ায় সবাই সায়ন আর নীরের দিকে তাকায় নীর সায়নের দিকে তাকাতেই সায়ন নীরকে সিঁড়ির রেলিঙের সাথে চেপে ঠোঁট চেপে হেসে বলে

সায়নঃ গেট টু রেডি মিসেস সায়ন চৌধুরী

সায়ন নীরের দিকে বেশকিছু টা ঝুঁকে পড়ে সায়নকে এভাবে ঝুকতে দেখে নীর চোখ বন্ধ করে নেই বুকের ভেতর ঢিপঢিপ শব্দ হচ্ছে সায়ন নীরের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে

” গেট টু রেডি মাই ফলস্ ওয়াইফ মিসেস সায়ন চৌধুরী

চলবে,,,